এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৩৯০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pharida | 192.64.37.234 | ৩০ মে ২০১৩ ০৭:২৫508404
  • ২য় লাইনে একটা শব্দ ভুল ছিল - তাই

    অনিবার্য

    যখন অনিবার্য কথা রাস্তা আড়াল মুখোমুখি ধাক্কা লাগে
    শেষ বিকেলের দমকা আলো মুখের ওপর পড়লো বলে চোখ ধাঁধিয়ে
    ফেলে আমায় যায় এগিয়ে ঘরমুখী সব মানুষ গাড়ি ঘরঘরিয়ে –

    কিম্বা যখন বাড়ি ফিরে, চোখে মুখে জল ছেটাতে আয়নাতলায়
    রাস্তা গুলো ধুলো পায়ে পিছু নিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে এসেছে
    ফর্সা মেঝে নানান মাপের পায়ের ছাপে কুন্ঠাবোধে বিপর্যস্ত-

    তখন আমার আর কিছু নেই, বদলে গেছে মুখের আদল শান্তিপ্রিয়
    খসে পড়ছে একের পর এক ঢেউয়ের চোটে পলেস্তরা একলা বাড়ির,
    শুকনো ডালেও ছটফটিয়ে ঠুকরে রক্তক্ষরণ দেখে দামাল পাখি

    কোথায় তখন মুখ লুকোবো, কোথায় পাব ছায়া-ডাঙা
    যখন এমন হাতের আঙুল আলগা হল
    শিকড় ছাড়া বইয়ের পাতা উড়ে বেড়ায় ইতস্ততঃ
    প্রখর অনিবার্যতাময় যেমন তুমি দেখ আমায় বরাবরই অবিন্যস্ত।
  • Ishani | 233.239.132.234 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:০৮508405
  • আহা , ফরিদা ,...শেষ চার পংক্তি তো আমাকেও অবিন্যস্ত করে দিল !
  • অনিকেত পথিক | 212.54.54.240 | ৩১ মে ২০১৩ ১৭:২৪508406
  • বালুচরী
    ---------------
    এই যে এইখানে সবুজ জমিতে আসনপিঁড়ি হয়ে
    রামায়ণ গান গাইছে লবকুশ
    একপাশে লাল মাটির বুকে পাষাণি অহল্যা
    এখনও প্রতীক্ষায় ---- আরো আছে
    নীল আকাশের নীচে মালা হাতে কত
    কত দ্রৌপদী, গল্পগাথা পৌরাণিক
    পাড় বেয়ে উঠে এসে ছড়িয়ে যাবে
    শরীরময়, ড্রয়িংরুম পেরিয়ে চুপচাপ
    শোবার ঘরে ঢুকে পড়বে দরদামে পোষালে
    তবে ছেড়ে দিতে হবে সেইসব হাতগুলো
    ড্রয়িংরুমের বাইরেই। তারা ধরবে ফিরতি
    বনগাঁ কি শান্তিপুর লোকালের ঠান্ডা লোহার রড
    হু হু হাওয়ায় উল্টোদিকে উড়ে যাচ্ছে কুপীজ্বলা ঘর
    গান থামিয়ে পয়সা গুনছে চেনা বৈরাগী
    আর অনেক রাত্তিরে ঘরে ফিরে দেখবে
    আসনপিঁড়ি লবকুশকে শাকান্ন বেড়ে দিয়ে
    রঙজ্বলা ধনেখালিতে হাত মুছে নিচ্ছে
    তার নিজস্ব দ্রৌপদী ।।
  • swati | 76.135.100.194 | ০১ জুন ২০১৩ ০২:৪৩508407
  • লেখা হল না…..

    লিখেই চলেছি সেই থেকে।
    বিকেলের পড়ন্ত আলোয়
    ঘাড় গুঁজে লিখেই চলেছি
    সারা জীবনের সঞ্চিত যত
    বাক্সবোঝাই কথার রাশি।
    মাঠের পর মাঠ লিখলাম,
    মাইলকে মাইল আলপথ,
    দিস্তা দিস্তা রানওয়ে,
    যোজন যোজন মরুভূমি,
    পাহাড়-পর্বত-অরণ্য-শ্মশান-
    সব ভর্তি করে লিখলাম।
    আজ পিছন ফিরে দেখি
    পাতাগুলো সব সাদা,
    সোনর হরিণ কলমখানা
    একটি আখরও আঁকে নি তো,
    লেখে নি একটি কথাও।
    চমকে উঠে বাক্স খুলি, দেখি
    কথাহীন, বাক্যহীন, শব্দহীন
    শূণ্যতা কিছু পড়ে আছে আজ।
  • pharida | 127.192.2.249 | ০৭ জুন ২০১৩ ১৬:৩৬508408
  • অলীক হলেও দ্রোণাচার্য
    স্বপ্ন ছুঁয়ে থাক
    আপৎকালে কি বিচার্য
    প্রবন্ধ দিনরাত

    সবাক জন্ম তুচ্ছতর
    পুচ্ছে আস্ফালন
    শিরোনাম হীন মলাট ফাটা
    মন্ত্র প্রক্ষালন –

    হে প্রবৃত্তি অন্য ঘরে
    দিচ্ছ কেন উঁকি
    বন্ধ দুপুর উপর্যুপুর
    গন্ধ শোঁকাশুঁকি।
  • swati | 76.135.100.194 | ০৮ জুন ২০১৩ ০১:৪৭508409
  • প্রথম থেকেই তো বলেছি-
    আমার বর্ণেরা মাত্রায় বিশ্বাস করে না,
    শব্দ-বাক্য-অনুচ্ছেদ-কাহিনী সবই
    ভাসানো মাত্রা ছাড়ানোর জোয়ারে।

    তবু আজ আমি কাঠগড়ায়-
    চুকিয়ে যেতে হবে বকেয়া মাত্রা যত।
    তাই মাত্রা দিয়ে লিখে দিলাম আজ
    স-অ-অ-ব,
    অ থেকে বিসর্গ পর্য্যন্ত, সব;
    শুধু চন্দ্রবিন্দুটা আমার থাক।
  • শ্ব | 24.99.58.223 | ১৪ জুন ২০১৩ ২৩:১২508410
  • আউট বক্স
    ~~~~~~~

    কিছু ফোন কখনো করিনি
    কিছু কথা ,কিছু এসেমেস ।

    কিছু চিঠি , লিখব লিখব করে
    কলম কিনতে গিয়ে -
    তেলেভাজা - আড্ডায়
    মজে গেছে সান্ধ্য শরীর ।

    কখনো বলিনি তাকে
    অবরোহনের কালে
    আধখাওয়া ব্লেড ছিল জিভের তলায় !

    ভাগ্যিস ।।
  • sosen | 125.242.197.112 | ১৫ জুন ২০১৩ ০৯:২৩508411
  • কেন এই মাটিতে নামাবো তোকে? তার চেয়ে
    সজোরে আঁকড়ে থাক পেটের ভিতরে নখ দিয়ে
    রক্তবাহী ধমনীতে ঘোলাজল, দুইপায়ে
    চেপে ধর জরায়ুর খাঁজখোঁজ চিড় প্রাণপণ
    মাটিতে নামিসনে , মা রে। দুটি শিশু-চোখে
    কাজলের রেখা টানা ব্যর্থ করে দিয়ে
    কারা যেন কেটে নিয়ে যায় অক্ষিপাতা।
    ধরে আছি স্ফীত মধ্যরেখা, অঞ্জলিতে
    কিছুই তো পারিনে গো, এই ক্লান্ত ধরে রাখা ছাড়া।
    মাগো, ঐখানে থাক, ওই ঘন শব্দহীন
    জলের ভিতর। কাউকে দিসনে যেন সাড়া
    দশ মাস, দশ যুগ, না না আমি ঠেলব না তোকে
    এই গর্ভব্যথা আমি বয়ে নেবো, শুধু তুই
    চুপ করে শুয়ে থাক। মাটিতে প্রবল তাপ, মাগো!
  • swati | 76.135.100.194 | ১৮ জুন ২০১৩ ২১:৫৭508412
  • অজস্র পরিযায়ী সময়ের ভিড়ে
    অনন্তকে শুষে নেওয়া মুহূর্তটা
    একটু একটু ক'রে আরো একটু
    ঘিরে ফেলে আমাকে দিনে দিনে,
    সাবধানী মুঠো খুলে ছড়িয়ে পড়ে
    সযত্নে আঁকড়ে থাকা যত সহবত
    আর আমি আরো খালি হয়ে যাই,
    আরো, আরো খালি হয়ে যেতে থাকি
    প্রতিদিন, প্রতিদিন।

    পরিধানে সেই একফালি মুহূর্ত শুধু-
    বেআব্রু আমি দিশাহারা খুঁজে ফিরি
    অন্তত এক টুকরো পলাতক অন্তরাল
    যার কোন পুকুর নেই, নদী নেই,
    নেই কোন আয়না।
  • শ্ব | 125.115.139.226 | ২০ জুন ২০১৩ ১৪:৩০508414
  • অমুকের গান
    ~~~~~~~~~

    অমুকের কালো হাত ভেঙ্গে দাও কর গুঁড়ো গুঁড়ো
    অমুকের কালো মনে মোমবাতি জ্বেলে কর আলো !

    কে এই অমুক শালা ,এই মধ্য তিরিশেও বসে
    বুঝিনি ,জেনেছি শুধু -
    অমুক খারাপ আর আমরা জনতা খুব ভালো ।

    অমুকে বানায় ফ্ল্যাট জলাজমি
    বেমালুম বুজে , অমুকে
    নিচ্ছে টাকা রাজপথে দশ হাত পেতে
    আমাদের খুব তাড়া সিগন্যালে নোট্ রেডি রাখি
    কারন অমুক খুব বাজে আর আমরা তো ভালো ।

    অমুকে ধর্ষণ করে ,তুমি কিম্বা
    আমি তো করিনা !
    অমুকে ধর্ষিত হয় (ভাগ্যিস !)
    আমার ঘরের লোক নয় !

    আমি শুধু চুপিচুপি ধর্ষিতার চাকরি খেয়ে থাকি
    ভাইয়ের টিউশনি খাই, চেটে খাই জবানবন্দী থেকে রস
    ভগবানের একী ফন্দি
    অমুক কে দিচ্ছনা সাজা
    জাননা অমুক কত বাজে আর আমরা জনতা কী ভালো !!
  • শ্ব | 125.115.139.226 | ২০ জুন ২০১৩ ১৪:৩২508415
  • গান কখনো লিখিনি । চারপাশ দেখে এত চেটে আছি যে আর পারলুম না । গীতিকার রা ক্ষমা করবেন ।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২০ জুন ২০১৩ ১৬:০৪508416
  • সুর দিয়েসেন?
  • nina | 22.149.39.84 | ২০ জুন ২০১৩ ১৮:০৯508417
  • স্বাতী, সোসেন, ফরিদা

    তোমাদের শেষের কবিতাগুলোর নাম দেবেনা??
    জানতে ইচ্ছে করছে---
  • boipoka | 132.176.31.119 | ২১ জুন ২০১৩ ১০:৪৪508418
  • মালা দেয়া ছবি আর লেখকের বই / মাইক -এ প্রচার ছাড়া মনে পরে কই / যে মানে লুকিয়ে ওই লেখার ভিতরে / শাসকের সে মানে তে ভয় কেন করে / রাজনীতি লাভ বুঝে সে বাণী বেরোবে / বিপাক দেখলে বাণী দেরাজে লুকোবে / "ও শুধু কথার কথা রচনায় লেখো / চারপাশে যা দেখেছ চোখ বুজে থাকো / কিছুই দেখো নি তুমি" - শাসানির ভয় / যুগে যুগে মানুষেরা করে ফেলে জয় / কত রাজা এলো গেল কত রাজা যাবে / লাল নীল সবুজের রং পাল্টাবে / ভোটে জেতা , বিপ্লব সকলি ফুরায় / শুধু থাকে অমলিন মানুষের জয় / ইতিহাসে লেখা থাকে শাসকের সাজা / ওরা শুধু রাজা সাজে , জনতাই রাজা
  • pharida | 192.64.39.91 | ২৩ জুন ২০১৩ ১৩:৫৭508419
  • নিনাদি,
    নাম নিয়ে তো ভাবিনি - মনে হল "কবন্ধরূপ" দেওয়া যায়।
  • swati | 194.64.38.52 | ২৫ জুন ২০১৩ ১১:৩০508420
  • নিনা, তোমার জন্য ----

    এখন সময়টাই যে গোত্রহীন।
    নামবিহীন এক কঠিন অসুখে ভুগছে
    মুখোশপরা জীবন প্রতিদিন।

    চলতে ফিরতে মনুষ্যত্বের গর্ভপাত,
    অমানুষ লোভ আর পাপে বিক্ষত
    লজ্জার শরীরে অবিরাম রক্তপাত-
    নিরাময়ের ওষুধ অজানিত।

    অনামিকা হয়ে যদি বেঁচে যেতে পারে
    সৃষ্টিছাড়া কবিতারা,
    নাই ডাকি কোন এক নামে আজ তারে।
  • দেবযানী বসু | 24.96.124.40 | ২৫ জুন ২০১৩ ২১:২২508421
  • ড্রেজার ছাড়া চলে না

    নদীর হার্ডলস কী ড্রেজার তা জানে । জালি মৌজার উর্বশীয়ানায়
    অনেকে হার্ডলস ফেলে চলে যায় । তাই নিয়ে কেসকাছারি । নির্মম
    মমতায় ছেঁকে তুলি জলখাবারের সাতকাহন । গ্রহরা বেশি-বেশি চাঁদ
    চায় । চাঁদের জোগানে, জোয়ার, নদীর পাড়ে থাকে ভাঁটা । রোদশান
    বারান্দায় দেখা না পাওয়ায় তাইরে নাইরে না । পপ গানে জীবন
    পাতার গোঁজামিল হিসাব । স্ত্রী মোবাইল ও পুং মোবাইলের সংলাপ
    ম্যাগাজিন দুয়েক ঢোক গিলে নেয় । আমাদের ভাত সুস্বাদু হয় তখনকার
    মতো । পাড়ে দাঁড়িয়ে আমি অবাধ্য ঢেউগুলোকে ডাকি
  • pharida | 192.64.59.232 | ২৭ জুন ২০১৩ ২৩:২৭508422
  • উৎকেন্দ্রাতিগ

    আমি আর আমি ছাড়া বাকী সক্কলে কে সব যেন যায় আর আসে – যায় কি? আসে কি? এই সিঁড়ি দিয়ে না নামলে পরের সিঁড়ি তো আছে। নদী সিঁড়ি বিহীন হবে না তো? আর বড় বড় পাথর সাজানো থাকছে। তার মানে কি সেগুলো দেখলেই মনে হচ্ছে এমন কোনো ভাবে কি ওগুলো সাজান? যে কোনো একটা ধাঁধার সমাধান হলেই কি টুক করে ওপারে যাওয়া যেত? নাকি আমি যেমন ভাবছি যেমন আছো তেমনই থাকো – ওতেই বড় মানাও?

    দুই পাহাড়ের মাঝে কিছু ফুল, কিছু নদী, কিছু আকাশ আর কী কী চেয়েছিলে বলে সেই পাথর জড়িয়ে শুধু কেঁদে যাও। সোরগোল ভাল লাগে না আমার। নিজের চারিদিকে পর্দার মতো পর্দা দেওয়ালের মতো দেওয়াল কোনোদিনই রাখতে দিলে না তুমি – শুধু আনুষঙ্গিক প্রসঙ্গ এসে যায়। নিজের কাছে নিজের তুতানখামেনের কবরের থেকে নেমে আসা অন্ধকার আচ্ছন্ন করে দেয়। এ কোন রসাতলে চলে এসেছি সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে টেরাকোটার কাজ চোখে পড়ে না তোমার? কে জানে, কোন কাজটায় হিমশিম খাই আর আলাভোলা গায়ে বেরিয়ে পড়ি।

    এ পর্যন্ত যা বলতে গেছি তার মধ্যে শব্দ ও নৈঃশব্দের নিজের নিজের আলাদা রাজত্ব ছিল – কী উপায়ে সব বেঁধে দিলে তুমি। একটা পাথর আমাকে দেখাও যার সবকটা দিক এক লহমায় দেখতে পাবো। কুঁড়ে ঘরে কাজের লোক তো থাকে না – লোকদেখানো কুঁড়ে ঘরে লোকদেখানো কুঁড়েমি পেয়ে বসে। আমি ভাবি শুনছ তুমি এসব – নিভে আসে? নাকি, নিতে আসে?

    তাহলে সফলতা লিখি? এই ঘর, তার পাশের ঘর কিম্বা তার পাশের ঘর থেকে সফল সফলতর মানুষেরা পাশাপাশি থাকে। এক নদী থেকে অন্য নদী পর্যন্ত, এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে আমরা আসা যাওয়া করে যাচ্ছি। প্রজাপতির উড়ে যাওয়া দেখে যাচ্ছি, তাদের এদিক ওদিক উড়ে আসা, বসা এইসব। অনেক দুরের কোনো ঘরে তুমি আছো। অনেক দিনের পর অনেকটা বছর পর চাবি আনতে গিয়ে দেখে ফেলেছি। ওখান থেকে তুমি ফিরে যাও কেন? কেন জলপরী থাকা সত্ত্বেও আমরা ভাবি নদীরা ক্রমাগত বদলে যেতে থাকে? ব-দ্বীপ ভর্তি বেলাভূমিময় আয়েসে রোদ পোহানো কাঁকড়ার দল দল দেখি, আসা যাওয়া দেখি প্রায়ান্ধকার পথখানি বরাবর দেখি বিশাল বড় বড় গাছ – যাদের সামনে সচরাচর সিগারেট লুকোতাম আমরা। কেন এত আসা যাওয়া তোমাদের? নদীর পাশে নদীর মতো তো হতে বলিনি কখনো? পাগলের পাশে স্বাভাবিক মানুষ রেখেছি মন্দিরের পাশে রেখেছি আস্তাকুঁড় আর তোমার পাশে নিজেকেও রেখেছি সাহস করে – সে কথা ভুলে যেও না। নদীর পাশে নদী হোয়ো না – যত বেশি বকবক করা নদী তত শান্ত হয়ে যাবে – থাকো ওর কাছে স্তব্ধ ঝিঁঝির নিবিড় ডাকের মতো। ছিপছিপে নৌকা দাঁড় বেয়ে যদি চলে যেতে চায় তোমার বুকের থেকে অনেক গভীরে। যেতে দিও।
  • অনিকেত পথিক | 212.54.54.240 | ২৮ জুন ২০১৩ ১৭:৩৪508423
  • ঘৃণা

    ভালবাসার উল্টোপিঠে যে থাকে আজ তার মুখ দেখতে পেলাম
    আমার যাবতীয় নষ্ট দিন খুঁজে ফেরা এই মুখ এখন একান্তই আমার
    একে পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায়।

    ছোটবেলা থেকে উল্টোপাল্টা কথা কম শিখিনি
    ভালোবাসাকে জেনেছিলাম আলোর মতই মাত্রাহীন
    সরলরেখায় চলাফেরা করতে
    তাই সমান চিনহের দুপাশেই তোমার নাম লিখে আমি
    নিজেকেই টুকরো টুকরো করে বসিয়েছি প্রতিটি বিচ্যুতির পাশে
    বার বার জানতে চেয়েছি ছায়া কেন দীর্ঘতর হয়ে চলে--
    সরলরেখা একটু একটু করে বদলে গেছে বৃত্তাকার সঞ্চার পথের দিকে
    যার শেষ প্রান্তে গিয়ে আজ তার মুখ দেখতে পেলাম
    যে ভালবাসার উল্টোপিঠে বাস করে সর্বদা সত্যি কথা বলে
    একে আজ পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায়।
  • pharida | 192.64.68.155 | ২৯ জুন ২০১৩ ০০:২০508425
  • এখন দেখ এই ঘরময় ছড়াই ইচ্ছে কাগজকুচি
    এক সারাদিন আঁকলাম যা ফের সন্ধেয় সেসব মুছি –
    এই দেখোনা, দেখছ তুমি –

    এত কথার উড়ছে ফানুস, আলাপ করল বটের ঝুরি
    শুকনো ডালেও গল্প ছিল পাখির বাসায় ইলশেগুড়ি
    সময় কাটছে জলের ফোঁটায়, বালতি ভরতে বছর লাগে
    দিন গুলো কি আমার মতোই অনেক অনেক রাত্রি জাগে ?

    দাউ দাউ বা পাগল পাগল ইচ্ছেধুলো পাচ্ছে যাকে
    উড়িয়ে দিচ্ছে - সেই ঝড়ে কেউ চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে –
    মুখোমুখি তোমার মতো শুনেও কিছু বলছ না যে
    তন্ন তন্ন আকাশ ছেঁচে বৃষ্টি বুকে পুড়ছি নিজে
    দূর ছাই এই সময় নিয়ে কি করবো আর কী বা করি
    যাপনকালের মধ্যে শুধু ভাতের থালায় সে থোড় বড়ি
    পানসে লাগে – মধ্যে মধ্যে যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ি –

    আবছা পায়ে আসছ তুমি সেই আমাদের নিজের বাড়ি...
  • পল্লব গ্রাহী | 127.194.27.71 | ২৯ জুন ২০১৩ ২১:১২508426
  • পোস্টার

    নায়িকার বুকে , থাই এ

    মাথা রেখে ,জড়িয়ে শুয়ে আছে

    নিশ্চিন্ত , নিষ্পাপ শিশুদের দল।

    শুধু অবাক বাতিস্তম্ভের নিষ্পলক

    চোখ থামিয়ে রেখেছে

    অকারণ সময়ের চলাচল ।
  • dd | 132.167.5.87 | ২৯ জুন ২০১৩ ২৩:৫২508427
  • উঁঃ।
    ফরিদা ফাটাচ্ছেন।(*)

    (*) এজ ইউজুয়াল।
  • Saswata Banerjee | 192.64.8.182 | ৩০ জুন ২০১৩ ০৮:৫৯508428
  • ছদ্মবেশ

    কাঠচাঁপাগাছটা অচার নিজের হাতে বসানো
    থোকা থোকা ফুল, গাছের পাখি আর গোল গোল বাসাগুলোও তাই

    বিকেলবেলায়, বাড়ির কাজ সেরে গাছটার গা ছুঁয়ে দাঁড়াতেই
    রোজ একটা করে নতুন পাতা ভেসে ভেসে এসে
    ধূ ধূ সিঁথিটি ভরে দেয়, নির্জনে

    পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে অচা, মনস্তাপহীন
    সে পথ দিয়েই দেশ ছেড়ে যাই আমি

    এতদিন বাড়িতে আসোনি কেন? কেন ডাকোনি রাস্তা থেকে?

    অচা এগিয়ে এসে বুকে টেনে নেয়, শেষবেলায়

    চোখ বন্ধ করে আমি টের পাই – চরাচরজুড়ে সন্ধ্যা নামে
    দুহাতের পাতা থেকে নিঃশব্দে নেমে আসছে শিশিরের ধারা
    শুকনো, দরিদ্র শরীরে এত ফুল, এত শস্যগন্ধময় অশ্রুর শাখা!

    আমার বুকের ওপর জেগে ওঠা গাছ, আকাশ থেকে পাখিরা এসে
    ঝাঁপ দিচ্ছে ডালপালায়
    কুটোর বাসা থেকে উদ্‌গ্রীব মা-ডাক ওঠে,
    কি আশ্চর্য, হেলায় মহাকাশ ছেড়ে পাখিরাও ফিরে আসে ওই একই ডাকে

    ও অচা, কাজের মেয়ে, কত যে সঙ্গদান ছেলেবেলা থেকে

    তবু এই এতদিনে, গাছ বলে চিনেছি তোমাকে ...
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০১ জুলাই ২০১৩ ১১:২৯508429
  • আরেঃ, শাশ্বত স্বয়ং এখানে! আহা।
  • sosen | 111.63.186.85 | ০১ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৫508430
  • ঘোলা জল
    অবশেষে আঙ্গিনা পেরিয়ে
    ছুঁয়েছে তোমার পা, মৃদু, ভীত,
    নতুন বউযের মত?
    আশীর্বাদ, ধানদুব্বো, বাড়াতেই হবে

    ভাঁজের ভিতরে খাম, রূপোকৌটো, রাঙ্গা
    কাঁপা হাত।

    জন্ম লিখে রেখে গেছে চিঠি।
  • Tim | 199.138.194.16 | ০২ জুলাই ২০১৩ ০৭:১১508431
  • শাশ্বতর কবিতা মুগ্ধ হয়ে পড়ি। কবিকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগছে।
  • C | 161.141.84.239 | ০২ জুলাই ২০১৩ ০৮:০১508432
  • শাশ্বতই কি সেই বিন্দুবাসিনী পাখি কবিতার কবি? সেই যে
    পাখি যতবার মনে করে সন্তানডাক
    কানে আসে ক্ষমা ক্ষমা ক্ষমা?

    অসাধারণ, অসাধারণ!
  • C | 161.141.84.239 | ০২ জুলাই ২০১৩ ০৮:০৮508433
  • দুখে দিয়েছিলেন ঐ কবিতা। এখন খুঁজে আবার পড়লাম, কবিতার নাম নিশিভোর।
    দিনটা ভালো হয়ে গেল। ঃ-)
    কবি শাশ্বত আর দুখে-দুইজনকেই আবারো ধন্যবাদ।
  • nina | 22.149.39.84 | ০২ জুলাই ২০১৩ ১৮:১০508434
  • মুগ্ধ!
  • pharida | 192.68.12.70 | ০২ জুলাই ২০১৩ ২০:৩৭508436
  • একটি স্বীকারোক্তি

    শাশ্বতর কিছু লেখা পড়ে পুরো পাগলা হয়ে গেছিলাম - তাকে কয়েকবার এই পাতায় এসে কবিতা দিতে বলেছি। তাতে শাশ্বত রাজী - কিন্তু যেহেতু সে এই পাতায় আগে কখনো আসেনি তাই - তোমার যা পছন্দ নিতে পারো - বলে জানায়। তাই বেশ আনন্দ করে ওর নাম দিয়ে পর্বে পর্বে কবিতায় আমিই ওটা পোস্ট করে দিয়েছি।

    কিন্তু এদিকে একটু অসুবিধা দাঁড়িয়েছে - ও সচরাচর ওর কবিতাগুলো নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করে আর সেখান থেকে প্রায় সব লেখাই কোনো না কোনো ম্যাগাজিনওয়ালা রা নিয়ে নেন - এখন সেই লেখাই ওর নামে এখানে দেখা গেলে সেই সম্পাদক মনে করতে পারেন যে শাশ্বত নিজে সেই লেখাই পোস্ট করে দিয়েছে।

    যেহেতু ওর কবিতা এখানে আমার ও এখানকার অনেকের খুব ভালো লাগে - আর যেহেতু আমি শাশ্বতর অনুমতিও পেয়েছি কাজেই ওর কবিতা আবার পোস্ট করার ইচ্ছে রাখি - অবশ্যই শাশ্বতর ইচ্ছে অনুযায়ী নামের জায়গায় বড়জোড় "পোস্টম্যান" শব্দ ব্যবহার করব।

    ভালো কবিতা পড়ার ও পড়ানর স্বার্থে এই প্রস্তাব আশা করি কাউকেই তেমন ক্ষুণ্ণ করবে না। যদি করে তাহলে জানানো যেতে পারে - অন্য কোনো মতলব করব।

    আমেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন