এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সোমবারের বুলবুলভাজা (২)

    Guruchandali
    অন্যান্য | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৪০১৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.172.78 | ০৮ জুন ২০১১ ০১:২৮465515
  • বিপ্লব রহমানকে,
    আমিও এব্যাপারে কিছু বলার আগে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে নিচ্ছি।
    এক, আমি গুরু'র সম্পাদকমন্ডলীর কেউ নই, কিন্তু ""নিয়মিত'' পাঠক হিসেবে চন্ডালের দলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
    দুই, কল্লোল সম্বন্ধে এইটুকু জানি ও সম্পাদকমন্ডলীর কেউ নয়, ও যখন (বা এই হরিদাস পালও) যখন বুলভাজায় লেখে তখন আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবেই লেখে।
    তিন,
    আপনাদের লেখা সম্বন্ধে বুলবুলভাজার সূচীতে টাইটেলে লেখা থাকে ''অপার বাংলা""। এবং আপনি, কুলদাবাবু ও যাঁদের লেখায় পদ্মাপারের অন্য বাংলার ছবি ফুটে ওঠে
    এবং যাঁরা স্পষ্টত:ই কাল্লোলের মত সম্পাদকমন্ডলীর আমন্ত্রণে বুলবুলভাজায় লিখেছেন( অবশ্যই বুলবুলভাজার মডারেটেড কলাম আমন্ত্রিতদের জন্যে) তাঁদের " অপার বাংলার আমন্ত্রিত লেখক'' অভিধায় তথ্য বা ব্যাকরণে কোন ত্রুটি হয়েছে বুঝতে পারছি না।
    চার,
    এহ বাহ্য। আমার আপত্তি টইপত্তরের খোলা আন-মডারেটেড কলামে কল্লোল বা আর কারও আপনার লেখা নিয়ে কিছু মন্তব্য যদি আপনার মতে ভুল, না বুঝে বলা, বোদ্ধা সেজে বলা, কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলা মনেও হয় তার থেকে আপনি
    একে ''অসুস্থ প্রতিযোগিতা'' এবং তার জন্যে সম্পাদকমন্ডলীর এক্সপ্ল্যানেশন চেয়ে বসলেন তাতে আমি পাঠক হিসেবে হতবাক ।
    আমি সত্যি আপনাদের (আপনি-কুলদা-কল্লোল ইত্যাদি) বিতর্কের কিছুই বুঝিনি এবং সম্ভবত: পিনাকী তাঁর পোস্টে আমাদের মত অধিকাংশের অসহায় অবস্থাটি তুলে ধরেছেন।
    এত অসহিষ্ণুতা কেন?
    টইপত্তর রয়েছেই ইচ্ছেমত খোলাখুলি বিতর্কের জন্যে। তাতে এঁড়ে তর্ক, গা-জোয়ারি তর্ক, পড়ে তর্ক, না-পড়ে তর্ক, খোরাক হওয়া, খিল্লি করা সবকিছুর স্থান আছে।
    স্থান নেই বিষয়কে ছেড়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের ।
    আপনি এত রেগে যাচ্ছেন কেন?
  • bitongsho | 143.111.80.26 | ০৮ জুন ২০১১ ০৩:০৩465516
  • এই বেহাত হবার আলোচনা দেখে একটা পুরনো ছড়া মনে পড়ে গেল- রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, আর হাসেন অন্তর্যামী।
    বাংলাদেশি ভাইরা ভাবছেন ভারত বেহাত করল, আর ভারতের ইন্তেলিজেন্স ভাবত - এ লড়াই আমাদের না। হ্যন এখানে অন্তর্যামীর নাম ইউনিওন ওফ সোভিয়েত সোসলিস্ট রিপাবলিক্স। আসল যুদ্ধো তারাই লড়েছিল, আমেরিকা আর চীনের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ কে ফ্রন্ট করে। নিক্সনের সেভেন্ঠ ফ্লীত চলে এসেছে, ওম্নি হুন্‌কার। কল্লোল বাবুরা অবশ্য বল্বেন এটা সামাজিক সাম্রাজ্‌য়্‌বাদের হুন্‌কর। তবু কেজিবির টাকা আর অস্ত্র না এলে হয়্‌ত
    যায় হোক বাংলার মুক্তিযুদ্ধ কে ছোট কর্ছি না, এও বলছি না, যে মুক্তি যুদ্ধে ওনারা ঠান্দা যুদ্ধের বোরে, তবে বেহাতের কথা যখন উঠলই তখন মনে করিয়ে দেয়া উচিত হাত টা কার ছিল।
  • Kanishks | 117.194.32.40 | ০৮ জুন ২০১১ ০৩:৩৬465517
  • proyojoneeyalekha.
    (unicodebyboharkorteparagelona)
  • deboeeta | 68.34.81.224 | ০৮ জুন ২০১১ ০৬:২২465518
  • মহাভারত এর এই কিস্তি তে ব্যস দেব এর চরিত্রের বিভিন্ন দিক দেখতে পেলাম। এক দিকে জাতি বিভজন এর প্রবল কূফল কে কি কোরে সিমিত কোর যায় সে দিকে যেমন দৃষ্টি তেমনি ধর্মের মাধ্যমে কি ভাবে শাসক গোষ্ঠীর পৃষ্টপোশকতা আদায় করা যায় সেই দিকেও সমান লক্ষ্য।
    পান্ডু কে নিয়ে আরো চুলচেরা বিষে্‌লষ্‌ণ এর অপেক্ষায় থাকলাম।

    বাদল সরকার কে নিয়ে লেখা টি পড়ে চম্‌ত্‌কৃত হলাম। 'ভালো লেগেছে' বল-লে কম বলা হয়।

    ঈপ্সিতা, তোমার কৈশরের প্রেম eucalyptus এর কথা জেনে বেশ রোমণ্‌চ বোধ করলাম।।।
  • bb | 117.195.178.108 | ০৮ জুন ২০১১ ০৯:০০465519
  • রঞ্জন আপনাকে যতটা জেনেছি তাতে এইটা মানতে অসুবিধা হচ্ছে যে আপনি কেন বিপ্লব বাবুকেই লিখলেন।
    আপনার বন্ধু কল্লোল তার আগে সম্পাদক মন্ডলের কাছে জবাব ছেয়েছেন আমন্ত্রিত লেখকদের মতবাদ সম্পর্কে। সেটা আপনি কেন এড়িয়ে গেলেন।
    ইদানীং গুরুতে সহিষ্ণুতার অভাব দেখে যাচ্ছে, মতের মিল না হলে ই প্রতিবাদ ব্যক্তিগত স্তরে চলে যাচ্ছে। সম্পাদক মন্ডলীর চেয়ে এখানে পাঠকের দ্বায়িত্ব অনেক বেশী কারণ এখানে মডারেট করা হয় না মতামত।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ জুন ২০১১ ০৯:৫৩465520
  • গুরুতে কুলদাবাবু অভিযোগ করছেন যে এই পত্রিকা ""পাকিপন্থীদের মুখপাত্র"" হয়ে উঠছে। আমি সম্পাদকমন্ডলীর কাছে জবাব চেয়েছি কারন আমার মনে হয়েছে এই মন্তব্য গুরুচন্ডা৯র কাছে আঘাতস্বরূপ।
    গুরুচন্ডা৯ কারুর মুখপত্র নয়। না সিপিএম, না নকশাল, না তৃণমূল, না ""পাকিপন্থী", না হাসিনাপন্থী না হিংটিংছটের।
    কথাটা উঠেছে আমন্ত্রিত লেখা নিয়ে তাই সম্পাদক মন্ডলীর কাছে জবাব চাওয়া। যদি টইএর লেখা হতো সম্পাদকদের কাছে জবাব চাওয়ার প্রশ্ন উঠতো না।
    আমার লেখায় কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি বলেই আমার ধারনা। একই কথা আজম খান ও ফারুক ওয়াসিফ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বলেছেন। অথচ ফারুক খারাপ হলেন, আর আজম খান ভালো থেকে গেলেন কুলদাবাবু ও বিপ্লববাবুর কাছে। এই প্রশ্ন তোলাটা কি ব্যাক্তিগত আক্রমন?

    আমার মনে হয় ওঁরা দুজনেই (ফারুক এবং আজম খান) ঠিক বলেছেন।

  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৮ জুন ২০১১ ১০:০০465521
  • @bitongsho,
    দাদা,আপনাকে ধন্যবাদ শান্ত আলোচনার জন্য।
    আপনার ধারণাটি ভুল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সাত চল্লিশের পর থেকে। বায়ান্নতে তার চেহারাটি স্পষ্ট হয়। একাত্তরে তার সফলতা আসে।
    যদি ভারত বা সোভিয়েত ইউনিয়নই বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দেয়--তবে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনটি কে সফল করেছিল? কারা ১৯৫৪ সালে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে ফেলে দিয়েছিল? কারা বাষট্টিতে শরিফ শক্ষাকমিশনকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল? ১৯৬৯ সালে কারা আইয়ুব খানকে ফেলে দিয়েছিল গণাভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে? কারা ১৯৭০ সালে ভোট দিয়ে ত্‌ৎকালীন পাকিস্তানী শাসনের বিরুদ্ধে রায় বলেছিল--বীর বাঙালি অস্ত্র ধর--বাংলাদেশ স্বাধীন কর?
    ঘুম আসছে। কাল বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছে আছে।
    কল্লোলবাবুকেও ধন্যবাদ। ফারুক ওয়াসিফ কথিত বিপ্লবটি বোধ হয় চিনদেশে মেইড হয়েছিল। মাও সাহেব কলকি অবতারের হাত দিয়ে সেই পপিফুলসদৃশ্য বিপ্লবটি পাঠিয়েছিলেন চিনাবাদামওয়ালার হাতে গুঁজে দেওয়ার জন্য। মাঝপথে অবতারটি কলকি টানার কারণে কে বা কাহারা মাও প্রেরিত বিপ্লবটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বিপ্লবটি বেহাত হয়ে যায় বলে তার জামাতি ভাই বেরাদরগণ মাঝে মাঝে ধোঁয়ার মত গপ্প ছাড়ে। গপ্পটি কি এই রকম? বেহাত বিপ্লবের গপ্পটিও আলাপ করার আকাঙ্ক্ষা রাখি।
  • sardar Faruque | 119.30.39.84 | ০৮ জুন ২০১১ ১০:০২465522
  • বিস্তর আলোচনা আর বিতর্ক পড়লাম ।অআমার বলার কথা খুবই সরল , কারণ আমি কোন পন্ডিত বা বিশেষজ্ঞ নই । আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ । এই জনযুদ্ধে লাখো লাখো মানুষ তাঁদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করেছেন - মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন ।অভারত , সোভিয়েত ইউনিয়ন , চিন , আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ তাদের ভূ-রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ থেকে এ পক্ষ বা ও পক্ষে লড়েছে , কিন্তু আমাদের কাছে এটা ছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই ।অযেকোন জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে আকাঙ্খার রকমফের থাকে । কেউ কেবল ভৌগলিক স্বাধীনতাটুকুই চান , কেউ আবার সার্বিক মুক্তি - শোষন মুক্তিও একই সাথে চেয়ে থাকেন । সবার আকাঙ্খাকে সম্মান দিয়েই বলতে চাই - পরিসমাপ্তিতে আমরা যে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি - এই অর্জনকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই ।অকেউ কেউ সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের খন্ডিত অর্জন দেখানোর প্রস পান , এর সাথে যখন তাঁদের পূর্বাপর কর্মকান্ডকে আমরা মিলিয়ে দেখি , তখন আর আশ্চর্য হইনা । খুব অগ্রসর চিন্তার দাবীদার হওয়া স্বত্বেও যখন তাঁদের কণ্ঠস্বর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সাথে মিলে যায় , থখনই অনিবার্যভাবে প্রতিবাদের প্রশ্ন এসে যায় । কুলদা রায় বা বিপ্লব রহমানের প্রতিবাদ সেখান থেকেই উৎসারিত । ‘হয় সব পাবো - তা নাহলে কিছুই দরকার নেই ।’ - এ ধরনের চিন্তাকে বালখিল্য বলতে পারলে সুখী হতাম , কিন্তু এইসব চিন্তা ও প্রচার গভীর চক্রান্তের জাতক ।
  • Ujan | 117.194.34.143 | ০৮ জুন ২০১১ ১০:০৫465523
  • শেটা যদি হয়, কচ্ছপ টাকে জলে রেখে দিতে পারে। তাও শেটা ভুলে গেলে কি হবে? ওকে একটা সাইন দিতে হবে। ওটায় লেখা থাকবে যে - কচ্ছপের মাংশ না খেয়ে, এমনি মাংশ কিনে নাও বাজার থেকে। তাও শব বাজারেই যদি কচ্ছপি দিয়ে দেয়। শেটা অবার একট বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নটা বুঝে গেলেই পেয়ে যাব প্রশ্নর উত্তর। একট জিনিশ তও হয়। যদি ও বলে কচ্ছপ বা কিছু চাই না। শুদু মাংশ চাই। আবার না মাংশ থাকে? আর একটা প্রশ্ন এশে গেল। অন্য জিনিশের মাংশ খেতে পারে। তাও যদি ওদের্কে যদি না পাওয়া যায়।তা হলে আবার ২টো জিনিশ হবে - মাংশ খাওয়া যাবে না নয় কচ্ছপের মাংশই খেতে হবে। আবার একটা যদি না চাও, তা হলে আর মাংশটাও খাওয়াই হবে না ওর জিবনে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ জুন ২০১১ ১০:৫৭465525
  • সরদার ফারুকবাবুকে
    ৭১ বা ৪৭ থেকে ৭১ (কুলদাবাবুর সাথে এই বিষয়টায় একমত) মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার কোন প্রশ্ন নেই।
    কিন্তু আপনার কি মনে হয়, যখন আজম খান বলেন যে, ওনারা তো যুদ্ধ শেষ করতে পারেন নাই। যুদ্ধ শেষ করেছিলো ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেটা যদি না হতো, হয়তো নয় মাসের বদলে নয় বছর যুদ্ধ চলতো। কিন্তু সেটাই বোধহয় বাংলাদেশের জন্য ভালো হতো।

    কুলদাবাবুকে
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির মূল্যায়ন শুধু ভুলই নয়, সেটা ছিলো চীনা জাতীয়তার স্বার্থপর মুখ। ঠিক যেমন যেই জার্মানী সোভিয়েৎ রাশিয়া আক্রমন করলো অমনি সেটা জনযুদ্ধ হয়ে গেলো, আর বৃটিশ সরকার ভারতীয় কমিউনিষ্টদের বন্ধু হয়ে গেলো, তেমন।
    ভারত-সোভিয়েৎ এর উল্টো দিকে দাঁড়াতে হবে, তাই ইয়াহিয়া সরকারকে চীনা সরকারের ও পার্টির সমর্থন। ভারতের সিপিআই এমএল দ্বিধাবিভক্ত ছিলো। অসীম চ্যাটার্জিরা চীনা লাইনকেই সমর্থন করেছিলেন। চারু মজুমদারেরা এটাকে জনগনের লড়াই বললেও মনে করতেন নেতৃত্ব নিতে হবে ইপিসিপিএমএলকে (সম্ভবত: ম: তোহাদের)।
    ফলে মাওসাহেবের কাজকাম্মোর সমর্থক আমি নই। আমি ভারত-সোভিয়েৎএর ধান্দাবাজীরও সমর্থক নই। যাদের লড়াই তাদেরই লড়তে দিতে হবে। সাহায্যের নামে ধান্দাবাজী (উভয় তরফের) আমি ঘোর বিরোধী।
    আজম খান যে আফশোসটা করেছেন, ওনারা তো যুদ্ধ শেষ করতে পারেন নাই। যুদ্ধ শেষ করেছিলো ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেটা যদি না হতো, হয়তো নয় মাসের বদলে নয় বছর যুদ্ধ চলতো। কিন্তু সেটাই বোধহয় বাংলাদেশের জন্য ভালো হতো। সেটা তো আমার ধারনাকেই সমর্থন করে। ভারত সরকার তার নিজের স্বার্থেই চায় নি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে লড়াইটা জিতে নিক। ৭১এর বেহাত বিপ্লব বলতে আমি তো এটাই বুঝলাম।
  • kumudini | 14.99.166.102 | ০৮ জুন ২০১১ ১১:২৮465526
  • উজান,তোমার আঁকা ছবিগুলো ভীষণ ভালো লাগলো।আর তোমার আইডিয়াগুলো-ও।অনেক অনেক ছবি এঁকো, আর লিখো।
  • ranjan roy | 122.168.169.214 | ০৮ জুন ২০১১ ১৩:৫৬465527
  • বিবি,
    আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি এই বিতর্কের কিছুই বুঝিনি, ওপর ওপর চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম। ফলে কুলদা-বিপ্লব-কল্লোল-ফারুক কাউকে নিয়ে কিস্যু বলিনি। কাল হটাৎ বিপ্লবের লেখায় শেষের দিকে একটা লাইন চোখে লাগলো। উনি এই টইয়ে আর লিখবেন না যতক্ষণ না সম্পাদকমন্ডলী এখানে আন-মডারেটেড টইয়ে "অসুস্থ প্রতিযোগিতা'' নিয়ে এবং গুরুর পাতা পাকিস্তানী চাঁদ-তারার ভূমিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এক্সপ্ল্যানেশন দিচ্ছেন!
    ভাবুন, এটা আপনার -আমার মত সব্বাইকে গাল দেয়া নয়?
    তাই লিখলাম।
    একজন কল্লোল, ধরে নিলাম মুক্তিযুদ্ধকে না বুঝে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওনার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন তাতে এই খোলা পাতা অসুস্থ এবং সম্ভাব্য পাকিস্তানীপন্থী হয়ে গেল?
    এ কি চরম অসহিষ্ণুতা নয়?
  • sumeru | 113.21.77.250 | ০৮ জুন ২০১১ ১৪:৩৫465528
  • আরেকটু ঘি- সকলের জন্য।

    আজম খান নামের ঘটনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই
    ইমরুল ইসলাম

    .
    বাংলাদেশ মানে যে ঢাকা শহর – এই সাংস্কৃতিক পরিচয় উৎপাদনই আজম খান-এর মূল কৃতিত্ব। আজম খান-এর আগে (তার সময় এবং এখনো প্রায়) আসলে কি ছিল? বাংলা-সংস্কৃতি ছিল (বা আছে) কলকাতা-কেন্দ্রিক হ। বাংলাভাষার জনপ্রিয় গানগুলি উৎপাদিত হইছে ঐখানেই; শচীন, হেমন্ত, মান্নাদে ইত্যাদি। এর বাইরে যদি কাজী নজরুল ইসলাম বা আব্বাসউদ্দীন এর কথাও বলেন, উনাদের স্বীকৃতিটা কিন্তু ঐ জায়গা থিকাই আসছে। (রবীন্দ্রনাথ এর কথা আর কইলাম না!) আজম খান-এর গানই প্রথম ব্যতিক্রম, যা কলাকাতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানায় নাই বা ঐ প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিটারে গুরুত্বপূর্ন কইরা তোলে নাই। তাই উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই।

    .
    ত এইটার প্রতিক্রিয়া বা এফেক্টটাই বা কেমন হইলো? এইটা এই নোটে যারা সংশ্লিষ্ট আমার ধারণা সবারই জানা যে, উনার গানরে একসেপ্ট করা হয় নাই, প্রথমে; কিন্তু উনি যাদের জন্য গাইতে চাইছেন, তারা ঠিকই তারে রিকগনাইজ করতে চাইছে, তাই তিনি জনপ্রিয় হ উঠছেন... তাই সময় যত আগাইছে, ‘বাংলাদেশ’ ধারণাটা যতটা প্রতিষ্ঠিত হইছে, আজম খানের গানও তার স্পেস কইরা নিতে পারছে।

    তখন (এবং এখনো) তার গানের বিরোধিতাটা ছিল দুইটা জায়গা থিকা – কলকাতা-কেন্দ্রিকতা এবং গ্রাম-বাংলার অনুসারীরা, দুইটা ধারণার লোকজনই তার গানরে নিতে পারে নাই। আসলে গ্রাম-বাংলা বইলা ত কিছু নাই; যা আছে সেইটা বহু পুরানা একটা মিথ, যেইখানে ধারণা করা হইতো যে আছে, সহজ-সরল-স্বাভাবিকতা... আজম খান ‘নগর’ নিয়াই চিন্তিত, যেহেতু তার বসবাস এইখানে, এই নগরের গানই তিনি গাইছেন; এইভাবে গ্রাম-বাংলার বাংলাদেশরে তিনি ঢাকা শহরে স্থাপন কইরা ফেলছেন, এইটা একটা ঘটনা, যেইটাতে গ্রাম-বাংলার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হইছেন, কিন্তু তাদের ক্ষিপ্ততাতে আসলে কিছু নাই, কারণ গ্রাম-বাংলা’র কোন সংস্কৃতি তারা ত নিজেরাও তৈরি করতে পারেন নাই, আসলে গ্রাম-বাংলার নাম দিয়া তারা কলকাতার সফিশটিকেশনরেই সার্পোট করছেন এবং করতেছেন...

    আর যেই নগররে আজম খান রিপ্রেজেন্ট করছেন, তারাই আসলে তার মূল বিরোধীপক্ষ; এই ঢাকা শহর একটা সময় ছিল মধ্যবিত্তের দখলে (অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিক দিয়া), এখন এইটা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চইলা যাইতেছে... অনেক মধ্যবিত্তই অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের ভিতর দিয়া নিজেদের কনজামশন পাওয়ার বাড়াইয়া তুলছেন... কিন্তু সাংস্কৃতিক দখলদারিত্ব মধ্যবিত্তের হাতেই আছে, সেইটা নিয়া তাই মন-খারাপ করার কিছু নাই... ত সেই মধ্যবিত্ত দুইদিক দিয়া ধাক্কা খাইলো আজম খানের গান শুইনা; একদিকে সে ঢাকা শহরের বাদাইম্মা লোকজন নিয়া কথা বলে, আবার যেইভাবে বলে, সেইটাতে কলকাতা-কেন্দ্রিক মধ্যবিত্তসুলভ সফিশটিকেশন তার নাই... তাই ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর দিক থিকা তার বিরোধিতা আছে এবং থাকবো বইলাই মনে হয়...

    তাইলে তার একসেপ্টেনস এর জায়গাটা আসলে কই? প্রথমত, মধ্যবিত্তের রুচিবোধ নিয়া ক্লান্ত তরুণ-সমাজের কাছে তিনি যে নতুন সম্ভাবনা দেখাইছেন, এইটা ঠিক গাঞ্জা বা ফেনসিডিল না, একদম হেরৈন-এর মতো, স্বাদ এর অতুলনীয়; (কিন্তু বর্তমানের তরুণরা ত ইয়াবা পর্যন্ত গেছে, আজম খান সেইখানে নাই)... তার এই গ্রহণযোগ্যতা থিকাই নতুন একটা ধারা তৈরি হইতেছে; দ্বিতীয়ত, তিনি ‘পাশ্চাত্য’রে নিছেন;’৬০-’৭০ এর দিকে আমাদের কমিউনিস্ট-শাসিত চিন্তা-ভাবনায় ‘পাশ্চাত্য’ মানেই ছিল বাজে জিনিস, পরিতাজ্য; কিন্তু মধ্যবিত্ত যখন তার অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়া ‘পাশ্চাত্য’রে এক্সপ্লোর করছে, তখন তারা এই ধারণা থিকা বাইর হ আইসা ঢাকায় আইকন হিসাবে আজম খানরে পিক করতে পারছে...

    তৃতীয়ত, ‘লালন-সংস্কৃতি’র পূজা... বর্তমানে অনেকেরই চেষ্টা আছে বলার যে ‘নদীয়াই হইতেছে বাংলাদেশ’; কিন্তু এই নদীয়া হালে পানি পাক বা না পাক, যেইটা হইছে, বাদাইম্মা লোকজনের একটা সাংস্কৃইতক ভ্যালু তৈরি হইছে, সমাজের ভিতর; আজম খান যেহেতু তাদের নিয়া গান গাইছেন, সেই জায়গাতে উনারে একসেপ্ট করা যাইতে পারে... ঐ নিন্মবর্গ, নিন্মবর্গ আর কি!...

    কিন্তু আরেকটা বিষয় আছে, আজম খান তার গানে যেইখানে নগরের বাদাইম্মা গোষ্ঠীরে নগরের ভিতর স্বীকার কইরা নিছেন, সেইটার অস্বীকার ত নগর-চিন্তার একদম মর্মমূলে... তাই এই স্বীকার বা অস্বীকারের খেলাটা আসলে অনেকদূর পর্যন্তই যাইতে পারে।

    .
    এখন তার অ-জনপ্রিয়তার স্টেইজটাতে আসি... শেষদিকে উনার গানের আর তেমন জনপ্রিয়তা ছিল না, কেউ তার ক্যাসেট, সিডি বাইর করতে চাইতো না... এইটা কেন ঘটলো? এইটা যারা সাংস্কৃতিক বিষয়গুলা নিয়া চর্চা করেন তারা হয়তো ভালো বলতে পারবেন, আমার যদ্দূর ধারণা, ২টা ঘটনা এইখানে ছিল। প্রথমত, জেনারেশন-এর একটা ব্যাপার ত আছেই; ক্যাসেট-সিডি’র মূল ভোক্তা যদি ঢাকা শহররে বাদাইম্মা লোকজনা বা মধ্যবিত্ত তরুণরা হয়, এদের কোনটারেই ত তিনি আর স্পর্শ করতে পারেন নাই, তাই উনার বর্তমানের গানরে তাইলে কিভাবে নিবে? তাই বইলা উনার যা অ্যাচিভমেন্ট, সেইটারে কেউ ফেলে দিছে বইলা মনে হয় না।

    দ্বিতীয়ত, উনি যে ধারাটা তৈরি করলেন, সেই ধারাটা ত তারে ক্রস কইরা অনেকদূর পর্যন্ত আগাইয়া গেছে, এরমধ্যেই; যেমন ধরেন আমরা ত ওয়ারফেইজ, মাইলস, জেমস পার কইরা আসছি, আমার চে তরুণ যারা তারা হয়তো এইসবকিছুও পার কইরা ফেলছেন... এইটাই স্বাভাবিক; ক্রমাগত সমসাময়িক থাকাটা খুবই দুরুহ একটা ব্যাপার, সবসময় যে দরকারি, তাও ত না...

    .
    ফারুক ওয়াসিফ আজম খানরে নিয়া একটা লেখা লিখছেন (http://unmochon.net/node/401), ঐটা পড়ছি... পইড়া যেইটা মনে হইছে, আজম খানের সাংস্কৃতিক পরিচয়টারে চিহ্নিত না কইরা তিনি ব্যক্তি হিসাবে তারে একজন বিপ্লবী বানাইয়া দেয়ার চেষ্টা করতেছেন, এইটা তার দিক থিকা হয়তো ঠিক আছে; কারণ সমাজ (মধ্যবিত্ত-সমাজ) বিপ্লব চায় না, কিন্তু ব্যর্থ বিপ্লবীদের খুবই পছন্দ করে... কিন্তু যারা বিপ্লব করতে চান, তারা কেন বিপ্লব না কইরা বিপ্লবী তৈরি করবেন? অথবা কেন তার ‘বিপ্লব’টারে জানার এবং জানানোর চেষ্টাটাই করবেন না?

    আর আমি আসলে উনার আবেগাক্রান্ত বিষাদ-এর সাথে যাইতে পারি না; যদিও ঐটা মূল প্রণোদনা মধ্যবিত্ত পাঠকের মনে, তারে জনপ্রিয় কইরা তোলে; যেমন ধরেন, যখন তিনি আই-পড কানে দেয়া, ব্রান্ডেড জামা-কাপড় পরা, ফেসবুক করা তরুণদেরে কথা তেরছা কইরা বলেন, তখন যারা সেইটা করতে পারে না তারাও ত আনন্দ পায়-ই, এবং যারা করে, তাদের অপরাধবোধটাও এক ধরণের তৃপ্তি পায়... এইটা কোন ভালো জিনিস না... আই-পড কানে দিয়া এবং ব্রান্ডেড জামা-কাপড় পইরাও বিপ্লব করা সম্ভব!... ফারুক ওয়াসিফের কাছে অনুরোধ তরুণদের তারুণ্যরে আপনি বিপ্লবের প্রতিপক্ষ বানাইয়া দিয়েন না...

    .
    ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে একটু বলি: ১৯৯৬/৯৭ এর দিকে কমলাপুরের একটা হোটেলে গিয়া ৩দিন ছিলাম, আমরা ৩জন - বাবলু, আমি আর প্রিতিশ... বাবলু আর প্রিতিশ মাঝে-মধ্যে বাইরে যাইতো, আর আমি দিনরাত ঐ রুমটার ভিতর...

    হোটেলটা ছিল আজম খান-এর বাসার গলিতে; রুমে যে ১টা জানালা ছিল, সেইটা দিয়া আজম খানের বাসা দেখা যাইতো, ছাদটা ছিল কিছুটা দূরে, একদম মুখামুখি... সারাদিন বইসা আজম খানের ডেইলি লাইফ দেখতাম, সকালবেলা বাড়ির সামনে হাঁটাহাঁটি করা, বিকালবেলা ফুটবল নিয়া বাইর হওয়া, রাতের বেলা ফিরা আসা, মেয়ে’র সাথে কথা বলা – এই দেখাটা ছিল খুবই অস্পষ্ট; উনার মেয়েটা মনে হয় কারাত প্রাকটিস করতো, বিকালবেলা ছাদের উপর... আজম খানরে কখোন দেখা যাইতেছে, ঐটাই ছিল সারাদিনের একমাত্র ফলো-আপের ঘটনা...

    তবে হোটেলে থাকার উদ্দেশ্য আজম খানরে দেখা না, সেইটা বাড়তি পাওনা; বাবলু বা প্রিতিশ হলে কোন একটা ঝামেলা করছিল, তাই হলে থাকাটা সম্ভব ছিলো না, ওদের কয়েকদিনের অজ্ঞাতবাস, সাথে আমি মানব-বর্ম... তবে ঐটা ছিল ওদের মূল সেলিং পয়েন্ট আমারে ইনক্লুড করার ক্ষেত্রে যে, ঐ রুমটাতে থাকলে আজম খানের দেখা যায়....

    আজম খান সম্ভবত ১৯৯০-৯১-এর দিকে, ঢাকা কলেজের সময় থিকাই ‘দেখার বস্তু’ হ উঠলেন, আমাদের কাছে... যে কোন কনসার্টে গেলেই উনার গান শুনছি...

    ঢাকাতে আইসাই আজম খানের গানের অর্থ বুঝছি, ভৈরব থাইকা আজম খানের খান শুনলেও উনি কি জিনিস বুঝতে পারি নাই... আজম খান ঢাকার মাল এবং ঢাকাই এখন বাংলাদেশ হ উঠতেছে... এইটাই সম্ভবত, বর্তমানে আজম খান ঘটনার মূল সিগনিফিকেন্স।

    (লেখাটা হয়তো পরে আরেকটু এডিট করবো)
  • ranjan roy | 122.168.169.214 | ০৮ জুন ২০১১ ১৪:৪০465529
  • আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দুইখান কথা!
    এটা খুবই সম্ভব আমরা এপারে বসে মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিকতা ঠিকমত বুঝতে পারিনে।
    কিন্তু আমার সম্পর্ক শুধু আ-বা-প পড়ে নয়।
    ময়মনসিংহ শহরের কমরেড কিরণময় নাহা ( যিনি পেশায় অ্যাডভোকেট এবং অগ্রণী রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক- ড: সঞ্জীদা খাতুনের মতে) আয়ুব খানের সময় থেকে আন্দোলনের প্রথম সারিতে। জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে জেলে।
    আয়ুব খানের মার্শাল ল' এর সময়ে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ হলে উনি রবীন্দ্রসংগীতের প্রচার প্রসার, তার জন্যে অ্যাকাডেমি খোলাকেই মিলিটারি শাসনে সংগ্রামের প্রধান রূপ করে তুলেছিলেন। অনেক গুলো ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ৭১ সালে ওনার আত্মীয়-পরিজন এপারে চলে এলেও উনি এবং ওনার স্ত্রী (আমার দীপাপিসি) নিজের জমিতে থেকেই রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যান। মণি সিং এর পুরোনো ইপিসিপির এঁরা সক্রিয় সদস্য।
    ফলে খান সেনাদের অত্যাচার ও লাখো শহীদের মৃত্যুকে খাটো করে দেখার কথাই ওঠে না।
    কিন্তু নাজি দখলীকৃত ফ্রান্সে ম্যাকিদের বীরত্বপূর্ণ গেরিলাযুদ্ধ সঙ্কেÄও যেমন ডী-ডে তে সংযুক্ত মিত্রশক্তি সুপিরিয়র ফোর্স নিয়ে অবতরণ করে বিজয় হাতিয়ে
    নেয়; তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কয়েকদশকের ইতিহাস সঙ্কেÄও সামরিক বিজয়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধানভূমিকা ও তার ফলশ্রুতি কি করে এড়িয়ে যাওয়া যায়!
    এ নিয়ে তো কোন বিতর্ক নেই যে জেনারেল নিয়াজি নব্বই হাজার জৈন্য সহ ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন ইস্টার্ন কম্যান্ডের অফিসার ইন কম্যান্ডিং জগজিৎ সিং অরোরার কাছে, মুক্তিবাহিনীর কাছে নয়। আজও কানে বাজে জেনারেল মানেকশ'র রেডিওতে আহ্বান--- পাকিস্তান ফৌজ কে জওয়ানোঁ! হাতিয়ার ডাল দো। তুমহে চারো তরফ সে ঘের লিয়া গয়া হ্যায়।
    আর দু'বছর ধরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পার্কসার্কাসের কোথা থেকে সঞ্চালিত হত সেতো আজ গোপন নেই।
    এগুলো কে স্বীকার করে নিলে কোনমতেই বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা হয় না। বরং এক দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়াকে সঠিক পরিপ্রেক্ষিতে দেখা হয় বলেই আমার বিশ্বাস।
  • dd | 122.165.62.104 | ০৮ জুন ২০১১ ১৪:৪২465530
  • প্রপঞ্চের আধিভৌতিক অপিচ কোমলগেঁড়ে অভিঘাতটুকু বাদ দিলে চলবে কেনো? যা স্ব অভিকর্ষে প্রাপ্তব্য তার অধীতিকরন একটা অ্যাসিমেট্রিক্যাল প্রোপোজিসন মাত্র।

    নয়তো অস্তি গোদাবরীতীরে বিশাল শাল্মলী তরু:, লিখেই আপনাকে মেকিয়াভেলির বিপ্রতীপাতীক ম্যাট্রিক্সের কাছে হাত পাততে হবে।

    সেটাই বাহ্য ও স্পর্শনীয় অলাতচক্রের কলংকরেখা, তাই না?
  • dd | 122.165.62.104 | ০৮ জুন ২০১১ ১৪:৫০465531
  • উপরিউক্ত পোস্টিংটি,লেখাই বাহুল্য, ডেস্টিনেশন ছিলো রামদেবের ধর্না টইতে।

    এখানে ভুল পোস্টিং এটাই কি ইংগিত করে না অনিত্যদর্শী জীবনবোধ ,সতত বাইপোলার ডিস্টার্বেন্সে সংপৃক্ত থাকলেও এক অনীক অ্যাবসার্ডিটির হাত থেকে তার মুক্তি নেই।
  • sumeru | 113.21.77.250 | ০৮ জুন ২০১১ ১৪:৫৫465532
  • গত পোস্টটির লেখক বন্ধু ইমরুল হাসান, টইপোর কারণে নামটি অন্য দেখাচ্ছে।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ০৮ জুন ২০১১ ১৫:৩৪465533
  • পুনশ্চ/নিবেদন ইতি:

    @ রঞ্জন রায়,

    ১। আপনি ঠিকই বলেছেন। পূর্ব সূত্রের উল্লেখ না থাকায় আপনি চলমান বিতর্কেটি ঠিক বুঝতে পারেননি। একারণে হঠাৎ একটি বাক্যে হয়তো আপনার ভুল বোঝার অবকাশ শেষ পর্যন্ত থেকেই যাচ্ছে।

    ২। গুরুচণ্ডা৯ ডটকম-এর এই পাতাটি যে মডারেশন বিহীন, তা গুরুর অনিয়মিত লেখক/ পাঠক হিসেবে তা আমার মোটেই জানা ছিলো না। এ কারণেই আমি সম্পাদক মণ্ডলীর কাছে [ব্যক্তিচর্চাসহ আনুসাঙ্গিক অসুস্থ প্রতিযোগিতা] এর ব্যাখ্যা দাবি করেছিলাম। সেটি আমার অজ্ঞতারই বহি:প্রকাশ।

    ৩। [ব্যক্তিচর্চাসহ আনুসাঙ্গিক অসুস্থ প্রতিযোগিতা] কথাটি কেনো ব্যবহার করেছি, তার কৈফিয়ত দিতে গিয়ে বলি:

    গত ৩০ মার্চ কল্লোল বাবু একটি গ্রুপ ইমেইলের সূত্র ধরে মতামতের ঘরে বলেন :[রেহনুমা-শহিদুলের কাজকর্মের উদ্দেশ্য নিয়ে কুলদাবাবু ও বিপ্লব রহমানের নানান আপত্তি আছে। আমি ওঁদের সাথে একমত নই।] গুরুর ঐ মন্তব্যের লিংক [http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?font=unicode&portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1293439091427&contentPageNum=2]

    সে সময় কল্লোল বাবুর উদ্দেশ্যে আমি বলেছিলাম :[ আমার নাম নিয়েছেন বলে বাধ্য হয়ে লিখছি, ই-মেইলের বিষয়টি যেহেতু ব্যক্তিগত পর্যায়ের, তাই একমত না হলেও তা জনসম্মুখে প্রকাশ না করাই ভালো।]

    ৪। মতামতের এই পাতায় [ব্যক্তিচর্চা তথা অসুস্থ প্রতিযোগিতার] শেষ এখানেই নয়। এর পরেও সুনীতি পালের পাকিপনার প্রশ্নে ফারুক ওয়াসিফের আরেকটি লেখার সূত্রে আবারো ব্যক্তিচর্চা হয়, এমন কী তার স্ত্রীর প্রসঙ্গও তুলেও যথেচ্ছ গালাগাল (শুধু ব্যক্তি আক্রমণ বলাই যথেষ্ট নয়) দেওয়া হয়।

    সে সময়ও আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলাম :[@ কল্লোল (দাসগুপ্ত ?), এ ক ম ত। ফারুকের লেখার সমালোচনাই কাম্য ; মেহেরজান ছবির প্রসঙ্গে ফারুকের কট্টর পাকি অবস্থান নিয়েও কথা হতে পারে ; কিন্তু তার স্ত্রীর প্রসঙ্গে অহেতুক মন্তব্য কেন? ... মতামত বিভাগে আগেও ব্যক্তি চর্চা দেখেছি ; এমন কি এখানে রেফারেন্স হিসেবে ব্যক্তিগত ইমেইল বার্তা ফাঁস করার নজিরও আছে। এই অসু প্রবণতার অবসান চাই। ] ঐ লেখাটির লিংক [http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?font=unicode&portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1293439091427&contentPageNum=6]

    ৫। স্বীকার করে বলি, গ্রুপ ইমেইলের কারণে আমি বিভ্রান্ত হয়েছিলাম কল্লোল বাবু সম্ভবত গুরুরই কোনো মহাগুরু হবেন, তিনি হয়তো আমার মতো নিছক চণ্ডাল নন। সব মিলিয়ে এর জের ধরে আমার পুরো আলাপচারিতায় বেশ খানিকটা ক্ষোভ ও অসহিষ্ণুতা ঝরে পড়েছে -- যা একেবারেই উচিৎ হয়নি।

    তবে তার মনে এই নয় যে, আপনি যেমন বলেন [গুরুর পাতা পাকিস্তানী চাঁদ-তারার ভূমিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এক্সপ্ল্যানেশন দিচ্ছেন! ভাবুন, এটা আপনার -আমার মত সব্বাইকে গাল দেয়া নয়?] এ কে বা রে ই তা ন য়।অ। এটি হচ্ছে পাকি খেদানোর প্রসঙ্গ থেকে নিজেকে বিরত রাখার একটি অভিমানমূলক বক্তব্য মাত্র।

    ৬। আমার সামগ্রিক বিভ্রান্তিটুকু ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা। :)
  • ranjan roy | 122.168.253.10 | ০৮ জুন ২০১১ ১৫:৪১465534
  • ,
    বিপ্লব রহমান,
    আমার প্রতিটি বিন্দুর যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
    আমার ক্ষোভজনিত বক্তব্য ফেরৎ নিলাম।
    আপনাদের বিতর্ক চলুক। আমি আগ্রহের সঙ্গে বোঝার চেষ্টা করব। অভিমানে ময়দান ছেড়ে যাবেন না, এই অনুরোধ।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ০৮ জুন ২০১১ ১৬:৩১465536
  • আবারো ধন্যবাদ রঞ্জন রায়।

    সম্ভব হলে গুরুর মতামত ঘরের পুরনো পাতা থেকে নিজের ইমেইল অ্যাড্রেস ঘষে তুলে ফেলতাম! (কলিকাল ইমো)
  • ranjan roy | 122.168.253.10 | ০৮ জুন ২০১১ ১৬:৪২465537
  • :))))))))
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ জুন ২০১১ ১৮:১০465538
  • উজানবাবুর ছবি আর পরিবেশ চেতনা দুর্দান্ত হয়েছে।
  • hu | 12.34.246.72 | ০৮ জুন ২০১১ ১৮:৫০465539
  • উজানবাবুর কোলকাতার বই ভীষন ভালো।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৮ জুন ২০১১ ১৮:৫৯465540
  • কল্লোলদা, ঘুমটা ভালই হল হাজার হাজার মাইল দুরে। বেশ গরম ছিল। তারপর সকালে বেশ খানিকটা সময় বাই-সাইকেল চালালাম। মাঝখানে সুমরুবাবুর ইমরুল হাসানের লেখাটি দেখলাম। হা হা হা। ইমরুল হাসানও এবার এসে পড়েছেন সুমেরুবাবুর হাত দিয়ে। এর লেখা নিয়ে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা। শুধু একটি প্রশ্ন আসে--ইমরুলে কাছে নয়, এ ছেলেটির জামাতী প্যাচাল শোনার ইচ্ছে নাই, সুমেরুবাবুকে প্রশ্নটি করছি, এই ইমরুল হাসান, ফারুক ওয়াসিফ কথিত বিপ্লব জিনিসটি কিরে ভাই? উহা খায় না পরে? বিপ্লবটি কাহাদের জন্য, কাহারা করিবে, কি জন্য করিবে, করিয়া কি করিবে?
    আর নিম্নবর্গীয়ই বা কী? উহার দুএকটা স্যাম্পল কি দেখানো যায়? এই নিম্নবর্গিয় শব্দটা এই ফারুক, ইমরুল, রেহণুমা,ব্রাত্য, শহীদুল, মজহারের গলগণ্ডে শুনিলে গাযে আমার পুলক লাগে। উহারা কোন বর্গীয়?

    কদিন আগে পাকিস্তানের এক তালেবর সাংবাদিকের লেখা পড়িবার সুযোগ হল। তিনি বাংলাদেশের উপর খুবই দিল ফিল করেন। তাদের দেশের আবদুল কাদির কহেছিলেন, একাত্তরে পাকিস্তানের কাছে এটম বোমা থাকিলে পাকিস্তানকে ভারতের কাছে পরাজিত হত না। এটম বোমা পাকিস্তানকে চিতাইয়া রাখিত। লক্ষ রাখুন আব্দুল কাদিরকে। এই পাগল বলছেন--একাত্তরে যুদ্ধটা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানরে মধ্যে। তার উত্তরে ঐ সাংবাদিক সাম পারভেজ গুডবয় না কি যেন, ভুলে গেছি, আমার মত অনেক উদাহরণ টানলেন--বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির জাতিসঙ্কÄ¡র বিকাশ, ভাষার প্রশ্ন থেকে স্বাধীকারের দাবী, তারপর থেকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়া--এইসবই ঠিকই বলেছিলেন। শুধু শেষে এসে মেরে দিয়েছেন--বলেছেন, তারপর ভারত এসে যুদ্ধ শুরু করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছে। পারভেজ সাহেবের এই প্রবন্ধটি ফরুক ওয়াসিফই অনুবাদ করেছেন। ভাষাটি পাকি পাকি রেখেছেন বটে। লক্ষ করুন--পারভেজ গুডবয়ের প্রবন্ধে বাঙালিদের স্বাধীনতার আন্দোলন আছে, মুক্তিযোদ্ধারা নাই। আরেকটি জিনিস লক্ষ করুন-ফারুক লিখেছেন, প্রথম আলো নামে একটি পত্রিকায়। যেখানে তিনি চাকরী করেন। পত্রিকাটির অর্থের উৎস বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীদের মদতদানের অভিযোগ আছে। এবং সেনাতন্ত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রেখে একটা এজেন্ডা নিয়ে চলে। বিপ্লব রহমান এই পত্রিকা বিষয়ে বলেছেন--আজম খানকে নিয়ে তাদের এতকাল কোনো মাথাব্যাথা ছিল না। তার বদলে এক চোরা গায়ককে মাথায় তুলে হিরো করার চেষ্টা করেছে। আজম খান মারা গেলে ফারুককে দিযে একটি বিষাদাক্রান্ত লেখা প্রকাশ করেছে। লেখাটির সেই বাক্যটি বেহাত বিপ্লবের প্যাচাল। মনে রাখা দরকার, ফারুক যে পত্রিকাটিতে চাকরী করে--সেই পত্রিকাটি মেহেরজান নামে এই পাকিপ্রপাগাণ্ডামার্কা ছি:নেমা মেহেরজানের নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। পত্রিকিরটির মালিকপক্ষের অর্থ নিয়োগ হয়েছে মেহেরজানে, সম্পাদক মতিউর রহমানের ছেলে নিশা মেহেরজান ছি:নেমার প্রমোশনাল কর্মে নযুক্ত, তাদের আত্মিয় মফিদুল হক সেন্সর পাশ করিয়ে এনে দিয়েছেন, আর ফারুকের স্ত্রী ফারজানা ববি মেহেরজান ছি:নেমার সহকারী পরিচালক। আর ফারুক হলেন সেই ছি:নেমার তলোয়ারবাজ চোঙ্গাফুকেনেওয়ালা। যখন বাংলাদেশের লোকজন বললেন, মেহেরজান নামক ছি:নেমায় বাংলাদেশের জাতিয় ইতিহাসকে অস্বীকার করা হয়েছে--হয়েছে পাকিস্তানপন্থীদের প্রলাপ, তখন--ফারুক বলেছিলেন, পাকিস্তানীদের সঙ্গে একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছে বটে, তা ভুলে যান কমরেড, এতদিন পরে তা রেখে লাভ কি? পাকিস্তানের সঙ্গে রিকনসিলেশন হলে সমস্যা কোথায়। পাকিস্তানের সঙ্গে পুনর্মিত্রতায় যেতে হবে। তাদের সঙ্গে প্রেমে ও সংগমে মাততে হবে। ইহাই প্রেম। ইহাই বিপ্লব। (এই বিপ্লব আবার বেহাত হয়ে গেলরে ভাই!) যে লোকটি তার ভাইকে হারিয়েছে, মাকে হারিয়েছে, বাবাকে হারিয়েছে একাত্তরে--বোন ধর্ষিতা হয়েছিল, তারা কি করে এই পাকিদের সংগে প্রেমে মজে ভাই সাহেব?
    দেখুন--মেহেরজান ছি:নেমায় জ ভাদুড়ী যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন--সেই চরিত্রটি একাত্তরের বীরাঙ্গনা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর বলে তারা চালাতে চেষ্টা করেছিল, ফেরদৌসীকে ধোঁকা দিয়ে তার শিল্পকর্মকেও ব্যবহার করেছে নির্মাতাগ্রুপ, হায় প্রিয়ভাষিণী --যিনি একাত্তরে পাকবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছিলেন নয় মাস যাব্‌ৎ, ফারুকের স্ত্রীদের নির্মিত মেহেরজান চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়াম শো দেখেই সেই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী পত্রিকায় লিখে ছি:নেমাটির প্রতিবাদ করেছিলেন। বলেছিলেন-এটা পাকিপ্রপাগাণ্ডামুলক ছি:নেমা। ফারুক তাঁর বিরুদ্ধেই কলম ধরেছিলেন।
    সুতরাং ফারুকদের এই পাকিপন্থী রাজনীতিটা অত সহজ নহে। ফারুক যখন লেখেন তিনি যাহা কহেন তাহার শ্বাসটি থাকে অই রিকনসিলেশন তঙ্কÄটির গোপান শেলবর্ষণ মাত্র। সেটা আপনারা বুঝবেন না সহজে কল্লোলবাবু--আমরা কল্লোলবাবুর ভাষায় হাজার হাজার মাইল দূরে বসেও খুব সহজেই বুঝতে পারি। ফারুকের লেখা ধরে টান দিলে ব্যক্তি ফারুক চলে আসে, ফারুক এলে, তার স্ত্রী আসে, স্ত্রী এলে পাকিপন্থী ছি:নেমা মেহেরজান আসে, মেহেরজান এলে প্রথম আলো নামে পত্রিকা আসে, প্রথম আলো এলে কর্পোরেট জঙ্গিবাদ আসে, জঙ্গীবাদ এলে পাকিপন্থা আসে--সম্পর্কটা এই রকম, কান টানলে মাথা আসে। সঙ্গে রেহণুমারাও আসেন। এই ফারুকরা কোনো ব্যক্তি নয়--তারা একটা গ্যাং। আর তাদের লেখাটাও সেই গ্যাঙের গ্যানগ্যানানি। সুতরাং যারা ব্যক্তি ফারুককে কেন টানছেন, কেন ফারুকরে লগে তার স্ত্রীকেও টানছেন--বলে তড়পাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে আমি দ্বিমত ঘোষণা করছি। এই সমযে কোনো ব্যক্তি আর ব্যক্তি নেই। ব্যক্তিরাও বিষয়ে পরিণত হয়ে গেছে। ব্যক্তি তার বিষয়কর্ম থেকে আলাদা করতে চান--তারা আসলে এক ধরনের সুবিধাবাদকেই প্রশ্রয় দেন। আমি সকল প্রকার সুবিধাবাদের বিপক্ষে।
    এইটুকু লিখে খিদে লেগে গেল। খেয়ে নেই। তারপর আবারো বলার ইচ্ছে রাখি।
  • a | 208.240.243.170 | ০৮ জুন ২০১১ ২৩:৩২465541
  • গ্যঁড়ার লেখার আমি চিরকালই ফ্যান, এবারো ভালো লাগল।
    খালি কটা কথা, নিজের জানার ভিত্তিতে।

    ১। ডিফেন্সের নিজের খরচাপাতির হিসেবের জন্যে কিছু কিছু টুল বরাত দিয়ে বানিয়েছে, খুবই ইলাবোরেট কভারেজ সেসব টুলের। অনেক ভেন্ডর ইত্যাদি কাজ করছে। কিন্তু তার ব্যাবহার এখনো অত্যন্ত কম, আর মিনিস্ট্রির ভিতর থেকেও এই টুল ইউজ না করার জন্যে চাপ আছে, হিসেব গরমিলের ভয়ে।

    তবে, যেসব রেস্টিকশনের কথা গ্যঁড়া বলেছে সেসবই ঘটনা।

    ২। এনাইসি বেড়ে জায়্‌গা, বেশ ভালো কাজকম্মো হয়। কিন্তু, সব ডিপার্টমেন্ট সমান নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজের পরিধি খুব বড়, কিছু ক্ষেত্রে খুব স্লো adoption । আমি এমন ডিপারে্‌ট্‌মন্টে কাজ করেছি যারা ৫ বছর ধরে একটা ডাটা কালেকশন প্রসেস ঠিক করে বানিয়ে উঠতে পারেনি,

  • siki | 122.162.75.85 | ০৮ জুন ২০১১ ২৩:৩৯465542
  • অয়ন,

    এনাইসির ইমেল টিসিএসে ব্লক করা ছিল, ভাইরাস আসত বলে। :-)

    ডিফেন্সের অনেক কেচ্ছা, অনেক অ-নে-ক, সে-সব পরে কখনও বলা যাবে, গেঁড়ি যখন ডিফেন্স ছেড়ে অন্য কোনও মিনিস্ট্রিতে প্রমোটিত হবে, তখন। এখন কেচ্ছা ফাঁস কল্লে চাপ আছে :-)))
  • mita | 71.191.42.195 | ০৮ জুন ২০১১ ২৩:৪৫465543
  • উজান, তোমার পরিবেশ নিয়ে লেখা/আঁকা খুব ভালো লাগলো।
  • Netai | 182.64.70.171 | ০৯ জুন ২০১১ ০০:০১465544
  • ফারুক ওয়াসিফের অনুবাদ করা পারভেজ হুডবয়ের লেখা।

  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৯ জুন ২০১১ ০০:১০465545
  • মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই যারা বলেন--তারা অধিকাংশই পাকিস্তানী, ভারতীয়, চিনাপন্থী বিপ্লবী (ব্লগে এদেরকে চিনাবাদাম বলেছেন আমার বন্ধু নূরুজ্জামান মানিক, অসাধারণ শব্দনির্বাচন) এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার। পাকিস্তানীরা বাংলাদেশকে কখনো স্বীকার করতে চায়নি। তারা ৩০ লক্ষ মানুষ খুন করেও সাধের পাকিস্তানকে রক্ষা করতে চেয়েছিল। ভারতীয়রা আত্মগৌরবে মত্ত। তারা বাংলাদেশকে পোঁছেই না। তারা হলেন দাদাগীরির দাদা। তাদের কাছে আমরা হলাম হাদা। কিন্তু ঘটনাটা সত্যি নয়। এবং কিছু কিছু ভারতীয় যেমন শর্মিলা বোসরা তো পাকিস্তানের পয়সা খেয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাই হটিয়ে দিতে চাইছেন। আর আমাদের কল্লোলবাবুরা পাকিপন্থীদের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে বলছেন, আহা, আহা। তোমাগো ইলিশের তুলনা হয় না। তোমরাই সাচ্চা। তোমাগো বাতই সাচ্চা। আর কুলদা রায়রা হলের কাচ্চা।

    দাওয়াতটা খেলেন তো দাদা, আমগো ঈশ্বরদীর জসিমউদ্দন মণ্ডলের বাড়িতে খেলেন না কেন? জসিমউদ্দিন মণ্ডল--সেই পা-ফাটা দাদ-আটা জসিমউদ্দন মণ্ডল, একজন রেলশ্রমিক, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, সারাজীবন নিপীড়িত মানুষের জয়গান গেয়েছেন, রাজাকারদের গালি দিয়েছেন? বিরিয়ানি খাওয়ানোর সামর্থ্য তাঁর নাই। তাজুল ইসলামের বাসায় গেলেন না কেন কল্লোলদা, তাজুল ভাই মাস্টার ডিগ্রী পাশ করে বদলী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। তাকে সামরিক শাসকের গুণ্ডারা মেরে ফেলেছিল। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিবারের পোলাউ খাওয়ানোর পয়সা নাই।

    কল্লোলদা, সরদার ফজলুল করিমের সঙ্গে দেখা করলেন না কেন? তিনি আমাদের সরদার ভাই। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। চুয়ান্নতে নির্বাচন করে কম্যুনিস্ট হিসাবে মুসলিম লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এখনও লাঠি ভর দিয়ে হাঁটেন। আর বিপ্লবকে দেখেন। দেখেন বিপ্লব বেহাত হয়ে যায় নাই। বিপ্লবতো বেহাত হওয়ার জিনিস নয়গো দাদা। বিপ্লব ছেলের হাতের মোয়া নয় যে যে-কেউ তাকে বেহাত করতে পারে। সরদার ভাই দেখেন, যে দেশটি সাতচল্লিশে দ্বিজাতিঙ্কেÄর উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানরে সঙ্গে একখণ্ডে স্বাধীন হয়েছিল, বলেছিল লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান--সেই দেশটিই পাঁচ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে অস্থি-মজ্জায়-প্রাণে অস্বীকার বসে বসল? তারা বাঙালি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ কায়েম করে বসল। সরদার ভাই পাকিস্তান থেকে এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়েই বিপ্লবকে দেখেন। তিনি বলেন, যে মেয়েদের বোরকা পরে অন্দরে থাকার কথা--তারা বাংলাদেশের শহরে, গ্রামে দাবড়ে বেড়াচ্ছে পুরুষদের পাশাপাশি--তিনি দেখেন তাদের সঙ্গে বিপ্লব আছে। যখন রমণায় বটমূলে পয়লা বোশেখের ভোরে ছায়ানটের গান শুনতে সারা ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে পড়ে তিনি তখন বিপ্লবকেই দেখতে পান কল্লোলদা। আবার এই ছায়ানটের আসরেই জঙ্গীরা যখন গ্রনেড মেরে স্তব্ধ করে দিতে চায়--তখন, বোমা খেয়েও আবার সংগঠিত হয়ে সারা দেশে মানুষ পয়লা বোশেখকে প্রাণে ধারণ করে--তখন সরদার ফজলুল করিম বিপ্লবকে দেখেন, বলেন-এইতো বিপ্লব আছে।
    যখন পাকিপন্থায় একের পর এক ১৯৭৫ সালে, ১৯৮১ সালে সামরিক শাসক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে--তখন বাংলাদেশের মানুষ আয়ুব খানের মতই সেই সামরিক শাসনকে প্রত্যাখান করে--তখন সরদার ভাই দেখেন বিপ্লব আরও শক্তি পাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে যখন পাকিপন্থী বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতা থেকে ভোটের অস্ত্র দিয়ে ফেলে দেয় জনগণ, তখন সরদার ভাই, জসিম মণ্ডল, তাজুল ইসলামরা দেখতে পান--বিপ্লব আরও শক্তিশালী হচ্ছে। রেহণুমারা এই বিপ্লবকে দেখতে পান না। ফারুক ওয়াসিফরা এই বিপ্লবকে শুনতে পান না। তারা দেখেন--বিপ্লব মাও সেতুংয়ের বাগানে ফুটেছিল। সেই বিপ্লব বাঙালিরা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
    ফারুক ওয়াসিফদের কাগা মাও বাগানের ম্যাও নেতা ওরফে চিনাবাদাম আব্দুল হক ইয়াহিয়া বাহিনীর সঙ্গে মিলে মিশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিনি বাহাত্তরে পাকিস্তানে ভুট্টো সাহাবের কাছে পত্র লিখেছিলেন--কমরেড ভুট্টো, ট্যাকা দ্যান, আর্মস দ্যান--পেয়ারা পাকিস্তানকে পুনরুদ্ধার করি। পাকিস্তানের লগে পুনর্মিত্রতা করি। দেখেন, সেই ফারুক ওয়াসিফের স্ত্রী এই পাকিদের সঙ্গে পুনর্মিত্রতার ছি:নেমা তৈরি করেন, আর ফারুক ওয়াসিফ সেই পুনর্মিত্রতার প্রমোশনাল লেখেন। আর রেহণুমারা সাম্প্রদায়িক শক্তির মধ্যে সাম্রাজ্যবাদবিরোধীতা দেইখা ফাল পাড়েন। সেই ফালে কল্লোলদার মত এক্স চিনাবাদামরাও আহলাদে নৃত্য করেন কোরাস তোলেন--হায়রে, একাত্তরে বিপ্লব বেহাত হয়ে গেছে।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৯ জুন ২০১১ ০০:৩৩465547
  • কল্লোলদা, আপনারা পশ্চিমবঙ্গের লোকজন কখনো সত্যিকারের বিপ্লবকে দেখেননি। আমরা বাংলাদেশী বাঙালরা বিপ্লবকে দেখেছি। সরদার ভাই যেমন বিপ্লবকে রোজ দেখতে পান, বিপ্লব তার সমান বয়েসী হয়ে বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে হাঁটে--আমি হাজার হাজার মাইল দূরে বসে সেই সরদার ভাইয়ের পাশেই হাঁটি। আমি বিপ্লবকে দেখেছি। সরদারর ভাইয়ের সঙ্গে রোজই বিপ্লবকে দেখি। আমাদের বিপ্লব বেহাত হয়ে যায় নাই।

    আর যারা বিপ্লবকে বেহাত হতে দেখেছেন-সেই চিনাবাদারা কোথায় আছেন--যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে, জঙ্গীদের সঙ্গে, পাকিপন্থীদের সঙ্গে। তারা কেউই জসিমউদ্দিন মণ্ডল হননি, তাজুল ইসলাম হননি--সরদার ফজলুল করিম হননি। তারা ফরহাদ মজহার হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। একজন বিপ্লবী শূন্য থেকে কোটিপতি হয় কি করে? তার পরণে লুঙ্গি দেখে নিম্নবর্গ মনে করলে নিম্নবর্গের সংজ্ঞাটাই যে পাল্টে যায়।

    দৃকের শহীদুল ইসলামকে রিকশাওয়ালাদের ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে দেখলেই তাকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু নাইগো দাদা। মহাশ্বেতা দেবী তার দাওয়াত খেতে পারেন--আমরা পারি না। তিনি কে? এই কোটি কোটি টাকার উৎস বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে বিপ্লবী বলা দরকার--এই বিবেচনা বোধটি আমাদের মধ্যে কাজ করে, কাজ করে বলেই রেহণুমার মায়ের হাতের দাওয়াতে মুগ্‌ধ হওয়ার মতো বিবেচনা বোধকে হারাই না।
    আমি দু:খিত, আমি বাংলাদেশী বাঙাল বলেই আমার ভাষাটি বাঙালদের মত। কায়দা করে কপট ভাষায় কথা বলতে শিখিনি। শেখার ইচ্ছেও আমার নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন