এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ১৭ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩২১ বার পঠিত
  •  
    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। সতের ।।
     
    ‘’পুলিশের দাবি, বন্ধুকে খুন করার প্রস্তুতি সং নিয়েছিল অন্তত ১০ দিন আগে থেকে। তারই প্রস্তুতিতে শনিবার সকালে অংপুরে এসে ধারাল ছুরি কেনে সে। তার আগে অংপুরের একটি দোকানে নিজের দু’টি খারাপ হয়ে যাওয়া মোবাইল সারাতে দিয়েছিল সে। এমনকি স্কুটিতে করে বিকেলে বংপুর যাওয়ার পথে চংপুর মোড়ে কোন দোকানে চা খেয়েছিল, পুলিশকে এ দিন সেটাও দেখিয়েছে সং।‘’ - এটা একটা সত্যি খবরের কাগজের প্রতিবেদন, কেবল মানুষের আর জায়গার নামগুলো অং-বং-চং-সং এই সব করে দেওয়া হয়েছে।

    আসলে গোয়েন্দা গল্পে বা খবরের কাগজের অপরাধের রিপোর্টে অনেক সময়েই থাকে আততায়ী কী ভাবে তার খুনের অস্ত্র সংগ্রহ করল। অমুকের কাছ থেকে সে একটা দিশি পিস্তল কিনেছিল তমুককে মারবে বলে, অথবা সেলাই-এর বাক্স থেকে ছুঁচ বার করে নিয়েছিল খুন করার জন্য। সেগুলো পড়ে আমাদের ভেতরে কেমন একটা ইয়ে ভাব হয়, তাই না ? মনে হয় না, এই লোকগুলো ঠান্ডা মাথায় ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা কী করে করে ?

    বললে বিশ্বাস করবেন কি, যে আমি আর তথাও এমনই এক পরিকল্পনা করেছিলাম। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম, তিনি উল্টে আমাদের প্রশ্ন করলেন, এই পাপের ভাগিদার তাঁকে কি না করলেই নয় ? শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমাদের ওই ‘পাপ’ করতে হয়নি কারণ যাঁর বিরুদ্ধে আমি আর তথা গুটি সাজাচ্ছিলাম, তিনি সম্ভবত আমাদের প্ল্যান টের পেয়ে যান আর বিলকুল হাওয়া হয়ে যান। তাঁকে আমরা আর খুঁজে পাইনি।

    একটু খুলে বলা যাক, বিবেক বড় অশান্ত হয়েছিল এত দিন। আমার আর তথার ক্ষতি করার জন্য একজন উঠেপড়ে লেগেছে তার প্রমাণ পাচ্ছিলাম আমরা। একবার তো ছুরির মত কিছু চালিয়েছিল অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে, তথার জামা কেটে গেছিল। তবে কোনওমতেই তাকে ধরা যাচ্ছিল না, প্রতিবারেই পালিয়ে যাচ্ছিল সে। অনেক হয়েছে, আমি আর তথা ঠিক করলাম একে নিকেশ করতে হবে। দুজনে আলোচনায় (আজকাল যাকে ব্রেন স্টর্মিং সেশন বলে) ব’সে  একটা পরিকল্পনা করলাম। তবে সেই প্ল্যান কার্যকর করার জন্য একটা জিনিস চাই, আর জানা দরকার সেটা এখানে কোথায় পাওয়া যাবে।

    বাড়ির কাছেই যে দোকান থেকে আমরা জিনিসপত্র কিনতাম আর ফোন করতাম, তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। আন্টি কিছুক্ষণ কিছুক্ষণ সোজা আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন, তারপর বললেন, ‘’ইয়ে পাপ হামসে করাওগে বেটা ?’’ এই ব্যাপারে খোঁজ করতে গিয়ে যে পাপপুণ্য সংক্রান্ত কোনও নৈতিক এবং/অথবা ধর্মীয় ইস্যু উঠে আসতে পারে সেটা আমাদের মাথায় আসেনি। আমরা ভ্যাবলার মত খানিকক্ষণ ওনার দিকে তাকিয়ে থেকে ঘরে ফিরে এলাম।

    আসলে আমরা গেছিলাম ইঁদুর মারা বিষ কিনতে। তথা দেখেছিল ঘরে একটা নেংটি ইঁদুর ঢুকেছে, ওর একটা জামাও কেটে দিয়েছে। ইঁদুর যে গণেশ ঠাকুরের বাহন, এবং সেই সূত্রে তারও যে একটা দেবতাসুলভ ব্যাপার থাকতে পারে, এবং তার জন্য তাকে ধরার চেষ্টা যে করবে তাকে ধর্মীয় পেনাল কোডের কোনও একটা ধারা বা উপধারায় অভিযুক্ত করার সম্ভব সেটা সত্যিই আমরা বুঝতে পারিনি।

    আন্টির কাছে থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসে আমরা ফের পরিকল্পনা পর্যালোচনায় বসলাম। যা বুঝলাম তা হল অন্যান্য দোকানেও পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারও কারও কাছে এটা বেশ ইয়ে, মানে ব্লাসফেমাস, ব্যাপার। অতয়েব সম্ভাব্য সেই সব লোককে বাদ দিয়ে ধরা হল পুনীতের মামাকে, অর্থাৎ আমাদের বাড়িওয়ালি আন্টির ছেলেকে, যে সম্ভবত তখন ১১ বা ১২ ক্লাসে পড়ত। আমাদের অনুসিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ পাওয়া গেল যখন সে বলল ইঁদুর মারা বিষ এখানে কোথাও পাবে না। তবে ওই একই কাজের জন্য কল পাওয়া যেতে পারে। আমাদের উৎসাহ দেখে সে গুটি কতক প্রশ্ন করে জেনে নিল আমরা কী ধরণের কল চাই – ধরার জন্য খাঁচাকল না মারার জন্য যাঁতি টাইপের জিনিস। আমরা খাঁচাকলের কথা বলায় সে জানাল, ধরা পড়া ইঁদুর দু ভাবে সরানো যেতে পারে – এক, তাকে খাঁচা সমেত নর্দমার জলে ডুবিয়ে দেওয়া ; আর দুই, সামান্য দূরের মাঠে গিয়ে ছেড়ে আসা। আমরা দ্বিতীয়টা পছন্দ করলাম।

    ‘’আপনারা সোমবারের হাটে চলে যান, ওখানে পেয়ে যাবেন, ‘’ বলল পুনীতের মামা। দিল্লির বিভিন্ন মহল্লায় সপ্তাহের এক-এক দিনে হাট বসে। দিন অনুযায়ী সোমবারের হাট বা বুধবারের হাট বলা হয়। প্রীতবিহারের ওই অঞ্চলে সোমবারে হাট বসত। পরের সোমবার আসতে দেরি ছিল পাঁচ-ছ’ দিন আর তার মধ্যে ইঁদুর বাবাজীর দর্শন পাওয়া গেল না। আমরা ঠিক করলাম একটা সোমবার দেখে নিই, আবার যদি দেখা যায় তবে কিনে আনতেই হবে খাঁচাকল। খ্যাঁচ করে আটকে যায় বলেই বোধ হয় অনেকে খ্যাঁচাকল বলেন। তা সে যে কলই হোক, তার শকল আমরা আর দেখলাম না, তিনি পুরো অন্তর্হিত হলেন।

    এখানে দুটো বিষয় রয়েছে ; দুটোই আমাদের মানসিকতা নিয়ে। প্রথমটা হল বিষ দিয়ে ইঁদুর মারতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু যাঁতিকলে বা জলে ডুবিয়ে মারায় আছে। আর দ্বিতীয়টা হল, দিল্লির দোকানী ইঁদুর মারা বিষ রাখেন না গণেশের বাহনকে হত্যার ভাগিদার হওয়ার ভয়ে, তবে সাপ্তাহিক হাটে সেই হত্যার সরঞ্জাম দিব্যি বিক্রি হয় হাতা, খুন্তি, কড়াই, সাঁড়াশির মত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশেই।

    ইঁদুর হত্যার পাপ গায়ে লাগেনি ঠিকই, তবে একটা ব্যাপার দুমদাম করে বুকে এসে লাগত, মনে হত ‘’হয়ে গেল, এই বার সিওর পটল প্লাক করব’’। তবুও সেটা যে করিনি তার প্রমাণ আপনি এই লেখা পড়ার চেষ্টা করছেন। ব্যাপারটা হল জিনিসপত্রের বা পরিষেবার মূল্য। কলকাতার দামের সাথে তফাত এতটাই বেশি যে অনেক ক্ষেত্রেই সেটা ধাক্কাদায়ক।

    আমি আর তথা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, ফুটপাথে একটা লোক শসা নিয়ে বসে আছে বিক্রি করার জন্য। একদম সেই ‘’দেব নাকি দাদা, ছাল ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে’’ মার্কা জিনিস। দিল্লিতে এগুলো তেমন পাওয়া যায় না, যেটা যায় তা হল ক্ষীরা, সরু লম্বা প্রায় স্প্রিং-এর মত পাক দেওয়া। ভাল, তবে আমাদের চিরকালের চেনা শসার স্বাদ এতে নেই। বিক্রেতাকে তথা দুটো শসা দিতে বলল, সে মাথা নাড়তে নাড়তে একটা শসা নিয়ে ছাল ছাড়াতে বসেছে, তথা জিজ্ঞেস করল, ‘’কত করে ?’’ শসাওয়ালা জানালো, ‘’পাঁচ রুপেয়া জী।‘’ একটা শসা পাঁচ টাকা !! ঠিক শুনলাম তো ! তথা হাঁহাঁ করে উঠে বলল ‘’দুটো নয় দুটো নয়, একটা, একটা।‘’ কলকাতায় তখন ওই রকম শসা পাওয়া যায় এক টাকা বা তা চেয়েও কম দামে।

    কলকাতার মোটামুটি ভাল রেস্টুরেন্টে দোসা তখন মেলে ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে, দিল্লিতে ওই শ্রেণীর খাদ্যবিপণির বাইরে বোর্ড ঝুলতে দেখেছি – ৮০ টাকা দাম।

    দিল্লি পৌঁছবার পর চুল কাটতে গেছি প্রথমবার। তখন বিজয় নগরে থাকি। বেশ খোঁজখবর করে ‘ইটালিয়ান’ আর স্টার সেলুন – এদের মাঝামাঝি যে লেভেলগুলো থাকে তাদের নিচের দিকের একটায় গেছি। তেলুগু ছবির ভিলেন রামি রেড্ডি যিনি ‘স্পট নানা’ (চিরঞ্জিবী অভিনীত হিন্দি ছবি ‘প্রতিবন্ধ’ স্মর্তব্য) নামেও খ্যাত ছিলেন, অনেকটা তাঁর মত টাক মাথা, দাড়িওয়ালা আর বিশালদেহী এক জন সেই কর্তনালয়ের প্রধান। তিনি ভিলেন সুলভ গলায় আমায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘’হেইয়ার কাট ইয়া শেইভ কাট ?’’ আমি কী উত্তর দেব বুঝতে না পেরে মাথায় (নিজের) এক বার হাত বোলালাম। উনি একটা চেয়ারের পিঠে চাপড় মেরে আমায় বসতে ইসারা করলেন। আমি বসে পড়লাম, আমার গায়ে আলখাল্লা চড়ল। ছোট করে কাটতে হবে কি না জিজ্ঞেস করায় আমি বললাম ‘মিডিয়াম কাট’ ; বলেই চোখ বুজে ফেলেছি কারণ লোকটা চিরুনি আর কাঁচি হাতে কেমন যেন ক্রূড় চোখে এগিয়ে আসছে। কাঁচির ক্যাঁচক্যাঁচ শুনতে শুনতে আমি খালি ভেবে যাচ্ছি কত গুণতে হবে, আর হেব্বি টেনশন হচ্ছে, যদিও যথেষ্ট টাকা এনেছি সাথে। টেনশন কাটাতে টেনিদার ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’ গল্পের সেলুনের নামগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম - ওঁ তারকব্রহ্ম সেলুন, বিউটি-ডি-সেলুনিকা, সুকেশ কর্তনালয় – শেষেরটার একটা ইংরেজী নামও ছিল, সেটা মনে পড়ল না। বলে দেওয়া ভাল, আমার শেষটা প্যালারামের মত ট্র্যাজিক হয়নি। চুল কাটা শেষ করে ভিলেনদা জিজ্ঞেস করলেন ‘চাম্পি’ (ম্যাসাজ) লাগবে কি না। মাথা নেড়ে জানতে চাইলাম কত দিতে হবে কেশ কর্তনের জন্য। উত্তর শুনে চুপচাপ ১৫ টাকা গুণে দিলাম। কলকাতায় চুল-দাড়ি দুটো মিলিয়ে কাটতে লাগে ১০ টাকা মত। সেলুন থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে চোখে পড়ল একটা ময়লাটে বোর্ডে বিভিন্ন পরিষেবার মূল্য লেখা আছে, আগে আমার চোখে পড়েনি। দেখলাম এখানে শ্যাম্পুও করা হয়। মজার ব্যাপার হল ইংরেজি শ্যাম্পু শব্দটা এসেছে হিন্দি ‘চাম্পো’ থেকে, যার মানেও হল ‘ম্যাসাজ’।  

    কয়েক দিনের মধ্যেই মন শ্যাম্পু করা চুলের মত ফুরফুরে হয়ে গেল, যখন জানলাম বাড়ি যাওয়ার ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। আমাদের মত শিক্ষানবিসরা বছরে তখন পাঁচ দিনের সি এল নিতে পারতাম। সে জন্য মন একটু খারাপ ছিল। অলয় বলল কিচ্ছু ভাবার নেই ; ফেরার ট্রেনের টিকিট দশ দিন পরে কেটে ফেল। আমার জিজ্ঞাসার উত্তরে অলয় বলল, ‘’প্রথম পাঁচ দিন সি এল, পরের পাঁচ দিন ডি এল।‘’ আমি ছাড়বার পাত্র নই, প্রশ্ন করলাম ডি এলটা কোন খাতায় লেখা হবে। অলয় গম্ভীর ভাবে উত্তর দিল, ‘’সি এল যেমন ক্যাজুয়াল লিভ, তেমনই ডি এল হল ঢপের লিভ। কোনও খাতায় লেখা হয় না। তোমার এই পাঁচ দিনের অনুপস্থিতি বসদের খেয়াল করার কথা নয়। কেউ কান ভাঙালে আলাদা কথা, তবে সেটা সাধারণত কেউ করে না, কারণ শিক্ষানবিসদের সকলেরই ডি এল-এর দরকার পরে।‘’

    দিল্লি কা লাড্ডু কিনে বাড়ির ট্রেন ধরলাম। দশ দিন পরে ফেরা। ডি এল নেওয়ায় কী হবে কে জানে। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৩২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খমিতা | 2409:4060:e8e:75e4::6189:7711 | ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৪514968
  • EXCELLENT yesyesyes 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৮514983
  • জমিয়ে রেখেছিলাম অনেকগুলো একসাথে পড়ব বলে। আজ এইমাত্তর পড়া হয়ে গেল। এবার আবার একটু একটু করে জমানো‌। 
     
    (কিছু কিছু লেখা ভালো হয়েছে/লেগেছে বলা, অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেও, সেই লেখার জন্য কমই পড়ে যায়। তাই ঐ নাদানপনায় আর গেলামনা।)
  • | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৯514988
  • 'মন শ্যাম্পু করা চুলের মত ফুরফুরে হয়ে গেল,' - হাহাহা ব্যাপ্পক উপমা।
  • Nirmalya Nag | ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৪515002
  • @ শঙখমিতা - ধন্যবাদ 
     
    @ অমিতাভ চক্রবর্তী - অনেক ধন্যবাদ 
     
    @ দ - ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন