এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলোপাথাড়ি, আবোলতাবোল

    Lama
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০১১ | ৭৬৩১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 122.162.75.39 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২০:০৩480270
  • লামা বোধ হয় কুম্ভমেলায় হারায় নি। আমার সঙ্গে তো কোনও মিলই পাচ্ছি না :(
  • kumu | 14.98.184.154 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২০:৪৯480271
  • এত সুন্দর ছোটোবেলা ছিল বলেই লামাহুতো দুজনে এমন অসাধারণ গুণী দুটি ছেলে।
    একটা ছবি হোক-দুইভাই কাঠের বাড়ীর সামনে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে।
  • pharida | 182.68.72.166 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৫480272
  • বাহ, দারুণ।
  • Lama | 117.194.240.168 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ২০:৪২480273
  • ধন্যযোগ সবাইকে।

    একটু ন্যাকা ন্যাকা শোনাবে- হঠাৎ করে দাদুর কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল:

    সংসার মাঝে দু একটি সুর
    র'চে দিয়ে যাব করে সুমধুর
    দুএকটি ,কাঁটা করি দিব দূর,
    তারপরে ছুটি নিব ।

    এই হয়েছে মুশকিল- কথায় কথায় দাদু পায়।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ২২:০১480274
  • আজকে তো ছুটি ছিল। আবার কালকেও ছুটি
  • nk | 151.141.84.194 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ২২:২৬480275
  • "সংসার মাঝে কয়েকটি সুর
    রাখি' দিয়া যাবো করিয়া মধুর
    দু' একটি কাঁটা করি দিব দূর
    তারপর ছুটি লব।"

    :-)

  • Lama | 117.194.240.168 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪৬480276
  • আরে হ্যাঁ তাই তো! ছড়িয়েছি :(
  • nk | 151.141.84.114 | ১৪ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫৩480277
  • লামা, অনবদ্য আপনার নদীর ধারে বাড়ি লেখাটা।:-)
    হাওড়ার পুলের উপর দিয়ে হেঁটে পার হয়ে আসার সময় নিচে তাকিয়ে গঙ্গায় কচুরিপানার ঝাঁক ভেসে চলতে দেখার আগে আমিও ভাবতাম ওগুলো কেবল পুকুরেই থাকে। :-)
  • Lama | 117.194.230.32 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ২২:৩০480278
  • সেইসব সন্ধ্যেবেলাগুলো কোথায় গেল?

    সেই যে পূজোর পর, অল্প অল্প হিম পড়ার শুরু। নিয়মিত লোডশেডিং, হ্যারিকেনের আলো, রেডিওতে স্থানীয় সংবাদ, পাশের বাড়ি থেকে উচ্চকিত হাসির শব্দ।

    ঝিঁঝিঁর ডাক শুনি না কতদিন।

    কিংবা সেই ভোরগুলো? কুয়াশা ছিঁড়তে ছিঁড়তে স্কুল যাওয়া? মাছরাঙ্গার ঝাঁপ দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সেইসব সকাল।

    কিংবা, পাড়ার মোড়ের সেই গ্যারেজ। ভাঙ্গা গাড়ির কঙ্কাল চারদিকে, পোড়া মবিলের গন্ধ আর কালো কালো মাটি। আর ভাঙ্গা তক্তপোষ। আর গ্রীষ্মের দুপুরে বিনা নোটিসে একঝলক ঝিরিঝিরি হাওয়া।

    কোথায় গেল তারা সব?

    ফেসবুকে, অর্কুটে, পঁচিশ-তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে আজকাল। শুধু পুরোনো সময়গুলোকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। ছেঁড়াখোঁড়া স্বপ্নে ঘুরেফিরে ছুঁয়ে যাচ্ছে তারা।
  • Lama | 117.194.242.40 | ০২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:১১480280
  • একটু পদ্য লেখার সাধ হল, কবিতা নয় কিন্তু- শুধু পদ্য:

    অনেক হিসেব এমনি করেই মেলে।
    এই তো, কেমন দেখা হয়ে গেল গড়িয়াহাটের সেলে!

    চৈত্র সেলের ঠাসাঠাসি ভিড়ে ফুটপাথে দেখি একা।
    ভালো করে মেপে আড়ালে দাঁড়িয়ে পিঠে পরিচিত টোকা।
    আমার খানিক খটকা ছিলই, বন্ধু তথৈবচ।
    ছানাবড়া চোখে খুশির ঝিলিক, ভ্যাবাচ্যাকা হাসি আজও।
    হাঁ করা মুখের সিগারেট খসে আচমকা গেল ভোগে,
    পেয়ে গেল সেই কিশোরবেলার অট্টহাসির রোগে।
    দরদাম করে পয়সা মিটিয়ে একপাশে সরে আসি,
    বলার মতন কথা বেশি নেই, রয়ে গেছে শুধু হাসি।
    আগের মতই চুটিয়ে খানিক আড্ডা মারতে চাই-
    রেস্তোঁরাগুলো ভিড়ে ঠাসাঠাসি, জায়গা কোথায় পাই?
    পথের ধারের চায়ের দোকানে ঠাঁই হল কোনো মতে,
    দু কাপ চায়ের অর্ডার হল, লেড়ো বিস্কুট সাথে।
    কলেজবেলায় ফিরে যেতে চাই, একবার শুধু চাই।
    চাইলেই শুধু হবে না তো গুরু, উপায়টি জানা নাই
    শুনে ভালো লাগে- বিয়েটা হয়েছে পুরনো ব্যাথারই সাথে।
    আমি ভালো আছি, একটু কাহিল ডায়াবেটিস আর বাতে।
    সুখেই রয়েছে, দেখে মনে হয়। ভালো থাকলেই ভালো!
    চুলগুলো শুধু পেকে গেছে দেখি- কিছু সাদা, কিছু কালো।
    মাঝে মাঝে নাকি আমাকে দেখেছে অটোরিকশায় যেতে।
    চাকরিটা করে কটা টাকা পাই? হয় আজকাল এতে?
    চায়ের কাপটা শেষ হয়ে গেল, শেষ হয়ে এল কথা।
    বিদায় নেবার সময় এবার, তিতকুটে নীরবতা!
    ফের দেখা হবে কথা দেওয়া হল, এবার যাবার পালা।
    খেয়াল পড়ল- ফোন নাম্বার দিয়ে ত গেল না শালা?

    গলার কাছটা ব্যথা করে এল, সাথে সাথে এল ঝড়।
    চৈত্রমাসের হঠাৎ বৃষ্টি, ভেসে গেল চরাচর।
  • siki | 123.242.248.130 | ০২ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:১৮480281
  • লামার সাথে আবার কুম্ভমেলা কানেকশন এস্ট্যাবলিশ হচ্ছে। হ্যাঁ, কুয়াশা জড়িয়ে থাকা সকালবেলার পুকুর থেকে অল্প করে ধোঁয়া ওঠার এফেক্ট, আর মাছরাঙার ঝাঁপ দিয়ে মাছ তুলে নিয়ে ঐদিকের গাছের ডালে গিয়ে বসা, দেখেছি বটে। স্কুল যাবার পথেই। অবাক হয়ে দাঁড়িয়েও থেকেছি।

    লামা একঘর।
  • Lama | 117.194.243.211 | ০২ জানুয়ারি ২০১২ ০০:১৭480282
  • হাঁটছে। ক্লান্ত বড্ড।

    সেই ভোরবেলা শুরু হয়েছিল চলা। অল্প শীত শীত বাতাসে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। কোথায় যেন মাইকে আজান দিচ্ছিল । দূরের টিলাগুলোকে কেমন নীলচে দেখাচ্ছিল। তাদের থেকে একটু উঁচুতে, একটা মাত্র তারা। অনেকে তারা চেনে। তারা দেখে নাম বলতে পারে। সে চেনে না। জানতে চায় না। সবকিছু জানার দরকার নেই।

    একটা পেয়ারাগাছ ছিল। না কি, বাতাবিলেবুর? মাকড়সার জাল ছিল গাছের ডালে। একটি উৎসুক শিশিরবিন্দু সমেত। জুতো খুলে হাতে নিয়ে নেয়। ভেজা ঠান্ডা ঘাসে পায়ের পাতা ডুবে যায়।
    একটু পরে, একটা নিটোল গোল সূর্য মাথা চাড়া দেয়, ছোটবেলার পাঁচ পয়সা দামের লেবু লজেন্সের মতো। ছোটবেলার মতো। তার ভালো লাগে। অড়হর গাছের ডাল থেকে টিয়াপাখির ঝাঁক উড়াল দেয়। বিলের জলে একঠেঙ্গে বকের অধ্যবসায়। পথের ধারে একটা ছোট শ্মশান। একটা ছোট মন্দির, ইঁটের তৈরী। নিভে যাওয়া চিতায় ধিকিধিকি ধোঁয়া। সেদিকে তাকিয়ে একটা পাগল অট্টহাসি হেসে চলেছে, যেন যাত্রাপালার মহড়া দিচ্ছে। একটা বিড়ি চায়, পায় না। পাগল গালাগালি দেয়।

    একদল ছোট ছোট ছেলেমেয়ের মুখোমুখি হয়। স্কুলের যাচ্ছে তারা। শিশুসুলভ ঝগড়া করে তারা, নালিশ করে। সে নির্বিকার। সাইকেলে চড়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ। ফনীমনসার গাছে সাপের ছেড়ে যাওয়া খোলস পতপত করে উড়ছে হাওয়ায়। দূরের মাঠে তিনজন মানুষ হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে কি আলোচনা করছে। ক্ষেতের আলে গ্রাম্য বৃদ্ধ প্রাত:কৃত্যে বসেছে। মুখ ঘুরিয়ে নেয় সে।

    পথের ধারে একটুকরো জমিতে একজন লোক খুরপি দিয়ে মাটি কোপাচ্ছে। কপালে বিনবিনে ঘাম। তার স্ত্রী এক হাতে কলাই করা থালা আর এক হাতে অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে। ঘরের সামনে তিনটে আনারস গাছ। তুলসীমঞ্চ । টিউবওয়েল আছে। একটা মোরগ ঝটপট করতে করতে উড়ে এসে খড়ের চালে বসল।

    পিচ বাঁধানো উঁচু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে সে। দীনহীন মুদি দোকান পেরিয়ে যাচ্ছে। পানের বরজ, পানাপুকুর পেরিয়ে যাচ্ছে। ডালে ডালে মানতের ঢেলা বাঁধা ঝুরি নামানো বটগাছ। আঁটি বাঁধা খড়ের সামনে উবু হয়ে বসে গ্রাম্য নারীপুরুষ। বাজপড়া তালগাছ। একটা গরু আর একটা বাছুরের পেছন পেছন যায় ছোট্ট মেয়ে, নাকে সিকনি, হাতে কঞ্চি। সবচেয়ে দূরের গাছগুলো নীলচে ঝাপসা। ছোটবেলায় সে ভাবত আকাশটা ঐখান থেকে শুরু হয়। কিন্তু ভাবনা পালটে যায়। সময় পালটে যায়। হাঁটা থামে না।

    বেলা বেড়েছে। হালকা ঠান্ডা আমেজটা আর নেই। রাস্তার দুধারে এখন পলেস্তারা খসা মলিন বাড়ি- একতলা, দোতলা। কিন্তু সব কটার দরজা জানালা বন্ধ। রাস্তায় জনপ্রাণী নেই। গা ছমছম করে। ভোরবেলা যে পাহাড়গুলোকে অনেক দূরে দেখা যাচ্ছিল, সেগুলো এখন একটু কাছে। এবার বোঝা যাচ্ছে, পাহাড় নয়, টিলা। একটা টিলার ওপরে একটা সাদা রঙের মন্দির, গেরুয়া পতাকা উড়ছে একটা। এত দূর থেকেও দেখা যায়, মন্দিরের সামনে একটা মানুষ, পরণে ধুতি। দিনদুপুরে ঝিঁঝির ডাক। পায়ের জুতো এখন আবার পায়ে।

    আবার একটা লোকালয়। তৃষ্ণা পায়। গ্রাম্য বধূ কলসী ভরা থামিয়ে টিপকল থেকে জল খেতে দেয়। সে কৃতজ্ঞ হয়। চোখে মুখে জলের ছিটে দেয়। রাস্তার দুধারে আগের মত ক্ষেতখামার নেই আর, প্রত্যেক বাড়ির সামনে আমগাছ, কুলগাছ, লেবুগাছ, সব মিলিয়ে নিবিড় সবুজ। পুকুরঘাটে বাসন মাজতে মাজতে আড্ডা। পুকুরের জলে আধখানা ডোবানো ডিঙ্গি নৌকো। ঘুঘু ডাকে হাহাকারের মত।

    একটা গঞ্জ মত জায়গা এল। বাজার, নর্দমা, ফলের খোসা। ধর্মের ষাঁড়ের উদাসীন জাবর রোমন্থন। দোকান থেকে কিছু কিনে খায় সে। দোকানের বেঞ্চে বসে গ্রাম্য নবদম্পতি জরীপ করে কৌতূহলী চোখে। চেনা চেনা লাগে যেন? সে জানে, আসলে মোটেই চেনা নয়। তবু চেনা ভাবতে ভালো লাগে।

    বেলা পড়ে আসে। তার পায়ে পায়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় তার ছায়া। ছেলেরা মাঠ থেকে ধূলো উড়িয়ে বাড়ি ফিরছে। পাখির ডাকে কানে যেন তালা লেগে যায়। মন্দিরে কাঁসর বাজানো শুরু হল ঐ। মেঘগুলোকে লাল কমলা রঙে চুবিয়ে দিয়ে, নিতান্ত অনিচ্ছাসঙ্কেÄও গাছপালার আড়ালে ডুব দেয় সূর্যটা।

    মোমবাতির আলোয় চেঁচিয়ে পড়া মুখস্থ করে ছাত্র। সকালবেলার সেই মিটমিটে তারাটাকে এখন আবার দেখা যাচ্ছে। এখন আকাশে আরো অনেক তারা। শয়ে শয়ে? নাকি হাজারে হাজারে? লোকালয় পেছনে পড়ে থাকে। বাঁশঝাড়ে জোনাকি জ্বলে, ডুমুরগাছে বাদুড় ডানা ঝাপটায়। পথ চলা তবু থামে না। সেই সাতসকালে শুরু হয়েছিল। কখন কোথায় শেষ হবে বলে দেয়নি কেউ। যারা অনেকদিন আগে গিয়েছিল এই পথে, তাদের জিজ্ঞাসা করে জেনে রাখা হয় নি।

    কবে যেন, কাকে যেন, কি যেন কথা দিয়েছিল। সেই কথা আর রাখা হয়নি। ঠিক কাকে কি কথা দিয়েছিল, এখন আর মনে পড়ে না। মিশমিশে অন্ধকারে, তারার আলো সম্বল করে তাই পথ চলা।

    দিন চলে যায়। চলা থামে না।

  • aranya | 144.160.226.53 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৪১480283
  • লামা, এমন সব মন-কেমনিয়া লেখা পড়তে পড়তে কাজকম্মো সব মাথায় ওঠে। তোমারই কথা ধার করে বলতে ইচ্ছে হয়, চৈত্রমাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে যেন চরাচর ভেসে যাচ্ছে।

  • Lama | 117.194.227.108 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৫480284
  • 13Aug2011 -- 12:49AM এর পোস্টে যে সব জায়গার কথা বলেছিলাম তার কিছু ছবির লিংক দিলাম।

    https://picasaweb.google.com/110465861874683692319/XOXUGK#
  • Lama | 117.194.227.108 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৭480285
  • লিংখানা দয়া করে কপি করে ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে পেস্ট করবেন।
  • Lama | 117.194.241.229 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৫৯480287
  • :)
    এই না হলে কুম্ভমেলায় হারানো ভাই?
  • siki | 122.177.217.207 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:২২480288
  • না হয় কুম্ভমেলায় হারিয়ে গেসলাম। বইমেলায় তো একবারও দেখা করতে এলে না। :(
  • Lama | 117.194.241.229 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৩০480289
  • চাকরিটা নিয়ে একটা চাপ তৈরি হয়েছিল। সামলেসুমলে নিয়ে শনিবার বইমেলায় গিয়ে দেখি কলকাতার বাইরের বেশিরভাগ গুরুভাই হাওয়া
  • siki | 122.177.217.207 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৩১480291
  • ওকে। নো প্রবলেমো। আবার দেখা হবে। :)
  • Lama | 127.194.247.175 | ০৯ জুন ২০১২ ১২:০৪480292
  • সে দিনটা আমার খুব মনে পড়ে। সারাদিন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করিয়াও পাড়ার দাদাদের উৎসাহ শেষ হয় নাই। তিপ্পান্ন বারের পর চুয়ান্নতম বার মাইকে “এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার” বাজিতেছে, এবং সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইতে না হইতেই বড় মেজো সেজো রাজনৈতিক দাদাদের খানপনের ভাষণ হইয়া গিয়াছে। সকাল সকাল চিত্তদার ক্যান্টিনে চা ও গোল্ডফ্লেক খাইয়া আমরা কয় রুমমেট নিত্য প্রথামত হোস্টেলের ৩০৯ নম্বর ঘরের ঢালা-বিছানার উপর মুখে বিড়ি ধরাইয়া বই ও ল্যাপটপ খুলিয়া বসিয়া গিয়াছি। বাহিরের বারান্দায় একদিকে প্রথম বর্ষের উৎসাহী ছেলেছোকরাগণ চিৎকার করিয়া পাশের হোস্টেলের ছেলেদের সহিত গালাগালির মহড়া দিতেছে এবং উল্টদিকের হোস্টেলের বারান্দায় দাঁড়াইয়া চূড়ান্ত বর্ষের কতিপয় দাদা, অন্ধকারে কল্কেতে গঞ্জিকাসেবন করিতেছেন। রান্নাঘরে উড়িয়া ঠাকুরদের হইহল্লা শুনা যাইতেছে, এবং ভিতরে আমরা চার রুমমেট নিঃশব্দে বিদ্যাভ্যাস ও একটু আধটু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং করিতেছি। মদনদা, মুকুলদা ও আমি সেকেন্ড ও থার্ড ইয়ারে পড়ি এবং গম্ভীর-প্রকৃতি পার্থদা বার-দুই ম্যাথে সাপ্লি পাইবার পর গভীর মনোযোগের সহিত তৃতীয়বারের জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। আমাদের সান্ধ্য গুলতানির সময় ছিল সাড়ে সাতটা হইতে নয়টা। এই সময়টুকুর মধ্যে অতিরিক্ত পঠনপাঠনে আমরা কেহ অসুস্থ না হইয়া পড়ি, এই জন্য পার্থদা নিজে প্রত্যহ পড়িতে বসিয়াই গৃহ হইতে আনীত ল্যাপটপখানা অন করিতেন। তাহাতে কখনো দেখা হইত ইউটিউব, কখনো ফেসবুক, কখনো অন্য কোনো ওয়েবসাইট।

    মুকুলদা ল্যাপটপ খানা নিজের দিকে টানিয়া লইয়া ফেসবুক খুলিলেন। পার্থদা বলিলেন “হুঁ, দশ মিনিট কিন্তু”, অর্থাৎ এই সময়টুকুর জন্য সে খেসবুকে লগিন করিতে পারে। মুকুলদা লগ আউট করিতেই মদনদা ইউটিউবে পাওলি দাম অভিনীত কি এক ছায়াছবি দেখিবার আর্জি পেশ করিলেন। পার্থদা 'না' বলিয়া দিলেন। কাজেই মদনদা মুখ ভারি করিয়া মিনিট-দুই বসিয়া থাকিয়া তৃতীয় বিড়িটি ধরাইলেন। পার্থদাকেও একটি দিলেন। এবার পার্থদার মন গলিল। তিনি আধঘন্টা ইউটিউব দেখিবার অনুমতি দিলেন। পার্থদা ক্লাসে গেলে তাঁহার ল্যাপটপ হোস্টেলের লকারে তালাবন্ধ থাকিত। কখনো কাহারো অভদ্রজনোচিত সাইট ব্রাউজ করিবার ফলে ল্যাপটপে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটিলে তাহার কৈফিয়ৎ তলব করা হইত।

    এইরূপে পার্থদার ল্যাপটপের কল্যাণে আমাদের এবং তাঁহার নিজের কাহারও এতটুকু সময় বোর হইবার অবকাশ হইত না। প্রত্যহ এই দেড়ঘণ্টা কাল অতিশয় বিদ্যাভ্যাস করিবার পর স্টাডিরুমে কিঞ্চিৎ তাস খেলিয়া ও নেশাভাং করিয়া রাত্রি আড়াইটার সময় আমরা যখন নিজ নিজ ঘরে শুইতে আসিতাম, তখন স্বর্গে বসিয়া আইনস্টাইন-নিউটন-গ্যালিলিও আদি নিশ্ছয় শিহরিত হইতেন ; এবং পরদিন ক্লাশের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িঙের বা বেসিক ইলেকট্রিক্যাকের প্রশ্নগুলি কিভাবে পাশের খাতা হইতে টুকিতাম , সে ত আপনারা বুঝিতেই পারিতেছেন। কিন্তু পার্থদা'র দুর্ভাগ্য, তাঁহার নির্বোধ পরীক্ষকগুলা তাহাকে কোনদিন চিনিতেই পারিল না। নিজের এবং পরের বিদ্যাশিক্ষার প্রতি এরূপ প্রবল অনুরাগ, সময়ের মূল্য সন্বন্ধে এমন সূক্ষ্ম দায়িত্ববোধ থাকা সত্ত্বেও, তাঁহাকে বারংবার ফেল করিয়াই দিতে লাগিল। ইহাই অদৃষ্টের অন্ধ বিচার। যাক—এখন আর সে দুঃখ জানাইয়া কি হইবে।

    সে রাত্রেও ঘরের বাহিরে ঐ হইহল্লা এবং বারান্দায় ইতস্তত গুঞ্জনরত কয়েকটি বালক। ভিতরে ল্যাপটপের সন্মুখে গভীর-অধ্যয়নরত আমরা চারিটি প্রাণী।

    মুকুলদা ফিরিয়া আসার পর ইউটিউবে “প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য” মার্কা কিছু ছবি দেখিবার জন্য আমার একেবারে বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল। কাজেই আর্জি পেশ করিয়া উন্মুখ হইয়া রহিলাম। পার্থদা তাঁহার মনিটরের উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়া ব্রাউজার হিস্ট্রি পরীক্ষা করিতে কাল-পরশু কি পরিমাণে পানু দেখিয়াছিলাম।

    অকস্মাৎ আমার ঠিক পিঠের কাছে একটা 'হুম্' শব্দ এবং সঙ্গে সঙ্গে মদনদা ও মুকুলদার সমবেত আর্তকণ্ঠের গগনভেদী রৈ-রৈ চিৎকার—ওরে বাবা রে, খেয়ে ফেললে রে! কিসে ইহাদিগকে খাইয়া ফেলিল, আমি ঘাড় ফিরাইয়া দেখিবার পূর্বেই, পার্থদা মুখ তুলিয়া একটা বিকট শব্দ করিয়া বিদ্যুদ্‌বেগে তাঁহার দুই-পা সন্মুখে ছড়াইয়া দিলেন। আর অমনি লোডশেডিং হইয়া গেল। তখন সেই অন্ধকারের মধ্যে যেন দক্ষযজ্ঞ বাধিয়া গেল। পার্থদা'র ছিল ফিটের ব্যামো। তিনি সেই যে ‘অোঁ-অোঁ’ করিয়া ল্যাপটপ উল্টাইয়া চিৎ হইয়া পড়িলেন, আর খাড়া হইলেন না।

    ঠেলাঠেলি করিয়া বাহির হইতেই দেখি, হোস্টেল সুপার তাঁর দুই ছেলেকে বগলে চাপিয়া ধরিয়া তাহাদের অপেক্ষাও তেজে চেঁচাইয়া কোয়ার্টার ফাটাইয়া ফেলিতেছেন। এ যেন তিন বাপ-ব্যাটার কে কতখানি হাঁ করিতে পারে, তারই লড়াই চলিতেছে।

    এই সুযোগে একটা চোর নাকি ছুটিয়া পলাইতেছিল, হোস্টেলের দারোয়ানরা তাহাকে ধরিয়া ফেলিয়াছে। সুপার প্রচণ্ড চিৎকারে হুকুম দিতেছেন—আউর মারো—শালাকো মার ডালো ইত্যাদি।

    মুহূর্তকাল মধ্যে আলোয়, মেস স্টাফে ও পাশের হোস্টেলের ছেলেতে ডাইনিং রুম পরিপূর্ণ হইয়া গেল। দরওয়ানরা চোরকে মারিতে মারিতে আধমরা করিয়া টানিয়া আলোর সম্মুখে ধাক্কা দিয়া ফেলিয়া দিল। তখন চোরের মুখ দেখিয়া বাড়িসুদ্ধ লোকের মুখ শুকাইয়া গেল! —আরে, এ যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হেড!

    তখন কেহ বা জল, কেহ বা পাখার বাতাস, কেহ বা তাঁহার চোখে-মুখে হাত বুলাইয়া দেয়। ওদিকে ঘরের ভিতরে পার্থদাকে লইয়া সেই ব্যাপার!

    পাখার বাতাস ও জলের ঝাপটা খাইয়া মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হেড প্রকৃতিস্থ হইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিয়া উঠিলেন। সবাই প্রশ্ন করিতে লাগিল, আপনি অমন করে ছুটছিলেন কেন? অধ্যাপকমশাই কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলেন, বাবা, বাঘ নয়, সে একটা মাওবাদী – এ কে ফর্টিসেভেন কাঁধে বেরিয়ে এলো।

    মদনদা ও মুকুলদা বারংবার কহিতে লাগিল, মাওবাদী নয় স্যার, একটা তোলাবাজ। দুম করে একটা পাইপগানের গুলি ছুঁড়েছিল।

    পার্থদা'র চৈতন্য হইলে তিনি নিমীলিতচক্ষে দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া সংক্ষেপে কহিলেন, 'আ টেররিস্ট'।

    কিন্তু কোথা সে? পার্থদা'র 'টেররিস্ট' ই হোক আর স্যারের 'মাওবাদী' ই হোক, সে আসিলই বা কিরূপে, গেলই বা কোথায়? এতগুলো লোক যখন দেখিয়াছে, তখন সে একটা-কিছু বটেই!

    তখন কেহ বা বিশ্বাস করিল, কেহ বা করিল না। কিন্তু সবাই লন্ঠন লইয়া ভয়চকিত নেত্রে চারিদিকে খুঁজিতে লাগিল।

    অকস্মাৎ কেয়ারটেকার মাখনদা 'উহ বয়ঠা' বলিয়াই একলাফে একেবারে বারান্দার উপর। তারপর সেও এক ঠেলাঠেলি কাণ্ড। এতগুলো লোক, সবাই একসঙ্গে বারান্দায় উঠিতে চায়, কাহারো মুহূর্ত বিলম্ব সয় না। উঠানের এক প্রান্তে একটা ডালিম গাছ ছিল, দেখা গেল, তাহারই ঝোপের মধ্যে বসিয়া একটা বলশালী লোক। মাওবাদীর মতই বটে। চক্ষের পলকে বারান্দা খালি হইয়া ডাইনিং রুম ভরিয়া গেল—জনপ্রানী আর সেখানে নাই। সেই ঘরের ভিড়ের মধ্য হইতে সুপারের উত্তেজিত কণ্ঠস্বর আসিতে লাগিল—পুলিশ ডাকো, যৌথবাহিনী ডাকো । আমাদের শিবপুর থানায় তিনজন রোগা রোগা কনস্টেবল ছিল; লক্ষ্য সেই সিপাহীদের উপর। 'ডাকো'ত বটে, কিন্তু ডাকে কে? ডালিম গাছটা যে দরজার কাছেই; এবং তাহারই মধ্যে যে মাওবাদী বসিয়া! ল্যান্ডলাইন ডেড—মোবাইল টাওয়ারও নিস্তব্ধ।

    এম্‌নি বিপদের সময়ে হঠাৎ কোথা হইতে ইন্দ্র আসিয়া উপস্থিত। সে বোধ করি সুমুখের রাস্তা দিয়া চলিয়াছিল, হাঙ্গামা শুনিয়া হোস্টেলে ঢুকিয়াছে। নিমেষে শতকণ্ঠ চিৎকার করিয়া উঠিল—ওরে মাও! মাও! পালিয়ে আয় রে ছোঁড়া, পালিয়ে আয়!
    প্রথমটা সে থতমত খাইয়া ছুটিয়া আসিয়া ভিতরে ঢুকিল। কিন্তু ক্ষণকাল পরেই ব্যাপারটা শুনিয়া লইয়া একা নির্ভয়ে উঠানে নামিয়া গিয়া টর্চ তুলিয়া মাওবাদী দেখিতে লাগিল।

    লেডিজ হস্টেলের জানালা হইতে মেয়েরা রুদ্ধনিঃশ্বাসে এই ডাকাত ছেলেটির পানে চাহিয়া দুর্গানাম জপিতে লাগিল। সুপারের স্ত্রী ত ভয়ে কাঁদিয়াই ফেলিলেন। নীচে ভিড়ের মধ্যে গাদাগাদি দাঁড়াইয়া ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা তাহাকে সাহস দিতে লাগিল এবং এক-একটা অস্ত্র পাইলেই নামিয়া আসে, এমন আভাসও দিল।

    বেশ করিয়া দেখিয়া ইন্দ্র কহিল, স্যার, এ মাওবাদী নয় বোধ হয়। তাহার কথাটা শেষ হইতে না হইতেই সেই মাওবাদী দুই হাত জোড় করিয়া কাঁদিয়া উঠিল। পরিষ্কার বাঙ্গলা করিয়া কহিল, না স্যার, না। আমি মাওটাও নই – পাশের কলেজের কেমিস্ট্রির লেকচারার। ইন্দ্র হো-হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। মেকানিক্যালের হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট একখানা ‘টি’ হাতে সর্বাগ্রে ছুটিয়া আসিলেন—হারামজাদা! তুমি ভয় দেখাবার জায়গা পাও না?

    সুপার মহাক্রোধে হুকুম দিলেন, শালাকো কান পাকাড়কে লাও!

    মাখনদা তাহাকে সর্বাগ্রে দেখিয়াছিল, সুতরাং তাহারই দাবি সর্বাপেক্ষা অধিক বলিয়া, সেই গিয়া তাহার হাত ধরিয়া হিড়হিড় করিয়া টানিয়া আনিল। মেকানিক্যালের হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট তাহার পিঠের উপর ড্রয়িং ইন্সট্রুমেন্টের এক ঘা বসাইয়া দিয়া রাগের মাথায় হিন্দী বলিতে লাগিলেন, এই হারামজাদা বজ্জাতকে বাস্তে হাম ছাআত্রাজীবনমে যো ভি মুখস্থ কিয়া থা সব ভুল গিয়া। খোট্টা শালার ব্যাটারা আমাকে কিলায়কে ট্রিগনোমেট্রি কা সমস্ত ফর্মূলা ভুলা দিয়া—

    অম্বিকাবাবু অন্য একটি কলেজে রসায়ন পড়ান। তিনি মাঝেমাঝে বন্ধুবান্ধবের কাছে ইমেল ফরওয়ার্ড করেন। কালও সুপারের ইমেল আইডিতে তাহার ফারওয়ার্ড করা একটি রসিকতা আসিয়াছিল ।

    তিনি একবার মেকানিক্যালের হেড এর, একবার সুপারের পায়ে পড়িতে লাগিলেন। কহিলেন একটি কারটুন ফরওয়ার্ড করার অপরাধে আগের দিন স্থানীয় থানায় তাঁহার কিছু হেনস্থা হওয়াতে, তিনি ভয় পাইয়া গাছের আড়ালে গিয়া লুকাইয়াছিলেন। ভাবিয়াছিলেন একটু ঠাণ্ডা হইলেই বাহির হইয়া সব খুলিয়া বলিবেন। কিন্তু ব্যাপার উত্তরোত্তর এমন হইয়া উঠিল যে, তাঁহার আর সাহসে কুলাইল না।

    অম্বিকাবাবু কাকুতি-মিনতি করিতে লাগিলেন; কিন্তু সুপারের আর রাগ পড়ে না। সুপারগিন্নি নিজে উপর হইতে কহিলেন, তোমাদের ভাগ্যি ভাল যে সত্যিকারের মাওবাদী বার হয়নি। যে বীরপুরুষ তোমরা, আর তোমার দরওয়ানরা। ছেড়ে দাও বেচারীকে, আর দূর করে দাও দেউড়ির ঐ দারওয়ানগুলোকে। একটা ছোট ছেলের যা সাহস, এক ইউনিভার্সিটি লোকের তা নেই। সুপার কোন কথাই শুনিলেন না, বরং ম্যাডামের এই অভিযোগে চোখ পাকাইয়া এমন একটা ভাব ধারণ করিলেন যে, ইচ্ছা করিলেই তিনি এই সকল কথার যথেষ্ট সদুত্তর দিতে পারেন। কিন্তু স্ত্রীলোকের কথার উত্তর দিতে যাওয়াই পুরুষমানুষের পক্ষে অপমানকর; তাই আরও গরম হইয়া হুকুম দিলেন, উহাকে দিয়া মুচলেকা লেখাইয়া লও। তখন, তাঁহাকে মুচলেকা লেখাইয়া তাড়াইয়া দেওয়া হইল। সুপারগিন্নি উপর হইতে রাগ করিয়া বলিলেন, রেখে দাও। তোমার ওই চোথাটা অনেক কাজে লাগবে।
  • Arin | 129.224.108.139 | ০৯ জুন ২০১২ ১২:২৭480293
  • জাস্ট অসাধারণ!
    লামা!
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৯ জুন ২০১২ ১২:৩১480294
  • অসাধারণ,লামাবাবু,অসাধারণ।
  • Debashis | 99.147.0.172 | ০৯ জুন ২০১২ ১৩:১০480295
  • ঃ))। জ্জিও! ফাটাফাটি।
  • শ্রাবণী | 69.94.97.139 | ০৯ জুন ২০১২ ১৩:৫৬480296
  • এটা পুরো সিরিজ হচ্ছে, তোতা কাহিনীর থে শুরু......কিন্তু আমি কেমন একটা অন্যরকম সুর পাই লামার এই লেখাগুলো পড়ে সেটা শুধুই মজা নয়.....লামা, এই ভীষণ খারাপ লাগার লেখাগুলো ভীষণ ভালো লাগছে!
  • bb | 24.99.41.180 | ০৯ জুন ২০১২ ১৪:০৭480297
  • সেই মেজদা পড়ার স্মৃতি আর মাধ্যমিক মনে পড়ে গেল, লামা অসাধারণ- এইগুলি কে কাগুজে গুরুতে স্থান দেওয়া হোক।
  • Lama | 127.194.227.195 | ০৯ জুন ২০১২ ২৩:৪৫480298
  • ইহার একখানা সম্পূর্ণ ভদ্রতাসঙ্গত নয় এমন সংস্করণ হোস্টেলগুলিতে প্রচলিত আছে- এখানে না বলাই ভাল
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ১০ জুন ২০১২ ০১:৫১480299
  • লামাদার শেষ লাইনে কিছু মাস্টারস্ট্রোক থাকে - পুরো লেখা ভুলে যাই, ওই লাইনগুলো ভুলতে পারি না

    - তখনই ঠিক করেছিলাম লিখে রাখব। তালেগোলে বছর পনেরো দেরী হয়ে গেল।

    - মানুষই সময়ের স্রোতে কোথায় কোথায় ভেসে যায়, কচুরিপানা তো সামান্য জিনিস!
  • aranya | 78.38.243.161 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:০৬480300
  • লামাকে নোবেল-টোবেল বোধহয় আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে - বোথ সাহিত্যে আর সাহসে, আমি শুধু আর একবার পিঠ চাপড়ালাম।
    হোস্টেলের অভদ্র সংস্করণ-টা কি এখানে শেয়ার করা যাবে ? এই টই-টা ঠিক মনে না হলে, স্যামের গুরুপাকেও দিতে পার ঃ-)
  • Lama | 127.194.230.130 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:১৮480302
  • অরণ্যদা, ওটা থাক ঃ)

    সবাইকে ধন্যবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন