এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাঙ্গলা গানের নতুন ধারা

    kallol
    গান | ১৪ মার্চ ২০১২ | ৮৭৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৬:২৬535259
  • পাশাপাশি অনেকগুলো ধারা চলছিলো একই সাগরপানে।
    রঞ্জনপ্রসাদ। আসল নাম প্রসাদরঞ্জন দাশগুপ্ত। ৬৭র বিই সিভিল। বাড়ি ম্যাডাক্স স্কোয়ারের আসেপাশে। সচ্ছল পরিবার থেকে আসা, গান পাগলা। বাড়িতে ইংরাজি গানের চর্চা ছিলো। ন্যাট কিং কোল থেকে ফ্যাংক সিনেত্রা শুনে বড় হওয়া। গিটার হাতে উঠে এসেছে সেই সিলসিলা ধরে। কলেজে থাকতে বন্ধুদের আড্ডায় ইংরাজি গান। কিন্তু ঐ যে, তখন নতুনের সময়। তাই শুরু হলো অনুবাদ। জামাইকা ফেয়ারওয়েল থেকে উই শ্যাল ওভারকাম নানান অনুবাদ করতে করতে কলেজ শেষ।
    সিকিম তখন আলাদা রাষ্ট্র। সেখানে ব্রিজ বানানোর কাজে পিডবলিউডি থেকে পাইনের বনে পাহাড়ের কোলে নদীখাতের ধারে তাঁবু গেড়ে বসত। আর সেখানে উঠে এলো আশ্চর্য সেই গান -
    জনহীন জাতীয় সড়ক
    সর্পিল যেন পাইথান
    রাস্তার ধার ঘেঁসে নির্জন পাইনের বন
    কম বেশী অঢেল সবুজ
    সারি সারি চায়ের বাগান
    বন থেকে ভেসে আসে পাহাড়িয়া পুষ্পের ঘ্রাণ
    ঘুরন্ত জিপের চাকায়
    হাইওয়ে যেন গান গায়
    বহুদূরে দেখা যায় আর্মি ট্রাকের কনভয়..............
    বাংলায় এই প্রথম হাইওয়ে ব্লুজএর কথা আর একেবারে চার চার তালের রক অ্যান্ড রোলের আঙ্গিকে ঢালা সুর।
    এসব মহীনের সামান্য আগেই ঘটছে। প্রচারবিমুখ এই মানুষটি কলকতায় ফিরে এসে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কাছে লোকগান শিখতে এলেন। মায়াবী মিশেল ঘটলো রক অ্যান রোল/ব্লুজ/কাϾট্র আর ভাটিয়ালী/ভাওয়াইয়া/মারিফতির।

    কখনো তৈরী হচ্ছে কাϾট্রর আদলে:

    কোথায় হারালোরে আমার মন
    কোথায় পেলো মনের মত ঠাঁই
    দূরে বহুদূরে যেথা আকাশ নেমে আসে
    সবুজ ধান ক্ষেতের কিনারায়
    আমার নাগরিক মনে ঝড়ের হাওয়া লাগে
    বাঁধনগুলো কখন টুটে যায়
    আমি জানি চিরদিনই জলে ভাসে মেঘছায়া
    নদীর ধারা সাগরপানে ধায়...........

  • kallol | 119.226.79.139 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৬:৩৭535260
  • আবার কখনো খ্যামটার আঙ্গিকে গেয়ে ওঠে
    দোহাই বাবু গো / সিল্পি বইল্যা জজ্জা দিবেন না.........

    এই গুণি মানুষটি প্রতক্ষ রাজনীতিতে কোনদিনই আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু একটা সংবেদনশীল মন নিয়ে অনুবাদ করেন বাতিস্তার আমলে দেশ থেকে নির্বাসিত কিউবার কবি হোসেইতো ফার্নান্ডেজের কবিতা ওয়াংতানামের্‌রা, যাকে গলায় তুলে অমর করে দিয়েচেন প্রাবাদ প্রতিম পিট সিগার। আমেরিকার আরেক প্রবাদে পরিনত হওয়া ব্যালাড জন হেনরী। এমনি আরও কতো।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৬:৩৮535261
  • * লজ্জা দিবেন না
  • pi | 72.83.76.34 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৮:৩০535262
  • পিএমদা, একটা মেইল করবেন ? palbhowmicki জিমেইল।
  • kallol | 115.242.133.124 | ১৫ মার্চ ২০১২ ২২:৩১535263
  • ওদিকে জেল ফেরৎ আরও একজন, জেলে শেখা গান গুণগুণ করতে করতে মঞ্চে। একা একা গাইতে গাইতে দল জুটে গেলো - অঙ্কুর। আশেপাশে আরাও আরও দল, অরণি, গণবিষাণ, সমতান। সকলেই গায় দিনবদলের গান। পুরোনো আইপিটিএ থেকে ৭০এর প্রতুল মুখোপাধ্যায়, দিলীপ বাগচি, মেঘনাদ। কিন্তু কোথাও তাল কাটছিলো। ওসব গানে প্রাণ সাড়া দেয় না। ঐ গানগুলোর বাস্তবতা হারিয়ে গেছে সেই কবে। তবে কি? কি গাই? আশেপাশের দলের কেউ কেউ উস্কে দিচ্ছে ভাবনা - নিজেদের গান নিজেদেরই লিখতে হবে। অথচ লিখতে গেলে সেই পুরোনো কথা ভিড় করে আসে। এমন সময় বন্ধুদের হাত ধরেই পশ্চিম থেকে ভেসে এলেন বিটলস, বব ডিলান, জোন বায়েজ, আলাদা করে জন লেনন, বেলাফন্তে, পিট সিগার, সাইমন গরফাঙ্কেল.......... মনে হলো এই তো গান।
    এমন সময় হাতে এলো আল মাহমুদের কবিতা -
    ভাতের গন্ধ নাকে এসে লাগে ভাতের গন্ধ
    চোখ খুলতেই চারিদিকে দেখি দুয়ার বন্ধ
    দুয়ার খোলার সাহসে যখন শরীর শক্ত
    হঠাৎ তখনই মহতেরা বলে লোকটা অন্ধ
    বুকের অতলে লাফায় নীরবে আহত রক্ত
    গান হয়ে বুকে বাসা বাঁধে কবিতা।

  • ranjan roy | 14.97.19.105 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৬:১৫535264
  • পি এম এর প্রস্তাবকে পূর্ণ সমর্থন। পাই ভেবে দেখ।
    কল্লোল ও পিএম এর সংযুক্ত প্রয়াসে লেখা হোক "" বাংলা গানের দিকবদল'' বা ওই ধরণের কিছু। আগামী বইমেলায় চাই।
  • nk | 151.141.84.239 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৭:২৮535265
  • "যুদ্ধ নয় যুদ্ধ নয় তোলো আওয়াজ"-শুনেছি। কোরাসে গাওয়া ও হতো আমাদের ইস্কুলে, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, প্রজাতন্ত্রদিবস, নেতাজীজয়ন্তী ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানে।
  • kallol | 115.242.140.75 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৮:৪৪535266
  • ছিলেন আরও একদল। তাদের মুখ্য যিনি তার নাম সুমন চাটুজ্জে। সমতানে গাইতে গাইতে ছেড়ে এলেন আর তৈরী হলো নাগরিক। সেটা ৮০র দশকের প্রথম দিক।
    তার মাঝে সুমনের জার্মানী ও আমেরিকা আসা যাওয়া। ফিরে এসে প্রকাশিত হয় -অন্য কথা অন্য গান ১ আর ২ দুটো অ্যালবাম ১৯৮৬তে। এর পরেই নিকারগুয়া।
    গড়িয়াহাটার মোড় মিনি মিনি বাস বাস, সহসা এলে কি, কেউ ক্ষিদে নিয়ে গান লেখে, রাষ্ট্র মানেই কাঁটাতারে ঘেরা আমার সীমান্ত, সারী সারী মরা মানুষ দৃষ্টিহীন মানুষ (ভূপাল গ্যাসকান্ড নিয়ে), কে তৈরী করেছিলো তাজমহল এরকম বহু গান লাফিয়ে উঠেছে সে সময়।
    সুমনের গানের বিষয়বস্তু বৈচিত্রময়, কিন্তু সুরের জায়গায় সুমন ৬০এর বাংলা মূলধারার আধুনিক গানের অনুসারী। এটা আরকেকটা নতুন মিশেল।
    অন্যরা যখন অন্যতর বিষয়কে রক/সোলের আঙ্গিকে বাংলায় নিয়ে আসছে, বা তার সাথে মিশছে বাউল, মারিফতি, চটকা, তখন সুমন/নাগরিক ৬০এর মূলধারার মেলডিকেই মেলাচ্ছেন অন্যরকম বিষয়বস্তুতে।

    ছিলো শমী ও তার দল Q। বিটলসের গান গাইতে গাইতে বাংলায়। চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা - স্বপ্নে দেখেছি নগরের ভূমিকম্প..........., এনোলা গে (যে বিমানটি হিরোশিমায় আনবিক বোমা ফেলেছিলো, তার নাম), কেন আজও রয়েছো দাঁড়িয়ে হিমালয়, এরকম আরও অজস্র গান।

  • kallol | 115.242.140.75 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৯:১৭535267
  • আর ছিলেন বিনয় চক্রবর্তি ও তার দল স্কুল অফ পিপলস আর্ট বা সোপা।
    অসাধারণ সব সুর। মূলত: কবিতায় সুর করতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন। সুভাষ মুখার্জি, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতায় সুর করেন। একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয় - আগুনের ফুল। ওঁর সুরে বাংলা লোকগান হাত ধরেছে পশ্চিমের পপ থেকে চার্চ হাইম। একটি গান - অন্ন ধ্বনি অন্ন মন্ত্র অন্নই কবিতা / অন্ন অগ্নি বায়ু জল নক্ষত্র সবিতা.... গানটি চার্চ হাইমের সুরে প্রতি দু লাইন অন্তর স্কেল পাল্টে উপরে উঠতে উঠতে শেষে গিয়ে একদম সামগানের মত করে উচ্চারণ করেন - সে অন্নে যে বিষ দেয় / কিংবা তাকে কাড়ে / ধ্বংস করো ধ্বংস করো / ধ্বংস করো তারে। আমার শোনা অসাধারণ বাংলা গানের প্রথম তিনটির মধ্যে থাকবে।

    এরকম আরও অসংখ্য মানুষ, দল ও তাদের চিন্তা বাংলা গানের মোড় ফিরিয়েছিলো। এদের অধিকাংশ গানই প্রকাশিত নয়, বা প্রকাশিত হলেও তা নিজেদের উদ্যোগেই, যার পিছনে কোন বাণিজ্যিক সংস্থা ছিলো না। তাই তারা সাধারন লোককনের ওপাড়েই থেকে গেছে। রসিক্‌জন খুঁজে শুনে নিয়েছেন।
    ৯০তে সুমন যখন একা প্রকাশিত হন এইচএমভি থেকে তখন সেটা এই প্রবল সাঙ্গীতিক ঝড়ের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি মাত্র।

    এই প্রসঙ্গে বলি, যারা এই নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা ও বইয়ের দাবী করছেন, তাদের ভালোবাসাকে সমস্ত সম্মান জানিয়ে এটুকু নিবেদন, আমি এর ঠিকঠাক অধিকারী নই। কেউ এটা নিয়ে কাজ করলে আমি তার চেলা হতে রাজি। আমার যোগ্যতা এ বিষয়ে এতোটুকুই।
  • | 124.149.99.195 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১৮:০৭535269
  • nyara | 122.167.172.22 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:১৬535270
  • 'আজ যত যুদ্ধবাজ' ভি বালসারার সুর। শিবদাসের কথা, যদ্দুর মনে পড়ছে।

    কল্লোলদা, এই দলিলটা খুব জরুরি।
  • omnath | 117.194.205.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৯535271
  • কবে থেকে বলছি এটাকে আগে বাড়াও, তা না, মহীন সুমন তক্কে আটকে গেল।
  • kallol | 115.242.217.10 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৫০535272
  • যাঁরা অধিকারী, তাঁদের একজনকে লিখতে বলেছি। মুস্কিল হলো, তাঁকে একটু নড়াতে চড়াতে হয়। নইলে লেখা তো কোন ছাড় গানই গাইতে চায় না।
    দেখি...............
  • পাই | 82.83.85.246 | ১৬ জুন ২০১২ ১৯:৪৯535273
  • বিপুল-অনুশ্রীর কিছু গান রইল।

  • PT | 213.110.243.23 | ১৬ জুন ২০১২ ২০:১৬535274
  • কল্লোল দাঃ যে সমস্ত গানের অধিকাংশই প্রকাশিত নয় সে গান গুলো বাংলা গানের মোড় ফেরালো কি করে? শ্রোতাকে বাদ দিয়ে কি গানের অস্তিত্ব থাকে?
  • ন্যাড়া | 132.172.6.107 | ১৬ জুন ২০১২ ২১:৩৮535275
  • আমার যেটা মনে হয়, সুমনে এসে অন্যধারা আর মূলধারা মিলে গেল। সুমনের নাগরিক অন্যধারার গান বলা যায়। তো সে অন্যধারার গান হয়েই রয়ে গেল, যতদিন না সুমন একক গান হিসেবে সেগুলো প্রোজেক্ট করলেন।

    মনে রাখতে হবে, এধরণের জিনিস হয়েছিল সলিল-হেমন্তর হাত অহ্দরে যখন ইপ্টার অন্যধারার গান হেমন্ত জনাদৃত গায়ন ভর করে মূলধারায় ঢুকে এসেছিল।

    পশ্চিমেও জ্যাজ অন্যধারার গান হিসেবেই উঠে এসেছিল। রক-ও ।

    অর্থাৎ, আজ যা অন্যধারা, কাল তা-ই মূলধারা। সব অন্যধারাই যে মূলধারায় কো-অপ্টেড হবে তার স্থিরতা নেই। কেন হবে, সেও খুব কঠিন অংক। কিছু সৃষ্টির জোশ, কিছু সময়ের চহিদা, কিছু সফল মার্কেটিং। তার সঙ্গে থাকতে হবে একজন-দুজন প্রবল পারফর্মার - যাদের ধরে এই পরিবর্তনটা ঘটবে।
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৭ জুন ২০১২ ০৩:৫২535276
  • বিপুল অনুর গান আমার খুব ভাল লাগে---খুব জীবন্ত যেন! ওদের ছেলে তিতাস ও মেয়ে তোর্ষাও ভাল গায়---
    বিপুলের কবিতা অনুর ব্লগগুলিরও আমি পাখা----সেগুলো ও এ পাড়ায় দেখলে খুব ভাল লাগবে।
  • ranjan roy | 24.99.125.40 | ১৭ জুন ২০১২ ০৬:০৫535277
  • পিটির প্রশ্নটি আমারও ছিল, কিন্তু ন্যাড়ার বিশ্লেষণ যথার্থ।
  • কল্লোল | 125.242.237.116 | ১৭ জুন ২০১২ ০৭:৩৯535278
  • পিটি/রঞ্জন।
    যে গান প্রকাশিত হয়নি, সে গান কেউ শোনেনি, এরকম হয় নাকি?
    প্রতুলদার গান শুনছি সেই ৭০ থেকে। প্রতুলদা প্রকাশিত হলেন ৯০এরও পরে। অথচ এই কুড়ি বছরে হাজার হাজার মানুষ ওঁর গান শুনেছে।
    ন্যাড়া ঠিকই ধরেছে। অন্যধারা যখন প্রবল হয়, তখন তার বিক্রির সম্ভাবনা বাড়ে। তাতেই মূলধারায় যুক্ত হয় ভালো গায়ক-সুরকার ও বিপননের কৌশলের ভিতর দিয়ে।
    কিন্তু তার আগেই (প্রকাশিত হওয়ার আগেই) সে দাগ কেটে ফেলেছে, তাই তাকে নিয়ে মূলধারা উৎসাহী।
  • Lama | 127.194.226.188 | ১৭ জুন ২০১২ ০৭:৫৯535280
  • এই ইতিহাসের পাতায় খুব ছোট করে একটা প্যারাগ্রাফ হয়তো পেতে পারে নব্বইয়ের দশকের দ্বিতীয়ার্ধের অসংখ্য ব্যান্ড। পাড়ার বা ইউনিভার্সিটির কিছু ছেলে, কয়েকটা গিটার, কোনো বন্ধুর ফাঁকা বাড়ির বৈঠকখানায় বা কলেজের ক্যান্টিনে প্র্যাকটিস, প্রতিবেশীর কান ঝালাপালা। একটাই স্বপ্ন- অমুকদার সঙ্গে কথা হয়েছে, তার অনেক চেনাশোনা, অ্যালবামটা এবার বেরলো বলে। তারপর অমুকদার সঙ্গে যোগাযোগটা বিছিন্ন হয়ে যাওয়া, অ্যালবামটার কখনো না বেরনো। এদের অনেককেই আজকাল বিভিন্ন অফিসে চাকরি করতে, ওষুধ বেচতে, বা ওকালতি করতে দেখা যায়। অনেকের সম্পর্কে শোনা যায়- বছর চারেক আগে অমুক দেখেছিল তমুক রাস্তায়, এখন জানি না কি করছে।

    চিরস্থায়ী দাগ কাটতে পারে নি এদের বেশির ভাগ, কিন্তু একটা উন্মাদনা তৈরি করেছিল একসময় যার বেশিরভাগটাই একটা বিশেষ বয়েসের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। অনেক সময় এদের অনেকের গানই একঘেয়ে এবং চিৎকারসর্বস্ব হয়ে দাঁড়ালেও উৎসাহের কমতি ছিল না।

    চাঁদ-ফুল-নদী-তুমি-আমি-ওগো থেকে আম বাঙ্গালীকে বার করে আনতে এইসব গানও সেতুবন্ধে কাঠবেড়ালীর ভূমিকা পালন করেছে, খুব সামান্য হলেও।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৭ জুন ২০১২ ২০:১১535281
  • প্রতুল বাবু অনেক mainstream শিল্পীর চাইতেও বহুশ্রুত। কিন্তু তিনি গানের "মোড়" ফেরালেন কিনা তা নিয়ে তক্ক হতে পারে। প্রতুলের গানের বিষয় এবং ভঙ্গি সম্ভবতঃ তাঁর সঙ্গেই বিদায় নেবে। প্রতুল কোনদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস হতে পারবেন না।
  • ন্যাড়া | 132.172.6.107 | ১৭ জুন ২০১২ ২০:১৯535283
  • "প্রতুল কোনদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস হতে পারবেন না।"

    - এটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব ?
  • ন্যাড়া | 132.172.6.107 | ১৭ জুন ২০১২ ২০:১৯535282
  • "প্রতুল কোনদিন হেমাঙ্গ বিশ্বাস হতে পারবেন না।"

    - এটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব ?
  • PT | 213.110.243.23 | ১৭ জুন ২০১২ ২০:৫০535284
  • খুব চট-জলদি একটা উত্তরঃ "মোড়" ঘোরানোর ক্ষেত্রে হেমাঙ্গর গানের contribution প্রতুলের গানের থেকে বেশী বলে মনে হয়। প্রতুল যেন অনেক জানা এবং বলা কথাই নতুন করে বললেন - অবশ্যই নিজস্ব এবং অননুকরণীয় দক্ষতায়। কিন্তু ইউ টিউবের সময়ের শিল্পী হয়েও হেমঙ্গের মাপের হয়ে উঠলেন না। সেকি অনেকটাই রাজনীতি বিবর্জিত একাকী অবস্থানের কারণে?
  • ন্যাড়া | 132.172.6.107 | ১৭ জুন ২০১২ ২১:১৯535285
  • হেমাঙ্গ বিশ্বাস, আমার মনে হয়, সঙ্গীতকারের থেকে মিউজিকোলজিস্ট হিসেবে বেশি গ্রাহ্য । ব্যক্তিগত বিশ্বাস ছেড়ে দিলাম । হেমাঙ্গ বিশ্বাস সেরকম মোড় ঘোরানো গান কত ? উনি মূলতঃ লোকসঙ্গীতের সংগ্রাহক হিসেবেই রয়ে গেলেন । শঙ্খচিল, মাউন্টব্যাটন কাব্য - এরকম দুয়েকটি ছাড়া ওনার আর কোন গান লোকে মনে রেখেছে ? হেমাঙ্গ বিশ্বাসের ধারায় কটা লোক আর গান বেঁধেছে ? তাহলে ওনার কনট্রিবিউশন কী ভাবে মাপা হচ্ছে?

    প্রতুলের কনট্রিবিউশন হেমাঙ্গ বিশ্বাসের থেকে বেশি, এরকম কথা আমি বলছি না । বলার সময়ও আসেনি হয়ত, কিন্তু হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কন্ট্রিবিউশন এতই নগণ্য, যে উনি তুলনায় আসেন না । সত্যি বলতে, ঐ ধারার গানে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ও সলিল চৌধুরী ছাড়া কারুর কন্ট্রিবিউশনই বলার মতন নয় । জ্যোতিরিন্দ্রও প্রায় বিস্মৃত । বিনয় রায়ের গান তো শোনাই গেল না । পার্টি ওনাকে মস্কোয় খবর পড়তে পাঠিয়ে দিল । শুনেছি বিনয় রায়ের গায়ন ছিল অসামান্য । দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র রবীন্দ্রগায়ন আশ্রয় করে কন্ট্রিবিউট করলেন । হেমন্ত চলে গেলেন আধুনিক গানের জগতে । সলিল চৌধুরী চলে গেলেন বাংলা, হিন্দি জগতে ।

    বাংলা গানে হেমঙ্গ বিশ্বাসের কন্ট্রিবিউশন সম্বন্ধে ধারণা অনেকটাই নস্ট্যালজিক ও ইডিওলজিক রোম্যান্টিসিজম । বাংলা গানকে কোনরকম দীর্ঘস্থায়ী নাড়া উনি দিতে পারেননি ।

    প্রতুল পারবেন কী না, সে কথা স্বতন্ত্র ।
  • কল্লোল | 125.184.25.23 | ১৮ জুন ২০১২ ০৬:৫০535286
  • প্রতুলদার গান বাংলা গানের মোড় ঘোড়ানো কিনা, সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে, কিন্তু ন্যাড়ার সাথে একমত, হেমাঙ্গদা নিয়ে এধরনের আলোচনারই জায়গা নেই।
    আসি রাজনীতির কথায়। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের রাজনীতি কি ছিলো? কেউ জানেন কি? প্রথমে সিপিআই, পরে সিপিএম ও তার পরে নকশাল রাজনীতির সমর্থক। মাওয়ের চীনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো। বাম আমলে সরকারী দলের সাথে ঘনিষ্টতা ছিলো না।
    প্রতুলদা নকশাল আন্দোলনের সমর্থক। পরে বাম সরকার বিরোধী অবস্থানে ছিলেন।
    দুজনের কেউই ৭০ থেকে সরাসরি রাজনীতিতে ছিলেন না। কিন্তু মার্কসবাদী বলে নিজেদের মনে করতেন/করেন।
    বরং প্রতুলদার গানের এস্থেটিক্স, তার পরিবেশন বাংলা গানে অন্য এক মাত্রা এনেছে। ওঁর সাথে সাথে এধরনের গান মুছে যাবে কি না, তাই দিয়ে কিছুর বিচার হয় কি? মুকুন্দদাস বাংলা গানে এক মাইলফলক। ওনার ভঙ্গী একান্তই ওনার। আগে বা পরে কেউ নেই। তাতে মুকুন্দদাসের বাংলা গানের এক প্রবাদপুরুষ হয়ে ওঠা আটকায় না। ওনার গান বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছে তর্কাতীতভাবে।
    মুকুন্দদাসের কথা কিছুটা সচেতন ভাবেই আনলাম। যদি কেউ মুকুন্দদাসী ঘারানাকে এগিয়ে নিয়ে অন্য এক স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছেন, তো তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
    আরক জনও ছিলেন সুরেশ বিশ্বাস। কিন্তু ওঁর গানে একধরনের একটা আদিমতা (rawness) ছিলো, যা ওঁর গানকে সেই উচ্চ্তায় নিয়ে যেতে দেয় নি।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৮ জুন ২০১২ ১০:৫৪535287
  • মুকুন্দদাসের গানের সঙ্গে প্রতুলের গানের সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না। পুলিশের তাড়া খেলে একরকম গান বেরোয় আর না খেলে আরেক রকম - প্রতুলকে পুলিশে কি রকম ধাওয়া করেছিল সে আমার অবিশ্যি জানা নেই। সেই অর্থে, "জেগে আছি একা জেগে আছি কারাগারে"-র স্রষ্টাকে হয়ত মুকুন্দদাসের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

    রাজনীতি বলতে আমি সরাসরি রাজনীতির কথা বলিনি। mainstream গানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যে ভাবে সমর্থন যোগায়, সেই সমর্থন মুকুন্দদাস, হেমাঙ্গ বা প্রতুলের পাওয়ার কথা নয়। অবিশ্যি সবিতাব্রত মুকুন্দদাসকে খানিকটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধমেই। সেটা না হলে গানকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা তাদের গানের সংগঠনগুলো। সেই ব্যাপারে অবিশ্যি সলিল অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য। তাহলে কি গানের সুরের কাঠামো বা সাবলীলতা গানগুলোকে মানুষের স্মৃতিতে অনেক বেশী দিন বাঁচিয়ে রাখে? যেখানে সলিল বেশী সার্থক?

    আর "লোকে মনে রাখবে" সেই ভিত্তিতে judge করতে গেলে বলতে হয় যে বেচু দত্ত বা সত্য চৌধুরীর থেকে হেমাঙ্গর গানকে অনেক বেশী মনে রেখেছে মানুষ। প্রতুলের একটি অনবদ্য সৃষ্টি "ছোকরা চাঁদ জোয়ান চাঁদ" এই ইউ টিউবের যুগেও কটা মানুষ শুনেছে? অন্য দিকে সুমন চাটুজ্জের ধারাতেই বা কটা লোকে গান বেধেঁছে? আর সুমনের সুরেও অন্য কাউকে বিশেষ (সন্ধ্যার গলায় "আসছে শতাব্দিতে" ছাড়া) কাউকে গাইতে শুনেছি বলে মনে কর্তে পার্ছি না।

    বিনয় রায় একদমই শুনিনি।
  • departed | 69.160.210.2 | ১৮ জুন ২০১২ ১১:১৪535288
  • "সুমনের সুরেও অন্য কাউকে বিশেষ (সন্ধ্যার গলায় "আসছে শতাব্দিতে" ছাড়া) কাউকে গাইতে শুনেছি বলে মনে কর্তে পার্ছি না। "

    -- PT দা নতুন গানের কিসুই খবর রাখেন না দেখছি।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৮ জুন ২০১২ ১১:৩৪535289
  • departed
    আমার সম্পর্কে আপনার মন্তব্য সঠিক হতেই পারে। আসলে গান বাঁচিয়ে রাখা, মোড় ফেরানো ইত্যাদি কথা হচ্ছে তো তাই সন্ধ্যা, হেমন্ত বা হালের লোপামুদ্রা, শ্রীকান্ত ইত্যাদিদের দিয়ে গান না গাওয়ালে সেই গান "বেঁচে" থাকবে বলে মনে হয় না। দু-চারজন উদাস ছাত্র যাদব্পুরের ক্যাম্পাসে গীটার নিয়ে ঝ্যাং ঝ্যাং করে গান গাইলে সেই গান খুব বেশীদিন হাওয়ায় থাকবে না।

    "মুক্তির মন্দির শোপান তলে" বা "শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি" ইত্যাদি গানগুলো কেন লোকে এখনো শোনে একবার ভেবে দেখবেন।

    দক্ষিণ কলকাতার একটি সিডির দোকানে আমার নিয়মিত যাতায়াত আছে এবং সেই দোকানের পরিচালকের সঙ্গে আমার গপ্প জমে ভালই। তাঁর কাছ থেকে হালের শিল্পীদের গানের সিডির বিক্রি বাটার খুব একটা উৎসাহজনক খবর পাইনা। গত সপ্তাহেই দেখলাম যে কানন দেবীর গানের একটা "নতুন" সিডি বেরিয়েছে। প্রতুল সুমনের যুগেও কাননবালার গানের সিডি কেন কেনে লোকে কে জানে!!
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ১৮ জুন ২০১২ ১২:০৪535291
  • পিটি।
    কি জানি রবিবাবু কবার পুলিশের হুড়ো খেয়েছেন যে স্বদেশী পর্যায়ে ওরকম সব গান বাঁধতে পেরেছিলেন!!
    প্রতুলের ছোকরা চাঁদ (কবিতা বীরেন্দ্র চট্টো) তো অনেক অসাধারন সৃষ্টির একটা মাত্র। তুমিই লিখেছো Date:17 Jun 2012 -- 08:11 PM প্রতুলের গান অনেক মেইনস্ট্রিম শিল্পীর চাইতেও বহুশ্রুত। এর পর আর আমার কি বলার থাকতে পারে।
    মুকুন্দদাস আর প্রতুল দুজনেই একা প্রায় কোন যন্ত্র ছাড়া মাঠে ঘাটে গান গেয়ে বেড়িয়েছেন। উদ্দীপ্ত করেছেন নানান লড়াইয়ের ঢাল তরোয়ালহীন নিধিরামদের "স্লোগান" গেয়ে।
    যখন প্রতুল মাঠে ঘাটে গাইতেন না (১৯৬৭-৭৭) তখনও প্রতুলের গান মুখে নিয়ে মৃত্যুর সাথে খেলা করেছে বহু প্রাণ। আলিপুর স্পেশাল জেলে পালাতে গিয়ে মারা গেলো চেতলার লাল্টু, পল্টু আর পরিতোষ। সেদিন সারা জেল তোলপাড় করে তল্লাসী আর এলোপাথাড়ি মার। আমি মার খাইনি "বাচ্চা ফাইলে" ছিলাম বলে। তারপর হায়নারাও যখন আঁচড়ে কামড়ে ক্লান্ত, তখন পাশের ফাইলে কেউ গাইছিলো - থাক না হাজার অযুত বাধা / দীর্ঘদূর যাত্রায় কিসের ভয় / কিসের ভয় সাহসী মন লালফৌজের / লাফিয়ে হই পার................
    এর সাথে তুলনা হয় না, তবু।
    আমরা বাম আমলের প্রথম কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলাম, কং ও বামের উল্টোদিকে। হেরে যাই। সিপিএম জিতেছিলো, আমরা দ্বিতীয়। হাক্লান্ত হয়ে বসে আছি আমাদের অস্থায়ী অফিসের সামনের রাস্তায় শ্রীমোহন লেনএ। হঠাৎই কে যেন গান ধরলো - লড়াই করো লড়াই করো লড়াই / যতদিন না বিজয়ী হও / যদি একবার হারো / বারবার হারো বারবার / লড়ো বারবার যতদিন না বিজয়ী হও ........... আমরা গাইছিলাম সবাই গাইছিলাম।
    সিপিএমএর বিজয় মিছিল স্লোগান থামিয়ে পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিলো। সেটা ১৯৮৫। তখনো ভদ্রতা বজায় ছিলো রাজনীতিতে।
    এটাই প্রতুলের গান, হ্যাঁ এমনটাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন