এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তন্ত্র ফর ডামিজ

    dd
    অন্যান্য | ১১ জানুয়ারি ২০১১ | ৭৯৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৬463406
  • ব্রাহ্মন নির্ভর হোম যাগ করাটা মোটেই সহজ সাধ্য নয়।
    এই যাগ যজ্ঞের পুজা পদ্ধতি পাবলিকে খেতে চায় না। তাই ক্রমশ: মূল হিন্দু ধর্মের ভিতর ঢুকতে লাগলো এই অবৈদিক ধর্মপদ্ধতি ও তাদের লৌকিক দেব দেবীরা। সেই গ্রাম দিয়ে শহর ঘেড়ো"র মতন ব্যাপার আর কি। দাঁড়ান, তার আগে টুক করে এই টাইম লাইনটা গিলে নিন।
    এই,প্রথমে হচ্ছে বেদ আর উপনিষদ। অর্থাৎ কিনা শ্রুতি।
    তারপরে এঁদের ভাষ্য, আর স্মৃতি। অর্থাৎ মুনি ঋষিরা যে নিদান,বিধান দিয়েছেন তার কমপাইলেশন। সৌতসুত্র মানে যাগ যজ্ঞের ব্যাপার স্যাপার,গৃহ্যসুত্র ইয়ানি ক্ষি গৃহস্ত্যের আদব কায়দা,আর তো পিনাল কোড,যেমন কিনা মনুস্মৃতি। আরো দু একটা এলেবেলে স্মৃতি আছে।
    এর পরে আসলো রামায়ণ,মহাভারত আর পুরাণেরা।
    সব শেষে তন্ত্র। মোটামুটি অষ্টম শতাব্দী থেকে তন্ত্রের লিখিত ভার্শন শুরু হলো।
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৭463517
  • তন্ত্র বা একটি বেদ বহির্ভুত ধর্ম ধারনার কথা কিন্তু বিভিন্ন পুরানাদিতে মাঝে মাঝে উঁকি মেরেছে। তাদের দেবীরাও পুরাণে জাঁকিয়ে না বসলেও ঠেলে ঠুলে যায়গা করে নিয়েছে।
    একটা নিবন্ধে পড়লাম শ্রীমদভাগবতে এরও উল্লেখ আছে যে ভগবান বলছেন আমার পুজা পদ্ধতি তিন রকমের বৈদিক,তান্ত্রিক ও মিশ্র।কিন্তু এটার অধ্যার/পর্ব দেন নি।
    শ্রীমদভাগবতে (৪স্কন্দ,২য় অধ্যায়) আছে, ব্রাহ্মণেরা দক্ষের সমর্থনে এককাট্টা হলে নন্দী সেই পুরোহিতদের শাপ দেন। ভৃগু তখন প্রতিশাপ দিলেন শিবকে যে ওনার এক বেদবিরোধী ব্রাহ্মণবিরোধী ভক্তবৃন্দের প্রাদুর্ভাব হবে। তারা পাষন্ড হিসাবে খ্যাত হবে। "শৌচাচারহীন মুঢ়্‌বুদ্ধি ব্যক্তিরাই জটাভষ্মধারী হইয়া শিবদীক্ষায় প্রবেশ করুক। সেখানে সুরাসবই দেববৎ আদরনীয়।"
    পদ্মপুরাণে এই পাষন্ডোৎপত্তির গল্পে বলা আছে পাষন্ডরাই এই গল্প প্রচলন করেন তাঁদের লেজিটিমেসির জন্য। শ্রীচৈতন্যও তান্ত্রিকেদের "পাষন্ড" নামে উল্লেখ করেছেন, মনে হয় পাষন্ড ও তন্ত্রাচারী এক সময়ে সমার্থক ছিলো।
    অথর্ববেদীয় নারসিংহ উপনিষদে নাকি প্রথম তন্ত্র শাস্ত্রের প্রথম স্বনামে উল্লেখ আছে। এই উপনিষদের টীকা শংকরাচার্য্য করেছিলেন, অতএব হিন্দু সমাজে তন্ত্র অ্যাটি্‌লস্ট ৭ম শতাব্দীর আগেই আনাগোনা শুরু করে দিয়েছিলো এটা মানা যায়। এ ছাড়াও শংকরাচার্য্যের আনন্দলহরী ও সমসাময়িক টীকাকার আনন্দতীর্থর পুরাণপ্রজ্ঞাদর্শনও না কি তন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। মনু স্মৃতির ভাষ্যকার কুল্লুক ভট্ট লিখেছেন "ধর্ম হচ্ছে স্মৃতি ও শ্রুতি নির্ভর।এবং স্মৃতি ও শ্রুতি দুই প্রকার, যথা বৈদিক ও তান্ত্রিক।"
    তন্ত্র আর বেদের মধ্যে আদান প্রদান একটা ছিলোই, বাউন ঠাকুরের চোখ রাঙানি স্বত্তেও। কেনো না পুরানের যুগ শুরু হতেই দেখেছি কেমন ভাবে অনার্য্য দেবীরা গুটগুটিয়ে ঢুকে পরছেন হিন্দুধর্মের অন্দরমহলে। স্রেফ উবে গেছেন বেদের প্রবলপ্রতাপ ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র,যম, ব্রহ্মা,উষা। অসুরদলনে আর পুরুষ দেবতার দরকার নেই। অস্ত্রধারিনী সর্ব শক্তিমানা দেবীরা অনায়াসে স্থিতা রণাংগনে । ধ্বংশের দেবী নির্বিচারে বিপরীতরতাতুরা।
    অন দ্য আদার হ্যান্ড , তন্ত্র অ্যাডপ্ট করে নিলো বিষ্ণুকে,শিবকে। তন্ত্রের পুজা পদ্ধতি চালু হলো জৈন ও বিশেষত: বৌদ্ধধর্মে। আর পুর্ব ভারতে রমরমিয়ে উঠলো শক্তি তন্ত্র।
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫০463585
  • তন্ত্রের আবার শ্রেণী বিভাগ আছে,আগম,যামল ও তন্ত্র। সেই লক্ষন বিশদে আছে অনেক শাস্ত্রে। তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু তফাৎ নেই।
    আবার কোন "দেশে' তার উৎপত্তি রথাক্রান্তা(মানে বিন্ধ্য থেকে চট্টল অর্থাৎ চাঁট গা তক) না চক্রাকান্ত (উত্তরে নেপাল পর্যন্ত্য), অশ্বক্রান্ত (বাকী ভারতবর্ষ),ইত্যাদি নিয়েও শ্রেনীভাগ আছে।

    সে যাগ্গে, সে গুলি নেহাৎই নীরস কচকচ পন্ডিতি লিস্ট। মুল ব্যাপার হলো প্রায় শ দুয়েক তন্ত্র আছে। আছে প্রচুর তন্ত্র বিষয়ক পুঁথি যেমন সারতন্ত্র, আগমচন্দ্রিকা, অন্নদাকল্প, অ্যান্ড অফ কোর্স উপ তন্ত্র বা গৌন তন্ত্রও প্রচুর।

    তবে এক বিষয়ে সব তান্তিক পুঁথি এক ফরম্যাটে লিখিত, সেটি হছে সবই শিব ও পার্বতীর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে শুরু ও শিব কথিত। সেই রকম ভাবে বুধি্‌হস্ট তন্ত্রের ফরম্যাটও এক - সে গুলি সবই বজ্রস্বত্ত বুদ্ধ কথিত।

    তন্ত্রের কতক গুলো পুর্বসর্ত্ত আছে। যেমন এটি বেসিক্যালি রহস্য বিদ্যা। অনেক কথাই সংকেতে লেখা আছে। বহু ক্ষেত্রে গুপ্তলিপিতে। তাই প্রথমেই দীক্ষা চাই। সদগুরুর নানান স্পেসিফিকেশন দেওয়া
    আছে।

    যেটা ইন্টেরেস্টিং সেটা হচ্ছে গুরু বা শিষ্যের ব্রাহ্মন হওয়া আবশ্যিক নয়। তন্ত্রের অধিকারী হতে হলে পিতৃপরিচয় দরকার নেই, জাবালি শুধু নিজের ইচ্ছাতেই শিষ্যের যোগ্যতা অর্জন করতেন যদি তিনি তন্ত্র শাস্ত্রের অভিলাষী হতেন।
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫১463596
  • পরপর কিছু কোটেশন দিচ্ছি। যেমতি কালী তন্ত্র "যাবতীয় লোকেই ইহা সাধন করিতে পারে"। পীঠমালা তন্ত্র "গো সকল অনেকবর্ণের হইলেও তাহাদিগের ক্ষীর একই বর্ণের হইয়া থাকে। তদ্বৎ দেহী নানা প্রকার হইলেও, তাঁহাদের জ্ঞান বা আত্মা একই প্রকার।" বা মহানির্বান তন্ত্র (২য় উল্লাস) কলিদোষে দীন ব্রাহ্মণ/ক্ষত্রিয়দের পবিত্র অপবিত্র বিচার থাকিবে না। সুতরাং বেদবিহিত কর্মদ্বারা তাঁহারা কিরূপে সিদ্ধিলাভ করিবেন? প্রিয়ে! আমি সত্য সত্যই বলিতেছি ,কলিযুগে আগম ছাড়া কোনো পথ নাই। ...... আমি বেদ স্মৃতি পুরাণাদিতে বলিয়াছি ,কলিযুগে সাধক তন্ত্রোক্ত বিধান দ্বারা দেবগনের পূজা করিবেন।"

    (অভিধানোত্তর তন্ত্র)"সাধনের কোনো নিয়ম নাই। যখন ইচ্ছা যে অবস্থায় ইহউক সাধন করিবে।"ন তিথিং ন চ নক্ষত্রং নোপবাসো বিধয়তে"।

    বা আরো পষ্টাপষ্টি " সংসারে স্ত্রী পুত্র যেমন যোগাভাসের অন্তরায়, সেইরূপ বেদ,পুরান,মহাভারতের ভিন্ন ভিন্ন মতবাদও অন্তরায়.....
    এবং মহানির্বান তন্ত্র, "চন্ডালগন কুলাচার পরায়ণ হইলে সে ব্যক্তি ব্রাহ্মনগন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ"।
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫৩463607
  • দিলাম ঠুকে। তো ক্ষি করবেন শুনি?

    আবার লিখবো,আরো লিখবো। বেশ করবো।
  • dd | 115.184.73.79 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫৬463618
  • ধুৎ।
    দিব্বি এক পাতা লিখেছিলাম। কিন্তু প্রথম প্যারাটাই কাট অ্যান্ড পেস' করতে গিয়ে বাদ পরে গেলো।
    কিস্‌সু করার নেই। সবই তাঁর ইচ্ছা।

    বেশ। বড়োরা যখন লিখবেনই না ,তখন আমার অসীম পি পাকামীর প্রতি দায়বদ্ধতায় আমি ই লিখি।
    যদি জিগান এই যে তন্ত্র ,মালটা ক্ষি ? বেসিক্যালি ব্যাপারটা ক্ষি ?
    তবে সিম্পলি কই, বেদে প্রচলিত হোম যাগ,যজ্ঞের বাইরে যে দেব ও দেবী, পুজাপদ্ধতি,জপ, পুজা প্রকরন সেটি ই তন্ত্র। কল্লোল যেমন কয়েছিলো, এটি ই আদি ধর্ম।
    বেদধর্মে ঋত্তিক, গাতা, উদগাতা নিয়ে টন টন ঘি ঢেলে দীর্ঘ হোম হতো। হাজার বছর ব্যাপী হোমের উল্লেখ ও আছে। সেগুলি ও আবার রাজার মনো বাঞ্ছার জন্যেই। রাজসূয়,অশ্বমেথ,পুত্রেষ্ঠি।

  • tatin | 70.177.55.6 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫৭463629
  • অসা টই, প্রচুর ধন্যবাদ ও অগ্রিম ধন্যবাঅদ
  • tatin | 70.177.55.6 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২১:০১463640
  • একটা রিসেন্টোলি উঁকি মারা প্রশ্ন ছেড়ে রাখি এখানে- উপনিষদ কি তন্ত্র? বা তন্ত্র আর বৈদিকের মধ্যে একটা এড্‌জাস্টমেন্ট?
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৫৬463651
  • পুরাণে, অন্তত একটি পুরাণে (কুর্ম্মপূরাণে) তন্ত্রকে ভালো চোখে দেখা হয় নি। ক্রিশ্চিয়ানরা পেগানদের যেভাবে দেখত, বৈদিক লোকেরা তান্ত্রিকদের সেই চোখে দেখত, শুরুতে। পরে, কখনো গিয়ে এক ধরণের সমঝোতা/পাওয়ার শেয়ারিং হয়।

    কিন্তু কিকরে হল সেই প্রসেসের ডিটেলটা আমি জানতে চাই। ডিডিদা, বা অন্য কেউ? কোন টেক্সটি্‌ক আছে যার থেকে ব্যাপারটা ধরা সম্ভব?
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২২:০৬463407
  • আরেকটা ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হল রহস্য বিদ্যা। কি এই রহস্য? আছে কি কোন উইকিলীক্‌স? রহস্য মানেই এমন কিছু যা আম জনতা জানতে দেওয়া যায় না। শুধু পাওয়ার এলিটরাই সেটা জানতে পারে। এখনকার দিনে যেমন অ্যাটম বোম বানানোর ফর্মুলা।

    বেদেও খুব রহস্যময় হল সোম প্রস্তুত করার পদ্ধতি। বলি বলি করেও স্পষ্ট করে বলা নেই ব্যাপারটা।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২৮463418
  • কোতায় যেন পড়েছিলাম অথর্ব বেদ থেকে তন্ত্রের কি সব যেন এসেছে। যার জন্য ত্রিবেদী ব্রাহ্মনেরা অথর্ব বেদ স্বীকার করে না। আবার তার থেকে বেদের অন্য নাম ত্রয়ী। এই সব কি ঠিক ডিডিদা?
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৪৬463429
  • আপনি কি মীন করছেন অথর্ব বেদে তন্ত্রের ইনফ্লুয়েন্স আছে? কোন বেদ থেকে তন্ত্রে ফান্ডামেন্টালি কিছু এসেছে বলে মনে হয়না। তন্ত্র বেদের প্যারালাল একটা পাওয়ার/রিলিজিয়াস সিস্টেম। প্রথমে বেদ তন্ত্রকে ফাইট করেছিল। পরে কোঅপ্ট করে নেয়।

    বেদের মূল ডিয়েটিরা সব স্কাই গড। আর তন্ত্রের আর্থ গডেস বা গাইয়া।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৩463440
  • সেই প্রশ্নটাই তো করছি।

    ১। এটা কি সত্যি যে অথর্ব-বেদ আর তন্ত্রে অনেক কমন জিনিষ আছে?
    ২। যদি থাকে, তো কে কার থেকে এসেছে/ধার করেছে?
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৯463451
  • ও, ওকে। ফাস্টে, কমন জিনিষগুলো কি কি?
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৫463462
  • জানি না। এই রকম একটা ক্লেম কোতাও একটা পড়েছিলাম।
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২০463473
  • আমি প্রশ্নটা ডিডিদাকে করলাম। মানে যার হাতের কাছে অথর্ব বেদটা আছে।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২২463484
  • অথর্ব বেদের টেকস্ট নেটে আছে (http://www.sacred-texts.com/hin/av/avtitle.htm)। কিন্তু এর অর্থভেদ করতে ডিডিদাকে চাই।
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২৯463495
  • হ্যাঁ, শুধু হাতের কাছে থাকলে হবে না, অন্তত চার বার পড়া এবং দশবার ভাবা থাকতে হবে। অথর্ব বেদ কত মোটা?
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৩১463506
  • রাফ গেস শ'চারেক মন্ত্র। আর পড়া আর ভাবার জন্যই তো ডিডিদা।

    একটু নজর বোলালেই কিন্তু ভূদেবী ও অন্যান্য দেবীদের উল্লেখ নজরে পড়ে। এখন সে সবের কি মানে সে ডিডিদাই জানেন।
  • kd | 59.93.246.154 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৩৮463518
  • এই তো! অ্যাদ্দিনে! মনের মতো টই। মাই কাইন্ড অফ টই।
  • dri | 117.194.227.188 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৪৫463529
  • এই তো আমাদের তান্ত্রিক এক্সত্রাঅর্দিনেয়ার!

    কেডিদা, ছাড়ুন তো দেখি দু চাট্টে তন্ত্রের গোপন মন্ত্র।
  • kd | 59.93.246.154 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৩০463540
  • ক্ষী ক্ষান্ডো! আমি বামুনের পো আর তোমরা সব আমায় পাষন্ড ঠাউরালে :(
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:০৫463551
  • চমৎকার টই। অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। হাত খুলে লিখুন আপনেরা, রহস্য টহস্য সব ভেদ করে দিন।
  • dd | 115.184.79.225 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৬463562
  • আমারে জিগাইলেন তো ?

    অথর্ব বেদটা প্রায় পুরোটাই তুক তাক তন্ত্র মন্ত্রে ভর্তি।
    বশীকরন তো আছেই। আরো আছে মশক নিবারন মন্ত্র, টাকে চুল গজাবার পদ্ধতি। রমণে বাধা না আসে তাই বাড়ীর বাকী সকল লোকের ঘুম পাড়ানি উপায়। শত্রু জয়। ভেষজ চিকিৎসা। হ্যান ত্যান।

    আর প্রায় সব তন্ত্রেই ফিলোজফী খুব কম, ঝাঁড় ফুক, প্রানায়াম, যোগ ব্যায়ামের আসন, জরি বুটি,ভেষজ চিকিৎসা।
    প্র্যাক্টিক্যালি হুবহু এক। আলাদা করে তুলে দিলে অথর্ব বেদ আর তন্ত্রে তফাৎ পাওয়া যায় না, ভাষা ব্যতিরেকে।

    টুক করে তন্ত্রের দুটো ভোজবাজী বলে দেই। পীঠমালা তন্ত্র উবাচ : মানুষের মাথার খুলিতে শ্বেত কুচের বীজ রোপন করিবে। দুধ দিয়ে সেচন করতে হবে। সেই গাছের শাখা ও মূল কোনো লোকের সামনে ফেললে সে স্ট্যাচু বনে যাবে। এর নাম সিদ্ধি যোগ।
    আর আরেকটা ,ঐ পীঠমালার থেকেই : ভুতের ভয়? টই পড়তে পারছেন না ? তো যোগাড় করুন প্যাঁচা,কুকুর আর বিড়ালের বিষ্ঠা, উটের লোম,গোবোর,শ্বেত কুচ। এসব মিশিয়ে তেলে পাক করুন। তারপর সেই তেল দিয়ে ধূপ জ্বালিয়ে বক্ষমান মন্ত্র জপ করলেই ভুত,রাক্ষস,বেতাল, দানব, ডাকিনী,প্রেতিনী ও অন্যান্য খেচর বর্গ পলায়ন করবে।
  • dd | 115.184.79.225 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৯463573
  • টি ফর ডি -২

    দাঁড়ান।
    তন্ত্রে ঐ যে আচার ব্যবহার, সেই সব প্রফুল্লকর বিষয়ে আসছি। ততক্ষন এটা ভাবুন যে কেমনে তন্ত্র মনুবাদী সমাজে স্থান করে নিলো?

    এক তো নারী ও শুদ্রের স্থান ছিলো অবারিত। কয়েক ক্ষেত্রে শুধু মাত্রার তফাৎ,যেমন যে মন্ত্র এক লক্ষ বার জপ বে ব্রাহ্মন, সেটি শুদ্রের ক্ষেত্রে দুই লক্ষ বার জপতে হবে, কিন্তু বারণ নেই।

    ঊপনিষদেও দেখি বড় বড় ঋষি মুনিরা দারুন অর্থকষ্টে ভুগছেন। ভু সম্পত্তি ভাগাভাগির আইন যেটি গুপ্তযুগে চালু হয়ে গ্যালো, তার ফলে ব্রাহ্মনের আরো গরীব হয়ে পরলেন। তারা ক্রমশ: ছড়িয়ে পরতে লাগলেন। যদিও আর্য্যাবর্ত্তের (মানে মধ্য ও উত্তর ভারত) বাইরের ব্রাহ্মনদের মূল অংশের বসবাসকারী ব্রাহ্মনেরা যেথেষ্ট হীন ভাবতেন (যেমন ১৩ শতাব্দীতে একটি আদি পুঁথিতে লেখা ছিলো অংগ,বংগ,কলিংগ,সৌরাষ্ট্র,গুর্জর মায় সমগ্র দক্ষিণাপথ ইত্যাদি অঞ্চলের ব্রাহ্মনদের এড়িয়ে চলাই উচিৎ)।

    কিন্তু জমি চাই। মোটামুটি ভাবে মধ্য ভারতের ব্রাহ্মনেরা ৫ম শতাব্দীতে উত্তর বংগ ও আসাম, ৬ শতাব্দীতে বাংলাদেশে আর ৭ম শতাব্দীতে ওড়িষায় জাঁকিয়ে বসেন।
    এই মাইগ্রেশনের ফলে ঐ ঐ অঞ্চলে শুদ্র ও আদিবাসীদের উন্নতি হলো,মুলত: কৃষির সংঘবদ্ধতার ফলে। তারা অনেকেই একটি উন্নততর সমাজের স্বাদ পেলেন কিন্তু তাদের ধর্মের কি হবে? রাম শরণ শর্মা ( আদি ও মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজ: ওরিয়েন্ট লংম্যান, অনুবাদ, নিখিলেশ্বর সেনগুপ্ত) এটার একটা নাম করণ করলেন। উনি বল্লেন স্পিরিচুআল কম্পেন্সেসন।

    বহিরাগত ব্রাহ্মনেরা পলিটিকাল কারণেই হোক বা নিজেদের রোজগার বাড়ানোর জন্যই হোক, বেদ বহির্ভুত আচার ও দেব দেবী দিব্বি অ্যাসিমিলেট করে নিলেন। কিন্তু তন্ত্রের মূল যে সার্বজনীনতা সেটাকে আঘাত করলেন না।
  • dd | 115.184.79.225 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫২463581
  • তন্ত্রের পুঁথিগুলো বেশীর ভাগই সংস্কৃতে লেখা হয়েছিলো। কয়েকটি ছিলো আঞ্চলিক ভাষায়। পরে সেগুলির সংস্কৃত অনুবাদ হয়, কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে অনেকগুলিতেই ছন্দ বেসামাল হয়ে পরে।

    তবে,মধ্যযুগের নানান সাহিত্য ও শাস্ত্রে এই উপজাতীয় দেবী ও পুজা পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি দেখা যায়। যেমন কাদম্বরীতে বাণভট্ট লিখেছেন শবরেরা তাদের চন্ডিকা দেবীকে নরমাংস নৈবেদ্য দেয়। ব্যাপারটা বানভট্ট খুব ভালো চোখে দেখেন নি। বলেছেন ঐ দেবীর পুরোহিত ছিলেন দ্রাবিড়।

    আর আগে ঐ "কালী' টইতে যেমন লিখেছিলাম, কিছু কালো রঙের দেবী টুক টাক আনাগোনা করেছেন, কিন্তু তেমন ভাবে প্রতিষ্ঠা পান নি। সে ঋগবেদের নিঋর্তি থেকে উচ্ছিষ্টা চন্ডালিনী বা হরিবংশের কিরাতিনি দেবী যিনি চোর ডাকাতদের দেবী ছিলেন।

    তখন পর্য্যন্ত্য মানে পুরাণেও কিন্তু শবর,কোল,কিরাত ও তাঁদের পুজ্য দেবীরা মোটামুটি বাইরে থেকেই টুকি মেরেছেন। দেবী ও সাধকেরা বেশ "আমরা আর ওরা" ভাবে আলাদাই ছিলো।
    এঁরা সবাই ছিলেন কালির "গোত্র"। তাদের অনেক গুলি ই যেমন তারা, বগলা, চামুন্ডা,ত্রিপুটা অনার্য্য নাম (বলেছেন চিন্তাহরন চক্রবর্তী)।

    দু এক যায়গায় একটু গাঁই গুঁই লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কোথাও একটা ম্যাজিক ছিলো। কেমন করে প্রচন্ড গোঁড়া মনুবাদী সমাজে এই তন্ত্র আর তার কালোকুলো নগ্না দেবীরা ঢুকে পরলেন সেটা বোঝা যায় না।

    পয়সার লোভ ছিলো কিন্তু আরো কিছু ছিলো। ঐ যাকে বলে কালেকটিভ মেমারি? অমন কিছু ? এতো নির্বিবাদে হজম হয়ে গেলো শুদ্রদের দেবী?
  • dd | 115.184.79.225 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫৪463582
  • একটা উদাহরণ - কুর্ম্মপুরানের এই গল্পটি, এক বিষ্ণু ভক্ত নাম সাস্বত অংশু," জারক ও অন্যান্য নীচবংশোদ্ভুত লোকেদের জন্য একটি শাস্ত্র প্রচার করেছিলেন।" আরো আছে যে বিষ্ণু আর শিব দুজনেই কিছু "বিপথগামী" ব্যবস্থা প্রচার করেছিলেন যেমন কপাল,লগুড়,বাম,ভৈরব,পুর্ব ও পশ্চিম। শাম্ব পুরাণেও এরকম বিষ্ণু কৃত "বিপথগামী" পথের কথা বলা আছে।

    সেরকম চিৎকৃত প্রয়াস নয়। হাউ মাউ খাউ করে প্রতিবাদ নয়। যেনো একটু অভিমান ভরেই মেনে নেওয়া।

    তুলনা করুন - কারা ছিলো যোগ্য বীরচক্রের কূলযোগিনী? এই হচ্ছেন অষ্ট নায়িকা - চন্ডালী,চর্মকারী,মাতংগী,মৎস্যকারিনী,মদ্যকর্ত্তী,রজকী,ক্ষৌরকী ও ধনবল্লভা। নানান তন্ত্রে এই ধরনের পেশার মহিলাদেরি যোগ্য নায়িকা বলা হয়েছে। বহুবার উল্লেখ আছে বেশ্যা বা তার কন্যাসন্তানের। যেনো বুক ফুলিয়ে বলা হছে বেশ করবো। এরাই এখন পুজার যোগ্য নায়িকা।

  • kumudini | 122.162.205.193 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৩০463583
  • ডিডিদাকে নতুন রূপে পেয়ে খুব ভাল লাগল।তন্ত্র বা আনুষঙ্গিক বিষয়ে জানার সুযোগ হয় নি কোনদিন।এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন এক জগৎ,তাই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৪৭463584
  • হুম। খুবই জটিল। চাকার ভিতর চাকা।
    মনে দিয়ে পড়ছি।
    কুমারী পূজার প্রচলনই বা কবে? সেই যে নানা বর্ষে নানা নাম? দ্বাদশবর্ষে ভৈরবী?
    সেও কি এই তন্ত্র থেকেই?
  • dri | 117.194.237.184 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১২463586
  • অথর্ববেদের পাতা ওল্টাচ্ছি।

    ইন্দ্র, বরুণ এরা তো আছেনই। 'হে জলসকল, ঐ মেঘতাড়িত হয়ে তোমরা মিলিত হয়ে ইতস্তত গমন করতে করতে ...', কিম্বা 'হে সিন্ধু, স্যন্দনশীল জলসকল ...'।

    কিন্তু আবার নানারকম সোশাল এবং ফিজিওলজিকাল প্রবলেমের সমাধানও বলা আছে। যক্ষ্মা হলে কি করতে হবে ( 'হে ব্যধিগ্রস্ত পুরুষ, তোমাকে অজ্ঞাত যক্ষ্মারোগ থেকে পৃথক করছি ...'), কিকরে সতীনের ওপর ট্যাকটিকাল ভিক্ট্রিলাভ করতে হবে ('উত্তানপর্ণ, সৌভাগ্যের কারণরূপ, দেবতার দ্বারা প্রেরিত, পরাভবকারী জে পাঠা-নামক ওষধি, আমার সপত্নীকে পরাঙ্মুখী কর ...'), বার বার মিসক্যারেজের ওষুধ, ছেলে (নট মেয়ে) হওয়ার মন্ত্র, সাপের বিষের ওষুধ, বিছের বিষের ওষুধ, সর্দিকাশির (ইয়েস, শ্লেষ্মা, নো কিডিং) ওষুধ, বুকজ্বালা, পেটব্যথার ওষুধ, বশীকরণের মন্ত্র এইসবে ভরপুর্ক আহানিয়া আছে অথর্ববেদে। অর্থাৎ ঋকবেদের সেই জেনারাল সূর্য্য, মেঘ, ঝড়জল, বায়ুকে ধন্যবাদ পেরিয়ে, যাগযজ্ঞের ডিটেল পেরিয়ে কিকরে বাউনরা দুপয়সা করে খেতে পারবে তার প্র্যাকটিকাল বিধান আমরা পাচ্ছি এখানে। তখনকার সমাজে লিডিং রিয়েল লাইফ সমস্যা যেগুলোর জন্য মানুষ প্রোফেশানাল হেল্প নিত তার একটা ছবিও পাচ্ছি। দেখাই যাচ্ছে ক্যানসার এবং এইড্‌স সেকালে ছিল না।

    আরেকটা ব্যাপার অথর্ববেদে খুব পাচ্ছি, যেটা ঋকবেদে দেখিনি। গাভীর রেফারেন্স। ঋকবেদে এত গাভীর কথা শুনেছি বলে মনে পড়েনা। মনেহয় অথর্ববেদের সময় গাভী ধীরে ধীরে ইম্পর্ট্যান্স পাচ্ছে। ঋকবেদের আমলের মত আর ঘোড়ায় চড়া ট্রাইবটি আর নেই এখন। সেট্‌ল করেছে। দুধ ফুধ খাচ্ছে।

    ডিডিদা, তন্ত্রের অথেন্টিক বই কি? কোত্থেকে পাচ্ছেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন