এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আগামীর অবয়ব

    dri
    অন্যান্য | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ১৮৭৭৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দ্রি | 195.100.85.192 | ২২ জুন ২০১৬ ১৯:০৩488135
  • অর্ল্যান্ডোর অফিশিয়াল খুনী ওমর মতীন সম্বন্ধে কতগুলো ইন্টারেস্টিং তথ্য।

    ও জিফোরেসে কাজ করত। জিফোরেস এমন এক প্রাইভেট কোম্পানী যেখান থেকে আপনি খুনী ভাড়া করতে পারেন। যেমন, শেভরন নাইজিরিয়ায় কাউন্টারইন্সার্জেন্সির জন্য জিফোরেস থেকে সৈন্য ভাড়া করে। ইরাক, আফঘানিস্তানেও জিফোরেসের সৈন্য ভাড়া করা হয়েছিল। জিফোরেসের ইনভেস্টার? ইউবিএস, বার্কলেজ, জে পি মরগ্যান, ক্রেদিৎ সুইস।

    জিফোরেসের আগে নাম ছিল ওয়াখেনহুট। এখন নাম বদলে হয়েছে জিফোরেস। ওয়াখেনহুটে কাজ করেছেন, প্রাক্তন এফবিআই ডিরেক্টর ক্ল্যারেন্স কেলি, প্রাক্তন সিআইএ ডেপুটি ডিরেক্টর ফ্র্যাঙ্ক কার্লুচি, প্রাক্তন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর জোসেফ ক্যারল, প্রাক্তন সিক্রেট সার্ভিস ডিরেক্টর জেমস রাউলি, প্রাক্তন মেরিন কম্যান্ড্যান্ট পি এক্স কেলি, প্রাক্তন সি আই এ ডেপুটি ডিরেক্টর ববি ইনম্যান প্রমুখ।

    ওমর মতীনের বাবা সিদ্দিকি মতীন প্রবাসী আফঘান, এখন আফঘানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল হোপফুল। উনি আমেরিকায় বসে একটি পলিটিকাল পার্টি বানিয়েছেন যার নাম ডুরান্ড জিরগা। উনি ইউ এসে বসে আফঘান টিভি চ্যানেল চালান। ওয়াশিংটন ডিসিতে ওনার যাতায়াত আছে এবং ওনার ফেসবুকে সেনেটার কংগ্রেসম্যান ইত্যাদিদের সাথে ছবি রয়েছে।
  • দ্রি | 119.163.234.7 | ২২ জুন ২০১৬ ২১:১৮488136
  • ব্রেক্সিটঃ এ এক হেঁয়ালী।

    অনেক কমেন্টেটারই লিখেছেন ব্রেক্সিট হলে খুবই অনর্থ হবে। কেন হবে সেটা কেউই বিশেষ লিখে উঠতে পারেন নি। তাই দেখা যাচ্ছে অনেকেই খুব কনফিউজ্‌ড কাকে ভোট দেবেন সেই বিষয়ে। ইস্যুগুলোই ভালো করে ক্লিয়ার নয়।

    তবে যারা যারা ব্রেক্সিট নিয়ে ভয় দেখানো লেখা লিখেছেন তারা খুবই হেভিওয়েট। ব্লুমবার্গ, সোরোস। এমনকি স্বয়ং রথসচাইল্ডও কলম ধরেছেন দা টাইমসে। এর থেকে আন্দাজ করা যায় বড় বড় ব্যাংকস হ্যাভ সামথিং টু লুজ। কিন্তু ব্রেক্সিট হলে লিট্‌ল জোর লাভক্ষতির মূল্যায়ণটা সিস্টেম্যাটিকালি করে নি মিডিয়া।

    এখন আবার পপুলার প্লেয়ারদের দিয়ে বলিয়ে নিচ্ছে রিমেইন।
  • SS | 160.148.14.3 | ২২ জুন ২০১৬ ২২:৩৭488137
  • হ্যাঁ, বেক্সিট হলে ব্যাংক আর বিগ বিজনেসের ঝামেলা। লন্ডন হচ্ছে গিয়ে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। অনেক ব্যাংক ভাবছে এর পর হয়ত ফ্র্যাংক্ফর্ট বা প্যারিসে সরতে হবে।
    কাল এনপিআরে একটা ইন্টারেস্টিং অ্যাঙ্গেল পেলাম এই ব্রেক্সিট নিয়ে। জিব্রাল্টার এই রেফারেন্ডামে খুব গুরূত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে চলেছে। জিব্রাল্টার স্পেনের সাথে যুক্ত কিন্তু ব্রিটিশ টেরিটোরি। স্পেন অলরেডি হুমকি দিয়েছে যে ব্রেক্সিট হলে তারা জিব্রাল্টার সিজ করবে। তাই জিব্রাল্টারে প্রায় সবাই রিমেন এর ফরে। প্রায় চল্লিশ হাজার ভোট জিব্রাল্টারে। কি হয় দেখা যাক।
  • দ্রি | 182.98.67.57 | ২৩ জুন ২০১৬ ০৮:৪৩488139
  • "লন্ডন হচ্ছে গিয়ে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। অনেক ব্যাংক ভাবছে এর পর হয়ত ফ্র্যাংক্ফর্ট বা প্যারিসে সরতে হবে।"

    হ্যাঁ এই কমেন্ট্রিটা কিছু জায়গায় শুনেছি। কিন্তু আমার এই নিয়ে ঘোর ডাউট আছে। অন্তত এইটাই মুখ্য কারণ নয় বলেই মনে হয়। তা যদি হত তাহলে ই ইউর কিছু ব্যাঙ্কিং কমিউনিটি ব্রেক্সিট সাপোর্ট করত। ফাইনান্স লন্ডন থেকে সরলে যেমন লন্ডনের ক্ষতি, প্যারিস আর ফ্র্যাঙ্কফুর্টের লাভ। তাতে তো ই ইউর লাভ। কিন্তু ই ইউও চাইছে না ব্রেক্সিট হোক।
  • দ্রি | 182.98.67.57 | ২৩ জুন ২০১৬ ০৮:৫৭488140
  • আমার মনে হয় এর বাইরে আরো কিছু আছে যেটা এরা খুলে বলছে না।

    এই যেমন ইইউর বিভিন্ন দেশে যখন ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস আসবে (গ্রীস, স্পেন, ইতালীর মত) তখন পয়সাটা কে দেবে। এখন জার্মানী, ফ্রান্স, বৃটেন এরা বোধহয় শেয়ার করে। বৃটেন বাইরে চলে গেলে সেটা আর করতে হবে না। ইমিগ্র্যান্ট শেয়ারিংও করতে হবে না। এইসবে বৃটেনের ট্যাক্সপেয়ারের ওপর চাপ পড়ে সেটা অনেকে চায় না।

    ভগবান জানে কী। ব্রেক্সিট ভালো করে বোঝা গেল না।
  • দ্রি | 182.98.67.57 | ২৩ জুন ২০১৬ ০৯:০৩488141
  • মিউনিসিপাল ইলেকশানে রোম আর তুরিনে জিতে গেল নতুন পার্টি, ফাইভ স্টার মুভমেন্ট। এরা রাইট উইং অ্যান্ট ইইউ পার্টি।

    কমন মানুষের মধ্যে ইইউ বিরোধিতা একটু একটু করে দানা বাঁধছে। ব্রাসেলসে বসে কিছু আনইলেক্টেড অফিশিয়াল একটা দেশের পলিসি ঠিক করে দিচ্ছে এটা অনেকেই চাইছে না। বিশেষ করে তাতে যখন মানুষের ইকনমিকালি অসুবিধে হচ্ছে।
  • দ্রি | 182.98.67.57 | ২৩ জুন ২০১৬ ০৯:১১488142
  • ফ্রান্সে অ্যান্টি লেবার ল'র বিরোধিতা করে খুব প্রোটেস্ট হচ্ছে। এত বেশী যে মঁসিয় ওলোন্দ বলছেন তিনি প্রোটেস্ট বেআইনী করে দেবেন।

    Hollande threatens to ban demos as French anti-labor law protests grow

    https://www.rt.com/news/346804-hollande-ban-demonstrations-france/
  • dc | 132.174.115.207 | ২৩ জুন ২০১৬ ০৯:৪৬488144
  • গতকাল পড়ছিলাম যে ব্রেক্সিট হলে ইন্ডিয়ার কিছু লাভ হবে, কারন ইউকের এফডিআইর ইনফ্লোর তৃতীয় বৃহত্তম সোর্স এখন ইন্ডিয়া আর এই ইনফ্লো বাড়ছে (এখানে আছেঃ https://www.gov.uk/government/publications/ukti-inward-investment-report-2014-to-2015/ukti-inward-investment-report-2014-to-2015-online-viewing)। তো ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেন আরো বেশী করে এফডিআই চাইবে, ফলে ভারতও ফেভারেবল ট্রেড টার্মস নেগোশিয়েট করতে পারবে।

    আর আমার অল টাইম ফেভারিটদের একজন, জন ক্লীস, ব্রেক্সিট সাপোর্ট করছেন ঃ) তবে লাস্ট অবধি হবে বলে মনে হচ্ছেনা, রিমেইন ক্যাম্প সামান্য এগিয়ে। দেখা যাক।
  • dc | 132.174.115.207 | ২৩ জুন ২০১৬ ১০:০২488145
  • কিন্তু ব্রেক্সিট হলে লং টার্ম গ্লোবাল ট্রেডের ওপর খারাপ এফেক্ট পড়তে পারে, আরো বেশী করে ট্রেড ব্যারিয়ার তৈরি করা হতে পারে, সেটা এখানে লিখেছেঃ

    http://www.wsj.com/articles/brexits-real-impact-would-be-gradual-and-global-1466616893

    হায়, এক দিকে মন্টি পাইথন, আরেকদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। কঠিন চয়েস ঃ(
  • দ্রি | 33.239.10.144 | ২৩ জুন ২০১৬ ১১:১১488146
  • ট্রেড ব্যারিয়ার গ্লোবাল ট্রেডের ওপর খারাপ হতে পারে। কিন্তু দেশের পপুলেশানের জন্য ভালো হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।

    সেটাই কনফ্লিক্ট। অফ কোর্স গ্লোবাল ট্রেডে কিছু লোকের লাভ। বিগ বিজনেস, মাল্টিন্যাশানাল এদের লাভ। কিন্তু সেটা অনেক সময় অ্যাট দা কস্ট অফ লোকাল পীপল। বুমের সময় ইইউর মত একটা কনসেপ্ট তাও খাওয়ানো যায়। কিন্তু ডাউনটার্নের সময় খুব মুস্কিল। মিডিয়ায় ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আর কত জোড়াতালি দেওয়া যায়?
  • pi | 24.139.209.3 | ২৩ জুন ২০১৬ ১৪:৪৮488147
  • ইয়েমেনের কিছু ডাক্তার, কর্মকর্তার সাথে আলাপ হল এবার। বলছিলেন, কীরকম এক একটা শহর পুরো শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কত কিছু ধ্বংস। বলছিলেন, স্বস্স্থ্য পরিষেবার অবস্থা কী ভয়ানক। ম্যালেরিয়ার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে যাওয়া লোকজনকেও মেরে দিয়েছে। এখন আর তার লোকই পাওয়া যায়না। ম্যালেরিয়াতেও লোক মরছে। যুদ্ধে তো মরছেই। ওঁদের দেশের এমনি অবস্থাই তো মারাত্মক । আজ কত বছর ধরে দেশের মধ্যেই যুদ্ধ চলছে, কিন্তু দেশের লোকজনের মধ্যে কিছু না। ওঁদের বক্তব্য, পুরোটাই সৌদি আরব আর ইরানের খেলা চলছে। আর দেশের কিছু লোকজন অন্ধের মত ওদের ফলো করে চলেছে। একটা দেশের মধ্যে নাকি দুটো সরকার চলছে। কী অদ্ভুত !
    এখন আবার আল-কায়দা, আইসিস সবাই ঢুকে পড়েছে। শুনলাম এরা সবাই ইরান সমর্থিত জাইদি ( হাউথি)দের বিপক্ষে। এদিকে জাউদিদের অরিজিনাল শত্রু তো ছিল সৌদি আরব। এই সৌদি আরবের ব্যাপারস্যাপার সত্যি বুঝিনা। পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই। কে যে কার সত্যি শত্রু, কার সত্য মিত্র ! আইসিস এর সত্যিকারের বিরুদ্ধে কারা আর তাদের নিজেদের মধ্যে ইকোয়েশনই বা কী। আইসিসের কাজকর্ম এখন দেখে আমরা এত শিউড়ে উঠি, কিন্তু সৌদি আরব এট আল তো অনেকদিনই দেশের মধ্যে এরকম অনেক কিছুই চালিয়ে থাকে। তার বিরুদ্ধে সৌদির মিত্রো দেশ কিছু বলেছে কিনা জানা নেই। সমস্ত ইক্যুতেশনই মারাত্মক জটিল লাগে। তার মধ্যে আবার এইটা পড়লাম।
    https://www.theguardian.com/commentisfree/2015/jun/03/us-isis-syria-iraq
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ১৯:১০488148
  • দ্রি, কিন্তু ফ্রি ট্রেড হলে, টেকনোলজি ট্রান্সফার হলে, এফডিআই হলে তো পুরো পৃথিবীর লোকেরই আল্টিমেটলি লাভ! স্যামুয়েলসন থেকে ক্রুগম্যান থেকে স্টিগলিট্জ, প্রত্যেক ইকোনমিস্ট এই একটা জায়গায় একমত।

    আর ফ্রি ট্রেড আর গ্লোবালাইজেশান নিয়ে এই লেখাটা ভালো লাগলঃ http://www.ndtv.com/opinion/what-brexit-means-to-indians-in-the-uk-1422175

    বিশেষ করে এইটাঃ The reason is that economic dislocation caused by impersonal market forces inevitably results in a search for visible scapegoats. এই স্কেপগোট একেক দেশে একেকরকম - আমেরিকায় মেক্সিকান, ব্রিটেনে য়ুরোপিয়ান ইমিগ্রান্ট, আমাদের দেশে আইএমএমএফ ইত্যাদি।
  • দ্রি | 101.228.151.52 | ২৩ জুন ২০১৬ ২১:৫১488150
  • পাইদি, এ তো এক বছরের পুরোনো লিংক। এই কথাগুলো এতদিন কোথাও শোনেননি?
  • দ্রি | 47.187.129.166 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:০২488151
  • "ফ্রি ট্রেড হলে, টেকনোলজি ট্রান্সফার হলে, এফডিআই হলে তো পুরো পৃথিবীর লোকেরই আল্টিমেটলি লাভ!"

    এর এক্সপ্লানেশানটা শুনব বলে এতদিন বসে আছি। একটু সহজ করে বুঝিয়ে বলুন তো। স্টিগলিজের থিওরীটাই লিখে দিতে পারেন নিজের ভাষায়।

    আরো একটা কথা। 'আল্টিমেটলি' মানে কত আল্টিমেটলি? আমার লাভ বুঝতে আমায় মরা পর্য্যন্ত ওয়েট করতে হবে না তো?

    "The reason is that economic dislocation caused by impersonal market forces inevitably results in a search for visible scapegoats."

    এ কী? এই একটু আগেই বললেন সবার লাভ। ইকনমিক ডিসলোকেশান যাদের হচ্ছে তাদের কী লাভ?

    কেসটা হল ইমপার্সোনাল মার্কেট ফোর্সকে আইন দিয়ে লিমিট করা সম্ভব। কখন কতটা করা দরকার তা নির্ভর করে কোথায় কতটা ডিসলোকেশান হচ্ছে সেসব বিবেচনা করে।
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:২৪488152
  • মেরেছে আবার আপনিও বলেন ডিটেলে লিখতে ঃ( এখন না, পরে লিখব। এখন গ্রাফ এঁকে আপলোড করে লেখার সময় নেই, কিন্তু নাহলে তো রিকার্ডো বাবুকেও ধরা যাবেনা আর হেকচার-ওহলিন অবধিও যাওয়া যাবেনা।

    তবে আমার লাভ বুঝতে মরা অবধি অনেক সময়েই ওয়েট করতে হয়না। যেমন ধরুন সুজুকি আর হন্ডা ইন্ডিয়ান মার্কেটে টেকনোলজি ট্রান্সফার করেছিল। তার ফলে ভারতের অটোমোবাইল মান্ধাতার আমলের অ্যাম্বাসাডর ছেড়ে নতুন ডিজাইনের গাড়ির দিকে এগোতে পেরেছিল, মারুতির মতো লো কস্ট পিপলস কারও বাজারে এসেছিল। আর আজকের গাড়ির মার্কেট তো অনেকটাই ডেভেলপড। তো সেই প্রথম এফডিআই না এলে কি হতো ভাবুন। এরকম আরও অনেক উদাহরন আছে, এটা চট করে মনে পড়ল। এফডিআই-টেক ট্রান্সফার আর তারপর মার্কেট গ্রোথ আর ইকনমিক গ্রোথ নিয়ে আরও অনেক কেস স্টাডি আছে।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৩৪488153
  • আমেরিকার ইন্ভল্ভমেন্ট শুনব না কেন ? 'আবার' এইটা পড়লাম লিখলাম তো।
    কিন্তু ইয়েমেনের এই ইক্যুয়েশন জানতাম না। এই সৌদি-ইরান-আইসিস-আল কায়দা সুন্নী-জাইদি বিচিত্র ইক্যুয়েশনের কথা। সেটা মনে হতেই কে কোন দিকে হিসেব কষার চেষ্টা করছিলুম, পুরো মধ্য প্রাচ্য জুড়েই। শত্রু, মিত্র, শত্রুর শত্রু, সর্বঘটে আম্রিগা ইঃ। তো এইসব নিয়ে পড়তে গিয়েই আবার এইটা পড়লাম।

    ইন ফ্যাক্ট এই শত্রু মিত্রের ইক্যুয়েশন নিয়ে একটা গ্রাফিকাল ছবিও দেখেছিলাম কোথাও, সেটা খুঁজছিলাম।
  • দ্রি | 214.194.29.4 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৩৭488155
  • ঠিক আছে। আরেকটা কেস স্টাডি।

    জিএম ব্যাংক্রাপ্সি ফাইল করল। আম্রিকায় প্রচুর লেঅফ করল। ডেট্রয়েট শ্মশান হয়ে গেল।

    কিন্তু জিএমের প্রোডকশান চীনে চলে গেল। টেকনোলজি ট্রান্সফার হল। চীনে লোকের চাকরী হল।

    কিন্তু আমেরিকার গাড়ীর শ্রমিকদের কী উপকার হল? পুরো পৃথিবীর লোকের আল্টিমেট লাভ কি হল?
  • pi | 24.139.209.3 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৩৭488154
  • জাইদিদের নিয়ে যা মনে হয়েছিল, ওরা সুন্নীদের কাছাকাছি। এদিকে ওরা লড়ছে সুন্নী সৌদির বিরুদ্ধে , আর সেটা মূলতঃ ইরানের ব্যাকিং এ !
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৪২488156
  • ডিসি, একটা প্রশ্ন পাচ্ছে।বাংলাদেশে ভারতের বহু আগেই জাপানি গাড়ি রাস্তা ঘাটে ইউজ করা হতো।তা, বাংলাদেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি এর কেমন অবস্থা?
  • দ্রি | 214.194.29.4 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৪৫488157
  • শুনুন, সৌদি, কাতার, কুয়েত, জর্ডন, টার্কি এরা একদিকে।

    ইরান, সিরিয়া অন্যদিকে।

    ইরাকে সৌদি, ইরান মারামারি করছে ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে।

    ইয়েমেনেও তাই।

    ইরান, সিরিয়াকে সাপোর্ট করে রাশিয়া।

    সৌদি ব্লককে সাপোর্ট করত ইউএস। রিসেন্টলি ইকুয়েশান বদলাচ্ছে।

    ইজরায়েল দেখে খেলে। তবে মূলত ইরানবিরোধী। চুপচাপ সৌদিদের সাইডেই খেলে।

    আইসিস বেড়ে উঠেছে সৌদি, টার্কি, কাতারের টাকায়, ইজরায়েল, ইউএসের তত্ত্বাবধানে জর্ডনের মাটিতে।
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৪৭488158
  • জিএম চীনে টেক ট্রান্সফার করলো, তাতে চীনের প্রোডাকশন প্রসেসের উন্নতি হলো, আর চীনের লোকে চাকরি পেলো। আবার চীন অন্য কিছু একটা লো কস্ট প্রোডাক্ট আমেরিকায় এক্স্পোর্ট করলো (কারন লেবার চীনের অ্যাবান্ডান্ট ফ্যাক্টর), তাতে অ্যামেরিকার লোকেরা কম দামী জিনিস কিনতে পেলো। অ্যামেরিকায় যারা কম দামে কিনতে পেলো তাদের মধ্যে আমেরিকার প্রাক্তন গাড়ি শ্রমিকরাও আছে। দুদেশেরই লাভ হলো।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫০488159
  • সৌদি আর আইসিস আলাদা দিকে যায় কীকরে ?
    আর আইসিস আল-কায়দারও কোথাও কমন শত্রু, আবার কোথাও শুনি এরা পরস্পরের শত্রু।

    আর কারা কোনদিকে বলতে কি সরকার বলছেন ? কারণ দেশ হিসেবে বলতে গেলে তো দ্বিধা- ত্রিধা বিভক্ত !
    আবার ইয়েমেনে যা শুনলাম, দেশের অনেক লোকই কোন পক্ষেই নন ! বলছেন , ওঁদের ট্রাইব লিডারদের দিয়ে ইন্ফ্লুয়েন্স করিয়ে ট্রাইব গুলোকে কোন এক পক্ষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫১488161
  • sm, বাংলাদেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা তো ঠিক জানিনা, তবে ভারতের মতো ডেভেলপড বোধায় না। তার নিশ্চয়ই অনেক কারন আছে, যেমন বাংলাদেশের মার্কেট ভারতের মতো বড়ো না, বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং বেশ ভারতের মতো বড়ো না, গাড়ি তৈরির অন্যান্য রিসোর্স যা লাগে সেসব বেশী নেই ইত্যাদি।
  • দ্রি | 214.194.29.4 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫২488163
  • আরো কেস স্টাডি হতে পারে।

    এই মুহুর্তে ইউ এস আর ইইউর মধ্যে ট্রান্স-আটলান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপের যে প্রোপোজাল হয়েছে তাতে ইইউর ফার্ম সাবসিডি তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাতে ফার্মারদের কী উপকার হবে মনে করছেন?

    এই নিয়ে ফ্রান্সে এখন ভীষণ ঝামেলা চলছে।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫২488162
  • মোটা মুক্তি যা হিসাব পাচ্ছি,পৃথিবীর যাবতীয় ধন সম্পত্তির সিংহভাগ কয়েকজন ধনী ব্যক্তির কুক্ষিগত হচ্ছে।এই প্রসেস টি চলমান ও ক্রমবর্ধমান।
    নইলে ভেনিজুয়েলার জনতা আজ খেতে না পেয়ে অনাহারে থাকে?
    একটা কোন নিউজে পড়েছিলাম গ্রামে প্রায় 70 শতাংশ লোকের দু সেট ভালো জামা কাপড় নেই।লক্ষ করুন দু সেট। মানে দূর দূরান্তে কাজ করতে গেলে যেটা বেশ আবশ্যক। তাই তাদের অনেকে গ্রামে বেকার বসে থাকে। অদ্ভুত স্টাডি; তাই না?
    চা বাগান দেখুন। কি অবস্থা শ্রমিক দের।কিন্তু কত শত টেকনোলজির আদানপ্রদান হলো। টাটা, বিড়লা, আম্বানি,আদানি তৈরি হলো কিন্তু ঐ যে সিংহভাগ লোক- তারা, মোগল আমলের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়ে গেলো।
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫৪488164
  • ভেনিজুয়েলা তো ক্লাসিক উদাহরন স্টেট কন্ট্রোলড ইকনমি কিভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে!
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫৬488165
  • ডিসি,আপনি সোজা সুজি জবাব দিলেন। ভালো লাগলো।অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ফ্রি ট্রেড,আর টেকনোলজি ট্রান্সফার হলেই সব কিছু সম্ভব নাও হতে পারে।অর্থাৎ গপ্পো বা থিওরি যাই বলুন;সব ই স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্ন ফল দিতে পারে।
    প্রসঙ্গত, বাংলা দেশের মার্কেট ক্ষুদ্র নয়, চাহিদাও আছে, শ্রমিকও সহজলভ্য।
  • dc | 132.174.71.137 | ২৩ জুন ২০১৬ ২২:৫৭488166
  • দ্রি, কেস স্টাডি তো অনেক আছেই। তবে ফ্রি ট্রেডএ যে ওভারল ইমপ্রুভমেন্ট হয় তা গত তিরিশ-চল্লিশ বছরের অ্যাভারেজ গ্লোবাল জিডিপি গ্রোথ, ইনকাম গ্রোথ ইত্যাদি দেখলেও বোঝা যায়। অবশ্যই ইকনমিক আর টেকনোলজিকাল ডিসপ্লেসমেন্ট তো হয়ই, যেমন মোটরগাড়ি আসার ফলে পাল্কি বাহকদের চাকরি গেছিল বা মারুতি আসার পর অ্যাম্বাসাডর আস্তে আস্তে অবসলিট হয়ে গেছিল। তবে দেখা গেছে ওভারল ট্রেডের ফলে গ্লোবাল ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন