এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৪৮২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siddhartha basu | 233.223.155.83 | ২২ আগস্ট ২০১৩ ২৩:১২508504
  • পাতার ভেলা

    এবারে উচ্ছন্নে যাই

    নিতান্ত ফানুসমত মন ফেটে-ফেঁসে যাক
    আমি যাই চুলোর দুয়ারে
    চঞ্চল-ব্যাকুল মন-উচাটন ভেসে যাক
    যা হবে তা হোক এইবারে

    বেরিয়ে পড়ি না পথে, এ কালোয়, এ আলোতে
    গা ভাসাই এই বহমানে—
    অকূল এই পাথার, সব জ্বালা,জড়তার
    নিরাময় রয়েছে এখানে |

    ঘষাঘষি খেলা করে একটি জীবন
    ফেলাছোড়া করে আজন্মের আয়োজন

    এবারে উচ্ছন্নে যাই
    পাতার ভেলা ভাসাই
    পরাক্রান্ত এই পারাবারে
  • siddhartha basu | 233.223.155.83 | ২২ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৩৯508505
  • জাহ্নবী-কে

    লাল রঙের জামা পরে এসো তুমি
    পরে এস নীল-সাদা নক্সা কারুকাজ
    সবুজ আর মেঘ রং সুতোর পোষাকে
    কী আশ্চর্য লাগছে তোকে আজ!
    তুমি ইতিউতি ,উত্তরে-দক্ষিনে যাও তাড়ায়হুড়োয়
    হাঁটো,ছোটো,ঘোরো,নাচো,গুনগুন বহুশ্রুত সুর
    তোমার কন্ঠে ফোটে,এক়া লাগে বিষাদদুপুর
    আমি জড়,অপদার্থ প্রকৃতি
    মাখি মেঘ-বৃষ্টি,পুড়ি রোদ,খুঁজি হাওয়ার জ্যামিতি
    তুমি মধ্য দুপুরকে থামতে বলে গেছ
    তাই কাননপর ছায়া বুলাতে পারছে না অপরাহ্ন
    তুমি এই মাথাখারাপ শহরটাকে থামতে বলনি
    এমাথা-ওমাথা তাই পাখসাট দিয়ে মরছে কলকাতা
    আমি তোমায় খুঁজে ফিরছি শুধু,ভয়ে কাঁপছে মন
    এই যে রাত—সঘন-গহন
    হাওয়ার উল্লাসে গোটা বাড়িটা প্রাণ পেয়ে গেছে
    আমি কাঁপছি জ্বরে-জলে-জাড়ে-আশঙ্কায়—
    থেমে যাবো যদি থামতে বলো আজ, জাহ্নবী আমায় |
  • dd | 132.167.32.125 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০০:০২508506
  • হ্যাঁ গা তুমি কোথায় গ্যালা, রে আমার প্রাক্তনী
    হাবসোলে জমাট না থাকলে লাইফ তো শুকতুনী।
    হা, কোথায় রে মাটোন কারী , কোনখানে বা রাম টাম
    পদ্দো লিখতে কি কষ্টো হয়। রিদয়ে টুনটুনি
    চেষ্টা করেই মনে পরছে, কি দিনকাল হে ভাম

    পদ্দো লিখতে হাবসোল চাই। এটা একটা আইন
    ইশপেসালি টালমাটালে, দাঁড়ান গিয়ে লাইনে
    সেখানে আর ন্যাকামি নেই। "আমি মোটেই খাইনি"
    বল্লে পরেই ছাড়ান তো নেই, বামে কিম্বা ডাইনে।

    সামাজিক কি দায়বদ্ধতা? আমি পগাড় পার
    ধুর ক্ষি হবে? সব ভামেদের গুল্পোকথায় ছাড়
    ওটাও একটা ট্র্যাডিশন সেই ই যখোন ক্লাস নাইনে।

    আসোলে কি? কোথাও একটা চিড়িক চিড়িক ব্যাথা,
    সেটাও না, ঠিক বুঝছেন্না, কোনটা যে ঠিক চাইনি

    কাজের চাপ তো বড্ডো বেশী,অ্যান্ড বেজায় কম মাইনে।
  • Az | 161.141.84.239 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০০:২৭508507
  • বাল্মিকীও হাবসোল খেয়েছিলেন? মানে, উনি ই তো প্রথম পদ্য লেখেন কিনা!
  • dd | 132.167.34.209 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০০:৩৭508508
  • তো,সাত সমুদ্দুর পার হয়ে, আমি এলেম তোমার দ্বারে
    হে দ্বিচারিনী।
    দারা রা রা দ্রিম দ্রিম, হেরো, ক্যামোনে টুটিছে ড্রিম
    দ্যাখোহো ক্যামোনে ফুটিছে ডিম

    কিন্তু আঁচোল ছাড়ি নি।।

    আমি কোমোড় জড়িয়ে রই, ওলো সই
    মায়ায় আঠায় রই, আমি সংসারে ডুবুডুবু
    আমি হাঁকুপাকু নেকুপুষু
    কিন্তু সিংদরোজায় যতো প্রাণ চাক,ঘন্টা নাড়ি নি।,

    আমি ট্যাটোন, আমি সযত্নে ল্যাতপ্যাত
    চেষ্টা করিয়া উচাটন আনমনা
    তবু নির্ভয়ে থেকে উদাসীন

    তোমার ব্যালেন্স কাড়ি নি।
  • kc | 188.61.96.29 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০০:৩৯508509
  • ডিডিদা, খুব সুন্দর লাগছে।
  • Az | 161.141.84.239 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০০:৪১508510
  • আমার এই লেন্স আর তোমার ব্যালেন্স-
    এরপরে আর কী, শুধুই কন্ডোলেন্স।
  • তাতিন | 127.197.71.194 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩৪508511
  • সুরেরা কীভাবে আসে, রবীন্দ্রনাথ?
    ডালহৌসির পথে, ওঠানামা পাহাড়ের মত
    কিম্বা বৃষ্টির ফোঁটা
    প্রতিসৃত আলো, ব্রণক্ষত
    নাকি কলকাতার বুকে, নির্জনে,
    জোড়াসাঁকো রাতে
    ছাদ থেকে দ্যাখা
    বারবণিতার ঘর-
    ফুল থেকে ঝরে ফুটপাথে?
    অথবা, নদীর মত, গভীর জলের মত নীল
    আকাশের ছায়া মাখা বৌঠান- ছুটির অমিল-
    লাল সুড়কির পথ, কেটে কেটে পাথরের চাঁই
    সুরেরই কি ইস্কুল, লালমাটি, কোপাই, খোয়াই...
    - কীরকম ভর হয়, কীরকম ভরবেগে কবি
    স্বরলিপি সিম্বলে তুলে রাখে, আহির, ভৈরবী-
    গানের শরীরে রোদ
    গানের আকাশ জোড়া ছবি
    সুর, সে কি ধরা দ্যায়, নাকি সুর স্বয়ং এসে ধরে
    শব্দের উত্থানে, ছন্দভেঙে কবির আঁচড়ে-
    শিরদাঁড়া কেঁপে যেত- কানে রইত ভ্রমরগুঞ্জন?
    যখন জ্যোৎস্নারাতে সকলেই ঝাউগাছের বন
    গানের শরীরে ঢেউ
    আরও কিছু? ঢেউয়ের গোপন,
    কোনো অঙ্ক, শব্দছক, ম্যাজিকের বাক্স প্রকরণ-
    আর কী কী লেগেছিল? ছোটবেলা? নির্ঘুম রাত?
    তারপরও, সুর যদি না আসত, রবীন্দ্রনাথ?
  • b | 135.20.82.164 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৬508512
  • অসম্ভব ভালো লাগলো।

    ' সকলেই ঝাউগাছ বন' লিখলে ছন্দটা ঠিক থাকতো। নাকি আমার পড়ার ভুল হচ্ছে কোথাও?
  • তাতিন | 127.197.71.194 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৯508514
  • হুঁ, হতে পারে। থ্যাঙ্কস
  • pi | 118.22.237.164 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ১০:৩৫508515
  • ব্যাপক লাগলো।
  • pradip | 24.99.49.197 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ২৩:১০508516
  • ধন্যবাদ sosen
  • nina | 78.34.163.242 | ২৫ আগস্ট ২০১৩ ০০:৩২508517
  • আরে বাহ! খাসা!
  • pharida | 192.64.72.164 | ২৫ আগস্ট ২০১৩ ২২:২৫508518
  • মৃতের সংখ্যা

    যাদের ভালোবাসা যাবেনা সহজে তাও,
    দূর থেকে এরা নিজেদের অচেনা করেই রাখে সামান্য প্রাণ
    আর এদেরই পায়ে শুধুই লাগবে হোঁচট সারাদিনমান।
    ভাবো, যারা নক্ষত্র-লিখন পড়ে নেবে ভাবে আর
    কিছুতেই বাসে ভাড়া নিজে থেকে দিতে পারে না,
    যারা বেনোজল দেখলেই ভাবে সস্তা হয়ে যাবে মাছের বাজার ফের
    আর ঠিক সময়ে ঠিক কথা আসবে না কিছুতেই তাদের –
    পেন কামড়ে ছিবড়ে করে দেবে তবু – মুখের পাশে নীল কালির দাগ
    দেখে থাকবে এদের তুমি কখনো সখনো।

    এমনও প্রচুর মানুষ দেখবে তুমি যারা হিসেব কষতে কষতে
    আর কষের ফাঁক দিয়ে ফ্যানা উগড়িয়ে দিয়ে বলে যাবে তাদের
    করা ভুলগুলো কেন একদম ঠিক ছিল – শুধু পরিস্থিতির চাপ
    আর একটু এদিক ওদিক কলকাঠি নেড়ে দেওয়ার কেউ ছিল না বলে
    তাদের কেউ আজ অবধি বুঝে উঠল না।

    তারা দিনের পর দিন পটকা ফাটিয়ে যাবে, অকারণ গালি দেবে
    অধস্তনকে আর টুপি খুলে দেবে অকারণ ঊর্দ্ধতনকে দেখে
    আর পিছনে উত্তাল গালি দেবে কারণ অকারণে –
    যেমন হর্ণ দেবে যানজটে ওদের সমূহ পৃথিবী থেকে থেকে চাপা উল্লাসে।

    ওরাই রাস্তা কাটবে, বস্তা ভরে পাচার করবে চাপা লাশ মাঝরাতে
    ট্রাক থামিয়ে চাঁদা চাইবে সন্তোষী মায়ের পুজোর। দলে দলে ম্যাটাডোরে এসে
    ভরে দেবে ব্রিগেড আর উগড়িয়ে দেবে বিনা পয়সার সস্তা চোলাই ঘাসে ঘাসে।
    দেওয়াল আর পিঠের মাঝে ন্যুনতম ফাঁক থাকলেই জানে সবাই এরা বিরক্তিকর
    তাও নিরাপদ যারা কারণ হবে না রাষ্ট্রের কখনোই মৃদু আশঙ্কার।
    কখনো ভালোবাসা যাবে না তাদের, তাও দেখ বিপদ আপদে
    মাঝে মাঝে দপ করে হেডলাইন জ্বলে শুধু এদেরই মৃত্যু সংখ্যার।
  • pn | 24.99.217.3 | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ২২:৩০508519
  • '' হে প্রিয়সী ''
    আমার ঘুন ধরা খাটে
    বিবস্ত্র অঙ্গ প্রদর্শনী করনা।
    এক মুঠো কবিতা ছাড়া কিছুই দেতে পারবনা
    আমি পাত ছেঁড়া কবি।

    তুমি দেবযানী হতে পারো
    বাইশ হাজার কোটি চুম্বন পাবে তোমার পশ্চাতে।
    পারিশ্রমিক হিসাবে পাবে গাড়ি, বাড়ি,ব্যাঙ্ক ব্যালান্স
    আরো কত কি।

    নারী বাদীরা রাস্তায় নামবে না
    নারীর জাত গেল বলে।
    মিডিয়া ডেকে বলবেনা কেউ,
    তমি যদি দেবযানী হও।
    কারণ, নারীর কীর্তিকলাপ বহুমুখী প্রতিভার সমতুল্য।

    অথচ,তুমি যদি অভিযোগ করো
    মিথ্যা আমার নামে, আমি প্রতারক স্বামী,
    মিডিয়া ডেকে বলো, আমি ভন্ড কবি ''ধর্ষনকারী''
    দেখবে, নারীবাদীরা রাস্তায় নেমে রাজ পথে ঢেউ তুলবে।
    কারণ আমি যে পাত ছেঁড়া কবি।
    কিছুই দেতে পারিনি। না গাড়ি,না বাড়ি,
    না দেতে পেরেছি বাইশ হাজার কোটি চুম্বন তোমার পশ্চাতে।
  • আনিকেত পথিক | 212.54.54.240 | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১৫:১৩508520
  • ক্রসিং
    ----------
    আমি তো ট্রাফিক পুলিশ নই যে হাত তুললেই
    থেমে যবে ব্যস্ত যানবাহন
    আর তুমি রাস্তা পেরিয়ে যাবে সাবধানে
    অথবা থেমেও যেতে পারো শুধু আমার হাতের ভরসায়
    কিন্তু ওপারের ফুটপাথে তোমাকে দেখলেই
    আমি দুহাত তুলে ছুটে যেতে চাই
    দুপাশ দিয়ে বয়ে চলে সচল গাড়িঘোড়া
    তোমার উদ্যত তর্জনী ভর্তসনা করে ওঠে
    আমার দু’পা স্থির হয়ে যায়
    দুদিকে থমকে দাঁড়ায় সচল যানবাহন
    আমার পাশ দিয়ে তুমি অনায়াসে পেরিয়ে যাও
    আর হঠাৎ দেখতে পাই ট্রাফিক সিগন্যালের চোখ সবুজ হয়ে জ্বলছে
    কৌতুকে নাকি ঈর্ষায় !
  • Ishani | 233.239.156.147 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১০:৩৩508521
  • এখানে
    এখন নীরবতা দাঁড়িয়ে থাকে . চুপটি করে . উত্তপ্ত বায়ুস্তম্ভের মতো .
    উড়ে আসা যত পাতা ..জড়ো হয় , ঘন হয়ে আসে; মাটির বিছানায় .
    অচেনা আগাছারা ভেসে যায় বুনো ফুলে .
    এদিকে সেদিকে..ছোট ছোট গর্ত ভ'রে যায় হঠাত নেমে আসা বৃষ্টির জলে .
    পাক খেয়ে মাটি থেকে উঠে যায় সবুজ গন্ধমাখা অচেনা বাতাস .
    দূরে জেগে থাকে আলো , ঘাসফুল , জোনাকি আর গঙ্গাফড়িং .
    শেষ হয় স্থলভূমি . একেবারে আচমকাই .
    ওদিকে সমুদ্র আছে ? গোল গোল চকচকে নুড়ি বা ঝিনুক ?
    জানি না.
    তবে এদিকে কী আছে জানি .
    আমার খোলা আকাশের মতো বল্গাবিহীন অস্তিত্ব.
    সটান তাকিয়ে আছে সূর্যের দিকে চোখ রেখে.
    নিশ্চুপ . অন্য কারো দু'টি হাতের আয়ত্তের বাইরে .
    একা থাকা, ভালো থাকা ..সবটুকু শুষে নিয়ে এভাবেই
    উন্মুক্ত প্রান্তর হয়ে , অবাঙ্ময় উপস্থিতি নিয়ে
    নিজের মধ্যে নিজেই থেকে যাওয়ার এই যে ম্যাজিক
    এই একফালি অন্ধকার বুকে নিয়ে আলো হয়ে থাকা
    এও তো কিছু কম পাওয়া নয় !
  • সে | 203.108.233.65 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৪৩508522
  • ঈশাণীদি,
    দাঁড়ির বদলেই কি ফুলস্টপ ব্যবহার করেছো?
  • pharida | 192.64.40.157 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৫৮508523
  • চিঠি যেমন হয় –
    লাল বাক্স থেকে চেনা হাতে
    বস্তাবন্দী, গাড়িতে,
    ছাপ্পা লাগে বন্ধ খামে
    পোস্টম্যানের ঘামে ভেজা
    ঝোলায় সাইকেলে
    তারপর মাটি পেলে
    শিকড় ছড়িয়ে দেয় সে
    শুধু ভালোবেসে।

    যেমন বারুদ ভরা কথা নিয়ে
    সাদামাটা বইটি পেরোয়
    পৃথিবীর সব সুরক্ষাচক্র
    পাতা খুলে পড়লেই
    বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছ তুমি
    হৃদয় আভূমি।

    তেমন কথার কথা এলে
    উলোঝুলো ভুখা রুখু চুলে
    হাত পেতে যদি ফিরে যায়
    তোমাকে ভিখারি করে
    আড়বাঁশি বেজে যাওয়া যমুনার কূলে।
  • মোহর ভট্টাচার্য | 125.115.139.226 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১৫:১৭508525
  • নান্দীমুখ
    ----------

    আমাকে বালির বউ একরাশ হাঁস এনে
    জলে ডোবা খেলা দেখিয়েছে

    হাঁসেরা নিমিত্ত মাত্র
    কোনোদিন জানলেও নাম বলবেনা তারা
    শব্দবহ কোনো রাত
    দুপুর বা শতাব্দীর কালো জল
    কালো মখমলি জলে
    ডোবে ওঠে ভাসে ডোবে ভেসে যায়

    অযথা বালির বউ ডেকে ডেকে ডেকে
    তোলপাড় খেলা সবই নিরীশ্বর নির্মেদ
    সকাল বিকেল জুড়ে
    জল পায়ে ভিজে পায়ে জল ও কুমির

    আমিও অদ্ভূত কোনো আকস্মিক দায়ে পড়ে
    হাঁসগুলো আমার ভেবেছি

    এখানে কোথাও কোনো দ্বিধা নেই
    ব্যঞ্জনা, স্বরলোপ, মেঘলা আকাশ, ছায়া,
    আবরণ, অপলাপ,
    ক্ষয় বা তামাশা

    সম্প্রসারিত অর্থে নিরক্ষর হাঁস কিছু
    ডোবা বা ওঠার পরে
    সেই মুহুর্তে, অত্যল্প বিস্তার জুড়ে,
    স্বতস্ফুর্ত, সাময়িক,
    বহুবর্ণ, বহুধাসংকর
  • pharida | 192.64.40.157 | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৪৪508526
  • বাহ, খুব সুন্দর তো....
  • Ishani | 233.239.156.147 | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:৫৪508527
  • ছাতিমফুলের গন্ধে তোমায় এক্কেবারেই খুঁজছি না
    মন কেমনের আলোয় ও মুখ দেখছি কি ?
    ডাকনামেতেই যখন তখন অন্য নামটি শুনছি না
    কথার মায়ায় নিজের এ মন ভোলাচ্ছি !

    ঢাকের বাদ্যি , প্রদীপ আলোয় তোমার স্পর্শ পাচ্ছি না
    তুমিও যখন সন্ধেবেলায় একলাটি
    রাতের আকাশ হঠাত কেমন তারার ফুলকি নিভছে না
    নিঝুম নিথর দু:খী মনের জানলাটি....

    খুলছে সপাট, দমকা বাতাস তবুও আমায় ছুঁচ্ছে না
    জ্বলতে জ্বলতে পুড়তে পুড়তে মোমবাতি
    নীলচে শিখায় আমার হৃদয় বন্ধ দুয়ার ভাঙছে না
    এতোলবেতোল একলা পায়েই পথ হাঁটি !
  • siddhartha basu | 233.223.158.207 | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ২৩:১৯508528
  • খাঁই

    'বাবু' বলে হাঁক দিল যে লোকটা,তার দিকে চেয়ে
    মনে হল,আপাদমস্তক তাকে সাপটে ফেলি খেয়ে;
    তাবত,আনাজপাতি,ফুল-ফল,মাছ-মাংস-ডিম,
    অথবা তাবিজ-আংটি,ওএইন্গ মেশিন,তুরী-ভেরী
    কিম্বা স্রেফ ফুটো বাটি,ভিক্ষাপাত্র,পতাকাপ্রতিম
    -যেনবা উদগ্র মুরগি,খাসি,পাকা পোনা,চিংড়ি,গেঁড়ি-
    সাষ্টাঙ্গ হজম করি তার এই, ভীরু কিম্বা রোখা
    অভাব সুপাক করি;একটি জীবনের লেখা-জোখা;
    হাড়-চামড়াসার কিম্বা নধর চর্বির দলা আয়ু
    ছিবড়ে করি,অস্থি-মজ্জা,ধমনী ও শিরা,পেশী,স্নায়ু

    এতই ক্ষুধার্ত লাগে,এমনি হাভাতেসম লাগে
    তার হাঁক-ডাক শুনে,অশৈরণ হাহাকার যেন;
    আমার এ দেহে-মনে ক্লেশ-ক্ষুধা-রতিইচ্ছা জাগে—
    আমার অভাববেগ আমারই আয়ত্ত নয় কেন?
  • siddhartha basu | 233.223.158.207 | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ২৩:২০508529
  • সোজা-উল্টো

    আমি আগুন দিই ঘরে
    আমি শুকিয়ে ফেলি নদী
    আমার পোশাক জাদুকরের
    আমার বেবাক জ্ঞান-বোধ-ই
    শুধু বিলোপ চায়,ধ্বংস
    ভরা খেতের সোনাবর্ণ
    কচি প্রানের তাজা অংশ
    দেখে লোভ জাগে আকর্ণ,
    ওড়ে আকাশ জুড়ে ছাই—
    আমি জীবন শুষে খাই
    আমি লোভে-লালায় মাখা—
    যাকে নাগাল মাফিক পাই
    তার নরক আমার সাধ
    গেলে, পচিয়ে, আহ্লাদ
    বয় ছেনাল খরবায়ু
    পোড়ে মানুষ,গাছ,নদী
    আমি মরণ,আমার আয়ু
    তোমার অন্তিম অবধি |
  • শ্ব | 132.166.176.21 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ০২:২০508530
  • এভাবেও
    ~~~~~~~

    সিগারেট খেতে খেতে ভাবছি এবার একটা
    সিগারেট ধরাই ।
    মিটিঙে ঢোকার আগে ঢেকে নিচ্ছি চুল দিয়ে চুল ।
    কাঁচের ওপার দিয়ে চলে যাচ্ছে
    ডানাকাটা কাক ।
    বাথরুমের মেঝেতে চলকে পরা কইমাছের
    মত বয়েস ,যাচ্ছে তাও ।

    পাশের ঘর থেকে শুনতে পাচ্ছি :
    সন্ধ্যে হলো , বসার ঘরের জানলাটা দিয়ে দাও ।।
  • Tim | 12.133.51.227 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৩১508531
  • আকাঙ্খার নিঃশ্বাস লেগে আছে তোমার দুচোখে
    দীর্ঘ কুয়াশা স্বর, পরিযায়ী পাখি বাঙ্ময়
    এই শেষ রাত্রীর চলাচলে ফেরে, পরাজিত
    অর্ধেক মহত্ব ছেড়ে পেয়েছে হৃদয়

    এখন ভাদ্রমাস, অন্নভোগে বিরত দেবতা
    বিরহ বসন্তকাজে, বিরহ বিষন্নতার অস্ফুট প্রয়াসে
    এই শেষ রাত্রীর চলাচলে ফেরে, হাহুতাশ
    অর্ধেক অস্তিত্ব ছেড়ে মৃত্যুফাঁদ পার হয়ে আসে

    আকাঙ্খার অন্নভোগ, তোমার জন্যই হে বিদেশী
    জোয়ালে পশুর ভাগ, কাঁধে উদ্ধত কুঠার
    এই শেষ রাত্রীর চলাচলে ফেরো, অন্ধকার
    অর্ধেক কবিত্ব ছেড়ে শব্দের মাসোহারা দাও।
  • sosen | 125.242.105.109 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৩৫508532
  • রাত্রী কি ইচ্ছাকৃত?
  • Tim | 12.133.51.227 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ১৯:৫৬508533
  • আরে না না এইটা দীর্ঘ-ঈ টা আমার মুদ্রাদোষ। কিছুতেই এড়াতে পারিনা। ঃ-(
  • মোহর ভট্টাচার্য | 111.63.206.46 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৬508534
  • Name: mohor

    IP Address : 113.21.125.79 (*) Date:31 Aug 2013 -- 03:17 PM

    এক

    এক তোলা জল গঙ্গা কখন
    এক মুঠো চাল ছবি
    এক শকুন এ পিন্ডি খেলেন
    এক শালিকের আয়ু
    এক কাপড়ে যাত্রা হলো
    এক আঙ্গুলে ঘি
    এক বাড়িতে বাস উঠেছে

    এবার খাবো কি?
  • pharida | 192.64.153.241 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২৩:৪৩508536
  • বিষাদগঙ্গা

    এই নিসর্গ ছোবল তুললে জল ঢালতাম মাথার ওপর
    শূন্য থেকে বিষাদগঙ্গা, যেমন করে আড়াল করা
    বুকের সোনার পাথরবাটির মধ্যে যেন প্রদীপ জ্বলছে
    তেমন বুঝি তোমার ফেরার ইচ্ছেরা আজ চলে যাচ্ছে
    এক দোটানায় ক্লান্ত লাগে, অনাবশ্যক পরীর কথা
    আসছে যেমন- পুজো আসে নেশার মতো ভ্রমনস্মৃতি।

    বুকের কোণে মেঘ করে যায় কাজল কালো বৃষ্টি এল
    তার জন্য ফেরার হলে? ও মৃত্তিকা ঘুম পাড়াচ্ছ বাচ্চা ছেলে
    ভাবছ তুমি- ভাবতে থাকো পাগলা ঘন্টি বাজবে যখন
    দোর দিয়েছ একলা জলে সুতো সুতো কান্না তবু
    যাচ্ছে দেখা বাদবাকি সব বৃষ্টিজলে ধুয়ে যাচ্ছে
    খড়কাঠামো কী ভৌতিক ধরতে আসে আমায় তখন
    বলির বাজনা শুনছ তুমি মৌতাত ময় অন্ধকারটি
    একলা করে, একলা করে বিষাদগঙ্গা আঁকড়ে ধরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন