এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৪৬৪১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৫৬507863
  • ১৬

    আমি ও অসীমকাকু



    “পৃথিবীকে সর্বস্ব দিয়েছি” -
    শ্লাঘাবোধে থাকি মশগুল
    তার থেকে সবটা নিয়েছি
    সে যদিও বলেনি একচুল।



    তুমি যদি আইন বানাও
    সে আইন আমিই ভেঙেছি
    প্রক্ষিপ্ত অসীম তটে
    অনিয়ম বিন্দু এঁকেছি।



    কেন তুমি কাল ফিরে গেলে?
    কেন এই পরশু আসবে না?
    মানচিত্রের স্কেলটা বাড়ালে
    “এই তো পাশেই আছি সোনা”।



    “ও লোকটা বাপের বয়সী
    ছেলেটার বয়স কী কম”
    পরমাণুগুলির হাসাহাসি
    বিগ ব্যাঙ থেকে হরদম।
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৩১507864
  • ১১
    যেন ঘুম ভাঙেনি আমার কখনোই সঠিক সময়ে
    কখনও দেখিনি কীভাবে শিশিরবিন্দু ঘাসে ঘাসে
    আকাশের ছবি তুলে আলো জ্বেলে রৌদ্র জমায়
    তারারা সকালে নাকি এইভাবে ঘুমোতেই আসে।

    যেন আমি কিছুই জানি না দেখবার কী রয়েছে এত
    পরমায়ু বালতির জলে, পান স্নান কলঘরে গান
    সাবলীল দাঁড় বেয়ে বেয়ে চরে ঠেকে পরিচিত ক্ষত
    সেখানে থাকবে তুমি জানি সর্বদা অপেক্ষমান।

    যেন কার শীতের দুপুরে আচমকা অতিথি আসলে
    সে ঘরের একলা জানলা কিছু রোদ মেঝেতে ঢেলেছে
    চিনিদানা পিঁপড়ের ঠোঁটে তাই নিয়ে দু কূল ভাসালে
    এ পৃথিবী একবারই মোটে, তোমাকে সলজ্জ দেখেছে।

    যেন ঘুম কখনও ভাঙেনি, যেন রাত শেষ হব হব
    তোমাকে যে কথা দেওয়া ছিল, সেইটুকু নিয়েই ফিরব।
  • ফরিদা | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৩১507865
  • ১৯
    রাত থাকতেই কাঁধে ঝোলা নিয়ে সাইকেলে
    লোকটা অভ্যস্ত চোখে গ্রামের রাস্তা পেরিয়ে
    একসময়ে সাঁই সাঁই হাইওয়ে ধরেছে।
    ঠান্ডাটা এইবার বেশি নাকি তার বয়স বেড়েছে?

    শান্তিনিকেতনের ট্যুরিস্ট রিসোর্টে পৌঁছে
    ঝোলা থেকে চটপট বেরোল
    গেরুয়া আলখাল্লা, পাগড়ি আর একতারা
    প্রায় একই পোশাকে সকালের সূর্যটিও
    “রাই জাগো রাই জাগো” বলে দরজায় নাড়ে কড়া।
  • ফরিদা | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ২১:২০507866
  • কালাকাঁদ জ্যোৎস্না

    জ্যোৎস্না প্রিয়ংবদ,
    পৃথিবীর বশবর্তী যেহেতু
    রম্য কালাকাঁদ অনিন্দ্য
    এমন হেমন্তে একদা
    একবারই বেঁধেছিল সেতু।

    ভাষা সন্ধানে নেমেছিল
    দুরন্ত অভিযাত্রী দল, তখনই
    মৃদুমন্দ স্বাদু ঘ্রাণ মিঠে আঁচে
    পাক খায় ক্ষীর ছানা তাল
    পৃথিবী শব্দস্নান সেরে জেগে ওঠে
    শুভ প্রার্থনা শেষে কালাকাঁদ
    প্রসাদে অভিযাত্রীরা উথালপাথাল।

    মিষ্টান্নরন্ধনরত মিঠুন ও ঈপ্সিতা জ্যোৎস্নাই এ কবিতা প্রস্তুত করেন। আমি অনুলেখক মাত্র।
  • ফরিদা | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৫৫507867


  • এ পৃথিবী মাঝে মাঝে পাশ ফেরে দিনশেষে
    কিছুটা সময় যেন শূন্য হয়ে আসে
    চোখের পলক পড়ে কারও চিন্তাস্রোত ছিড়ে গেল
    ঘাম মোছে ট্রাফিক পুলিশ ডিউটির পর মানুষের বেশে।
    আমাদের শিশু আকাঙ্ক্ষা ভরন্ত অফিসে
    টলমল পায়ে হেঁটে আসে আচমকা।

    ফোনে ডাকে পুরনো নম্বর, চশমা ঝাপসা হয়,
    চৈ চৈ ডাক শুনে ঘরে ফেরা হাঁস যেন চমকে উঠেছে
    হোস্টেলে স্বাধীন ছেলেটার মনে পড়ছে বাবাকে
    তখনই, বিকেলের রোদ যেন উঁকি দেখে যাবে
    হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা ম্লান লোকটাকে-

    এ পৃথিবী তখনই অভিমানে পাশ ফিরে থাকে।
  • ফরিদা | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:২২507868


  • মনে হয় একা একা মাঝরাতে সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে
    চুপিচুপি অদৃশ্য দাঁড়িয়েছি নির্জন, সেদিন প্রচুর হাওয়া
    দেখেছি ঢেউগুলি মৃত শুক্লা নবমী জ্যোৎস্নার থেকে
    রূপোলি তবক গুলি খুঁটে খুঁটে তুলে চুলে লাগিয়েছে
    পাড়ে এসে বালিময় ফেলে ছড়িয়েছে ফেনায় ফেনায়
    বাকি রাত কেটেছিল জ্যোৎস্নারহিত লাল চাঁদের বেদনায়।

    একা একা অন্য রাত নির্জন প্ল্যাটফর্মে মোড়াম বিছান।
    দিনেই যা দু-একটি ট্রেন দয়াপরবশ থামে টামে জানি
    আকাশে হীরের খনি সারারাত সেইখানে ঝুঁকে পড়ে
    করে কানাকানি, কার যাত্রা কবে ছিল, কারা চলে গেছে
    কারা যেন কখনও যায় নি। রাতে ওরা ট্রেন ট্রেন খেলে
    ঝমঝম শব্দে কাঁপিয়ে আলো ঝলসিয়ে ফিরে যায় চলে।

    রাত্রির গাঢ় অন্ধকার ক্ষীণ হতে হতে ক্রমশ ফ্যাকাশে
    মৃত সমুদ্রবেলায় স্টেশনে লোকে প্রাতঃভ্রমণে আসে।
  • ফরিদা | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৫১507869

  • রিক্ত হয়ে তিক্ত ব্যথা আস্থাবিহীন অক্ষে
    তোমার একটি ভাবনা পেলে চিরহরিৎ সখ্যে
    মিলিয়ে দিতাম নদীর স্রোতে ভিন্ন জনপদও
    ভালোবাসার বন্যা ভাঙত কঠিনতম বাঁধও।

    যখন তুমি দেখছ পাথর চাপা হলুদ প্রত্ন
    শব্দে করো সঞ্জীবিত সেও পোখরাজ রত্ন
    কিম্বা যত্নে মুকুল ফোটাও জীবনধারণ ছন্দে
    এগোয় পিছোয় বেঁচে থাকা নাচেরই আনন্দে।

    ছন্দ তোমার গুণগ্রাহী, শব্দ সুশীল প্রজা
    সেই রাজত্বে প্রতি পঙক্তির নতুন রাস্তা খোঁজা
    আস্তে আস্তে দরজা খোলে ঘরের ভিতর ঘর
    এক কবিতায় অনেক জীবন বহু জন্মান্তর।
  • b | 24.139.196.6 | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:১৬507870
  • (য্ক্ষঃ কঃ বার্তাঃ?)

    কটাহে বড় মায়া হে,
    রোদ ওঠে, কখনো ট্রেন থামলে অন্ধকারে চুপচাপ স্লীপার ক্লাস
    ঝিঝিঁর ডাক, বৃষ্টির শব্দ ভারতবর্ষ জুড়ে
    হেমন্তের অন্ধকারে ধোঁয়া ওঠে ট্রামলাইনের উপরে
    জন্ম নেয় মধূকুপী ঘাস
    দাদুর কোঁচকানো হাত ধরে নাতি দৌড়ে দৌড়ে যায় পার্কের ভিতরে
    শ্মশানের পাশের দোকান ২৪ ঘন্টা খোলা পাইবেন,
    দশকর্ম্মার সমস্ত জিনিস পাওয়া যায়
    প্রোঃ রাজু দাস, দেওয়ালের ছবি ঝুলছে শুকানো মালায়।
  • ফরিদা | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ২২:১৩507871
  • ১৪

    সবুজ রঙের বিলাস নিয়ে শেষ বিকেলের ইচ্ছে
    অন্ধকারটি নামার আগে ওড়ার হাওয়া দিচ্ছে।
    এখন ঘুড়ি তুললে সে আর ফেরৎ আসবে না
    এই অসময় হাওয়ায় লেখা জল্পনা কল্পনা
    যদি থাকত বাঁধা বশংবদ কাগজে পেন্সিলে
    সত্যি বলছি ভর্তি হতাম আরও একবার স্কুলে।

    সবুজ বিলাস, জলের গেলাস মন্ত্র দিতাম জুড়ে
    যখন তখন ছুট লাগাতাম বৃষ্টিতে রোদ্দুরে
    প্রিয় শহর খোলা সদর সোঁদা গন্ধের সকাল
    বৃষ্টি আসছে রঙের বুঝলে খিচুড়ির চাল ডাল
    মিলিয়ে দিতাম মিশিয়ে দিতাম সেইদিন ওই ঘুড়ি
    বাড়ি থাকত পরদিন তার অন্য শহর পাড়ি।
    মাঝে মধ্যে চিঠি লিখতাম - কুশল সংবাদের
    শেষ বিকেলের ইচ্ছে একটি বটচারা চিল ছাদের।
  • dd | 59.207.57.222 | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৫৩507873
  • b'র কবিতাটা খুব ভাল্লাগ্লো।

    আর বাচনবংগীও একেবারে স্বতন্ত্র - যাকে বলে ইউনিক।
  • de | 69.185.236.53 | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:২১507874
  • এক্কেবারে ছুপা রুস্তম - দা-আ-রু-উ-ণ!

    বি - স্তব্ধ এবং মুগ্ধ!
  • Subhadeep Maity | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ২১:০০507875
  • #

    সাঁওতাল গাঁয়ের মত কুলীন অন্ধকার বুকে
    মেয়েটি এসে দাঁড়াল দীঘিটির সম্মুখে।

    তীব্র শীতের রেশ বুকে টেনে দীঘি ক্রমশ শুকিয়ে আসছে,
    এখন পাড় বরাবর অজস্র ফাটল;
    কল্পনায় লাগে-
    প্রাচীন বটের সহস্র-মূল জটিলতায় ছেয়ে যাচ্ছে
    অলক্ষ্যের জমিন।

    দূর থেকে কান্নার মত ভেসে আসে শঙ্খধ্বনি
    এক পা দু' পা মেয়েটি এগোয়,
    ফাটল আরও স্পষ্ট হয়।

    মেয়েটি কোনদিন প্রকৃতির ক্ষয় দেখেনি,
    সে দেখেছে লাঙলের ফালে ছিন্ন শক্ত মাটি।

    অথচ, সে কখন দেখেনি প্রকৃতির ক্ষয়
    দেখেনি আপনা থেকে শক্ত মাটি কিভাবে ঝুরো মাটি হয়।

    দীঘি এবার আপন মনে বলে-
    যে ফাটলের দুদিকে দুজন
    দাঁড়িয়ে ছিল আজন্মকাল
    সে ফাটল তৈরী করে মানুষ;
    আর যে ফাটল জন্ম নিয়েছে নিজের মত করে
    মানুষের সে দুঃসাহস নেই তাকে উপেক্ষা করে।

    আসলে
    মানুষ চিরকাল বিরহ সহ্য করে মুখ বুজে,
    ভাঙে অধিক ভালোবাসায়।

    (নভেম্বর ২৭,২০১৭)
  • ফরিদা | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৪৫507876
  • ১৬
    একটি ইচ্ছে পিঁপড়ে ঠাকুরের থালা থেকে
    চিনিদানা চুরি করে খাওয়ায় শিশুকে
    একটা ইচ্ছে চড়াই, ভীষণ মিশুকে
    প্রতিবেশী বাড়ি থেকে চামচ ক্লিপটা
    এনে ফেলেছে উঠোনে -
    যাতে বাড়ে কথা চারা তুলসীতলার পাশে এক মনে।

    ওদিকে ইচ্ছে ঘুড়ি বেড়ে মেঘে ডুবে স্নান সেরে এল
    সেই কথা চারাগাছ বৃক্ষ হয়েছে এতদিনে
    অস্পষ্ট লিখনে এ হেমন্তে যে চিঠিপত্র পাঠাল
    শূন্য উঠোনে ভাগ্যিস তা চির অপঠিত
    ওই তুচ্ছতা ব্যতিরেকে এ জন্ম শর্করা তাড়িত।
  • ফরিদা | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৩০507877
  • ১৭
    এস দেহ, এ পৃথিবী প্রেমে জীর্ণ হয়েছে সহে
    সবুজ ঘাসের মোহে রোদ্দুর শান্তি পেতে ক্রমে
    মুখ লুকিয়েছে সেই ভ্রমে তুমিও প্রস্ফুটিত হও।
    খলখলে পথশিশু, দেরাজের বাতিল দলিল
    পুরনো বন্ধুদের ঠেকগুলি তালা পড়ে গেছে
    পথ নির্জন, ব্যাঙ্কারে শুধু যুদ্ধ সিনেমা চলছে।

    তবু দেহ, সুপ্ত ভ্রূণে যে বিশ্বাস রাখা ছিল গল্পে
    পাতালের গুহায় কাঠের কৌটোয় নিস্পৃহ ভ্রমর
    মৃদুস্বরে জীবনসঙ্গীত গায় আজও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে,
    যখন জেনেছে প্রচারিত হত্যাদৃশ্য জ্বলন্ত কুপিয়ে।
    এ কাল মৃত্যু নয়, এ সামান্য রাত্রির ঝোঁক, মৌতাত
    যথা পেটভরা ভাত, পরিধেয়, আশ্রয় সু-বন্দোবস্তর
    বদলে আরকের নেশা, সহজলভ্য দেশপ্রেম মোড়কে।
    উত্তাপ রেখো, জেনো, আলোতেই বদলায় লোকে।
  • ফরিদা | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:৩৯507878
  • ১৮
    কাছেপিঠে বলতে ওই চাঁদ জানে
    তুমি আমি পাশাপাশি ঘেঁসাঘেঁসি করে থাকি
    সন্ধ্যায়, তামাটে থালা হাতে পুবের দরজায়
    সে দেখেছে আমরা ঘরে আলো জ্বেলে ছবিটবি আঁকি।
    এছাড়াও রাতের বিভিন্ন সময়ে সে এসে ঘুরে যায়।
    কখনও বা শেষরাতে এ-দেশের ভিন্ন শহরে
    ক্ষয়াটে লম্পট দেখি সে জানলায় উঁকি মারে।

    ওইটুকু ছোটো চাঁদ, যাকে দু-আঙুলের ফাঁকে
    তুলে এনে কবিতায় বসিয়েছি, টিপ পরিয়েছি
    দু-অক্ষরে নানা অবান্তর কথায়
    আমাদের কত পুরনো দিনের গানে
    আমাদের দু’জনের কথা কাছেপিঠে বলতে
    শুধু একমাত্র ওই কিছুটা অন্তত জানে।
  • ফরিদা | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:২৪507879
  • নাইলন সুতোর মতো হাওয়ার ঝাপট পড়ে তার চোখে মুখে, 
    মোজার ঠিক ওপরের অংশয়। অদৃশ্য সূক্ষ্ম, ধারাল মনে হয়ে
    যেন ফালা ফালা করে দিতে পারে। বাকি অংশ যেহেতু  ঢাকা
    সেখানে এমন ছোবল নেই। ভদ্র মধ্যবিত্ত যেমন ধীরে মরে
    জমানো টাকা ফুরিয়ে ক্রমে ভাতে ভাত খেতে খেতে একদিন
    আচমকা পাড়া ছেড়ে উঠে যায়,সে দেখেছে এক সর্পনির্জন রাতে। 

    অথচ, বিন্দুমাত্র গ্লানি নেই, গেলাসে তলানি নেই, চোখ বুজে
    নির্ঘুম অথচ ধ্বংস তপস্যারত অপারগ নদীজলে তাকিয়ে দেখছে
    উলুখাগরারা শক্ত মুষল হয়ে গেল, দেখেছে, যন্ত্রণা পেতে পেতে
    নেশার মৌতাত চড়ে, খিদেরা যেমন, পেট থেকে বুক বেয়ে ওঠে
    মাথার দখল নেয়। খালি পেট পাক খায়, রাতচড়া ঝাপটায় ক্রমে
    অন্ধকারের মধ্যে অন্ধকারতর সামান্য মাংসপিণ্ড যা ফসলের খুদ
    খুঁজে ফিরছিল, তার আকাঙ্ক্ষায়। হাওয়া বাড়ে, বুভুক্ষ নির্ঘুম হাভাতে
    মগজদখলের পর, নিজের অস্ত্র তুলে নেয়, পৃথিবীর সর্পনির্জন রাতে।     

     

     
  • ফরিদা | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:৩১507880
  • ২১
    গত রাতে খুব শীত করছিল।
    একটা হিলহিলে গায়ে পড়া সাপ শূন্য থেকে
    বারবার নাকে চোখে মুখে ছুঁয়ে যাচ্ছিল
    স্বচ্ছ, পিচ্ছিল সাপ যেন তার শীতঘুন আশ্রয় হারিয়ে
    খুঁজে ফিরছিল যেন পরিচিত আস্তানা।
    বোধ হয় ওর চেনা -
    আমার মধ্যে যে প্রচুর ঢোঁড়ার বাসা রয়েছে,
    যাদের নিয়মিত কলাটা মুলোটা দিয়ে লুকিয়ে রেখেছি
    তাদের গন্ধ কীভাবে পেয়েছে যেন
    বাইরের বাসা হারা নিঘিন্নে সাপ।
    তবে থাক,
    ঝাঁপিদেরও বয়স হচ্ছে ভিতরের সাপেরাও বাড়ছে,
    যে যেখানে গিয়ে শান্তি পায়, সেখানেই যাক।
  • ফরিদা | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৪১507881
  • মাঝারি কবিতা

    যেন লিখি মাঝারি কবিতা বহুদিন, সমুদ্রে রাতে
    বিন্দু বিন্দু বাতি, প্রতিটি সাধারণ মেছো নৌকায়
    যে যার নিজস্ব জালে, ভাঙা হালে ঝড়ে বর্ষাতে
    কোনও মতে ফিরবে সকালে সশস্য এই আকাঙ্ক্ষায়।

    অথবা প্রবাসে কেউ, বারবার খোলে অ্যালবাম
    ক্যালেন্ডারে দাগ টানে, লিখে রাখে যত খুঁটিনাটি
    হিসেবের কথা। কত পাওয়া গেছে? কতটা পড়ল দাম?
    এখনও পুরনো গানে তার আচমকা সরে যায় মাটি।

    কেউ ফেরে, কেউ যায়, কেউ যেন ত্রিশঙ্কু মাঝরাস্তায়
    ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে রয়েছে ফেল করা ট্রেনের স্টেশনে
    কেউ বুঝি লটারি জিতেছে, ফোন তুলে শুধু হেসে যায়
    কারও ঘুম ভাঙে মাঝরাতে, প্রিয় নামে পুরনো উঠোনে।

    উৎসব ভিড়, ছুটি ছাটা, দেওয়া নেওয়া পাওয়া উপহার
    নৌকার খোলে রাখা। মৃদু আলো মাঝারি কবিতার।
  • ফরিদা | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:০০507882
  • ২৩

    “কীভাবে প্রথম দেখা হয়েছিল মনে নেই, তাও দেখা হল বলো, এই ঢের। এত চেনা পরিচিতি এত বন্ধুত্ব হবে আমাদের জানতে কি তুমি? সেই কোন ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা একসঙ্গে, আনন্দ হৈ হুল্লোড়। বাড়াবাড়ি ঘটলে শাস্তিও ভাগ করে নেওয়া আমাদের। এতদিন এত কাছাকাছি রয়েছি আমরা দেখ - একদিনের জন্য কোনও মন কষাকষি কখনও হয়েছে? আমার তো মনে পড়ে না।

    কী চমৎকার না দিনগুলি আমাদের। সুখে দু:খে পাশাপাশি নিজেরা অবসরে কত না সময় কাটিয়েছি সুখে। একবার আমার ব্যথা লেগেছিল বলে আমার কাজগুলো নিজে নিজে করার চেষ্টা করলে….”

    আচমকা শুনে ফেলি ডান হাত আর বাঁ-হাত নিজেরা যখন কথা বলে।
  • kumu | 132.176.249.214 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:৫৩507884
  • নৌকার খোলে রাখা। মৃদু আলো মাঝারি কবিতার-
    খুব শান্তির মতো
  • জারিফা | 59.248.240.115 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:২৩507885
  • কমলা লেবু

    শীতকাল এলেই বোরোলিন দুপুরেরা আমার সপ্তাহান্ত খোঁজে। রোদ পোহানো দুপুর। উলের কাঁটার দুপুর। চুলোয় গরম হওয়া জলের মতো সে দুপুর টগবগ ফুটতে ফুটতে মটরশুঁটি সবুজ হয়ে এলে এলকেশী পা ছড়িয়ে দেয় ছাদে মেলা বড়ির গায়ে। আমরা সপ্তাহান্ত খুঁজি, চড়ুইভাতির আশায়। ওরা আমগাছের ছায়ায় ভারী বনভোজন নয়, বাগানবাড়ির দালানে ছত্রখান হয়ে থাকা পিকনিকও নয়। সেসব কাতরাবে ভেবে মাথা আছড়ালেই শরীরের বাকি অংশে মিশে যায় কমলালেবুঘ্রাণ।

    আমার তখন মায়ের কথা মনে পড়ে, ছায়া আবহে। কমলা খোসার মতন মায়ের মুখটাও নরম উজ্জ্বল, যেন দু'দন্ড স্থির তবু দূর থেকে বুকে বিঁধে যায় সে অমোঘ আকর্ষণ। খোসার ভাঁজ খোলা মাত্রই একটা গোলাকার দুনিয়া বেরিয়ে পড়বে, সুরুৎ - মায়ের সাজানো সংসার। একটা কোয়ায় বাবার ওষুধ , একটায় ইলেক্ট্রিসিটি বিল....। অথচ প্রতিটার গায়ে সুতোর মতন ঝুলছে কত বিসর্জন : সস্নেহ দুই হাতে আড়াল করা জ্বর, অর্ধেক চাঁদ স্বপ্ন...অস্থিচর্মসার।
  • dd | 59.207.56.153 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:১৮507886
  • জারিফার কবিতাটা ভারী ভাল্লাগ্লো।
  • জারিফা | 59.248.243.118 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০০507887
  • অনেক খুশি, ডিডি দা :)
  • ফরিদা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:২৭507888
  • ২৪

    দেখেছি ভ্রমণপিপাসু গন্তব্যের কথাগুলি লেখেন, পথকষ্ট, মতিভ্রম, অর্থদণ্ড বাদ পড়ে যায়। ট্রেনের অপেক্ষায়, তার ঘড়ি থেমে গিয়েছিল, সে বড় একটা লিখতে চায় না।

    তাই ফাঁক থাকে, তাতে বৎসরান্তের দু’মুঠো রোদ্দুর আঁজলা পেতে চোখে মুখে মাখতে গিয়েছি। নুন নুন, বালি বালি গ্লানি যদি সব ধুয়ে ফেলা যেত, যদি শোনা যেত বাঁশি আচমকা - যে ট্রেন আমাদের কখনও আসেনি।
  • ফরিদা | ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৫১507889
  • ১১

    তোমার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়ে যায়
    যখন বিফল আমি, সারাক্ষণ-
    ভিতরে ভিতরে বুকফাটা কান্নার সময়ে।

    কিছুই হয় না ভালো, এদিকে লোকে অনায়াসে
    তুখোড় কবিতা লেখে, সময়োপযোগী কথাগুলি
    সহজেই হেসেখেলে আসে, কী চমৎকার
    ছবি তোলে যেন সারা পৃথিবী সেজেগুজে
    দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষা করে তার ক্যামেরার জন্য।

    আমার কারণে অকারণে তোমাকে মনে পড়ে যায়
    কাজের মাঝখানে বৃষ্টিপাত, রক্তক্ষরণ
    আচমকা কুয়াশায় রাস্তা বন্ধ হয়
    হাতে ক্যামেরা নেই দেখে দুর্লভ পরিযায়ী
    চমৎকার সূর্যাস্ত ধীরে সুস্থে পার হয়ে যায়।

    অতই সহজ নয় এ জীবনে সব কিছু পাওয়া,
    তাই যেন বারবার শুধুই তোমার সঙ্গে দেখা হওয়া।
  • ফরিদা | ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:০২507890
  • কে যে আবার কানটি ধরে দাঁড় করাবে

    মনে পড়ছে বানান করে হেডলাইনেই থমকে যেতে
    “ছোট অক্ষর, অত কথার কী দরকার” -খেই হারাতে
    এখন আবার ছোট অক্ষর আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলে
    চশমা এসে পড়তে শেখায় ভদ্রভাবে দু’কান মুলে।

    তখন থেকেই ভাবনা বাড়ে, দু’ একটা ভুল হয় নি কি আর
    বাড়তি বয়স, ওজন টোজন জাড্য প্রভাব বেজায় গোঁয়ার
    ভেতর ভেতর বুঝলেও সে ভাঙবে তবু না মচকাবে
    খুঁজতে থাকে গাছের আড়াল - কান ধরে যে দাঁড় করাবে।
  • ফরিদা | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:০২507891
  • সমর্থন

    মোহনবাগান কে আমি সমর্থন করি আজন্ম
    জিতলে তো কথাই নেই, তার খারাপ দিনেও
    অনুযোগ অভিযোগ শুনি, সহজ সুযোগ নষ্ট
    রেফারির ভুলচুক, আচমকা তারকা খেলোয়াড়
    চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। হেরে যায়
    অত্যন্ত সহজ ম্যাচ ড্র করে লীগের পিছনে যায়।

    কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি তার দু:খের দিনে
    প্রিয় কোচ পদত্যাগ করেন, টীমের খোলনলচে
    বদলায়, দেখি, বলি - “এই ঝড় সামলিয়ে ওঠো-
    না’হলে কীসের তুমি প্রিয় দল, ফুল হয়ে ফোটো।”

    কখনও সে পারে, কখনও পারে না, ফের বলি।
    আমারও খারাপ যায় দিনকাল, চলতে ফিরতে
    ভুল রাস্তা আটকায়। ঝলসেই উঠেছে সে তখন
    কঠিন ডার্বি জিতে সে আমাকেও দেয় সমর্থন।
  • শ্ব | 53.224.129.41 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৯507892
  • সহজে হাঁসমুর্গিপালন #৩

    ~~~~~~~~~~~~~~

    "দুটো কালো হাঁস আর দুটো সাদা মুরগি
    থাকলে কতগুলো কী কী রঙের
    বাচ্চা হতে পারে " -

    জিজ্ঞেস করলে

    সেকেন্ডের কয়েকশো ভগ্নাংশের জন্যে
    মাথায় একটা সম্পূর্ণ অসম্ভব অপশন
    ফ্লিপ করে চলে যায় ,সেইটে মজার ।

    আর বাকি সব বাড়ি ময় হাঁসমুরগির
    গন্ধ , আল মাটি চাল , চাষাভুষোর ব্যাপার , বোঝেন ই ||
  • শ্ব | 53.224.129.41 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৫507893
  • বৈড়াল#২৩
    ~~~~~~~

    শীতকালে প্রতিবারই
    কিছু বুড়ো ইতিউতি মরে , কিছু বুড়ি
    উঠোনে হাঁ মুখ রেখে কাঁথা সরে যায় -

    তাদের বসতগুলি ভাগ হয় , হাঁড়ি কুড়ি
    ঝি ও ননদে , আঁশপান্নার
    আলো কিছুকাল
    থেমে থেকে , পুনর্বার পাশ ফিরে শোয়

    আরও কিছু দিন ধরে
    ম ন সা প্র হ রে একা ,উনুনের
    মাটি চাটে নোনামুখো দেয়াশি বেড়াল ।।

    বৈড়াল#২৪
    ~~~~~~~

    তাহার সকলি ভেল , শুধু এক
    আপনাকে ছাড়া , সেত জানে কতদূর

    হেঁটে গেলে , রূপের পলাশ ; ঝরে , নিজের
    মানুষ জেনে
    কতটা লুকোতে হয় নখরনিশিত ;

    রক্তে আঙ্গুর আছে ,গ্যালভানি
    রোদ্দুরে ,মায়া ;
    বিলাইটি শুয়ে আছে পেট পেতে ,

    আপনাকে নাও পাই ,
    তবু তাকে কাছে ডাকো প্রিয় ।।

    বৈড়াল# ২৬
    ~~~~~~~

    সান্ধ্য বিড়ালগুলি রাত হলে পাল্টাতে
    থাকে ,

    এপাড়ার দুটি হুলো
    ওপাড়ার দুটি মেনি ,তাহাদের

    যেইভাবে চিনি , তারও চে কিছুটা
    অজর , আ মো লো কি বাতাসের মত ;

    শংকায় কেঁপে ওঠে , কেঁপে কেঁপে
    খাব লায় বুকে ;

    যদ্যপি দিবসে হুলো ,
    এখন সে রাতের শাবক ।।

    বৈড়াল#২৮
    ~~~~~~~

    ভগ্ন প্রাকার জানে , সারা দিনে
    কত কত বার , রূপের মার্জারবঁধু হেঁটে
    গেছে বিরল আলসে ;

    আলগা ইঁটের ফাঁকে , ফেরোমন শুঁকে
    নেওয়া , ছি ছি গেঞ্জি কাচোনি তুমি

    কতদিন কতকাল শুনি ! !

    ভগ্ন প্রাকার জানে , নেহাতই দুর্দৈবে নয় ;
    সময়ে বিভগ্ন সে , সময়ের মার্জনাদোষে ।।
  • b | 24.139.196.8 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:১১507895
  • অহন্যহনি
    ------------------------
    তুমি বলেছিলে এপ্রিলে আসবেই
    বছর পেরিয়ে কোন চুল্লিতে গত
    ভাতের ঠান্ডা থালাটি সাজিয়ে বসে
    কবি লিখেছিলো নিষ্ঠুরতম মাস

    বছর ফিরিয়ে ফের বসন্ত আসে,
    শ্মশানে সেদিন কত জ্যোৎস্নার বান
    পাশে এক নদী চুপ করে পড়েছিলো
    সাগর ডেকেছে, সেদিকেই চোখ তার

    দোকানে বাজারে করি বড় কেনাকাটা,
    ধূপকাঠি, মালা, বাকি রয়ে গেলো নাকি,
    মনে পড়ে গেল, শূন্যতা থেকে যাবে
    নবম শ্রেণীতে বলেছিলো টরিসেলি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন