এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কুস্বাস্থ্য

    pi
    অন্যান্য | ০২ নভেম্বর ২০১১ | ৯৪৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 75.76.118.96 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৫৫504592
  • কারা সওয়াল করছিলেন না যে জেলা থেকে রোগী কেন রেফার করা হয়? একটু পড়ে দেখুন, যেকোন একদিন জেলার কোন হাসপাতালে গিয়েও দেখতে পারেন যদি না কোন এক্সপেরিয়েন্স থাকে।

    http://www.anandabazar.com/10swasth3.html
  • ইন্দ্রাণী | 147.157.8.253 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ০৮:৪৮504594
  • কেন লিখছি ?
    সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমার কিছু বলার ছিল। কথার পিঠে, আমি নিশ্চিত আরও অনেকেরই কিছু বলার থাকবে। হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠুক-আপাততঃ এরকমই কিছু চাইছি।

    আগের কথাঃ
    পারলৌকিক ক্রিয়ার টইতে বলেছিলাম একটা ডকুমেন্ট তৈরি করছি।
    তো, আমার লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই আনন্দবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগে দু কিস্তিতে লেখা বেরোলঃ
    http://www.anandabazar.com/archive/1120715/15swasth1.html
    এবং
    http://www.anandabazar.com/archive/1120716/16swasth2.html

    এই লেখার প্রেক্ষিতে চটজলদি একটি চিঠি পাঠাই আনন্দবাজারে, সেই দিনই। হাসাপাতাল থেকে আসা সংক্রমণ প্রসঙ্গ ব্যতীত রও কিছু কথা ছিল এ চিঠিতে।ছাপা হয় নি আজও। আর অপেক্ষা না করে, সম্পূর্ণ চিঠিটি এখানে তুলে দিচ্ছিঃ

    মাননীয় সম্পাদক,
    আনন্দবাজার পত্রিকা,
    কলকাতা।

    ১৫ এবং ১৬ ই জুলাইয়ের আনন্দবাজার নেট সংস্করণে সোমা মুখোপাধ্যায়ের অব্যবস্থা বেসরকারি হাসপাতালেও শীর্ষক দুই কিস্তির প্রতিবেদন পড়লাম। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা এই প্রতিবেদনের সঙ্গে বহুলাংশেই মেলে। বাকি থাকে যেটুকু, সেটুকু পত্রিকার পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নেব।

    গত ১৫ই জুলাইএর প্রথম কিস্তিতে 'চিকিৎসাজনিত সংক্রমণে' মৃত্যুর উদাহরণে যে দুর্ভাগা রোগীরা আলোচিত, আমার মা তাঁদেরই একজন। আর্থোস্কোপি পরবর্তী ভয়াবহ সংক্রমণে সেপটিক শকে আক্রান্ত হয়ে মা চলে গেল-এক মাস হ'ল।
    আশৈশব মা-র থেকেই জেনেছি কোনো কথা বলার আগে ভাবতে; কাউকে দোষারোপ করার আগে সে ঘটনায় নিজের দোষের ভাগ নিরূপণ করতে। এ চিঠিতে দোষারোপ নয়; আঙুল যদি ওঠেও, তা ব্যক্তিবিশেষের দিকে নয়, আমাদেরই ত্রুটি, আমাদেরই খামতিগুলির দিকে।

    মার অপ্রত্যাশিত চলে যাওয়ার মূলে যে সেপ্টিসেমিয়া, সেই সংক্রমণ হাসপাতাল থেকেই এসেছে নাহলে আর্থোস্কোপির পরে বাড়ি ফিরে আসার এক দিনের মধ্যে সেপটিক শকে ( হোয়াইট ব্লাড সেল কাউন্ট ৩০০০০, পালস ৪০, ব্লাড প্রেশার ভয়াবহরকম কম) আক্রান্ত হওয়া সম্ভবপর নয়; এবং সংক্রমণ নসোকোমিয়াল স্ট্রেন ( অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে আগত রোগজীবাণু) -জনিত বলেই এতখানি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট যার ফলে মা কে চলে যেতেই হ'ল। এখন প্রশ্ন - সংক্রমণ কিভাবে এবং কেন হ'ল? প্রতিবেদনে কারণগুলি সু আলোচিত। বইপত্র, জার্নাল, ইন্টারানেটে প্রাপ্ত তথ্যও একই কথা বলেঃ অপারেশন থিয়েটর বা সার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বা ক্যাথেটার সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত না হলে এই সংক্রমণ রক্তে মিশে যাওয়া সম্ভব। এই অনভিপ্রেত ঘটনা হাসপাতালের পরিচালনার ত্রুটিকেই চিহ্নিত করে। যে সকল কর্মীর দায়িত্ব হাসপাতাল/ সার্জারিতে বা রোগীর ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জীবণুমুক্ত রাখা তাঁরা সেকাজ সঠিকভাবে না করলে এ ঘটনা ঘটতেই থাকবে। যে যন্ত্রে সার্জিকাল ইকুইপমেন্টস জীবাণুমুক্ত করা হবে, সেটি কাজ করছে কি না, সর্বোপরি, জীবাণুমুক্তকরার প্রক্রিয়ার নিয়মকানুনগুলি সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কড়া নজরদারি আবশ্যক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়ম করে অপারেশন থিয়েটর, অপারেশনে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি, ক্যাথেটার ইত্যাদি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। চিকিৎসক , অচিকিৎসক নির্বিশেষে সমস্ত কর্মীর এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনের পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চলা একান্ত জরুরী। এক কথায় দায়িত্ব আমাদের সকলের। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় কিস্তিতে সমস্ত নিয়ম সুষ্ঠুভাবে মেনে চলতে গেলে যে ব্যয়ভার বেড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন জাগে, বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেই প্রশ্ন জাগে -যে বিপুল অর্থ দাবি করেন বেসরকারী হাসপাতাল , সেই অর্থেও কি সমস্ত নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয়?
    আরও একটি বিনীত প্রশ্ন , প্রথম কিস্তিতে উল্লেখিত শ্রী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে-রোগীর আত্মীয়স্বজনের থেকে অভিযোগ পেলেও কি তিনি এইরকমই আত্মবিশ্বাসী হয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চেষ্ট থাকতে চান? অমূল্য জীবনের স্বার্থে একটিবারও কি ঐ হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখা যায় না?

    'অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপের কারণ প্রতিবেদনটিতে সু- আলোচিত। তবে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রটোকল না মানার অপরাধে চিকিৎসকদের দোষী করার পাশাপাশি নিজেদেরও দোষী করতে হয়। মুড়িমুড়কির মত অ্যান্টিবায়োটিক খাই আমরা, সামান্য সর্দি জ্বরেই ওষুধের দোকানে গিয়ে নিজেরাই কিনে আনি অ্যান্টিবায়োটিক, ডোজ ঠিক করি নিজেরাই, চিকিৎসককে বহুসময় বাধ্য করি অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে। আমাদের নিজেদের কোনো সচেতনতাই নেই এই ব্যাপারে। এক্ষেত্রে মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশন যদি মিডিয়াকে সঠিক ব্যবহার করতে পারে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে তবে তা কার্যকরী হবে বলে আমার ধারণা। যে দেশে আছি, সেখানে এই মুহূর্তে এরকম একটি ক্যাম্পেইন চালু আছে। খেয়াল রাখতে হবে হাসপাতালের বর্জ্য জল যেন সাধারণ বর্জ্য জলে না মেশে, হাসপাতালের বর্জ্য জলে যে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিকাল ইনগ্রেডিয়েন্টস ত্থাকে তা সাধারণ বর্জ্য জলে উপস্থিত জীবাণুকে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট করে তুলবে ক্রমশঃ। প্রেসক্রিপশন অডিটের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করাই নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। শুধু চিকিৎসাক্ষেত্রেই নয়, কৃষি ও খামারে পশু পালনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নজরদারি আবশ্যক।

    ২০০২ সালে ইউরোপীয়ান সোসাইটি অফ ইন্টেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের সেপসিস সার্ভাইভিং ক্যাম্পেইনের বার্সেলোনা প্রটোকল ছ-দফা অ্যাকশন প্ল্যান প্রকাশ করে , এই পরিকল্পনায় ডায়াগনসিস এবং ট্রীটমেন্টের পাশাপাশি রাখা হয়েছে অ্যাওয়ারনেস, এডুকেশন, কাউন্সেলিং আর রেফারেলকে।
    প্রতিবেদনেও সচেতনতা আর সঠিক শিক্ষার কথাই ঘুরে ফিরে এসেছে। অর্থাৎ উপযুক্ত প্রশিক্ষণের আবশ্যিকতা। প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে আমার নিদারুণ অভিজ্ঞতার কথা বলিঃ
    মা কে ভিজিটিং আওয়ারে দেখতে গিয়ে একদিন দেখি অক্সিজেন মাস্ক লাগানো থাকা সত্ত্বেও মা অসম্ভব কষ্ট করে শ্বাস নিচ্ছে ; মনিটরে দেখলাম অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮২% , রেসিডেন্ট মেডিকাল অফিসার আপননমনে বসে আছেন। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলি, বাইপ্যাপ দেওয়ার দরকার কি না সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ফোন করে জেনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে। তিনি তখন ধীরে সুস্থে ফাইল উল্টে জানলেন ও জানালেন , স্যাচুরেশন এতটা কম হলে সেরকম নির্দেশই আছে বটে। তারপর নীল জামা পরা এক সেবিকাকে হুকুম করলেন বাই প্যাপ লাগাতে। সেবিকা অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে বাই প্যাপ লাগাতে শুরু করলেন বাইপ্যাপ মেশিন চালু না করেই। স্যাচুরেশন দ্রুত নিচে নামতে লাগল-আমি চিৎকার করে উঠতে আর এম ও এসে সেবিকাকে বকাবকি শুরু করলেন। এবারে অন্য আর একজন এগিয়ে এসে অক্সিজেন মাস্কটি আবার পরিয়ে, মেশিন চালু করে বাইপ্যাপ দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করলেন। মা সেদিন সেই মুহূর্তেই চলে যেতে পারত
    আমরা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঐ সেবিকার যেন চাকরি না যায় এই অনুরোধও করেছি সঙ্গে সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট আর এম ও ধমক খেয়েছেন হয়তো। আমাদের মৌখিক আশ্বাস দেওয়াও হল -এরকম আর হবে না। কিন্তু সমস্যা তো অন্য জায়্গায়-উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া সেবিকা/ সেবিকারা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কাজ করছেন -এর দায় কে নেবে?

    বার্সেলোনা প্রটোকলে কাউন্সেলিংএর কথা বলা আছে। এ প্রসঙ্গে শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক শুশ্রূষার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করি।
    মা সেপটিক শক নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালের আই সি সি ইউ তে ছিল ৭ দিন , হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ১৩ দিন, আর শেষ দিনটি আই সিসি ইউর ভেন্টিলটরে। প্রথম পনেরো ষোলো দিন মার জ্ঞান পূর্ণমাত্রায় ছিল- হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের অন্যান্য রোগীদের যন্ত্রণা নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছিল মা, নানাবিধ জৈবিক শব্দ কানে আসছিল। শরীরের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসা, ক্রিটিকাল কেয়ারে থাকা, কিন্তু তার সঙ্গে মানসিক শুশ্রূষার কথাও কি ভাবা উচিত নয়? সমস্ত দিন ঐ পরিবেশে -আত্মীয়স্বজন বিহীন।এই পরিবেশ কি বেঁচে থাকার ইচ্ছেকে বাড়িয়ে তুলতে বিন্দুমাত্র সাহায্য করতে পারে? এ কথা কেউ আদৌ ভাবছেন?

    যে কথা বারে বারে মনে হয়েছে -আমরা যেখানেই কাজ করি না কেন-সরকারী, বেসরকারী যে প্রতিষ্ঠানই হোক-যে পেশাতেই থাকি না কেন -চিকিৎসক, অচিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী , ম্যানেজার কি আত্মীস্বজন-আমরা যেন নিজের কাজটি ঠিকমত করি, নিজের দায়িত্ব সম্বন্ধে সর্বদা সচেতন থাকি এবং অন্যকে সচেতন করি।
    চরম অবিশ্বাসী হয়েও, এই মুহূর্তে ভাবতে ভালো লাগে , মার এখন আর কোনো কষ্ট নেই, মা খুব সুন্দর একটা জায়্গায় আছে, যেখানে নদী, পাহাড় আর পাখি; মা সুবিনয় রায় শুনছে, বই পড়ছে, মা ভালো আছে খুব। আমরা নিজেরা নিজের কাজ ঠিকমত করলেই এই সুন্দর জায়্গাটির অবস্থান অবিশ্বাসীর কল্পনায় কিম্বা বিশ্বাসীর স্বর্গে হতে হয় না।

    ইতি
    ইন্দ্রাণী দত্ত
    সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
    ১৬ই জুলাই, ২০১২।

    এখন কি চাইছিঃ

    হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন দিয়ে সচেতনতা। খবরের কাগজে লিখতে চেয়েছিলাম যাতে আরও অনেক লোকের কাছে পৌঁছতে পারি। হল না।
    টইতে আলোচনা হোক। ডাক্তরার লিখুন। সংশ্লিষ্ট গবেষকরাও। দুর্ভাগা রোগীর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব। আমি লিখব। প্রশ্ন করব। প্রয়োজনে আলদা টই খোলা যেতে পারে।

    আপাততঃ এই।
  • pi | 82.83.90.116 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ০৯:১১504595
  • ইন্দ্রাণীদি, খুবই দুঃখজনক ঘটনা, কিন্তু খুব ভালো করেছ, বিস্তারিত সব লিখে। এনিয়ে সচেতনতা বড় কম।

    মানসিক শুশ্রূষা নিয়ে যে প্রশ্নটা তুলেছে, সেটাই কিন্তু প্যালিয়েটিভ কেয়ার বলে।
  • nina | 78.34.167.250 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৫504597
  • ইন্দ্রাণী
    সত্যি তো --আমার মারও এই সেপ্টিসেমিয়াই হয়েছিল---হাসপাতাল ও ডাক্তারদের নানা রকম নেগলেক্ট করার নজির দেখে বড়ই অসহায় লাগছিল--এর প্রতিকার হওয়া খুব দরকার--কিন্তু কি করে হবে জানিনা।
    তোমার চেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই--ও কোনো ভাবে কিছু করতে পারলে খুব ভাল লাগবে--
    পথ দেখাও।
  • ব্যাং | 132.178.205.72 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১০:০৬504600
  • ইন্দ্রাণী,
    খুব ভালো করেছ এইগুলো জানিয়ে। আমাদের সচেতন থাকার দায় আমাদেরই। সব রোগীর বাড়ির লোকজনরাই যদি এই খামতিগুলো নিয়ে অভিযোগ করেন, আপত্তি করেন, কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হন। যদি কোনোভাবে তোমার পাশে থাকতে পারি, জানিও।
  • de | 190.149.51.66 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১১:১৩504603
  • ইন্দ্রাণী-দি,

    জানতাম না! এতো অসহায় লাগলো জেনে -- আর বিশেষতঃ যে কারণে মাসিমা চলে গেলেন সেই কারণটার কথা ভেবে!
  • a x | 118.207.193.119 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১১:৩৬504604
  • নোসোকোমিয়াল ইনফেকশন ট্রেস করা খুব কষ্টসাধ্য না। পেশেন্টদের থুতু, কফ, ইউরিন, ইত্যাদি থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সেরোটাইপিং (মানে একটা স্পিসিএর মধ্যেই বিভিন্ন ভেরিয়েশন ডিটার্মাইন করা) করলেই ধরা পড়বে। এরকম যখন কিছু হয়, তখন থার্ড পার্টি ইনভেস্টিগেশন কীভাবে দাবী করা যায় সেটা ভাবা দরকার বোধহয়।
  • i | 147.157.8.253 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১১:৫৭504605
  • অক্ষ,
    হাসপাতাল, নার্সিংহোমে সাধারণতঃ সেরোটাইপিং করা হয় না বোধ হয়।
    যতটুকু বুঝেছি/কথাবার্তা বলে জেনেছি যে এই মুহূর্তে কোনো ভাবেই প্রমাণ করা যাবে না যে সেপটিক শকটা নোসোকোমিয়াল স্ট্রেন থেকে। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে স্পষ্ট লিখে দেওয়া যে আর্থোস্কোপি পরবর্তী সংক্রমণেই মৃত্যু। দুই হাসপাতাল পরস্পরকে দুষবে এখন।
    এখন শুধু চাইছি হাসপাতালগুলো জীবাণুমুক্তি প্রক্রিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে যত্নবান হোক । এই ধরণের মৃত্যুর হার কমে আসুক। হাসপাতালকে এই মর্মে আলাদা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
    আর চাইছি আমাদের মধ্যে এব্যাপারে সচেতনতা আসুক। সেপ্টিসেমিয়া কি ও কেন/ এর বিভিন্ন লেভেল, লক্ষণাদি ইত্যাদি সম্পর্কে যতটা পারি সচেতন করতে চাই। আর অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে চিঠিতে যা লিখেছি-সেই সচেতনতা আসুক আমাদের মধ্যে।

    দে ,
    আমি ব্যক্তিগত শোকের কথা খোলা পাতায় লিখতে চাই নি। কিন্তু ব্যক্তিগত শোকের সঙ্গে অন্য অনেক কিছু জড়িয়ে গেল এ ক্ষেত্রে-খোলা পাতায় জানালে অনেকের হয়তো উপকার হতে পারে মনে করে লিখলাম।

    নিনাদিদি,
    যদি মনে করো তোমার অভিজ্ঞতা এই প্রেক্ষিতে জানানো জরুরী, লিখো অবশ্যই।

    ব্যাং, পাই, আর সবাইকে লিখতে বলছি। অভিজ্ঞতা, সাজেশন-যা কিছু।
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১২:১৪504606
  • ইন্দ্রানী ই, চিঠি টা শেয়ার করে খুব ভালো করেছ। এই নিয়ে অ্যাওয়ারনেসটাও খুব জরুরী। দরকার হলে হাসপাতালের নাম দিয়েও এগুলো চারদিকে ছরিয়ে দেওয়া উচিৎ যাতে অথরিটির টনক নড়ে একটু।
  • | 24.96.132.201 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১২:২৩504607
  • হাসপাতালগুলোর নাম নেই আবাপ'র প্রতিবেদনে। অদ্ভুত!! এদের নামধাম অবশ্যই প্রকাশ হওয়া উচিৎ।
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১৩:২২504608
  • ইন্দ্রানী দি র দ টা পরে নি কেন কে জানে !!
  • pi | 82.83.74.139 | ২৮ আগস্ট ২০১২ ১৯:৫১504609
  • Overtreatment Is Taking a Harmful Toll
    ----------------------------------------------------
    When it comes to medical care, many patients and doctors believe more is better.

    But an epidemic of overtreatment — too many scans, too many blood tests, too many procedures — is costing the nation’s health care system at least $210 billion a year, according to the Institute of Medicine, and taking a human toll in pain, emotional suffering, severe complications and even death.

    “What people are not realizing is that sometimes the test poses harm,”

    ............
    http://well.blogs.nytimes.com/2012/08/27/overtreatment-is-taking-a-harmful-toll/?smid=tw-nytimes&seid=auto

    এখানে বলা উদাঃ গুলোর সাথে প্রায় একরকম নিজের তিন-চারটে অভিজ্ঞতার কথাও মনে পড়ে গেল।
  • i | 147.157.8.253 | ২৯ আগস্ট ২০১২ ০৭:৩৯504611
  • এই সুতোয় অক্ষ ইন্ভেস্টিগেশনের কথা তুলেছিলেন, আপডেট দিয়ে যাই।
    যে হাসপাতালে আর্থোস্কোপি হয় , সেখানে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিবিধ টেস্টের রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেট সমেত। কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় নি।শুধু চেয়েছিলাম কর্তৃপক্ষ ইনভেস্টিগেট করুন তারপর এব্যাপারে সচেতন হোন, যত্নবান হোন, নজরদারি বাড়ুক, পেশাদারিত্ব আসুক এইসব। কর্তৃপক্ষ বিনীতভঙ্গিতে, সুচারু ভাষায় সান্ত্বনা জ্ঞাপন করে চিঠি দেন -ওঁদের হাসপাতালের সমস্ত সিস্টেম বিশ্বমানের, সেখানে এসব হওয়া সম্ভব নয় , বক্তব্যের সমর্থনে কিছু পাল্টা যুক্তিও দেখান।
    সেরোটাইপিংএর কথা অক্ষ লিখেছিলেন। এখন আর তার প্রশ্ন আসে না। প্রমাণ করা যাবে না জানতাম। ওঁরাও জানেন সেটা।

    এক পাতার একটা লেখা তৈরি করেছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে ফাইনাল করব। ফেসবুকে, এখানে, বন্ধু, আত্মীয়মহলে লেখাটি ছড়িয়ে দেব-কোনোভাবে যদি কারো উপকারে আসে ...
  • ranjan roy | 24.97.47.7 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৭:২৪504612
  • ইন্দ্রাণী,
    তোমার লেখা পড়ে নিজেকে অশিক্ষিত এবং ছোট ও ভীরু মনে হচ্ছে। আমার স্ত্রী হাসপাতালের দাদাগিরির কারণে সারাজীবন কষ্ট পাচ্ছেন। উনি প্রতিবাদ করেছিলেন। আমি চুপ করে ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। আমার চোখে ডাক্তাররা জ্ঞানী ও সিদ্ধপুরুষ; আমরা কিই বা জানি? ওঁদের সঙ্গে তর্ক না করে মেনে নেয়া ভাল।
    তার ফল হাতে হাতে পেয়েছি।
    আজকে মাথা নীচু করছি।
  • aka | 85.76.118.96 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৭:৪৯504613
  • ছোট আই, কোনরকমে যদি কিছু হেল্প করতে পারি ভালো লাগবে।

    আমি সাজেস্ট করছি, এক পাতার ডকুমেন্টটি ইংরিজি এবং বাংলা দুয়েই লেখা হোক। এবং ফেসবুকে শেয়ার করা হোক। সেখানে হাসপাতালের নামোল্লেখ থাক, লিগাল প্রবলেম এড়ানোর জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে কিছু না লিখে ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে রেখে দেওয়া।
  • a x | 138.249.1.194 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৮:০৭504614
  • ইন্দ্রাণী, তোমার মা থাকাকালীন আর কোনো পেশেন্টের কথা কি জানা যায়, যাদের সাথেও এমন ঘটেছে, মৃত্যু বা ইনফেকশন জনিত কমপ্লিকেশন? এই রেকর্ড তো বোধহয় পাওয়া যাবেনা। হ্যাঁ, মনে হয়না প্রমাণ করা যাবে। কাজেই প্রচারের রাস্তাই ধরতে হবে। ডকুমেন্ট লেখা হলে জানিও, যেখানে পারি পাঠিয়ে দেব।

    মেডিকাল সার্ভিস সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা এই মুহূর্তে। এই বেসরকারী হাসপাতালগুলো কি পরিমাণ পয়সা নেয়, অথচ দেখা যাবে নার্স বা পেশেন্টের ডিরেক্ট দেখা শোনা যারা করে, তারা তেমন কিছু রোজগারও করেন না, ট্রেনিংও পান না। ২০ বছর আগে বাবার সময় যা দেখেছি, এখনও তাই।
  • aka | 85.76.118.96 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৮:২২504615
  • এটা শুধু ইনকামের গল্প না। মানসিকতার গল্প। যেকোন দিন, যেকোন সময়ে কেরালিয়ান নার্স, বাঙালী নার্সের থেকে কয়েকশ গুন ভালো, কেন? জানি না। তবে ভালো জানি। ডাক্তারদের থেকে মিলিয়ে নিন। ওয়ার্ক এথিকস বোধহয়। বাঙালীদের বহু জিনিষের সাথে এই ওয়ার্ক এথিকস মালটা হাওয়া, কোথাও পাবেন না। যদিও বাঙালী এবং কেরালিয়ান নার্সদের মাইনে এক। যদিও কেরালিয়ান নার্সরা বাড়ি ঘরদোর ছেড়ে এসে পড়ে থাকেন। যদিও সব সময়ে কথা বোঝা যায় না। তাও সব সময়ে হাসিমুখ, হেল্প করতে প্রস্তুত।
  • a x | 138.249.1.202 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৮:৪০504616
  • আচ্ছা ইন্দ্রাণী, আনন্দবাজারের প্রতিবেদক সোমা মুখোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা যায়না?
  • pinaki | 132.164.233.158 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২২:১৪504617
  • আমার বাবার চার দফায় এই হসপিটাল একোয়্যার্ড ইনফেকশন হয়েছিল। তার মধ্যে দুবার খুবই একিউট। একবার ডাক্তাররা জবাব দিয়ে দিয়েছিল, সেখান থেকে ফিরে আসে। তখন জানতে পারি কলকাতার প্রায় সব বড় নার্সিং হোমে এই সমস্যা রয়েছে। একবার আইসিইউ তে ঢুকলে মাল্টি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হওয়া প্রায় অনিবার্য। তখন সেখান থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড, ভেন্টিলেশন, বেশ কয়েকলাখ খরচা এবং অবশেষে মৃত্যু। আমার বাবা ছিল ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে। ওখানকার ডাক্তাররা ওদের আই সি ইউ তে এই ইনফেকশন আন এভয়েডেবল বলে প্রায় খেদিয়ে আমাদের বের করে দেয় এবং বলে ত্লনামূলক ছোটো নার্সিং হোমে রাখতে, কারণ সেখানে এরকম মাল্টি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া থাকার চান্স কম। পরে দেখা যায় সেটা সত্যি। ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকের ডাক্তারদের বদান্যতায় বাবা শেষ পর্যন্ত বাড়ীতে মারা যাওয়ার সুযোগ পায়।
  • aranya | 154.160.226.53 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০০:২০504618
  • ভয়ঙ্কর, কিছু বলার নেই :-((
  • i | 147.157.8.253 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৫504619
  • রঞ্জনদা,
    আপনার পোস্ট পড়ে, কলকাতার এই গ্রীষ্মে প্রতি রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা মনে আসছে। আমরা বুঝতে পারছিলাম , মা চলে যাচ্ছে, আত্মীয়স্বজনের ফোন আসছে প্রতি মিনিটে - নানা উপদেশ, নানা কথা... বাবা প্রায় প্রতিদিনই বনফুলের একটা গল্প বলত সেই সময়। দুই বন্ধু পরীক্ষার পরে প্রত্যন্ত কোনও জায়্গায় বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছিল-ওখানকারই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয় তারা- খবর পেয়ে একটি ছেলেকে শহরে নিয়ে যায় তার বাবা, সেখানে বড় হাসপাতালে ভর্তি করে; সেরেও ওঠে ছেলেটি। অন্য ছেলেটির বাবা ও মা ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই বাসা ভাড়া করে থাকা শুরু করেন, নিজেরা শুশ্রূষা করতেন, ছেলের পাশে থাকতেন সর্বক্ষণ, ডাক্তার এলে সসম্মানে উঠে যেতেন, চিকিৎসককে তাঁর কাজ করতে দিতেন। ছেলেটি মারা যায়। বাবা মা শেষকৃত্য সেরে ফিরে গেলেন ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। জানা গেল বাবা অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জেন-খ্যাতনামা ব্যক্তি।
    জাস্ট একটা গল্প। সেই সময় আমরা রোজ নাড়াচাড়া করেছি। আজ মনে পড়ল আবার।

    আকা,
    অনেক ধন্যবাদ। ইংরিজিতেও লিখেছি।

    অক্ষ,
    ধন্যবাদ তোমাকেও। যোগাযোগ আছে।

    পিনাকী,
    দ্বিতীয় হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ারে ভর্তি হবার পরে একজন ডাক্তার আমাদের এ ইঙ্গিত দেন এবং অন্য কোনো ছোট নার্সিংহোম বা হাসপাতালে চলে যেতে বলেন- কিন্তু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্যও একটু স্টেবল হওয়া দরকার ছিল , হয় নি।
    বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল মা । অসম্ভব রকম । পারি নি। এখন প্রতিটিমুহূর্ত তাড়া করে বেড়ায় সেই সব কথা।
    এইধরণের ঘটনা যতটা কমানো যায়-সেই চেষ্টায় আছি-তাই সচেতনতা গড়ে তোলার কথা বলছি, ভাবছি।

    সবাইকে ধন্যবাদ।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৭:১০504620
  • ছোটাই, আপনার পোস্টগুলো পড়লাম। সান্তনা দেবার ভাষা জানা নেই, দিয়ে লাভও নেই। এ শোক ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়।
    কষ্টের সাথে গর্বও হচ্ছে আপনার জন্য, এই ইস্যুটা নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন, চেষ্টা করছেন সচেতনতা বাড়ানোর। আপনার প্রয়াস সার্থক হোক।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৭:১৭504622
  • বেসরকারী হাসপাতাল গুলো যে পরিমাণ টাকা নেয়, সেখানে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে না পারার কোন অজুহাত-ই থাকতে পারে না।
  • indraaNee/ Sydney | 147.157.8.253 | ১৯ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৫৭504623
  • একটা আপডেট দেওয়ার ছিল।
    হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টায় একপাতার একটা লেখা ছড়িয়ে দিতে চাইছিলাম-এখানে সেমত জানিয়েছি। দ্বিধায় ছিলাম, অ-বিশেষজ্ঞের কিছুটা অভিজ্ঞতাপ্রসূত আর কিছুটা বইপত্তর ঘাঁটা লেখা কতটা গ্রহণযোগ্য।
    এই মুহূর্তে অন্যরকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

    যদি সব ঠিকঠাক চলে তবে স্বাস্থ্যের বৃত্তের ডিসেম্বর সংখ্যা হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন সম্বলিত লেখাপত্তর নিয়ে হবে। বিশেষজ্ঞরাই লিখবেন মূলতঃ। আমরা বেশ কিছু সংখ্যা কিনে বন্ধু আত্মীয়দের কাছে পৌঁছে দেব। আকা আর অক্ষর কথা মনে আছে-সংখ্যাটি আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠিয়ে দেব ওঁদের। আপনারা যদি কেউ সংখ্যাটি পেতে ইচ্ছুক হন তবে অনুগ্রহ করে রক্তকরবী অ্যাট ইয়াহু ডট কমে জানাবেন ঠিকানাসহ। আমি পোস্টে পাঠিয়ে দেব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন