এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তন্ত্র ফর ডামিজ

    dd
    অন্যান্য | ১১ জানুয়ারি ২০১১ | ৭৯৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৪৭463620
  • ওয়েদার প্রেডিকশান/অ্যাডভাইস

    যদি অগ্রহায়ণমাসে অথবা পৌষমাসে প্রভাতকালে কিংবা সায়ংকালে গগনমণ্ডল লোহিতবর্ণ হয়, মেঘ মণ্ডলাকৃতি ধারণ করে, অগ্রহায়ণ মাসে অত্যধিক শীতবোধ এবং পৌষমাসে অধিক হিমপতন হয়, তাহা হইলে তৎকালীন মেঘের গর্ভ কল্যাণপ্রদ জানিবে।

    সূর্য্য ও চন্দ্রের প্রতি শুভগ্রহের দৃষ্টিকালে মেঘের গর্ভ হইলে প্রচুর বারিবর্ষণ হইয়া থাকে।

    যখন মেঘের গর্ভ হয় জদি তৎকালে উল্কা, বজ্রপতন, ভূকম্প, ধূমকেতুর আবির্ভাব ... ইত্যাদি উৎপাত দেখা যায় তাহা হইলে সেই মেঘে বর্ষণ হইবে না।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৪463621
  • পোলিসিং

    শ্যেন ও ময়ূর দ্বারা জানিতে পারিবে যে অপহৃত পদার্থ গৃহমধ্যে আছে, শ্যেন ও পেচক দ্বারা জানা যাইবে যে সেই দ্রব্য সেই গ্রামের মধ্যেই আছে, কাকের দ্বারা জানা যাইবে যে তাহার কোন বন্ধুলোকের নিকট আছে, কুক্কুট দ্বারা জানা যাইবে যে তাহা দেশান্তরে নীত হইয়াছে, এবং ময়ূর দ্বারা জানা যাইবে যে সেই পদার্থ গ্রামান্তরে চালিত হইয়াছে।
  • dri | 117.194.228.70 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ০০:০৪463622
  • সারাদিন ইন্দ্র, বরুণ আর অগ্নিকে নমস্কার করে চিঁড়ে ভেজেনা। আর রাজারাজড়া ছাড়া সাধারণ মানুষেরা হয়ত সবসময় ব্রহ্মের প্রকৃত রূপ কি তাই নিয়ে ততটা বদার্ড হয় না। সাধারণ মানুষ সার্ভিস চায়। কারো টাকে চুল গজাচ্ছে না, সে চুল ওঠার ওষুধ চায়। কারো ছেলে হচ্ছেনা, সে ছেলে চায়। কারো মুখে ব্রণ, সে মসৃণ গাল চায়। কাউকে সাপে কামড়েছে, সে বাঁচতে চায়। কেউ জিনিষ হারিয়েছে, সে ফেরত চায়। চাষী বীজ বুনেছে, সে জানতে চায় ফসল হবে তো?

    এমন কি হতে পারে, তান্ত্রিকরা এই সার্ভিসগুলো মানুষকে দিয়েছিল যা শুরুতে বৈদিক ব্রাহ্মণরা দিতে পারেনি? এমন কি হতে পারে এই লস অফ বিজনেস অ্যাড্রেস করার জন্যই কোঅপ্ট করা হয়েছিল তন্ত্রকে?
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ০১:১৫463623
  • আরিত্তারা, পীঠমালা তো দারুণ ব্যাপার। কিন্তুক খুঁজে পাচ্ছি না কো। ডাইরেক্ট লিং দিয়ে দিন দ্রি।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ০১:১৭463624
  • আচ্ছা, দ্রি যে ঐ ওঁ হ্রীং করে মন্তরটা দিলেন, সেটিকে কাবলীমামার কোডেক দিয়ে ডিকোড কল্লে কি দাঁড়াবে? নাকি শিবাংশুর কোডেক?
  • dri | 117.194.227.160 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ০১:৩৩463625
  • শিবুদা, এই পীঠমালা, http://dspace.wbpublibnet.gov.in/dspace/handle/10689/1984। প্রচুর মেটিরিয়াল। এখনকার পয়েন্ট অফ ভিউতে এগুলো ঝাড়ফুঁক জড়িবুটিই লাগবে। অনেক কিছুই প্রবাবলি বোগাসও। কিন্তু মনে হয় এগুলোই ছিল তখনকার দিনের ডাকতারী। এবং এগুলোর হয়ত কোন ব্রড এম্পিরিকাল বেসিসও ছিল। এনিওয়ে, খুব ইন্টারেস্টিং।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ০১:৪৯463626
  • থ্যাঙ্কু।
  • PM | 223.223.132.248 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ১১:২৯463627
  • অরেকটা লিন্‌ক http://dspace.wbpublibnet.gov.in/dspace/handle/10689/1822

    শ্রী শঙ্করাচার্য্য কাপালিক অনুদিত "যোগিনী তন্ত্রম", ১২৯৪ বঙ্গাব্দ। বলা আছে মুলানুবাদ
  • dd | 122.166.133.79 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৫৭463628
  • দৃ সাহেব

    দ্যাখেন, চিকিচ্ছে টিকিচ্ছে সর্বকালেই ছ্যালো। একটা পেশা হিসেবে। নবম মন্ডল ১১২ সুত্র আছে (প্রথম ঋক) " বৈদ্য রোগের প্রার্থনা করে"।
    তারপর আবার আছে (৩য় সুত্র) দেখ আমি স্তোতকার, পুত্র চিকিৎসক ও কন্যা প্রস্তরের উপর যব- ভর্জন কারিণী।
    উপনিষদে (টুকে রেখে ছ্যালাম, এখন খুঁজে পাচ্ছি না) বদ্দিদের সম্পর্কে বেশ বক্রোক্তি আছে ... বেস্ক্যালি রোগ সেড়ে যাবার পর তেনারা আসেন এবম উপশমের ক্রেডিটটা পুরোই উপভোগ করেন।

    অথর্ব বেদে মন্ত্র(৯০%) আর ভেষজ(১০%)- এম্নি চিকিচ্ছের কথা তো প্রচুর। একাধুকবার টাকে নতুন চুল গজাবার প্রক্রিয়া আছে। যেমতি (৬ঠ কান্ড,১৩ অনুবাক,৭ম সূক্ত) - মহর্ষি জমদগ্নি "নিজ দুহিতার জন্য যে ওষধি খনন করেছিলেন,(সেটি) বীতহষ্য মহর্ষি অসিত মুণির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন।"

    আরো অনেক উদাহরণ আছে।

    শুদু সেই জন্নেই তন্ত্র অ্যাকসেপ্টেড হলো তা তো নয়। আরো অনেক কারণ আছে। ক্যামনে এই বর্ণাশ্রম বিরোধী বাউনের আধিপত্য বিরোধী এই র‌্যাডিক্যাল পুজা পদ্ধতি ও দেবী, উচ্চ বর্ণ সমাজে ইজিলি সেঁধিয়ে গ্যালো ?
  • dd | 122.166.133.79 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৫৮463630
  • ওহ, ঐ প্রথম প্যারার সূক্তগুলান ঋগ্বেদের থেকে টোকা।
  • dri | 117.194.235.53 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৩৪463631
  • ঋক বেদের সুক্ত দুটি দেখলাম। বোঝাই যাচ্ছে তন্ত্রের অ্যালকেমির মাস্‌লের কাছে এ কিছুই নয়। বা অন্তত এদের কϾট্রবিউশান নিয়ে বেদের কোন আস্ফালন নেই। আছে শুধু পাসিং মেনশান। ঢের ঢের বেশী বাইট খরচ হয়েছে সোম নিয়ে। ওটাই ওদের ইউ এস পি।

    অথর্ববেদ বাদ দিন। ততদিনে তো তন্ত্র মিশতে শুরু করেছে।

    আবার অন্যদিকে, বর্ণাশ্রম বিরোধী বাউনের আধিপত্য বিরোধী তান্ত্রিকরা ঠেলেঠুলে জায়গা করে নিল বটে। কিন্তু নট উইদাউট কম্প্রোমাইজ। পীঠমালায় বর্ণাশ্রম মেনে নেওয়া হয়েছে, বাউনের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেওয়া হয়েছে একাধিকবার।

    তৃতীয় পীঠ

    যাহারা সর্ব্বদা দেব, দ্বিজাতি, ও বেদ সকলের নিন্দা করে, ... তাহারা পাপে নিপতিত ও ঐ সকল নরকে সমাগত হয়।

    আর যাহারা গুরু, দেব, দ্বিজাতি ও দেব সকলের নিন্দা শ্রবণ করে? যমদূতগণ সেই সকল পাপাত্মার কর্ণে অগ্নিবর্ণ লৌহময় শঙ্কু প্রোথিত করিয়া থাকে।

    (দ্বিজাতিকে একটা স্পেশাল স্টেটাস দেওয়াই হচ্ছে)

    (উপমায়)
    ...শালিধান্য যেমন সমুদায় ধান্যের প্রধান, ব্রাহ্মণ যেমন সমুদয় দ্বিপদের প্রধান, ...

    চতুর্থ পীঠ

    উল্লিখিত দশাঙ্গ ধর্ম সার্ব্ববর্ণিক অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, শুদ্র, বৈশ্য ও ক্ষত্রিয় ভেদে সকল বর্ণেরই অনুষ্ঠেয় ...

    (এখানে বর্ণের কথা মেনে নেওয়া হল)

    চতুর্দশ পীঠ

    অধ্যাপন ও যাজন এই দুটি ব্রাহ্মণের বিহিত ব্রত। এই দুইয়ে অশক্ত হলে ক্ষত্রিয়ের বা বৈশ্যের বৃত্তি আশ্রয় করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিবে। সংগ্রাম ও রাজ্যশাশন ক্ষত্রিয়ের উৎকৃষ্ট ব্রত। এ বিষয়ে অশক্ত হইলে বৈশ্যবৃত্তি বা শুদ্রবৃত্তি অবলম্বন করিবে। বৈশ্যের বৃত্তি বানিজ্য। তাহাতে অপারগ হইলে শূদ্রবৃত্তি অবলম্বন করা তাহার পক্ষে দোষবহ নহে। সেবাই শুদ্রের বিহিত বৃত্তি।

    বেদের ইনার সার্কলে ঢুকতে গিয়ে কম কম্প্রোমাইজ তো করতে হয়নি তন্ত্রকে।
  • dd | 122.167.3.77 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২৭463632
  • না, না, দৃ সাহেব। আপুনে, যারে কয়, গাছ দেইখ্যা বন মিস করতাসেন।

    ঐ যা কোট কল্লেন সে তো ঠিক কথা, হক কথা, কিন্তু পীঠমালা তন্ত্র ( ও বাকী সব পুঁথি) সংস্কৃতে লিখলো ক্যাডায়? কেনো বার বার ,সব কটা তন্ত্রেই বেদ পুরাণ বাউন যে গুরু সেটা মানা হয়েছে?

    আমি কই? এগুলো লিখেছেন বাউনেরাই। সংস্কৃতে ক্যামনে লিখবে প্রত্যন্ত প্রদেশের শুদ্রেরা। কিন্তু বেদ পুরাণ বর্ণাশ্রম মেনেও তারা ক্যানো গিলে ফেল্লেন এই সব অখাদ্য অনার্য্য প্রথা? শুদ্র চন্ডাল এমন ক্ষি যবন রমনীর রজ:রক্ত অ্যাজ পূজা উপাচার? কিন্তু তার পরেই নিজের রূপ ধরেছে। ১০০% অ্যান্টি মনুবাদী।

    শুদু পয়সার লোভে? কক্ষনো নয়, কক্ষনো না। একটা ভিতর থেকে তাগিদ ছিলো। ডেফিনেটলি ছিলো।

    যেমন ছিলো বাউন কৃষ্ণানন্দের। নীচ জাতির ঘুঁটে দেওয়া কিশোরীরে দেখে তিনি কল্পনা করে নিলেন কালীরে। রামপ্রসাদ গান বাঁধলেন। তখনো কালীর রূপ দানা বাঁধে নি। কিন্তু ভেসে গেলো সুবে বাংলা।

    মায় ইন্দোদা পজ্জন্তো। পান্নালাল শুনে হু হু করে ওঠে (সম্পুর্ণ সোবার) আমারও।

    কিছু একটা ইয়ে আছে। কোথাও। প্র বৈ চ হয়তো জানে।

  • dd | 122.167.3.77 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩৪463633
  • আর আরেট্টা কথা।
    এই পীঠের ইতিহাস পড়েন। প্রথমে ছিলো ছটা পীঠ। ক্রমশ: ৫১টা আর অ্যাখোন বোধোয় ১০৮টা পীঠ আছে।

    কাইলে যদি সময় পাই, এট্টু লিখবো। দেখবেন ক্যামনে পীঠের সংখ্যা বাড়ছে, অ্যাজ টাইম গ্রোজ, জগ্রাফিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশনটাও দেখবেন।

    চাদ্দিক দিয়ে মধ্যাঞ্চল ঘিড়ে ফেল্লো পীঠেরা। গোঁড়া মনুবাদীরা স্রেফ হেরে গ্যালো।

    কিন্তু হিন্দু সমাজে বর্ণাশ্রম থেকেই গ্যালো। ক্যানো ন তন্ত্র ক্রমশ: একটা বিদীকিশ্রী কাল্টে পরিণত হলো। গোলগাল গৃহস্থ মানুষের পক্ষে না রইলো বেদের হোম যাগ না রইলো "আগমবাগিশী"কান্ডো।

    হাতে রইলো রামপ্রসাদ আর কমলাকান্ত।
  • dri | 117.194.224.211 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৫৫463634
  • আপনি যে ডায়নমিক্স বর্ণনা করলেন সেটা একটা বিরাট টাইমস্কেলে।

    কিন্তু প্রথমে, একদম গোড়ার দিকে, ধরা যাক অথর্ববেদের সময়ের অ্যারাউন্ডে, বৈদিক ব্রাহ্মণরা ডিসাইড করে, ওকে এবার আমরা আর লড়াই না করে তান্ত্রিকদের সাথে মার্জ করে যাব। প্রশ্ন হল এটা কিসের ভিত্তিতে হয়েছিল। ডীলটা কেমন ছিল। কে কতটা গ্রাউন্ড ছেড়েছিল।

    একবার এই অ্যাডজাস্টমেন্ট হলে, তখন নিশ্চয়ই কিছু ব্রাহ্মণকে অ্যাপয়েন্ট করা হয়েছিল কালীর মত নন-আরিয়ান ডিয়েটি পুজো করার, এই ইনক্লুশানকে র‌্যাশানালাইজ করা হয়েছিল তাত্বিক ভাবে, ইত্যাদি।

    রামপ্রাসাদ ফেনোমেনন অনেক পরের। ওটা অবশ্যই আলাদা করে স্টাডি করার মত। আমার এই ব্যাপারে বেশী কিছু জানা নেই। ভক্তি ওয়েভ নিজে নিজেই হল না ইঞ্জিনিয়ার করা হল। কিন্তু শাক্ত দেবীর একটা পোজিশান তার আগেই ছিল। বুদ্ধিজ্‌মের মধ্যেও রয়েছে।

    কিন্তু এই পীঠের সংখ্যা। এটা তো ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। আপনি কি জানেন লেটেস্ট পীঠগুলোতে এই যেগুলো তুকতাক বলছি অর্থাৎ বিভিন্ন অ্যালকেমিক ফরমুলা, এগুলো কি বেড়েছে, না স্ট্যাটিক আছে? জানতে চাইছি তান্ত্রিকরা কি ইনোভেশান করছে না জাস্ট আঁকড়ে রয়েছে।
  • dd | 122.167.3.77 | ১৫ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৬463635
  • দৃ সাহেব

    তান্ত্রিকেরা ক্যামন আছেন এখন এবং তাঁরা ক্ষি ভাবছেন, ক্যামনে জানুম? অগো না আছে ওয়েবসাইট না আছে ইউনিয়ন।

    রেতের বেলায় বেশী লিখতে পারি না। এঁকে বেঁকে যায়। তাও বলি।

    কোথাও একটা ডিসকানেক্ট আছে। রহস্য আছে। বেদ আর তন্ত্রের মিলমিশে। সাংঘতিক মারপিট হওয়া উচিৎ ছিলো, যেমতি প্রটেস্টান্ট আর ক্যাথোলিকে, সিয়া আর সুন্নিতে। পুরো ব্যালেন্স অব পাওয়ার ইদিক উদিক হয়ে যাচ্ছে, ম্যাটার অ্যান্ড অ্যান্টিম্যাটার। কিন্তু হলো না। সব মিলে গ্যালো। তেলে আর জলে।

    মনুবাদে আর তন্ত্রে। আর তন্ত্রে ক্ষি অসম্ভব থাডক্লাস সব রীতিপদ্ধতি শুরু হলো। চিরকাল ই ছিলো? কে জানে? লিবেরাল পন্ডিতেরা এটাক্বে "উপজাতি সমাজের ফার্টিলিটি রাইট্‌স, বুইলেন্না, হেঁ হেঁ। আমরা কিন্তু ক্ষুব ক্ষমার চক্ষেই দ্যাখলাম" .... ধ্যুৎ।

    আমাদের সবকটা ভ্যালুকে চ্যালেঞ্জ করে এইসব ধম্মো টম্মো হলো। এইসব* রিচুয়ালস। যা খুসী তাই মেনে নিলেই হলো?
    য্যামোন মনুসংহিতায় তেম্নি তন্ত্রে?

    * কাইলে লিখুম ক্ষনে।
  • ranjan roy | 122.168.175.159 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ০০:২৯463636
  • ডিডি,
    আর উপায় নেই। আমার মনে হয় ব্রাহ্মণ্যধর্মের সঙ্গে প্রাকৃতজনের ধর্ম অর্থাৎ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতীকী আচার( পড়ুন ফার্টিলিটি রাইটস্‌, ম্যাজিক ইত্যাদি)আচরণের দ্বন্দ্বমধুর সম্পর্ক বুঝতে যজুর্বেদসংহিতা-তৈত্তিরীয় উপনিষদ আদির অশ্বমেধ যাগযজ্ঞের কিছু অসভ্য মন্ত্রাদির দিকে তাকানো প্রয়োজন।
    আমার সব ব্যাপারেই শেষরাত্তিরে নোটস্‌ পড়ে পরীক্ষা পাশের অব্যেস।
    এ'ব্যাপারে আমি শরণ নিচ্ছি বিশ্বনাথ কাশীনাথ রাজওয়াড়ে নামক মারাঠি ভারততঙ্কÄবিদের ১৯২৬ সালে মারাঠিতে লেখা বইটি যার হিন্দি অনুবাদ ১৯৭৬ সালে কমরেড ডাঙ্গের আশীর্বাদপূত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম "" ভারতীয় বিবাহ সংস্থা কা ইতিহাস''।
    এ নিয়ে কথা বলার আগে কতকগুলো প্রেমিস দেখে নেয়া দরকার।
    এক, আদি শিকার- আশ্রিত মানব সমাজে আগুনের বিশেষ স্থান।
    দুই, তখন মাংস ঝলসানো ছাড়াও জন্তুজানোয়ার ও শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুনের পাশে শোয়া স্বাভাবিক ছিল।
    তিন, আগুনকে বৃষ্টিবাদল থেকে বাঁচাতে গুহায় লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা হল।
    চার, স্থায়ী অগ্নিকুন্ডের পাশে গোবর লেপে বসার, খাওয়াদাওয়ার, গান-নাচ-অভিনয়ের ব্যবস্থা হল। তারপর শিকার-যুদ্ধ-আহারের পর প্রজাবৃদ্ধির জন্যে মৈথুন সবই আগুনের পাশে খোলা জায়গায়।

    অগ্নিকুন্ডের থেকে পরে যজ্ঞ এল।
    তার আগে দেখি আদি ঋষিরা আগুন-বাতাস-জল এই তিন আদিম দেবতার মধ্যে আগুনকে এত বার খাওয়াচ্ছেন ক্যানে। কী তাঁদের আশা আগুনের কাছে?

    ঋগ্বেদের পঞ্চম ও ষষ্ঠ মন্ডলের থেকে এই ছ'টি শ্লোক দেখা যাক।

    ১: স্যান্ন: সুনু স্তনয়ো বিজাবা।
    ২: শগি্‌ধ বাজস্য সুভগ প্রজাবত:।
    ৩: অয়ং অগ্নি সুবীর্য স্যেশে।
    ৪: অগ্নে তোকং তনয়ং বাজি নো দা:।
    ৫: গো মাং অগ্নেয় বিমাং অশ্বী যজ্ঞো
    নৃবৎসখা সদমিদপ্রমৃষ্য: ইলাবাং ইষো অসুর প্রজাবান।
    দীর্ঘো রয়ি: পৃথুবুঘ্ন:। সভাবান্‌।।
    ৬: ত্বদেতি দ্রবিণ: বীরপেশা:।

    এই ছয়টি শ্লোকে প্রার্থনা করা হয়েচে যে অগ্নি উপাসকদের প্রজা প্রাপ্ত হোক, পুত্রপ্রাপ্ত হোক, বীরসন্তান লাভ হোক।
    এটা বলা হয় যে অঙ্গিরস ঋষি সর্বপ্রথম আগুনকে খোলা ময়দান থেকে গুহার কন্দরী এবং পরে ঝোপড়ীর মধ্যে স্থায়ী করে এনে অগ্নিসিদ্ধি প্রক্রিয়া শুরু করলেন। ফলে আগের চেয়ে প্রজাবৃদ্ধির হার বাড়লো।'
    তখন প্রজাপতি সংস্থা জন্ম নিল। যূথবদ্ধ আদিম মানুষের সমস্ত সন্তানের স্বামী প্রজাপতি অর্থাৎ সমস্ত স্ত্রীদের গর্ভবতী করনেওয়ালা পুরুষ হল। আগুনের পাশে বরহি নামক ঘাসের শয্যায় শোয়া এবং সঙ্গম চলত। তাই আমরা তৈত্তিরীয় সংহিতার্প্রথম কান্ডের সাপ্তম প্রপাঠকের চতুর্থ অনুচ্ছেদে দেখি--
    "" বড়িষা বৈ প্রজাপতি: প্রজা অসৃজত্‌।''
    অর্থাৎ, বরহিস নামক ঘাস বিছিয়ে প্রজাপতি প্রজা উৎপন্ন করলেন।
  • ranjan roy | 122.168.175.159 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ০১:০৮463637
  • পাঁচ,
    ম্যাজিক রিচুয়ালস্‌ এর ব্যাপারে ভারতীয় ট্র্যাডিশন হল পূর্বপুরুষরা ঠিক যেমনটি করে গেছেন আমাদেরও ঠিক তেমনটি করতে হবে। নইলে অনুষ্ঠান/যাগজজ্ঞ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, ফল পাওয়া যাবে না।
    এই চিন্তাধারাটি ষড়দর্শনের অন্যতম প্রাচীন দর্শন কর্মমীমাংসা বা পূর্বমীমাংসার ভিত্তি।
    তাই আজও আমাদের বিয়ে অগ্নিসাক্ষী করে বা আগুনের পাশে সাত পাক ঘুরে বা যজ্ঞকরে সম্পন্ন এবং পূর্ণ হয়। এর পেছনে সেই আমাদের আদিপূর্বপুরুষের যজ্ঞকুন্ডের পাশে সঙ্গমের অমূর্ত স্মৃতি।
    ডি: যজ্ঞের কথা কাল হবে।
  • dd | 122.167.38.0 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৩৭463638
  • আরে রঞ্জন
    তৈত্তিরীয় উপনিষদে আবার অসব্য কথা ক্যামনে পেলে?
    অসম্ভব বোরিং প্রায় অপাঠ্য ঐ উপনিষদে কোনো বল্লীতেই কিস্‌সু খারপ কথা তো পড়ি নি। পুরোটাই তো ঘ্যানোর ঘ্যানোর করে উপদেশ। রেফারেন্সটা দিও তো।

  • dd | 122.167.29.142 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:২২463639
  • এ:ই। অ্যাখোন এট্টু টেইম পেইছি। আবার সাড়ে চাট্টে বাজলেই ছুটতে হবে।

    যেটা কইছিলাম। তন্ত্রের ব্ল্যাক ম্যাজিক অংশটুকু। যার জন্য এতো ফিস ফাস।

    সেই "চক্রে"র নিয়মাবলী।
    প্রথমে চাই সাধক সাধিকা। সাধক একটা হলেই হলো কিন্তু সাধিকা ক্যামন তরো হবে? (নিরুত্তর তন্ত্র,১১শ পটল) যে রমনীর লোভ নাই,কামনা নাই,লজ্জা নাই, দম্ভ নই, যে স্বাধ্বী শিব সংগ (*)করিয়াছেন,স্ব ইচ্ছায় বিপরীত গমন করেন, এইরূপ চারি বর্ণজাতা রমণীই কূলপুজায় প্রশস্ত।
    (*) শিব সংগের এক্সপ্লানশন ছিলো না।

    এবার চাই সংকেত বিদ্যা। ক্রমসংকেত,পুজাসংকেত,মন্ত্রসংকেত,যন্ত্রসংকেত- এই সব বিশদ জানলেই আপ্নে অধিকারী। নইলে নন।
  • dd | 122.167.29.142 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:৩২463641
  • ক্রমসংকেত : আরে: এসব দেখবেন শিবাংশু অলরেডী লিখেছেন ঐ কালী নামের টইতে।
    বেসিক্যালি মেনস্ট্রুয়াল ব্লাড। খ পুষ্প, স্বয়ম্ভু কুসুম, গোলোকান্ড... এই মতন সাংকেতিক নাম দেওয়া আছে তন্ত্রে। প্রথম, সধবা নারীর,বিধবা নারীর, কুমারীর। যবনীর। চন্ডালীনির। এরকম শ্রেণী বিভাগ।

    এটি বীরচক্রের পুজা উপাচার। ইট্‌স এ মাস্ট।

    আমার একটা তেরো ভল্যুমের এনসাইক্লোপেডিয়া অব ম্যান,মিথ অ্যান্ড ম্যাজিক আছে। বিভিন্ন দেশের/ধর্মের য়্‌পর ল্যাখা। কোথাও,কোনো অন্য দেশে/ধর্মে এরমটি দেখি নি।

    প্রায় সর্বত্রই রজ: একটা অশুচি ব্যাপার। আমাদের দেশের লোকাচারেও তাই। অথচ তন্ত্রে ক্যামনে এটি একটি নৈবেদ্দ্য হয়ে উঠলো কে জানে রে বাবা।

    যদি কোনো মনস্তাত্তিক/সমাজতাঙ্কিÄক ব্যাখ্যা থাকে তো আমার জানা নেই। মনে হয় এটা একেবারে ইউনিক।
  • dd | 122.167.29.142 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:৪৩463642
  • মন্ত্রসংকেত হচ্ছে বীজ। এটার যে ক্ষী মানে চোদ্দোবার পড়েও বুঝলাম না। হয়তো এ গুলির ডিসাইফার করত হবে। অন্তত: এখন এটি পুরোটাই হেঁয়ালি।

    এ সব ঐ হ্রীং ক্রিং টিং।

    একটা ব্যাখ্যা হুবহু তুলে দিচ্ছি "নকুলীশ শব্দে হ,অগ্নিশব্দের র,বামনেত্র শব্দে ঈ এবং অর্ধচন্দ্র শব্দে চন্দ্রবিন্দু(এটা লিখতে পারলাম না) এবং সমুদয়ে হ্রীংঁ এই মন্ত্রটি উদ্ধার হইলো।" অর্থাৎ পুরো মন্ত্রটি "নকুলীশশোহাগ্নিমারুরুচো বামননেত্রার্দ্ধচন্দ্রপ্রাবাণ" এর বদলে আপনি ওনলি হ্রীংঁ কইবেন।

    এটাকে গোদা বাংলায় অনুবাদ করা যায় ? না একটা হেয়ালির বদলে একটা ধাঁধাঁ ? মন্ত্রের ও কোনো "মানে" হয় না, আর তার সংকেতেরো কোনো ব্যাকরণ সহজবোধ্য নয়।

    সুকুমার রায় এর বিড়াল আর চশমা প্রায় হুবহু এক।
  • dd | 122.167.29.142 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:০১463643
  • বীরপুজা অর্থাত সেক্ষর আগে পঞ্চ ম এট্টু কয়ে দি।

    কিন্তু স্মরণ করুন মনুস্মৃতি (৯/২৮৩)"না মাংসভক্ষণে দোষো ন মদ্যে ন মৈথুনে"। বেসিক্যালি ধর্মশাস্ত্রে এগুলিকে বাইবেলীয় সিন বলে মনে করে নি।

    আর তন্ত্রে?
    মদ্য - ইরি: বাপ্রে। এটা ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট।বহুবার সুরা( বা সুধা বা বিজয়া)র কথা আছে। যাকে বলে সবিশেষ উল্লেখ।
    দু একবার অবশ্য লেখা আছে সুরাপান ব্রাহ্মণ বা গৃহস্থের কর্তাব্য নয়(তন্ত্রকল্পদ্রুম)। অমন কথা অগ্নিপুরাণেও আছে। মদ কেও, কিন্তু বাউন হলে খেও নি।

    কিন্তু তন্ত্রাচারে পুজাতে সুরা থাকতেই হবে। মদের উপর রীতিমতন বন্দনা আছে যেমন সোমরসের জন্য ছিলো ঋগবেদে।

    দু এট্টা কোটেশন দি?
    যেমতি যোগিনীতন্ত্রে "মহামদ্য ব্যাতিরেকে কৌল ক্ষনারি্‌ধ্‌হকাল অবস্থিত হয় না। হে দেবি! এই হেতু প্রতিদিন মদ্যাদি সেবা করিবে।" (পৃষ্ঠা ৪০, যদি ডিজিটাল লাইব্রেরীতে যান)
    মহানির্বাণ তন্ত্র "যে কাল পর্যন্ত্য দৃষ্টি ঘুর্ণিত ও মন চঞ্চল না হয় ,ততকাল পর্যন্ত্য সুরাপানের নিয়ম" (ষষ্ঠ উল্লাস)
    "পঞ্চপাত্র মদ্য পান গৃহস্থ সাধকের জন্য" কিন্তু "পাত্রের মাপ দেওয়া নেই।

    আর মেয়ে মানুষেরা? পড়ুন " পান পাত্রে সুধা ও সুদ্ধিপাত্রে মাংসমৎসাদি প্রদান করিবে।কুলস্ত্রীগন শুধু ঘ্রান নিবেন"। আরে ছ্যা ছ্যা ছ্যা। এই না কি ইকুয়াল অপারচুনিটি ধর্ম?

  • dd | 122.167.39.70 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ২১:২১463644
  • আর মৎস্য। খুব একটা লেখালেখি নেই।
    মহানির্বাণতন্ত্রে লেখা আছে পাল,বোয়াল,আর রুই এই তিনটে মাছই প্রশস্ত। আরেক যায়গায় লেখা আছে "বহুকন্টকাশলী মৎস্য অধম,তবে উত্তম রূপে ভর্জিত হলে দেবীকে নিবেদনযোগ্য"!!

    ডিসাপয়েন্টিং হচ্ছে মুদ্রা। এটি আগাগোড়া মিসলিডিং। মনে হয় বোধয় আঙুল টাঙুল বাঁকিয়ে যে মুদ্রা তন্ত্র পুজার অবিচ্ছেদ্য অংগ, সেটার কথাই বলা হচ্ছে। মোটেও তা নয়।

    মুদ্রা হচ্ছে শষ্য। "চন্দ্রবিম্ববিৎ শুভ্র শালিততুন্ড,যব" বা "গোধূমে প্রস্তুত ঘৃতপক্ক" হচ্ছে উত্তম। খৈ মুড়ি এগুলি মধ্যম।
    বাকীরা অধম।
    তন্ত্রকল্পদ্রুমে বলে পিঠা,খৈ,মুড়ি,ছোলাভাজা ইত্যদিকে মুদ্রা বলে।

    অথচ মুদ্রা (ঐ আঙুল বাঁকিয়ে) সেটাও তন্ত্রে খুন দরকারী। কালিকা পুরাণে প্রায় শ খানেক মুদ্রার নাম ও বিবরণ আছে।
  • dd | 122.167.39.70 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৩৪463645
  • আর মাংস।
    বলিযোগ্য জন্তুরা হচ্ছে মেষ,মহিষ, মার্জার, খর, ছগ, গন্ডার, শুকর, পায়রা,টেঁটি, শশক (তন্ত্রকল্পদ্রুম)।
    পুরাণের বলিযোগ্য পঞ্চনখীর সাথে খুব মিল নেই।

    বাট নো ক্যানিবালিজম। বারন আছে নরমাংস,নরাকার জন্তুর মাস, বহু উপকারক গো জাতির মাংস ও মাংসভোজীদের নীরস মাংস"। (মহনির্বাণ)। ইন্টেরেস্টিং যে গো জতির মাংস খাওয়া বরণ নট বিকজ অব ধর্মীয় কারন, কিন্তু ইকনোমিক কারনে।

    মাংসের কোনো রেসিপি নেই। নিশ্চয়ই কাঁচা খাওয়া হতো না।
  • dri | 117.194.238.119 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩২463646
  • কন্টিনিউ, বাট এই নিরুত্তর তন্ত্র, এর টেক্সট কি পাওয়া সম্ভব, নেট ফেটে? বা অন্য কোন ভাবে?
  • dri | 117.194.226.213 | ১৬ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩৮463647
  • আর সংকেত বিদ্যার অথেন্টিক বর্ণনা কোন বইতে পাওয়া যাবে?

    আর শান্তবী বিদ্যাটা কি ব্যাপার? পীঠমালায় ছিল এইটা নাকি একটা গোপনীয় বিদ্যা?
  • dd | 122.167.46.99 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৫১463648
  • দৃ
    শাম্ভবী মুদ্রা লিখলেন ক্ষি ? শাম্ভবী?

    যোগ আর তন্ত্রের একটা খুব জোড়ালো সম্পর্ক আছে। বেশীর ভাগ তন্ত্রেই যোগ ব্যায়াম নিয়ে কথা লেখা থাকে।

    সহজোলি মুদ্রা,বজ্রোলিমুদ্রা, খেচরী মুদ্রা আর শাম্ভবী মুদ্রা খুব গোপনীয় ছিলো। আমার কাছে একটা যোগ শাস্ত্রের কম্পেন্ডিয়াম আছে(বসুমতী সাহিত্য মন্দির), তাতে শাম্ভবী মুদ্রা (বা বিদ্যা)নিয়ে একটি এলেবেলে সর্বজনবোধ্য ভার্সন দিয়ে পরেই খুব কড়া কথা আছে।

    (ঘেরন্ড সংহিতা ৩/৬৪) "বেদ পুরাণ প্রভৃতি সমস্ত শাস্ত্রই বেশ্যার ন্যায় প্রকাশিত, কিন্তু এই শাম্ভবী কূলবধুর ন্যায় পরম গোপ্যা।"

    অন্য মুদ্রাগুলি জানি, কিন্তু শাম্ভবী অজানাই থেকে গ্যাছে।
  • dd | 122.167.46.99 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৫৮463649
  • আর নিরুত্তর তন্ত্র আমি পড়ি নি। ওটার শ্লোকের রেফারেন্স পেয়েছিলাম হয় তন্ত্রকল্পদ্রুমে না হয় বিশ্বকোষে(সপ্তম খন্ডে)।

    ক্যানো যে হিন্দু শাস্ত্রের এই সব পুঁথি টুঁথি নেটে পাওয়া যয় না কে জানে?

    আমার কাছে হাড়মালাতন্ত্র আছে। এটি এক্কেবারে ইউনিক। একমারে কেস যেখানে গুরু পথভ্রষ্ট হবেন আর শিষ্য তাকে উদ্ধার করবেন। জানি না এর কোনো প্যারালাল আছে কিনা, বিশেষত: তন্ত্রের মতন একটা আদ্যোপান্ত গুরুমুখী বিদ্যায়।

    কিন্তু নেক্স' দু হপ্তা লুরুতে এসতে পারবো না। তার পরে লিখবো।

  • Sibu | 208.127.73.45 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ১০:০৪463650
  • ডিডিদার ৩:২২-এর পোস্ট। আচ্ছা, ঐ 'বিপরীত গমন' কথাটার অর্থ কি? আমি ভাবছিলুম মিশনারী পজিশনের উল্টোটা। কিন্তু এক বন্ধু বলল ওটির অর্থ অ্যানাল সেক্ষ।
  • dd | 122.167.18.203 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:১৩463652
  • শিবুসাহেব

    woman at top তন্ত্রের একটা খুব ইম্পর্টান্ট ব্যাপার। ধ্যানমুর্ত্তিতেও কল্পনা আছে আর কিছু প্রাচীন পট ও দেবী মুর্ত্তিতেও আছে। এমন কি বিদ্যাসুন্দর কাব্যেও (যার তান্ত্রিক যোগ বিখ্যাত)বিপরীত গমন সবিস্তারে লিখিত।

    তুলনায় সোডোমি একেবারেই অসভ্য ও নিন্দনীয় ছিলো। সে কামশাস্ত্রে বা অগ্নিপুরাণেও।

    মহানির্বাণ তন্ত্রে (১১ অধ্যায়)উল্লেখিত গো,ছগীর যোনী গমন করিলে ত্রিরাত্র কণভোজন করলেই প্রায়শ্চিত্ত কমপ্লিট। তুলনায় স্ত্রীর সহিত সোডোমি করিলে শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন