এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলোপাথাড়ি, আবোলতাবোল

    Lama
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০১১ | ৭৭৬২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Lama | 160.129.64.242 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৪৬480204
  • এই অভিজ্ঞতাটা অনেকের কাছে অনেকবার গল্প করেছি, কিন্তু লিখে রাখা হয়নি। লিখে রাখা দরকার।

    ১৯৯৮ এর দেওয়ালীর দুএকদিন আগে দিল্লি গিয়েছিলাম। জায়গাটার নাম ত্রিলোকপুরী। রামগঞ্জমন্ডি (সেটা কোন চুলোয় তা অপ্রাসঙ্গিক। তবু বলি, সেটা হল রাজস্থানে। কোটা জেলায়। রাওয়তভাটা নামক জায়গার কাছে। রাওয়তভাটাটা কোথায় জিগাইয়া লজ্জা দিবেন না।) থেকে ট্রেনে 'কালে খাঁ' নাকি 'নিজামুদ্দিন' নামক অন্যরকম নামওয়ালা একটা স্টেশনে নেমে প্রচন্ড গোমড়ামুখো কন্ডাকটর এবং খিটখিটে ড্রাইভার চালিত বাসে করে সেখানে পৌঁছেছি। বাস থেকে নেমে একটা সরু রাস্তা ধরে গন্তব্যের দিকে হাঁটছি। রাস্তার দুদিকে বেশ মেলা মত বসেছে। দিওয়ালী উপলক্ষ্যেই বোধ হয়। বাজি আর আবীর বিক্রি হচ্ছে। যত হাঁটছি তত মেলার চরিত্র পলতে যাচ্ছে। শুরুতে বাজি অর আবীর, একটু ভেতরদিকে গিয়ে ছুরিকাঁচি, হাঁড়িকুড়ি। তারপর খৈনি, গাঁজার কলকে। যার বাড়ি যাচ্ছি সে আমার পাশে হাঁটতে হাঁটতে অনর্গল ডিসক্লেমার দিয়ে চলেছে- তারা গ্রামের লোক, তাদের বাড়িতে আমার কষ্ট হলে যেন কিছু মনে না করি। আমি বদ্ধপরিকর, কষ্ট এবার পেয়েই ছাড়ব।

    এই করতে করতে মেলা এলাকা পেরিয়ে এলাম। রাস্তার দুদিকে ঝুপড়ি বস্তি। খাটাল, মোষের গয়ের গান্ধ, গোবরের গন্ধ। আরেকটু এগিয়ে একটা খাল। খালের ধারে একটা ফাঁকা জমিতে অন্তত কুড়িটা গরু আর কুকুরের মৃতদেহ ঘিরে কয়েকশো শকুন।খালের জলে ভাসমান পচা টমেটো ইত্যাদি নিয়ে জোর ব্যস্ত কিছু শুওর। এবং কিছু মানুষও। শিশু মানুষ।

    আমারা খালের ধারে যাওয়া মাত্র সেই বাচ্চাদের মধ্যে তিনজন 'চাচা আ গইলন। চাচা আ গইলন।' বলতে বলতে খালের পূতিগন্ধময় জল ছেড়ে উঠে এল, গাছ বেয়ে ওঠার মত আমাদের কোলে পিঠে চড়ে বসল এবং আমার জামায় গন্ধ করে দিল।

    আমার হোস্ট গর্বিত হেসে বলল 'আমার ভাইপো ভাইঝি'

    (ক্রমশঃ)
  • সিকি | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০৭480205
  • বাঃ। দারুণ শুরু। :)

    স্টেশনটার নাম "হজরত নিজামুদ্দিন" আর সংলগ্ন ইন্টারস্টেট বাস টার্মিনাস বা আইএসবিটি-র নাম "সরায় কালে খাঁ"।

    চলুক।
  • Lama | 160.129.64.242 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১৫480206
  • নালার জলমাখা তিনটে বাচ্চাকে ঘাড়েপিঠে করে পৌঁছে গেলাম সেই বাঁশের খাঁচার ওপর প্লাস্টিক আর চেঁড়া তেরপল ঢাকা সেই ঘরের মত জিনিসটায় যেখানে আমি অতিথি।

    বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে দীনদরিদ্রের কুটির। ভেতরে কিন্তু হেন দামী ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নেই যা দেখা যাচ্ছে না। বৈসাদৃশ্যটা যে আমার চোখে পড়েছে সেটা আমার হোস্টেরও নজর এড়ায় নি। সে একটু লাজুক হেসে বলল 'আসলে আমাদের অনেক টাকা আছে। এই জায়গাটা আমরা ক্ষতিপূরণের জন্য জবরদখল করে রেখেছি।'

    ঐটুকু বাড়িটায় তক্তপোষের ওপর তক্তপোষ পেতে তিনতলায় পরিণত করা হয়েছে। নীচতলায় জনৈকা অবগুন্ঠনবতী কেরোসিন স্টোভ জ্বেলে রান্নাবান্না করছেন (আগুনকে এর ভয় পায় না মনে হল) দোতলায় অন্তত সাতটা বাচ্চা ঘুমন্ত। শুনলাম এই সাতজনের এবং খাল থেকে উঠে আসা তিনজনের বাবা একই ব্যক্তি।

    প্রাকৃতিক কাজকর্মের জন্য যেতে হবে স্থানীয় সুলভ শৌচালয়ে। আমার হোস্টের নাম করলে পঁচিশ পয়সা চাড় পাওয়া যাবে।

    স্থানীয় বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে আলাপিত হলাম। তাঁরা জনদশেকে একটা তক্তপোষে বসে জটলা করচেন, গঞ্জিকা সহযোগে। আমাকে অফার করা হল। কলকেটার সাইজ প্রয় একটা ছোট বালতির মত বড় দেখে সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলাম।

    (ক্রমশঃ)
  • Lama | 160.129.64.242 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২৯480207
  • এমন সময় এলেন একজন কম্বল বিক্রেতা। রংবেরঙের কম্বল তাঁর কাছে। এক একটির দাম নাকি ছশো টাকা করে। একজন বস্তিবাসী কিঞ্চিৎ দরদাম করতে তিনি বেজায় অপ্রসন্ন হয়ে বললেন 'দরদাম করে আমার সময় নষ্ট কোরো না। তোমাদের দৌড় জানা আছে। তাতে দরদামকারী লোকটির আঁতে বেজায় ঘা লাগল। অতঃপর নিম্নরূপ কথোপকথন হলঃ

    ''কত কম্বল আছে তোমার?'
    'বারোটা।'
    'সব কত মিলে কত দাম হয়?'
    'সাত হাজার দুশো।'
    'গিন্নি, সাত হাজার দুশো টাকা নিয়ে এসো তো আমার গামছার গিঁট খুলে।'

    কম্বলওয়ালা পাওনাগন্ডা বুঝে নিলেন। তারপর বেশ নাটকীয়ভাবে 'এ এ এক, দো ও ও ' করে বারোটা কম্বল গুনে দিলেন খদ্দেরকে। (আমার কেমন যেন ম্যাজিশিয়ান ম্যাজিশিয়ান লাগছিল গোনার ভঙ্গিটা)। তারপর লম্বা লম্বা পা ফেলে প্রস্থান করলেন।

    প্রতিবেশিরা গর্র্বিত ক্রেতাকে বললেন, 'দেখি তোমার কম্বল বারোখানা একবার ভাল করে।'

    ক্রেতা গুনলেন-
    'এ এক, দো ও, তি ঈ ইন, চা আ আ আর...??????...চা আ আ আর, তিই ঈ ঈ ইন, দো ও ও , এ এ এক...???'

    কিছুতেই চারখানার বেশি কম্বল গুনে ওঠা গেল না।

    আর আরো আশ্চর্যঃ কম্বল বিক্রেতা তো একখানাও গুনে ওঠা গেল না। ত্রিসীমানায়।

    (ক্রমশঃ)
  • সিকি | 132.177.46.10 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১১:৩৭480208
  • হা হা হা হা হা, জব্বর হচ্ছে, ত্রিলোকপুরীর ত্রিসীমানায় ...
  • de | 69.185.236.51 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৩০480209
  • দারুণ হচ্ছে -
  • Sayantani | 122.79.35.62 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৩:০৩480210
  • Bapre... Bhanumatir khele naki!!!!
  • Lama | 160.107.178.153 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৩:৫১480211
  • অতঃপর প্রাতঃক্রৃত্যাদি (সুলভ শৌচালয়ে ডিসকাউন্ট চাইতে খারাপ লাগল। আর স্নানের জন্য যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন বলে মনে হল না বলে স্নানটা হল না। ঠিক করলাম বিকেলের দিকে যমুনা নদী বা একটা ফোয়ারা টোয়ারা খুঁজে স্নান করে নেওয়া যাবে)। খাবারটাও খুব স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে হল না। কিন্তু খিদেয় পেট চুঁই চুই করছিল বলে চোখকান বুজে খেয়ে নিলাম রুটি আর অলুর সবজি। খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু ছিল। তারপর প্রতিবেশিদের সনির্বন্ধ অনুরোধে এক ছিলিম গঞ্জিকা (সেই বালতির ন্যায় বড় ছিলিম নয়, ছোট কলকে, গেস্ট ইস্পেশ্যাল), কালচার শকের প্রতিষেধক হিসেবে ।

    এদিক দিক হেঁটে দুপুর বিকেল সন্ধ্যে কাটিয়ে দেওয়া গেল। এবার শোবার পালা।

    শুনলাম আমি ভাগ্যবান। আমি কিনা মাননীয় অতিথি, আমার রাত্রিবাসের জন্য গোটা একটা বাড়ি, মনে বাঁশ, প্লাস্টিক আর তেরপলের আচ্ছাদন বরাদ্দ হয়েছে। দরজার পাল্লা নেই তো কি হয়েছে, মাথার ওপর ছাদ তো আছে।

    রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমার গৃহকর্তা আমাকে নিয়ে আমার রাত্রীকালীন ডেরায় পৌঁছে দিল। বাড়িটা পল্লীর একপ্রান্তে। ব্যবস্থা ভালই। চলবে। দড়ির খাটিয়া। রাতে ঠান্ডা লাগলে ঢাকাঢুকি দেওয়ার জন্য এক পিস নোংরা কাঁথা রাখা আছে পায়ের কাছে। খাটিয়ার পা এবং মাথার দু দিকে ঢাউস দুটো আলমারির মত কি যেন।

    রাতের দিকে একটু ঠান্ডামত লাগছিল। ঘুমচোখে নোংরামত কাঁথাটা গায়ে টেনে নিয়েছি। হঠাৎ যুগপৎ পা এবং মাথার দিক থেকে 'খাঁই খাঁচা খাই খাঁচা ঝঁয় ঝমে ঝঁয় ঝমে' করে বাজনা বেজে উঠতে পিলে চমকাল, ঘুম ভাঙল এবং বোঝা গেল আলমারির মত জিনিস দুটো আসলে লাউডস্পিকার।

    রাতভর 'মোর বালমওয়া হ। মোর বালমওয়া হ' গান একটা ঘুমপাড়ানি এফেক্ট দিচ্ছিল। ভোররাতের দিকে ঘুমিয়েই পড়েছিলাম।

    যখন একটু আলো ফুটেছে, পাখপাখালির ডাক শুরু হয়েছে তখন আবার চিত্তির।

    আমার নোংরা কাঁথার ভেতরে নরম নরম লোমশ মত এটা কি?

    গল চিরে একটা পাশবিক আর্তনাদ আর কাঁথা ফুঁড়ে একটা ঘেয়ো কুকুর বেরিয়ে এল।

    ভাল করে সকাল হবার পর কি হয়েছিল ভাল মনে নেই, তবে শুনেছি আমি ভুল বকছিলাম আর ওঝা ডাকার কথা ভাবা হচ্ছিল।

    একটু ধাতস্থ হবার পর পাড়াপ্রতিবেশিকে জানালাম কি হয়েছিল। তার ফলে, সামান্য ঘেয়ো কুকুরকে ভয় পাবার জন্য বেশ ভালরকম হ্যাটা হতে হল।

    মধ্যাহ্নভোজনের ডাক যখন পড়ল, জানালাম আমি সুলভ শৌচালয় থেকে স্নান করে আসছি।

    তারপর প্রথম যে বাসটা চোখে পড়ল তাতে চেপে বসলাম। খিটখিটে কন্ডাক্টরকে মনে হল কত জম্মের আপনজন। সেই বাস আমাকে নিয়ে নামাল লালকেল্লায় ।

    লালকেল্লার ভেতরে মোতি মসজিদ (এতদিন পর মনে পড়ছে না) বলে একটা কিছু আছে, তার আশপাশে আছে কিচু গাছ, তলার দিকে বেশ বেদি মত করা।

    গাছতলায় যে কি সুন্দর আরামের ঘুম হয়, সে আপনারা ভাবতেও পারবেন না, যদি না নিজে কখনো ঘুমিয়ে থাকেন। একটা পিঁপড়ে পর্যন্ত কামড়াল না।

    রাতের দিকে স্টেশন গিয়ে একটা মথুরা যাবার ট্রেণ পেয়েছিলাম। মথুরা হয়ে রামগঞ্জমন্ডি ফেরত গেলাম। রামগঞ্জমন্ডির একমাত্র ওষুধের দোকানে উকুনের ওষুধের পেছনে দেদার গচ্চা গিয়েছিল। সে আবার অন্য গল্প।
  • de | 69.185.236.55 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:১৫480212
  • ঃ)))

    এটা ব্যাং পড়লে এখনো লামাকে ফিনাইলে কাচতে চাইবে! ঃ)
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:২০480214
  • তারপর কী হলো?
  • Lama | 160.107.179.26 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:২৫480215
  • আমি সবেমাত্র ব্যাঙের কথা ভাবলাম। আর তার ঠিক পরেই ফিনাইলের ব্যাপারটাও ভাবলাম। :D

    যাই ব্যাঙকে খবর দি
  • byaang | 233.227.4.162 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:৪৭480216
  • ফেসবুক থেকে বিদায় নিলে যদি এরকম লেখা বেরোয়, তাহলে বরং তুই আর ফেসবুকমুখো হোস না। পাই অথবা সিকি কেউ একজন ফেবুগুরু থেকে লামাকে ব্লক করে দে।
    লেখাটা তো জব্বর হয়েইছে, তবে আমিও পাঁচ বোতল হারপিক ব্লীচ, দশ বোতল ফিনাইল, কুড়ি বোতল ডেটল, গোটা বারো ব্রাশ আর তিরিশ প্যাকেট ওয়েট ওয়াইপ্স নিয়ে গড়িয়ায় ল্যান্ড করলুম বলে। বাচ্চাগুলো নাহয় ভালোবেসে কোলে উঠেছিল, ওটা নাহয় আমি কোনো মতে মেনে নিলাম। কিন্তু তুই ঐ কাঁথাটা গায়ে দিলি কী বলে? নাহয় একটু শীতই সহ্য করতিস, নাহয় বড়জোর একটু নিমুনিয়াই হত, নাহয় মরেই যেতিস। লেকিন য়ো কাঁথা গায়ে দেনে সে ..........
  • সিকি | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:৪৮480217
  • অক্টোবর মাসের রাতে কেউ নিমুনিয়ায় মরে না।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.22 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:৫৪480218
  • দারুন গল্প ঃ)
  • byaang | 132.172.200.176 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:০২480219
  • আর তুই সুলভ শৌচালয়েই বা গেলি কেন? নিজের শরীরের উপর, মনের উপর একটুকুও কনট্রোল নেই?
  • byaang | 132.167.255.6 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:১৫480220
  • কয়েক বালতি ফিনাইল ঢেলে তোকে প্রথমে একটা নারকেলঝাঁটা দিয়ে ঘষে ঘষে পোষ্কার করতে হবে। তারপর কাপড়কাচার বুরুশে সাদা হারপিক ঢেলে তাই দিয়ে আবার এলোপাথাড়ি ঘষে ঘষে স্নান করাতে হবে তোকে। তারপর ছোবড়া দিয়ে রগড়ে রগড়ে কার্বলিক সাবান দিয়ে স্নান। তারপর আরেকটা নতুন ছোবড়ায় র ডেটল ঢেলে সেই দিয়ে আবার রগড়ে রগড়ে স্নান। তারপর লাইফবয় সাবান দিয়ে একবার স্নান। তারপর আরেকবার ডেটল সাবান দিয়ে শুদ্ধ স্নান।
    এই এতগুলো স্টেপ করতে পারলে তবে একটু মনে শান্তি পাব।
  • একক | 229.64.70.228 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:২০480221
  • এত ঝকমারি করার চেয়ে ব্লিচিং পাওডার আর লামা ওয়ান ইস্টু ওয়ান অনুপাতে নিয়ে মিক্সার-গ্রাইন্ডারে কয়েক পাক ঘুরিয়ে নিলেই হয় । অনেক কম ব্যথা পাবে :/
  • de | 69.185.236.55 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:২৪480222
  • ব্যাংয়েরও কষ্ট কম হবে - এতো রগড়ানি, ঘষা, স্নান করানো, তাও লামার মতো অতো বড়ো লোককে - কম কষ্টের!!
  • Tim | 101.185.30.137 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:২৬480223
  • গল্পটা ব্যাপক
  • শঙ্কু | 24.139.231.78 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:১৮480225
  • লামা ফেসবুক থেকে বিদায় নিয়েছে?
    তাই বটে! আজ সকালেই ঐ মর্মে একটা দুক্ষু দুক্ষু কিন্তু মন ভালো করা পদ্য দিয়েছে দেখেছি।
  • Tim | 101.185.30.137 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:২০480226
  • মিক্সারের কি দরকার, ওয়াশারই তো আছে। তবে খবদ্দার ড্রায়ারে দেবেনা, লামাদার ত্বকের ক্ষতি হবে। বেশ করে নিংড়ে একটা তারে ক্লিপ দিয়ে মেলে দিও।
  • de | 69.185.236.54 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:২৫480227
  • ডিশ ওয়াশার নাকি ওয়াশিং মেশিন? ত্বকের ক্ষতি কোনটায় মিনিমাল? আর চুল?
  • de | 69.185.236.54 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৬:২৬480228
  • হুতো রাতে এসে ছবি এঁকে দেবে খ'ন এইসব প্রোজেক্টের!
  • Sayantani Adhikary | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ১৮:২৭480229
  • অঃ এই সেই কুকুর এর সঙ্গে রাত্রিযাপন এর গপ্প :D
  • রাঘব বোয়াল | 82.209.12.191 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ২১:৫৩480230
  • সেকালের লামা

  • byaang | 132.167.74.140 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ২২:০০480231
  • লামার পিঠে অতসব লটবহর কিসের?
  • byaang | 132.167.74.140 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ২২:০১480232
  • কুকুরটা আবার ঘেয়ো কুকুর! ম্যাগো!
  • রাঘব বোয়াল | 82.209.12.191 | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ২৩:৫৬480233
  • ঘেয়ো কুকুর তো কি। আমাদের পাড়ার ঘেয়ো কুকুর ছিল ভিকি। বিশাল কেঁদো চেহারা মেঘমন্দ্রস্বর কিন্তু স্বল্পভাষী; প্রচন্ড মারকুটে, যে কারনে বেচারা ঘেয়ো হয়েই থাকতো। ওর ছোটবেলায় যখন শানুদা আর অপর্নাদি পাড়ায় আসেনি তখন তো খাওয়া দাওয়া ভালো হতো না তাই এত কেঁদো আর বড় ছিলনা। কিন্তু উঠন্তি মূলো কিনা তাই স্বভাবটা ঠিকই ছিল, তো এক অসম যুদ্ধে বেচারার লেজখানা খোয়া যায়। ভিকিকে নিরীহ পথচারী, বেপাড়ার কুকুর, বাইপাসের ওপার থেকে আসা পথভ্রষ্ট গরু সবাই ভয় পেত।

    কিন্তু শানুদা অপর্নাদির রোগা মেয়ে সরিতা আর বিচ্ছু ছেলে সঞ্জীব যখন ভিকির কান ধরে টানতো বা পিঠে চড়ে পাড়া বেড়াতে যেত তখন ভিকি মোটেই আপত্তি করতো না।

    অবশ্য ভিকির বোধয় চোরেদের প্রতিও একটু দুর্বলতা ছিল। যতবারই চুরি হয়েছে ভিকি কোন সাড়া শব্দ করেনি। কিন্তু তাতে কি। সেতো মাঝে মাঝে দীর্ঘদিন মারপিট না হলে অপর্নাদির লাল ওষুধে ঘা ও শুকিয়ে যেত।

    আর অপর্নাদিদের অস্থায়ী পোষ্য ভামবেড়াল পরিবারকেও ভিকি কখনো কিছু বলেনি। ছোটখাটো দুর্বল ভীত প্রাণেদের ওপর তার খুবই সহানুভুতি ছিল।

    তা সে যাক। আর লটবহর থাকবে না? একটা লোক আজকে রাণাঘাট কালকে রাজস্থান করে বেড়াচ্ছে লটবহর তো থাকতেই হবে। লটবহরের অনেক কিছু ইঁদুরে খাওয়া সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁদা দু বছর কাচা হয়নি তা হয়তো সত্যি, কিন্তু এত কিছু ভাবলে চলে না।
  • Lama | 125.187.35.19 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫৩480234
  • না না। বছরে একবার অন্তত কাচা হয় নি এরকম কিছু ছিল না। কিছু টাকা ছাড়া
  • byaang | 132.167.74.140 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৫৮480236
  • ইঃ এবার আমায় অতসব লটবহরও কাচতে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন