এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তন্ত্র ফর ডামিজ

    dd
    অন্যান্য | ১১ জানুয়ারি ২০১১ | ৭৯৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৪463587
  • এইটা বেশ জমে উটেচে। তা ডিডিদা, একটা কথা মনে এল। এই তন্ত্র, অথর্ব-বেদ, এগুলো তো একটা ম্যাজিক ধরনের ব্যাপার। ম্যাজিক তো সব আদিম ট্রাইবেরই ছিল। তাহলে আর্য্যদেরও কিছু ম্যাজিক থাকা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে, তন্ত্র ইত্যাদিতে শুধু অনার্য্য ম্যাজিকই ইনক্লুডেড হয়েছে এরকম কথা কি ঠিক?

    আর একটা কথা। আদিম ম্যাজিকে ফার্টিলিটি রাইট একটা সাধারন থীম। এই নায়িকা সাধন, কুমারী পূজা, রজের ব্যাবহার, এই সব তো ফার্টিলিটি রাইটের অঙ্গ বলে মনে হয়। তো আর্য্যদের যদি নিজস্ব ফার্টিলিটি রাইট থেকে থাকে, তো এই নায়িকাদের মধ্যে আর্য্য ক্যারেক্টারিস্টিক দেখি না কেন? নাকি, আর্য্যদের ম্যাজিকে ফার্টিলিটি রাইট ছিল না? ভূমির ফার্টিলিটি রাইট না থাকা অবিশ্যি অস্বাভাবিক নয়, কেন না যাযাবর আর্য্যরা হয় তো জমি/চাষ নিয়ে মাথা ঘামায় নি। কিন্তু নারীর ফার্টিলিটি?
  • ranjan roy | 122.168.227.247 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৪463588
  • আসলে সেই যুগে আজকের মত সংগঠিত পেডাগগি ছিল না। বাঁচার জন্যে প্রথমে শিকার, যুদ্ধ পরে কৃষি এগুলো প্রাথমিকতা পেয়েছে। ফলে সন্তান উৎপাদন আর ফসল উৎপাদন সমান্তরাল চলেছে।সংহিতা, বেদ, তন্ত্র এইভাবে ত্‌ৎকালীন সাহিত্যকে ভাগ করা অনেক পরের ব্যাপার। তাই দেখুন তৈত্তিরীয় উপনিষদ, ( তার আবার শুক্ল/কৃষ্ণ যজুর্বেদ) বাজসনেয় সংহিতা আর অর্থববেদ কেমন মিলে মিশে ঘেঁটে আছে।
    তাই অশ্বমেধ যজ্ঞের ফার্টিলিটি রাইটস্‌ (যাতে চার বেদের চার পুরোহিত, যেমন উদ্‌গাতা, হোতা, অধর্যু ও ব্রাহ্মণ এক এক করে, যজ্ঞ সমাপনে , পাটরাণী ও অন্যান্য রাণীদের সঙ্গে মৈথুনের অভিনয় করেন। কিন্তু তাতে মন্ত্ররূপে যে কাঁচা খিস্তি গুলো রাণী ও পুরোহিতদের মধ্যে চলে তা সব তৈত্তিরীয় উপনিষদ ( তিতির পাখী থেকে)থেকে নেয়া।
    আবার দেখুন বিখ্যাত বৃহদারণ্যক উপনিষদের ষষ্ঠ, অর্থাৎ শেষ অধ্যায়ে, নানান ধরণের পুত্রপাপ্তির আশায় নানাবিধ তুকতাক-তন্ত্রমন্ত্রের হদিশ দেয়া আছে।
    একটি বলছি-- মেধাবী, কালো, বেদ পারঙ্গম ছেলে চাইলে পিতামাতা আগে কালোবাছুরের মাংস দিয়ে তৈরি পোলাউ খেয়ে নেবেন।
  • dri | 117.194.233.131 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:০৭463589
  • আসলে সাহিত্যভাগ বড় কথা নয়। কারণ দেখা যাবে তন্ত্র সম্বন্ধে লেখা হয়ত লিখেছেন সেই বামুনরাই। কিন্তু লেখালিখির আগেই প্র্যাকটিসিং তন্ত্র ছিল, বেদের 'অপর' হিসেবে। সেটা পুরাণ পড়লে কিছুটা আন্দাজ করা যায়। পিওর বৈদিক প্র্যাকটিস মানে হয়ত ঋকবেদই। অথর্বদেব, উপনিষদ যদ্দিনে এল ততদিনে বেদ আর তন্ত্র হয়ত মিশতে শুরু করেছে। শুধু এর ডায়নামিক্স আর পলিটিক্সটা খুব ইন্টারেস্টিং।
  • Blank | 59.93.242.51 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:০৮463590
  • যা বুঝতে পারছি তাতে, বেদেও ছন্দ আছে আর মেঘনাদবদ কান্ডেও ছন্দ আছে - এমনি লজিকে দাঁড়াবে এবারে
  • ranjan roy | 122.168.227.247 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:১৭463591
  • আ জাও ব্ল্যাংকি! তন্ত্র নিয়ে অনেকদিন ধরে পড়াশুনো করছো, ফেন্সিংয়ের ধারে বসে না থেকে কিছু শোনাও, আমাদের জানাও। খুব ভালো হবে।
  • dri | 117.194.233.131 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:২৩463592
  • ওরে ব্ল্যাংকি, মেঘনাদবধ কোন কান্ড নয়, কাব্য।
  • kallol | 115.242.204.104 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:২৭463593
  • ডিডিকে শাব্বাশ। দেখা হলেই এগালে ওগালে।
    একটা কথা ভাবার - ""এতো নির্বিবাদে হজম হয়ে গেলো শুদ্রদের দেবী ?""
    হজম হয়েছে। একদম হজম হয়েছে। হজম না করার মতো বস্তু হজম করি কি করে? তার চরিত্র পাল্টে। ডিডির মতো মারকাটারী রাঁধিয়ে ভালোই জানে, ক্যামনে হয় তা। কাঁচা মাংস হজম করতে, মশলা মাখিয়ে জারিয়ে নিয়ে, তেলে জলে আগুনে যেটা তৈরী হয়, সেটাকেও আমরা মাংসই বলি। কাঁচা মাংস-খেকোরাও তাই বলবে কি? বোধহয় না।
  • Blank | 59.93.242.51 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৪৪463594
  • পেটে রাম জমলে অমনি হয়। তন্ত্রের ইতিহাস শেষ হলে আমি বর্তমানে আসবো :)
  • omi | 151.141.84.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:২৫463595
  • আহারে বেচারা চার পুরুত! আচ্ছা, এদের নিজেদেরও তো কোনো আপত্তি থাকতে থাকতে পারে নিজের রুচি অনুসারে! কিন্তু অর্থনীতি বাপু এমনি বস্তু, হুঁ হুঁ
  • ranjan roy | 122.168.203.27 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০৭:২৬463597
  • একি ওমি! চার পুরুত আর রাণীদের মাঝে অর্থনীতি কোত্থেকে এল? অর্বাচীন মার্ক্সিস্ট দের মত সব ব্যাপারে সর্বস্তরে খালি অর্থনীতিকে ডিটারমিন্যান্ট করবে নাকি?
    তাহলে আমি রেগে গিয়ে অশ্বমেধ যজ্ঞের রানীকাহিনীর মন্ত্রগুলো এখানে লিখে দেবো। তখন আবার বলবে- রঞ্জনের রিটায়ার হওয়ার পর ভীমরতি ধরেছে, এবার মানে মানে গু চ থেকে রিটায়ার হলে বাঁচি।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৫৭463598
  • দ্রি সাহেব

    অচিন্তো একটা ডিগিটাল লাইব্রেরীর লিং দিয়েছে,http://dspace.wbpublibnet.gov.in/dspace, সেটাতে পাইবেন পীঠমালা তন্ত্র,যোগিনী তন্ত্র,কালিতন্ত্র,মহানির্বান তন্ত্র।

    আর পাবেন তন্ত্রকল্পদ্রুম। আরেকটা ঢাউশ বই the principles of tantra তার একটা ভুমিকা লিখেছেন এক সাহেব, সেটি খুব ভালো।
    ও খানেই পাবেন নগেন দেবের বিশ্বকোষ, তাতে তন্ত্রের উপর ভালো লেখা আছে খালি মুশকিল যে নগেন দেব প্রচুর অরিজিনাল শ্লোক ও তার অনুবাদ দিয়েছেন কিন্তু কোনটা কোন তন্ত্রের থেকে লিখেছেন সেই রেফারেন্সগুলো দ্যান নি। আরো দু একটা রাবিশ বই আছে যেগুলো শুধুই ম্যা ম্যা করে কেঁদেই মলো।

    রাম শরণ শর্মার "আদি ও মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজ" খুব ভালো বই, যদিও অনুবাদ বেশ আড়ষ্ট। ওতে তন্ত্রের আর্থ সামাজিক ব্যাপারটা নিয়ে ভালো লেখা আছে। সেটা আমার কাছে আছে মানে চেন্নাইতেই।

    ওহ, ঐ লেখকেরই "ভারতে আর্য্যদের আগমন" কিতাবে একটা হিসেব আছে, সেটা আজ আমি ব্যংআলুরুতে ফিরছি,তখন জানাবো। ঋগবেদে ঘোড়ার উল্লেখ সংখ্যা গোরুর তুলনায় ৫০% বেশী। অথর্ব বেদে কি হিসেবটা পাল্টে গ্যালো? খেয়াল করি নি তো।

    আমি যে "ভারতবর্ষের অশ্বভাবনা" নামে নামে এক বৃহৎ মনোজ্ঞ কিন্তু শিক্ষামুলক নিবন্ধ লিখবো বলে ভাবছিলাম তখন ঘোড়া নিয়ে এরম কমপ্লিটলি ইর্‌রীলেভ্যান্ট তথ্য টুকে রেখেছিলাম।

    আপ্নের কাছে ওরকম কোনো ডিজিটাল লাইব্রেরীর লিং আছে? একা একা চেন্নাইতে বেশ সময় কাটে।
  • Baijayanta | 122.248.183.1 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৩১463599
  • দীপ্তেনদা,



  • saikat | 202.54.74.119 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:২০463600
  • শিবুদার 11:14 PM-এর বক্তব্যর সাথে "ক'। বিশেষ করে প্রথম প্যারা।

  • dd | 124.247.203.12 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:৩৫463601
  • টি ফর ডি -৩

    কিন্তু রহস্য একটা আছে। আছেই। দারুন গভীর।

    তন্ত্রগুলান প্রায় সব কটাই সংস্কৃতে লেখা , সে গুলো লিখলো কারা? অবশ্যি বাউনেরা। শুধুমাত্র টাকার প্রয়োজনে হতেই পারে না। নেভার।

    এ বিষয়ে আমার একটি ভুবন কাঁপানো থিওরী আছে। অনুধাবন করুন।
    ম্যাসলো যেমতি কয়েছিলেন "মানুষে ক্ষি চায়?" তাতে তিনি ধর্মকে বাদ দিয়েছেন। কিন্তু ধর্ম মানুষের চাই ই চাই। একটা বিশ্বাস। সেটা রিলিজিয়ন হতে পারে বা কমুনিজম বা র‌্যাডিকাল হিউম্যানিজম। পাতি স্পিরিচুআলিজম ই সবচে' ইম্পর্ট্যান্ট।

    পাঁচশো বা হাজার বা দুহাজার বছর আগে সেসব কই গোঁড়া বৈদিক ধর্মে? একজন পাতি ম্যাংগো মানুষ কেমনে তার স্পিরিচুয়াল ক্ষুধা মিটাবেন ? মুনি রিষির মতন ব্রহ্মে লীন হয়ে ধ্যান/তপস্যা করলে সংসার চলবে ক্যামনে? তাই বাউনেরা স্বেচ্ছায় বরন করেছিলেন তন্ত্রাচার। তারাই এই তন্ত্রের প্রচারে সোৎসাহী ছিলেন। এবং রহস্য এখানেই তারা হয়তো মডারেট করে নিয়েছিলেন (এই,এই ,এই খানেই আমার একটা, মানে আরো একটা ফাস' ক্লাস থিওরী আছে উইথ এগজাম্পল) কিন্তু বেসিক বর্ণশ্রমবিরোধী সামাজিক আচার ভাঙতে চান নি।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:৪১463602
  • বেদ আর হিন্দু তন্ত্রের মধ্যে যতোটা না অল্প স্বল্প খুনসুটি ছিলো বোধহয় প্রেম ছিলো আরো বেশী। এক পন্ডিত বলেন ব্রাহ্মণ্যবাদ মধ্যাঞ্চল থেকে প্রত্যন্ত প্রদেশে ছড়িয়ে পরে আর তন্ত্র ক্রমশ: অনুপ্রবেশ করে আদি জনজাতি অধ্যুসিত মধ্যাঞ্চলে। কোথাও মারপিট হয়েছিলো এমন খবর নেই।

    কোনো প্রমান নেই খুব বিরোধ ছিলো। ঐ যে লিখলাম, মাঝে মধ্যে দু একটা ক্ষীন প্রতিবাদ বা বক্রোক্তি, এ ছাড়া কিছু নয়।
    বরং দেখি যমুনাচার্য্য নামে একজন আগমপ্রমাণ্য ও কাশ্মীরাগম প্রমাণ্য নামে দুটি পুঁথি লিখেছেন তন্ত্র যে আসলে বেদেরই ধারা সেটা বুঝাতে (একাদশ খ্রীষ্টাব্দে)।

    বুদ্ধিস্ট তন্ত্র হয়তো কিছুটা অসহিষ্ণু ছিলো। তান্ত্রিক বজ্রযানে আছে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর ধ্বংশ হচ্ছেন। অবলোকিতেশ্বর উঠে বসেছেন বিষ্ণুর কাঁধে। বজ্রযানি দেবী মারীচি পদদলিত করছেন বিষ্ণুকে। আরো পদদলিত করছেন শিব ও তাঁর দশভুজা স্ত্রীকে।

    হা, হা, এইবার আমার থিওরীটা শুনে নিন।

    কালীর রূপ কল্পনায় আদিতে শব ছিলো না, শিব তো নয়ই। হঠাৎ করে যে দেখি 'পদতলে ভোলা' সেটা আমার থিওরী হচ্ছে ঐ বজ্রযানের অনুকরণ। বৈদিক দেবতাকে অপমান করার চেষ্টা। কিন্তু বেদবাদী হিন্দুরাও গল্পটাকে বদলে দিলেন। যেনো শিব ধংশ যজ্ঞ থামাতেই চিৎ পাত হলেন আর কালী ও লজ্জায় জিভ কাটলেন।

    পুরোনো ছবি গুলো যদি দেখেন তো দেখবেন দেবীর বিরাট জিভ প্রায় গলা পর্যন্ত্য ঝুলছে,মুখের চারিপাশ লাল। কালিকাপুরাণে ক্ষীনতনু বিকটদ্রংষ্টা দেবী নরকাসুরকে সামনে পেয়ে ঐ বিরাট লকলকে জিভ দিয়ে টেনে স্রেফ খেয়ে ফেলেছিলেন। এমন ই মুর্ত্তি ছিলো তাঁর।

    এদানী কালের মুর্ত্তিতে টুক করে একটু জিব বেড়িয়ে আছে। ইইকটু খানি যেনো লংকায় কামড় পরেছে ভোজসভায়। এম্নি ভাবেই "হজম" হয়ে যায় পদদলনের অপমান। সতী সম্বিতে ফিরে আসেন।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:৪৪463603
  • লুরুতে গিয়ে তন্ত্রের "ম্যাজিক" নিয়ে লিখবো।

    শিবু সাহেব যেমন কইলেন তেমন তো নয়, সব ধর্মেই রহস্য আছে ম্যাজিক আছে , কিন্তু সেটাই যখন ধর্ম হয়ে দাড়ায় তখন সেটা witchcraft" voodoo
    ব্ল্যাক ম্যাজিক, এমনটি হয়ে যায়।

    তফাৎ আছে। মাত্রার তফাৎ।

  • Sibu | 173.152.219.77 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:৩২463604
  • ডিডিদা,

    books.google.com-ও একবার দেখতে পারেন। এটায় আপনাকে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে লগ-ইন করতে হবে। তবে বই সব ফ্রী নয়। যেগুনো ফ্রী নয় সেগুনো অ্যাভয়েড করে যাবেন। আপনাকে সার্চাতে দেবে। সার্চ শুধু ফ্রী বই-য়ের মধ্যে রেস্ট্রিকটেড রাখতে পারেন।
  • omi | 151.141.84.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৪৫463605
  • আরে রঞ্জন, কন কী? অর্থনীতি নাই? এমন বিশাল যজ্ঞ ইন্ডাস্ট্রি (গ্রীসের ওরাকল ইন্ডাস্ট্রি তমতমে কালে পজ্জন্ত এত বিরাট ছিলো না), সেখানে বামুনেরা মাইনে ইন্সেন্টিভ অন্য সুবিধে কিছু কম চাইতো মনে কচ্ছেন?
    এক ন্যাকা পুরুত ধরুন কইলেন, না, আমি খুব নিষ্ঠাবান রুচিশীল ও তন্নিষ্ঠ, আমি এসব কারবার করবো না।
    তখন না আছে কোনো ইউনিয়ন, না কিছু। ঐ লোককে সোজা দরজা দেখিয়ে দিয়ে কইবে, এসো গিয়ে বাছা। কুরুদের বাড়ী গিয়ে মাষ্টেরি করো, এদিকে এসো না। তোমার চাকরি নট।

    রঞ্জন, মন্ত্র টন্ত্র যা আছে দিয়ে দিন, এর আগে সোমনাথ দিতো। নিজে খবরদার ব্যাখ্যা কত্তে যাবেন না, ডিমালয় পুদিচ্চেরি হয়ে যাবে। গুরু রা ব্যাখ্যা করবেন। :-)
  • omi | 151.141.84.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৫৩463606
  • আর এই বুদ্ধের ব্যাপারটা খুব অবাক লাগে। বুদ্ধের দেওয়া শিক্ষা ছিলো একেবারে মাপা মাপা গোনাগাথা কিছু নিয়ম, একেবারে সূত্রের মতন। অষ্টশীল, ত্রিশরণ ইত্যা। দেবতা ঈশ্বর দেবী মাতা এসব তো উনি কিছু কন নাই! সেই জিনিস থেকে এত দেবদেবী অবলোকিতেশ্বর নীল তারা তুষিত স্বর্গ এতকিছু এসে গেল? কী করে? লোকেরা নিজেরা নিজেরা বানিয়ে নিলো????
  • ranjan roy | 122.168.161.125 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৭463608
  • ওমিদেবী, যখন অভয় দিলাইন তখন সাহস কইর‌্যা সেইসব মন্ত্র সাবধানে একদুই দিনে লেইখ্যা ফালাইয়াম।
    জনগণ বুশ সাহেবেরেও জুতা ছুঁড়ে, হরিদাস পাল কোন ছার!

    আপনি ঠিকই বলেছেন-- আদি বুদ্ধিজম, এমনকি হীনযানীদের বৈভাষিক, সৌত্রান্তিক গোষ্ঠীগুলো সব নিরীশ্বরবাদী, অনাত্মবাদিন ছিল। তন্ত্রের ধার ধারতো না।
    পরবর্তী মহাযানী জমানায়, অসঙ্গ-বসুবন্ধু'র বিজ্ঞানবাদ(যোগাচার দর্শন) ও নাগার্জুনের শূন্যবাদ (মাধ্যমিক দর্শন) এর সময় আস্তে আস্তে বৃহত্তর হিন্দুসমাজ থেকে বজ্রযান-ডাকিনীযান এইসব সাবওয়ে হয়ে এসে পড়ল অবলোকিতেশ্বর-তারাদেবী-ভুতপ্রেত তাড়ানোর মন্ত্র ইত্যাদি।
  • ranjan roy | 122.168.161.125 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৫463609
  • ওমি,
    মনে হল এটুকু যোগ করি যে প্রক্রিয়াটি আদৌ খুব সরল ও লিনিয়ার হয় নি। সময়টা মোটামুটি গুপ্তবংশের কাল। কুষাণ-হুণদের মধ্যে বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে পড়লেও (ভারতের প্রত্যন্ত প্রদেশগুলোতে) মূল ভারতে ক্ষমতায় হিন্দুদের পুনরুত্থান ঘটছে।
    কৃষিতে সামন্তবাদ স্থায়ী ও মজবুত রূপ নিয়েছে।
    এইসময় অস্তিত্বের খাতিরে বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মের আচার-আচরণ গুলো কিছু অ্যাডাপ্ট করে, সমঝোতা করে বলে আমার ধারণা।
    এইযেমন সিপিএম অস্তিত্বের খাতিরে ভারতের সংবিধান পার্লিয়ামেন্টারি ডেমোক্র্যাসিকে মেনে চলতে চলতে নিজেদের স্বতন্ত্র পহচান প্রায় খুইয়ে ফেলেছে।:))))
  • omi | 151.141.84.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৬463610
  • আসলে ব্যাপার বড় জটিল। মানুষের খুব গল্পের দরকার! তিনখানা সূত্র বা দশটা কম্যান্ডমেন্টেই মূলকথা হয়ে গেলে মানুষের মন বড় হা হা করে, খরার মাঠের মতন। তাই সেই বোধিলাভের রাত্তিরের মার দের যুদ্ধের গপ্পো, সুজাতার পায়েস, মোজেসের বার্নিং বুশ( বেচারা মুসারে নাকি উপরের ওরা কইলো তুই চোখটি বুঝে মুখটি গুঁজে থাক, আমি হাত দিয়ে ঢেকে রাখি, সেই তেজ চলে গেলে উঠবি।)। তাতেও তো হয় না, নীলকান্তমণির সিংহাসন, চারদিকে চাকার ভিতর চাকা ঘোরে এমন সব রথ, ডানাওলা দেবদূত আসতেই থাকে, আসতেই থাকে, শেষ আর হয় না। কী অবস্থা!
  • dri | 117.194.229.67 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৫৯463611
  • পীঠমালা পড়ছি। অচিন্ত্যর লিংকটা খুবই গুড।

    দশটা পীঠ পড়লাম। এখনও পর্য্যন্ত তুকতাক কিছু পেলাম না। এই টেক্সট আমার খুবই এরিয়ানাইজ্‌ড লাগছে। একদম পুরাণের ফরম্যাটে লেখা। পার্বতী শীবকে প্রশ্ন করছেন। উত্তরের ছলে শীব পার্বতীকে অনেক ফান্ডা দিচ্ছেন। ক্রোধ ভালো নয়, লোভ ভালো নয়, প্রকৃত বৈরাগ্য কি প্রকার, অহংকারহীনের কোন শত্রু নাই, ধর্ম অর্থ কাম এই ত্রিবিধ অভীষ্ট কোন কায়দায় পকেটস্থ করা যাবে ইত্যাদি সাধারণের জ্ঞানের ফাঁকে ফাঁকে আবার এও বলা আছে বেদ পুরাণ যারা অগ্রাহ্য করবে তাদের রৌরবের টিকিট ফ্রি। তান্ত্রিকতার নাম করে এ এক নির্লজ্জ বৈদিক প্রপাগ্যান্ডা। যা হোক একমাত্র সপ্তম পীঠে অর্জিনাল কিছু তান্ত্রিকতা পেলাম। বাকি হয়ত পরে পাওয়া যাবে।

    ক্রমশ: ...
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩৬463612
  • অ্যা ...এইবার একটু একটু করে তুকতাক আসছে।

    বিউটি প্রডাক্টস্‌

    ডিওডারেন্ট : কদম্বপত্র, লোধ্র, অর্জুন পুষ্প একত্রে পেষণ করিয়া, গাত্রে লেপন করিলে দুর্গন্ধ বিনাশ হয়।

    ফেসিয়াল ক্রীম : মরিচ ও রোচনা পেষণ পুর্ব্বক মুখে মাখিলে তরুণীর মুখব্রণ সমুদায় বিনষ্ট হয়।

    ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি : মন:শীল, লোধ্র, দারুহরিদ্রা ও সর্ষপ সমভাগে জলে পেষণ করিয়া মুখে মাখিলে মুখের কৃষ্ণবর্ণ চিহ্ন প্রভৃতি নষ্ট হইয়া থাকে।

    হেয়ার ডাই : কাকোলীর পত্র ও মূল, পীত ঝিটী, কেতকীর মূল, এই সকল দ্রব্য ছায়াতে শুষ্ক করিয়া, ভৃঙ্গ ও ত্রিফলার রস মিশ্রিত করত তৈল মধ্যে নিক্ষেপ করিবে। পরে ঐ তৈল লৌহপাত্রে স্থাপন পূর্ব্বক মাটিতে একমাস পুঁতিয়া রাখিবে। একমাস পরে তুলিয়া কেশে মাখিলে কাশ পুষ্পের ন্যায় শুক্লবর্ণ কেশপাশও পক্ষ মধ্যে ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ হয়। অর্থাৎ একজন ব্লন্ডও ব্রুনেত হয়ে যাবেন।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৪৬463613
  • ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট

    ওঁ হ্রাঁ হ্রীঁ হুঁ পুত্রং কুরু কুরু স্বাহা

    আম্রবৃক্ষে আরোহন করিয়া একতানচিত্তে এই মন্ত্রটি অজুতবার জপ করিলে অপুত্রের পুত্রলাভ হয়।

    একা ননী পাড়ে ছানা আমগাছে চড়ে ...
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৫৫463614
  • ক¾ট্রাসেপ্টিভ : ঋতুর অন্তে এরণ্ডবীজ ভক্ষণ গর্ভস্তম্ভন হয়।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৩463615
  • অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট

    আমলকী, পলাশবীজ, বিড়ঙ্গ, চিতা, শতমৃগ, গোক্ষুর ও হরিতকী এক সকল দ্রব্য মধু, শর্করা ও ঘৃতের সহিত রাত্রিকালে লেহন করিবে এবং প্রাত:কালে শয্যা হইতে উঠিয়া ঊষ্ণ ঊষ্ণ সেবন করিবে। তাহা হইলে বৃদ্ধ, জীর্ণ, বলহীন ব্যক্তিও তরুণ হয়।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৭463616
  • ডায়েটিং টেকনিক

    পদ্মবীজ ছাগীদুগে্‌ধর সহিত পেষণ করিয়া ঘৃতের সহিত পায়স করিয়া ভক্ষণ করিলে দ্বাদশদিন না খাইয়া থাকা যায়।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৫463617
  • চাইল্ডকেয়ার

    ছাগমুত্র, গোমুত্র, মুথা, দেবদারু, কুড়, সর্ব্বগন্ধা এই সকলের তৈল করিয়া বালককে মাখাইবে।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৩৪463619
  • মেডিসিন

    সাপের বিষ : পারদ, গন্ধক, তুতে, সোহাগা, হরিদ্রা সমভাগে দেখদানের রসে এক দিবস পেষণ করিয়া অর্দ্ধতোলাপরিমাণে ভক্ষণ করিলে সর্পবিষ নাশ হয়।

    বিছের বিষ : জীবপুত্রিকা ফলের মজ্জা, পলাশবীজের মজ্জা এবং করঞ্জী বীজের মজ্জা একত্র জলের সহিত পেষণ করিয়া দংশন স্থানে লেপন করিলে বৃশ্চিকবিষ নাশ হয়।

    ইঁদুরের বিষ : ৪ তোলা পরিমাণ তেঁতুল ও গৃহের ঝুল পুরাতন ঘৃতের সহিত মিশ্রিত করিয়া এক সপ্তাহ লেহন করিলে ইন্দুর বিষ নষ্ট হয়।

    কুকুরের কামড় : উন্মত্ত কুকুরে দংশন করিলে ঘৃতকুমারীর পত্র সৈন্ধব লবণের সহিত পেষণ করিয়া উত্তপ্ত করত দষ্ট স্থানে বন্ধন করিয়া দিনত্রয় রাখিয়া দিবে।

    ওয়াইল্ড অ্যানিম্যাল বাইট : ব্যাঘ্র, শৃগাল, ভল্লুক প্রভৃতি শ্বাপদ জন্তুর দংশনে লৌহ শলকা উত্তপ্ত করিয়া দংশন স্থান দগ্‌ধ করিয়া দিবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন