এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা-মিডিয়াম

    tatin
    অন্যান্য | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১২৫৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩৫459393
  • আচ্ছা আজকাল ইস্কুলে কি ভালো করে অঙ্গ শেখনো হয়?
  • Arpan | 125.118.136.86 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩৭459395
  • বলিউডে নতুন ভাবনাচিন্তার সিনিমা আজকাল দিব্যি তৈরি হয় তো, অনেকরকম এক্সপেরিমেন্টও হয়। বাংলা সিনেমার সে জায়গায় যেতে বহু বছর লাগবে।

    প্রচুর থার্ড গ্রেড ছবি বানালেও এককথায় বলিউডকে মধ্যমেধা বলে দিতে আপত্তি আছে। তবে অনেক ফ্যামিলিই (বংস ইনক্লুডেড) এন্টারটেনমেন্ট বলতে বলিউডই বোঝে, এটাও ঘটনা।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩৭459394
  • অংক।
  • Arpan | 125.118.136.86 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৪১459396
  • শিখছে তো। আইসিএসসির বইগুলো-ও মন্দ না। তবে আমি বাড়িতেও পড়াই। জাস্ট প্রোগ্রেস নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে। তবে ইন্ডিয়াতে সব বিষয়েই এক্সপেক্ট করা হয় পেরেন্টরা আলাদা করে সন্তানদের সময় দেবেন।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৪২459397
  • কিন্তু বেশিরভাগ বড় ব্যানরের শকোটির খান মার্কা সিনেমাগুলো মধ্যমেধায়ও পড়েনা। বিশাল ভরদ্বজ আলাদা কথা। ইউটিভির ঐ ৫ কোটির সিনেমাগুলো আলাদা কথা। এটা ঘটনা ৮০-৯০ দশকের থেকে অনেক বেশি বেটার সিনেমা তৈরী হচ্ছে। কিন্তু সেই ট্রেন্ড বেশ কিছুটা কমেছে আফটার দ্য সাকশেস অব দাবাঙ্গ।
  • sosen | 113.225.177.37 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৪৮459398
  • আমাদের ভাইপোকে প্লে স্কুল থেকে কয়েছে--মানে তার মাকে কয়েছে আর কি--আপনারা বাচ্চাকে যথেষ্ট পুশ করছেন না।
    বাচ্চার বয়েস আড়াই।
  • Arpan | 125.118.136.86 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৪৯459399
  • রয়।

    সিনেমাটা খাজা বানিয়েছে। কিন্তু বস্তাপচা প্লাস্টিক পরকীয়ার বাইরে এইসব কনসেপ্ট নিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রু কবে ভাববে?

    শুধু বিশাল কেন, অনুরাগ আছে। প্রচুর ইয়ং ট্যালেন্টেড বং ডিরেক্টর আছে।

    যাগ্গে, টই ডিরেলড হয়ে গেল।
  • pi | 192.66.4.58 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৫৪459400
  • এটা একটু পুরানো পরিসংখ্যান। এখন আরো বেড়ে থাকবে, কোথাও একটা দেখেছিলাম।
    Nationwide enrolment in the upper primary section of English-medium schools rose 74% during 2003-2006.

    In actual figures, this is a rise from 54.7 lakh students in 2003 to 95.1 lakh in 2006. Data collected by the National University for Education Planning and Administration (NUEPA) show that over the same period, enrolment in Hindi (the dominant language) medium schools grew by 24% from 6.3 crore to 7.8 crore.
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৫৫459401
  • বোঝো। আড়াই বছরের বাচ্চকেও পুশ করতে হবে।

    অর্পনবাবু, কোন অনুরাগ? নাকি দুজনেই? আর আপনি কি দিবাকর ব্যানার্জির কথা বলছেন? হ্যাঁ টই ডিরেলড করলাম, আমিই।
  • pi | 192.66.4.58 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৫৮459403
  • এই যে, তার পরের হিসেবটা।
    The last eight years have seen a staggering rise in the number of children studying in English-medium schools across the country. Data on school enrolment for 2010-11 shows that, for the first time, the number of children enrolled in English-medium schools from Classes I to VIII has crossed the two crore mark - a 274% rise since 2003-04.

    For the fourth year in a row, English is the second-largest medium of instruction in India, ahead of both Bengali and Marathi, according to a yet-to-be released report on countrywide school enrolment by the National University of Education, Planning and Administration (NUEPA) under its District Information System for Education.
  • Arpan | 125.118.136.86 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৫৯459404
  • কাশ্যপ।

    বংদের মধ্যে দিবাকর, সুজিত, সুজয়। আরো আছে হয়ত, নাম মনে পড়ছে না।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:০৩459405
  • সুজয়, সত্যি?
  • Reshmi | 192.68.62.231 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:৫৯459407
  • আমার ছেলের প্লে স্কুল থেকেও বলেছিল ও হিন্দি বলতে পারে না তাই আপনারা ওর সঙ্গে বাড়িতে হিন্দি বলুন। প্রথম প্রথম স্কুলে গিয়ে বাড়ি ফিরে আসার জন্য বাংলাতেই ঘ্যনঘ্যান করত, টীচাররা ওর থেকে শুনে শুনে "বাড়ি যাব" শিখে গেছিল। এটা এখানে অহিন্দিভাষী বাব-মার জন্য খুবই কমন অভিজ্ঞতা।

    আমরা অবশ্য বলিনি, মোটামুটি কনফিডেন্স ছিল স্কুলে যে কয়েকঘন্টা থাকে তাতেই শুনে শুনে শিখে যাবে। শিখে গেছিলও। প্রায় ৭-৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাংলা আর হিন্দি দুটোই একটুও না আটকে বলত, ইংলিশ একটু ভেবে ভেবে।

    তারপর অদ্ভুত ব্যাপার হল। স্কুলের টাইম আর পড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় যত বাড়তে লাগল (অর্থাৎ বাংলা বলার সময় যত কমতে থাকল), দেখলাম বাংলা বলতে কিরকম আটকে যাচ্ছে। হিন্দি আগের মতই ফাস্ট বলছে, বাংলাও ঐ রকম তাড়াতাড়ি বলার চেষ্টা করছে আর আটকে যাচ্ছে। আশে পাশের আমাদের চেনা বাঙলী পরিবারের ওর বয়সী বাচ্চারা প্রায় সবাই নয় হিন্দি বলে, নয় প্রচুর হিন্দি ও ইংরিজি শব্দ মিশিয়ে অদ্ভুত বাংলা বলে। আমার ছেলে কিন্তু বাংলাটা সবসময় পুরো বাংলাতেই বলত, হিন্দি শব্দ তাতে প্রায় থাকতই না। সেটাও মনে হয় একটা কারণ ছিল আটকে আটকে বাংলা বলার, প্রতিশব্দগুলো মনে করে করে বলার চেষ্টা করত।

    সমস্যা বাড়ছে দেখে আমরা ওকে স্পীচ থেরাপি ক্লাসে দিলাম, কিন্তু শেখানে তো হিন্দি তে প্র্যকটিস করাতো। যাইহোক, ওর যেটা করতো মেইনলি কথা বলার স্পীড কমানো। আমাদেরও বলেছিল আপনারা ওর সঙ্গে একটু আস্তে আস্তে কথা বলবেন। যাই হোক, স্পীচ থেরাপি করে উপকার হয়েছিল সত্যি। প্রথম কিছুদিন এক্দমই আটকাত না, তারপর আবার শুরু হল। দ্বিতীয় বার দিতে হল স্পীচ থেরাপি ক্লাসে, এবার টানা বেশ অনেকদিনের জন্য। ততদিনে বড়ও হয়ে গেছে অনেকটা, বুঝতেও শিখেছে। এখন আগের থেকে অনেকটাই বেটার। তবে বাংলা বলার সময় হিন্দি শব্দ মেশায় না, আজও।

    এত কথা এই জন্যই লিখলাম প্রবাসে থেকে বাচ্চাকে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা শেখানর রাস্তাটা সবসময় স্মুদ হয়না।
  • !! | 134.123.228.218 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:৫৯459406
  • যারা বাচ্চার ওপর চাপ হয়ে যাবে বলেন তারাই আবার ছেলে মেয়ে কে আবার অন্য কিছু শেখান, তাই এটা আসলে কোনটার উপর আমরা জোর দি সেটাই আসল
  • সৌভিক | 24.96.99.137 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৫:২৭459408
  • ভাষা তার ভবিষ্যত্‍ এবং শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ভাষার ব্যবহারের প্রশ্নটা পলিটিকস এর বাইরে ক্লাস এর বাইরে গিয়ে করা যাবে না। যদি ডেভেলপমেন্ট এর মোডটা এফডি আই রিলেটেড থাকে আর অর্থনীতির ধাচাটা কম্প্রাডোর বুর্জোয়ার ওপর নির্ভর করে থাকে তবে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের মধ্যেও ইংরাজী মাধ্যমের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ইংরাজী মাধ্যমের চাহিদা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যদি পলিটিকসটা বদলায় তবে মাতৃভাষায় শিক্ষার বিকাশ অবশ্যম্ভাবী। সঙ্গে অবশ্যই ইংরাজীর মত হিন্দির মতো লিংক ল্যাঙ্গুয়েজগুলি নিজস্ব গুরুত্ব নিয়ে থাকবে। বহুভাষা চর্চার অনেক প্রতিষ্ঠান থাকবে এবং অনুবাদের বিরাট গুরূত্ব থাকবে যার মাধ্যমে বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডারের নাগালটা মাতৃভাষার মধ্যে অনেকটা চলে আসবে। রাশিয়ান বা জাপানী ভাষার কথা এ প্রসঙ্গে ভাবা যায়। আবারো বলি ভাষার গুরুত্ব ভাষার শক্তির ওপরেই কেবল নির্ভর করে না , ভাষানীতির ওপর নির্ভর করে যা আবার সামগ্রিক পলিটিকস এর অনুবর্তী।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৫:৪১459409
  • প্রব্লেম দুইটা।
    এক, কলোনিয়াল কালচার ইন্ডিয়ার অঙ্গে প্রত্যঙ্গে। তাই রাজনীতি, অর্থ্নীতি অদূর ভবিষ্যতে আদৌ পাল্টাবে বলে মনে হয় না। ইন্ফ্যাক্ট এই করনেই শেষ ২০ বছরে জিডিপি এতো বেড়েছে, আইটি - আউটসোর্সিঙ্গ হয়েছে।
    দুই, হেজেমনি, ত্যাটাস কুও - এসব ব্যাপার রয়েছে।
  • Du | 76.249.82.222 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৫:৫৫459410
  • মাধ্যমিকে ছাত্র কমেছে এবছর
  • pi | 233.176.14.67 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:৪৫459411
  • ঘটনাচক্রে এই সিনিমাটা দেখছিলুম আজ ঃ)
  • sm | 233.223.155.237 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:০৭459412
  • একটা দেশের জিডিপি যদি খালি আউট সোর্সিং এর ওপর বেঁচে থাকে তাহলে, সেই দেশের ভবিষ্যত কাঁচা গোল্লা।
    ইংরিজি ও বাংলা দুটোরই দরকার আছে। ইংরিজি আন্তর্জাতিক ভাষা। এই ভাষা শিখলে চাকরি, বাকরি ভালো পাওয়া যায় ; সর্বপরি নলেজের আদান প্রদান ভালো হয়।
    তবে আমাদের দেশে,ইংরাজি ভাষার উপর একটা অদ্ভূত লোলুপতা আছে।দেশের মধ্যে যারা ইংরাজিতে কথা বার্তা বলতে পারে, তারা, যারা বলতে পারে না বা আটকিয়ে যায় (বাংলা মিডিয়াম), তাদের সঙ্গে বিরাট তাচ্ছিল্য দেখায়। বাংলা মিডিয়ামের ছেলে/মেয়েরাও একটা বিরাট হীনমন্যতায় ভোগে।
    এটাই বিদেশে, ইংলিশ স্পিকিং দেশে গেলে বেশ অন্ত সার শুন্য হয়ে পড়ে। ইউরোপের অন্যান্য দেশ , যেমন পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্পেন, এরা যখন ইংলিশে কথা বলে, তাদের মধ্যে কোনো সংকোচ চোখে পড়ে নি।এটা চিনা, জাপানিদের মধ্যেও দেখিনি ।
    একমাত্র ভারতীয় দের মধ্যেই এই ল্যালা পনা সিন্ড্রম বর্তমান।
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:২০459415
  • ডিট্টো।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩৫459416
  • একটা দেশের জিডিপি যদি খালি আউট সোর্সিং এর ওপর বেঁচে থাকে তাহলে, সেই দেশের ভবিষ্যত কাঁচা গোল্লা
    সন্দেহ আছে নাকি? আর সেটাই হয়েছে, হচ্ছে। তাছাড়া ইন্ডিয়ার সেরা চাকুরি হোলো মাল্টিন্যাশনালে।
    চিনাদের কাছে ইঙ্গরাজি বলাটা এক্টা গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার। তবে আমাদের মতন হাভাতেপনা নেই।
  • sm | 233.223.155.237 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৪৫459417
  • একটা দেশের জিডিপি যদি খালি আউট সোর্সিং এর ওপর বেঁচে থাকে তাহলে, সেই দেশের ভবিষ্যত কাঁচা গোল্লা
    সন্দেহ আছে নাকি? আর সেটাই হয়েছে, হচ্ছে।
    ----
    এটাই যদি সত্যি হয়, তাহলে তো গভীর চিন্তার বিষয়।কাল যদি আউট সোর্সিং বন্ধ হয়ে যায়( যেটা অসম্ভব নয়) তাহলে তো পরশু থেকে কটরা হাতে ঘুরতে হবে।
    হারমোনিয়াম কাঁধে বিষাদময় গান গেয়ে বেড়াতে হবে, ইংলিশ শিখেছিলাম, তাইত আউট সর্সিন্গে কিছু পয়সা হলো, জি ডি পি বাড়লো; এখন সবই শুকায়ে গেল রে এ এ এ ।
  • Abhyu | 85.137.14.101 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৫৫459418
  • রেশমী আপনার ছেলে জগাখিচুড়ি নয় শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে শুনে খুব ভালো লাগল। আজকাল আমি নিজেই পরিষ্কার বাংলা বলতে পারি না সব সময়। আপনাদের ধৈর্য আর অধ্যবসায় প্রশংসনীয়।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:০৪459420
  • কতকটা ডেটা দি।
    http://business.gov.in/outsourcing/outsourcing.php বলছে ২০০৭-০৮ এ এই ইন্ডাস্ট্রির সাইজ ছিলো জিডিপির প্রায় ৫।৫%। আর ইন্ডিয়াতে এই শেয়ার বেড়েছে বই কমেনি। এছাড়া ইন্ডাইরেক্ট ইম্প্যাক্ট রয়েছে। তার মানে জিডিপির প্রায় ১০% নির্ভর করছে এই ইন্ডাস্ট্রির উপরে। কিন্তু এই ট্রেন্ড বাড়বে, কমবে না। অন্তত যতদিন ডেভেলপ্ড দেশগুলো বড়লোক থাকবে আর টাকার ভ্যালু কম থাকবে। চিনারা অনেক চেস্টা করেও নিতে পারলো না, আর আপাতত আগামী ১০ বছরের জন্যে ইন্ডিয়ার আউট সোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি একদম সেফ,আরো ফুলে ফেঁপে উঠবে বলেই মনে হয়। আরো বেশি বেশি কাজ আউট সোর্স করা হবে। এছাড়া যাঁরা এফডিআই হওয়া সেক্টরে কাজ করছেন, তাদেরও একই অবস্থা। রিটার্ন যেখানে বেশি, ক্যাপিটাল সেখানে ছুটবে।

    ফলে ইঙ্গরাজি শেখো। টইকে ডিরেল্ড হওয়া থেকে বাঁচালাম।
  • S | 109.27.138.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:০৪459419
  • কতকটা ডেটা দি।
    http://business.gov.in/outsourcing/outsourcing.php বলছে ২০০৭-০৮ এ এই ইন্ডাস্ট্রির সাইজ ছিলো জিডিপির প্রায় ৫।৫%। আর ইন্ডিয়াতে এই শেয়ার বেড়েছে বই কমেনি। এছাড়া ইন্ডাইরেক্ট ইম্প্যাক্ট রয়েছে। তার মানে জিডিপির প্রায় ১০% নির্ভর করছে এই ইন্ডাস্ট্রির উপরে। কিন্তু এই ট্রেন্ড বাড়বে, কমবে না। অন্তত যতদিন ডেভেলপ্ড দেশগুলো বড়লোক থাকবে আর টাকার ভ্যালু কম থাকবে। চিনারা অনেক চেস্টা করেও নিতে পারলো না, আর আপাতত আগামী ১০ বছরের জন্যে ইন্ডিয়ার আউট সোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি একদম সেফ,আরো ফুলে ফেঁপে উঠবে বলেই মনে হয়। আরো বেশি বেশি কাজ আউট সোর্স করা হবে। এছাড়া যাঁরা এফডিআই হওয়া সেক্টরে কাজ করছেন, তাদেরও একই অবস্থা। রিটার্ন যেখানে বেশি, ক্যাপিটাল সেখানে ছুটবে।

    ফলে ইঙ্গরাজি শেখো। টইকে ডিরেল্ড হওয়া থেকে বাঁচালাম।
  • potke | 126.202.157.240 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৫২459421
  • লুরুর স্কুল গুলোর স্ট্যান্ডার্ড বাজে, আর অংকের কথা আর বলবেন না মহায়। তার থেকেও খারাপ অবস্থা ফিসিক্সে। শুধু ট্যাঁশ স্কুলের পিছনে দৌড়লে কি হয় দেখছি তো প্রতিদিন।

    আমার সেরা ছাত্ররা কর্নাটক স্টেট বোর্ডের, কি বুঝলেন?

    কলকাতায় দুজন বন্ধু বাড়িতে অশান্তি সামলেও হিন্দু আর যদুপুর বিদ্যাপীঠে দিয়েছে।
  • dc | 213.187.246.34 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:০৫459422
  • ইংরেজি আর হিন্দি শেখা আজকের দিনে জরুরি। তবে আমার মেয়ে ক্লাস ফোরে পড়ে, ও পরিষ্কার বাংলা বলতে পারে, কোন অসুবিধে হয়না। আমাদের পাড়ায় অরো দুয়েকটা বাঙ্গালি পরিবার আছে, এই বাচ্চাগুলো একসাথে হলে তো নিজেদের মধ্যে বাংলাতেই বেশী কথা বলে দেখি। আবার তামিল বাচ্চাগুলোর সাথে পরিষ্কার তামিলেই কথা বলে। আজকাল অনলাইন বুকস্টোর হয়ে অনেক সুবিধে হয়েছে। আমি এক ধারসে উপেন্দ্রকিশোর থেকে সুকুমার রায়, সত্যজিত সব ফ্লিপকার্ট থেকে আনাই আর মেয়ের সাথে বসে বসে পড়ি। অরেকটু বড়ো হলে সুনীল-শরদিন্দু-নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ও ধরিয়ে দেব, আশা করি অসুবিধে হবেনা। আর এই টইয়ের প্রশ্নের উত্তর - আমি বাংলা মিডিয়াম, কিন্তু মেয়ে সিবিএসই। কলকাতায় থাকলেও বাড়ীর লোক চাপাচাপি করে ওই সিবিএসই তেই দিতো।
  • dc | 213.187.246.34 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:০৯459423
  • বাড়িতে, পরিবারের মধ্যে বোধায় বাংলা ভাষাটা চালু রাখতে ছোটদেরও সেটা নিয়ে অসুবিধে হওয়ার কথা না। এই ভেবেই আগের পোস্টটা করলাম।
  • sm | 233.223.155.237 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:২৮459424
  • আমার তো মনে হয়, বাবা, মার যথেষ্ট পয়সা কড়ি থাকলে, কোনো দ্বিতীয় চিন্তা না করে ইংলিশ মিডিয়ামেই দেওয়াই উচিত।
    চাকরি, বাকরির সুবিধে তো আছেই; যেটা সবচেয়ে ইম্পর্টান্ট,সেটা হলো হীনমন্যতার সামনা সামনি না হওয়া।
    আমি ইংলিশ মিডিয়াম, আমি কত স্মার্ট; আর তুমি পঁচা বাংলা মিডিয়াম; এই বোকা বানানোর ব্যাপার টা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • একক | 24.99.90.255 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৩২459426
  • মানুষ তো মাল্টিলিঙ্গুয়াল ক্ষমতা নিয়েই জন্মায় । আমরা এই "এটা নয় ওটা " তর্কযুধ্ধের মধ্যে না ফেলে বাচ্চাকেও মাল্টিলিঙ্গুয়াল পরিবেশ দিলে ঠিক নানারকম ভাষা শিখে নেবে । বিশেষত যেখানে ভাষাগুলোর কানেক্টেড কমন জান্ক্ষণ আছে । এরকম তো না যে হিন্দি আর জাপানি পাশাপাশি শিখছে !

    বাচ্চাদের শেখার ক্ষমতা সাংঘাতিক । ভীষণ দ্রুত ভাষা তুলে নিতে পারে । আমরা বোধায় খানিকটা বেকার দুশ্চিন্তা করি । কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা নজর রাখা অবস্যই দরকার ,দরকার হলে স্পীচথেরাপি রেশমি যেমন বললেন ; কিন্তু বাচ্চাদের মাথার ক্ষমতাকে ছোটো করে দেখার মানে হয়না । লার্নিং টা মজার হওয়া দরকার বরং ।

    পাঠক একটু খ্যাল করে দেখুন : আগেকার দিনে একটি শিক্ষিত বাঙালি বাড়ির সন্তান একইসঙ্গে মৌলবী সাহেবের কাছে আরবী , টোলে সংস্কৃত , বাড়িতে কথ্য গৌড়ীয় বাংলা ,কেও কেও এর ওপর আবার ল্যাটিন ,ফ্রেন্চ শিখত । সঙ্গীত ছোটোবেলা থেকে শেখার রিয়াজ ছিল যেটা আদতে একরকম ভাষা । সেইসময় বাঙালির মাথায় শিং ছিল না পেচুনে ন্যাজ ছিল ? হ্যা ;আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অসম্ভব গুরুবাদী ছিল , ফান এলিমেন্ট ছিল না যেকারণে সোশাল ডাইনামিক্স পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরনো শিক্ষাও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে । তার মানে শিক্ষায় ভুল ছিলো এমন না । বাংলা না হিন্দি না ইংলিশ এ নিয়ে কাজিয়ার চে ভাষাশিক্ষায় ফান এলিমেন্ট ঢোকানো অনেক বেশি দরকারী । সেটা শিশুসাহিত্য-পড়াবার ধরণ সব মিলিয়েই । এরকম এটা-নয়-ওটা ব্যাপার না ।

    অবশ্য যাঁরা বাচ্চাদের রেগুলার পড়ান তাঁরা বেটার বলবেন । আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় একটা বাচ্চা প্রচুর কিছু শেখার পতেনশিয়ালিতি নিয়ে জন্মে অতিরিক্ত চ্যানেলায়স হবার ফলে কম বয়েসে ধার হারিয়ে ফেলে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন