এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৪৬০৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অনুপম | 125.253.155.218 | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৩৫508337
  • দৃশ্যত লুকিয়ে.....

    দৃশ্যমান সে নয় তবু নজরে ছায়াময়
    আর্শিতে মন তুলি বোলালে
    কিছুটা স্পষ্ট হয়।

    অনুভূতি দোলা দেয় হাজার প্রশ্নের ভীড়ে
    হয়ত মিলে যায় সঞ্চয়
    স্বেদবিন্দু দ্রুত চলে গিয়ে নরম পালক হাসে
    ভালথাকার আশ্বাসে।

    ভাল্লাগে কিছু কথা
    ষড়রিপুর বহির্বিশ্বে জাগ্রত মৃদুভাষা
    সামান্য খোঁজখবর
    কবরে থাকা অর্ধমৃত বাঁচবার আহ্লাদ
    এক নিমেষে শব্দে ভেসে
    বাড়ায় খুশীর বহর।

    অভুক্ত ভালবাসা
    কামলোপ মন চায় রাখতে বসন্তের কাঁধে মাথা
    আনন্দঘন শব্দযূঁথিকা না চাইতে ধীরে আসে
    প্রতিদিন হাসে ওঁসে।

    মমতা স্নেহ যে ছাঁচে রাখো না ভালবাসা কাশবন
    প্রত্যাশা যখন সম্মত হারে নন্দিত দিন-যাপন..!
  • sosen | 125.242.247.31 | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ২০:১৫508338
  • যেভাবে আগুন আসে। যেভাবে তোমার ছোট ছোট পা
    আমার উরুর দুপাশ ঘেঁষে পৃথিবীর হাওয়া ছুঁয়েছিল
    যেভাবে
    সাহানা বেভুল চোখে দ্যাখে
    তার ছোট্ট জগতেও আরো ছোট ভ্রুপল্লব আসে,
    বুকের কোটরে ডানা ঝাপটায় নিস্পন্দ অভিমান।
    যেভাবে বই গুছোয়, ফিতে বাঁধে
    একলা টিফিন খেতে বসে একা দিন।
    যেভাবে আচমকা বৃষ্টি নামে , পণ্যপসরার বাহিকায় ।

    তুমি না দেখতে চাও, তবুও এভাবেই একদিন জাগে
    দক্ষিণা ঝড়ের রাত। পদ্মকাঁটা লাগে
    বারান্দায় ।
    দুহাতে সে মুখখানি তুলে নিই, তৈলধারে ভিজে থাকে গাল
    আমি চুপ করে যাই। বলার মতন আর কিছু নেই
    গাড়ির রাস্তায় বসে চেয়ে থাকি, ধাঁধায় দু-চোখ
    অপেক্ষায় গলে যায়, ভীরু অঙ্গ, দীর্ণ গৃহ
    অধিকার মিলে মিশে আমাকে চুলের জট দেয় শুধু, ঝড়ের উড়ান
    যেভাবে হঠাত ছুটে যাই , ক্ষুব্ধ হাওয়া, ঝোড়ো চুমু, কলকাতা এপার ওপার।
  • pharida | 192.64.0.229 | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ২০:৪৬508339
  • যন্ত্র না বলে যন্ত্রণা পাওয়া
    গঞ্জে ঘর নেওয়া গঞ্জণা
    সত্যি হেরফের চিনতে গরমিল
    জলের দাগ বেড়ে জল্পনা।

    বন্ধ দিন প্রায় অন্ধকার সব
    মন্ত্র ভুলে নেওয়া মন্ত্রণা
    শুক্তি কাঁদলেই মুক্তো ঝলমল
    জলের দাগ চোখে আলপনা।

    অরূপ রূপকথা চুপটি থাক নয়
    প্রাপ্য বুঝে নিতে প্রার্থনা
    যখন দিন কাটে টিনের বালতিতে
    শান্তি মানে স্রেফ সান্ত্বনা।
  • sosen | 125.242.188.78 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৫৩508340
  • অযাচিত ফিরে আসে। ফাঁকিবাজি দিনকে যত বলি ওরে না, আর নয়, দূরে যা তুই, ততই আদুরে শিশুর মত কোলে মুখ ঘষে লেপ্টে থাকতে চায়। কোথাও বেসুরো বাজে টুপটাপ , টিনের চালে আমের কড়া ঝরে পড়বার শব্দ। একটু একটু ঘেমে থাকে হাতের উপুড়-তালু, শিশুকান্না, দুজনেই মনে মনে অযথা কাঙাল। তেষ্টার হা হা শূন্য দৃষ্টি যদি কেউ অনুবাদ করে দিতো, তা হলে কি একদিন কলকাতা হয়ে যেত ফাঁকা, কিম্বা টিউলিপে ভরে উঠত নাভিতল? তেমন কিছুই নয়। শুধু এই একটি শেষহীন গাথাকাব্য হাতে নিয়ে রাজকন্যে ঠেস দেয় ভোরের তাকিয়া। সমস্ত সকাল জুড়ে আজ শুধু পাপড়ি কুড়িয়ে জড়ো করা, সব কাজ ছিন্ন হয়, সব তার মসৃণ হয়ে ওঠে অকস্মাৎ। সানাই পাগল হয় অঝোর আকাশে।
  • অনুপম | 125.253.195.11 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২০:১৬508343
  • বিষফোঁড়া .....

    গলির মুখে দাঁড়িয়ে দেখি অন্ধকারে যায় কি দেখা
    জীবনটাকে জুয়ায় বেচে আঁচল জ্বালায় শিশুর শিখা।

    আলোর হাটে হাজার দুয়ার ফানুস ওড়ে লক্ষী গুনে
    পাঞ্জাবীতে আতর সুবাস চাঁদ এসেছে নিধুবনে।

    মদ্দা তেজে মদন ঝাঁপায় ভাদ্রসুরায় শিশ্ন হাসে
    আস্তাবলে বাঁধা দাসী শিলনোড়াতে কান্না কাশে।

    ভাঙা কুলোর পতিব্রতা শিয়র দ্বারে যম তাড়ায়
    লিঙ্গ স্বামী পুং তান্ত্রিক সুস্থ দেহে লালপাড়ায়।

    রক্তঝড়া বিক্ষত বুক মানুষ মানে দগদগে দুখ
    সময় খেলো স্বস্তি এলো বৃদ্ধাবাসে উদাসী মুখ..!
  • অনুপম | 125.253.195.11 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২০:১৬508342
  • বিষফোঁড়া .....

    গলির মুখে দাঁড়িয়ে দেখি অন্ধকারে যায় কি দেখা
    জীবনটাকে জুয়ায় বেচে আঁচল জ্বালায় শিশুর শিখা।

    আলোর হাটে হাজার দুয়ার ফানুস ওড়ে লক্ষী গুনে
    পাঞ্জাবীতে আতর সুবাস চাঁদ এসেছে নিধুবনে।

    মদ্দা তেজে মদন ঝাঁপায় ভাদ্রসুরায় শিশ্ন হাসে
    আস্তাবলে বাঁধা দাসী শিলনোড়াতে কান্না কাশে।

    ভাঙা কুলোর পতিব্রতা শিয়র দ্বারে যম তাড়ায়
    লিঙ্গ স্বামী পুং তান্ত্রিক সুস্থ দেহে লালপাড়ায়।

    রক্তঝড়া বিক্ষত বুক মানুষ মানে দগদগে দুখ
    সময় খেলো স্বস্তি এলো বৃদ্ধাবাসে উদাসী মুখ..!
  • অনুপম | 125.253.195.11 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২০:১৬508341
  • বিষফোঁড়া .....

    গলির মুখে দাঁড়িয়ে দেখি অন্ধকারে যায় কি দেখা
    জীবনটাকে জুয়ায় বেচে আঁচল জ্বালায় শিশুর শিখা।

    আলোর হাটে হাজার দুয়ার ফানুস ওড়ে লক্ষী গুনে
    পাঞ্জাবীতে আতর সুবাস চাঁদ এসেছে নিধুবনে।

    মদ্দা তেজে মদন ঝাঁপায় ভাদ্রসুরায় শিশ্ন হাসে
    আস্তাবলে বাঁধা দাসী শিলনোড়াতে কান্না কাশে।

    ভাঙা কুলোর পতিব্রতা শিয়র দ্বারে যম তাড়ায়
    লিঙ্গ স্বামী পুং তান্ত্রিক সুস্থ দেহে লালপাড়ায়।

    রক্তঝড়া বিক্ষত বুক মানুষ মানে দগদগে দুখ
    সময় খেলো স্বস্তি এলো বৃদ্ধাবাসে উদাসী মুখ..!
  • Ekak | 125.118.23.85 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:২৮508344
  • এত ভারী ব্যথা !
  • sosen | 125.242.130.193 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৩৩508345
  • খুব-ই :(
  • | 24.97.224.88 | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৩৭508347
  • হুঁ :-(
    কিন্তু এত ব্যথা যে আর নেওয়া যাচ্ছে না .....
  • অনুপম | 125.253.159.32 | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:১২508348
  • হ্যাং হবার কারণে একাধিকবার আমার লেখাটি পোষ্ট হয়ে গেছে।
  • কৌশিক ভাদুড়ী | 127.203.219.22 | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ২০:৪৭508349
  • আজকের রোদ্দুরের মত রোদ শেষ দেখেছি কবে মনে করতে পারছি না। কৃত্রিম উঠোন জুড়ে আমসত্বের মত রোদটা শুকুচ্ছে। শুকনো ফ্যানের স্বচ্ছ সেলোফেন শৈশবকে ঢেকে রেখেছে, যখন খুশি কোষ ছেড়ে সেলুলোজ বেরিয়ে আসছে । স্মৃতি তোমায় দেব বলে রেখেছি আকন্দ ধুতরোর বোকয়। আমার ঠাকমার রুপোলী চুল জড়ান। তোমাকে নিতেই হবে। তুমি কেন ছুঁলে আমাকে ভর দুপুরে মুদ্রারাক্ষসের সমুখে?
    তাহলে জিগেস করি- ভালো আছ?
    এই কোচিং থেকে ফিরছি।
    ভালো আছ?
    পোস্টাপিস গিয়েছিলাম
    চাকরির অ্যাপ্লিকেশন ফেলতে।
    ভাল আছ? এত রাত্তিরে?
    নাইট শিফট আছে।
    ভাল আছ? আজকাল দেখিনা তো।
    বাইরে চলে গেছি।
    ভাল আছ?
    ভাল আছ?
    পোড়া কাঠের ধোঁয়ায় এক এক ছত্র
    অপাঠ্য নয়,
    স্মৃতি উবাচ- আমি বিস্মৃত।
    এইবার আমি উঠে যাব চায়ের ভাঁড় ফেলে। যযাতি যেদিকে খুশি যাক।
    ওর সাথে খেলব না আর ও ছেলে ভাল নয়। যখন শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে শুয়েছিলি তখন ভেবেছিলি কি বলেছিল দেবযানীর বাপ? মুন্সিগঞ্জ দিয়ে হেঁটে গেলে তোর কত ছেলে...বাবা...বাবা বলে হাত ধরে ঝুলে পড়ে। পুরুকে খুঁজে পেলিনা। কি করে পাবি ও ফুল তোর জন্যেই ঝরে গেছে। এখন হারামী জিগেস করছিস ঋষি রাসপুতিন কোন গাঁয়ে ডেরা ফেলেছে। গেঁটে বাত, ক্রমান্ধতা তুমি যারই দূত হও এখন চারপাশে ঝরে পরুক যত খুশি নবীন ফুল, আমাকে ঘুমোতে দাও ওদের মাঝে, মাটির বিছানায়। দীর্ঘ ঘুমের ভেতর আমি নেব নতুন ফুলের ঘ্রাণ। চাইনা কীটগ্রস্ত অনন্ত যৌবন।
  • swati | 194.64.38.52 | ০১ মে ২০১৩ ০৯:৫৮508350
  • কত পথ আর কতটা জল
    পেরিয়ে শহর মুখর প্রহর
    দূরবীন কি মাপতে পারে
    মধ্যিখানের পথের মানে?
    দেখতে পারে দূর পেরিয়ে?
    দেখতে পাব তোমায় তবে?
    মন রাখি আজ দূরবীনে?
    জানি তো ----
    তোমার জন্য প্রশ্নমালা,
    আমার জন্য --নিরুত্তর।
  • pradip naskar | 24.96.135.170 | ০২ মে ২০১৩ ১৬:২৪508351
  • মিলি খুব লিখেছ।
  • শ্ব | 125.118.170.0 | ০৩ মে ২০১৩ ০২:৫৩508352
  • গোপনীয়
    ~~~~~~~

    মানুষ বলেই ভাঙ্গছ এত
    নৈলে হতে ভীষণ নরম তৃনাদপি সুনীচেণ
    পারলে নাতো ! বললে হেঁকে
    আমার কথা বলা বারণ ?

    মানুষ বলেই কষ্ট এত
    প্রশ্ন নতুন উত্তরেতে থতমত , এইতো চেনা
    চক্রব্যূহ ! চাকার মত সরলপথের
    সত্যি সাদা , বৃষ্টি তোমায়

    করলো কাদা । কাঁচের চুড়ি করলে ভেঙ্গে
    রামধনু তাও রাগ কমেনি ! করাত বেয়ে শাঁখের
    গুঁড়ো শঙ্খচুর্নী জন্মদাগের ।

    মানুষ বলেই পারলেনা আর ,মানুষ বলেই ক্লান্ত লাগে ।।
  • sch | 125.242.136.141 | ০৩ মে ২০১৩ ০৩:২৩508353
  • খুব খুব ভালো লাগলো একক/
  • XYZ | 24.99.187.41 | ০৪ মে ২০১৩ ০৯:৪১508354
  • কবির ক্রিমিনালিটি

    যে-কবিতা পনজি-সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলো
    তাতে যা লিখতে চেয়েছেন সেটা কি বিশ্বাসযোগ্য ?

    কী পাচ্ছি ও-কবিতা বিনির্মাণ করে ?
    গরিবের রক্ত স্বেদ হাহাকারে বিধ্বস্ত সংসার !

    আপনার কবিতাটি শব্দের মর্মার্থ খুলে
    বীভৎস চেহারা নিয়ে বসেছে বাজারে ।।
  • paTal | 24.96.25.108 | ০৪ মে ২০১৩ ১০:৪৭508355
  • ফাগুন এসে গেল, ফুলের মাস,
    ফেরত দিতে যাব সর্বনাশ।
    গলিটা পেরিয়েই, তোর বাড়ি
    সে যেন জন্মের ছাড়াছাড়ি।
    একটিবার তুই আমাকে বল --
    'আজ কী করছিস, জলকে চল!'
    কাঁপছে ডান চোখ, তাই জানি,
    একলা দুপুরের সবখানি
    ফেরত দিতে তোর কাছে আসা।
    ফেরত নিবি নাকি, ভালবাসা?
  • শিবাংশু | 127.201.145.73 | ০৪ মে ২০১৩ ১৫:০৪508356
  • শুকনো পাতা ঝরা ফুল

    মাধবী জঙ্গলে পথ হারায়েছো চৈত্র মাসে
    সতর্ক থাকিও, বনে জাগে দাবানল এমত
    ঋতুর ক্রোধে , প্রসাধন নিত্য প্রসঙ্গ হারায়
    শুধু কাজলই নিমিত্ত হয়ে থাকে, হে বসন্ত
    চিরকাল চরিত্রহীন লফঙ্গাবিলাস হয়ে থেকে
    গেলে ....
    আকাড়া বালিকার দল পুলিশপ্রহরার স্বস্তি নিয়ে

    বাড়ি ফিরে গেলো ....
  • sosen | 125.241.77.48 | ০৪ মে ২০১৩ ১৮:০৩508359
  • ছোট্ট ছোট্ট উড়নকুঁচি, জলের শব্দ , কান্না ছিল হরিত দেহের মাঝসিঁথিতে
    লাল সোনালী পাড়ের নিচে ঘুঙুর ছিল, উষ্ণ কালো আবছায়া রং তপ্তপানি
    ছুঁলেই কেমন গলতে থাকে, রীতপ্রকৃতি, ডিসেম্বর কি মার্চে মেশে?

    এমন করে লিখলে তুমি! জ্বর পোহালো , মুঠো মুঠো চৈত্রধুলোয়
    উদাস স্কাইপ, বাজার-মিঠে আমের গন্ধ, শাদা লেসের ঢাকনা সরায়
    হঠাত করে ক্লাবঘরের ওই পিছন পানে গঙ্গা আসে হাত নাড়ালেই।

    ছপটি হাতে তার পিছনে কৈশোর-প্রেম। এসব এখন গল্পচুপি
    তোমার কাছেই শুনেছি তো! সেসব হঠাত কম্বল হয় এসির শীতে
    আলগাচেনা অকালমিলন এই দুপুরে। স্কুল ফিরতে তিনটে বাজে, বড্ড দেরী!
  • ranjan roy | 24.96.25.0 | ০৪ মে ২০১৩ ১৯:১৮508360
  • হাড়ের মধ্যে বাজের আগুন কখনো ছিল
    আজকে নাই,
    ছাই ওড়াতে কুলোর বাতাস দিচ্ছি তাই।

    এইখানেতে কখনো ছিল কাঁটার ঝোপ,
    সবুজ মাঠ,
    রক্তে ভেজা স্বপ্নগুলো-- কি হুল্লাট!

    পাঁজরগুলো উনুনে কাঠ, হৃৎপিন্ড
    হাতের মুঠো,
    সেই সাহসে বলেছিলাম-- ঘোড়ায় ওঠো!

    জোড়পায়েতে ছুটেছিল পাগলা ঘোড়া
    তেপান্তর,
    মাঠের শেষে হাতছানি দেয় ও কার ঘর?

    চোখ কচলে খেরো খাতায় স্যাঁতলা ধরা
    জলছবি দিন,
    লেবুর রসে খানিকটে নুন মিশিয়ে নিন।

    জীবনভর পাইনি খুঁজে দিল্লিশহর
    অনেক দূর,
    ঘরে ফিরি হাঁচোড়-পাঁচোড় যাদবপুর।

    পাগলি তোকে দুহাত দিয়ে ধরতে চাই
    চালশে চোখ,
    এই যযাতির নতুন কোন জন্ম হোক।
  • Ishani | 125.242.239.2 | ০৪ মে ২০১৩ ১৯:৪৬508361
  • ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি
    .....................................

    নাকি স্বপ্নে ? আজ রাতে ? দিনে দুপুরে ? আলো ছায়ার সন্ধিরেখায় . মনে রাখা বড় কঠিন কাজ . সময় যেভাবে গড়িয়ে যায় আজ-কাল-পরশুর গল্পে , এক দেশ থেকে অন্য দেশে . এক মন থেকে অন্য মনের উঠোন জুড়ে. হারিয়ে যায় পেছনে ফেলে আসা মুহূর্তরা . বুঝতেই পারি না, তুমি ঘুমে , নাকি অন্য কোনো কাজে . ফোন করব ? এখন ? তোমায় ? জেগে আছ ? আমি নিজে যে তখন কোথায় , তাই বুঝি না . সময়ের মাপে. জেগে উঠি , ঘুমিয়ে পড়ি . বাতাস কেটে এগিয়ে যায় দুর্বিনীত দুরন্ত সময় . নীল চাঁদিয়াল . সুতো ছাড়ি . লাটাই ফসকে যায় হাত থেকে . মাথা ঝিমঝিম. জল খাব ? একটু ? বোবায় ধরেছে ? মাথার নীচে বালিশটা একটু ঠিক করে নিই ? মাঝসমুদ্রে..দে দোল দে দোল... পৃথিবী ছিটকে যায় হাতের নাগালের বাইরে . নীচের দিকে তাকালে মাথা ঘোরে . ফেটে যায় রাশিরাশি জলের বুদবুদ . ঘূর্ণির মতো পাক খেয়ে লাট খেয়ে আকাশ ফুঁড়ে উঠে আসে আলো . ওই গোলাপরং শেষ গোধূলির কী যে সম্মোহন ! কী ফেলে এসেছি আজ ? স্বেচ্ছায় ? অনিচ্ছুক অপ্রেমে ? জীবন ? ভ্রান্তিবিলাস মাখা ভালোবাসা কিছু ? কী খুঁজছি ? শুধু অন্ধের মতো হাতড়ে হাতড়ে পেরিয়ে যাই , পালিয়ে যাই .নতুন করে শুরু ? বিচ্ছেদ কি সবার সয় ? রক্তমুখী নীলা ! রাতের ঝিলমিল আকাশে দূরাগত নক্ষত্রের ডাক . শহুরে নর্তকী-আলো ভাঙতে ভাঙতে ছড়িয়ে যায় ছায়া ছায়া অন্ধকারে . রাত গভীর হয় . স্বপ্নও বুঝি বা !
  • শ্ব | 125.118.40.110 | ০৯ মে ২০১৩ ০৩:২৪508362
  • N
    ~~~~~

    সারারাত পাশ ফিরে শুয়ে থাকে রাত
    চাঁদের আলোয়
    লাল তিল গুনেগুনে এগারোটা হলে
    ঘুম আসে , তাকে ঘিরে ঘুম ।

    তার খুব শখ ছিল জানো -
    পাহাড়ি গোলাপ
    গাছে জল দেবে প্রত্যহ সকালে
    অনিচ্ছে সংসার থেকে উঠে !

    সে আমাকে বলেছিল :তুই মরে গেলে
    এইসব ছাইভস্ম লেখা
    নিজের নামেতে ছেপে কবি হয়ে যাব হিহি
    এত আমার ,আমারি লেখা - বল ?

    অতুল সময় গ্যালো ,চাঁদের আতপে গ্যালো রাত ।
    শহরতলিতে আজ লোডশেডিং ,ফর আ চেঞ্জ জানলা খুলেছি ।।
  • swati | 76.135.100.194 | ০৯ মে ২০১৩ ০৩:৫৭508363
  • তুমি যে বইটা দিয়েছিলে-

    রাতের বেলা তোমার সে বই
    কবিতা ছাড়িয়ে ল্যাম্পশেড হয়।
    কোন কোন দিন হাত-পা গজিয়ে
    দুপুরের রোদে হেঁটেও বেড়ায়-
    শরীর কাঁপিয়ে হাসে কুলকুল,
    দুই হাতে এই হাত ছুঁয়ে যায়

    সামলে বাছা এই বিহরণ-
    মরীচিকায় ধুম বিচরণ
    ঢকঢকিয়ে তৃষ্ণা হরণ।
    গিলতে পারো, খাওয়া বারণ
    কার্য অনেক না থাক কারণ
    ধুত্তেরিকা, এই কি মরণ!!!

    মরণ কি আর সস্তা অত
    কিলো দরে হাটে বিকায়!
    তার চে' তারে জীবন বলি
    অনাহুতই পায়ে জড়ায়-
    বইটা তোমার তুলেই রাখি
    মাঠে ঘাটে যদি হারায়
  • pharida | 132.161.137.98 | ১০ মে ২০১৩ ২১:১৫508364
  • কথা হবে

    অসময়ে পাখিদের দেখা গেল, চক্রবত এসেছিল তোমার আকাশে
    উড়ে গেল পশ্চিমে ফের নিছক পর্যটন নয় কোনো- তুমি শোনো
    আরও, আরও পাখিদের ঝাঁক আমার বাগানগুলি থেকে উড়ে গেছে কাল
    আমি কিছু কথা বলে বসেছি যখনি অকারণ ডেকে গেছি শীতলতা,
    কী মনে করে পাখিগুলি উড়ে গেল। ভুলে যেতে বসেছি হাঁকডাক,
    ফল ঠোকরান গাছের গুঁড়িতে গাছ রেখে তামাদি হয়েছে দিন এতকাল।

    তবু কথা হয় এত, এত কথা উড়ে যায় এখানে ওখানে পাখির শরীর
    নিয়ে কথা হালকা পালকে ভাসে দূর থেকে দূরে। কথামতো বরফের
    কাল এল, উড়ন্ত পাখিগুলি আকাশেই আটকিয়ে গেলে সেইসব ছটফটে
    কথা চলতে পারেনা আর। বুড়োদের মতো কিছু বিড়বিড় করে চেনা
    রাস্তার মোড়ে, খোঁজে চেনা চিহ্ন কিছু হলদে কাগজ তুলে ঠিকানাটি
    দেখে বারবার, আলো কমে আসে। পুরোপুরি স্থির হয়ে যেতে যেতে
    কাঁপে কিছুক্ষণ থরথর করে। আজ নয় এস তুমি আবহাওয়া উষ্ণতর
    হলে কথা প্রাণ পাবে, পাখি উড়ে যাবে, কথা চালাচালি শুরু হবে ফের।
  • Ishani | 125.242.177.82 | ১০ মে ২০১৩ ২২:১৯508365
  • ভাবছিলাম কী পড়ি কী পড়ি . তাই এইমাত্র পড়লাম পর্বে পর্বে কবিতা . সবক'টি . খুব মন দিয়ে . অবশ্য আমারটি ছাড়া :). মনে হল , ভাগ্যিস , সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম ! সব মিলিয়ে এক ঝলক সুবাতাস বয়ে গেল....
  • তাতিন | 127.197.65.2 | ১০ মে ২০১৩ ২২:২৮508366
  • রবীন্দ্রসঙ্গীত
    =========
    কোথাও আলোর মধ্যে মিশে
    কোথাও ঘুমন্ত কার্ণিশে
    কোথাও ফুলের বনের ক্লিশে
    ঝরছে গান
    কোথাও মেঘের মনে বাড়ি
    কোথাও হিংসে ভাব আর আড়ি
    কোথাও আকাশ লালপাহাড়ি
    আর বাগান

    কোথাও রাখছি ছবি তুলে
    কোথাও মুখখানি যাই ভুলে
    কোথাও রাত নেমে যায় ছুঁলে
    রাস্তা ভোর
    কোথাও মেট্রো এসে থামে
    কোথাও ভুলঠিকানায় খামে
    কোথাও বেঞ্চিতে বিশ্রামে
    বাস্‌----শহর

    কোথাও জানিনা তাই হাঁটা
    কোথাও স্মৃতির মত ঘাঁটা
    কোথাও চুল সরালেই কাঁটা
    রক্তদাগ
    কোথাও বাড়িফেরার সন্ধ্যে
    কোথাও শিহর প্রতিরন্ধ্রে
    কোথাও গাছ খুঁজেছি অন্ধে
    অস্তরাগ

    কোথাও কোন কথা বিমর্ষ
    কোথাও স্বাদ দিয়ে যায় স্পর্শ
    কোথাও গোপন অভিকর্ষ
    বন্ধু আন
    কোথাও মন খারাপের ফ্রেমে
    কোথাও উতল হাওয়ায় নেমে
    কোথাও হাওয়ার পথে প্রেমে
    উড়ছে গান
  • শ্ব | 125.118.104.80 | ১০ মে ২০১৩ ২৩:৫৮508367
  • ঈশ
    ~~~~~~~~~~~~~

    কিছু লোক সর্বক্ষণ ওনাকে বিরক্ত করে যাবে
    মানে আর কিছুই না ওনাকে ওনার গল্প থেকে সরিয়ে আনতে চাইবে ।
    মানে যে গল্প টা উনি বলছেন
    মানে মানুষের গল্প ।
    বিকেলের ব্যালকনি তে পা ঝুলিয়ে বসে উনি বলছেন
    দেখো এইভাবে ঘাস হলো মাটি হলো
    মৃত্তিকা মৃন্ময়ী দুধে ভরে গেল নদী ।
    "
    এইভাবে নদী হলো আর পাহাড়
    তার থেকে মাথা তুলে বলল : এইযে আমিও আছি ।
    বেগুনি পাথরের মত ছড়িয়ে পড়ল
    ডাইনে বায়ে আর সেই আকাশী রঙের পাথর
    আকাশের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে
    আকাশী হয়ে যাচ্ছে ।

    উনি বলে যাচ্ছেন এইসব আকাশের দিকে চেয়ে
    আর কিছু লোক ওনাকে নাগাড়ে বিরক্ত করে যাচ্ছে ।।
  • শ্ব | 125.118.104.80 | ১১ মে ২০১৩ ০০:২৬508368
  • ডায়েরি
    ~~~~~~~~~

    বেঁচে থাকলে সবাই একদিন
    বিখ্যাত হবে
    কিন্তু
    সেক্ষেত্রে বিখ্যাত লোকজনের মাঝখানে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় ।।
  • শ্ব | 125.118.104.80 | ১১ মে ২০১৩ ০০:৩৪508370
  • দ্র
    ~~~~~~~~

    শুধু তাকিয়েছিলাম বলে দেখতে পেলাম
    কীভাবে ডিলিট হয়ে যাওয়া
    ডেটা টাও কীভাবে
    ডিলিট না হওয়া ডেটার সঙ্গে একসাথে বসে আছে ।।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন