এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটোবেলার খেলাধুলো

    Somnath
    অন্যান্য | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ | ১৩৪২৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 75.76.118.96 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৫:১৩527659
  • দড়িয়াবান্ধা টা কি খেলা?
  • Bratin | 117.194.100.182 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৩৪527660
  • আচ্ছা সোমনাথ। সে মাঝে মাঝে ওমনাথ। মাঝে মাঝে সোমনাথ নামে লেখে।
  • gandhi | 203.110.247.221 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৩২527661
  • খাতার পাতায় পেন দিয়ে ফুটবল...
  • gandhi | 203.110.247.221 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৩৫527662
  • আমাদের কোয়ার্টারে র মাঠে আলো ছিলনা... সন্ধেবেলা লুকোচুরি খেলা হত.... অনেকেই মাঠের মধ্যে শুয়ে পরত... কেউ খুঁজে পেতনা... আর ছিল গাছে উঠে পরা... একটা ঠিকঠাক গাছে উঠে পড়লে সে আউট হবেনা... কিন্তু চর যদি গাছতলায় আসে তার ঘরে লাফিয়ে পরে ধাপ্পা দেওয়া হত... একবার একজনের ঠ্যাং ভাঙ্গার পর গাছে চরে লুকোচুরি নিষেধ হয়ে গেছিল...
  • gandhi | 203.110.247.221 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৪১527663
  • গরমের ছুটিতে আর পরীক্ষার পর গরম কালে সন্ধেবেলা মাঠে অনেক রকম খেলা হত... একটা খেলা ছিল নাটক-নাটক... এটা ঠিক খেলা নাকি জানিনা... আমাদের পারার এক দাদা ছিল... গৌতমদা... তার নাটকের খুব সখ... সে শিখিয়েছিল... প্রথমে ৩ জন বা ৪ জন করে টিম করে দেওয়া হবে... ভাবার আর প্‌র্‌যাকটিসের জন্য ১০ মিনিট সময় তারপর এক একটা টিম ৫ মিনিটের একটা করে নাটক করবে... গৌতমদা থাকত জাজ ...চ্যাম্প টিম পেত একটা চকলেট... বেশির ভাগ টিমই কোনো জোকস অভিনয় করত... কিন্তু আমরা খুব সিরিয়াস নিতাম ব্যাপারটা... মজা লাগত খুব... অনেক বড়রা পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখত.... নিজেদের বেশ হিরো হিরো লাগত...
  • gandhi | 203.110.247.221 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৪৮527664
  • বুক ক্রিকেট নিয়ে যুগান্তকারী কাজকর্ম করতাম স্কুলে... তখন ক্লাস ৫-৬ ... স্কুলে আমাদের পরপর দুখানা বেঞ্চে জায়গা ফিক্সড ছিল... সেই দুখানা বেন্‌চ নিয়ে তৈরী হয়েছিল "হৈ-চৈ সংঘ ".... হৈ-চৈ সংঘে ক্রিকেট বিশ্বকাপ হত... বিশ্বকাপের সিডিউল ছিল... প্রতি পিরিয়ডে একটা করে ম্যাচ.... স্যারের ভয়ে ম্যাচ না হলে ম্যাচ ড্র ... ছিল নিজস্ব একটা নিউসপেপার... একটু আধটু আকতে পারি বলে আমি ছিলাম তার অলঙ্করণের দায়িত্বে... সবাই নিজের মত করে ম্যাচ রিপোর্ট করত... সেগুলো আমাদের কাগজে লেখা হত.... তারপর জেরক্স করে সবাইকে দেওয়া হত... ২ মাস চলেছিল ব্যাপারটা.... তারপর...

    ক্লাসের কিছু হিংসুটে ছেলে .... স্যারদের কাছে রিপোর্ট করলো যে স্যার এরা ক্লাসের মাঝখানে ক্রিকেট খেলে... ব্যাস হয়ে গেল... আমাদের ২ বেঞ্চে দুখানা গাঁতুর জায়গা হলো... তারা ক্লাসের মাঝে ডিস্টার্ব করলেই স্যারদের বলে দিত... এইভাবে আমাদের বিশ্বকাপ ও বন্ধ :(
  • shrabani | 117.239.15.102 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৫৮527665
  • ক্যারম, ওয়ার্ড মেকিং, ব্যবসায়ী, ব্যাগাটলি, লুডো, সাপসিঁড়ি....তাসের নানা রকম ফের খেলা। তবে কচিরা কি আর তাস হাতে পেত! পেলেও সে বড়দের ফেলে দেওয়া, তাতে সব তাসও থাকতনা। তা দিয়ে কী খেলা হয়? কেন, গাধাপেটাপেটি, রঙ মেলানোর খেলা.... আমি নিশ্চিত এই খেলার আরো অনেক নাম আছে কিন্তু এ খেলার মত আর একটিও নেই, দুখানা আস্ত টাকার মালিক, তাই দিয়ে দু:সময়ে(সব তাস ফুরিয়ে গেলে) দিয়ে তাস কেনা যেত, যতখন সেই টাকাদুটি হাতে থাকত নিজেকে রাজাউজিরের কম মনে হত না।:)

    স্বীকারোক্তির কোনো টই নেই বোধহয়, থাকলে তাতে আমার পুতুল খেলার কথা যাবে। গোপনে মদ খাওয়া, বাচ্চাদের দুধ ইত্যাদি ছাড়ানোর মত স্পেশ্যাল ট্রীটমেন্টে আমার পুতুল খেলানো ছাড়ানো হয়েছিল। ক্লাস এইট অবধি বছরে কমকরে দুটি মেয়ে বা দুটি ছেলে পার করেছি। বিশেষ করে কোনো মানব বিবাহের অনতিপরেই আমাদের চার বোনের (আমি ও মামাতো তিন) সেই বিয়েবাড়িতেই একটা পুতুলের বিয়ে হয়ে যেত। আমাদের ছোটবেলায় কলকাতায় বেশীরভাগ বিয়েই হত চেতলা মামারবাড়িতে কারণ বড় তিনতলা বাড়ি ছিল। অনেক দুরে থাকা আত্মীয়স্বজনও এসে এই বাড়িতে বিয়ে দিয়ে যেতেন। বাড়ির মাথা মেজদাদু, তার দরাজ হৃদয়ে সবার জন্য জায়গা ছিল, বাড়িতে অবারিত দ্বার।
    প্রথম মনে আছে গোবি মাসীর বিয়ের পরের দিন (সবার মন খারাপ, মেয়ে চলে গেছে, এদের চাঙ্গা করতেই বোধহয় দাদুর প্রবল উৎসাহ পুতুলের বিয়েতে), মেজমামার বাড়ি কিছু দুরে, আলোচনায় দেখা গেল মানার (মেজমামার মেয়ে) মেয়েটিকে আর পার না করলে চলছেনা। এদিকে পাত্র হাতে মজুদ, আমার হাতে রাজামামার দেওয়া একখানি হাতপাওয়ালা, স্যুটেড বুটেড অল্প বেঁটে (তা ওটুকু দোষ ধরতে নেই)ছেলে। ব্যস, দাদুর কাছে আবদার, এই এক আয়োজনেই নাতনীর কন্যা উদ্ধার হয়ে যাক, দাদুও রাজি।
    ভাঁড়ার থেকে ময়দা বেরোলো,লুচি হল, কী সব ভাজাভুজি, বোঁদে আর সন্দেশ। মিষ্টির জন্যে অবশ্য মায়েদের মতলবে জমানো টাকা বার করতে হল দুই পক্ষকে, একেবারে বিনা খরচে ছেলেমেয়ের বিয়ে সেরে ফেলবে মায়েরা...
    বর গেল ..মিস্ত্রী লেনে বিয়ে করতে ছোটরা সব বরযাত্রী, মাইমা শরবত আর মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন, পাশের বাড়ির গুটিকয় কচিকাঁচা নিমন্ত্রিত...সেদিনই সন্ধ্যায় আবার বৌভাত, দেড়তলার ঘরে আমরা লম্বা করে শতরঞ্চি পাতলাম, বিয়েবাড়ির শালপাতার থালা সাজিয়ে সবাইকে লুচি ইত্যাদি পরিবেশন করলাম।
    মিষ্টির দাম অবশ্য উঠে গেল বৌয়ের মুখ দেখে বড়রা যা দিল তাই থেকে.....
    তবে এছাড়াও প্রতি শীত গ্রীষ্মে পরীক্ষার পর পুতুলের বিয়ে ছিল মাস্ট...

  • CB | 192.193.160.10 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১০:২৪527666
  • শ্রাবণী বেশ লিখছেন :)

    একটা ভায়োলেন্ট খেলা র নাম মনে পড়ল "বাম্পাট"। হয়ত পিট্টু র কাছাকাছি। জাস্ট একটা বল , উপরে ছুড়ে দেয়া হল, ১০ ১২ জন নিচে, বল মাটিতে পড়ল আর ধরেই একে অপরের দিকে ছুড়ে মার। যত জোর আছে তত জোরে। নো বাধানিষেধ। শীতকালে পশ্চাতে লাগলে কয়েক দিন বেশ :( ছিল। বল তে ভুলে গেছি , বল টা থাক ত কালো টায়ার এর। উফ, বাবা রে, ভাব তেই মেরুদন্ড দিয়ে হিমস্রোত নেমে গেল।

  • EL d | 220.227.106.153 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৫৫527667
  • ডাংগুলির মত স্কিলফুল খেলা খুব কমই আছে

  • omnath | 59.160.210.2 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৫৭527669
  • কেউ এখোনো "চারা" লেখেনি।
    লাঠি দিয়ে রাস্তায় চাকা ঘোরানো।
    পুকুরের জলে "ব্যাঙবাজি"
    "অগর বগড়" (এইটা এখনি একজন কলিগ বন্ধু বলল, কিন্তু পুরো ছড়াটা মনে করতে পারল না। কান মলে দেওয়ার একটা ব্যপার আছে বলল।)
    "মেমোরি গেম"
    "অন্তাক্ষরী"
    "মিউজিকাল চেয়ার"

    "গাঁদি" খেলার নিয়মটা কেউ লিখো।

    "ঝুলন" করা টা কি খেলার মধ্যে ধরা হবে? তাহলে তো সরস্বতীপুজো করাও খেলাই হোলো। বুড়ির ঘর, দোল, সবই। না: ওদিকে গেলাম না।

    আমার খেলাধুলোর নামগুলো মোটামুটি কভার হয়ে গেছে। ডিটেলআউট করা বাকি। আর প্রচুর খেলা খেলিনি / নাম শুনিনি। সেগুলো শুনবো। আরো নাম আসুক। আর স্মৃতিচারণ। এক একটা খেলার সাথে এত কিছু জড়িয়ে ...

    শ্রাবণী-দি কে খানিক খেজুড়ের রস আর পাটালিগুড় দিয়ে গেলুম।
  • pi | 72.83.83.28 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১২:০৫527670
  • নিজেদের বানানো খেলাও তো কত ছিল। সেগুলো তো কারুর সাথে মিলবেই না !
  • Bratin | 117.194.101.27 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১২:০৯527671
  • হ্যাঁ ওমনাথ ব্যাঙবাজী খেলেছি। অনেক। হেব্বি মস্তি । ফান্ডা ট হচ্ছে ঢিল টা একটু বড় আর চৌকো টইপের হতে হবে।
  • omnath | 59.160.210.2 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৫১527672
  • বানানো খেলা তো থাকবেই। আমারও আছে। কারো সাথে না মিললেই বা। লিখতে ক্ষতি কি?
    এই যেমন আমরা চটি হাতে বেঁধে তাই দিয়ে ক্রিকেট খেলেছি। অত:পর ঐ চটি হাতে বেঁধে বারান্দায় খানিক বিলিয়ার্ড / টেবিল টেনিসের মতো দুজনে, এপ্রান্ত ওপ্রান্ত হাত-চটি দিয়ে টেনিস বলে শট মারা। কন্ডিশন, বলটাকে মেঝে ঘেঁষে গড়িয়ে যেতে হবে। ড্রপ খাওয়া চলবে না।

    বৃষ্টি ভেজা বারান্দায় হাঁটু মুড়ে বসে, হাতের ওপর ভর দিয়ে স্কিড করে চলে যেতাম যতদুর, সেসবের স্কীল নিয়ে ও কি আলোচনা করা যায় না?

    কিংবা ধর, থুতু কতদূর যাবে, সে কি টাইটানিকেই প্রথম জানা?

    দুজনে পুরো টিম বানিয়ে ১১-১১ = ২২ জনের ব্যাটিং করে খেলার সময় প্রত্যেকবার অল্টারনেট প্লেয়ার ব্যাট করত। ফলে বাড়ি কেটে পড়ার সুবিধে ছিল না কিছু। ভারত কে জেতানোর জন্যে মাঝে মাঝে শেষে নেমে মনিন্দর সিং কে সেঞ্চুরি করতে হত। সেসব লোপ্পা বল দেওয়াও ছিল আর্ট। আর শতাব্দীর সেরা প্লেয়ারদের নিয়ে দল বানানোর সেই ছিল শুরুয়াদ।

    চারা খেলার বাজি ছিল সেইসব দেশলাই আর সিগারেট প্যাকেটের কভার, যার সুÖপ্রাপ্য কালেকশনের ভাণ্ডার নিয়ে যাদুঘর অধিকর্তাদের থিসিস নেমে যায়। আর সেইসব সংগ্রহের নিঘিন্নে ইতিহাস কেউ লিখবে না?
  • shrabani | 117.239.15.102 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:৩৬527673
  • পাটালি গুড় চেটেপুটে খাচ্ছি।:)
    লিখতে লিখতে চোখের সামনে ভেসে উঠছে সারি সারি লক্ষ্মী ঘিয়ের কৌটো, হলদেটে, লালে লেখা, ফুলদিরটা পুরনো তাই ঢাকনায় জঙের ছোঁয়া, আমারটা অপেক্ষাকৃত নতুন। ওরটা ভরা তাই ঝাঁকালে শব্দ কম হয়, আমারটায় চার পাঁচখানার বেশী থাকতনা কখনো, নতুন কিনে দিলেও অচিরেই হেরে আসতাম। মাঝে সাঝে বড় দিদির দয়া হলে নিজের কৌটো থেকে একটা দুটো দিত হেরো বোনকে। আমার সঙ্গীরা অবশ্য আমার বয়সীই ছিল, দিদিরা আলাদা দল। তবে মাঝে মাঝে কেউ আমাকে চোট্টামি করে হারিয়ে দিলে বা আমার গুলি কেড়ে নিলে পরদিন ফুলদি যেত মেরেধরে গুলি কেড়ে আনতে অথবা প্রমাণাভাবে জোর করে আমার বিরোধীদের সঙ্গে খেলে তাদের হারিয়ে আমার গুলির ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে.....বাড়ি এসে অবশ্য মাকে এরকম ছিঁচকাঁদুনি মেয়েকে বোন হিসেবে পাওয়ার বিরূদ্ধে নালিশ করত!

    ঐ কম সম্পত্তি নিয়েও মাঝে মাঝে গুলির কৌটো ঝাঁকানো বা গুলি গুনে দেখা আমার প্রিয় অকাজ ছিল।

    পাঁচগুটি অবধি খেলা আয়ত্ত হয়েছিল, আসলে তখন হাত ছিল ছোট ছোট, ওর ওপরে আর উঠতে পারিনি, পরে হাত যখন বড় হয়েছে তখন খেলা উঠে গেছে! গুলির মতই গুটির যত্নও কম ছিলনা......গুটি খেলার সীজনে এদিক ওদিকে যেখানে যাই সবসময় চোখ সজাগ থাকত, মনের মত গুটির খোঁজে। বিকেলে বেরনোর সময় গুটি নিয়েই বেরোতাম, সবসময় যে বড় খেলায় সুযোগ পাওয়া যাবে তা তো আর নয়, সেজন্যে এমার্জেন্সীতে এই ব্যবস্থা।
    আমার গুটি আবার বিছানার বালিশের তলায় থাকত...এমনি তাকে রাখলে, মাঝে মাঝেই জেঠাই, কাকি বা মা ওগুলো আবর্জনা ভেবে ফেলে দিত, তখন সে শোকে আর নতুন ঠিকঠাক গুটি খোঁজাতে যেত বেশ কিছুদিন। শেষমেশ ওদের নিয়েই শুতে যেতাম। বালিশের তলায় রাখতে রাখতে তাদের সঙ্গে একধরণের সখ্যতা জন্মে গেছিল।গল্পও হত শুয়ে শুয়ে, পাঁচটার নামও রেখেছিলাম, ভুতি, ঘোঁতন, মুনকু ইত্যাদি। সে আমার তো সব জিনিসেরই নাম ছিল, বালিশ, কোলবালিশ, লেপ কম্বল!
    এবার পুজোয় গিয়ে দেখলাম এখনো পারি, একটা গুটি ওপর দিয়ে ছুঁড়ে সেই গুটি ও মাটিতে ফেলা অন্য গুটি তুলে নিতে বাকি গুটি না ছুঁয়ে.....
    পড়তে বসে, না পড়ে খেলতে চাইলে ভালো খেলা ছিল অ্যাটলাস নিয়ে। যে কোনো ম্যাপ খুলে কোনো জায়গার নাম বলে সেটা অন্যকে খুঁজে বার করতে হবে, অবশ্যই আন্দাজ একটা টাইম লিমিট ব্যবহার করা হত।

    কেউ যদি না লিখে ফেলে ইতিমধ্যে, পরের হপ্তায় গজ নিয়ে (তাকেই তো গাদি বলছে সবাই) লিখে যাব। রায়বাড়িতে গজ খেলা হত প্রচুর উৎসাহের সাথে, এবং বেশ বড় বড় ছেলেমেয়েরা খেলত। আমি খেলেছি এক আধবার কিন্তু খেলা ঘিরে যে উত্তেজনা ছিল সেটা টের পেতাম, বেলবরণ তলায় চুন কোদালে গজের ঘর টানা হচ্ছে দেখলেই আমাদের মধ্যে সাড়া পড়ে যেত, ছোটরা নিজেদের মধ্যে দল ভাগ হয়ে যেতাম কে কাকে সাপোর্ট করবে, সেটা নির্ভর করত কার বাড়ির কে কোন দলে আছে...
  • omnath | 117.194.194.138 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:১৮527674
  • এই বাম্পাট কেই আমরা গাঁদন বলতাম বোধয়। কিং বা ক্রিঙ্গ কি এইটাই?
  • jhumjhumi | 117.194.232.169 | ০৮ জানুয়ারি ২০১২ ২০:২০527675
  • বাঘবন্দি খেলা,পাথর লুফে গুটি খেলা, পাথর কুচি দিয়ে কাটাকুটি খেলা এগুলো ও ছিলো। আরেকটা খেলা হতো বসন্ত কালে। সেই সময় কৃষ্‌ণচূড়ার ফুলের পুংকেশর নিয়ে কাটাকুটি খেলা হতো। দুজন দুটো পুংকেশর নিয়ে তাদের মাথায় মাথায় লাগিয়ে লড়তো, যার মুন্ডু কাটা যেতো সে হেরে যেতো। এছাড়া রং রং , লাল লাঠি, লুকোচুরি, বুড়ি বসন্ত,পাতা পাতা, পিট্টু সবই খেলা হতো। পুতুল খেলার বাই চাপতো মাঝে মাঝে।
  • pi | 138.231.237.7 | ২২ জুলাই ২০১২ ২২:৪০527676
  • এই যো, জনতা !
  • ব্যাং | 132.167.210.197 | ২২ জুলাই ২০১২ ২২:৪৬527677
  • বিকালবেলার খেলার মধ্যে আমার সবচেয়ে ফেভারিট ছিল কালার কালার। আর নাম ডাকাডাকি। আর কুমীরডাঙা আর কানামাছি তো অলটাইম ফেভারিট।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২২ জুলাই ২০১২ ২২:৪৯527678
  • পেন ফাইটিং, এলোএন্ডি লন্ডন।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২২ জুলাই ২০১২ ২২:৫১527680
  • গো-ও-ও-ও-ও-ও-ও স্ট্যাচু।
    খো-খো।
    ক্রিংক্রিং
    পিট্টু

    আবার কবে খেলব ঃ(
  • pi | 138.231.237.7 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:১৮527681
  • আরে কী কাণ্ড ! কালার কালার নিয়েই লিখব ঠিক করেছিলুম। ক্লাস সিক্স না সেভেন তখন। মাসতুতো দিদি পুরো কম্প্ল্যান গার্ল হয়ে মাসিকে দেখিএ দেখিয়ে ধ্যাড়্ধেড়িয়ে মাথায় বেড়ে চলেছে, সব জামা ই সমানুপাতে ছোটো হয়ে চলেছে আর মোটামুটি আটকে থাকা আমার আর মামাতো দিদির জামাকাপড়ের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দিদির ঐ স্কার্টটার উপর আমার প্রথম থেকেই নজর ছিল। কালার-কালার মাথার রেখেই। এমনিতে আমার কালার কালার স্পেশাল কিছু জামা ছিল। আগের দিন এই খেলা হবে ঠিক হয়ে থাকলে ঐ জামা পরে নামতুম। এমনকি একদিন হুট করে ঠিক হল যখন, এক দৌড়ে বাড়ি চলে গেছিলুম, জামা বদলাবো বলে। মায়ের কাছে মস্ত ধমক খেয়ে ফেরত এসেছিলুম। আর একবার পকেট ওয়ালা জামা পরে গেছিলুম। তাতে ক্যামেলের রঙের বাক্সের কভার নিয়ে গেছিলুম। চোট্টামির দায়ে অভিযুক্ত হই। যাহোক, জামার রঙ ধরা অ্যালাওড ছিল বলে আমার বার্ষিক বরাদ্দের জামা নিয়ে কোন মতামত দেবার সুযোগ পেলেই চকরাবকরা জামা পছন্দ করতুম। মাসতুতো দিদির জামাগুলো তখন আমার কাছে লটারি পাবার মতন ! আর যেদিন ঐ জামাটা পেলুম, মনে হল, স্বর্গ যদি কোথাও থাকে, তা এখানেই। এই জামা পরেই। এই জামা পরে এই খেলতে যাওয়া।
    কালো স্কার্টে, না জংলা নয়, ত্রিভুজের আকারে একের পর এক রং।
    মোটামুটি অত গুলো রঙ আলাদা করে আমার কোন জামাতেই ছিল না। তার উপর ছিল অদ্ভুত কিছু রং। নীল- সবুজ মিশিয়ে ময়ূরকণ্ঠী তো পুরানো হয়ে গেছে, যদিও তাকে খুঁজে পাওয়া একটু চাপ ছিল। কিন্তু নীল সবুজে এমনি অদ্ভুত রং, সে আর কেউ দেখেনি। অথচ কে জানি বলেও দিল, এ রঙের নাম সে জানে। 'সেমা' কালার।
    সেমা নামটা তার আগে আমার শোনা ছিল এক রাশিয়ান বইয়ের দৌলতে। সেমা আর তার বন্দুরা। সেই যারা খুব দুষ্টু ছিল। দিনের বদলে সারা রাত ধরে খেলও আর শেষ রাতে ঘুমুতো। আর খেলতে খেলতে একদিন ভোর হয়ে যাওয়াতে জানতে পারলো, ভোর কত্ত সুন্দর, যা কিনা তারা দেখতেই পায়না। আর তারপর থেকে তারা দিনেই খেলতো আর রাতে লক্খী হয়ে ঘুমিয়ে টুমিয়ে উঠে চোখ টোখ ভোর দেখতো।
    আরো আশচর্যের ব্যাপার হল, ঐ বন্ধু সেমা কালাঅরের নাম বলার পর আমি লখ্য করলুম, সেমার জামাতেও সেমা কালার আছে। তারপরে আমি মোটামুটি কনভিন্সড হয়ে যাই।
    আর ভাবতে থাকি, এই অত্যাশর্য সেমা কালার, এই মহৈশ্বর্য আছে, কেবল আমার কাছে।

    বাড়িতে একদিন কি প্রসঙ্গে বল্লাম, এই সেমা কালারের কথা। সবাই কী খোরাক করলো। বল্লো, ধুর ! ঐ নামে কোন রং হয় না। কেউ বল্লো , এতো আকাশি। এতো নীলচে সবুজ। কেউ বল্লো সবজে নীল।

    খুব দুঃখ পেয়েছিলাম, কিন্তু ঐ বুকার দলকে আমি কনভিন্স করানোর চেষ্টা করি নি।

    বড় হয়ে যখন খোঁজার সুযোগ হল, তখন কিন্তু আমি কোনোদিন সেমা কালার খুঁজিনি, ঐ রংটাকে কী বলে, সত্যিই সেমা বলে কিনা খুঁজিনি। খুঁজবোও না। জানতেও চাই না। কারণ, আমি তো জানি ই !

    তবে কোনোদিন যদি রঙটা দেখতে পেয়ে যাই, প্পনকে লিং দিয়ে দেবো ;)
  • ব্যাং | 132.167.210.197 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:২২527682
  • পাই, কী ভালোই যে লাগল লেখাটা! ঃ-))
  • pi | 138.231.237.7 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:২৯527683
  • ঃ)
    কিন্তু কী পরিমাণে টাইপো করেছি !! ঃ(
  • ব্যাং | 132.167.210.197 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:৪০527684
  • একদম ছোটবেলায় খুব খেলা হত নাম পাতাপাতি। সোমাদি পিছন থেকে এসে চোখ চাপা দিয়ে ডাকত "আয় তো আমার খাবাজী" অথবা "আয়তো আমার উল্গানাথন" আর দমবন্ধ করে বসে থাকা কত জোরে মাথায় চাঁটিটা পড়বে! তারপর সেই চাঁটির জোর মাথায় রেখে খুঁজে বার করা যে কার সাধ্যি হবে অমন নামের আড়াল থেকে অত জোরে চাঁটি মারার। শম্পা, পামেলাদি, পারমিতাদি, বিমলদা, রোশনিদি, পিয়ালী সব্বাই চেষ্টা করত ফুলের নাম ডাকার, গাছের নাম ডাকার, সুন্দর সুন্দর পাখীর নাম ডাকার। কিন্তু সোমাদির একটা জেদ ছিল ডাকলে শুধু ফুটবলারের নামই ডাকবে, আর সেটাও ওরকম অদ্ভুত সব নাম। একবার খুব ডাকছে "আয় তো আমার মজিদ" "আয় তো আমার জামশিদ"। অম্নি এক বড়মানুষ চেঁচিয়ে সোমাদিকে বকে উঠেছে "তোমরা খুব ইয়ে হয়েছ না? বেছে বেছে শুধু মহামেডানের প্লেয়ারদের নাম ডাকা? আর কোনো ফুটবলার নেই, আর কোনো দল নেই?"
  • pi | 138.231.237.7 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:৫০527685
  • গত জন্ম থেকে সব ফেরত আসছে মনে হচ্ছে !
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২২ জুলাই ২০১২ ২৩:৫৯527686
  • পাইদি

    এক্দম ঠিক। এ জন্মে এসব হতনা।
  • ব্যাং | 132.167.210.197 | ২৩ জুলাই ২০১২ ০০:০৪527687
  • একবার রোশনিদি সাহস করে নাম রেখেছে সন্ধ্যা, মাধবী, জুঁই, লিলি, অপর্ণা এইসব। তারপরে সাহসে কুলোচ্ছে না ঐ নামে ডাকার। যদি কারুর বাড়ির থেকে মা-কাকীমারা শুনে ফেলে। তখন রোশনিদি এমন একটা বুদ্ধি করল যে আমি তো হাঁ! ডাকল, "আয় তো আমার সন্ধ্যামণি" "আয়তো আমার মাধবীলতা" আর কে না জানে ঐসব ফুল আছেই আছে আর লিলি চক্রবর্তী, জুঁই ব্যানার্জীর নাম নিয়ে তো কোনৈ গোল নেই। মুশকিল হল অপর্ণার বেলায়। মণি, লতা, তারা কিছুই জোড়া জাচ্ছে না অপর্ণার নামের সাথে। কিন্তু হুঁ হুঁ বাবা, রোশনিদির বুদ্ধি কি সোজা বুদ্ধি ! রোশনিদি ডাকল "আয়তো আমার অর্পনাতরু" অপর্ণাটা এমন জড়িয়ে তড়াহুড়ো করে বলল, বড়রা শুনলে ভাব্ত "অশোকতরু" ডাকছে। আর অশোকতরু নাম নিয়ে বড়দের কোনৈ আপত্তি নেই। অমন সৌম্যদর্শন, সজ্জন রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ককে নিয়ে কারই বা আপত্তি থাকতে পারে!
  • pi | 138.231.237.7 | ২৩ জুলাই ২০১২ ০০:০৭527688
  • ঃ))

    কিন্তু অশোকতরু সৌম্যদর্শন ?? আমার কেমন জানি ..., নাঃ, বলবো না কেমন লাগতো।
  • ব্যাং | 132.167.210.197 | ২৩ জুলাই ২০১২ ০০:১১527689
  • আমার মার কড়া নির্দেশ ছিল অনাত্মীয়, অপরিচিত হলেও, কাউকে বুড়ো বা বয়স্ক মানুষ বলা যাবে না। একান্তই বোঝাতে হলে সৌম্যদর্শন ভদ্রলোক বলতে হবে। ঃ-))
  • pi | 138.231.237.7 | ২৩ জুলাই ২০১২ ০০:১২527691
  • ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন