এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৪৬৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০১507264
  • এখানে

    এখানে বৃদ্ধ বলতে দুটো তিনকেলে শুকনো ক্যালেন্ডার –
    রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ বাবু হয়ে বসে, ওপরে জিভ বের করা মা কালী আবছা মন্দির,
    লাস্যময়ী জলের কলসী নিয়ে ফিরছেন, আবছা গ্রামের রাস্তা দিয়ে, তাঁর হাঁটুর নীচটা শুধু একটু ছিঁড়ে গেছে।

    এখানে যুবক বলতে বিয়েতে পাওয়া চকচকে হীরো সাইকেলের সামনের বেতের ঝুড়িতে জবাকুসুমের শিশি, একটা তিন ব্যাটারির এভারেডি টর্চ তাকের ওপড় সোজা দাঁড় করানো।

    এখানে দুপুর বলতে রোদ্দুরে পিঠ পেতে মেয়ের চুলের জট ছাড়াচ্ছেন মা – “এখন আর ধিঙ্গিপনা মানায় না মা তোমায় – এই তো ফাইনালটা দিয়ে নাও – আসছে বৈশাখেই পার করে দেব”।

    এখানে বড়ি দেওয়া হয়, গেরস্তের হাত জোড়া না থাকলে ভিক্ষেও দেওয়া হয় – গান শোনানো বোষ্টমীকে। “আসুন বসুন” লেখা আসন দেওয়া হয় ঠাকুরমশাই এলে, বাকিদের ওই ফুলতোলা আসনগুলোর কোনো একটা।

    কালেভদ্রে বাইরে বেরোয় এরা, কিন্তু প্রতি ভাদ্রমাসে তোরঙ্গ খুলে রোদ্দুর খেতে বেরিয়ে পড়ে পশমেরা। কলমির লতা বাড়ে পুকুরের ধারে, কচুপাতা, ইতু গাছ বেড়ে ওঠে দ্রুত আর ভাসান যায় মাস পেরোতে না পেরোতেই।

    লন্ঠনের আলোয় ইতিহাস জ্যান্ত হয়ে যায়, দুলে দুলে ছেলেটা একটা লাইনই পড়তে পড়তে ঢুলে ওঠে ক্রমে। জলজ্যান্ত যুবক ফলিডল খেয়ে ফেলে সোরগোল তুলে মিলিয়ে যায় প্রায়শই।

    এখানে মাঝে মধ্যে পিয়ন আসে, বৃষ্টি আসে চাল ফুটো করে, অকারণ শোনপাপড়ি ওলা আসে – যখন, বাসনওলা অনেকদিন আসে না বলে বৌ টি ঘর বার করে বার বার। কেবিল টিভি এসে গেছে, নতুন সিনেমা, গান সব সব চলে আসে – দিনমানে চলে ভালো তবে রাতে ঝিরঝির করে ভোল্টেজ না এলে – বৌটিও - বহুদিন তার গ্রামের বাড়ির কোনো সংবাদ শুধু আসেনা।
  • Tim | 12.133.35.113 | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৪৬507265
  • ভিন্টেজ ফরিদা, যার লেখা পড়ে একদিন ফিদা হয়েছিলাম। অভিবাদন।
  • Tim | 12.133.35.113 | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:০৭507266
  • ওখানে

    ওখানে তখন রাত, দুপুর কি হয়ত বা বিকেলই। কোথাও সমুদ্র আবছা হতে হতে ঝাপসা ছবির মত, দেওয়ালের পেরেক থেকে, সেলাইয়ের বাক্স থেকে থম মেরে চেয়ে থাকা স্বপ্নের ফিতে। কোথাও সবুজ পাহাড়। কোথাও ছেলেটার গায়ে এক টুকরো ছেঁড়া জামা, কোথাও দালান ধরে দাঁড়িয়ে মেয়েটা আনমনে পেয়ারা গাছে টিয়ার ঝাঁক দেখছে। ঝোলা থেকে রুটির ফালি আরো ছোট টুকরোয় কেটে বেঁটে দিচ্ছে ফকির। আকাশ মেঘলা, সেই মেঘে ঢেউ তুলেছে। বুকেও।

    ওখানে, আরো দূরে, মানুষের মুখ। ঘামে, আনন্দে, রহস্যে ও ভালোবাসায়। ঘৃণা ও নিষ্ঠুরতায়। যাযাবর রক্তে রুমীর সুফীটান, শাহী মেজাজে মানুষ কেনাবেচা। পালকের যেদিক কাগজে আঁচড় কাটে অবলীলায়, তার উল্টোদিকেই মোলায়েম জীবন। গালিবের তো অনুবাদ হয়না, হাজার অক্ষর ব্যর্থ মৃতপ্রায় কাচের বাক্সে মাছের মত বেঁচে থাকার অভিনয় করে। সারাদিন।

    ওখানে আরো রাত, রাতের থেকেও গভীর। দিনের থেকেও ব্যাপ্ত, নির্মম। শিশুটি বাবার বুকের কাছে আরো কয়েক ইঞ্চি ঘনিয়ে যায়, এখানে ভয়ের কথা আছে। তারপর তো রাজপুত্র একডুবে পুকুরের জলে নেমে রোপোর কৌটো খুঁজবে। একডুবে দম বন্ধ করে। শিশুটিও দম বন্ধ করে থাকে। তার মাথার চুল এলোমেলো ছড়িয়ে চোখের ওপরে এসে থমকে দাঁড়িয়ে। সময়।

    ওখানে কিসব কথাবার্তা। কৈশোর যৌবন বিগতযৌবন। আর কিছু নেই। এখান চাল ফুটো করে বৃষ্টি আসে তো ওখানে চাঁদিফাটা শুখা। ওখানে রঙীন কাপড় কেটে কেটে দুনিয়ার লজ্জা ঢেকেছে কিশোরী। তার চোখের ঢালে নদীর আদল, রঙ জ্বলে যাওয়া খসখসে হয়ে আসা চামড়ায় খোরাসানী জেল্লা তামাশা লাগে। সে হাসে আর যমুনার অপ্রস্তুত বাতাস এলোমেলো দৌড়ে পালায়। স্বপ্ন।

    এসবের মধ্যেই এখানে একজনকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। ঈশ্বরের কাছে সাক্ষ্য দিতে হবে সম্রাটের জন্য। ওখানে তখন ফকিরের, প্রায় শোনা যায়না এমন বুজে যাওয়া গলা, কিম্‌শব্‌ ন খুসপি, কিম্‌শব ন খুসপি.....। পাখীডাক।
  • ফরিদা | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ২১:২৭507267
  • মনে করো

    মনে করো, উৎসবে প্রতিটি গাছের পাতায় লেখা নিমন্ত্রণপত্রে
    নাম খুঁজে খুঁজে গভীরতর অরণ্যে পৌছলে,
    কিছু পরে হরিণের পায়ের সবুজ ঘ্রাণ এলে যতো তুমি মেতে ওঠো,
    সেজেগুজে কথা বলে ফোটো ঠিক রোদ্দুরের মতো
    তখন গাছের লম্বা ছায়ারা যেন ছবি এঁকে দিয়েছে ঘাসজমিটিতে।
    কিছু অন্ধকার, কোণঠাসা তাও সাপের মতোই যেন তারা
    রয়ে গেছে, শীতল মেঝের থেকে হিম উঠে আসে ক্রমশঃ,
    মনোরমা, তোমার এই সেই পুরনো খেলায় -
    কখনো দেখনি কীভাবে পুড়েছে একলাটি দীপ বহুদূরে,
    আজো বুঝি পোড়ে, শুধু তাকে আর কারো চোখে পড়ে না,
    মনে রেখো, এইবারে কেউ তোমার চোখের ধারে অন্ধ হয়নি আর –
    অনন্ত নক্ষত্রবীথির ভিড়ে।
    যদি মনে আর নাই পড়ে, তবু, বলে যাই
    তারপর থেকে কোনোদিন আর আমি উৎসবে যাইনি।

    আমি তো এভাবে তোমাকে কখনো ছুঁতেও চাইনি।
  • ফরিদা | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৪৮507268
  • চিকিৎসকের কাছে

    কিছুদিন হলো, চোখ বন্ধ করে আর দেখা যাচ্ছে না
    শীতবোধ বেড়ে গেছে খুব, সমুদ্র দুরেই চলে গিয়েছে ক্রমশঃ
    চালু সংলাপের মধ্যে থেকে থেকেই হুটহাট জানলা খুলে যায়
    আর, যার চুপ থাকলে হয়, সেই কথা শুধু তক্ষুণি ঢুকে পড়ে – শুরু করে দেয়।

    অথচ কিছুদিন আগেও ক্যারমের ঘুটি সাজিয়েছি ঠিকঠাক
    আয়নাকে মুখ ভেঁঙিয়েছি, অপলক তাকিয়েছি নদীতীরে যতদূর চোখ যায়
    উৎসব শেষে অবসাদও ঠিকঠাক এসেছিল এইবার, বিছানা ছাড়িনি বেলা দশটার আগে
    রবিবার হলে – মাংস কিনতে গিয়ে বেলা বেড়ে গিয়েছে খামোখা।

    তিন দিন আগে সেই ঝড় হল – তারপর থেকে কেউ যেন
    টিভিটা চালিয়ে দিল তেতলার ঘরে, ভুতের রাজার বরে
    গুপি বাঘা জুতোপায়ে ঠাকুরদালান মায় সাধের তুলসীতলায় দেখি জলসা বসালো।
    যাবতীয় অঙ্করা, যারা এতদিন ভয় পেত – এখন কেমন
    সব তাড়া করে আসে – যখন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ - জাতীয় যাবতীয় অস্ত্র
    আমি হারিয়ে ফেলেছি। কলম ছুঁড়েছি যেন রুইকাতলার ঘাই দেখে ফেলে-
    পুকুরের পাড় থেকে ভয়ে।

    টিভিটায় ঝড় চলে সারাদিন – ছবিতে কথায় কোনো মিলমিশ নেই তাতে
    চোখের পর্দা সব ছিঁড়েখুড়ে একাকার হয়ে আছে – এত আলো অহরহ
    অযথা জটলা করে, এত পাখি, সারাদিন উড়ে উড়ে – কোথাও যায় না
    শুধু ফিরে ফিরে আসে দেখি – ওদের গুণতে গেলে সংখ্যারা ফের দেখি
    অঙ্ক খাতাটি নিয়ে সামনে বসেছে।

    ঠিক হবো আমি – এর থেকে – কোনো নিস্তার আছে?
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০৬507269
  • আব্বুলিশ

    কোথায় দাঁড়াবো আর বলো
    নিজ ঘরে মাথা ঠেকে যায়
    বাইরেও সজাগ পাহারা
    রাস্তাটি পাছে ডেকে নেয়

    হাঁটু ডুবে গিয়েছে মেঝেতে
    ডালপালা প্রস্থে বেড়েছে
    ঘাড় থেকে মুণ্ডটি নেমে
    আপাততঃ বুকেই থেমেছে

    তাই বুঝি থেকে থেকে আমি
    মাথাতেই লাবডুব শুনে
    অক্ষরে তাল ঠুকে গেছি
    সংখ্যাটি শুধু গুণে গুণে

    শীতাতপ কাচের কুঠুরি
    এই ভালো, রোদ জল ছাড়া
    লুকিয়ে রাখছি ঢিল গুলো
    চারপাশে সজাগ পাহারা।

    আবহতে মিছিল চলেছে
    আঙুলেই থাক নিশপিশ
    এখন দাঁড়ানো বড় দায়
    ভেবে নাও আমি আব্বুলিশ...
  • dd | 132.167.175.217 | ১২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:১৮507270
  • ফরিদার এই কবিতেটি আমি নিলেম। নিজের নাম করে কাউকে "ভেজে" দিবো। ভারী ইম্প্রেসড হবেন উনি।
  • ফরিদা | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ২১:২৩507271
  • সোনার তরী ফিরে গেছে বহুদিন

    এখন অন্ধকারময়। দ্বীপ। সোনার তরী ফিরে গেছে বহুদিন। সমুদ্র অসাড়। (মনে হল) যেকোনো কথারই কিছু পরনির্ভরশীলতা থাকে। থাকাই উচিত। রাখা উচিত সিকেয় তুলে রাখতে নোনা ইলিশের মতো আত্মসম্মানবোধ। সস্তায় পাওয়া গেছে বলে চান করে নুন টুন দিয়ে নতুন মাটির সরায় তুলে রাখা। বোধ - বোধ হয় ভালোই থাকে সেখানে, দরকারে অদরকারে পাঁচজনকে বলা যায়, দেখো – ওইখানে সব আছে। পচে গেছে কিনা তার খবর নেওয়াও হয় না, ভয়ে। আছে – এই বোধটাই ঢের।

    বড় ঢেউ, মাঝে মাঝে এলে এই হয়। চিন্তা যায় অন্য জাহাজে, অন্য ভাষায় অন্য বন্দরে – যেখানে মাইকেলের হঠাৎ মনে পড়ে গিয়েছিল বাংলা ভাষার কথা। আর মাত্র ছ’বছর বাংলা চর্চা করেছিলেন আর আমরা এখনো কুড়িয়ে যাচ্ছি মাটিতে পড়ে থাকা সোনার ধান। এইভাবে বহুদিন।

    দ্বিমাত্রিক চাবি ক্রমশঃ ত্রিমাত্রিক হয়েছে। প্রতি ব্যবহারে নিজেকে বদলে দিয়েছে সে, জানো? আর সেই চাবিরও তৈরি হয়েছে মাস্টার কী! শেষ নেই। মঙ্গল থেকে শুরু, অমঙ্গলের। চাবি বহুদিন একা থাকে না। পারে না। অযৌন তো নয় রে বাবা একেবারে। তাও শুধু শুধু হাতবদল হলে কষ্ট লাগে। কষ্ট লিখতেও কষ্ট হয় না তোমার? ঘুম লিখতে সাবলীল যেমন? ধুঁধুল লিখেছ তো? ফলেছে, দেখো – লেখো – যা পাও। হাত বাড়িয়ে দিলে নুন নুন ঘুম পাবে যদি...
    শুধুমুধু এসো দিকি, একবার। এই দ্বীপ। সমুদ্র অসাড়।
  • মোহর | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:১৭507272
  • আহা, বেঁচেবর্তে থাক বৃষ্টিজল, ভালো থাক
    সুখের নৌকাটি আর ধানদুব্বো, কর্পূর-সুবাস
    অহিংস আস্বাদ লাগে। আহা, লোনাজল !
    চুরি ও কবিতা কিছু, ছেঁড়াখোঁড়া ভিক্ষুকরমণী

    তা'বলে ভেবোনা যেন খেতে-পরতে পাই না কখনো
    তোমার চোখেও এক লবণাক্ত নারীকে দেখেছি
    লাইল্যাক ফুল হতে চেয়ে চেয়ে কিছুই না হয়ে
    অতিদূর সমুদ্রের তটভূমি ছুঁয়ে দৌড়ে গেল সে
    ঢেউ-কে পেলো না। আকাশ পেলোনা তাকে। সমুদ্রও না।
    এইসব দৃশ্যপট, অভিজ্ঞান, কারণবশত:
    ক্ষুধাকে ক্রমশ: শুধু ক্ষুধা বলে মনে হতে থাকে
    এই তবে ভোরবেলা? হে কবিতা, হে চিরবান্ধবী!

    অবশ্য কবিতাও কখনো সখনো এই বিবর্তন
    সহ্য করে। চোর -ও সাব্যস্ত হয়। রুগ্নবাক
    নিষ্পিষ্ট ফুলের মতো ক্রৌন্চ-মৈথুন, ভাঙ্গা চাঁদ
    আরূঢ় ভনিতা কিছু, মাধুকরী, তিলপিণ্ডদান
  • Tim | 188.89.100.253 | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:১১507274
  • কোন কোনদিন এমন হয়
    শিয়রে চাবির গোছা পড়ে থাকে
    কোন কোনদিন সকালের ঠান্ডাটা
    বালিশের কাছে গল্পের বই
    ঘুলঘুলিতে পাখি আর সামান্য ধুলো
    বেশি মনে হয়।
    কোন কোনদিন চোখে পড়ে
    আবছা, সরু ভাঙা কংক্রিটের গলিতে
    এই শীতে বল পেটাচ্ছে কেউ
    অনেক দূরে ভোঁ বাজছে, নাকি বাজছেনা
    আসলেই, সব স্মৃতি কেমিক্যাল
    কষ্টের মত কিসব মনে পড়ে যাচ্ছে, পায়রার
    পালক আর ঘন হয়ে আসা ধুলোটে রোদ পড়ে
    ঝাপসা।
    কোন কোনদিন বাড়িতে অল্প ভাত থেকে যায়
    বেড়ালটা ছোঁকছোঁক করেও শেষে
    জবাগাছটার মত, ফুলে ভরে হতাশ দাঁড়িয়ে থাকে
    আর টিনের চালে শালিকের ঠোঁটের শব্দ
    রান্নাঘরের দিকে যেতেই মিলিয়ে গিয়ে
    ওল্টানো হাঁড়ির ফ্যান হয়ে পুরু হয়ে
    জমে থাকে।
    কোন কোনদিন এমনিই, এমন হয়
    আর একজোড়া খরখরে খালি পায়ের রেখাগুলো
    বুকের ভেতর থেকে সরাসরি চেয়ে থাকে।
  • মোহর | ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৪৬507275
  • #

    মা ছবিটার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছেন
    আমার দিকে নয়, আমার পাশেই
    যে রোগা ফর্সা অল্পবয়েসী মেয়েটা বসে ছিল, তার দিকে
    সুন্দর ছবি, বহুমূল্য আপণদক্ষিণা শুদ্ধু জনসমাহার
    সুন্দর সুন্দর পোষাক, ঝলমলে আলো ও চোখমুখ
    রঙিন রঙিন বাচ্ছা প্রজাপতি
    এ ডাল ও ডাল, এ পাতা ও পাতা
    মা এসব কিচ্ছু দেখছেন না, এমনকী বাকি মেয়েদের দিকেও না
    উনি শুধু ওই হলদে জামা পরা সুন্দর মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছেন
    দেখে দেখে আশ মিটছে না
    অনেক অনেকখন পরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
    এর কি বিয়ে হয়ে গেছে ?

    অসুন্দর মেয়েদের মা থাকে না।
  • Tim | 188.91.253.3 | ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:০৭507276
  • মোহরের লাঠি কেড়ে নিলে
    শাহজাদা বাগী হয়, আসামের
    দিক থেকে তেড়ে আসে হাতি

    আর

    ফতেপুর যেতে গিয়ে
    সেকেন্দ্রা চলে যায় নওরোজে
    ছাড়া পাওয়া বদ্‌নসীব
  • মোহর | ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৪507277
  • টিম, দিব্য হয়েছে :)

    এইটা টুকে রাখলুম, আমার এপিটাফ হবে :)
  • Tim | 188.91.253.3 | ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:২৫507278
  • ঃ-)
  • ফরিদা | ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ২১:৪৩507279
  • যেন অনন্যতার কাছে
    কুশল সম্ভাষণের শেষে
    তার প্রতিকৃতি আছে
    তাতে চাঁদের টুকরো মেশে
    কিছু দূরদূরান্তে ডুব
    দিলো অসীম চলাচল
    কিম্বা স্মৃতির ভারে চুপ
    ওই সন্ধ্যা দিঘীর জল
    আলোর ছায়ায় কুমীরডাঙা
    কথা মেঠোরাস্তায় হাঁটে
    তাদের লাগছে যেন চেনা
    দেখা যাচ্ছে রাস্তা ঘাটে

    তোমার চাঁদপাহাড়ের আদল
    নিছক বোষ্টুমি খঞ্জনি
    মেঘে আকাশছোঁয়া পাগল
    পেয়ে হারায় সাপের মণি
    ও গান শুনলে বুকে পাথর
    ঢেউ ভাঙলে দিশেহারা
    হাওয়ায় সান্ধ্যকালীন আতর
    গাছের শিকড় জাপটে ধরা-
    মাটির আঙুল আসছে খুলে
    তার চমকপ্রদ বিষাদ
    যেন একটিমাত্র ভুলে
    সামনে অন্তবিহীন খাদ -
    ডাকে মাপতে গভীরতা
    তুমি ওইখানেতেই থাকো
    সহযাত্রী বলে কথা
    পরে চিনতে পারো নাকো...
  • শ্ব | 24.99.101.164 | ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৫507280
  • চাবি
    ~~~~

    আরেক থোকা চাবি খুঁজে পেয়েছি ।
    এবার তুমি এলে আর অসুবিধে হবেনা
    এবার আমরা যে যার মত বাড়ি ফিরতে
    পারব, বেরোবার সময়েও ঘুম থেকে ডেকে

    তোলার প্রয়োজন রইলো না আর, তোমাকে
    আর বলতে হবে না : উঠে দরজাটা দিয়ে দাও ।
    আমি আর বলবনা : বাজার থেকে খাতা এনো
    বল এনো রুবিক্কিউব এনো ,আমি তো তখন ঘুমে

    বা,ধরো আমি বেড়িয়ে পরেছি বা ধরো তুমি;
    কেও আগে ফিরে এসেছি আর ভয়ানক ক্লান্ত
    বলে ঘুমে । আর জানিও না তুমি চাবি হারিয়ে
    ফেলে গাড়ির পেটে নর্দমার ঝোপে আঁতিপাতি

    খুঁজে চলেছ , অন্ধকারে ঝরে পড়ছে হিম আর
    আর্বান ভয় , ভ্রু কুঞ্চনে হেঁটে এসে অনিশ্চিত
    বেল টিপছ দরোজায় , লোকটা ফিরেছে তো ?
    চাবি না হারালে আমাদের আর দেখাই হবেনা ।।
  • de | 24.139.119.173 | ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:১০507281
  • বাঃ! সবাই কত সুন্দর লিখেছে!
  • dd | 132.171.31.169 | ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ২১:১৪507282
  • শ্বএর কবিতাটা লাভলি হয়েছে।
  • nina | 78.37.233.36 | ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৫১507283
  • খুব সুন্দর এই টই টা
  • ফরিদা | ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ২১:২২507285
  • তুমি, বড় গোলমেলে...

    খুদকুঁড়ো জড়ো করে এনেছি দেখছি ওরা –
    রাজ্যের জঞ্জাল বুনোঘাসপাতা খসে পড়া
    আধমরা শালিখের ছানা মিটিমিটি চায়, মৃদু হাঁয়ে
    যদি জোটে খাদ্যের কণা - এইতো বাসনা।
    নোনাধরা দেওয়ালটি সুড়কির গুঁড়ো চাঁদা দিলো।
    ওইপাশে ছাইগাদা আলো করে -
    পোয়াতি কুকুর সেই রোদ্দুর শুঁকে শুঁকে শুলো।

    বুনো ঝোপঝাড় নিজেরাই গুণগুণ কথা বলে যায় শুনি –
    ওদের নিজের নাম, তুমিই জানতে শুধু যেতে যেতে
    প্রায়শই বসতে খানিক এঁদো ডোবাটির পাশে
    আপনজনের মতো মুড়ি খেয়ে কত কথা বলেছিলে একদা রোয়াকটিতে।
    যাবতীয় অকিঞ্চিতকরের সাবেক জন্মভিটে।

    চৌপর বেড়িয়েছ। টৈ টৈ দিনভর -
    টইটম্বুর তুমি পাতায় পাতায় পার করে চিনিয়েছ পথ সমুদ্দুর
    বালুতটে আজ দেখি ঝিনুকেরা সব
    শব্দ জোছনা মেখে শুয়ে থাকে পাশাপাশি আকাশে চোখটি রেখে।

    যদি কেউ মুখ খোলে মুক্তোটি ঝলমল করে ঠিকরে তুলেছে আলো অতি অবহেলে।
    কিছুটা বুঝতে গিয়ে দেখি - বাপু, তুমি হলে যত নষ্টের গোড়া, বড় গোলমেলে।
  • Tim | 12.133.46.203 | ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৪৭507286
  • আকাশ জানলা খুলেই রেখে ছবি
    দেখছি এখন তুমিও ছিলে পাশে
    তারার মতন বিষন্ন সে আলো
    শীতের দিনে বাঁচিয়েছে নিঃসাড়ে
    গাছ ঢেকেছে শিকড়হীনের মায়া
    গাছের শিকড় করতলের রেখা
    "নতুন করে সময় হবে দেখার?"
    তোমার কথা, সময় কঠিন ছিলো
    ডালপালা সব শুকিয়ে গেছে কবেই
    দেওয়াল উঠছে জমছে বুকের ক্ষত
    ঝড় এনেছে শিউলিপাতার গুঁড়ো
    সে ঝড় এখন আমারই প্রশ্বাসে

    তোমার কথা সহজ হয়ে আসে-
    ফুলের মত।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ১২:২৭507287
  • রাত

    চাঁদছুড়ি চরকায় তাল বোনে সপ্তক
    রাত কুঁড়ি আধ ফোটা, মধুখেলা রপ্ত
    মেঘ তার বুক টান, দুরন্ত অঞ্চল
    ওম দেয় যুবতীকে পরুষ প্রপঞ্চ
    সাথে তার জেগে থাকে দিক ভুল লুব্ধক
    তিনকোণা পরকিয়া ,ঝন্ঝাট ক্ষুব্ধ

    এই কুহু যামিনীতে উত্সুক মর্ত্য
    সৃষ্টির নাচঘরে নটরাজ নর্তক
    জোনাকির আলো বেয়ে দেবশিশু উচ্ছল
    মদনের খরশান প্রেম বাণ গুচ্ছ
    জ্যোত্স্নার মাঝামাঝি বাদুড়ের ঘূর্ণন
    মুকুরেতে রক্তিম কুন্তল চূর্ণ
    জমাট বরফ ঢালে সময়ের ঔরস
    পাঁচ ভূতে লুটে নেয় ঐহিক খুন্নস
    মাকড়সা-জাল ঢাকে পরীদের পর্দায়
    ফোযারায় দাঁত মাজে, কার হুঁকো, বরদার
    অভিজাত বর্গায় ঝিম ঝাড়লন্ঠন
    স্মৃতি শুধু ভৈরবী স্বৈরিণী কন্ঠ
    এভাবেই লুটে যায় আদি আর অনাদি
    স্বর্গের সিঁড়ি লোভে ভিক্ষের কণা দি

    এ বিষয়ে কত পদ রাঁধা হতো চর্যায়
    ভুলে গেছি কবে শেষ শৈশব পর্যায়
    কবে শেষ বুলু দির শরীরের খাঁজে
    ঈগল উড়াল শেখে চোখের রেওয়াজে
    ডোরাকাটা বিকেলের রোদের আমেজ
    জমা রাখা পাতা ভাঁজ কবিতা বেনামে

    তার চেয়ে এই ভালো সাদা কালো গাম্বাট
    অবসর খোপ থেকে নেশাতুর খাম্বা
    মসৃন কাঁচঘরে, না পাওয়ার বন্দীশ
    বেজে যায় আমি তাও আকাশকে মন দি
  • শ্ব | 229.64.71.143 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৩507288
  • দৃ
    ~~~

    একটা বিশাল বড় বাঘের শহরে আছি আর
    রাস্তাঘাটে বারান্দায় সর্বর্ত্র হালুম ,গুলি শেষ
    হয়ে আসচে তবু বাঘামোর শেষ নেই এইরকম
    একটা উত্তেজক স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে অনেকদিনের ;

    এখন যে স্বপ্ন টা দেখছি সেটাও খুবই উত্তেজক তবে
    স্বপ্নের একমাত্র চরিত্র দামড়া সিংহ টা সন্ধে বেলার কুমড়ো
    ক্ষেতে একমনে খুঁজে চলেছে লাল বল নীল বল সবুজ বল
    লাল বল নীল বল সবুজ বল লাল বল নীল বল সবুজ বল ।।
  • dd | 132.171.113.41 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১১:২৮507289
  • ওঃ
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪৬507290
  • শ্ব, আরো দিন।
  • ফরিদা | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৭:৪৪507291
  • ওঁচাগ্রাম মোড় বাসস্ট্যান্ড

    চৌমাথাতে বাস থেমেছে মধ্যদিনে
    দু-একজন কি উঠছে নামছে, কণ্ডাক্টর চেঁচাচ্ছে খুব
    আর কেউ নেই, রিক্সা ঝিমোয়,
    নাম মাত্র কয়েকজনা হয়ত অন্য বাসের খোঁজে
    রাস্তায় ফের চোখ রেখেছে – চুপটি করে।

    নিম ডালটার আড়াল ছেড়ে রোদ্দুরটি নেমে এসে
    পান দোকানের আয়নাটিতে ঝাপটে পড়ে
    মোবাইলে খেলতে খেলতে বিরক্তি মুখ
    দোকানদার সে অল্প একটু ঝাঁপ নামালো
    পালটিয়ে স্টান্স – চুপটি করে।

    গোণাগুণতি চারটে নেড়ি – চেনা চায়ের
    গুমটি ঘিরে ওঁত পেতেছে – একটু পরেই ধরবে উনুন
    ভিতরদিকের চালের বাতায় আটকে থেকে চলতে থাকে
    চ ওলাটি দেখতে থাকে কিছু কিছু
    বেশির ভাগই চলকিয়ে যায় রাস্তা জুড়ে –চুপটি করে

    এতক্ষণে একটু চেনা লাগছে বোধ হয়, এ জায়গাটা
    চৌমাথা মোড়, বাস আসে যায় পিচরাস্তায়
    সেটা কেটেই মাটির রাস্তা যে যার গ্রামে চলে যাচ্ছে।
    চারটে দোকান, এক টিউকল, পাঁচটা ছ’টা গাছকে নিয়ে
    শেষ দুপুরের এই দৃশ্যের মধ্যে চমক –
    সামান্য ওই আদলটুকু – অপেক্ষমান,
    হঠাৎ একটি পাখির ডাকে ছদ্ম উষ্মা সেই চাহনি
    গাছের শাখায় খুঁজছিল যেই – চুপটি করেই।
  • Tim | 101.185.27.233 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:১৪507292
  • আজ এখানে নামকরণের দিন-
    কাস্তে মতন নারকেল গাছটাকে
    নাম দিতে গিয়ে শিশিরশব্দে ডুব
    পাখি আসছে পাখির মত পাখি
    পাখির নামটা ডাকতে গেছে বই
    পড়তে গেছে অন্ধ দিঘির জলে
    তারার আগুন চলকেছে নিশ্চই
    তারার নামটি তারার মতই চেনা
    আঁকশি করে নামিয়েছে ফিনফিনে
    মুছতে থাকা হালকা ছায়াসাকিন
    বালিশের পাশে চশমা বইমলাট
    চটির সঙ্গে ছাড়া শীতখোলস
    ভেতরঘরে দরজা জানলা হাট
    সিঁড়ির কাছে বিঘৎখানি জল
    দাগ ফেলেছে চাঁদেও, বর্ণহীন
    মুছে আসছে চেনা লাগছে নাম-
    আজ আবারো নামকরণের দিন।
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:২১507293
  • কে বাওয়া কবি তুমি ঝাপসামতন
    কে বাওয়া আবছায়া হারিয়েছো
    শুঁড়িপথে আলগোছে মুছে যেতে যেতে
    ভেঙেপড়া কাঠি এক সর্ষে আগায়
    দিন গলে যেতে যেতে বিরক্ত
    রাত মশারির মত মেলে আছে খুব
    কে বাওয়া তুমি পা ফ্যালো
    ফ্যালো কি ফ্যালোনা ভেবে
    হা হা হেসে উড়ে যাও ফকিরমানুষ?
    পাঁজরে ভরসা নেই ঊনকোটি ভুল
    পাখনায় মেদ জমে চুঁয়ে পড়ে ফোঁটায় ফোঁটায়
    কে বাওয়া তুমি র‌্যালা নিতে অবেলায়
    কেঁদে ফেরো এলায়িত রাস্তার পাশে
    ঘাড়েপিঠে জেগে আছে কুঁজ নয় ভর্তি গেলাস
    লেজ আছড়ানো প্রেম কাঁটাতার বন্ধ সরণী
    চিরে চিরে হেঁটে যাও খালি পায়ে ফের
    কে বাওয়া কবি তুমি জেগে আছো অন্ধ সকালে?
  • শ্ব | 24.96.97.60 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:৩৪507294
  • র্ত
    ~~~~~~~~~~

    সর্বর্ত্র শীত পড়ছে
    লোকজন তরিঘড়ি লেপ ও কাঁথার মত
    ঢুকে যাচ্ছে কার্পাস সভ্যতায় , ঘিরে নিচ্ছে
    কান দুটি ,অসহায় পকড় বিহীন । যথেচ্ছ হাওয়া দিচ্ছে
    আমাদের ব্যালকনি জুড়ে , প্লাস্টিকের আইভি লতা গুলি মেন
    রাস্তার ধুলো থেকে টেনে নিচ্ছে পরিযায়ী হিম আর রেশনের ভারিক্কি ধাতু । যথেষ্ট দেরী
    করে তবু তুমি হেঁটে আসছো গ্লেসিয়ার চিরে ; এইমতো মনোযোগ ,চোখ খুললেই শুধু বরফের সারি ।।
  • ফরিদা | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৫507296
  • ১৩ই ডিসেম্বর

    কখনোই লিখি না আমি তোমায়, কবিতা –
    রচিত হয়েই থাকো চোখের পাতায় যেন
    বর্ষণ ঘ্রাণ, মাঝদুপুরের মেঘ জলের আহ্বান
    পেলে ছুটে আসে শুধুমুখে শহর পেরিয়ে।
    আলগোছে ছড়িয়ে রয়েছ তুমি যেন নদীপথ
    সারা গায়ে আঁচলে বেঁধেছ জঙ্গল জনপদ।

    তোমায় দেখেছি আমি, রচিত কাবিতা
    অন্ধকারে, আলো এনে দিয়েছি কখনো
    সাদা পাতাটিতে কালো অক্ষরে ফুটিয়েছি
    শব্দ অকারণে। দু’ধারে গাছের সারির মাঝে
    রাস্তাটি একমনে গেছে, তুমি আমি হাঁটি -
    তত পরিপাটি আমি কখনো পারিনা, জানো
    ভুল হয়ে যায় খুব – কত কাজ আসে, ফোন
    আনাড়িপনায় হেসে ওঠো তুমি, এ ঘরের কোণ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন