এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুদিবস গুরু স্পেশাল

    Guruchandali
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০১০ | ২২০২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 70.64.19.80 | ১৯ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫৯468541
  • অনেক দিন পরে গুরুতে এসে ছোটোদের লেখা পরে, বুক ভরে বাতাস নিলাম। ছ'শো রানে মাত্তর এক উইকেট ?
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৯ নভেম্বর ২০১০ ১১:২২468542
  • হায়, পাইদিদিও এ ফর অ্যাপল শেখে নাই। অ-এ অজগর শিখেই বড় হয়েছে।
  • Biplob Rahman | 202.164.213.4 | ১৯ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৩৯468543
  • ফটুক দেখলাম, এক পুঁচকেকে ঘিরা ফাজিল প্যাঁচারা বিতলামী কর্তাছে। এই পুঁচকে দেখি এক্কেরে বাঘের বাচ্চা! এত্তো ফটকা প্যাঁচারেও ডরায় না! লাইকাইলাম। খিকজ।
  • byaang | 122.172.0.100 | ১৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩৩468544
  • দুখে,
    ইন্দিরাদেবীর পুতুল নিয়ে বইটা দে'জ পাবলিশিং এর। প্রচ্ছদে বইটার নাম লেখা আছে - পুতুল পুতুল।
    মাঘ, ১৪০৪ এর পুনর্মুদ্রণ। প্রথম প্রকাশ ১৩৯১। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : ধীরেন শাসমল। প্রকাশক : সুভাষচন্দ্র দে, দে'জ পাবলিশিং, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জ্জী স্ট্রীট, কলকাতা ৭০০০৭৩।

  • ranjan roy | 122.168.56.196 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ০০:৪১468545
  • পাই,
    আমার মনে হয় বাআরা এই গল্পগুলো ছবিগুলো অন্য চোখে দেখবে, অন্য স্বাদ পাবে। সেটা আমরা কোন দিনই জানতে পারবো না। হয়তো চুপটি করে বসে ভাবতে ভাবতে যদি ছোটবেলার কোন ছবি, গন্ধ, রং মনে পড়ে তাহলে হয়তো-- খানিকটা---।
  • Raj | 115.117.140.32 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২১:৩৮468546
  • আজকে কচিগুলোর লেখা-আঁকা সবগুলো একসঙ্গে দেখলুম।

    এদের কাছে আমরা নেহাতই শিশু
  • i | 124.168.54.75 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০৫:১১468547
  • পাই,
    একদম ঠিক কথা। ওরা যা লিখেছে তা একদম স্বত:স্ফূর্ত -'সচেতন প্রয়াস' নয় একেবারেই। যেমন ধরো, দিয়ার মাউপুষির গল্পে-ও কি দৈনন্দিন, অদৈনন্দিন ভেবে লিখেছে? মাউপুষির গায়ে আকাশের রং লেগে নীল-দিদা মাউপুষি সেই ধুয়ে আবার সাদা মাউপুষি কোরে দিচ্ছে। সমালোচক যেহেতু বিবর্ণ বৃদ্ধ, তিনি তার ঘোলাটে চশমায় তাতে দৈনন্দিন, অদৈনন্দিনের দার্শনিকতা দেখছেন। নইলে তার চাকরি থাকে না।
    দিয়া, বৃতি, সাঁঝ ,অদ্রিজা, সাম্পান, উজান, মৈত্রেয় , মেঘ, ঋতভাষ যা লিখেছে, যা ভেবে/ না ভেবে লিখেছে-একেবারেই তাদের নিজস্ব ভুবন। সে জগৎ থেকে সমালোচক বহুদিন বহিষ্কৃত :)
  • byaang | 122.172.3.189 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০৮:২৫468548
  • সেদিন দিয়া, বৃতি আর সাম্পানের লেখা নিয়ে বলেছিলাম। আজ বাকি লেখাগুলো।
    প্রথমেই উজানের লেখা পরিব্রাজক বাঘের গল্প। গল্পটা পড়তে গিয়ে প্রথমেই চমকে গেছিলাম ""আচ্ছা, দাঁড়াও, দাঁড়াও, আমার একটা গল্প হচ্ছে'' এই লাইনটা পড়ে। আমরাও যদি এত সহজে এত স্বত:স্ফুর্তভাবে গল্প হওয়াতে পারতাম! গল্পের নায়ক টাইগারটি ইতিমধ্যেই লেখকের পরিবার যেসব জায়গায় বেড়াতে যায়, সেই সব জায়গা ঘুরে নিয়েছে এবং সে এক লহমায় লেখকের পরিবারকে অতিক্রম করে যায় শুধু একটি বাক্য দিয়ে, "আর আর ...... তোমরা সব জায়গায় যেতেও পারবে না, টাইগার ঘুরেছে সেই সব''। কি অনায়াসে লেখক ভাবতে পারে সাদা মেঘ গলে যায় না, কিন্তু কালো মেঘ গলে যায়! এরকম করে যদি কেউ আমাদের অনেক অনেক বছর আগেই বুঝিয়ে দিত, বৃষ্টি হওয়ার রহস্য! বিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছে শতগুণ বেড়ে যেত হয়তো!

    সাঁঝের লেখা পড়তে গিয়েও শুরুতেই একইভাবে চমকে যাই। গল্পের নায়ক "দরজা খুলে বাইরে এল। বাইরে এসে দ্যাখে কি, একটা বিশাল সমুদ্র''। চোখ বন্ধ করে ভাবার চেষ্টা করি একদিন রাতে দরজা খুলেই যদি দেখি দরজার বাইরে এক বিশাল সমুদ্র, অবাক হয়ে যাই সাঁঝের কল্পনাশক্তির ব্যাপ্তি দেখে। পিঁপড়ের গল্পটা পড়তে গিয়ে তো পরিষ্কার শুনতে পাই একটি কচি গলার আওয়াজ ""হ্যাঁরে হ্যাঁরে, তুই এরকম লাল কেন'' এত সাবলীল তার লেখা!

  • byaang | 122.172.159.192 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৩২468549
  • এবারে ওশান আর আগুনের গল্প। আবার প্রথমেই চমক। পেন্সিল না, ক্রেয়ন্স না, পেন্টব্রাশের ছবি এঁকে কমিক স্ট্রিপ ব্যবহার করার আইডিয়া চমকে দেয় আমাদের মত বুড়োদের।
    উজানের গল্পে এক অদ্ভুত যুক্তিজাল ছড়ানো গোটা লেখা জুড়ে। গল্পটায় কোনো কিছুই এমনি এমনি হচ্ছে না, যা কিছু ঘটছে, প্রত্যেকটা ঘটনার পিছনে একটা কারণ আছে। দেখুন প্রথম দুটো বাক্য! প্রথম বাক্যে বলা হচ্ছে সমুদ্রে আগুন লেগেছিল, দ্বিতীয় বাক্যে আগুন লাগার কারণ বলা আছে, সমুদ্রে এতটা জল ছিল না যা দিয়ে আগুন নেভানো যেত। আবর দেখুন পরের তিনটি বাক্য। তৃতীয় বাক্য হল ওশানে গাছ আছে। আর সেই গাছ কেন আছে, থাকার উপযোগিত কী, তা বলা আছে তার পরের বাক্যদুটোয়। পরের ফ্রেমটি দেখুন। একজন আওয়াজ শুনল। কেন আওয়াজ শুনল, না সে ওশানের কাছাকাছি ছিল। অথচ এই লেখায় শুধুই যে যুক্তি এবং তথ্য আছে তা না, ভারি দক্ষতায় কল্পনার মিশেলও দেওয়া আছে। আগুন নেভাতে কী লাগে? না, ফুলের রস, তেল, চিনি আর একটু ফল। হোয়েল শার্ক কেন পুরো ড্রিংকটা মুখে নিতে রাজি হল, কারণ সে সবচেয়ে বড় মাছ, তার মুখে যতটা ধরবে আরো কারো মুখে তো অতটা ধরবে না!!
    ছোটদের চিন্তা করার ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। কত সহজে, অনায়াসে তারা এরকম চিন্তা করতে পারে!
  • byaang | 122.172.159.192 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫৪468551
  • ঋতভাষের চিড়িয়াখানায় আজব ঘটনায় পুরো লেখা জুড়ে মিশে আছে লেখকের কল্পনার সাথে তার অকৃত্রিম মমত্ববোধ। একটা ছোট্ট মেয়ে উঁচু রেলিঙের ধার দিয়ে ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলো না বলে তার জন্য পাহাড় বানিয়ে দেওয়া। জলহস্তীর বাচ্চাদের লুকোচুরি খেলেতে সুবিধে করে দেওয়ার জন্য তাদের জন্য শ্যাওলার জঙ্গল বানিয়ে দেওয়া, একলা জিরাফের জন্য শুধু বন্ধুই নয়, খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া, বেচারি কুমীরের জন্য জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া। লেখক খুব ডিটেলে ভাবতে পারেন প্রতিটি জন্তুর কী কী সমস্যা হতে পারে আর ভারি সুন্দর করে তার সমাধানও করে দেন। খুব ভালো লাগলো লেখকের নরম মনটা দেখে। আর ঋতভাষের আঁকার কথাও আলাদা করে না বললে নয়। ভারি সুন্দর তার আঁকার হাত।

    ঊর্জার লেখাতেও একইরকম যত্নের ছোঁওয়া পাই। আর ডিটেলের দিকে তার নজর। প্রতিটি খুঁটিনাটি সে এত সুন্দর বর্ণনা করেছে, লেখাগুলো পড়তে গিয়ে যেন চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটতে দেখি। আবহ সৃষ্টিতে ঊর্জার জুড়ি মেলা ভার। ঊর্জাও তার লেখায় প্রতিটি ঘটনা কারণ দিয়ে, যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে, আর প্রতিটি গল্পের সাথে নীতিকথা আর ঊর্জার আঁকা ছবি এক অপূর্ব স্বাদ এনে দিয়েছে।
  • byaang | 122.172.159.192 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৫৬468552
  • ** আমার ৯:৩২ AM এর পোস্টে তৃতীয় লাইনে লিখতে চেয়েছিলাম পেন্টব্রাশে ছবি এঁকে কমিক স্ট্রিপে ব্যবহার করার আইডিয়া চমকে দেয় আমদের মত বুড়োদের।
  • byaang | 122.172.159.192 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১০:১২468553
  • অদ্রিজা আর মেঘবরণী দুজনের গল্পেই মা আছে সব সঙ্কট আর ভয়ের সমাধান করতে।
    ছোট্ট অদ্রিজার গল্পটা ভারি মিষ্টি। বন্ধুর সাথে ঝগড়া হলেও তার সমাধান করে দেয় মা, আবার কালো বিড়ালের গোল গোল চোখ দেখে ভয় পেলেও দৌড়ে এসে মায়ের পাশে শুয়ে পড়লেই, সকালে উঠে সেই কালো বিড়ালকেই দেখা যায় তিনটে বিড়ালছানার মা হিসাবে, তখন কত সহজে সেই মা বিড়ালকে বন্ধু করে নেওয়ার সাহস পাওয়া যায়।

    লিলির ভুল গল্পেও মেঘ তার গল্প বলার ধরণে আবহ সৃষ্টি করেছে ভারি সুন্দর করে। গল্প পড়তে পড়তে আমরাও একাত্ম হই লিলির সঙ্কটের সাথে, মাকে খুঁজে না পাওয়ার ভয় আর চিন্তা গ্রাস করে পাঠককেও। গল্পের শেষে গিয়ে পাঠক জানতে পারে লিলির ভুলটা কোথায় ছিল। পুরো গল্পটা জুড়ে ধরে রাখা সাসপেন্সের শেষ হয় একদম গল্পের শেষে।
  • Bratin | 117.194.96.173 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ২১:২৯468554
  • বাচ্ছা দের লেখা সব গল্প গুলো এত দিনে পড়লাম। সব কটা খুব ভালো লেগেছে। এত সহজ ভাবে ভাবতে বোধহয় ছোট্টরাই পারে। আমরা যত বড় হই তত ই আমাদের মনের সজীবতা হারিয়ে আর সেটাই ' শেষের শুরু" :-))
  • Guruchandali | 72.83.90.203 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ২৩:০৮468555
  • -------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    এবারের শিশুদিবস ইস্পেশালের এর জন্য আঁকা, লেখা পাঠিয়ে দিন , চটপট, ১০ তারিখের মধ্যে। এই দুই ঠিকানায় : [email protected], [email protected]
    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
  • Guruchandali | 72.83.90.203 | ০৭ নভেম্বর ২০১১ ০৫:৫৭468556
  • siki | 122.177.237.71 | ০৭ নভেম্বর ২০১১ ২২:২৫468557
  • হেঁইয়ো।
  • Guruchandali | 72.83.76.29 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২২:৪৬468558
  • তুলে দেওয়া হল, এবারের শিশুদিবস ইস্পেশালের লেখা আঁকা নিয়ে মতামত দেবার জন্য।
  • kk | 107.3.242.43 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:০২468559
  • শিশুদিবসের একটা ছবিও দেখতে পাচ্ছিনা কেন? :((
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:০৯468560
  • এটা কেন হল?! বলতে পারব না---শঙ্খর গল্পটা পড়ে চোখে এত জল এল কোথা থেকে :-০ !
    একটা অনুরোধ শঙ্খকে--দাদুভাইয়ের গল্প আরও শুনতে চাই--দুত্তেরি--স্ক্রীনটা কেন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে আমার-------
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:১২468562
  • ইক্কিরে বাবা--পোস্তালাম এখানে --গিয়ে পড়ল দুই জায়গায় ?:-০
    একটাও ছবি দেখতে পাচ্ছিনা --তাই পরে পড়ব আবার।
  • guruchandali | 122.177.237.71 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:২৭468563
  • প্রকাশিত হল আরও দুটি ছবির খাতা। তিতির আর মল্‌হারের।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:২৯468564
  • ছবিগুলো একটাও দেখা যাচ্ছে না।
    ফুটবলারের নাম থমাস গল্পটা ব্যপক, জাস্ট কোনো কথা হবে না। বিশেষ করে যেখানে তিনু নামের ছেলেটি থিমুর মরে যাওয়াকে একটুও পাত্তা না দিয়ে তাকে সমানে ফুটবল খেলতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে! অসাধারণ জীবনদর্শন.. চরেইবেতি। কিন্তু মৈত্রেয়বাবু এই গল্পের সঙ্গে কিছু ইলাসট্রেশনও দিলেন না কেন? সময় ছিল না?

    নিনাদির পোস্ট দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শঙ্খর লেখাটা পড়লাম। এটাও ভীষণ ভালো লাগল। কিন্তু এটার সঙ্গেই বা কোনো ছবি নেই কেন? পুরোনো বইএর সেই মেঘের ছবিটা কি আঁকা যেত না, শঙ্খ?

    বাকিগুলো এখনো পড়া হয় নি।
  • Guruchandali | 72.83.76.29 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৩১468565
  • ছবি ক্রমে আসিতেছে।
  • siki | 122.177.237.71 | ১৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৩৬468566
  • ছবি সব এসে গেছে। নীনাদি, দেখে নাও সব দেখা যাচ্ছে কিনা।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০২468567
  • সিকি
    ছবি দেখতে পাচ্ছি----তুষ্টুর টা দিয়ে শুরু করেছি :-)

    তুষ্টু লক্ষী মেয়ে --শুরু করে শেষ ও করে গপ্পগুলো!
    বার্থডে পার্টিটা খুব কিউট ----এখানেও একটা ছোট্ট ভুত আছে তার কাছেও অনেক ছোট ছোট হলুদ হাঁস আছে :-)
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০৪468568
  • মৈত্রেয়
    সাবাশ! একেবারে একঘর উইথ অ্যাটচড বাথ ---খুব সুন্দর লিখেছে ----ব্যাঙ ব্যাঙ গন্ধ আছে তর্কে ;-)
    ---আর আহা একটা থিমু যদি আমি পেতাম ---(থমাস হতে দিতাম না যদিও)
  • Tim | 198.82.23.40 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:৪৭468569
  • ছবিগুলো যাতারকমের ভালো হয়েছে। আলাদা করে আর কারুর নাম উল্লেখ করলাম না। মন ভালো করা ছবি প্রত্যেকটাই।
  • Tim | 198.82.23.40 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০১:০১468570
  • কুচোদের লেখা ব্যাপ্পক লাগলো। মৈত্রেয়, তুষ্টু, দিয়ার লেখা এখনই বেশ তরতরে। পরে নিশ্চই আরো অনেক ভালো লিখবে। আশায় রইলাম।
    বড়োদের লেখা নিয়ে কিছু বলবোনা। লেখার সাথে ছবি নিয়ে বলবো। পট্টর ছবি অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ এমন ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য।
    শঙ্খ করভৌমিকের গল্পে কোন ছবি নেই কেন?

    সায়ন করভৌমিকের কাছে যে ধরণের ইলাসট্রেশন আশা করি, এবার সেটা পেলাম। মান অনেক ভালো, বিশেষ করে যদি পুজো স্পেশালের সাথে তুলনা করি। এইরকম ছবি দেখতে পেলেই খুশি হবো। অভিনন্দন।

    সুমেরু মুখোপাধ্যায়ের ছবি, সেই একই কারণে অত ভালো লাগলো না। খুবই সাদামাটা যান্ত্রিক ছবি, কৃষ্ণকলির অনুবাদের সাথে আরেকটু ভালো ছবি আশা করেছিলাম।
  • kk | 107.3.242.43 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০১:১৮468571
  • আলো বাপ্পালো ! এত তাড়াতাড়ি এতগুলো ইস্পেশাল বেরিয়ে গেছে যে মতামত দিয়ে উঠতেই হিমসিম খাচ্ছি! তবু, শিশুদিবস ইস্পেশাল নিয়ে সবার আগে লিখবো। আর সব ফেলে। বাচ্চাদের লেখা বা আঁকা ব'লেই তাকে 'ছোনামোনা, খুব সুন্দর' বলে প্রিভিলেজ দেবার আমি পক্ষপাতী নই। ওদের শিল্পও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়া বা দেখা উচিৎ বলে মনে করি।

    প্রথমেই ছবির খাতা নিয়ে বলবো। আমি ছবি বিশারদ নই, টেকনিক তো কিছু জানিইনা। শুধু দেখার চোখ দিয়ে যেটুকু বুঝি তাই বলছি।
    মাত্র দশ বছর বয়সী তিতিরের তুলির টান, আলোছায়ার কাজ, প্যাস্টেলে রং মেলানোর স্টাইল দেখে অবাক হয়ে গেলাম! শুধু টেকনিকই নয়, তিতিরের শিল্পবোধও খুব বেশি। ছবি আঁকতে গেলে যে একটা ছবি দেখার (শুধু ছবি কেন কোনকিছুকেই দেখার) চোখও চাই, সেটা তিতিরের আছে। তুমি বড় হয়ে খুব ভালো আঁকিয়ে হবে তিতির।

    এবার মলহারের ছবি। মলহারের দুটো ছবিই আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রথম ছবিটায় দেবীর দুটো চোখ এক লাইনে না এঁকে একটু আলাদা দুটো লেভেলে আঁকার জন্য আর ঠোঁটের ঐ রকম শেপের জন্য একটা অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে, যেটা আর অন্য কোনভাবে আঁকলেই হতোনা। বড়দের দেখিয়ে দেওয়া বা বলে দেওয়া রাস্তা ফলো করে অনেক বাচ্চাই বেশ ভালো ছবি আঁকে, কিন্তু এই রকম ভাবে একটা ব্যক্তিত্ব, একটা স্পেশ্যাল মাত্রা নিয়ে আসা খুব সহজ কাজ নয়। নিজের মনের মধ্যে একজন ফুলগ্রোন শিল্পী না থাকলে এরকম পারেনা কেউ। দ্বিতীয় ছবিটাও অসাধারণ। এই ছবির টেকনিক দেখে আমি যাকে বলে 'মুগ্‌ধ বিস্ময়ে হতবাক'! কালো-কমলা-অল্প হলুদের ঐ ব্যাকগ্রাউন্ড, তাতে ভার্টিকাল, হরাইজোন্টাল দু'রকমই টান,তার ওপরে আঁচড় কেটে আঁকার মত বাকি ছবিটা .... একটা অদ্ভুত ডেপ্‌থ পুরো ছবিটায়।

    রু এর ছবির খাতায় আসি। আমি মুগ্‌ধ হলাম এই চার বছর বয়েসীটির এত চমৎকার নিজের মনের মধ্যে দেখা ছবিটাকে রেখায় প্রকাশ করার ক্ষমতা দেখে। আমি চার বছুরে অনেক বাচ্চাকেই দেখেছি ,কিন্তু এত স্পষ্ট আঁকার ক্ষমতা সবার নেই। রু মনে হয় সমুদ্রের তলার দুনিয়াটা খুব ভালোবাসো, তাই না? খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছো তোমার ভাবনা।
  • Tim | 198.82.23.40 | ১৫ নভেম্বর ২০১১ ০১:২৪468573
  • কৃষ্ণকলির লেখাটা অনুবাদ নয়, ভুল করে অনুবাদ লিখে ফেলেছিলাম। খেয়াল করি নাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন