এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প উন্নয়নের ক্লে মডেল

    aka
    অন্যান্য | ১৮ এপ্রিল ২০১২ | ৬৪৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০০:৪৯543669
  • ধ্যাৎ সফলতমদের মধ্যে রয়েছে আরশোলা। পরের জন্মে আরশোলা হবার ইচ্ছে আছে। শালা রেডিয়েশনও মারতে পারে না।
  • sda | 117.194.193.29 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০০:৫৬543670
  • আরশোলা হওয়ার মেইন অ্যাডভান্টেজ হল যে কোন মেয়েকে জাস্ট মুখটা দেখিয়েই এক্ষট্রিম লেভেলে স্ক্রীম করানো যায়, যা কিনা তার পার্টনারের পক্ষেও করানো ডিফিকাল্ট :)

  • Sibu | 74.125.59.177 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০১:০০543672
  • জেলিফিশ খেতে বড্ড ভাল।
  • pi | 128.231.237.4 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০১:০০543671
  • পুরো প্রজাতি নিয়েই তো কথা হচ্ছে। মেয়েরা আরশোলা হবেনা ?
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০১:০৬543673
  • আবার একটা যুগান্তকারী ধারণা এসেছে। মিউটেড করে মানুষের মাথাটা খানিক ছোট করে দিলেই বুদ্ধি কমে যাবে। চুকে যাবে সব ল্যাটা। লে: লড়ে খা জেলিফিসদের সাথে কিংবা কিং কোবরার সাথে। মিউটেড করার সময় কানকো রাখা হবে কিনা সেটা অবশ্য ব্যক্তিগত চয়েজের ওপর ডিপেন্ড করবে। মানে কারসাথে লড়ে বেঁচে থাকবেন তার ওপর।
  • Generic letter | 72.95.253.75 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০২:৪১543674
  • ধুর, জেলিফিশ টেলিফিশ নয়, এবার ম'লে সুতো হব..
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৬:১২543675
  • হ্যাঁ শিবুদা, বুঝেছি আপনি জুলিয়ানকেই মিন করেচিলেন।

    থমাস বরং উল্টো কেস। ডারউইনবাদ প্রথমে গ্রহণ করেন নি, কিন্তু পরে মৃত্যু পর্যন্ত তার সপক্ষে লড়ে গেছেন।

    যাজ্ঞে
  • Ishan | 50.82.180.165 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৮543676
  • হ্যাঁ, যা কইছিলাম। উন্নয়ন কারে কয় সেটা ঠিক জানিনা। আমার কাছে উন্নততর পৃথিবী যেটা সেটা জানি। সেখানেই পৌঁছনোকেই উন্নয়ন বলব কিনা জানিনা। বললেও হয়। না বললেও হয়। অন্য কিছু বললেও হয়। কিন্তু শব্দ দিয়ে যেহেতু ডাকতেই হবে, তাই ওটাকে উন্নয়নই বলব। এখানে।

    তা উন্নয়ন বলতে আমি কি বুঝি? খুব সহজ। অপশনের অভাব হল অনুন্নয়ন। আর যত বেশি বেশি অপশন ততো উন্নয়ন। এই দুইটি বাক্য ছাড়া প্রাথমিকভাবে উন্নয়ন বলতে অন্য কিছু বুঝিনা। এটা অজস্ররকম উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ধরুন, ব্যক্তি আমি'র নানাপ্রকার বেঁচে থাকার ধরণ অপছন্দ হতে পারে।
    এক। অমার জীবনের আদর্শ হতে পারে, এই যে, আমি দিনে ছত্তিরিশ ঘন্টা খাটব। খেটে পয়সা রোজগার করব। করে বিরাট বাড়ি বানাব। কিন্তু কাজের চোটে সেই বাড়িতে সময় কাটানোর সময়ই পাবনা।
    দুই। আমি চাইতে পারি, আমি কিসুই করবনা। মোটামুটি একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই আর দুবেলা খেতে-পরতে পেলেই চলবে। হ্যাঁ, ফ্রিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়। দিনে যা সময় পাব, খেয়ে দেয়ে আনন্দে গান গেয়ে কাটিয়ে দেব। খাবো দাবো আর মোটামুটি বললাম এই জন্য, যে, একটা স্তরে এটা নিয়েও গোল
    তিন। এই দুই চরমপন্থার মাঝামাঝি কোনো একটা নেব। অল্প কাজ করব, চাহিদাও খুব বেশি নেই, কিন্তু বাড়িতে একটা এলিডি টিভি থাকলে ভালো হয়। বা প্রচুর বই কিনব। বা ইন্টারনেটটি যেন থাকে। ইত্যাদি প্রভৃতি।

    তা, আমার কাছে উন্নয়নের একমাত্র শর্ত হল, এই জাতীয় যত অপশন মানুষের সামনে খোলা থাকবে, আমি বলব তত বেশি উন্নয়ন। এবং সেই প্রতিটি অপশন নিয়েই মানুষ যেন বেঁচে-বর্তে থাকতে পারে। অবশ্যই এখানে না খেয়ে মরার অপশনটিকে আমি গণ্য করবনা।
  • Ishan | 50.82.180.165 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৫৩543677
  • এইটা গেল প্রথম কথা। তবে এতেও কিছু গোল দেখা যেতে পারে। অপশন ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একটা স্তরে সেটাও একটা অপশনের অভাব হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। সেটাও এখানে বলে রাখা দরকার।

    উদাহরণ দিয়ে বলি। যেমন ধরুন, আজকাল মোবাইলের তিরিশ হাজার অপশন। তার উপরে পঁচিশ রকমের ডিল সব সময়েই চলে। অমুক প্ল্যানের সঙ্গে তমুক মোবাইল কিনলে তেরো টাকা ছাড়। একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি। ইত্যাদি। এবার এই মোবাইলের বাজারে অপশন যেমন অজস্র, নতুন অপশন দেবার জন্য মোবাইল কোম্পানিগুলো একরকম করে যেমন চাপে থাকে, আমরা যারা গ্রহীতা, তারাও কিন্তু একরকম চাপেই থাকি। চাপদুটো অবশ্য আলাদা। মোবাইল কোম্পানিগুলো ক্রেতা হারানোর ভয়ে চাপে থাকে। মুনাফার বাজারে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে থাকে। আর ক্রতাদের অন্য চাপ। তারা চাপে থাকে তথ্যের বাজারে পিছিয়ে পড়ার। তারা ঠকে যাবার ভয়ের চাপে থাকে। প্রত্যেক মুহূর্তে প্রতিটি নতুন ডিলের ইনফর্মেশন, নতুন মডেলের ইনফর্মেশন, নতুন ফিচারের তালিকা তাদের ঠোঁটস্থ রাখতে হয়। নইলেই পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা।

    এবার এই পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা বা চাপ, ক্রেতাকে সবসময়েই ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। চাপে পড়ে তাকে নানাবিধ অপশনের খবর রেখে চলতেই হয়। এবং ব্যতিব্যস্ত থেকে-থেকেই সে জীবনের বাকি অপশনগুলো হারিয়ে ফেলে। মানে, যে সময়টায় সে গান শুনতে পারত, বা বাগানে বেড়াতে পারত সেই সময়টাও সে ইন্টারনেট সার্ফ করে ফুরসতহীন ভাবে কাটিয়ে চলে।

    এটাও একরকমের অপশন্‌হীনতা। নানাপ্রকার অপশন যে সমস্যাটা তৈরি করে। বা করতে পারে। কিন্তু এই গোদা সংজ্ঞায় আমি সেটা ধরিনি।
  • pi | 128.231.237.8 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:০১543679
  • development as freedom :)
  • Ishan | 50.82.180.165 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:১৪543680
  • এবার এই অপশনের প্রশ্নটায় জোর দিলেই ভারতের উন্নয়নের জন্য জোরটা কোনখানে দিতে হবে বোঝা যাবে। অনেক রকম উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কিন্তু সেখানে আর ঢুকলাম না। সোজা বাংলায় বলি, মানুষকে অপশনের সুযোগ দিতে গেলে দেশে একটা ন্যূনতম পরিষেবা/পরিকাঠামোর প্রয়োজন। যেমন সকলের জন্য জল। সমমাত্রার শিক্ষা। চিকিৎসা। সুষম খাদ্যের অধিকার। বাক স্বাধীনতা। ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো না হলে কোনো অপশনের দরজাই কোত্থাও খুলবেনা।
  • tatibn | 117.194.198.0 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:২৪543681
  • @b

    এ কঠোর বজ্রদৃঢ় সঙ্কল্পের কারণে সিদ্ধার্থ গে০তমের শরীর কৃচ্ছ্র সাধনায় যে বিমুক্তি লাভ অসম্ভব সিদ্ধার্থ গে০তম উপলব্ধি করলেন। পরে জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে মধ্যমপন্থা গ্রহণ করে বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে বুদ্ধগর বোধিবৃমূলে চরম ও পরম প্রাপ্তি বোধিজ্ঞান লাভ করলেন। বোধিজ্ঞান লাভ করে যে উদান বাণী তিনি উচ্চারণ করলেন_
    'এ দেহ রূপ গৃহনির্মাতার সন্ধান করতে গিয়ে অনেক জন্ম পরিভ্রমণ করেছি। বুঝতে পেরেছি পুন:পুন: জন্মগ্রহণ দু:খজনক। হে গৃহ নির্মাতা, আমি তোমার সন্ধান পেয়েছি। তুমি পুনরায় এ গৃহ আর নির্মাণ করতে পারবে না। তোমার সমুদয় পার্শ্চক ভাগ ও গৃহকূট ভেঙ্গে দিয়েছি। সংস্কারমুক্ত চিত্ত সমুদয় আমি তৃষ্ণার য় সাধন করেছি। এটা বুদ্ধত্ব লাভের পর আন্দোচ্ছ্বাসে উদান বাণী পরিবেশন করেছিলেন।
  • kelo | 117.254.254.137 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:২৫543682
  • এক্কেবারে একমত ঈশেনদা, এ না হলে এখন যেটা চলছে সেটা হল -
    একদল জেলিফিসপন্থীদের সঙ্গে একদল হাঙ্গরবাদীদের লড়াই।
    মাত্‌সন্যায়।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:২৭543683
  • আমরা চেয়েছি শুধু বিকেলের ঠেক
    পিকনিকে পরকীয়া ক্রিশমাসে কেক
    স্পর্শকাতর স্থানে ফোঁড়া হলে সেঁক
    ব্যাস, আর কিচ্ছু চাইনি
  • Ishan | 50.82.180.165 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৩১543684
  • আকা এই সুতো শুরু করেছে বিকল্প উন্নয়নের পথ কি এই প্রশ্ন তুলে। অতএব, তার উত্তর আমার কাছে একটাই। এই মুহূর্তে, এক, মানুষের অধিকারের উন্নয়ন। দুই, পরিকাঠামো/পরিষেবার উন্নয়ন।

    এই উন্নয়নের দুটো অংশ। প্রথমটা উন্নয়নের যেকোনো আলোচনাতেই বাদ পড়ে যায় (অমিত ভাদুড়ির বইয়েও গেছে)। সেটা হল, বর্তমান ব্যবস্থার উন্নয়ন বা বদল। সেটাকে আরো দক্ষ, জনমুখী, দুর্নীতিমুক্ত করে তোলা। সরকার, প্রশাসন বা ব্যবস্থা যেন লোকের ঘাড়ে চেপে না বসে, বরং লোককে ঘাড়ে চাপইয়ে নদী বার করে, সেই ব্যবস্থা করা। এটা উন্নয়নের অত্যাবশ্যক শর্ত। এটা না হলে বাকি কোনোটাই সম্ভব নয়।

    আর দ্বিতীয় অংশটা হল পরিষেবা/পরিকাঠামোর উন্নয়ন। এটার একটা বড়ো অংশ হল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। বাকিটা হল উন্নত ব্যবস্থা দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সঠিক দিকনির্দেশ নেওয়া।

    অতএব উন্নয়ন একটি বিরাট ব্যাপার। কেবল অর্থনীতি নয়। আমাদের উন্নয়নের যেকোনো আলোচনাতেই, আমি যদ্দূর দেখেছি, কেবলমাত্র উন্নয়নের একটি ভগ্নাংশ, অর্থনীতি নিয়েই আলোচনা বা বিতর্ক হয়। বাকি যে বিপুল দিগন্ত সেটা ঢাকা পড়ে যায়। কাজেই বিকল্প পথ বলতে আমি যেটা বুঝি, তা হল এই বিস্তীর্ণ দিগন্তকে ধারণায় আনা এবং সেই অনুযায়ী পথ খোঁড়া। এতদ্ভিন্ন উন্নয়ন্নের অন্য কোনো বিকল্প নাই।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৩543685
  • শিবু।
    ঈশেনের পোস্টের পর আমার বেশী কিছু আর বলার ছিলো না। আমার প্রথম পোস্ট Date:19 Apr 2012 -- 01:50 PM তাই বলছিলো। মানুষ সুস্থ সবলভাবে আনন্দে বাঁচবে, তেমন পরিবেশ সৃষ্টি করাই উন্নয়ন।
    ৪ ঘন্টার কাজ ইত্যাদি, আজকের পরিস্থিতিতে যদি শর্ট টাম উন্নয়ন বলতে কিছু বোঝাত, তো আমি এটাই বুঝি।
    আপনার Date:19 Apr 2012 -- 10:11 PM পোস্টের
    ১ নং পয়েন - ৪ কেন ৬ বা ২ নয় কেন। যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাবে ৮ ঘন্টার কাজই মান্য, তাই তার অর্ধেক হিসাবে ৪। ২ ঘন্টা কাজ হয়তো কখনো হতে পারে, যদি কাজের যান্ত্রায়ন সেই স্তরে পৌঁছয়।
    একটা ছোট্ট কথা জেনেরিক লেটার ভাবছেন আমি ৪ ঘন্টায় ৮ ঘন্টার কাজ করতে বলছি। কেউ বাংলা না বুঝলে তার দায় আমার নয়।
    ৩ ও ৪ নং পয়েন - স্বনিযুক্ত মানুষ বলতে যারা নিজের কাজ নিজে করে রোজগার করেন। ভাড়া খাটেন না। ডাক্তার, আইনব্যবসায়ী বা সেই অর্থে যে কোন ব্যবসায়ী। তারা কতোক্ষন কাজ করবেন সেটা তাদের বিষয়। তাদের কেউ বাধ্য করছে না কাজ করতে।
    বিজ্ঞানী যদি নিজের ল্যাবে কাজ করেন তো স্বনিযুক্ত। যদি অন্যের ল্যাবে চাকরী করেন তো ৪ ঘন্টা। কাজের গুরুত্ব বুঝে কেউ বেশী সময় থাকলে তার দায়িত্ব।

    ৮ ঘন্টার কাজের দাবীতে পয়লা মের সেই ঐতিহসিক ঘটনা সকলেই জানেন। কিন্তু ৮ ঘন্টা কেন? কেন ১০ বা ৬ ঘন্টা নয়? ২৪ ঘন্টাকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছিলো। ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা অবসর, ৮ ঘন্টা ঘুম - এই হিসাবে।
    আজ ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা কাজ করা ভারতের মত দেশে খুব স্বাভাবিক বিষয়। ছুটির দিনে কাজ করতে আসাটাও আজকাল আর তেমন আশ্চর্যের কিছু নয়।
    পশ্চিমের কথা শুনেছি, ৮ ঘন্টাই কাজ করেন তারা। শনি রবি ছুটির দিনে কাজ করার কথা কেউ ভাবেনই না।
    সেখানেও ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে কাজের ঘন্টা কমানোর আন্দোলন হয়েছিলো। বোধ হয় কমানোও হয়েছিলো। আবার পরে তা বেড়ে গেছে।
    বিষয়টা ল্যাদ খাবার নয়, আবার ল্যাদ খাবারও। মানুষ শুধু খেয়ে-ঘুমিয়ে-রমন করেই মানুষ নয়। সে সৃষ্টি করে, সৃষ্টি উপভোগ করে। তার মধ্যে দিয়ে সে পূর্ণতায় পৌঁছায়।
    ৮ ঘন্টার কাজ তাকে সেই জায়গায় পৌঁছতে এক কদম এগিয়ে দেবে।
    মরীচিকা দেখানোর দায় আমার নয়। কমরেড মার্ক্সের। তিনি এমন একটা সমাজের কথা ভেবেছিলেন। যেখানে বৈজ্ঞানিক উন্নতির ফলে মানুষকে আর বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হবে না। সে কাজ করবে আনন্দে থাকার জন্য। কারন তার বেঁচে থাকার উপাদানগুলো উৎপাদনের কাজ করে দেবে যন্ত্র।
  • pi | 128.231.237.8 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৫543686
  • মামু বেশিরভাগ কথাই বলে দিয়েছে। প্রায় সব কটা বাক্যেই বড় হাতের ক।
    উন্নয়ন কাকে বলবো, তার থেকে বলা ভালো, কাকে বলবোনা। যে উন্নয়ন কারুর 'অধিকার' কে কেড়ে নেয়, তাকে আমি উন্নয়ন বলবো না।

    কেলোদা :)
    আজ আপনার আর রিমিদির পোস্টগুলো পড়তে পড়তে একটা কথা খুব বেশি করে আবার মনে হচ্ছিল, এতো কোনোদিন মেলবার নয়। ঐ মামুর এক আর দুই। ওদুটোকে তো এক খোপে রাখা যাবেনা।
    একে অন্যকে নিজের ভিউ নিয়ে কনভিন্স করানোর চেষ্টা করেই বা কী লাভ ? বরং, সেটা যাতে না করা হয়, একটার চাপে যাতে অন্যটা চাপা পড়ে না যায়, একটা অন্যটাকে গিলে না ফেলে, একটা অন্যটাকে গিলে না ফেলে, সেটা দেখাই ভাল নয় কি ?
    যে যার ভালো থাকার সংজ্ঞা নিজেরা তৈরি ক'রে নেওয়াই ভাল আর তার সবেরই সুযোগ থাকাও ভাল।

  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১২543687
  • রিমি। জেলিফিসরা উন্নততর প্রজাতি কি না।
    সেটা নির্ভর করে উন্নত বলতে আপনি কি বোঝেন।
    ধরুন একটা গাছ মনে করতেই পারে, মানুষ বা অন্য গতিশীল প্রানী সাংঘাতিক অনুন্নত। এক জায়গায় দাড়িয়ে সারা জীবন তো দূরস্থান সামান্য কয়েক ঘন্টাও পারে না। আমরা কেমন সারাজীবন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি, নিশ্চিন্তে।
    বা।
    কেউ একজন অলোকবর্ষ দূর থেকে পৃথিবী দেখছে। সে কি ভাববে? পৃথিবীটা আসলে সামুদ্রিক জীবেদের। তারাই তো ৩/৪। ঐ ১/৪এ কটা কি সব ঘুর ঘুর কচ্ছে, সেগুলো তো ইত্যাদি প্রভৃতিতেও আসে না।
    এভাবেও দেখা যায়। তাতে কোন ভুল-ঠিক নেই।
  • tatin | 117.194.198.0 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৭543688
  • বেদ আর তন্ত্রের দ্বৈরথ অনন্তকালীন, আর রিমিদির মতন বৈদিকরা আমাদের ওপর নিজের অর্থনীতি চাপানোর চেষ্টা করবেও। কারণ মুনাফাটা আমাদের নিয়েই
  • lcm | 69.236.168.55 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২০543691
  • ঈশান অনেক কথা বলল। উন্নয়ন, অনুন্নয়ন এর ডেফিনিশন দিল। উন্নয়নের কত পার্সেন্ট কোন নীতি তাও বলল। আগে কারা কেন ভুল লাইনে তক্কো করেছে তারও ফিরিস্তি দিল।

    লেকিন, ক্যায়সে হোগা ইয়ে সব - ও নেহি বাতায়া। বহুত না ইন্‌সাফি হ্যায়।

  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২০543690
  • ব্যাদে সব-ই আছে
  • tatin | 117.194.198.0 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৪543694
  • হাজার কুড়ি বছর মারিয়ে মানুষ অর্থনীতি, মুনাফা যুদ্ধ, শোষণ, ধর্ষণ ইত্যাদি যা যা শিখলো, সেগুলো তো বেদেই লিখে ফেলেছিল
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৪543693
  • আমার কাছে উন্নয়ন মানে অনন্ত ল্যাদ। তবে সেটা আমি এখনো পাই। নিজের টার্মে থাকি। ইউনিভার্সিটি যেতে ইচ্ছে না করলে যাই না।

    এই লাইফটা নেবার জন্যই স্টুডেন্ট জীবন চুজ করেছি।

    এতে অন্যান্য উন্নয়ন হয়নি। যেমন গাড়ি, ক্রেডিট কার্ড ইটিসি। কিন্তু হ্যাপিনেস দিয়ে যদি উন্নয়ন মাপা যায়, তাহলে আমি পৃথিবীর উন্নয়নেস্ট ক্যাটাগরিটায় পড়ি।

    আমার মনে হয় হ্যাপিনেসটা একটা বড় প্যারামিটার, উন্নয়নের। সেটা ইন্ডিভিজুয়াল এবং সমষ্টি, দুটো ক্ষেত্রেই সত্যি
  • lcm | 69.236.168.55 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৪543692
  • অবশ্য ঈশান একেবারে পথের কথা বলে নি তা নয়, পথ খুঁড়তে বলেছে। বিস্তীর্ণ দিগন্তের ধারণা নিয়ে পথ।
  • tatin | 117.194.198.0 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৬543695
  • অসীম কালে যে হিল্লোলে জোয়ার ভাঁটায় ভুবন দোলে, নাড়িতে মোর রক্তধারায় পেয়েছি তার টান-- এই টুকু বোঝাই তো মানবজীবনের উদ্দেশ্য। জেলিফিশের সংগে ডিফারেন্সও সেটুকুই মে বি।

    এইটাকে ঈশ্বরচেতনা বলতেই পারেন কেয়ু
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৮543696
  • নাহ, আমার ওসব বোঝায় ইন্টারেস্ট নেই। কয়েকটা মামনি থাকলে ভাল হত। জীবনের সব রহস্য বুঝে যেতাম।

    তাহলে বলতাম আমার ১১০% উন্নয়ন হয়েছে।

    আপাতত ৯০ তেই খুশি থাকতে হচ্ছে। :(
  • lcm | 69.236.168.55 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৯543697
  • আর তাতিন-এর হল গিয়ে ব্যাদ, ডাবর-এর চবনপ্রাশ-এর মতন। যেখানে খুশী লাগিয়ে দাও। উন্নয়ন, অনুন্নয়ন। ব্যাদে আছে - ব্যাস্‌। রিল্যাক্স।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৪543698
  • জ্জিও সিদ্ধার্থ। সার্থকনামা।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৬543699
  • সাথ্বকনামা আর কৈ হলাম! সুজাতা সান্যাল পায়েসের বাটি হাতে আসল না তো :(
  • apu | 14.99.123.53 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৬543701
  • সুজাতা অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু সান্যাল?.....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন