এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তন্ত্র ফর ডামিজ

    dd
    অন্যান্য | ১১ জানুয়ারি ২০১১ | ৭৭৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.238.153 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৩৫463653
  • তাহলে কি ধরে নেব, এই মুহুর্তে ডিডিদার হাতে কনক্রীট মেটিরিয়াল এই মুহুর্তে আর নেই (লুরুতে ফেরার আগে)? সেক্ষেত্রে একটু জেনারাল আলোচনা চালু করতাম। আর আপনি বলেছিলেন পীঠের ডিস্ট্রিবিউশান এক্সপ্যানশান, জিওগ্রাফিক ডেটা ইত্যাদি দেবেন। সেটা কি পসিব্‌ল হবে?
  • dri | 117.194.238.153 | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ ২২:১৩463654
  • মানে আমি জিজ্ঞেস করছিলাম, ধরা যাক তন্ত্র এক্সপেরিমেন্টাস সেক্সুয়ালিটি অ্যালাও করে। কতজন সত্যি এইসব করতে পারে এবং করে? মন্দিরের হেড পুরোহিতরা করে। কিন্তু আম জনতা যারা শাক্ত মতে সাবস্ক্রিপশান নিয়েছে তারা কি এইসব প্র্যাকটিস করে, বা করতে পারে। মানে যারা পান্নালালে ভেসে যায় তাদের কথা বলছি।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৫১463655
  • না দৃ সাহেব।

    ডেফিনিটলি ঐ বামাচারী তন্ত্র সাধনা শুধু ফুল টাইম প্রফেশনালদের জন্যে।

    কিন্তু তার হাত ধরেই যে পছন্দসই দেবীরা এসে গ্যালেন। আর মংগল কাব্য লেখা হতে থাকলো। আর খুব মন্দির টন্দির গড়ে মুর্ত্তি বসিয়ে পুজো শুরু হলো। সব গাঁয়েই এক এক দেবী - বড় পরিবারের জন্যেও এক্কেবারে ডিসাইনার মুর্ত্তি। প্রচন্ড পার্সোনাল ডায়ালগ উইথ গড। আর তার সাথে অনেক বিধি নিষেধ আর "শুদ্ধাচারে'র কষি আলগা।

    বেদে এসব ছিলো কোথায়? বড্ডো শুকনো আর কচকচে।

    ব্রাহ্মণরাও মধ্যাঞ্চল ছেড়ে প্রত্যন্ত প্রদেশে ঢুকতে লাগলেন আর সেই সময় দিয়েই সমস্কৃতে লেখা হতে লাগলো তন্ত্র আর তার পুজা পদ্ধতির কম্পাইলেশন।কিন্তু শুদ্র ইত্যাদির অধিকার খর্ব না করেই।

    আপুনে ভাবছেন একটা বিজিনেস ট্র্যানস্যাকশন। রাম শরন বলছেন স্পিরিচুয়াল কমপেনসেসন। আর আমি হেন বক, আমি কই একটা ভক্তির ক্ষুধা ছিলো। বহিরাগত বাউনদের মধ্যে। সেই তাগিদেই তারা লুফে নিলো অনার্য্য ঠাকুরদের আর তন্ত্রাচার। এমন কি এগিয়ে এলো পুঁথি লিখতে,মন্ত্র তৈরী করতে ইত্যাদি।

  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:১০463656
  • পঞ্চ ময়ের সব থেকে ক®¾ট্রাভার্সিয়াল ম নিশ্চয়ই মৈথুন। এরকম সেক্ষুয়াল কাল্ট আরো কিছু ধর্ম বা সমাজে আছে কিন্তু সেগুলি নেহাৎই ফ্রিঞ্জ কাল্ট হিসাবে। এরকম একটা গুরুত্বপুর্ন ধর্ম (বা তার অংশ) যেটি এতো বেশী ভাবে সেক্ষ নির্ভর ,অন্য কোথাও আছে কিনা সন্দেহ।

    দু একটি ক্ষেত্রে চেষ্টা হয়েছে এটিকে সিম্বলিক হিসাবে ব্যাখ্যা করবার। যোগিনী তন্ত্রে যেমন খামোখাই একটি শ্লোক রয়েছে যে পরাশক্তির সহিত আত্মার সংযোগই মৈথুন,বীর্য দ্বারা মৈথুন,মৈথুন নহে। আমার ধারনা এটি প্রক্ষিপ্ত। হয় সংকলক নয়তো লিপিকার এটি ঢুকিয়ে দিয়েছেন কেনো না বীরাচারী তন্ত্রশাস্ত্রে মৈথুনের এতো ডিটেইলড বিবরণ দেওয়া আছে যে কোনো মতেই "আসলে এটা তো একটা প্রতীক মাত্র " বলে শাক দিয়ে তিমি মাছ ঢাকা যায় না।

    কেমন হবেন কুলস্ত্রী? এর আগে লিখেছি অষ্টনায়িকার কথা। গুপ্তসাধনতন্ত্রে এরকমই নয়টি পেশার/জাতের রমনীর কথা আছে, যার মধ্যে আছে বেশ্যা, চন্ডালিনী ও ব্রাহ্মনী। এই তন্ত্রে এর পরের কমেন্টটাই আরো ইন্টেরেস্টিং " বিশেষত: পরপুরুষ গামিনী বিদগ্‌ধা হইলে সকল স্ত্রীই কুলস্ত্রী হয়।"

    উত্তর তন্ত্রে আরো পরিষ্কার লেখা আছে পুজাকাল ভিন্ন অন্য সময়ে পরপুরুষকে মনেতেও স্পর্শ করিবেন না। দেবেশি ! পূজা কালে বেশ্যার ন্যায় সকলের পরিতোষ করিবে।

    তন্ত্রকল্পদ্রুমে এই জন্যেই অর্থাৎ , টু প্লে ইট সেফ, বলা হয়েছে বেশ্যাকূল সমুদ্ভবা কুমারীকে পুজা করার কথা।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:২২463657
  • আরো : ষোড়োশবর্ষীয়া যুবতীকে যত্ন পুর্বক আনিয়া শুদ্ধবারি ও গন্ধ দ্বারা স্বয়ং স্নান করাইবে। পরে দিব্যালংকার, সুগন্ধী পুষ্প ও মিষ্টান্নদি দ্বারা পুজা করিয়া তম্নয় হইয়া তাহাকে আসব পান করাইয়া স্বয়ং করিবে। এই সময়ে যদি ঐ রমণী রতি প্রার্থনা করে তবে রমন করিবে।

    এবং পাপ বোধ ও বৈধ নয়। "সাধক পরস্ত্রী ব্যতীত যদি জপ করে,তাহা হইলে শতকোটি জপ দ্বারাও সিদ্ধি হইবে না।
    ইহাতে গ্লানি হইলে সে বীরাচার পুজার অনধিকারী।"

    হয়তো এই সব কারনেই, টু প্লে ইট সেফ, তন্ত্রকল্পদ্রুমে বিধান দিয়েছে বেশ্যাকূল সমুদ্ভাবা কুমারীকে পুজা করার।

    মুন্ডমালা তন্ত্রে লেখা ভুক্তিমুক্তি করঞ্জিকা, তন্ত্রের একটি বিখ্যাত আপ্ত বাক্য অর্থাৎ both pleasure and salvation যেটা বেদ/উপনিষদের তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জিথা মনে ত্যাগের দ্বারাই মুক্তি এই দর্শনের একেবারে অপর মেরুতে অবস্থান। একেক সময় মনে হয় তন্ত্রের অনেক আচার ব্যবহার যেনো মনুবাদী বেদবাদী সমাজের এক অ্যান্টি থিসিস। গায়ের জোরে এক প্রতিবাদী ধর্ম প্রচার। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের সব কটি রীতি ও দর্শনের বিরুদ্ধতাই তার একটা পলিটিক্যাল অবস্থান।
  • Sibu | 99.203.208.153 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:৪০463658
  • এই "পূজা কালে বেশ্যার ন্যায় সকলের পরিতোষ করিবে" পড়ে প্রাচীন এসিয়া মাইনর আর রোমে টেম্পল প্রস্টিটিউশনের কথা মনে পড়ে গেল। এফেসাসে আর্টেমিসের মন্দিরে টেম্পল প্রস্টিটিউটেরা বিখ্যাত ছিল। তাপ্পরে সিসিলি না করিন্থের আফ্রোদিতে মন্দিরে নিয়ম ছেল সব ভক্ত মহিলাকেই জীবনে অন্তত: একবার মন্দিরে পরপুরুষ সঙ্গ করতে হবে। আরো আচে, কিন্তু টাইপাতে ইচ্ছাচ্চে না।
  • dri | 117.194.227.101 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৪২463659
  • প্লেজার। কিন্তু প্লেজার অফ হুম?

    পীঠমালায় পার্ব্বতী যখন কহিলেন, দেবেশ, অধুনা সনাতন গৃহধর্ম কীর্তন করুন, তখন অনেক কিছুর সাথে দেবেশ এও বলেছিলেন, স্বীয় স্ত্রী বর্তমান থাকিতে পর রমণীকে স্পর্শ করিবে না। পরস্ত্রীকে স্পর্শ করিলে নরকগামী হইতে হয়।

    স্থিতেষু স্বীয়দারেষু স্ত্রিয়মন্যাং ন সস্পৃশেৎ।
    দুষ্টেন চেতসা বিদ্বান্‌ অন্যথা নারকী ভবেৎ।।

    কিন্তু আবার আপনি বলছেন, সাধক যদি পরস্ত্রী ব্যতীত জপ করে, তাহা হইলে শতকোটি জপ দ্বারাও সিদ্ধি হইবে না।

    ক্লিয়ারলি,সামথিং ইজ নট রাইট।

    আমি বলি? আসলে রুল সবার জন্য সমান নয়। গৃহস্থের জন্য এক রকম আর সাধকের জন্য অন্য রকম। আমরুল আর খাসরুল। রুল অফ দ্য লর্ডস আর রুল অফ দ্য কমনস।

    হাই প্রিস্টরা পূজার অছিলায় অনেক মেয়ের সাথেই সেক্স করতে পারে, আর যাদের সোশাল প্রোটেকশান কম (বেশ্যার মেয়ে) তাদের সাথে তো পারেই।

    অ্যাকচুয়ালি, শুধু তন্ত্রে নয়, যে কোন সিস্টেমের হাই প্রিস্টরাই এটা করতে পারে। ইন্ডিয়ান টেম্পল সিস্টেমেই (ইজিপ্ট, রোম কিংবা সলোমন্‌স টেম্পলে যাওয়ার দরকারই নেই) এই যে দেবদাসী সিস্টেম, এটা তো এক ধরণের ইনস্টিচিউশানালাইজ্‌ড প্রস্টিচিউশান। ডিফারেন্সটা হল সেখানে তন্ত্রের মত মন্দিরের বেদীরোপর সেক্সটা হয় না। বিহাইন্ড ক্লোজ্‌ড ডোর হয়।

    কমনদের জন্য রুলটা সেম। ডোন্ট টাচ পরস্ত্রী। সাধকদের রিচুয়ালে সাধারণ মানুষ শুধু পিপিং টম হতে পারে।
  • dri | 117.194.229.234 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৫০463660
  • ভক্তি। ভক্তি কি তন্ত্র ছাড়া হচ্ছিল না? সাউথ ইন্ডিয়ার কি ভক্তি কম? কিন্তু সে সবই তো বৈদিক ভক্তি। আবার বাংলায় বৈষ্ণব ওয়েভ, সেও তো বৈদিক ভক্তি। ভক্তি কি কম পড়িয়াছে? বাংলায় তো পরে দাড়িদাদুর হাত ধরে রিলেটিভলি সেকুলার/ব্রাহ্ম ভক্তিও চলেছে প্রচুর। আগে সুফি মুভমেন্টেও খুব ভক্তি ছিল।

    বড় মাসকে ক®¾ট্রাল করার অনেক মেকানিজ্‌ম আছে। ফিয়ার একটা। ভক্তি আরেকটা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পলিটিকাল কারণে এগুলো তৈরী করা হয়। কোন সময়ের কি কারণ ছিল সেই নিয়ে খুঁটিয়ে দেখা একটা ইন্টারেস্টিং এক্সারসাইজ। কিন্তু তন্ত্র না থাকলে ভক্তি খুব মার খেয়ে যাচ্ছিল এটা মানতে আরো সলিড এভিডেন্স চাই।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৫৪463661
  • দ্রি এই আমরুল আর খাসরুলের কতাটা ভাল বলেচেন। বাংলাদেশেই গুরুপ্রসাদী (রাইট অফ ফার্স্ট নাইট) প্রথার কথা মনে পড়ে গেল।
  • omi | 151.141.84.194 | ১৯ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২৫463408
  • আহা আমরুল শুনেই আমরুলের চাটনি মনে পড়লো। :-)
    খুব ভালো হচ্ছে তান্ত্রিকালোচনা। চালিয়ে যান।
  • ranjan roy | 122.168.9.81 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:০২463409
  • এই দ্রি আর ডিডি! দুই গুরুই পুরুষবাদী।;)) সমস্ত ব্যাখ্যা করছে পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে।
    এটা খেয়াল করুন যে নাইন্টিনাইন পার্সেন্ট বৈদিক দেবতা পুরুষ। তন্ত্রের মাধ্যমে দমিত-শোষিত মাতৃশক্তির প্রতীকাত্মক বিদ্রোহ(!),
    তাই বামাচারের শ্রেষ্ঠত্ব, তাই বিপরীত-বিহারের মর্য্যাদা বেশি। সেজন্যেই মহানির্বাণ তন্ত্রে প্রায় মুর্ছিত পরাভূত শিবের উপর আসীন মাতৃকামূর্তির চেহারায় বিজয়ীর দর্পিতা হাসি।
    সরি ডিডি, স্লিপ হয়েছিল। তৈত্তিরীয় উপনিষদ নয়, তৈত্তিরীয় সংহিতা, যাতে অশ্বমেধ যজ্ঞের পুরোহিত ও রাণীদের উতোর-চাপানের শ্লোকগুলি আছে। সেখানেও দেখবেন রাণীরা খিস্তি করে পুরোহিতদের ( পড়ুন পুরুষ ব্রাহ্মণদের) যাকে বলে "" অ্যাইসি-ত্যায়সি'' করে দিচ্ছে।
  • dd | 124.247.203.12 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:০২463410
  • রঞ্জন
    তৈত্তেরীয় সংহিতার রেফারেন্সটা দি ও তো। আমার কাছে আছে (লুরুতে) এক পিস, সেটা কোন শাখার মনে নেই।

    তাতে অশ্লীল অংশে রাণীদের পুরোহিতদের বিরুদ্ধে কোনো উতোর নেই। শুধু ই এক তরফা। আর সেটাও ঠিক গালি গালাজ ও নয়। মানে রাণীদের অ্যাড্ড্রেস করে কিছু কয় নাই।

    তৈ সং নেটে পাওয়া যায়। কিন্তু ইংরাজীতে। অতি বোরিং লাগে ঐ রকম ভিক্টোরিয়ান ইংরাজী পড়তে। তুমি রেফারেন্স দিলে টুক করে দেখে নেবো।

  • dd | 124.247.203.12 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:০৪463411
  • দ্রি সাহেব

    "সনাতন গৃহধর্মে" ক্ষি কত্তে হবে বলে আপুনে যদি শিবঠাকুররে জিগান, তাইলে উনি কোন আক্কেলে আপনেরে মকারের প্রেসক্রিপশন দিবেন? ঠাকুর তো থিকই কইলেন,পরস্ত্রীরে না ছুঁইবার কথা। সনাতনী গৃহধর্মীদের জন্য।

    পুজা, স্পেশালি তন্ত্র মতে, স্পেশালি শাক্ত তন্ত্র মতে স্পেশালি বীরাচার বা কুলাচার তন্ত্র ধারা শাক্ত তন্ত্র মতে পন্‌চ ময়ের দরকার আছে। দক্ষিনাচারে নেই। আর যদি মদ তদ খেতেই হয় তো গোপনে সে সব করতে হবে। সে বিধান ও আছে।

    তন্ত্র মানেই শাক তন্ত্র নয়, শাক্ত্র মানেই বীরাচার, বামাচার, কৌলাচার নয়। তন্ত্র মানেই পঞ্চ ম নয়।

    দাঁড়ান, গুরু পুরাণের প্যারাবেল শুনাই,
  • dd | 124.247.203.12 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:০৫463412
  • হাজার দেড়েক বছর আগে মধ্য ভারতে জন্মালেন দুই বাউন। দৃ শর্মা আর ডিডিপন্ডিত(হেঁ হেঁ হেঁ)।

    দ্রি শর্মা কৃচ্ছসাধন করেন, সৎ,চিৎ পরমব্রহ্ম টিকটিকি সব জানেন। কপিল সাংখ্য পাতঞ্জলি নিয়ে তেনার দিন কেটে যায়। চতুর্বেদে ফাস ক্লাস ফাস।
    ডিডি পন্ডিত বেদের ক্লাসে ফেল করেছেন। দর্শন টর্শন বোঝেন্না। এট্টু ইসের দোষ আছে। কিরাত টিরাতদের থেকে চেয়ে চিন্তে খেয়ে নেন সাঁঝের বেলা। রোজগারও কম। তো তিনি গেলেন মিথিলা মগধ ছাড়িয়ে ম্যালেরিয়া মাওবাদী ম্লেচ্ছ অধ্যুষিত বংগে।

    সেখানে ডেরা বাঁধলেন। চাষ বাস করলেন,লোকাল লোকদের শেখালেন বি টি চাষের কথা। ইসের ও অভাব নেই, বাধা নিষেধ নেই। আরো রয়েছে গাঁয়ের মন্দির আর ঠাকুরের মুর্ত্তি। মধ্যাদেশে ও সব নেই। মানে মন্দির টন্দির সবে গ্রীকদের কাছ থেকে উত্তর পশ্চিমে আসতে শুরু করেছে। মধ্য দেশে তখনো নাই।

    ডিডি পন্ডিত ঐ লোকাল শুদ্র ধর্ম সাগ্রহে গ্রহন কল্লেন। রোজাগার ও আছে, তায় লোকাল লোকেরাও খুসী হয় আর আরেকটা কারন ডিডি পন্ডিতের নিজের ও পছন্দ হয়েছে। এই পুরোহিত ছাড়া একা একা ই নিজের মতন করে ঠাকুর দেবতার সাথে কথা কওয়া। আর ঠাকুরের একটা থান হলে তাকে ঘিড়ে সব কিছুই ভালো চলে। তিনি কইলেন এই খানে চিৎ ঠাকুর চিৎ হয়ে পরেছেন। ঐ খানে ঠেকেছিলো উনার পিঠ। এই হল্লো গে পীঠস্থান। ল্লে।
  • dd | 124.247.203.12 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:১০463413
  • এরপর উনি যত্নসহকারে লোকাল ধর্মের উপর পুঁথি লিখলেন । দেবভাষায়, সংস্কৃতে। পুজা পদ্ধতি। ঠাকুরের মুর্ত্তি। দু একটা চিকিচ্ছের আর মন্ত্র তত্র। কাক তাড়ানোর, বেল পারানোর । এই সব। লোকাল লোকদের উশকালেন না। তারাও য্যামন খুসী পুজা কত্তে পারে। ওং কইতে পারে, হ্রীং কইতে, টিং টং। সব পারে।

    নাম দিলেন উইনউইন তন্ত্র।

    ধান্দা? অব কোর্স, কিন্তু ডিডিপন্ডিতের ইন্টেগ্রিটিকে অসম্মান করেন ক্যামনে? উনি নিজেও ভক্তি রসে হাবু ডুবু খাচ্ছেন। বেদের হোম যাগ আর ঔপনিষেদিক নিরাকার দর্শনে তার দাঁত ব্যাথা করতো। আর এখানে তিনি জমজমাট।

    চাষ বাস,ইসে,গাঁজা,সম্পত্তি,নিয়মিত রোজগার, পুরুষানুক্রমে দেবসম্পত্তির এক্তিয়ার,আর সাঁঝের ব্যালা ভক্তি রস চাগিয়ে উঠলে ম্ম্যা ম্ম্যা ম্ম্যা করে কেঁদে ভাসিয়ে দেওয়া, সব ই রইলো হাতের মুঠোয়। তিনি মজলেন।

    দৃ শর্মা থাকুন ফেলোজফি নিয়ে, রাজারা ওনাকে রেয়াৎ করে। যগুদার প্রিয় ছাত্র। উনি আরো ভাষ্য লিখুন।

    মধ্য মেধার পন্ডিতেরা হুলিয়ে চলে গেলেন সারা ভারতে। সে আগুন ছড়িয়ে গ্যালো, .... (কবি কয়েছেন)

    সমাপ্ত
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৯463414
  • আরে আমিও তো তাই ক্ষই।

    ডিডিপন্ডিতের চলছিল ভালোই। চিকিচ্ছের রোজগার, ক্রীম পাউডারের রোজগার, গ্রামে চুরি হলে রোজগার, সাপে কাটলে রোজগার, প্লাস পুজোর প্রণামী। এমনিতে তিনি দক্ষিণাচারী। তবে ঐ মাসে দুদিন, পূর্ণিমার দিন আর মাসের সেকেন্ড বুধবার একটু বামাচার তাঁর না হলেই নয়। ঐ জন্য গ্রামে কোন কিশোরী ষোলয় পা দিল সেই খেয়াল তিনি সবসময় রাখতেন।

    আর উদিকে দৃ শর্মা। উনারও রাজার কৃপায় খুব পসার। মন্দিরকে ঢেলে সাজাতে খুব ইনভেস্ট কচ্ছেন। নতুন বিগ্রহ অর্ডার করেছেন। আর তিনটি দেবদাসীর পোস্টের জন্য বিজ্ঞাপণ দিয়েছেন। মিনিমাম কোয়ালিফিকেশান, সিক্সটি ফোর অর মোর কলায় পারদর্শিনী।
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২১:০৭463415
  • আর রঞ্জনদা, তন্ত্র কতটা সেই নিয়ে আমার খুব ডাউট আছে। এই পীঠমালা পড়লাম। পাতায় পাতায় শভিনিজ্‌ম। অ্যাজ ইফ যে কথাগুলো বলা হচ্ছে তার অডিয়েন্স একজন মেল সেটা অ্যাজিউম করে নেওয়া হয়েছে। তুমি ব্রহ্মচর্য্যের শেষে একজন সৎকুলসমুদ্ভুতা কন্যার পাণিপীড়ন করবে, তুমি তোমার স্ত্রীকে যত্ন করবে, তুমি পরস্ত্রীর দিকে নজর দেবে না অ্যান্ড অন অ্যান্ড অন অ্যান্ড অন ...। তুমি একটি মেল। মেয়েদেরকে সেইভাবে কখনো অ্যাড্রেস করা হয়নি। তন্ত্রকল্পদ্রুমেও এই একই ফীলিং হয়েছে। অ্যাক্টার হল মেল। তার ওপর শুধু অ্যাকশান হচ্ছে। তাকে খাওয়ানো হচ্ছে, তাকে সুগন্ধী মাখানো হচ্ছে, তাকে বেদীর ওপর শোয়ানো হচ্ছে। তার ইচ্ছে অনিচ্ছের ওপর কোন স্ট্রেস নেই।

    আমার তো মনে হয় তন্ত্রের এই মাতৃশক্তি অনেকটাই আর্বান লেজেন্ড, ঐ অতিরিক্ত ম্যা ম্যার ফল।

    আর এই বিপরীত গমনের কেসটাও একটু কিউরিয়াস। এমন মেয়ে নিতে হবে যিনি স্ব ইচ্ছায় বিপরীত গমন করেন। বিপরীত গমন যদি এতই লিবারেটিং এবং এম্পাওয়ারিং হবে তাহলে সবাই স্ব ইচ্ছায় বিপরীত গমন করেন না কেন? মানে এত সিলেক্ট কেন করতে হয় কে এটা ভালোবাসে আর কে ভালোবাসেনা?
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২১:১৫463416
  • *তন্ত্র কতটা মাতৃতান্ত্রিক
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৩৯463417
  • আর কি আছে তন্ত্রে?

    পীঠমালা পড়ে মনে হল তান্ত্রিকরা বেশ ভালো অ্যানাটমিস্ট ছিলেন। ওরা ওনাদের মত করে মানব শরীরের একটা মডেল বানিয়েছিলেন। সেটা হয়ত এখনকার ওয়েস্টার্ন মডেলের সাথে একেবারে খাপে খাপে মেলেনা। তবু একটা মডেল ওদের ছিল।

    দক্ষিণা পিঙ্গলানাড়ী বহ্নিমন্ডলগোচরা।
    দেবযানমিতি জ্ঞেয়া পুণ্যকর্মানুসারিণী।।
    ইড় চ বামনিশ্বাসসোম্মণ্ডলগোচরা।
    পিতৃযানমিতি জ্ঞেয়া বামমাশ্রিত্য তিষ্ঠন্তি।।

    ইড়াপিঙ্গলয়োর্ম্মধ্যে সুষুম্না সূক্ষ্মরূপিণী।
    সর্ব্বং প্রতিষ্ঠিতং যস্মিন্‌ সর্ব্বগং সর্ব্বতোমুখম্‌।।

    ইত্যাদি। এদের দেহতত্ব বেশ ইলাবরেট। পুরোটা জানতে পীঠমালা বা অন্য তন্ত্রগ্রন্থ পড়ুন।

    কিন্তুএত ডিটেলে মানুষের দেহ জানতে গেলে তো মড়া নিয়ে নাড়াঘাঁটা করতে হয়। ডাগ্‌তাররা যেমন করে। তান্ত্রিকাদের শবসাধনা কি তাহলে ...?

    আসলে তন্ত্রে প্রচুর সিক্রেট আছে। বইতে শুধু অল্প একটু বলে ছেড়ে দেওয়া আছে। বাকিটা ফিল্ডে না নামলে জানা যাবে না।
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৫৫463419
  • আরেকটা দারুণ জিনিষ পীঠমালায় পেলাম। ফ্রিমার্কেট ইকনমির ফাউন্ডিং প্রিন্সিপ্‌ল!

    নিশ্চিত্য বস্তু তন্‌মূল্যমুভয়ো: সম্মতৌ শিবে।
    পরস্পরাঙ্গীকরণং ক্রয়সিদ্ধিস্তুতো ভবেৎ।।

    ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে বস্তু ও তাহার মূল্য নির্দ্ধারণ করিয়া পরস্পর তাহাতে অঙ্গীকারবদ্ধ হইলে ক্রয় বিক্রয় সিদ্ধ হইয়া থাকে।
  • tatin | 130.39.149.48 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২৯463420
  • দ্রি,
    বৈষ্ণব ভক্তি কি বৈদিক থেকে আসছে ন তান্ত্রিক থেকেই? সেদিন বাউলদের টইয়ে চৈতন্য-নিত্যানন্দের তান্ত্রিক এস্পেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছিল।

    আর একটা প্রশ্ন (দ্রি ও ডিডিকে), তন্ত্রে যোগব্যায়াম-প্রাণায়মের ভূমিকা কতটা? (সাইড কোশ্চেন: নাম, জপ, এগুলি কি প্রাণায়মের সঙ্গে জড়িয়ে?)
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩৬463421
  • তন্ত্রের আর একটা খুব বড় এরিয়া অফ এক্সপার্টিজ হল বশীকরণ।

    স্বামীকে কিকরে বশ করতে হয়, স্ত্রীকে কিকরে বশ করতে হয়, নানা রকম তুকতাক আছে।

    সৈন্ধব, মধু, ও পারাবতমল একত্রে পেষণ করিয়া লেপন করিলে দম্পতির প্রণয় অক্ষয় হয়। এবং যক্ষধূপ দ্বারা কপালে তিলক করিলে পরস্পর বশীভূত হইয়া থাকে।

    নীল উৎপল, সুপারি, ও অপরাজিতা সমভাগে পেষণ করিয়া নাভিতে লেপন করিলে রমণীও বশীভূতা হয়।

    এই ধরণের মেটিরিয়াল প্রচুর।

    আর এইটে তো ডিডিদা আগেই দিয়েছেন।

    মনুষ্যের মাথার খুলিতে মৃত্তিকা দিয়া শ্বেত কুচের বীজ রোপণ পূর্বক দুগ্‌ধদ্বারা সেচন করিবে। তাহাতে বৃক্ষ উৎপন্ন হইলে সেই বৃক্ষের শাখা ও মূল যে ব্যক্তির সম্মুখে নিক্ষেপ করিবে তাহার আর স্থানান্তর গমনের ক্ষমতা থাকিবে না। ইহার নাম সিদ্ধিযোগ।

    সব ম্যাজিকের ট্র্যাডিশানেই এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হিপনোসিস। ইন ফ্যাক্ট সংস্কৃতে টার্মিনোলজিগুলো বেটার। দুটো টার্ম আছে। স্তম্ভন আর মোহন। একটু আলাদা, কিন্তু ক্লোজ। স্বামী-স্ত্রীর বশীকরণের একটা মার্কেট আছে, তাই ঐ নিয়ে জড়িবুটি বিক্রি হয়। কিন্তু রুলিং এলিটের বেশী ইন্টারেস্ট চিরকালই হল মাস হিপনোসিস। বড় অডিয়েন্সকে হিপনোটাইজ করা। হিপনোসিস ক®¾ট্রালের একটা উপায়। তো এই নিয়ে অনেক সিক্রেট তুকতাক কাজ সব ট্র্যাডিশানেই হত, এখনও হয়। ভালো ম্যাজিশিয়ানরা, ফর এগ্‌জাম্পল বড় অডিয়েন্সকে হিপনোটাইজ করতে পারে। ওয়েস্টার্ন কালচারে যাদুকররা/ড্রুইডরা ম্যাজিক ওয়্যান্ড ব্যবহার করতেন এই একই পারপাসে। সেই যাদুকাঠি নাড়ালেই সবাই থ হয়ে যেত/ঘুমিয়ে যেত। বেশ কয়েকটা গাছের কাঠ থেকেই magic wand বানানো হত। তার মধ্যে একটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট এবং পপুলার গাছ ছিল হলি (holly) গাছ। এর কাঠ খুব সাদা। এতে নাকি অডিয়েন্সের ট্রান্স ভালো হত।

    আজকাল মাস হিপনোসিসের জন্য আর কাঠ দরকার হয়না। আছে মিডিয়া। hollywood আসলে সেই হলি বৃক্ষের কাঠ যা মানুষকে সম্মোহিত করে।

    মানুষকে সম্মোহন নিয়ে অনেক রিসার্চ হয়েছে। এসবের পথিকৃৎ এই তান্ত্রিক, ড্রুইড এই ধরণের লোকরা। ইন ফ্যাক্ট ইন্দোর একটা লেখা অনেক আগে বেরিয়েছিল বুলবুলভাজায়। তাতে এক ধরণের হিপনোসিসের কথা ছিল। চট করে সেটাকে ডিসক্রেডিট করা হয়। আসলে পুরোনো দিনের ম্যাজিকের সাথে এখনকার টেকনলজির যে অনেক যোগ আছে সেটা আমাদের জানতে দেওয়া হয় না। কায়দাকরে লুকিয়ে রাখা আছে।
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৪৫463422
  • কোন ভক্তি কোথা থেকে এসেছে বলা খুব মুস্কিল। সরি আমার ঐ টইটা পড়া নেই। তবে শুধু কিছু একটা বলে দিলে তো হবে না। বৈষ্ণব ভক্তি যে তন্ত্র থেকে এসেছে সেটা বোঝা গেল কি উপায়ে? এগুলো রিয়েলি প্রত্যেকটা কেস আলাদা। এবং অনেক খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপার আছে। আমার একটা হান্‌চ হল এইসব ভক্তি টক্তি আসলে ইঞ্জিনিয়ার্ড। মানে ঐ সময়ের পলিটিকাল পাওয়ার দ্বারা। তবে এটা জাস্ট হান্‌চ। কেস বাই কেস সেটা এস্ট্যাব্লিশ করার ব্যাপার আছে।
  • tatin | 130.39.149.48 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৫৯463423
  • নিত্যানন্দের ব্যাক গ্রাউন্ড আর চৈতন্যের স্ত্রীরূপে কৃষ্ণ ভজনাকে তান্ত্রিক আচার হিসেবে বলা হচ্ছিল

    ফারহাদ মাজহারের এই লেখাটার শেষের দিকে কিছুটা আছে http://www.scribd.com/doc/7253135/On-Fakir-Lalon-Shah

    আরেকটা জিনিস - পুরুষ-প্রকৃতি যোগ, মোক্ষ এগুলো তন্ত্র আর বৈষ্ণবে কমোন।
  • dri | 117.194.226.144 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৪463424
  • এজ অফ রিজ্‌নের আগে, যখন সায়েন্সের নাম সায়েন্স ছিল না, তখন সায়েন্স ব্যাপারটা স্টাডি করা হত এই ম্যাজিক নামেই। বিজ্ঞানমুখ্যেষু যথেন্দ্রজালম্‌।

    অনেকেই হয়ত জানেন না আইজাক নিউটনের অকাল্ট এবং অ্যালকেমিতে খুব ইন্টারেস্ট ছিল। নিউটন যে পরশপাথর বানানোর চেষ্টা করেছিলেন সেই নিয়ে কিছু ডকুমেন্ট আছে। পরশপাথর বানানো এই ম্যাজিশিয়ানদের খুব পুরোনো একটা ইচ্ছে যেটা আজও সফল হয়নি।

    আর সেভাবে যদি ভাবেন দেখবেন গ্র্যাভিটেশান ব্যাপারটাও একটু ভুতুড়ে। আমরা ছোটবেলা থেকে এটা পড়ি তাই আমাদের কিছু মনে হয় না। কিন্তু দুটো বডি একে অন্যকে ছুঁয়ে নেই কিন্তু একে অন্যকে টানছে, এটা কিছুটা ভুতুড়ে তো বটেই। এটা যদি আমি ছোটবেলা থেকে না পড়তাম, তাহলে কেউ এসে আমায় বললে আমি হয়ত একটু অবিশ্বাসই করতাম প্রথমে।

    তন্ত্র তুকতাক বললে অনেকেই হয়ত নাক সিঁটকোবেন। কিন্তু নিউটনকে সবাই খুব ভক্তি করে :-)।
  • tatin | 130.39.149.48 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৬463425
  • এক্কেরে এক্মত-
  • dri | 117.194.232.178 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৮463426
  • চৈতন্যের স্ত্রীরূপে কৃষ্ণ ভজনা তান্ত্রিক আচার? উম্‌ ... ভেবে দেখতে হবে।

    পীঠমালায় প্রাণায়ামে খুব স্ট্রেস আছে। এটা মনে হয় তান্ত্রিকদের কাছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট।
  • tatin | 130.39.149.48 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২০463427
  • ঈশ-এ আছে না? প্রত্যক্ষ দেবতার আরাধনা করলে লোকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়- আর ব্রহ্মের আরাধনা করলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়- একটা টেকনোলজি আর একটা বিজ্ঞান?
  • dri | 117.194.232.178 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:২৩463428
  • নিউটনের অকাল্ট স্টাডি নিয়ে জন মেনার্ড কেইনস খুব চর্চা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, Newton was not the first of the age of reason. He was the last of the magicians, ...
  • ranjan roy | 122.168.209.41 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৫৩463430
  • ডিডি,
    আমার দোষ নিও না। এর পরে সবাই যদি আমাকে ক্যালাতে আসে তুমিই বাঁচাবে কিন্তু।
    কৃষ্ণযজুর্বেদ আর শুক্লযজুর্বেদ থেকে কিছু মন্ত্র উদ্ধৃত করা হবে। কারণ, এই বেদের বিষয় হল যজ্ঞ, অর্থাৎ আগুন জ্বালিয়ে কিভাবে এবং কেন যজ্ঞ করতে হবে, আর তার ফলাফল কি হবে ইত্যাদি। আর যজুর্বেদের সংহিতা ( যেমন তিতির পাখীর এঁটো হয়ে এই হারিয়ে যাওয়া কৃষ্ণযজুর্বেদের সংহিতা)গুলো বার বার একটা কথাই জোর দিয়ে বলে যে কিভাবে পূর্বপুরুষদের দ্বারা আচরিত ভাবের খাসা নকল করেই এই অনুষ্ঠানগুলো করতে হবে। নইলে ঈপ্সিত ফললাভ হবে না।
    কিন্তু সে রামও নেই, সে অযোধ্যাও নেই। বদলে গেছে ইকনমি, লাইফস্টাইল। যাযাবর শিকারী যুথবদ্ধ জীবনযাত্রার বদলে শুরু হয়েছে কৃষিনির্ভর জীবন। ফলে অনুষ্ঠান ও রিয়াল এর যায়গায় প্যান্টোমাইমে পর্যবসিত।
    ( যেমন শ্রাদ্ধের সময় আজকাল গরীব ব্রাহ্মণকে গোদান-ভূদান করার বদলে মূল্য ধরে দেয়া হয়।)
    পরবর্তী কালের এই সংহিতাগুলো সব মিথ -দন্তকথা ও প্যান্টোমাইমকে ধরে রেখেছে। তাই তন্ত্রের শেকড় খোঁজার আলোচনায় যজুর্বেদীয় সংহিতার গুরুত্ব অপরিসীম।

    অশ্বমেধ যজ্ঞের লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্য,ক্ষমতা, সম্পত্তি ও বীর্যবান পুত্রলাভ।
    এই অনুশ্‌ঠানের সময় স্ত্রী-পুরুষ সবাই উপস্থিত। আর অধ্বর্যু, হোতা, ঋত্বিক, ব্রাহমণ আদি চার বেদের চার পুরোহিত উপস্থিত। এবার গ্রীকপুরাণের ডায়ওনিসাসের সামনে অভিনীত প্যান্টোমাইমের মত এখানেও কিছু নাটক অভিনয় হবে।
    ( এর স্কিট কৃষ্ণ- তে অধ্যায় ৭, প্রপাঠক-৪, অনুবাক -১৯ শে দেয়া আছে। এটাই কিন্তু শুক্লযজুর্বেদ সংহিতায় অধ্যায়-২৩ এ দেয়া আছে। কিছু কিছু ফারাক ও আছে।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন