ঘ্যামা ঘ্যামা বইয়ের বড় বড় ব্যাপার, যেমন গড়ন, তেমনই দাম। ওদিকে নজর না দিয়ে আমরা বানিয়েছি সস্তা কাগজের চটি বই, যা সুলভ ও পুষ্টিকর।
গুরুচণ্ডা৯ চলতে শুরু করল ২০০৪ সালে। প্রথম চটি বই বেরোলো ২০১০-এ। বিজ্ঞাপনের কারবার নেই। নিজেদের লেখা, ছবি, ভিডিও, হাতে গড়া রুটির মতো, সামিজ্যাটের সাইক্লোর মতো ছড়িয়ে রাখি ইতিউতি
জালে (ওয়েব আর কী)। যে খুশি খুঁটে খান। তাতে খুব যে মারকাটারি বিশ্ববিজয় হয়ে গেছে তা নয়। কিছু বইয়ের হাজারখানেক কপি এক বইমেলায় শেষ হয়, কিছু বইয়ের হয় না। প্রথম চটি বইগুলোর কারো কারো
চার-পাঁচটা সংস্করণ হয়েছে, কারো দুটো। ওয়েবে কতজন পড়েন, সঠিক ভাবে মাপা মুশকিল। গ্রুপে কিছু হাজার, সাইটে কিছু। কুড়ি কোটি বাঙালির কাছে এসবই খুব বেশি কিছু না। তবে এই ক’বছরে সস্তায় পুষ্টিকর
চটি বইয়ের ব্যাপারটা বিলক্ষণ বুঝেছি। বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক নয়, মডেল সুন্দরীদের মার্জারচলন নয়, ঠোঙা নয়, মোড়ক নয়, লেখা তেড়ে সাইক্লো করুন, সুযোগ পেলে একটু হেঁকে নিন, ব্যস। লেখায় দম থাকলে চুপচাপ
ছড়িয়ে যাবে। ইহাই চটির ম্যাজিক। ঐতিহ্যমণ্ডিত চটি সিরিজ জিন্দাবাদ। জ্জয়গ্গুরু।
মোদীনমিক্স - মৈত্রীশ ঘটক, উদয়ন মুখার্জী(৫৮) লিখেছেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটক এবং উদয়ন মুখার্জি। অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক সৌম্য শাহীন। অর্থনীতির কী হাঁড়ির হাল, চিরে চিরে দেখেছেন এবং প্রতিটি শব্দ ওজন করে লিখেছেন।
মোদীকেয়ার - কার মুনাফা বেশি, জনগণ না কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর? - সম্পাদনা : পুণ্যব্রত গুণ এবং সত্য শিবরামন(৫৭) চটি বই। এই জমানায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার কী হাল হয়েছে, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় সকলেই জানেন। কিন্তু ভিতরে-ভিতরে অপূরণীয় ক্ষতি কী হয়েছে, লিখছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা, যাঁরা সামনে এবং ভিতর থেকে সরাসরি দেখছেন বিষয়টা। সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ এবং সত্য শিবরামন।
সিজনস অফ বিট্রেয়াল - দময়ন্তী(৫৫) ইতিহাস শুধু বইয়ে লেখা থাকেনা, গণস্মৃতিতেও ধরা থাকে ইতিহাসের উল্টে আসা পাতা। দেশভাগ সংক্রান্ত এই বইটি তেমনই এক গণস্মৃতির আর্কাইভ। দেশভাগের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলিকে লেখিকা তুলে এনেছেন পারিবারিক অ্যালবাম থেকে। এ একেবারেই কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং স্মৃতিতে থাকা দেশভাগের আখ্যান, যার সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সেই বাস্তবতা, যাকে ইতিহাস বলা হয়ে থাকে। এই বইয়ের প্রতিটি অনুচ্ছেদে ফুটনোট হিসেবে তাই জুড়ে দেওয়া আছে এতাবৎকালের লিখিত ইতিহাস ও পারিবারিক স্মৃতির রেফারেন্স। ব্যক্তির স্মৃতি এখানে ইতিহাস হয়ে উঠেছে, আর ইতিহাস হয়ে উঠেছে গণস্মৃতির উপজীব্য। বাংলায় দেশভাগ নিয়ে লেখা এবং স্মৃতিকথন, কারোরই কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ দুটিকে পরতে পরতে জুড়ে দিয়ে ইতিহাসের কঠিন বাস্তবতা আর টানটান মানবিক ফিকশনের অনন্য এক যুগলবন্দী গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত এই বই।
প্রচ্ছদ - দেবরাজ গোস্বামী, নামাঙ্কন - চিরঞ্জিত সামন্ত
সিমোন দ্য নেলসন - রোশনারা মিশ্র ও চিরঞ্জিৎ সামন্ত(৫৩) বাংলা ভাষায় এই প্রথম গ্রাফিক কবিতার বই কিনা সে বিতর্কে না ঢুকে বলা যায়, রেখা ও শব্দের বিভঙ্গে এই ছোট্টো বইটি অনন্যসাধারণ। রেখা কখনও আধুনিক ও কাটাকাটা, কখনও তুলির মতো পেলব। শব্দ কখনও রূপকথার মতো বিভঙ্গময়, কখনও রূপকথারই মতো ক্রূর। "এতসব টানাপোড়েনের কোনো মীমাংসা নেই। মুক্ত নাকি ছন্দ, পূর্ব ও পশ্চিম, রূপকথা না কেচ্ছা, বিষয় বা আঙ্গিক - সবই মুলতুবি রেখে গড়ে উঠেছে এই গ্রাফিক কবিতা - সিদ্ধান্ত, যে নেবে, তারই।" এই প্রতিজ্ঞাটি ব্যক্ত হয়েছে বইয়ের ব্লার্বে।
দিনগুলি, রাতগুলি - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(৫২) "গঙ্গার পাড়ে, বোটানিকাল গার্ডেনের পাশে সেই ক্যাম্পাসে মাঠের নাম লর্ডস ও ওভাল, পুকুরের নাম বিদিশার ঝিল। ক্যাম্পাসের ঠিক মাঝখানে কবরখানা, একদিকে মুচিপাড়া, অন্যদিকে সায়েবপাড়ার মাঝখানে 'রহস্যময় মেয়েদের হল'। এখানে আছে 'লাভার্স লেন', যেখানে চাঁদের আলোয় হাত ধরাধরি করে প্রেমিক-প্রেমিকারা হাঁটে।
"সৈকত ভাল লেখেন, কী খারাপ লেখেন, তা আমার ভাবার এক্তিয়ারে পড়েনা। এ তো আর 'চুপ, আদালত জারি আছে'র মতো ব্যাপার নয়। এখানে গণেশ পাইনের 'আততায়ী'র মুখ আলো-অন্ধকার ফাঁসিয়ে মাঝে মাঝে জেগে ওঠে। পিটার স্যাফারের নাটকে সতেরো বছরের অ্যালান কেন পাঁচটি ঘোড়াকে অন্ধ করে দিয়েছিল? ড. ডিমার্ট কোনোদিন কি তা জানতে পারবে? আমরা জানতে পারব? 'দিনগুলি রাতগুলি' চোরাস্রোতে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কোথায়? সেই হদিশ জানা থাকলে এ লেখা তো আর উপন্যাস হতনা। মিথ্যার চেয়েও সত্যের বড় বিপজ্জনক শত্রু আত্মবিশ্বাস। সৈকতের উপন্যাস এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিস্পর্ধী সত্যের হিরণ্ময় মুখ।" -- এই বইয়ের ভূমিকায় লিখেছিলেন, রবিশঙ্কর বল।
তক্কোগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ - কল্লোল(৫১) মানবচরিত্র এক বর্ণালীর সমন্বয়। কাল বিশেষে সেইসব বর্ণের উপর দুটি বিশেষণ আরোপিত হয়, ভালো ও মন্দ। বর্ণগুলি কোনো জলবিভাজিকায় বিভক্ত নয়। প্রায়শঃই তারা একে অন্যের সঙ্গে মিশে নতুন বর্ণের জন্ম দেয়। কালান্তরে এক একটি বর্ণের সাথে যুক্ত থাকা বিশেষণ দুটি স্থান বদল অক্রে মাত্র, কিন্তু আশ্চর্যভাবে ভালো ও মন্দ থেকেই যায়, তাদের ভালোত্ব ও মন্দত্বে মিশেই থেকে যায়, তৃতীয় বিশেষণ জন্ম নেয়না। তাই হয়তো কোনোকালেই মানুষ ব্যক্তি ও সামূহিকভাবে পুরোপুরি ভালো বা মন্দ হয়ে উঠবেনা। ফলে ভালো থাকার স্বপ্নটি, সকলে মিলে ভালো থাকার স্বপ্নটি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে হয়তো। এই অসম্পূর্ণতার হাত ধরে এক আশ্চর্য আকাঙ্খার। এইসব ছোটোবড়ো আখ্যানসকল গেঁথে গেঁথে একটি মহোপাখ্যান গড়ে তোলার আকাঙ্খা। জানি, পণ্ডিতরা নিদান হেঁকেছেন মহোপাখ্যানের দিন ফুরিয়েছে, কিন্তু শেষ বিচার কে কবে করেছে?
কারাগার ও মধ্যভূমির আখ্যানকার লিখছেন, তাঁর দ্বিতীয় আখ্যানটি। লিখছেন, "একটি মহোপাখ্যানের অকিঞ্চিতকর অংশ হয়ে থাকার স্বপ্নে লিখতে থাকি। স্বপ্ন না পূরণ হলেই বা ক্ষতি কী?"
কাশ্মীর, রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণতন্ত্র ও জনমত - মিঠুন ভৌমিক(৫০) কাশ্মীরের আখ্যান এক অদ্ভুত আখ্যান। "পার্স্পেক্টিভ একটা অদ্ভুত ব্যাপার। বেড়ার এপারে যে সন্ত্রাসবাদী, ওপারে সে দেশপ্রেমী। ওপারে যে দখলদার, এপারে সে বেনেভোলেন্ট প্রশাসক। কিন্তু কোথাও কি কোনো অবজেক্টিভিটির অবকাশ নেই? সম্ভবতঃ নেই। সম্ভবতঃ তা অবাস্তব, মতান্তরে অসম্ভব। জার্মান সাহেব নীটশে যেমন বলে গেছেন-'There are no facts, only interpretetions'। হাওয়ার্ড জিন যেমন বলে গেছেন ঐতিহাসিকের অবজেক্টিভিটি অনুচিত, অসঙ্গত। অপরপক্ষে ইতিহাসকে পুরোপুরি সাবজেক্টিভিটি'র হাতে ছেড়ে দিলে যে কী মারাত্মক ফল হতে পারে, তার ভুক্তভোগী আমরা... অতএব কোথাও একটা ব্যালান্সের প্রয়োজন অনস্বীকার্য-আদর্শ গ্যাসের মত আদর্শ অবজেক্টিভ ইতিহাস অসম্ভব জেনেও তার যথাসাধ্য কাছাকাছি পৌঁছোনোর একটা চেষ্টা।ইতিহাসচর্চার এই অবজেক্টিভিটি নিয়ে মিঠুন ভেবেছেন এবং এই বইটি জুড়ে মিঠুন তারই একটি প্রয়াস চালিয়ে গেছেন; সব্সময় সফল হয়েছেন কিনা তার উত্তর পাঠকরাই দেবেন। " - ভূমিকায় লিখেছেন ইন্দ্রনীল ঘোষদস্তিদার।
গোরা নকশাল - কল্লোল লাহিড়ি(৪৯) টানা ন্যারেটিভের মাধ্যমে সময়ের পট-পরিবর্তনকে বুনে চলা বেশ মুনশিয়ানার পরিচয়। কল্লোল সেটুকু পেরেছেন। তাঁর লেখাটির পাঠ খুব সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। এক রম্য দুপুরের রোদে পিঠ ঠেকিয়ে এক নিঃশ্বাসে এই ছোট উপন্যাসটি পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। ভাগ্যিস নয় ! ভাগ্যিস এখনো কিছু কিছু গল্প আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, যাদের কুড়িয়ে আনতে গেলে কেটে যায় বেশ কিছু শ্রমবহুল রাত! এভাবেই কিছু কিছু আখ্যান তাদের কাঠিন্যের অন্তরালে দিনবদলের হাতিয়ার হিসেবে অক্ষরের রাইফেলটিকে উদ্যত করে বেঁচে থাকুক।
কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল - শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য(৪৮) কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল-- গুরুচণ্ডালি থেকে প্রকাশিত একটি রাজনৈতিক থ্রিলার, যার বিষয়বস্তু হল ছাত্ররাজনীতি। দক্ষিণ কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি, তার প্রেম, অবিশ্বাস, সন্দেহ, ভালবাসা নিয়ে লেখা উপন্যাস, বামপন্থী ছাত্ররাজনীতির আলো-অন্ধকারময় ইতিবৃত্ত নিয়ে উপন্যাস, 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল'। সমস্ত পরিণতির সম্ভাবনাগুলোকে গুপ্তঘাতকের ছুরির মত সযত্নে নিজের আস্তিনে লুকিয়ে রেখে কোন রাস্তায় হাঁটবে ছাত্র রাজনীতি? কুরবানির? নাকি কার্নিভ্যালের? বইটি প্রকাশ পেয়েছে ১৩ই অক্টোবর, ২০১৮।
সর্ষেদানায়, ইচ্ছেডানায়ঃ অচল সিকির মোটরসাইকেল ডায়েরি - অচল সিকি(৪৭) অবশেষে সেই সকাল এসেই গেল, অনেকদিন পর যে সকালের জন্য আমি হাত কামড়াব। বছর বিশেক পর আত্মজীবনীর পাতায় স্বীকার করে যাব, এই একটা বই বার করা ভুল হয়ে গেছে বিলকুল। খাচ্ছিল-দাচ্ছিল, কী দরকার ছিল উসকানোর। মধ্যবিত্ত মানুষ দিব্যি সকালে আপিসে গাল খাচ্ছিল, বিকেলে চার আনার মাল। আফ্রিকা টাফ্রিকা, হনলুলু কি মেক্সিকো দেখতে হলে হাতের কাছে বোকা বাক্স ছিল। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক, আরও কত হাবিজাবি। আর এই ছোকরা শুধু সেসব রুলবুক ভেঙে একলা বাইক নিয়ে লাদাখ থেকে লখনৌ, গ্যাংটক থেকে গোবিন্দপুর করে বেড়াচ্ছে তাই না, সেসব লিপিবদ্ধ করেও ফেলেছে। সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করার মহতী প্রোজেক্টে ইন্ধন জোগানো ছাড়া আর কী? প্ররোচনার দায়ে এর জেল জরিমানা হওয়া উচিত। হ্যাঁ, অচল সিকির বইয়ের কথাই বইছি। তার বাইক বগলে লাদাখ জয়ের হম্বিতম্বির কাহিনি। ...
স্বাস্থ্য (অ)ব্যবস্থা - সম্পাদনাঃ পুণ্যব্রত গুণ (সারা বাংলা সবার জন্য স্বাস্থ্য প্রচার কমিটি এবং গুরুচণ্ডা৯ প্রয়াস)(৪৬) স্বাস্থ্য ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার নয়। তদুপরি '৪৭ পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে কল্যাণকর ভূমিকা পালন করার উদ্যোগ ছিল, রাষ্ট্র তার থেকে সরে আসছে গত শতকের নব্বই-এর দশকের শুরু থেকে। স্বাস্থ্য এখন মূলত পণ্য, পুঁজির চারণক্ষেত্র এবং মৃগয়াভূমি।এই অদ্ভুত ব্যবস্থায় নাগরিকের ক্ষোভ মেটাতে রাষ্ট্রের কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেই, পরিবর্তে আছে কেবল একের পর এক ফাঁপা ঘোষণা। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের, বিশেষ করে চিকিৎসকদের জনগণের রোষের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। যেন একমাত্র তাঁদের দোষেই মানুষ যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন না।এই সংকলনে লিখেছেন চিকিৎসকরা, জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীরা, নীতিনির্ধারকরা....যাতে বাস্তবটাকে বোঝা যায়, এবং সেই অনুযায়ী চলার পথ ঠিক করা যায়।
সবার জন্য স্বাস্থ্য-একটি স্বপ্ন যা সত্যি করা যায় - সম্পাদনাঃ পুণ্যব্রত গুণ (সারা বাংলা সবার জন্য স্বাস্থ্য প্রচার কমিটি এবং গুরুচণ্ডা৯ প্রয়াস)(৪৪) ঘুণধরা স্বাস্থ্যব্যবস্থা, আজ রোগী এবং চিকিৎসকদের প্রায় একে অপরের সঙ্গে যুযুধান প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়েছে। কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছেন চিকিৎসা নামধারী মুনাফাযন্ত্রের চাপে। কোথাও চিকিৎসক বিপন্ন বোধ করছেন আক্রমনের আশঙ্কায়। অথচ শর্টকাটে এ সমস্যার সমাধান হবার উপায় নেই। দীর্ঘমেয়াদী কোনো সদুত্তরও কি আছে, এই সমস্যার? সে প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা। এই বইয়ে।লিখছেনঃ পুণ্যব্রত গুণ, বিনায়ক সেন, অরুণ সিংহ, শ্রীনাথ রেড্ডি, রাহুল মুখার্জি, সত্য শিবরমন, অলকেশ মন্ডল, বঙ্কিম দত্ত। 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' শুধু একটি বই নয়। এটি সকলের জন্য আশু এবং জরুরি একটি বিষয়। সংকট সমাধানের জন্য জন সচেতনতা গড়ে তোলার প্রথম ধাপ।
বাংলা স্ল্যাং, সমুচয় ঠিকুজিকুষ্ঠি - অজিত রায়(৪৩) অজিত রায়ের গদ্যপ্রযুক্তি, প্রকাশদীপ্তি ও ব্লেডের মতন ক্ষুরধার চলিত শব্দপ্রয়োগে অভ্যস্ত পাঠকেরা তাঁকে ভালোবাসেন তাঁর একদম নিজস্ব এক চলমান গদ্যশক্তির জন্যে। অজিত রায় মানেই এক নিরন্তর অস্থবিরতা, এক শিল্পিত চলিষ্ণুতা। বাংলা স্ল্যাং নিয়ে উনি কাজ করছেন অনেকদিন। 'বাংলা স্ল্যাং, সমুচয় ঠিকুজিকুষ্ঠি' - বইএর ভাষা মোলায়েম বাঙলা গদ্যভাষা নয়। এ বইএর দুই মলাটের ভিতরে লেখক তুলে আনছেন বাংলা স্ল্যাং এর আগা ও গোড়া। তালিকা ও ইতিবৃত্ত। এবং অতি অবশ্যই স্ল্যাং অভিধান। অজিত রায়ের গদ্য বাংলা ভাষার বিপুল গুরু ও চণ্ডাল সূত্রের বাহক। তৎসম, স্ল্যাং আর বাংলা-বিহারের চলিত শব্দের এক অদ্ভুত সমুচয় । এই ভাষাতেই তিনি লিখেছেন স্ল্যাং এর উপাখ্যান। স্ল্যাংকে শুধু অপভাষা বা শুধু খিস্তি, এর কোনোটাই বলা যায় না, বলেছেন লেখক। তাহলে স্ল্যাং কী? বাংলা স্ল্যাং কী কী? জানতে হলে বইটি অবশ্যপাঠ্য।
নির্বাচিত গল্পপাঠ (প্রথম খণ্ড) - অপার বাংলার গল্পসংকলন, গল্পকারদের গল্পকথা (৪২) গল্পপাঠে আন্তরজালে প্রকাশিত গল্পকারদের সেরা গল্পটি নিয়ে 'নির্বাচিত গল্পপাঠ' নামের এই সংকলনটি বই আকারে বের করেছে। শুধু সেরা গল্পটি পড়িয়েই সন্তুষ্ট নয় তারা-- ৮৫ জন গল্পকারের লেখার শৈলীটাও সাক্ষাৎকারের আকারে গ্রন্থিত হয়েছে। এখান থেকে বাংলা ভাষার গল্প লেখার গতিপ্রকৃতি ও লেখার কলকব্জা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পাওয়া যাবে। যারা বাংলা গল্প নিয়ে গবেষণা করেন তাঁদের জন্য 'নির্বাচিত গল্পপাঠ' একটি আকরগ্রন্থ হিসেবে কাজ করবে। আর তরুণ লেখকদের জন্য এই বইটি হয়ে উঠবে টেক্সট। পাঠকদের দেবে গল্পপাঠের একটি বিশ্বমানের পাঠবোধ। - অমর মিত্র
নির্বাচিত গল্পপাঠ (দ্বিতীয় খণ্ড) - অপার বাংলার গল্পসংকলন, গল্পকারদের গল্পকথা(৪১) গুরুচণ্ডালী একটা গুরুতর কাণ্ড ঘটাতে পেরেছে। বেশি নাম শোনা, কম নাম শোনা, বা নাম না শোনা গল্পকারদের ৮৫টি গল্প, দুই খণ্ডে গ্রন্থিত করেছে। কোন সীমা নেই। এই বাংলা ওই বাংলা ইউরোপ আমেরকা কানাডা যেখানে গল্প লেখার কাজ চলছে তার সুলুক সন্ধান করে অসম্ভব পরিশ্রম এবং খরচ করে এই দুরূহ কর্মটি সম্পাদন করেছেন। এই সংকলন দুটির উপরি পাওনা হচ্ছে- দুটি খণ্ডের ভূমিকা। একটি অমর মিত্রের, অপরটি যিনি লিখেছেন তিনি তার নাম জানান নি। আবাক করার মতো পুরো কাজটি দেখে আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি। এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। - স্বপ্নময় চক্রবর্তী
বস্টনে বংগে - বর্ন ফ্রি (৩৯) “গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রীম কোর্টের রায় আবার নতুন করে আমাকে ক্রিমিনাল করে দিয়েছিল। যবে থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জেনে এসেছি এই ভারতে আমার বা আমাদের মত মানুষদের কোনো আইন্সন্মত জায়গা নেই। ঝোপের আড়ালে, পার্কের কোনায়, পাবলিক টয়লেটে অথবা ভিড় ট্রেনের কামরায় আমরা চাইলে থাকতে পারি কিন্তু তোমাদের নাটকে, গল্পে কবিতায় সিনেমার ডিসকোর্সে আমরা নেই। তোমাদের বেডরুমে আমরা সবসময় থেকেছি, কিন্তু তোমাদের ড্রয়িংরুমের আলোচনায় আমাদের ডাক পড়েনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের মুখে শুনেছি ‘ওইসব করতে হলে আমেরিকায় গিয়ে কর, ইন্ডিয়াতে করলে পুলিশে ধরবে’। তারা অনেক সময়েই কথাগুলো মজা করে বলেছে। আমি জানি, আমার যৌনপরিচয় না জেনেই বলেছে, কিন্তু কতটা ব্যথা দেওয়া সত্যি কথা বলে ফেলেছে সেটা তারা নিজেরাও বোঝেনি।” বস্টন থেকে কলকাতা, আমেরিকা থেকে ভারতে, এক ‘অন্যরকম’ যুবকের অন্যরকম রচনা। ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল গুরুচন্ডা৯তে। কিছু পরিবর্তিত পরিমার্জত রূপে এবার বই হয়ে।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected] ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন