এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুদিবস গুরু স্পেশাল

    Guruchandali
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০১০ | ২২৩৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • omega | 151.141.84.194 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:২০468693
  • ভাষা আসলে পারিপার্শ্বিকতার সাথে সম্পর্কিত। এটা যে যেখানে থাকে যে অবস্থায় থকে সেটার উপরে নির্ভর। যে ভাষা তাকে রাতদিন ব্যবহার করতে হয়, সমাজের নির্দেশে যে ভাষা তাকে লিখতে পড়তে হয়, সেটাই তার ভাষা।
    আমি যদি ছোটোবেলা থেকে থাকতাম ধরুন ব্রাজিলে, অবশ্যই পর্তুগীজে কথা কইতাম, বাপ মা বাঙালি বলে বাংলা শিখতে যাবো কেন? আমার আশেপাশে ইস্কুলে কালেজে সবাই কথা কইতো পর্তুগীজে লিখতো তাতে, আমি কোন দু:খে তা না করে থাকবো? ইংরেজি ও শিখতে হতো সেখানেও, তারও কারণ সামাজিক নির্দেশ।
    তারপরে আরেকটা উদা ধরুন। ধরুন ইতিহাস অন্যরকম ছিলো দেশ ভাগ হয় নি, জন্মেছি বাংলাদেশের বরিশালের এক গাঁয়ে। তো পবয়ের চিবুনো ভাষা তো তখন কইতাম না, কইতাম সেখানের প্রচলিত আঞ্চলিক ভাষা। ভাষা পারিপার্শ্বিকের ব্যাপার সমাজের ব্যাপার, জোর জার করে বাপমায়ের ভাষা শিখতে বাধ্য করা কোনো কাজের কথা নয়।

  • lcm | 128.48.44.141 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:২৩468694
  • অরণ্য ঠিক বলেছে। বাংলা/তামিল/হিন্দি/তেলুগু...বাবা-মা যে ভাষায় কথা বলে... তাতে কথা বলতে পারে... মোটামুটি কম্যুনিকেট করতে পারে... কিন্তু, গড়গড়িয়ে পড়তে বা লিখতে পারে এরকম দেখি না।

    নিউইয়র্ক-ই হোক আর ব্যাঙ্গালোর-ই হোক.... এটা প্র্যাক্টিক্যালি টাফ্‌...
    এক উপায় হল, রেগুলার পাবলিক/প্রাইভেট স্কুলিং বন্ধ করে, বাড়িতে হোম স্কুলিং করা...

    আর, লজ্জা... আইডিন্টিটি... এসব ফালতু কথা।
  • lcm | 128.48.44.141 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:২৭468695
  • টিম কিসব বলছে । বাংলা হেরে গেল কোথায়? রঞ্জি ট্রফি-তে? :-)
    বাংলা ভাষা তো বহাল তবিয়ৎ-এ আছে। বাংলাদেশে আছে, পশ্চিমবঙ্গে আছে, ত্রিপুরায় আছে - জিওগ্র্যাফিক্যালি ওখানেই তো থাকা উচিত - না কি?
    লজ্জা, দু:খ, আইডিন্টি ক্রাইসিস - কিস্যু নাই।
  • Tim | 198.82.27.149 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:৩৬468696
  • রঞ্জি ট্রফি এখনও উঠে যায়নি? অন্তত টোয়েন্টি-২০ হয়ে যায় নি? :-))

    নাহ্‌ তফাৎ থাকে। বাংলা ভাষা মানে শুধু তো একটা ভাষা না, সেটার সাথে জড়োয়ে থাকা অনেক শিকড়। সুতরাং তফাৎ ( যদি না খামতি বলি) থেকেই যায়। আরো একটা জায়গায় তফাৎ হয়। সেটা হলো কমিউনিকেশনের। মানে হওয়া উচিত বলেই মনে হয়।

    এবার, এগুলোর একটাও বিদেশে থেকে করা সম্ভব নয়। সুতরাং হাহুতাশ করে লাভ নেই।

  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:৩৭468697
  • ততিন, আমি একদিক থেকে ভাগ্যবান, মেয়েকে চাপ দিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু করাতে হয় নি - টিভি না দেখে রোজ সন্ধ্যায় দু ঘন্টা অংক করতে হবে বা সায়েন্স পড়তে হবে, এরকম কিছু। বাংলা শেখানোর কিছুটা চেষ্টা করেছি তো বটেই, নিজে শিখিয়েছি, মেয়ের দাদু শিখিয়েছেন - শিখেছে আর কিছুদিন পর ভুলে গেছে। বাংলা স্কুলে যেতে চায় নি, আমিও জোর করি নি, কারণ কেস স্টাডিটা অছিলা নয়, কেস স্টাডির সিদ্ধান্ত-টা খুব-ই যুক্তিযুক্ত - আমার মতে, এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুসরণ না করা বোকামী।

    আসল ব্যাপারটা আপনি ঠিক-ই ধরেছেন। বাংলা ভাষা নিয়ে আমার দশে সাত এইরকম মোটামুটি একটা আবেগ আছে, দশে দশের মত মারাত্মক আবেগ নেই। থাকলে পণ্ডশ্রম জেনেও হয়ত প্রতি রোববার অনিচ্ছুক মেয়েকে টানতে টানতে বাংলা ক্লাসে নিয়ে যেতাম।

    বাংলা লিখতে/পড়তে না পারলেও যদি ভাল একজন মানুষ হিসেবে মেয়ে বড় হয়ে ওঠে - যে অন্য মানুষ, পশুপাখী, পরিবেশ-কে ভালবাসে, তাহলেই আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।

  • rimi | 168.26.215.135 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:৪৯468698
  • আর বাংলায় লিখতে পড়তে জানলেই যে সে বাংলায় গল্প লিখতে পারবে বা চাইবে তার কোনো মানে নেই। এই আমি বুড়ো বয়সে, ইংরিজিতেই কথা, কাজকম্মো পড়াশুনো সবই চালাই, কিন্তু গল্প, কবিতা বা নিতান্ত মনের কথা লিখতে হলে বাংলাতেই লিখব। ইংরিজিতে লেখার কথা ভাবলে লেখার ইচ্ছেই চলে যায়।

    অর্থাৎ যে যে ভাষায় চিন্তা করতে অভ্যস্ত, তার সৃষ্টিশীলতা সেই ভাষাতেই সবচেয়ে স্বত:স্ফূর্ত।
  • sinfaut | 8.7.228.252 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:৫৩468699
  • "যে যে ভাষায় চিন্তা করতে অভ্যস্ত..." - এই নিয়ে বড় বিতর্ক আছে। চিন্তা করতে ভাষা লাগে নাকি ডেলা ডেলা চিহ্ন, গতি, সীমা হয়ে মাথার মধ্যি গজগজ করে, এইসব। বোবারা কী চিন্তা করে না?
  • sinfaut | 8.7.228.252 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০২:৫৬468700
  • তবে আধুনিক বাংলা সাহিত্য নিয়ে আকার পর্যালোচনাটি সাঙ্ঘাতিক!কেন যে মরতে এতজন এতকিছু লিখে গেল।
  • rimi | 168.26.215.135 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:০৪468701
  • চাপ দিয়ে কোনো কিছুই শেখানো যায় না, বা ভালোবাসা জাগানো যায় না।

    বাংলাকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে ছোটোদের বাংলা বইএর উপরে অনেক ভালো ভালো কাজ হওয়া দরকার। বাচ্চাদের যাই শেখাও দরকার মজার খেলা, মজার গল্প, মজার ছবি। বাংলায় সেসব নেই। আমি আমার ছেলেকে বাংলা ভালোবাসানোর জন্যে অনেক কিছু বানিয়েছি। কারুর যদি তর্ক করা ছাড়া সত্যিই পরের প্রজন্মের কাছে বাংলা পৌঁছে দেবার কাজ করতে ইচ্ছা হয় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারো।
  • lcm | 128.48.44.141 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:২২468385
  • বাংলা ভাষা/গান/সিনেমা/সংস্কৃতি... কি মরে গেছে? হেরে গেছে? উঠে গেছে? এই হাহাকার কিসের? কেন?
    বাঁচিয়ে রাখার প্রশ্নই বা উঠছে কেন?

    দিনে দিনে তো আরো বেড়ে চলেছে বাংলা চর্চা। বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা, বাংলা বই, গান, সিনেমা, নাটক, ওয়েব সাইট, ম্যাগাজিন, লোকশিল্প ... সবই তো বেড়ে চলেছে দিনে দিনে। (... অবশ্যই, বাংলাদেশে/ পশ্চিমবঙ্গে/ ত্রিপুরায়... যেখানে বাঙালীরা থাকে... সেখানে...)

    এই অকারণ আশংকাই শংকার কারণ :)
  • omega | 151.141.84.194 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:২৯468386
  • বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিপুরায় আর আর যেখানে যেখানে জম্পেশভাবে বাংলা আছে, সেখানে সেখানে ছেলেপিলেরা বাংলা চমৎকার শিখবে, ভালো ভালো ছবিওলা শিশুপাঠ বইপত্র না থাকলেও যা পাবে তাই পড়েই শিখবে। তিব্বতী গুহার ভয়ংকর বা মাসুদ রানা সিরিজ বা পিন্ডিদা ও উৎকোচেশ্বরী এইসব পড়বে ও মজা পাবে। যার হাতের কাছে আছে সে বঙ্কিম শরৎ শরদিন্দু সমরেশ বসু কি আতর্থী পড়তে শুরু করবে। বড় হয়ে কেউ কেউ নিজেরা কাব্যকবিতা গপ্পো লিখতেও শুরু করবে।

    প্রবাসী ছেলেপুলেদের এটা হবার সম্ভাবনা কম, খুবই কম। তারা কোন দু:খে চাপ নিতে যাবে যেখানে নিজের চারপাশের প্রতিদিনের ইস্কুল খেলা বাজার বন্দর জীবনে ভাষাটা প্রায় নেই? সেখানে যে ভাষা তাজা তারা সেইসব ভাষার বইপত্র পড়বে মজা পাবে শিখবে।

    এইরকমই তো হয় দুনিয়ায়।
  • Tim | 198.82.27.149 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:৩৫468387
  • ওমেগাকে ক।

    ল্যাদোষদাকে,
    আশংকারও দুইরকম হয়। দুপক্ষই দুপক্ষকে দেখে শংকিত হয়। ইত্যাদি। :-)
  • i | 137.157.8.253 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:৪৮468388
  • অরণ্যের কথা আমারও কথা। হুবহু একই অভিজ্ঞতা বলা চলে। শিশুদিবস সংখ্যায় আমার ১১ বছরের মেয়ের ইংরিজিতে লেখা বাংলায় অনূদিত হয়ে প্রকাশ পাক-সে চায় নি। নিজেই বলেছে বাংলায় লিখবে যখন তখনই বাংলা পত্রিকায় ছাপা হোক।
    সে অসম্ভব ঝরঝরে বাংলা বলে। যখন বাংলা বলে, একটি ইংরিজি শব্দের মিশেলও দিতে চায় না। বাংলাভাষা ভালোবেসেছে। ভাষার রসটি হৃদমাঝারে প্রবেশ করেছে-বুঝতে পারি।

    অথচ পড়তে ভুলে গেছে। ইংরিজি হরফে বাংলায় চিঠি লেখে-এই যেভাবে আমি টাইপ করছি এখন।
    বাংলা শেখানোর ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা আমি গুরুতে এবং অন্যত্র লিখেছি অনেকবার। তাই রিপিট করছি না। ভাষাকে ভালো না বাসলে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সে ভালোবাসা গুপি বাঘাকে ভালোবাসাও হতে পারে, দাদু দিদাকে ভালোবাসাও হতে পারে। রোব্বার রোব্বার বাংলা পড়ানোর ক্লাস চালু করেছিলাম চেনা পরিচিত বাচ্চাদের নিয়ে, কিছুদিন পরে দেখেছি তাদের বাবা মা অন্য ব্যাপারকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে-স্কুল উঠে গেল। বেঙ্গলি অ্যাসোশিয়েশনকে অনুরোধ করেছি বারেবারে একটু জায়্‌গার ব্যবস্থা করতে বড় করে স্কুল শুরু করতে পারি যাতে।।সে বিস্তারিত অন্যত্র লিখেছি-আর এখানে লিখব না।
    মোটের ওপর, আমার বেদনাবোধ আছে -গভীর বেদনাবোধ যে আমার মেয়ে হয়ত বাংলায় রবীন্দ্রনাথ পড়বে না, জীবনানান্দ পড়বে না।বাংলায় লিখবে কোনদিন? জানি না।
    তবে লজ্জিত নই। একথা বলতে পারি মাথা উঁচু করে।

    যাই হোক, শিশুদিবসের লেখাগুলি শুধু সোনা মনা ছুন্দর ছুন্দর করে সেরে দিলে হবে না। প্রতিটি লেখা আরো কিছু দাবি করে। সে সময় দিতে হবে আমাদের। শিগ্গিরি বিস্তারিত লিখব।
  • pi | 137.187.177.188 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৬:৩৮468389
  • আকাদা, সমস্ত আদিবাসীকে ছোট থেকে ইংরাজী শেখানো ( বা, না শিখে উপায় নেয়, এমনি পরিস্থিতি তৈরি করা), সেটা জোর না ?
  • i | 137.157.8.253 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৬:৪৫468390
  • তাতিনের ১২:২৫ এর পোস্টটি খুব ভাবায়।
    ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নিরিখে বলি-শিশুকালে রীতিমত জোর করেছি বাংলা শেখানো নিয়ে-তখন তো বলতই না বাংলা-জোর করাতে তোতলামি শুরু হয়ে গেল।
    ধীরে ধীরে উপলব্ধি করেছি, জোর করে হয় না। ভালোবাসাটা চারিয়ে দিতে হবে। আগের পোস্টে যে কথা লিখলাম।
    কিন্তু, সেক্ষেত্রেও দেখলাম ভালোবেসেও পড়তে পারছে না এখনও। সেটা পদ্ধতিতে ত্রুটি আমার। একা একা বাংলা শেখানো যাবে না ওভাবে। চারপাশে ইংরিজি কথা, ইংরিজি সিনেমা, ইংরিজি বই,ইংরিজি বলা বন্ধুরা...সমবয়সী অনেক বাচ্চা একসঙ্গে বাংলা বলছে পড়ছে-এই ব্যাপারটা পরবাসে বাংলা শেখায় সাহায্য করবে ভেবেছিলাম। সেই বিশ্বাস থেকেই স্কুলটা শুরু করা। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি লেখা। কিন্তু পারলাম না। স্কুল উঠে গেল। অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগ্রহী দুর্গাপুজো আর রবীন্দ্রপুজো নিয়ে।
    টিম যেমন বলেছেন-কোয়ান্টিফাই করা যায় না বলে বাংলা হেরে গেছে।তাই হয়তো।

    ওপার বাংলার বাঙালী যাঁরা বিদেশে আছেন-তাঁদের সমষ্টিগত উদ্যোগ ঈর্ষনীয়। স্কুল আছে। ওয়েবসাইটে বাংলা শেখানো হয়।আরো অনেক.. সেই সব ক্ষেত্রে পরের প্রজন্ম বাংলা কেমন পড়ছে, কেমন লিখছে-জানার ইচ্ছে রইল।
  • lcm | 128.48.44.141 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৭:০০468391
  • আমার প্রশ্ন অন্য।
    কোনো শিশু যখন অন্য দেশে/প্রদেশে বড় হচ্ছে, সেখানকার কালচার সংস্কৃতির মধ্যে মানুষ হচ্ছে তখন এসব না করলে কি ক্ষতি হয়? জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, শরদিন্দু .... এসব না জানলে কি হয়।
    পৃথিবীতে মোট ৬০০ কোটি মানুষের যে বিশাল সংখ্যক মানুষ এসবের স্বাদ পান নি - তারা কি কম সংস্কৃতিবান? নাকি তাদের ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি কিছুই নেই।

  • i | 137.157.8.253 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৭:১১468392
  • দেখুন, অধিকাংশ মানুষই বলবেন-যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবেন-বাংলা পড়ে কোনো লাভ নেই/ না পড়লে ক্ষতি নেই।
    কতিপয় মানুষ তা পারবেন না বলতে-তাঁরা সেভাবে যুক্তি দেবেন না, কোয়ান্টিফাই করবেন না-স্রেফ করা যায় না বলে। শিকড় আর আবেগ-যুক্তির জায়্‌গা নেই এখানে।
    এবার পসন্দ আপনা আপনি।
    আর ইয়ে...কেউই বোধ হয় ভাবছেন না বাকি বাংলা না জানা মানুষের সংস্কৃতির অভাব।
    এখানে যে যা বলছেন-ব্যক্তিগত অনুভূতি, অভিজ্ঞতা। এইটুকুই।
  • lcm | 128.48.44.141 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৭:২৪468393
  • ঠিক।
    কিন্তু আমার পার্সোন্যালি মনে হয় ব্যাপারটাই ইমপ্র্যাক্টিক্যাল, আবেগ বেশী। ধরা যাক, নেক্স্‌ট জেনারেশন-কে অনেক খেটেখুটে বাংলা শেখানো/ভালোবাসানো হল। কিন্তু, তারপরের জেনারেশন? তারা তো স্থানীয় ভাষা/সংস্কৃতি-র সাথে মিশে যাবেই। সেটাই তো নিয়ম।
    যদি সত্যিই কেউ চায়, যে, পরবর্তী প্রজন্ম বাংলা ভাষা/সংস্কৃতি শিখুক/ভালোবাসুক, তাহলে তাদের চলে যাওয়া উচিত বাংলায়।
  • i | 137.157.8.253 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৭:৪০468394
  • ফিরে যাওয়া আর একটা পদ্ধতি হিসেবে ভাবা যেতেই পারে। আবার সেই পসন্দ আপনা আপনি। আবেগের মাত্রা-অরণ্য যেখানে নিজেকে ১০এ ৭ দিয়েছেন, কে ১০এ কত দেবেন নিজেকে-তার ওপরে এই পদ্ধতিটি গ্রহণ বা বর্জন।
    তৃতীয় প্রজন্মে গিয়ে ঠিক কি হবে -কে কোথায় কিভাবে মিলে মিশে যাবে-সঠিক বলতে পারব না।
    আমার যেটা মনে হয়- আমি যা হারালাম, আর কেউ তা তুলে নিল বা পৌঁছে গেল/যায় তার কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবেই-আমাদের এই তক্ক, যুক্তিজাল, কুযুক্তি,চেষ্টা, তৎপরবর্তী অক্ষমতা, হতাশা ও হাহাকারের বাইরে, আমাদের অগোচরে খুব সূক্ষ্মভাবে । ব্যাটনের হাতবদল। ঠিকই হয়ে যায়। যাচ্ছে। যাবে।
  • byaang | 122.172.45.189 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৪২468396
  • বা:, ছোটো আইয়ের কথাগুলো খুব মনে ধরল।

    আর বাংলায় ০ থেকে ৫বছরের জন্য বই থাকবে না কেন? আছে, তবে সেই বইগুলো যে বাংলায় লেখা আমরা শহুরে মানুষরা সেই বাংলায় আজকাল আর কথা বলি না। আর সহজ পাঠ পেরিয়েই হাতে ফেলুদা ওঠে আর তারপরেই সুনীল এটাও মানতে পারলাম না। তার বাইরেও প্রচুর লেখা হচ্ছে এবং আরো উৎকৃষ্টমানের বই আছে, কথা হচ্ছে তুমি সেগুলোকে খুঁজে পেতে ছোটোদের মুখের সামনে এগিয়ে দিচ্ছ কিনা! ইংরাজি বইগুলো অনেক বেশি রঙ্‌চঙে, ছোটোদের আকৃষ্ট করার পক্ষে উপযুক্ত মানছি, কিন্তু একদমই যে বাংলা বই নিয়ে কাজ হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। মাঝখানে দোয়েল শুরু করেছিল, তারপর পারুল, লালমাটি এগিয়ে আসে সুন্দর সুন্দর রঙ্‌চঙে বই, ভালো কাগজ, ভালো ছাপা, ভালো ছবি, বইয়ের আকারও যথাযথ। বইগুলো যখন বেরোল প্রথম, লোভ সামলাতে না পেরে যাই বেরোত, কিনে ফেলতাম নেশাচ্ছন্নের মত। সংসদও খুব ভালো কাজ করছে, খুব যত্ন নিয়ে ছোটদের বইগুলো বার করছে। সুন্দর প্রচ্ছদ, সুন্দর অলংকরণ, যথাযথ ফন্টসাইজ। বইগুলো দেখলে সত্যি ই গর্ব হয়। কারণ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় ছোটদের বই নিয়ে এত ভাবনাচিন্তা হতে দেখি না। তবে সর্বভারতীয় ভাষায় ছোটোদের বইয়ের ক্ষেত্রে প্রথম বুকস এবং তুলিকা খুব ভালো কাজ করছে। বইগুলো দেখে এদেশে ছাপা বলে মনেই হয় না। কিন্তু দোয়েলের ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, প্রথম বুকসের ক্ষেত্রেও তাই ই দেখি অধিকাংশ মানুষ এদের নাম শোনেনই নি। এটা প্রকাশনীগুলোর ব্যর্থতা, প্রচারের অভাবে বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে না পৌঁছতে পারা।
    কিন্তু দেখ তো তোমরা, গুরুর শিশুদিবসের লেখাগুলো। ধরা যাক দিয়ার মাউপুষির গল্পটা। মনে হয় না কি গল্পটা ১ থেকে ৫বছরের জন্য একটা সার্থক গল্প। এর সাথে যদি আরো সুন্দর অলংকরণ দিয়ে এটা ছাপা যায়, ছোটরা এবং বড়রাও ওটা পড়তে মজা পাবে?
    অথবা বৃতির গল্পটা? সামান্য একটু তুলি-কলম বোলালেই খুব সুন্দর একটা গতিময় গল্প হয়ে দাঁড়াবে। যা আবারও ঐ ১থেকে ৫বছরকে আকর্ষণ করবে!
    এখন একদম কুচোগুলোর লেখা নিয়ে কথা বললাম, হাতে এখন আর বিশেষ সময় নেই, পরে এসে বাকি লেখাগুলো নিয়ে কথা বলব। কথা হচ্ছিল ছোটদের জন্য লেখা নিয়ে, তো সবাই একটু ভেবে দেখ না, ছোটদের জন্য ছোটদেরই লেখাগুলো কোনটা কতটা কী দাঁড়িয়েছে?
  • lcm | 69.236.169.74 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫৩468397
  • আহা! হারালাম কেন। পাওয়া-ও তো রয়েছে। নতুন জায়গার ভাষা, সংস্কৃতি... সেগুলো পাওয়া, সেগুলো থেকে আনন্দ গ্রহণ করা।
    রবীন্দ্রনাথ না পড়ে ডিকেন্স/টোয়েন পড়বে... জীবনানন্দ না পড়ে এডগার অ্যালেন পো পড়বে... তবলা/হার্মোনিয়াম না শিখে পিয়ানো/গীটার শিখবে... হিন্দুস্তানি না শিখে পাশ্চাত্য সঙ্গীত শিখবে... ওড়িশী/মনিপুরী না শিখে ব্যালে শিখবে... ক্রিকেট না খেলে বেসবল/রাগবি খেলবে...
    --- এতে তো হারনোর কিছু নেই। সবই তো পাওয়া।
  • byaang | 122.172.45.189 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫৯468398
  • আরেকটা কথা। বন্ধুদের জন্য, প্রতিবেশীদের জন্য, ইউনিভার্সিটির জন্য, সিভি লেখার জন্য ছোটরা যদি একাধিক ভাষা শিখতেই পারে, তবে দাদুভাই, মাসিমণি, ছোটকাকু এদের চিঠি লেখার জন্য আরো একটা ভাষা লিখতে, পড়তে শিখে নিলে অসুবিধে কোথায়? অক্ষরপরিচয়ের পরেও চর্চা থাকা বা না থাকার ক্ষেত্রে পরিবারের কিছুটা ভূমিকা বোধ হয় থেকেই যায়। আর সেই চর্চা যাতে থাকে, তার জন্যও কিন্তু খুব আকর্ষণীয় কিছু বাংলা বই পাওয়া যায় সহজ পাঠ-বর্ণপরিচয় ছাড়াও। খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব ছোটদের নয়, বড়দেরই। একটি বাঙালী ছেলে অন্য শহরের একটি ইস্কুলে, গল্প বলার ক্লাসে ঘোঁতন কোথায় গল্পটা নিজের মত করে অনুবাদ করে নিয়ে বলেছিল। ছেলেটির শিক্ষিকা এবং বন্ধুরা মুগ্‌ধ হয় এবং জানতে চায় কোন বই, কে লিখেছেন ইত্যাদি? এবং ছেলেটিকে অনুরোধ করে সে যেন ঐ আশ্চর্য্য বই থেকে রোজ একটা করে গল্প শোনায় তাদের। ছোট আই ঠিকই বলেছেন ব্যাটনের হাতবদল ঠিকই হয়ে যায়।
  • Samik | 122.162.75.97 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৯:১১468399
  • রিমি, আমাকে মেল করতে পারবে? মেল আইডি আছে কি তোমার কাছে?
  • Paramita | 122.172.47.14 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৩১468400
  • বিদেশে প্রথম অক্ষর পরিচয় হলে হবে না। ভারতবর্ষে থাকলে হলেও হতে পারে, সে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে হলেও। মানে বাংলা বই পড়ার অভ্যেস, লেখার অভ্যেস। এই যা বুঝলাম। এখনও অবধি আমার থিওরিকে অপ্রমাণ করার মত একটাও কেস(ব্যতিক্রম হলেও ঠিক আছে) পাই নি।

    ইংরেজির মিশেল না দিয়ে বলা, শোনা, বোঝা - এগুলো সম্ভব। অনেক বন্ধুর বাড়িতেই দেখেছি। বিশেষত: যাঁদের সঙ্গে আগের জেনেরেশন থাকেন বা প্রতি সামারে যাঁরা বাচ্চাদের নিয়ে দেশে মাস দুয়েক কাটিয়ে যান। এটা শুধুমাত্র ভাষার কতটা এক্সপোজার হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে - শুধু বাপ-মায়ের ব্যাকগ্রাউন্ড, সদিচ্ছা আর জোর করে হয় না।

    তবে আমি অত পিওরিস্ট নই। ছোটদের আধো আধো বুলিতে যে ইংরেজী শব্দের মিশেল চলবে, বড়রা লিখলে ট্যাঁশ বাংলা বলে হবে ঠিকই। কিন্তু পরিমিত ব্যবহারে ভাষার গতিময়তা ও তার সঙ্গে রিলেট করার সম্ভাবনা বাড়ে। ("রিলেট"এর চটজলদি বাংলা খুঁজে পেলাম না, কিন্তু খুব খারাপ শোনাচ্ছে কি এখানে?)। সেটাই বা কম কি?

    বিদেশে বড় হওয়া বাচ্চাদের কথা থাক। ওদের আইডেন্টিটির ডেফিনিশনও থাক। কলকাতা ও কলকাতার বাইরে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চাদের বাংলাভাষার অবস্থা কি রকম? টিন এজাররা ফেলুদা ইত্যাদি ছাড়া আর কিরকম বাংলা বই পড়ে? আমি যা দেখি তা কিন্তু খুব আশাপ্রদ নয়। তবে মফ:স্বলের সঙ্গে সংযোগ আমি হারিয়েছি, তাই সঠিক করে বলতে পারি না। সব মিলে কুড়ি বছর পর কি এমন হতে পারে যে "পিওরিটির" পিঠ চাপড়ানি তখনকার পঞ্চাশোর্ধরাই দেবেন ও পাবেন। বাকিরা স্বচ্ছন্দে সৃষ্টি করবেন এক নতুন বাংলাভাষা(গানের লিরিক বা কবিতা কি তার বাহক হবে?) আর জীবনানন্দ পড়বেন শুধু যাঁরা পরের লেভেলে গিয়ে বাংলাভাষার আরো গভীরে ঢুকতে চান, টাইম ট্র্যাভেল করতে চান, তাঁরাই। আই ডোন্ট মাইন্ড, অ্যাকচুয়ালি।
  • byaang | 122.172.45.189 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৩৪468401
  • আমি যখন ভাবি আমার ছেলে নিজের দুপুরবেলাগুলোকে অপুর দুপুরবেলার সাথে মিলিয়ে নিতে পারবে না, অথব ভোম্বল সর্দারের দস্যিপনার গল্প জানলে নিজেকে তার কাছে দেবতা বলে মনে হবে না, খুব দু:খ হয়। অথচ সে তো পড়ছে - উইলিয়ামের দস্যিপনার গল্পও পড়ছে, স্টিভেন্সনের কবিতাও পড়ছে, লিটল প্রিন্সও পড়ছে, ডায়মন্ড কমিক্সও পড়ছে আবার তাশি সিরিজও পড়ছে। নিজেকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করি, ও হয়তো ওর পারিপার্শ্বিককে ওর মত করে মিলিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু তখনই আচ্ছন্ন হই অন্য এক যুক্তিতে, ওগুলো যদি পড়তে পারছে, তাহলে এগুলো ই বা পারবে না কেন! না পারার কোনো কারণ দেখতে পাই না। নিজের মত করে চেষ্টা করি, যেমন রিমি করে, অরণ্য করে, আমরা সবাই ই হয়তো করি। আর তারপরে চমকে উঠি, আনন্দে লাফিয়ে উঠি, ছেলে যখন আঠেরোতলার উপর থেকে সন্ধ্যেবেলার শহর দেখতে দেখতে বলে ওঠে, - ""মা, একটা আকাশপিদিম লাগিয়ে দেবে, উপরের হুকটার থেকে?'' ফিকফিক করে হাসতে হাসতে বলে, ""যদি কেউ ভুল করে নেমে আসে, আমার উইশটা সত্যি সত্যি দিতে!''

    এতগুলো ভাষা তো শিখছে, আরো একটা না হলেও চলে, এই যুক্তি মোক্ষম। কিন্তু আরো একটা হলে হয়তো আমাদের সন্তানেরাই হয়ে উঠত আরো একটু সমৃদ্ধ, .....
  • byaang | 122.172.45.189 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫০468402
  • কোলকাতায় থাকা ছেলেমেয়েরাও হয়তো ফেলুদা ছাড়া কিছুইই পড়ে না। শুধু এখনকার কথাই নয়, আমাদের সময়েও পড়ত না। আমি ফেলুদা ছাড়াও আরো অনেক বই পড়েছি ঐ বয়সে। আমার ভাই ফেলুদা, টেনিদা ছাড়া আর কিচ্ছু ছুঁয়েও দেখে নি। আমার মামাতো বোন এদিকে সুনির্মল বসু, গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রমোহনের ছোটদের গল্প সব সব পড়েছে, আমার মাসতুতো বোন এদের নামই শোনে নি। অথচ আমার মামাতো বোন পড়ত ইংলিশ মিডিয়ামে, থাকত কোলকাতায়। আর আমার মাসতুতো বোন বোলপুর শহরে, পড়ত বাংলা মাধ্যমের স্কুলে। যে সাহিত্য পড়তে ভালোবাসবে, তার খিদে থাকবে, তাগিদ থাকবে আরো রসদ খুঁজে নেওয়ার, যে ভালোবাসবে না তাকে হাজার লোভ দেখিয়েও কিছু করা যাবে না। এটা তো ব্যক্তিগত ভালো লাগা বা না লাগার প্রশ্ন। কিন্তু ফেলুদা ছাড়া ছোটদের ভালো লাগার মত বাংলায় আর বই নেই, এটা ঠিক নয়। আর আমরা বড়রাই বা চেষ্টা করব না কেন আরো একটা অপ্‌শন তাদের সামনে রেখে দেওয়ার! আমি আমার সন্তানকে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে দেব, সে কোনটা বেছে নেবে, আলুভাজা না মোচার ঘন্ট, সে সেই জানে। কিন্তু তার আগে তো আমাকে রান্নাটা করতে হবে।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫৫468403
  • http://www.amazon.com/Very-Hungry-Caterpillar-Eric-Carle/dp/0399226907

    এটা আমার মতে ছোটদের বই। এরকম একটা বই বাঙলা ভাষায় থাকলে আমার কথা আমি ফিরিয়ে নেব। ইংরিজিতে এমন বই অসংখ্য।

    http://www.starfall.com/ এই সাইটটাও ঘুরে দেখতে বলব। সাইটের অ্যাকসেস সবার থাকে না। কিন্তু পদ্ধতি, নিত্যনতুন চিন্তা ভাবনা সেটাই লক্ষ্যণীয়। 'গোপাল অতি সুবোধ বালক' পড়ে জিটিভির যুগে কারুরই খুব লাভ হয় বলে মনে হয় না। চারিদিক রঙে ভরে গেল অথচ অক্ষর চেনার বেলায় সাদা কালো অনেক সময়েই না বোঝা যায় না এমন ছবি। এ দিয়ে কতদিন চলবে?

    পাই, জোর কিনা তা না করলে বোঝা সম্ভব নয়। যদি ধরে নিই জোর করেই ইংরিজি শেখানো হল, তা পেটের দায়ে, উন্নতির দায়ে অনেক কিছুই জোর করে করতে হয়। যেমন দাদু শরীর ভালো রাখতে কালমেঘের রস খেতেন।

    তাতিনকে একটা প্রশ্ন আছে, এই যে তাতিন লজ্জা টজ্জা দাবী করল, সেদিন বাইলিঙ্গুয়াল বাচ্ছাদের বাংলা ভাষার ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন করল, তা তাতিনকি একটিও বাইলিঙ্গুয়াল বাচ্ছাকে তার প্রধান ভাষার বাইরে অন্য ভাষা শেখানোর চেষ্টা করেছে? প্রশ্নটা এইজন্যই যে সমস্যাটা কোথায় সেটা কি জানা বা বোঝা আছে? যদি থাকে জানতে চাই।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ১০:০৩468404
  • এই টপিকটা তৃপবুভূ-র কম্পিটিটর।
  • byaang | 122.172.45.189 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ১০:০৪468405
  • হ্যাঁ আকা, আছে। এরিক কার্লের আঁকা হয়তো এই বইটায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। তার উপর টিভি চ্যানেলে এটার অ্যানিমেশনটা দেখানো হত। প্রথম বুকসের এরকমই একটা বাংলা বই আছে। টুপ টুপ টুপ, খুব সম্ভবত বইটার নাম। হিন্দিতে এই একই গল্প অনুবাদ করে নাম হয়েছে টপ টপ টপক। বললাম না, অনেক নতুন নতুন কাজ হচ্ছে। আমর বাবামা-রা যেহেতু নিজেরা খোঁজ রাখি না, তাই আমাদের ছেলেমেয়েরা এইসব বই হাতে পায় না। তবে হ্যাঁ তুমি যদি কাগজের গুনমানের কথা বল, ছাপার মানের কথা বল, উত্তরটা হল, না নেই। কিন্তু বইয়ের মূল পাঠ্যের মান খারাপ ইংরাজি বইয়ের থেকে এটা মানব না।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৮ নভেম্বর ২০১০ ১০:০৫468407
  • নিজের অভিজ্ঞতা বলি। প্রতি বছর শীতকাল অ্যানুয়াল পরীক্ষা হয়ে গেলে বাড়িতে শুরু হত ইংরেজি শেখানোর আখড়া। মানে ওই হোম স্কুলিং। এদিকে পাড়ায় ছেলেরা বল মেরে জানলার কাঁচ ফাটিয়ে দিচ্ছে। তার মাঝে আমি কান্না চেপে আলাদিন আর আশ্চর্য প্রদীপের কাহিনি ইংরেজিতে পড়ছেই। যেখানে মানে বুঝছি না গোব্দা ডিকশনারি ঘাঁটছি। পাস্ট পার্টিসিপল আর প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস মুখস্থ করে ফাটিয়ে দিচ্ছি। পুরো শীতকালটা কাটত এমন ইংরেজি নামক বিভীষিকা দিয়ে। মানে যদ্দিন না ক্লাস সিক্সে উঠলাম।

    ইংরেজি কথা বলতে শিখলাম ভালো করে যদুপুরে ক্যাম্পাসিঙের আগে। আর কেজো ইংরেজি লিখতে শেখা। তাই বলে কি এখন ইংরেজিতে গল্প লিখতে দিলে সাদা খাতা জমা দেব না? বাংলাতেও লিখতে পারি না সে অন্য কথা, কিন্তু পাকামো করে চাট্টি আঁকিবুকি কেটে আসতে পারব। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন