এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভাট: ভার্চুয়াল থেকে রিয়্যাল (৩)

    Samik
    অন্যান্য | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ | ৯৮৭৪৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 24.97.234.48 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:১৮510165
  • হ্যাঁ ছোটখাট খুঁটিনাটি জিনিষপত্তর লিখে রাখা দরকার।

    এটা সেই পাইয়ের স্কার্ফলাঞ্ছিত গলিপথের কাহিনী।

    ব্যপার হল যদিও নরম ও শক্ত মিলিয়ে একগাদা না পড়া বই রয়েই গেছে, তবু কোন্নগর যাব আর একবার কলেঝ স্ট্রীট যাব না তা তো আর হয় না। আর যাবই যদি পাইও যখন ধারে কাছেই আছে একবার হাঁক দিয়েই যাই। তা গেলাম। কলেজ স্ট্রীটে যাবার আরেকটা কারণ হল মহেন্দ্র দত্তর দোকান। ওদের ছাতা বেশ শক্তপোক্ত। নিয়মিত ব্যবহার ছড়াও দরকারে কাউকে দু'চার ঘা দিলেও ভেঙে পড়ে না। তো, বই আর একখান জাঁদরেল দেখে ছাতা কিনে শুনলাম পাই তখনও শ্যামবাজার। প্যারামাউন্টের দিকে গিয়ে দেখি ২৩ ডিসে থেকে ৫ জানু অবধি তেনারা বন্ধ রিনোভেশানের জন্য। অগত্যা কলেজ স্কোয়ারের ভেতরে ঢুকে একটা জায়গা খুঁজে বসা গেল। তো, সেও বেশীক্ষণ না, অল্প একটু বাদেই দেখি পাই হুশ হুশ করে চলে যাচ্ছে সামনে দিয়ে। প্রায় হাঁইমাই করে চেঁচিয়ে থামিয়ে দাঁড় করানো গেল। খেয়াল করে দেখলাম পাইয়ের গলায় কোনও স্কার্ফ নেই, গায়ে কোনও শালও নেই।

    তারপরে তা-আরপরে পাই আমাকে দেখাতে নিয়ে চললো সেই সেইই স্কার্ফলাঞ্ছিত গলিপথ। তো, সেখানে পৌঁছতেও আমাদের অনেক ট্রাম বাস রিকশা রেলিং চাপাকল কাটিয়ে অনেকবার থেমে জিগ্যেস করে যেতে হল। জিগ্যেস করাটা অবশ্য নিতান্তই আমারই নির্বন্ধাতিশয্যে। পাইয়ের দাবী পৃথিবীটা যেহেতু নিতান্তই গোল কাজেই আজ হোক আর কাল গন্তব্যে পৌঁছন ঠ্যাকায় ক্যাডা?

    তো, অবশেষে সেই গলিতে যখন পৌঁছোলাম তখনও দিনের আলো বেশ ভালোরকম আছে। গলিটার বর্ননা ঈশান যা দিয়েছিল আর আমি যা দেখলাম তার মধ্যে বেশ বে-এ-শ ভালো তফাৎ। হয় ঈশান গুল মেরেছিল্নয় পৌরসভা পোচন্ড রাস্তা পোস্কার করে আজকাল। কোনটা ঠিক জানি না। রাস্তাটায় শুধু বেশ খানিকটা বিড়ালের বমি (কমলা রঙের) দুটো আলাদা জায়গায় কুকুরের গু আর অল্প একটু মানুষের কফ ছিল। আর সেই রোয়াক যেটায় বসে নাকি পাই লিখছিল, নদ্দমার ওপরে, সেটা অবশ্যই শ্যওলায় ঢাকা দেওয়াল এবং খুবই সরু। তবে ঐ আর পাইয়ের বসতে আর কতটুকুই বা জায়গা লাগে। তবে হ্যাঁ গলায় স্কার্ফ থাকলে তা নদ্দমায় নাক ডোবাবেই।

    তা, সে গলি ঐ ওপরে যা যা লিখেছি তা বাদে বেশ পরিস্কার। রোয়াকটাও। পাইও আজকাল আর স্কার্ফ পরে না যা দেখলাম। ঈশানের গল্পে কেলোদাদার কথাও ছিল না? কিন্তু ওনার কোনও ভার্সান আমরা পাই নি। হয়তো কোথাও কোনও ন্যানো বা মাইক্রো চিপ কিম্বা অ্যাপ ছিল না বলে অথবা ডিমও ছিল না বলে ওনার কোনও ভার্সান পাওয়া যায় নি।

    এই হল স্কার্ফলাঞ্ছিত গলিপথ সম্পর্কে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য।
  • pi | 233.176.47.125 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:০২510166
  • ঃ))
    লিখছি পরে।
  • avi | 57.15.183.139 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:১৮510167
  • প্যারামাউন্ট খুলবে তাহলে শুক্কুরবার থেকেই, এটা কাজের খবর। পুরোনো পাড়ায় গেলেই তো ওখানে ঢুঁ দিই। গিয়ে বন্ধ পেলে দুঃখ হত। আর স্কার্ফ গলিটা কি পটলডাঙ্গার দিকে, নাকি আরপুলি লেন হাড়কাটা গলির দিকে? এখন তো ওসব দিকে বড় বড় খান চারেক নতুন নতুন ভ্যাট বসিয়ে সেই আমহারস্ট স্ট্রীট অব্দি, বেশ সাফ সুতরো দেখি।
  • | 37.63.160.224 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:৪৬510168
  • ঝামাপুকুর লেন।
  • ranjan roy | 24.99.70.27 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০৩510169
  • আচ্ছা, অর্ধশতাব্দী আগে শুকতারার বা দেব সাহিত্য কুটিরের পেছনে যে ঝামাপুকুর লেন লেখা থাকত এ কি সেই? নামটা শিশুকালে বেশ চার্মিং লাগত--যেন লোকজনের নাকে ঝামা ঘসে দেয়!
  • কল্লোল | 116.216.134.215 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৫৮510170
  • আজ বিকাল ৪টে নাগাদ মদীয় টালিগঞ্জস্থ বাসভবলে অ্যাকখনি মিনিভাট হয়। বৌঠানসহ শিবাংশু, ন্যাড়া, রঞ্জন, রঞ্জনের বন্ধু ইন্দ্রনীল মজুমদার, জলার্ক পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক এবঙ্গ আমি ও আমার স্ত্রী কৃষ্ণা।
    তো, নানা বিষয়ে আড্ডা হচ্ছিলো, রে ব্রাডবেরী থেকে ব্যাঙ্গালোরের নাটক। এসবের মাঝেই অবধারিত গান। শিবাংশু শোনালে নিধুবাবু, লালচাঁদ বড়াল আর রামমোহনের গান। গানের ফাঁকেই শুরু হয়ে গেলো রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়কী নিয়ে তুমুল তাফাল। অমলা দাস থেকে রাজেশ্বরী দত্ত হয়ে সাহানা দেবী, অমিতা সেন। কথার ফাঁকে ঘুরে গেলেন শান্তিদেবও। শেষ পর্যন্ত জমে গেলো বাংলা গানে চারতুকের প্রচলন নিয়ে। শিবাংশু, ন্যাড়া আর ইন্দ্রনীলবাবু মিলে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ধুর্জটিপ্রসাদ, দিলীপ রায়্দের নিয়ে এক মনোজ্ঞ আড্ডায় বাদবাকিরা মুহ্যমান টিকটিকি হয়ে রস পান করেছি।
    এই আড্ডাটা পাওনা ছিলো বহু বহুদিন ধরে। তখন শিবাংশু হায়দ্রাবাদে, ন্যাড়া লুরুতে। অবশেষে সেটা হলো।
  • কল্লোল | 116.216.146.186 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:১০510171
  • মালতী বোসের কথাও হয়েছিলো। শিবাংশু মালতী বোসের গাওয়া এ পরবাসে আর রাজেশ্বরী দত্তের গাওয়া একই গান গেয়ে তাদের গায়কীর পার্থক্য বুঝিয়ে দিলে।
    এমন সব বন্ধুরা থাকলে বাহ্যজ্ঞান ছেড়ে চলে যায়, ফিরতে সময় লাগে।
  • i | 147.157.8.253 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:২০510172
  • মালতী ঘোষাল তো। তাই না?
  • শিবাংশু | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৩:২৩510173
  • @ i,
    ঠিকই ধরেছো। তবে তিনি পূর্বাশ্রমে বোসই ছিলেন তো.....

    আসলে আমাদের মধ্যে অষ্টবসুর একজন জ্বলজ্বল করছিলেন। তাই সব কিছুই 'বোস'ময় হয়ে গিয়েছিলো :-)
  • PM | 116.76.154.193 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৩:৫০510175
  • বিনা নোটিশে এসব করলে তার জন্য IPC র কি যেনো একটা ধারা আছে। পেনাল্টি স্বরুপ দ্বিগুন সময়ের বড় ভাটে আমন্ত্রন জানাতে হয়। কল্লোলদা , শিবাংশুবাবুরা কি তা জানেন না !!!!

    আবার পাবলিকলি অ্যানাউন্স করছেন। সাহস বলিহারি ঃ(

    [খুব মিস করলাম ঃ( ঃ( ]
  • কল্লোল | 116.206.130.123 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭:০৭510176
  • শাস্তি সরাখোঁ পর।
  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:৩৩510177
  • এবারের কলকারতা সফরের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি শিবাংশুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ আলাপ-ও-আড্ডা আর সেই সঙ্গে কল্লোলদার বাড়ির গান-গল্প। সেদিন অবশ্য কল্লোলদা গিটার ধরেনি। সময়ও ছিল অল্প, তাও খুব জমেছিল। একবার সময়করে সারাদিনব্যাপী লাগাতার আড্ডার অঙ্গীকার নিয়ে এসেছি।
  • শিবাংশু | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০১510178
  • সেই কবে থেকে কল্লোলদা বলে আসছেন একটা গানের ভাট হোক। জমিয়ে। যখন হায়দরাবাদে ছিলুম, প্রায়ই কল্লোলদা সপ্তাহান্তে গিটার কাঁধে পৌঁছে যেতেন লুরু থেকে। নিজেরা গানটান করতুম। আড্ডাও হতো চুটিয়ে। এমন কি ভুবনেশ্বরেও সেই ট্র্যাডিশন চলে এসেছে। কিন্তু তাঁর ইচ্ছেমতো ন্যাড়ার সঙ্গে আমাদের ব্যাটেবলে হয়নি। তাই এবার ন্যাড়ার কলকাতা আসার খবর পেয়েই কল্লোলদার সিদ্ধান্ত একটা ভাট হবে। হবেই।
    -----------------------------
    কল্লোলদার কথামতো তাঁর কর্ণাটক কানেকশন আজন্ম। কারণ তাঁর ভদ্রাসন টিপু সুলতানের পুত্রের রাজত্বে । খোদ কলকাতায়। সেটা তাঁর বাড়ি পৌঁছোবার পর বোঝা গেলো। লুরু'র ঢের আগে থেকেই তিনি কন্নড় কানেকটিত। আমরা পৌঁছোবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ন্যাড়া, রঞ্জন এবং ইন্দ্রনীলবাবুও পৌঁছে গেলেন। ন্যাড়ার সঙ্গে আমার আরেকটি মিল পেলুম সে বসার পর। আগে জানা ছিলো সে আমার মতো'ই রাগ রাগেশ্রী'র কদ্রদান নয়, কিন্তু বাগেশ্রীর আশিক। উপরন্তু অজয়বাবুর বড়া খ্যাল থেকে সে বিশেষ রসদ পায়না। এ দুটো লক্ষণের মিল শুধু কাকতালীয় নয় সেটা বুঝলুম যখন সে চেয়ারের উপর একটা হাঁটু মুড়ে উপবিষ্ট গান্ধার বুদ্ধের স্টাইলে একপদাসনে স্বচ্ছন্দ হয়ে বসলো। এমন কি লুরু যে একটা বাজে জায়গা, সে বিষয়েও সে সরবে একমত। মনে হলো সাবেক কলকাতার কায়েতদের জিনেই এসব লক্ষণ আছে কি না তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে তার বিশ্বনাথ দত্ত বা রাজনারায়ণ বসু কানেকশনের সামনে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। তাকে জিগাই, কোদালিয়া আর বোড়ালের বসু'দের মধ্যে কোনও আদি যোগাযোগ সে আবিষ্কার করেছে কি না? এমত জাতিবাদী চর্চার সামনে কল্লোলদার মতো নিষ্ঠাবান বদ্যিও চমৎকৃত। মানে বদ্যি আর বারিন্দির ছাড়াও লোকজন এই পর্যায়ে প্যারোকিয়াল হতে পারে? ভাবা যায়?কা'ন্ট হেল্প, জিন ইজ জিন।
    -----------------------------
    যে কোনও আসরেই কল্লোলদা কোনও রকম ভনিতা ছাড়া গিটারটি নিয়ে গানে ডুব দেন। কিন্তু সেদিন তিনি গাইতে রাজি হলেন না। একেবারেই। শিল্পীর মুড বলে কথা। এমন কি ন্যাড়াও বেশ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করলো গাওয়ার অনুরোধ। এ অধমকেই হারমোনিয়মটি ধরতে হলো। খুব সুরে বাঁধা যন্ত্র। হাত দিলেই গাইতে ইচ্ছে করে। দু'চারটে গান হলো। আবার আড্ডা। কিরানা কীভাবে পটিয়ালাকে মাৎ দেয়। কল্লোলদার অজয়বাবুকে সরল প্রশ্ন, কেন তিনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে এতো অলংকৃত করে গান শোনান। যেন সেটাই তাঁর জীবনের শেষ অনুষ্ঠান। ন্যাড়া উল্লেখ করে ধূর্জটিপ্রসাদকে বলা কবির উক্তি। অলংকার যতো'ই সুন্দর হোক। তার ভারে যেন নারীর রূপ ব্যাহত না হয়। ভীমসেন যেটা পারেন যশরাজ সেটা কেন পারেননা। এই প্রশ্নটি কেন কবি'র গানেও সমানভাবে প্রযোজ্য সে প্রসঙ্গও এসে গেলো। কেন তাঁর একই গানের বিভিন্ন স্বরলিপির থেকে ইন্দিরাদেবীর নির্বাচিত সুরটিই গৃহীত হতো। অথবা এ বিষয়ে শৈলজারঞ্জন বা শান্তিদেবের ব্যাখ্যার মধ্যে নানা বৈসাদৃশ্য থাকতো। দিলীপকুমার যেমন লড়ে যেতেন, গায়ককেই গানের শেষ কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু কবি কম্পোজারের অধিকারকে প্রশ্ন করার কোনও অবকাশই রাখতে চাননি। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, এর জন্য কবি নিজে দায়ী। খুবই সত্যি কথা। একদিকে তিনি বার বার ঘোষণা করেন তাঁর প্রধান দুর্বলতা তাঁর ইনকনসিস্টেন্সি। আবার তাঁর গানের রূপ মনোমত না হলে নিরতিশয় ক্ষুব্ধ হ'ন। ঠাকুরপরিবারের বাইরে তাঁর গানের প্রথম শিষ্য অমলা দাশ। সেখান থেকে সাহানা দেবী পর্যন্ত তিনি কীভাবে নিজের গানকে দেখেছেন? কীভাবে দিনু ঠাকুর থেকে অমিতা সেন'কে নিজের একটি গানের ছাঁদটি বুঝিয়ে অন্য গানে চলে গেছেন। সব কী তাঁর মনে থাকতো? সম্ভব নয়।
    -------------------------
    একটি গান বেছে নেওয়া হয়। " এ পরবাসে"। আমি বলি মালতী ঘোষালই এই গানটি সঠিক আদায় করেছেন। ন্যাড়া একমত নয়। অমিয়া ঠাকুরের 'কাঞ্চনজঙ্ঘা'র স্মৃতি তার কাছে অনেক বেশি প্রেয়। তার কাছে মালতীর গান বেশি টপ্পা আর কম রবীন্দ্রসঙ্গীত মনে হয়। তখন আমি জিগাই, তবে রাজেশ্বরী কোথায় আছেন। সে স্বীকার করে, হ্যাঁ এই গানটিতে রাজেশ্বরীই শ্রেষ্ঠ। আমরা রাজেশ্বরীর গান বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাই। সেখানে কিন্তু বেশ প্রকটভাবেই মালতীর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তবে রাজেশ্বরীর স্বভাবপ্যাথোস গানটিকে অন্যস্তরে নিয়ে যাচ্ছে, সেটাও তো অস্বীকার করা যায়না। মানে অমিয়াও তাঁকে বেশ কিছুটা নিজের মন্ত্র শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সন্দেহ নেই। আড্ডা হয়, রবীন্দ্রসঙ্গীতে ইনোভেশন না অ্যাসোসিয়েশন, কোনটা শ্রেয়তার আসল মাপকাঠি? এখান থেকে উঠে আসে বাংলা চারতুক গান আর তাতে জোড়াসাঁকোর ভূমিকার কথা। ইন্দ্রনীলবাবু শুধু 'জলার্ক' পত্রিকার সম্পাদকই ন'ন, একজন উচ্চমানের সঙ্গীতবোদ্ধাও। সঙ্গীতবিষয়ে তাঁর দু'টি প্রকাশিত গ্রন্থও রয়েছে। বাংলাগানে চারতুক শৈলির প্রবর্তন নিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে ভিন্নমত হ'ন। তাঁর মতে বাংলায় জোড়াসাঁকোর আগেও চারতুক গান দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই মূহুর্তে তাঁর কাছে তার কোনও উদাহরণ পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে কবির দুই প্রজন্ম আগে রাজা রামমোহনের একটি গান দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি সে সময় তিন তুক গানই চলতো। যদিও রাজা রামমোহনের সঙ্গীত শিক্ষার একজন গুরু ছিলেন স্বয়ং কালীমির্জা। যিনি সেকালে হিন্দুস্তানি গীতিশৈলির একজন সর্বমান্য দিগগজ ছিলেন। তবু রামমোহনের বাংলাগানে আমরা ধ্রুপদের চারতুক পাচ্ছিনা। ন্যাড়া সেই সব গানে মার্জিত লোকশৈলির আদল খুঁজে পেয়েছে। হক কথা।
    ------------------------------
    সময় ছিলো বেশ কম। আমাদের ইচ্ছে ছিলো কীর্তন নিয়ে গজল্লা করার। সময় হলোনা। সময় হলোনা আরো অনেক কথাবার্তার। গানবাজনার। শেষ হয়ে হইলো না শেষ। আপাতত ধামা চাপা রইলো। আবার বসবে ম্যহফিল। বেশক।
  • dd | 193.82.17.28 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৮:৪৭510179
  • আসলে এর একটা প্রেক্ষিত আছে।

    লুরুতে অবস্থান করতেন তিন কর্মবীর, ভুতো,কল্লোল আর অপ্পন। তো ভুতোকে নিয়ে গেলো ক্যাঙারুতে ,আর কল্লোল চলে গেলো মমতার ডাকে কলকেতায়। অপ্পন বেশ কিছুইদিন ইংলন্ডে থেকে কিরম একটা ফেড আউট করে গেলো। তাই লুরু ভাট এদানী কমই হয়।

    তো ভুতো আবার কিছুদিনের জন্য লুরুতে আসায় ,ওরই প্রাসাদে ,ওরই ইনিশিয়েটিভে ভাট হোলো। বহদিন পরে। কল্লোল,ওর ছানা ঋজু আর বৌমা শিঞ্জিনী, সোমা আর জামাই, ভুতো ভুতোনী, একক, আর লুরুতে নতুন মুখ বলতে হুতো।

    আড্ডা জমেছিলো খুব। খাওয়ায় ছিলো মটন ডাক বাংলা, আলুভাজা, আলুদ্দম আর পুলাউ। নানান কিসিমের মিষ্টি ফিষ্টি। অনুপানে ছিলো স্কচ হুইস্কি (সৌজন্যে ভুতো)।

    খাওয়ার শেষে গান। কল্লোলের উদ্বোধনী সংগীত। সবার অনুরোধে এক মরনমুখী গান। সেটার কথা হছে "গোধুলি ব্যালায়, কে আমারে ডাকে , আয় আয় আয়" । জানিনা বিজেপি ই ডাকছে কিনা। তার পরে ঋজুও গাইলো,গজল আর আমার প্রিয় গান "ই ক্ষী লাবণ্য পুর্ণ প্রান - ঢ্যাঁরোশ হে"।

    কিন্তু ডিউটি আমায় ডাকে। ডিনারে আমার বাড়ীতে আমন্ত্রিত আছে কয়েক জনা। ডিমের ডেভিল করতে হবে। সে যতো না রান্না, ততোটাই হ্যান্ডিক্রাপ্ট। সেই ডিমের শয়তানি বানানোর দায়িত্বে আমি থাকায় আমি তাড়াতাড়ি কেটে পড়লেম। গান বাজনা আড্ডা নিশ্চয়ই আরো চলেছে।

    ছোবিও তো অনেক উঠেছিলো। কে জানে কোথায় তারা ?
  • pi | 24.139.221.129 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৫৫510180
  • ঃ))

    মাটন ডাকবান্ন্গ্লো নামটি অতি খাসা, বিস্তারিত জানতে মুন্চায়।

    গানবাজনার লাইভ বা ভিডিও কই?
  • র২হ | 116.206.127.24 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:২৫510181
  • আমার এক দান

  • র২হ | 116.206.127.24 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:২৮510182
  • দুই ফোঁটা দিলেম শিশির



  • | 144.159.168.72 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৩৬510183
  • কিন্তু হুতো খুপি সন্দেহজনক চরিত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে! এই কলকাতা বইম্যালায়! এই কলকাতা অ্যারপোর্টে, এই ত্রিপুরা বইমেলায় এই লুরুভাটে!!
    না না এ খুপি সন্দেহজনক!
  • র২হ | 116.206.127.24 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৪১510184
  • তা আমার দুই কিংবদন্তির সঙ্গে প্রথম দেখা, ডিডি ও একক। একককে দেখে চিনতে পারিনি, ভেবেছিলাম আরেকটু ফচকে টাইপ হবে। ওদিকে ডিডিদার সঙ্গে সাক্ষাত অল্প হইলো, কি তাড়াহুড়ো, অদূর ভবিষ্যতে আবার হবে।
    সব্বার সঙ্গে চমৎকার ভাট হলো।

    আর কল্লোলদাকে বলি, শক্তি দত্তরায় জানালেন স্বর্গীয় উমাকান্ত দাশের এক কন্যা তাঁর করিমগঞ্জের বড়ঠাকুমা।
  • হুতো | 116.206.127.24 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৪৬510186
  • হুঁহুঁ। আমি এক সন্দেহজনক যাযাবর।
  • dc | 181.61.224.208 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৫৬510187
  • আমার তো একককে দেখেও ভারি সন্দেহ হচ্ছে।
  • | 144.159.168.72 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১২:০৫510188
  • একক তো চিরকালই সন্দেহজনক চরিত্র ছিল আছে থাকবেও হয়ত।
    কিন্তু হুতো তো এক হাসিখুশী সরল ও ভালমানুষগোছের প্যাংলাকাত্তিক ছিল।
  • সিকি | 158.168.40.123 | ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১২:২৫510189
  • আমি আজগাল কাউকেই সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখি না। এমনকি নিজেকেও।
  • সিকি | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:২৫510190
  • b, দেবর্ষি দাস, আর গেছোদাদার সাথে চমৎকার একটি ভাটসন্ধে কাটল b-র আতিথ্যে।
  • avi | 7845.11.673423.183 | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৪১510191
  • শিলিতে ব্যাটে বলে লাগলো না তো! আমি সন্ধেয় দার্জিলিং থেকে নেমে ফোনে আর পেলামই না আটটা নাগাদ। :(
  • সিকি | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৫৭510192
  • এ হে! হোয়া করলেই পেতিস। আমার ফোনে মাঝে মাঝে কল লাগে না।
  • pi | 7845.29.1290012.105 | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ২০:০৪510193
  • আমারো আর এদের সঙ্গে ভাট নিয়ে লেখাই হলনা কখনো!
  • avi | 7845.11.2312.221 | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৮510194
  • ফেরার দিন।
  • Tim | 3478.58.7812.90 | ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৫510195
  • আমারো লেখা হয়নি। দেখতে দেখতে কয়েক হপ্তা হয়ে গেল। বহু বহুদিন পর দেখা হলো মামু-মামী-ঘেঞ্চুর সঙ্গে। আমি হুচি পুপে সবে মিলে এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে নীলাকাশ রঙিন পাতাফাতা দেখতে দেখতে চলে গেলাম মামার বাড়ি। মাত্তর দু ঘন্টা লাগলো, ভাবুন। এলাহি খেলাম আড্ডা দিলাম। দিব্য একটা অন্যরকম দিন গেল।

    আরো সব টুকটাক মিনিভাট হয়েছিলো কল্কেতায় কিন্তু সেসব যথাসময়ে বলা হয়নি। সেসব স্মৃতি এখন ঘন্ট পাকায়ে গ্যাসে।
  • সিকি | ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:২১510197
  • হ্যাঁ, দিল্লিতেও একটা মিনিমিনি ভাটফাট হয়েছিল আধবেলার জন্য। সেটাও হজম হয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন