এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • কালী

    tatin
    বইপত্তর | ০৫ নভেম্বর ২০১০ | ৯২৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 130.39.149.157 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০২:১৩458391
  • আহা, হিন্দু শব্দটা লুজলি ইউজ করেছি
  • Samik | 122.162.75.41 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫৭458392
  • অপূর্ব হচ্ছে। এগোক!
  • M | 59.93.209.114 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫১458393
  • খুব ভালো হচ্ছে।

    আচ্ছা, শিবাংশুদা আর অন্যান্য দেরো..........এই আলোচনা হয়ে গেলে বাঙালী নিয়ে এরম এট্টা টই খুলবেন পিলিজ......... যেটাতে আমাদের ইতিহাস থাকবে।ইয়ে মানে কিভাবে পুর্ব ভারতের সমাজ থেকে আর অন্যান্য রা এসে মিলেমিশে আমাদের এই সংস্কৃতি এলো........... ধ্যুৎ বোঝাতে পাচ্ছিনা।বুঝে নিতে হবে, ব্যাস।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩১458395
  • ভারতের হিন্দুরা যে হিন্দু সেটা তারা জেনেছিলো প্রথম আদমসুমারীর পর, বোধ হয় ১৮৭২-এ। তখনই তারা জেনেছিলো যে তারা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়।
  • Bratin | 193.222.161.6 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১২:৩৪458396
  • দীপ্তেন দা, শিবাংশু দা খুব ভালো লাগছে পড়তে। অনেক কিছু শিখতে পারছি।
  • M | 59.93.169.49 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৫১458397
  • @তাতিন,
    থ্যাঙ্কু............:)
  • Baijayanta | 14.96.208.167 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৪৯458398
  • এ কথা অনস্বীকার্য যে বৃটিশ রাজত্বের শুরু থেকে "হিন্দু" শব্দটির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রাচীন বাংলা লেখাপত্রে "হিন্দু" শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি, বা শব্দটি অপরিচিত ছিল তাও নয়। ধরা যাক ষোড়শ শতাব্দীতে রচিত "চৈতন্যচরিতামৃত"র আদি লীলা। সেখানে নবদ্বীপের অমুসলমান অধিবাসীদের "হিন্দু" হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

    চাঁদ কাজিকে চৈতন্যদেব বলছেন-

    "প্রভু কহে- বেদে কহে গোবধ নিষেধ।
    অতএব হিন্দুমাত্র না করে গোবধ।।"

    অথবা

    "তুমি কাজি- হিন্দুধর্ম বিরোধে অধিকারী।
    এবে যে না কর মানা বুঝিতে না পারি।।"

    কিংবা

    "নগরে হিন্দুর ধর্ম বাড়িল অপার।
    "হরি" "হরি" ধ্বনি বৈ নাহি শুনি আর।।

    আদিলীলার এইরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। চৈতন্যভাগবতেও একই রকম উদাহরণ আছে, কিন্তু হাতের কাছে না থাকায় দিতে পারলাম না।
  • Shibanshu | 59.93.52.175 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৬:২৭458399
  • আদি লীলা বর্ণনা এক ধরনের জার্নাল। 'হিন্দু' শব্দের ব্যবহার এখানে একটি সমাজতাঙ্কিÄক ডকুমেন্টেশন। কিন্তু যখনই কোন রচনাক্রমকে দৈবী বা ঐশী মাত্রা দেবার প্রয়াস হয়েছে, 'হিন্দু' শব্দটি যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ধারণা যেহেতু 'হিন্দু' শব্দটিই একটি 'ম্লেচ্ছ' শব্দ, ব্রাহ্মণ প্যান্থিয়নে এর স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে। শ্রী চৈতন্যের আন্দোলন সম্রাট অশোকের পর প্রথম প্রকৃত ধর্মভিত্তিক সাব অল্টার্ন জাগরন। 'আচন্ডালে ধরে দিই কোল' ছিলো এর মটো। তাই নিমাই পন্ডিতের কাছে শব্দের কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ ছিলোনা।
  • Baijayanta | 14.96.208.167 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৫৯458195
  • মূল প্রশ্নটা ক্যাটিগরি নির্মাণ এবং আইডেন্টিটির। খুব প্রচলিত মত হল: "হিন্দু" নামক ক্যাটিগরিটি নির্মাণ হয়েছে এবং "হিন্দু" আইডেন্টিটির উত্থান ও প্রসার ঘটেছে ব্রিটিশ আমলে। মতটি প্রচলিত হলেও অ্যাকাডেমিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। অ্যাকাডেমিক বলছি কারণ হিন্দুত্ববাদী ছদ্ম-ঐতিহাসিকদের পোলেমিক্সের সঙ্গে এই বিতর্ককে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। নেটে প্রবন্ধগুলি খুঁজে পাওয়া সহজ নয়, কিন্তু একটি পেলাম।

    http://sahoo.files.wordpress.com/2008/08/who-invented-hinduism.pdf

    ব্রিটিশ ভারতে আসার পরে "হিন্দু" ক্যাটিগরিটি পুনর্বিন্যস্ত হয়েছে এবং একটি নূতন আকার পেয়েছে নি:সন্দেহে, কিন্তু ক্যাটিগরিটি প্রাক-ঔপনিবেশিক সময়ের সৃষ্টি- প্রবন্ধের মতটি এইরকমই।

    প্রাসঙ্গিক আর একটি বিতর্কের উপপাদ্য হল হিন্দু-মুসলমান বিভেদ ও হিংসা মূলত: ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের কারসাজি। এই মতের বিরুদ্ধে প্রমাণ দাখিল করেছিলেন সঞ্জয় সুব্রমণ্যম। উৎসাহীরা পড়ে দেখতে পারেন- "Before the Leviathan: Sectarian Violence and the State in Pre-Colonial India".
  • Shibanshu | 117.195.134.16 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩৮458196
  • ঠিক কথা। আমার বিচারেও এই দুটি প্রচলিত উপপাদ্য বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে একটু বেশিই সরল। ভারতবর্ষের বহুস্তরীয় জীবনধারার মূল্যায়ন বহুক্ষেত্রেই য়ুরোপীয় সরলরৈখিক ব্যাখ্যায় সঠিক ধরা যায়না।
  • ranjan roy | 122.168.239.142 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০১:০৬458197
  • আহা! গুরু ও চন্ডালেরা মিলে যদি এইরকম আরো কিছু অতিসরলীকৃত উপপত্তি বা মিথের সীমাবদ্ধতা কে বিশ্লেষণ করেন, তবে চমৎকার সব চিন্তার মালমশলা পাওয়া যাবে। আর এই অধম গুরুপরিবারের স্‌দস্য হিসেবে গর্বিত বোধ করবে।
    অপেক্ষায় ছিলাম-- কখন প্রো বৈ চ আসরে নামেন।
    মূল দুই গায়েন শিবাংশু ও বৈজয়ন্ত এবং অন্যদের ধরতাই মিলে এটি অতি উৎকৃষ্ট স্বাদু টই হবে--- লিখ লো!!
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৫০458198
  • আমি চাট্টি লিখি ? লিখি।

    দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের মহাগ্রন্থটি, "লোকায়ত দর্শন' পড়ছিলাম। পড়ছিলাম মানে, এখান সেখান থেকে খামচাখামচি করছিলাম। কিছু বক্তব্য যা বুঝলাম -

    - বৈদিক যুগের আগে থেকেও এবং সমসময় জুড়ে ভারতবর্ষে আর একটা ধর্মবিশ্বাস প্রচলিত ছিল, যার উদ্ভব ও প্রচলন কৃষিভিত্তিক সমাজেই, যে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। (এই সমাজকেই আমরা অনার্য ইত্যাদি বলি) সোজাভাবে বললে এই ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি হোল ফার্টিলিটি কাল্ট এবং জাদুবিশ্বাস। দেবীপ্রসাদের মতে, বিবিধ তথ্য প্রমাণ সহ, কৃষিকাজ মেয়েদেরই আবিষ্কার। এই আবিষ্কার এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজ জন্ম দিয়েছিল ঐ সমাজে দেবীমূর্তির প্রাধান্য এবং fertility cult-এর । অন্যদিকে যেহেতু বৈদিক সমাজ ছিল পশুপালন নির্ভর যা কিনা পুরুষদেরই কাজ, অতএব বৈদিক ধর্মে পুরুষ দেবতার প্রাধান্য। সুতরাং এই দুই প্যারালাল ধর্মে দেবতা-দেবী সংক্রান্ত পার্থক্যের কারণ উৎপাদন প্রক্রিয়া।

    - বইটির একটি জায়গায় পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (কারওর জানা আছে এনার লেখা কোথায় পাওয়া যায়?) একটি লেখা থেকে দেবীপ্রসাদবাবু কোট করছেন যেখানে বলা হয়েছে - দূর্গাপুজোয় পূজো করা হয় ভদ্রকালীর এবং যন্ত্র ও ঘটের ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রের সাথে তন্ত্রেরই সম্পর্ক। অন্যদিকে রমাপ্রসাদ চন্দর লেখাকে ভিত্তি করে দেবীপ্রসাদবাবু বলছেন যে আদিতে দূর্গা শস্যের দেবীই ছিল যার প্রমাণ দূর্গার আর এক নাম "শাকম্ভরী' এবং পুজোর সময়ে "নবপত্রিকা"-র পূজো হওয়া। দেবী দূর্গার সাথে এই যে তন্ত্র এবং উর্বরতার সম্পর্ক সেটা ইঙ্গিত করে জাদুবিশ্বাস ও fertility cult কেন্দ্রিক ঐ আদিম ধর্মবিশ্বাসের দিকে এবং এই সিদ্ধন্ত সহ যে তন্ত্রও উদ্ভূত হয়েছে ঐ প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস থেকেই।

    - কপিল নামে কেউ "সাংখ্য' মতের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত থাকলেও, এই মতকে দেবীপ্রসাদবাবু বলছেন ঐ পুরোনো বিশ্বাসের চূড়ান্ত দার্শনিক ব্যাখ্যান হিসেবে। মনে হয় এই রকম একটা বক্তব্য রাখছেন যে সাংখ্যের প্রকৃতি আর উদাসীন পুরুষের দর্শন তৈরী হয়েছিল "মাতৃতান্ত্রিক' কৃষিজীবি সমাজের বাস্তব পরিস্থিতি থেকেই।

    (আরও কী সব লিখব ভেবেছিলাম কিন্তু ভুলে গেলাম। তবে গণেশ নিয়ে কোন টই খুললে টুকে দিতে পারি, অনেক কিছু লেখা আছে, বিঘ্নরাজ থেকে কীভাবে সিদ্ধিদাতা হল। )
  • Shibanshu | 117.195.141.71 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩২458199
  • যদি দেবীপুরাণ ( সপ্তম-অষ্টম শতক) মানি , তবে জানা যাচ্ছে রাঢ়া-বরেন্দ্র-কামরূপ-কামাখ্যা-ভোট্ট দেশে ( তিব্বত) বামাচারী শাক্তমতে দেবীর পুজো হতো। তাহলে এর সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে সপ্তম-অষ্টম শতকের আগেই বাংলাদেশে শক্তিপূজার প্রচলন হয়ে গেছিল। এর কিছু পরোক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় গুপ্তোত্তর যুগে উজ্জয়িনী কেন্দ্রিক মধ্য-ভারতের ইতিহাসে। যেখানে জয়দ্রথ-যামল গ্রন্থে ঈশান-কালী, রক্ষা-কালী,বীর্যকালী, প্রজ্ঞাকালী প্রভৃতি নানারূপের কালীর বর্ণনা আছে। এছড়া ঘোরতারা, যোগিনীচক্র, চক্রেশ্বরী প্রভৃতিরও উল্লেখ আছে। অতএব বোঝা যাচ্ছে আমাদের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী শাক্ত আরাধনার উৎসভূমি বাংলা নয়। তা গুপ্ত বা গুপ্তোত্তর যুগে পশ্চিম ও মধ্য ভারত থেকে এসেছিলো যার প্রমাণ, আগম ও যামল গ্রন্থগুলি। তবে এটা স্বীকৃত ঐ আগম বা যামল গ্রন্থের ধ্যান ও অন্যান্য কল্পনার থেকেই বাংলা দেশে বিস্তৃত তন্ত্রসাহিত্য ও ধর্মের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছিলো। যদিও দ্বাদশ শতকের আগে কোনও তন্ত্র-গ্রন্থের প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। পাল-চন্দ্র-কাম্বোজ লিপিমালা বা সেন-বর্মণ লিপিমালাতে গুহ্য তন্ত্র সাধনার স্পষ্ট উল্লেখ যদিও নেই কিন্তু তৎকালীন শাক্ত ধ্যান ধারণায় তান্ত্রিক ব্যঞ্জনা পাওয়া যায়। পালযুগের অসংখ্য শক্তিরূপা দেবীমূর্তি কিন্তু তন্ত্রোক্ত দেবী নয়, সেগুলি শৈবধর্মের আগম ও যামল অনুসারে কল্পিত শিবশক্তি মূর্তি। শৈব ধর্মের শক্তি ও শাক্তধর্মের দেবী পাল যুগ থেকেই পৃথক।

    এখানে যেহেতু আমি কালী কল্পনার উপরেই কেন্দ্রিত আছি, সমান্তরাল রুদ্র বা উগ্রচন্ডী ভিত্তিক দুর্গা কল্পনার বিষয় কিছু আলোচনা করছি না।

    অষ্টম ও নবম শতকে মহাযান বৌদ্ধ ধর্মে অভিনব গুহ্য সাধনতঙ্কÄ , নীতিপদ্ধতি ও পূজা আচারের প্রসার দেখা যায়। এর মূল হিসেবে যে কারণ আমরা পাই তাও বেশ অভিনব। আচার্য অসঙ্গ অরণ্য পর্বতবাসী বৃহত্তর কৌম সমাজকে বৌদ্ধ ধর্মের সীমার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সেই সমাজের প্রচলিত ভূত, প্রেত, যক্ষ, রক্ষ, যোগিনী, ডাকিনী, পিশাচ ও মাতৃকাতন্ত্রের নানা দেবীকে মহাযানী প্যান্থিয়নের মধ্যে স্থান করে দেন। নানা গুহ্য, মন্ত্র, যন্ত্র, ধারণী, বীজ, মন্ডল ইত্যাদি, যা আদিম কৌম সমাজের জাদুশক্তিতে বিশ্বাসের অঙ্গ ছিলো, সহজভাবে নিতান্ত সমাজতান্ত্রিক যুক্তিতে বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্যধর্মের বিভিন্ন ভাব কল্পনা ও ধর্মগত আচার অনুষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে।

    এই সময় থেকেই সমাজের উচ্চবর্গের প্রতিনিধিদের ( ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ ধর্মের ধ্বজাধারী) মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় এই বৃহত্তর কৌম সমাজকে ( সাব অল্টার্ন)নিজের নিজের পক্ষে টেনে আনতে। আচার্য অসঙ্গ শুধু একজন বিশাল পন্ডিতই ছিলেন না, একজন অতি নিপুণ সংগঠকও ছিলেন। তাই এই সোশ্যাল চার্নিংয়ের প্রথম দফায় তিনি এই কৌম সমাজকে তাদের সংস্কার-কুসংস্কার, দেব-দেবী ভূত-প্রেত সহ সেকালের মূলস্রোতের ধর্ম মহাযানে আত্তীকৃত করলেন। এই কামারেডরি চলেছে পরবর্তী এক হাজার বছর ধরে এবং সমাজব্যবস্থায় সমতার দাবি নিয়ে আসা বৃহত্তর মানবগোষ্ঠীর ইতর সমাজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দেয়।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩৮458200
  • শিবাংশু - বড়ো ভালো হচ্ছে। আবার নতুন করে পড়াশোনা করতে উৎসাহ পাচ্ছি। একটা কৌতুহলদ্দীপক লেখা হাতে এসেছে। কামরূপ/প্রাগজ্যোতিষপুরে দেবী ও তার পরিচয় লুট হয়ে যাওয়া নিয়ে।
    দীপ্তেন - তুমি গ্যালা কৈ?
  • Souva | 122.248.183.1 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৩:১৫458201
  • হেব্বি চলছে লেখাটা। কল্লোলবাবু, শিবাংশুবাবু ও dd-র উদ্দেশ্যে টুপি খুললাম এই সব অজানা তথ্যে ঋদ্ধ হওয়ার কৃতজ্ঞতায়।

    নিজেও এ ব্যাপারে পড়াশুনা করতে চাই। এই থ্রেডে যে যে বইগুলোর নাম পেলুম-- ১) দেবীমাহাত্ম্য অন্যান্য পুরাণগুলি--বৃহদ্ধর্ম etc., ২) বিনয়তোষ ভট্টাচার্যের "বৌদ্ধদের দেবদেবী', ৩)ক্ষিতিমোহন সেনের কোনো একটি বই, ৪) মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজের লেখা তন্ত্রের ওপর বই, ৫) দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের "লোকায়ত দর্শন'

    এখন এই বইগুলো সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যাবে কি? মানে এগুলো এখনো কলেজ স্ট্রিটে প্রাপ্তব্য কি না, এবং প্রকাশক কে বা কারা, সেই ব্যাপারে?

    একটু জানাবেন, যাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনোরকম তথ্য আছে।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৪:০০458202
  • "লোকায়ত দর্শন'-এর প্রকাশক "নিউ এজ পাবলিশার্স'। বছর দুই আগে মনে হয় রিপ্রিন্ট করে, আশা করি এখনও পাওয়া যায়।
  • M | 59.93.243.253 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ২২:২২458203
  • ইয়ে, আমার সরল মনের একটা সরল কোশ্ন আছিলো, মানে এই তথ্য গুলো যারা দিচ্ছেন আর কি, তারা এত কি করে মনে রাখেন? মানে আমি একবার রাহুল সংকৃত্যায়ন পরে লিখে ফেলতে গেছিলাম কি পড়েছি, আর তাতে ভাসা ভাসা কিসব লিখলাম, একটাও গুরুত্বপূর্ন তথ্য মনে রাখতে পারিনি।
  • dd | 115.184.68.117 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ২২:৪৭458204
  • যদি কিছু আমারে জিগাও..... এরম একটা গান ছ্যালো আমাদের ছোটোবেলায়।

    তো কই। খুব কষ্টো হয়। গোটা চার পাঁচ হোঁৎকা বই, মাউস, গেলাস, এদিকে কুল্লে দুটো বই হাত মোর নাই রে।

    প্রায়ই অ্যাক্সিডেন্ট হয়। বেশীর ভাগ সময়ে গেলাসটাই ভাঙে। পরের দিন ক্ষী অশান্তি।

    স্মৃতি শক্তির কোনো সীন ই নেই, আমার ক্ষেত্রে। টুকে মুকে লিখি।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ২২:৫৭458206
  • মানসীদি,
    ওকে বলে ব্রহ্মজ্ঞান, জ্ঞান যখন আত্মার অংশ হয়ে যায়- তখন আমি লিখছি মানে আসলে আমার জ্ঞানই লিখছে- ভুল হওয়ার কোনও সিন নেই সেখানে।
  • Shibanshu | 117.195.133.69 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৪৪458207
  • কিকি, ddকে ডিটো। কী লিখবো তার একটা আন্দাজ থাকে, কিন্তু রেফারেন্সগুলোর জন্য তো বই দেখতেই হয়।
  • kd | 59.93.177.18 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩৯458208
  • বম্মা শোনো, এরা কেউ তোমাকে কিছু বলবে না, সত্যি কথাটা আমি বলছি, শোনো।
    এই সব লেখার একটা কায়দা আছে, বাংলায় যাকে বলে টেকনিক। শিখিয়ে দিচ্ছি, তুমিও পারবে।

    একটা সাদা পাতায় সাত-আট লাইন লেখো। এবার ওটা পড়ো - পড়ে বুঝতে পারছো? পারলে বোঝো হয় নি - ফ্রেস কাগজ নিয়ে আবার লেখো। যখন দেখবে নিজের লেখা নিজের কাছেই পুরো অবোধ্য, তাহ'লেই বুঝবে, হয়েছে।

    এইবার এই লেখাটার আগে এটা জুড়ে দাও - ""অষ্টাদশ শতাব্দিতে শ্রীধর্মদাস তর্কালংকার মহোদয় রচিত জ্ঞানবিটপীতন্ত্রে লিখেছেন (সকলের সুবিধার্থে আমি আজকের বাংলাভাষায় অনুবাদ করে লিখছি)''।

    এবার লেখাটির পরের প্যারায় লেখো - ""এতেই বোঝা যায় সেই সমাজের চিন্তাধারার সঙ্গে আমাদের আজকের সমাজের চিন্তাধারার কোন ফরক (হ্যাঁ, একটু আধটূ আরবী-ফার্সী ডোজ দিও, তুমি যে 'মুক্তমনা', সেটা যেন সকলে বোঝে) নেই।

    ব্যাপারটা আরও পোক্ত করতে চাইলে দু'লাইনের সংস্কৃত আউড়ে দাও। কী বলছো, সংস্কৃত জানো না? তাহ'লে তো আরও ভালো, বিবেকে বাধবে না। পর পর কিছু অক্ষর বসিয়ে দাও, খেয়াল রেখো যেন 'ক্ষ', 'ড়', 'ঢ়', 'ণ' থাকে আর বেশ কিছু 'ঈ'কার, 'ঊ'কার আর ঋ। অক্ষরগুলোর মাঝে একটা-দু'টো ফাঁক দিতেও পারো, নাও দিতে পারো। ও হ্যাঁ খেয়াল রেখো, ভুলেও পুজোর অঞ্জলির মন্ত্র লিখে বোসো না যেন, ধরে ফেলবে।

    ব্যস্‌ হো গিয়া (বাঙালি হিন্দি)। কেউ বলে না, এরাও এই করে। সকলেই জানে কেউ চেক করে না, বরং নিজের পন্ডিতি দেখাতে এগ্রি করে একটা কাউন্টার মারে।

    ইয়ে হি সব চল্‌তা হ্যয় ইয়ার!
    :)
  • Shibanshu | 117.195.133.69 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ০১:৪৫458209
  • মান গয়ে উস্তাদ....
  • M | 59.93.243.2 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ০৮:০১458210
  • বুঝলাম...........:))))))))
  • kd | 59.93.215.107 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৪৭458212
  • আমার ওই নীচুদরের রসিকতার জন্যে ক্ষমা চাইবো না। কেননা যাঁদের কাছে চাইবো, তাঁরা এটা পড়েছেন ভাবলে তাঁদের সত্যিকারের অপমান করা হবে।
  • dd | 115.242.156.42 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ২১:২১458213
  • আমি পড়েছি।
    এবং বিন্দুমাত্র ক্ষুব্দ,দু:খিত,অপমানিত..... ইত্যকার হ্যান ত্যান কিসুই হয় নি। এখন কিনা মান্দ্রাজে, কিতাব গুলো হাতের কাছে নেই।

    নইলে এই টইতে আরো পোস্ট করে দিতাম আজকেই।
  • Blank | 59.93.194.16 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৪৪458214
  • আমি একটা টাইমলাইন টাইপ কিছু লেখার চেষ্টা করি,

    ঋক বেদ - নিঋতি দেবী (মিল-অমিল দুই ই অনেক, সুকুমারী ভট্টাচার্যির বই আছে কারোর কাছে?)
    মুন্ডক উপনিষদ - অগ্নির জিহ্বা, নাম কালী। আর কোনো সাদৃশ্য নেই
    মহাভারত - সভা পর্বে কালীর উল্লেখ, শল্য পর্বে ভদ্রকালী আর কালিকার নাম। স্কন্দের ধাত্রী মাতারা (পাহাড়ে জঙ্গলে বাস, আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন এরা)। এর পরে তো অশ্বত্থামার সাথে কালরাত্রি
    দেবীমাহাত্ম্য - এই সময় দেবী দুর্গার থেকে কালীর জন্ম। চন্ড মুন্ড রক্তবীজ etc
    অগ্নি পুরান, গড়ুঢ় পুরান, ভাগবত পুরানে কালীর উল্লেখ
    কালিদাসের কুমারসম্ভব - শিবের বরযাত্রী
    শিলপ্পাড়িকরম (তামিল) - নায়িকা কন্নকির কালি মন্দির দর্শন
    সুবন্ধুর বাসবদত্তা - ভাগবতী আর কাত্যায়নী
    বানভট্টের কাদম্বরী - শবরদের পুজিত চন্ডী, যার সাথে কালির মিল বেশী
    ভকপতি র গৌড়্‌বধ এ বিন্ধ্যবাসিনী
    ভবভুতির মালতীমাধবের চামুন্ডা, কপালকুন্ডলা

    এর পরে কি !!

    কালীকামঙ্গল
    রত্নমানিক্য আর দুর্গামানিক্যের কালি পুজো আর ত্রিপুরার মুদ্রা
    কাশীনাথের শ্যামাপুজা
    কৃষ্ণচন্দ্র আর ইষানচন্দ্রের কালীপুজো
  • dd | 115.184.59.24 | ২৮ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩০458215
  • দ্যাখো।
    আমি কিনা এখন মান্দ্রাজে,তাই বই শুণ্য।

    তাও বলি,
    . সুকুমারী ভশচাজের আমার কাছে আছে কিন্তু ব্যাংগালুরে। ঋগবেদ ও আছে। বাট নিঋর্তি দেবী ইজ নট ইকুয়াল টু কালী।
    . বোঝো। অগ্নিজিহ্বার(সাতটা) একটা নাম কালী। এটা ঋগবেদে আছে।কোনো রূপ কল্পনা নেই। যাস্ট নামটা আছে।
    3 মহাভারতের রেফারেন্সটা দিবি ? কোন অধ্যায় ? জানা।
    4 দেবী মাহাত্ম্য? "চন্ড মুন্ড রক্ত বীজ" ইজ নট কালী। যে ভাবে এখন আমরা পুজা করি।

    5। অগ্নি পুরাণে কোথায় কালী আছে? ধুর।
    আর লিখতে পারছি না। লাস্ট কথা আমি তোমাকে তুই সম্ভাষন করায় আশাকরি আপনি রাগ করো নি। জানাবেন।
  • Shibanshu | 117.195.130.111 | ২৮ নভেম্বর ২০১০ ০০:৪৪458217
  • গুরুচন্ডালির একজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ চন্ডাল একটি সরস ডাক পাঠিয়েছেন। তাঁর রসবোধ উপভোগ করলুম। প্রবীণের আশীর্বাদ সতত শিরোধার্য। এখানে কি বই পত্তরের নাম ধাম দিতে হবে? দেওয়া যায় অনায়াসে। কিন্তু, তবে তো সেমিনার হয়ে যাবে, আড্ডা আর থাকবে না। আরও গুটিকয় এনাসিনযোগ্য সংযোজন দেওয়া যেতে পারতো। দেখি কী করি...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন