এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুখ্যমন্ত্রী জোক্‌স

    siki
    অন্যান্য | ২৪ জুন ২০১১ | ৫৪৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 122.162.75.163 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:১৯478914
  • আমাদের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বকলম বিষয়ক এই জোকটা অনেক কাল আগে শুনেছিলাম। এই টই পড়ে মনে পড়ল। :)

    এক সাংবাদিক এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী "নাকি' অনেক জালি করেছেন বলে জনশ্রুতি। ওদিকে অন্য পক্ষের দাবী মুখ্যমন্ত্রীর নিজের "নাকি' কিছুই নেই।

    তা, সাংবাদিক জিগালেন -- এই যে প্রাসাদোপম বাড়ি, এটা কি?

    মুখ্যমন্ত্রী: বাড়ি তো আমার নয়। পার্টির।

    আর ঐ যে সম্পত্তি?

    মুখ্যমন্ত্রী: ওতো আমার নয়। আত্মীয়দের।

    এতো বড়ো ব্যবসা?

    মুখ্যমন্ত্রী: ওতো আমার নয়। ছেলের।

    এই যে ঘন ঘন সপুত্র বিদেশ ভ্রমণ?

    মুখ্যমন্ত্রী: ধুর। ও তো আমার নয়। সরকারের।

    সাংবাদিক খুব ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, -- কিন্তু আপনার এই যে অভিজাত যাপন? এই ত্বকের জেল্লা?

    মুখ্যমন্ত্রী বল্লেন, চামড়া? ধুর ওটাও আমার নয়। ওটা তো গন্ডারের। :)
  • Ishan | 117.194.33.85 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:২৬478925
  • সিকি এই বাজারে আমার বকলমে পোস্ট করে দিল? :)
  • Ishan | 117.194.33.85 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৩০478947
  • এখন গন্ডারদের তরফে তীব্র পিতিবাদ এলে দায়িত্ব সিকির। আগেই বলে দিলাম।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৩০478936
  • মুখ্যমন্ত্রী ( প্রক্তন) এসেছেন একটি স্কুলে প্রাইজ দিতে ----একটি ছেলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বল্ল

    জ্যেঠু, আপনাকে আমি রোল-মডেল করেছি জীবনের--

    মন্ত্রী: ভালকরে পড়াশোনা কর, উন্নতি কর জীবনে--ইত্যাদি

    কিছু বছর পর মন্ত্রী গেছেন একটি কলেজে প্রাইজ দিতে

    আবার সেই ছেলেটি এসে প্রাণাম করে বল্ল

    মামু, আমি কলেজেও ভাল রেজাল্ট করছি, আপনার আশীর্বাদে

    মন্ত্রী বল্লেন: তুমি আমাকে আগে জেঠু বলেছিলে , আজ মামু বলছ কেন?

    ছেলেটির উত্তর
    আমার বাবা তখন আপনাকে 'দাদা" বলতেন, আর এখন "শালা" বলেন যে :-((
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৩১478958
  • :-))
  • Sibu | 193.247.250.41 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৩৪478969
  • এখন কি আমরা নীনার জোকটা মাসী বলে বলব?
  • Tim | 198.82.21.76 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৩৫478980
  • তীইব্র পোতিবাদ। গন্ডারদের তরফে (বকলমে)।
  • Ishan | 117.194.33.85 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৪২478991
  • এই যে শুরু হয়ে গেল। আগেই জান্তাম। :)
  • nyara | 203.99.254.216 | ২৪ জুন ২০১১ ২২:৪৫479002
  • টিম গন্ডার নাকি? মুখ্যমন্ত্রী হবে? এসেমেস-টা কি এখনই পাঠিয়ে রাখব?
  • dd | 122.167.29.23 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:০১478915
  • হাসিনা আর মুখ্যমন্ত্রীর গপ্পো তো সবাই জানেন। এটা শুনেছেন?

    করিনা কাপুর : হ্যালো স্যার। আমি করিণা।
    মু ম : আরে: , আমিও না। আমার কতোটা বয়স হলো, খ্যাল আছে?

    : আমার ব মাউসে অন্যের লেখার দায়িত্ব আমি নিতে অপারগ। ইতি আমি
  • Binary | 198.169.6.50 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:১৩478916
  • এটা মনে হয় অনেকের জানা :-

    ময়দানে প্রাত:ভ্রমন রত মু ম। গান্ধী স্ট্যাচু হাতছানি দিয়ে ডেকে

    -- মু ম হয়েছিস, বড়দের সম্মান কতে শেখ, আমায় দাঁড়া করিয়ে রেখেছিস ? একটা ঘোড়ার ব্যবস্থা করবি বাপধন ?

    মু ম, বেজায় ঘাবড়ে গিয়ে এক দৌড়ে ক্রীড়া মন্ত্রীর বাড়ি।

    মু ম : (হাপাতে হাপাতে), গান্ধি মুর্তি কথা বলে
    ক্রী ম: ধুর, বাজে ভাটাবেন না
    মু ম: দেখবি চ ...

    দুজনায় ময়দানে, গান্ধী মুর্তি-র কাছে,

    গান্ধী : (মু ম কে উদ্দেশ্য করে) 'তরে একটা ঘোড়া আনতে কইলাম, তুই এক্টা খচ্চর নিয়ে এলি বাপ ?'
  • Sibu | 193.247.250.41 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:১৬478917
  • না না, গান্ধী বলেছিল, সুভাষকে তোরা একটা ঘোড়া দিলি, আর আমাকে দাঁড় করিয়ে রখলি?
  • siki | 122.162.75.163 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:৩৪478918
  • বাইনারি পুরো শর্টহ্যান্ডে ছেড়ে দিল। খেলিয়ে না বললে জোকসের মর্যাদা থাকে না :)

    জ্যোতি বসু ময়দানে প্রাতর্ভ্রমণ করছেন। একদিন শুনলেন, পেছন থেকে কেউ ডাকছে, জ্যোতি, অ জ্যোতি।

    জ্যোতি বসু চমকে পেছন ফিরে তাকালেন। দেখলেন, ডাকটা আসছে গান্ধিমূর্তি থেকে। গান্ধিজী ডাকছেন।

    জ্যোতি বসু কমিউনিস্ট মানুষ, ভূত বা ভগবানের বিশ্বাস করেন না, তাই সাহস করে এগিয়ে গেলেন মূর্তির কাছে। কেউ হয় তো পেছনে লুকিয়ে বাঁদরামো করছে।

    কিন্তু না! কাছে গিয়ে শোনেন, গান্ধিমূর্তির ভেতর থেকে কথা বেরিয়ে আসছে: তোরা শ্যামবাজারের মোড়ে সুভাষকে একটা ঘোড়া দিলি, আর আমাকে বছরের পর বছর ধরে এইখানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিস শুধু একটা লাঠি দিয়ে, আমি বুড়ো মানুষ, আমারও তো বসতে ইচ্ছে করে! দ্যাখ না, আমার জন্যেও একটা ঘোড়ার ব্যবস্থা করতে পারিস কিনা।

    জ্যোতি বসু তখন স্যাঙ্গুইন, আগের রাতে নিশ্চয়ই ঘুম ঠিক হয় নি, অথবা শিবা-শৃগালের মাত্রাটা বেশি হয়ে গেছিল, মর্নিংওয়াকে এসে ঘুমের ঘোরে ভুলভাল কিছু শুনছেন।

    সেদিনকার মত চলে গেলেন জ্যোতি বসু।

    পরদিন আবার এসেছেন, এবার ভাল করে ঘুমিয়ে। আগের রাতে পানটানও তেমন করেন নি। কিন্তু যেই গান্ধিমূর্তির কাছে এসেছেন, আবার মূর্তি কথা বলে উঠল, জ্যোতি, অ জ্যোতি, তোরা সুভাষকে ঘোড়া দিলি, আমাকেও একটা ঘোড়া দে না, আর কতকাল দাঁড়িয়ে থাকব?

    জ্যোতি বসু এবার উত্তেজিত হয়ে ছুটতে ছুটতে গেলেন যতীন চক্রবর্তীর কাছে। সব খুলে বললেন, যতীন যতীন, এই হয়েছে, ঐ হয়েছে।

    যতীন চক্কোত্তিও বড় কমিউনিস্ট। তিনি বললেন, ধুর মশাই, কী শুনতে কী শুনেছেন, মূর্তি আবার কথা বলে নাকি?

    তর্কে না-পেরে জ্যোতি শেষমেশ ধরে বসলেন যতীন চক্কোত্তিকে, আপনি বরং কাল সকালে আমার সঙ্গে চলুন, গিয়ে নিজের কানেই শুনে আসুন, মূর্তি কথা বলছে কিনা।

    অগত্যা, পরদিন জ্যোতি আর যতীন, দুজনেই গেলেন ময়দানে, মর্নিং ওয়াকে। সেদিন গান্ধিমূর্তি একেবারে চুপ। কোনও কথা নেই, কিছুই নেই। অ্যাজ ইউজুয়াল। দুজনে মিলে মূর্তির সামনে দিয়ে অনেকবর চক্কর কাটলেন, মূর্তি কথাই বলে না।

    যতীন চক্কোত্তি প্রভূত খিল্লি করে সেদিনকার মত বিদায় নিলেন। জ্যোতি বসু একা ফিরে এলেন ময়দানে। আবার শোনেন, গান্ধিমূর্তি কথা বলছে, জ্যোতি, অ জ্যোতি, তোরা সুভাষকে ঘোড়া দিলি ...

    এবার জ্যোতি বসু খিঁচিয়ে উঠলেন, আপনাকে ঘেঁচু দেবো। যতীনকে নিয়ে এলাম, শোনাবার জন্যে, আপনি কথাও বললেন না, ও তো আমায় মিথ্যেবাদী ভাবল, চলে গেল, এখন আলিমুদ্দিনে গিয়ে তো আমার নামে মজা ওড়াবে ...

    গান্ধিমূত্রি থেকে আওয়াজ বেরলো, জ্যোতি, অ জ্যোতি, আমি তো ঘোড়া চেয়েছিলুম, তুই খচ্চর নিয়ে এলি কেন? তাই তো আমি রাগ করে কথা বল্লুম না ...
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:৪০478919
  • এমা :-(( সিকি
    জ্যাকি চক্কোত্তিকে খচ্চর বল্ল! ওনাকে শুধু এলবো চক্কোত্তি বলা হত
  • siki | 122.162.75.163 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:৫১478920
  • দাদু মুখ্যমন্ত্রী, সারাদিনমান রাইটার্সে কাটান। ছুতির দিনেও আলিমুদ্দিনে যান, নাতনীদের সঙ্গে একেবারে সময় কাটাতে পারেন না। চন্দনের দুই মেয়ে স্কুলে যায়, দ্যাখে তাদের বান্ধবীদের দাদুরা প্রায়ই আসেন নাতনীদের স্কুল থেকে নিতে, শোনে, ছুটির দিনে তারা তাদের দাদু ঠাম্মার সঙ্গে চিড়িয়াখানা বেড়াতে যায়, যাদুঘরে যায়, ম্যাজিক দেখতে যায়, আর তাদের বেলায় কেবল ঠাণ্ডাগাড়ি আর শফার যায়, স্কুলে পৌঁছে দেয়, স্কুল থেকে নিয়ে আসে। দাদু রাতে যখন ফেরে তখন তারা ঘুমিয়ে পড়ে।

    এই অনাচার চলতে চলতে একদিন তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করল। দাদু রাত সাড়ে দশটায় আলিমুদ্দিন থেকে ফিরে দ্যাখেন, বাইরের ঘরে মুখ ভার করে দুই নাতনী বসে আছে। দাদু অবাক, এ কী দিদিভাই, তোমরা ঘুমোও নি?

    রাগত নাতনী: শুধু ঘুমোই নি, তাই নয়, আমরা খাইও নি। আজ আমরা তোমার সঙ্গে চিড়িয়াখানা যাব, ম্যাজিক দেখব, যাদুঘর দেখব, তারপরে একসঙ্গে খাবো, তারপরে ঘুমোতে যাব। সবার দাদুরা তাদের নাতিনাতনিদের নিয়ে এই করে সেই করে, তুমি কোনওদিন আমাদের নিয়ে কোথাও যাও নি, আজ আমরা তাই বিপ্লব বিদ্রোহ করেছি।

    নাতনীরা দাদুর বড় আদরের। দাদু প্রমাদ গণলেন। দ্যাখো দিদিভাই, এখন তো অনেক রাত হয়েছে, এখন চিড়িয়াখানাও খোলা নেই, যাদুঘরও খোলা নেই, এক কাজ করো, আজ তোমরা আমার সঙ্গে খেয়ে নাও, আমি কথা দিচ্ছি, পরের পরের রবিবার আমি তোমাদের চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যাব।

    নাতনিরা ও সব টোপ খেতে অভ্যস্ত নয়, কোনও কথা শুনব না। আজ চিড়িয়াখানা যাবো, যাদুঘর যাবো, ম্যাজিক দেখব, তারপর খাবো, তারপর ঘুমোব। নইলে খাবোও না, ঘুমোবও না।

    বিপন্ন দাদু দেখলেন, কোনও উপায় নেই। ছোটো ছোটো নাতনিদের কিছু উপায়ে শান্ত করতেই হবে।

    রাত তখন এগারোটা। ফোন লাগালেন বালিগঞ্জ রোডের একটা বাড়িতে।

    পি সি সরকার জুনিয়র তখন সবে শুয়েছিলেন। ফোন পেয়ে ধরলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। জ্যোতি বসু ফোনে সমস্ত বললেন, বলে অনুরোধ করলেন, প্রদীপ, তুমি ভাই কোনওরকমে আমাকে বাঁচাও, যা হোক কিছু করো।

    পি সি সরকার বললেন, ঠিক আছে, ফোনটা আপনার বড় নাতনীকে দিন, আমি কথা বলব।

    বড় নাতনি ফোন ধরেই নাচতে লাগল, পিসি কাকু পিসি কাকু, আমরা তোমার ম্যাজিক দেখব, তারপরে চিড়িয়াখানা যাবো, তারপরে যাদুঘর দেখব ...

    ওদের থামিয়ে দিলেন জাদুকর, তোমরা লক্ষ্মী মেয়ে, আমার কথা শোনো। আমি আর আধঘণ্টার মধ্যে আমার ম্যাজিকের জিনিস নিয়ে তোমাদের বাড়ি পৌঁছচ্ছি, কিন্তু তার মধ্যে তোমরা দুজনেই লক্ষ্মী মেয়ের মতো খেয়ে নেবে। আমি তোমাদের ম্যাজিক দেখাবো যতক্ষণ না তোমাদের ঘুম আসে। আর চিড়িয়াখানা যাদুঘর, সব হবে পরের শনিবার, আমিও তোমাদের সঙ্গে যাবো। রাজি থাকো তো বলো, আমি এক্ষুনি বেরোচ্ছি। কথা না শুনলে কিন্তু যাবো না।

    নাতনীরা মহাখুশি। তাই সই। রাজি।

    পি সি সরকার এলেন ঠিক আধঘণ্টা পর, ততক্ষণে নাতনিরা খেয়ে দেয়ে রেডি। পি সি সরকার ম্যাজিক শুরু করলেন, একটা জাগে জল, গ্লাসে ঢেলে, খেয়ে দ্যাখো, হে-হে, অন্যরকম টেস্ট না? এটা পঞ্জাবের জল। আবার একটা গ্লাসে ঢেলে, এইবার খেয়ে দ্যাখো, টেস্টটা পাল্টে গেছে না? এটা কেরালার জল ... এই খেলাটার নাম ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া, এই খেলাটা আমি জাপান থেকে শিখেছি।

    ... টুপির মধ্যে ডিম, রুমাল দিয়ে ঢেকে, হোকাস ফোকাস গিলি গিলি গে ... রুমাল সরালাম, এই দ্যাখো, মুরগির ছানা বেরিয়ে গেছে। এই খেলাটা আমি সুইজারল্যান্ড থেকে শিখেছি।

    ... এই করতে করতে অনেক রাত হয়েছে। সবার চোখ ঘুমে বুজে আসছে। মওকা বুঝে পি সি সরকার বললেন, এইবার আমি দ্যাখাবো আমার আজকের শেষ ম্যাজিক। তারপরে সবাই ঘুমোতে যাবো। ওকে?

    ওকে।
  • siki | 122.162.75.163 | ২৪ জুন ২০১১ ২৩:৫৬478921
  • একটা ব্যালট বাক্স এল। জাদুকর বললেন, এই ... তোমাদের আমি দুজনকে দুটো কাগজ দিলাম, তোমরা এর মধ্যে যে কোনও পার্টির নাম লিখে বাক্সের মধ্যে ফেলে দাও, আমি না দেখে বলে দেবো, কে কোন পার্টির নামে ভোট দিয়েছো।

    দুই নাতনী সাদা কাগজ নিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে শলাপরামর্শ করছে, দ্যাখ, পিসিকাকু তো জানে আমাদের দাদু সিপিএম করে, তাই ভেবেছে আমরা নিশ্চয়ই সিপিএমের নাম লিখব কাগজে। কিন্তু আমরা তা করব না, তুই লেখ বিজেপি, আমি লিখব কংগ্রেস।

    তাই লিখে দুই নাতনী কাগজ ভাঁজ করে ব্যালট বক্সে ঢুকিয়ে দিল।

    পি সি সরকার খানিকক্ষণ বাক্সের ওপর হত ঘুরিয়ে হোকাস পোকাস করে বললেন, তোমরা দুজনেই সিপিএমকে ভোট দিয়েছো।

    হাততালি দিয়ে উঠল দুই কন্যে, হয় নি হয় নি, আমরা জানতাম তুমি সিপিএম বলবে, আমরা কেউই সিপিএম লিখি নি। হয় নি হয় নি।

    পি সি সরকার সামান্য বিব্রত, হয় নি? আচ্ছা, খুলেই দেখা যাক!

    ব্যালট বাক্স খোলা হল। ভেতর থেকে বেরলো দুটো ভাঁজ করা কাগজ। খোলা হল। দুটোতেই লেখা "সিপিএম'।

    পি সি সরকার হাসলেন তাঁর ভুবনভোলানো হাসি। এই ম্যাজিকটা আমি তোমার দাদুর কাছ থেকে শিখেছি।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:০১478922
  • :-))))))) এইটা ব্যপক।
  • Binary | 198.169.6.50 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:১৫478923
  • আরে জানো না মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সবচেয়ে জোড়দার জোকস, নচিকেতা লিকেচে ?
  • siki | 122.162.75.163 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:১৬478926
  • বাইনারি, হোক হোক।
  • siki | 122.162.75.163 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:১৬478924
  • একটি ছেলের কঠিন আমাশা হয়েছে। বেশি নয়, এই সাত আট বছর বয়েস হবে। দুবেলা পেট ভরে খাবার জোটে না। বাপ নেই, মা পাঁচবাড়ি কাজ করে খাবার পয়সা জোটায়। থাকে বস্তিতে।

    ছেলের অবস্থা খুউব খারাপ। কলকাতা শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল তাদের সীমিত শক্তি দিয়ে সমস্ত চেষ্টা করল, ছেলের পায়খানা আর বন্ধ হয় না, জলের মত হয়ে চলেছে, ছেলে ক্রমশ নেতিয়ে পড়ছে, আর বোধ হয় বেশিক্ষণ বাঁচবে না ছেলেটা।

    স্বামীপরিত্যক্তা অসহায় মায়ের একমাত্র সম্বল ঐ ছেলে। হাউমাউ করে কাঁদছেন মহিলা, ভ্যানরিক্সায় চাপিয়ে সারা কলকাতার হাসপাতালে হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে ঘুরছেন, কেউ আশা জাগাতে পারছেন না, সবাই ফিরিয়ে দিচ্ছেন। দেহের সমস্ত রক্ত যেন জল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ছেলের। হাত নড়ছে না, চোখ উল্টে গেছে, কেবল নাড়িটা চলছে।

    অনেক রাতে, সব জায়গা থেকে ঠেলা খেয়ে তিনি ছেলেকে নিয়ে আছড়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গেটে।

    মুখ্যমন্ত্রী তখন সবে শিবা-শৃগালের দৈনিক কোটা কমপ্লিট করে শুতে গেছেন। মেন গেটে এক মেহনতী নারীর আর্তকান্না শুনে তিনি বেরিয়ে এলেন। -- কী হয়েছে?

    মহিলা সব বললেন, সমস্ত জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যানের কাহিনিও। বললেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের ভগবান, আপনিই পারেন আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে। ও ছাড়া আমার আর কেউ নেই, ও যদি না বাঁচে আমি এইখানেই আজ রাতে বিষ খাব ...

    মুখ্যমন্ত্রী বিচলিত হলেন। এ কী বাজে ব্যাপার? নাড়ি ধরে দেখলেন, ছেলেটা তখনও বেঁচে, নিম্নাঙ্গ দিয়ে সমানে জলের মত কিছু বেরিয়ে চলেছে, ধরছে না।

    মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এক মিনিট দাঁড়ান, আমি আসছি। ঘরের ভেতর ঢুকলেন, এবং বেরিয়ে এলেন একটা লাল শালু কাপড় নিয়ে। কাপড়টা ছেলেটার পেটে কষে বেঁধে দিলেন, ছেলেটার মাথা নিলেন নিজের কোলে। আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন, পরম মমতায়।

    আশ্চর্য ব্যাপার, শহরের সমস্ত হাসপাতাল যা পারে নি, তাই যেন হতে লাগল মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহস্পর্শে। প্রথমে সেই জলের মত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেল আস্তে আস্তে, ভোরের দিকে ছেলেটির হাতে পায়ে সাড় এল, এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ছেলেটি চোখ চেয়ে উঠে বসল।

    তার মা প্রকৃত অর্থে বিহ্বল। ইনি তো সাধারণ মানুষ না, ইনি ভগবান। সত্যি ভগবান। কীভাবে পারলেন?

    রাত জেগে ক্লান্ত মুখ্যমন্ত্রী মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে হাত নাড়ালেন, ও এমন কিছু ব্যাপার নয়। লাল ঝাণ্ডা দিয়ে রাজ্যের কত বড় বড় কলকারখানা বন্ধ করে দিলাম, আর একটা ছোটো ছেলের পায়খানা বন্ধ করা কী এমন কাজ?
  • dd | 122.167.31.35 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:২৪478927
  • সিকি তো নিতান্তো ছেলেমানুষ, (নিজের চক্ষেই দেখিছি,পরিষ্কার, একেবারে সামনা সামনি)।

    এগজ্যাক্টলি এই জোকটাই, হুবহু, মানে ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড, শুনেছি প্রফুল্ল সেনের নামে। সম বয়সী তরুনেরা (রঞ্জন গোছের),আপুনেরাও শুনেছিলেন? হ্যাঁ ?

    আমীর খান না কে জানি কয়েছিলেন "সেই ট্র্যাডিশন লা ডি ডা ডা"। সেটাই দেখছি।
  • Binary | 198.169.6.50 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:২৫478928
  • আরে জ্যোতি বাবু চুলকাটাতে গেছেন। সেই সময়, যখন বত্তমান মু:ম:-র অগ্নিকন্যা রূপে আবির্ভাব।

    তো, নাপতে জ্যোতি বাবুর কানের কাছে ,' মমতা, মমতা' বলে চলেছে ফিস ফিস করে আর, কাঁচি-ও চালাচ্ছে।

    শেষে জ্যোতি বাবু আর থাকতে না পেরে, খেঁকিয়ে উঠলেন, 'আনে কাছে কি বিড়বিড় কচ্ছো, হে ?'

    নাপতে বলে, 'বাবু, মমতা মমতা বল্লে আফনের চুল গুলান খাড়াইতেছে, কাইটতে সুবিধা'।

    তবে এটা নচিকেতার নয়, নচি'র টা সত্যি।

    --'তুমি আসবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেল স্ত্রীর গালে'। শোনোনি ? গানটা ?
  • Binary | 198.169.6.50 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:২৬478929
  • * কানের
  • Tim | 198.82.21.76 | ২৫ জুন ২০১১ ০০:৪৬478930
  • বকলম দিলাম তো। ক্ষি কেলো!
  • til | 124.169.20.209 | ২৫ জুন ২০১১ ০৩:৫২478931
  • এইটাই সত্যিকারের নির্মল আনন্দের টই। মর্ণিং কফি নেভার টেষ্টেদ সো গুড (বিগ ডি)
  • Bratin | 117.194.96.187 | ২৫ জুন ২০১১ ০৯:১৭478932
  • এটা একটু বড়দের।

    তখন জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেম শুভেচ্ছা সফরে। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার শেষে বিদায়ের সময় জ্যোতি বললেন ' আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আপনার ও ই 'ঢাকা' জায়গা টা আমি একটু দেখতে চাই। হাসিনার পরবর্তী প্রর্তিক্রিয়া আর জানা যায় নি।
  • kc | 89.203.49.18 | ২৫ জুন ২০১১ ০৯:৩৯478933
  • হু:
    বোতীনও বড়দের দলে ভিড়তে চাইছে। হুউউউউউশ্‌শ্‌শ্‌শ্‌স।
  • Ishan | 117.194.37.2 | ২৫ জুন ২০১১ ১০:৩৪478934
  • গন্ডারের বকলমে পোতিবাদ কল্লে গন্ডার কিন্তু বেসিকালি অসৎ কইবে। :)
  • kumu | 122.160.159.184 | ২৫ জুন ২০১১ ১১:১৩478935
  • বা:,বেশ।

    ডিডিদা,ইয়েস,এই জোকটা আমিও আগে শুনেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন