এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমি আমার বেলুড় জীবন নিয়ে একটা লেখা লিখছিলাম, highly non linear, কারণ linearity আমার ধাতে নেই, এন্তার বানান ভুল আছে, লেখার প্রথম তিনটে কিস্তি দিলাম, লোকজনের ভালো লাগলে আরো দেব,

    Nishan Chatterjee
    অন্যান্য | ০৯ মে ২০১২ | ২৭২৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 178.26.205.19 | ১০ মে ২০১২ ২৩:১৮546878
  • লিখে যাও ভাই নিশান। ভাগ্যিস লিখলে, তাই জানতে পারলাম বেলুড় কি জিনিস!
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১০ মে ২০১২ ২৩:২১546882
  • বুঝলুম নিন্দেমূলক লেখা, মন্দ লোকের মন্দ লেখা, হবে নাই বা কেন, তিন বছরে আমার সব ইয়ে ছারখার করে দিয়েছিলো, তবু পড়তে কেমন লাগছে লোকজন একটু জানালে সুখী হতুম, তার সাথে কিভাবে উন্নতি করা যেতে পারে, গদ্যে এটাই আমার প্রথম প্রচেষ্টা কিনা :(
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১০ মে ২০১২ ২৩:২৫546884
  • আমি রিমিদির সাথে একমত! দুপুরে মুড়ি দিলেও চলতো, বিকেলে আবার মুড়ি দেলেও চলতো, কারণ ক্যান্টিন ছিলো একটাই, সেটা একটি হারামি বিশেষ চালাতো, রোজ একই জিনিস, একটাই মেনু, দুটো মুর্গীর হাড় আর দুটো রুটি, তার দাম ১৮ টাকা, ৪০০ টাকা হাতখরচায় অত খায় না! আর আমার চেয়েও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেপিলে ছিলো!

    নাহলে option দুটো বিস্কুট, বা বাইরের ২টাকার ঝালমুড়ি! রোজ তো আর ওতে পেট ভরে না :(

    আমরা মাঝে শিল্পমন্দিরের ক্যাণ্টিনে খেতে যেতাম, সেখানে পাঁচ টাকায় পেটভরা খাবার পাওয়া যেত, সেটা VP আইন করে নিষিদ্ধ করেছিলো :-o
  • apu | 24.99.227.76 | ১০ মে ২০১২ ২৩:২৫546883
  • ইয়ে রিমি বোন, ( অপু ভাই লিখলে বললে) তুমি

    ১। পরিমান কিন্তু কম দেওয়া হত না।
    ২। কিন্তু গ্যাপ ওরকম ই ছিল।

    তোমাকে লিখলাম তাও তুমি বুঝতে পারলে না কেন সাহেবের মতো খাবর দাবর দেওয়া হয় না।

    আমরা সকালে রোজ খেতাম ৪-৫ বিস্কুট আর এক গ্লাস চা। আর টিফিনে বেশীর ভাগ দিন মুড়ি । সাথে থাকতো ঘুগনি,বোঁদে এই সব। ততে কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় নি।

    আর এই ২ টো লেখা পড়ে বেলুড় সম্পর্কে বুঝে গেলে তোমাকে অসাধারন বলতে হচ্ছে।
  • অপু | 24.99.227.76 | ১০ মে ২০১২ ২৩:২৭546885
  • আমরা বলতাম পুঁই বৃক্ষ। কারন পুঁই গাছের কোন অংশ বাদ দেওয়া হত না ঃ-))

    কিন্তু খাওয়া দাওয়া মনে হয়ে সব জায়গা তেই কম বেশী একই রকম । বাকি রা একটু লিখবে?

    ISI RS র খাওয়া কিন্তু বেশ ভালো ছিল। আমার চোখে দেখা এট ব্যতিক্রম।
  • অপু | 24.99.227.76 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৩০546886
  • এই সুযোগে বলে রাখি আমি রোজ ৫:২৫এ উঠতাম। তারপরে পায়জামার ওপর ধুতি টা পরে চোখে মুখে খানিক ট জল দিয়ে কোনরকমে ঘুম চোখে খাতয় ই সই করে ঠাকুর ঘরে বসে আবার ঘুমোতাম। অনেকেই ঘুমোতো। কয়েক পিস উৎসাহী ছিল তারা গান করে আমাদের জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতো বটে। তাতে সুবিধা হত না।
  • অপু | 24.99.227.76 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৩৩546887
  • আমদের তো ক্যান্টিন ছিল না। বাইরে ভেলপুরী খেতে যেতাম সে ২:৫০টাকায় দিতো। বিদ্যামন্দির ছাড়ার পরেও ঝন্টু দা দীর্ঘদিন ও ই রেটে দিয়েছে। তারপরে এক দিন আমি জোর করে পুরো টাকা দিলাম।
  • rimi | 178.26.205.19 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৪১546888
  • আরে লেখা পড়ে যেটুকু বোঝার সেটুকুই তো বুঝেছি। এর থেকে বেশি বুঝতে গেলে হয় অন্যদের আরো লেখা পড়তে হয় নয়তো নিজে গিয়ে থেকে আসতে হয়। বলা বাহুল্য, দ্বিতীয়টা সম্ভব নয়। আর প্রথমটা, তুমি লিখলেই হয় তো। লিখে ফেলো।
  • rini | 178.26.205.19 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৪২546889
  • ইয়ে, আমি আগেই জানতাম আমার লেখা পড়ে অপু হ্যাভক চটবে ঃ-)))))
  • প্পন | 132.252.231.6 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৪৬546892
  • রিমিরা নিশ্চয় বাঙাল তাই না? : -)
  • প্পন | 132.252.231.6 | ১০ মে ২০১২ ২৩:৪৬546891
  • রিমিরা নিশ্চয় বাঙাল তাই না? : -)
  • rimi | 178.26.205.19 | ১১ মে ২০১২ ০০:২৩546893
  • হ্যাঁ অবশ্যই।
    কিন্তু ঘটিদের রুটিং কি অন্যরকম? আমার ঘটি শ্বশুরবাড়িতে তো একিরকম ব্যপার হয় প্রায়।
  • প্পন | 132.252.231.6 | ১১ মে ২০১২ ০০:২৬546894
  • ঘটিদের কথা কেমনে জানব? আমাদের বাড়িতেও ওই তিনবেলা ভাত হত। রুটি মানে শুধু সকালের জলখাবার।
  • rimi | 178.26.205.19 | ১১ মে ২০১২ ০০:৩৩546896
  • প্পনও বাঙাল তাহলে! ভেরি গুড। ঃ-))
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ০০:৩৩546895
  • আমিও তাপ্পরে ঝণ্টুদারই খদ্দের ছিলাম, ধারে ঝালমুড়ি খেতাম

    আর অপুদা আমি জানিনা তোমাদের সময় ছলো কিনা, আমাদের সময় কুলি লাইনে ফুলচাঁদ বলে একজনের চায়ের দোকানে যেতাম বিকেলবেলা, হেবি চা বানাতো, আর তার পাশেই একটা উড়িয়া চপের দোকান ছিলো, ঘ্যামা চপ বানাতো,

    পরে সেই অন্চলেই নানপুরির দোকান হয় ১.৫০ টাকা পিস, সাথে ঘুগনি ফ্রি, কি একটা মশলা আর চাটনি দিতো, মাশাল্লাহ, এই তিনটে জিনিস আজো মিস করি, চা চপ আর নানপুরি, অবশ্য বরানগরেও কিছু ভালো চপের দোকান ছিলো, তবে উড়িয়াটা সেরা! ধোঁকাভাজাটা যা করতো না! ভেবেই জিভে জল গড়াচ্ছে।
  • একক | 24.99.45.47 | ১১ মে ২০১২ ০০:৩৫546897
  • খাওয়া দাওয়া নিয়ম মেনে করা ছেড়েছি সে বহুকাল হলো . স্নান পেলে স্নান করি . হাগা পেলে হাগা . খাওয়া উ তদ্রুপ . বেলুর এ একটা সময় খাওয়া নিয়ে অনেক অসন্তোষ তৈরী হয় সেটা আমিও শুনেছি. নিশান যা লিখলো সেটা একেবারে ভুলভাল নয় . আর সন্ন্যাসী মানেই যে ভীসন ছাত্রদরদী হন সবাই তা নয় . সৌভাগ্যক্রম এ যে কজন কে পেয়েছি তাঁরা অন্যদের না খাইয়ে নিজে ভালো খাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন নাহ . এই অভিজ্ঞতা গুলো সবার সঙ্গে সবার মেলেনা .অনেকে সারাজীবন মিশনের ওপর খাপ্পা হয়ে থাকে ,আবার আমি যাদের সঙ্গে থেকেছি তারা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ. এখনো কত সময় আগে থেকে কোনো খবর না দিয়ে কলকাতা গিয়ে ডিনার টাইম পার করে সেন্টার এ হাজির হই. রুটি-তক্কারী যা থাকে মহারাজের সঙ্গেই ভাগ করে মেরে দিয়ে সারারাত তুমুল আড্ডা চলে .
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ০০:৩৬546898
  • প্রেয়ার হলে ঘুম, দাগা দিয়ো না আর, আমি তবলা বাজাতুম ঘুমোনর সুযোগ ছিলো না, শ্রীভবনে থাকার সময় তো আরোই ছিলো না, :(

    আর আমাদের মহারাজ, সকালে ঘুমোতে দেখলে পুকুরধারে বসিয়ে দিতো :(
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ০০:৩৭546899
  • আমি একেবারেই মিশন বিরোধী না, বিদ্যামন্দির বিরোধী বলা যেতে পারে, আমার নরেন্দ্রপুরের ৮ বছর আমার জীবনের সেরা দিন!
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ০০:৪০546900
  • টুকরো কিছু কথা

    প্রথম সিগারেট টানলুম বটে, কিন্তু প্রথম আতঙ্কও সাথে সাথে চলে এলো, এখন সিগারেটের মূল সমস্যা গন্ধ, সবার দেখাদেখি আমিও তর্জনী এবং মধ্যমাতে কিছুটা পাতা ঘষে নিলাম, শিবু মাইতির দোকান হয়ে ফেরার পথে দুটো ক্লোরোমিণ্ট খেয়ে নিলাম,

    রাজু প্রথম দিন থেকে এসেই ফুঁকছে, জিন্দালের গলিতে যদ্দূর মনে পড়ে, মিনি ১১, ১২ কেলাস বেলুড়ে করেছে, কাজেই ওর সমস্যা ছিলো না, আমি প্রথম দিন ফুঁকলাম কাজেই আমার আর কি?

    বরং অরুনাভ প্রথম দিন এসে হালে পানি পায় নি, টান ঊঠেছে, এদিকে টানার উপায় নেই, বেচারা একটা গোল্ড ফ্লেক কিনে রিকশায় করে গেছিলো, ১০ টাকা যেতে, ১০টাকা আসতে, তাহলে কুল্লে একটা গোল্ড ফ্লেকের পেছনে খরচ দাঁড়ালো ২২টাকা, এটা ২০০৪ সালের কথা।

    কালক্রমে আবিষ্কার করা গেলো আমার আর অরুণাভর টান সবচেয়ে বেশী ওঠে, ফলতঃ আমরা দুজনে ধীরে ধীরে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে ফোঁকা আরম্ভ করলাম।

    প্রথমদিকে ফুঁকতে যেতাম জিন্দালের গলি পেরিয়ে অনেকদূর, কালে কালে সেটা হয়ে দাঁড়ালো বেলুড় মঠ স্টেশনের শেষ প্রান্ত, মঠ থেকে একজন মহারাজ আসতেন, স্টেশনের তত্ত্বাবধানের কাজে, যা হোক তিনি ভালোমানুষ ছিলেন, এবং স্টেশন আর রেললাইন বাদ দিয়ে আর কিছু দেখতেন না এই বাঁচোয়া ছিলো,
    -----------

    প্রথম বর্ষের সব ঘটনা মনে নেই, মনে থাকা সম্ভবও না, এসময়টা বেশ খানিকটা উপভোগ করেছি, কারণ নকলী বাবা বিশেষ মাথা ঘামাতো না, পিংকি হস্টেল বিষয়ে মাথা ঘামাতো না, আর শমকে টুপি পরানো সহজ বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে হোতো।

    তবে শমর মাথাতেও প্যাঁচ কম ছিলো না সে প্রসঙ্গে পরে আসছি,

    বেলুড়ে আসার পর তিনটে ভ্রমণ হোতো, প্রথমটা নিতান্ত আঞ্চলিক, অর্থাৎ কিনা শুধুমাত্র বেলুড় মঠ, আমরা বলতাম লোকাল টুর, পরের টা সেমি লোকাল, অতএব কিনা কলকাতা টুর, আর শেষের টা গ্লোবাল টুর, অর্থাৎ কিনা কামারপুকুর ও জয়রামবাটী ভ্রমণ!

    প্রথম ভ্রমণে আমাদের আকর্ষণীয় কিছু ঘটেনি, বরং পরের বছর অঙ্কে স্নাতকোত্তর আরম্ভ হবার পর এক ক্ষণজন্মা পুরুষ বিশেষ ছাপ রাখেন।

    তাঁর ডাকনাম ক্যালা, ভালো নাম প্রকাশ করলাম না, যে সন্ধান জানে সে এমনিই বুঝবে বাকিদের বোঝার দরকার নেই।

    ক্যালাদের আমলে লোকাল টুরে নিয়ে যায়, পরিমল মহারাজ, কুলোকে বলতো টাঁড়বারো, যারা আরণ্যক পড়েছে তারা বুঝবে নামের তাৎপর্য!

    টাঁড় নিয়ে গেছেন নীলাম্বরবাবুর বাগান বাড়িতে, দেয়ালে ছবি টাঙানো, আলমবাজার মঠে, স্বামীজী এবং অন্যান্য লোকেদের ছবি টাঙানো, টাঁড় বলছেন, তখন স্বামীজীদের পয়সা ছিলো না, এমন অবস্থা, একটাই কাপড়, সেটা পরে লোকজন পালা করে বাইরে বেরোতেন।

    ক্যালা হঠাৎ করে প্রশ্ন করলো পেছন থেকে আচ্ছা এরকম খারাপ অবস্থা, তো ছবি তুললেন কিকরে?" অত্যন্ত মৌলিক প্রশ্ন, টাঁড় কিছুক্ষণ থমকে বললেন " মানে, কোনো বন্ধু ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো আর কি!"

    ক্যালার স্বগতোক্তি "কি বন্ধু রে বাবা, দেখেছেন, ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দিলো, এদিকে খাবার দাবার, জামাকাপড়ের কোনো ব্যবস্থা করে নি"

    টাঁড় থ, সবাই চুপ! এর পর কি আর কিছু বলা সম্ভব?

    ------------------

    আমাদের বেলা সেমি লোকাল টুরে কোনো মজা হয়নি, শুধুমাত্র মনে পড়ে জায়গায় জায়গায় বসে গান করতে হয়েছিলো, তবে কিনা গ্লোবাল টুরে বেশ মজা হয়েছিলো, অন্ততঃ কামারপুকুরে যেখানে থাকতে দিয়েছিলো, সে ঘরে নিদেন পক্ষে ৫০-৬০ জন ছিলো, এবং দরজা বন্ধ করে উত্তাল বাওয়াল করা হয়, এবং, মহারাজ আসা সত্ত্বেও দরজা খোলা হয় না, তবে ফেরার সময় বাসে হেবি ঝাঁকুনি হযেছিল সেটা মনে আছে।

    পরের এক ব্যাচে, সঙ্গে গেছেন বালটু, বালটুর আদত নাম আর লিখলাম না, প্রথমে ছিলেন হস্টেল আপিসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে পরে কলেজ আপিসের দায়িত্ব নেন। তা বালটু সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছেন, দেখা হোলো এক মাতালের সাথে।

    মাতাল জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কোত্থেকে এসেছেন?

    বালটু বললেন বেলুড় মঠ!

    মাতালের প্রশ্ন "বেলুড় মঠে কি বাস রাখার জায়গা নেই?"

    বালটু চুপ, কি বলবেন কিছু বুঝতে পারছেন না, মাতালের দ্বিতীয় বক্তব্য "আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়, আপনি ছোটলোক ঘর থেকে মহারাজ হয়ে গেছেন!"

    আর দেখে কে, বালটু আস্তিন গুটিয়ে মারতেই যাচ্ছিলেন, নেহাৎ প্রচুর লোক হয়ে গেছিলো, তারা ধরার চেষ্টা করছিলো বালটুকে আর বালটু চেঁচাচ্ছিলেন "ছেড়ে দিন আমাকে, আমি আগে মানুষ, পরে মহারাজ ", তাই রক্ষে, দুজনে একা থাকলে কি হোত বলা ভারী মুস্কিল!

    ---------------------------------

    বালটুর আরেকটা ঘটনা এ প্রসঙ্গে এসে গেল, মানে বালটু প্রসঙ্গে! আমরা যখন প্রথম বর্ষ তখন তৃতীয় বর্ষে একটি ছেলে ছিলো যাকে লোকে বলতো হুলো, বালটু যাবে বাংলাদেশ, হুলো গিয়ে ধরলে

    হু: মহারাজ আপনি বাংলাদেশ যাবেন
    বা: হুঁ, তাতে তর কি?
    হু: না বলছি মানে, সবাই যেভাবে যায় সেভাবেই যাবেন তো?
    বা:কিভাবে

    তখনও বালটু বোঝেনি, কেলোটা হতে চলেছে

    হুলো ফস করে বলে " মানে ঐ লুঙ্গি পরে বর্ডার অব্দি গিয়ে, লুঙ্গিটা কোমরের উপর তুলে দৌড়, এই আর কি,

    আর যায় কোথায়, বালটু আক্ষরিক অর্থে পেছনে তাড়া করে, ভাগ্যিস লুঙ্গিটা কোমরের উপর তোলে নি!

    -------------------------------

    প্রথম সিগারেট খাওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে মনে পড়লো, নরেন্দ্রপুর কলেজে পড়ার সময় একটা পাইপ কিনেছিলাম, প্রথমবার অ্যাম্ফোরা তামাক কিনেছিলাম ৫৫টাকা গচ্চা দিয়ে, পরের বার ভুল শুধরাতে গিযে ১১ টাকা দিয়ে সেইলার মানে নাবিক নামের একটা তামাক কিনেছিলাম, সে যে কি তামাক ভাই কি বলবো! খেলেই মনে হোতো ফুসফুসে কেউ ঘুঁষি মারলো, আমি আর অমর্ত্য বসে এক বসন্তের রোদেল দুপুরে গৌরাঙ্গ ভবনের তিনতলায়, ডব্লিউ-২৬ এর সামনে বসে শেষ করেছিলাম।

    কিরকম ঝিম ধরে গেছিলো, চাদ্দিক রোদে ভেসে যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুরের গাছে গাছে সবুজ, একটা বোলতার চাক বারান্দায়, মাঝে মাঝে বিষাক্ত সোনারং উড়ে যাচ্ছে ইতিউতি, কোনো একটা পাখি মাঝে মাঝে ডেকে উঠছে, আর আমরা হাসতে হাসতে কাশছি, আর কাশতে কাশতে হাসছি।

    বেলুড়ের প্রথম বর্ষের শেষ পরীক্ষার আগে হঠাৎ খবর পেলাম, অমর্ত্য আত্মহত্যা করেছে! হলে ঢোকার মুখে, নকলী বাবাই খবরটা দিলো, এবং কোনোরকম চ্যাংড়ামি না করে, ঘরে নিয়ে গিয়ে বসালো, মন খারাপ করতে বারণ করলো, শ্মশানে যেতে বারণ করলো, কারণ গেলে নাকি আমি আরো কষ্ট পাবো,

    কিন্তু আমার তখন আগাপাশতলা সব মুছে গেছে, কোথায় কি, চারিদিকে নরেন্দ্রপুর, রোদে ধুয়ে যাচ্ছে চারিদিক, আমরা বসে আছি তামাক নিযে, আর একরাশ হাসি....

    কই খারাপ লাগছে না তো.....

    *********
    ক্রমশঃ
    *********
  • অপু | 24.99.149.251 | ১১ মে ২০১২ ১০:২৫546902
  • নিশান ব্যাপক হচ্ছে। সেই পুরোনো দিন গুলো কে খানিক তা ছুঁতে পারছি।
  • অপু | 24.99.149.251 | ১১ মে ২০১২ ১০:৩৭546903
  • বিদ্যামন্দির র সব কিছি চলে ঘড়ির আর ঘন্টার সুরে।

    ১। ভোর ৫ টাঃ ঘুম থেকে উঠার বেল
    ২। ৫ঃ২৫ প্রেয়ার ঘরে যাবার বেল
    ৩। ৫ঃ৩০ ফাইনাল বেল
    ৪। ৫ঃ৩০ -৫ঃ৪৫/৫ঃ৫০
    ৫।টিফিন আনা ও খাওয়া ৫ঃ৫০ -৬ঃ০০
    ৬। ৬ঃ৯ পড়া। এক জন থাকতেন তিনি দেখতেন আমর পড়ায় ফাঁকি দিচ্চি কিনা। আমাদের সময় ছিলেন সুনীল দা।
    ৭। ৯-৯ঃ৩০ঃ স্নান ইত্যাদি।
    ৮। খাওয়ার বেল ৯ঃ৩০
    ৯। ১০ঃ১০ থেকে ক্লাস
    ১০। সন্ধ্যের প্রেয়ার ৫ঃ৩০ ( ৬) - ৬(৬ঃ৩০)বছরের কোন সময় তার ওপর নির্ভর করে।
    ১১। সন্ধ্যের পড়শুনা ৬ - ৯
    ১২। খাবার বেল ৯ টায়
    ১৩।ঐ সময় TT রুমের দরজা খোলে আধ ঘন্টার জন্যে। আমর খাওয়া সেরেই দৌড় দিতাম।রেডিও তে গান ও শোনানো হত।
    ১৪। ১০-১১ টয় পড়া।
    ১৫। ১০ঃ৪৫ এআলো নিভিয়ে ওয়ার্নিং
    ১৬। আলো অফ। উৎসাহী ছাত্ররা কেরোসিন জোগাড় করে তার আলোয় পড়তো। কিন্তু ঘরের অন্যান ছেলে দের অসুবিধ্হ হবে বলে তার অলো চালতে পারতো না।
  • অপু | 24.99.149.251 | ১১ মে ২০১২ ১১:০৪546904
  • কেন বিদ্যামন্দির?
    --------------------
    ১। বিদ্যামন্দিরের স্যার ( বেশীর ভাগ স্যার) অসম্ভব ভালো কোয়ালিটি র আর ছাত্র দের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত

    ২। ছাত্র নির্বাচন পদ্ধতি। একটা বেশ গাঁট অ্যাডমিশন টেস্টের মধ্যে দিয়ে সবাই কে যেতে হত।

    ৩। সকাল এবং সন্ধ্যের পড়ার আগে প্রেয়ার। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মনঃসংযোগ বাড়ানো। আমি সকালের প্রেয়ার বেশীর ভাগ দিন ই ঘুমোতাম কিন্তু মন দিয়ে সন্ধ্যের প্রেয়ার করতাম তাতে ফল হতো।

    ৪।রুম এ ছেলে দের নির্বাচনঃ একট রুমে ৪ টে করে ছেলে থাকতো। মহারাজ রা খুব ভেবে চিন্তে ছেলে পিলে দের মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করতেন এবং এমন একট পরিবেশের সৃষ্টি হত এখানে একটু কম পিছিয়ে পরা ছেলে টির মনে ভালো রেজাল্ট করার উদগ্র বাসনা তৈরী হত।

    ৫।বিদ্যামন্দিরে বেশীর ভাগ শনি বার খুব ভালো ভালো সেমিনার হত। বিভিন্ন বিষয়ে (ক্রীড়া জগত থেকে সাহিত্য,অর্থনীতি এই সব জগতের দিকপাল মানুষে আসতেন এই সেমিনারে বলতে)।

    ৬। মহারাজ রা সারাক্ষন ছেলে দের ওপর নজর রাখাতেন।কেউ কোন বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছে কিনা। এক্সট্রা টুটোরিয়্যাল ক্লাস। যে বিষয় টি কলেজে ভালো প্ড়ানো হচ্ছে না। তার জন্যে বাইরে থেকে অতিথি অধ্যাপক আনানো ইত্যাদি।

    ৭। বিদ্যামন্দিরে নানা রকম সাংস্কৃতিক কর্মাশালা লেগেই থাকতো। নাটক,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা, দেওয়াল ম্যাগাজিন লেগেই থাকতো। অনেক লাজুক ছেলে ও এই রকম একত পরিবেশ য়ে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা কে তুলে আনতে পারতো।

    ৮। এখন ও প্রতি বছর বিভিন্ন সাবজেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার লিস্ট বেশ কিছু নাম থাকে ।

    ৯। শেষে লোকে একট নাম্বার দেখতে চায় । তাই ঠিক মনে পড়ছে না। কিন্তু বিদ্যামন্দিরের ন্যাক স্কোর ৯৫ ব ৯৭+

    আরো অনেক ব্যাপার আছে। আপাততঃ এই।
  • প্পন | 212.91.136.71 | ১১ মে ২০১২ ১১:৩৭546905
  • কিন্তু, একটা প্রশ্ন আছে। দৈনন্দিন ঘুমের জন্য (তাও ওই বয়সে) আট ঘন্টা কি জরুরি নয়? আমরা যারা অনিয়মিত ঘুমোই, তারাও সুযোগ পেলে এক-আধদিন বেশি ঘুমিয়ে সেইটা পুষিয়ে দেই। মানে শরীর ঠিকই পুষিয়ে নেয় এইভাবে।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ১১ মে ২০১২ ১৩:০৫546906
  • এটা কলেজ না নাজী-দের জেলখানা?

    কলেজের ছেলেপুলে সিগারেট খেলে ফাইন করবে?

    নিজেকে অশেষ ভাগ্যবান মনে হয় মাঝে মাঝে, এই সব জায়গায় পড়িনি বলে। .
  • অপু | 24.99.84.71 | ১১ মে ২০১২ ১৩:১৮546907
  • আর হ্যাঁ ওখানে ছাত্র দের রাজনীতি করার বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই। সুযোগ নেই কোন স্যারের ওপর স্টুডেন্ট দের ভুল্ভাল দাবি দিয়ে প্রাভব সৃষ্টি করা
  • ranjan roy | 24.99.210.97 | ১১ মে ২০১২ ১৩:৫৭546908
  • খুব মন দিয়ে নিশানের লেখা পড়ছি। অপুর কমেন্ট পড়ছি। বিদ্যামন্দির তো কলেজ, আমি পড়েছি স্কুলে, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনে । অনেককিছু মেলে, আবার অনেকটাই মেলে না। রোজের রুটিন মেলে, প্রেয়ার-জলখাবার-টিউটোরিয়াল-স্নান-স্কুল-জলখাবার -খেলা-প্রেয়ার-টিউটোরিয়াল-খাওয়া-লাইট অফ। আবার রোববারে ডকুমেন্টারি, সিনেমা। সকালে ধর্ম ক্লাস। বছরে একবার এক্সকারশন, সাধুসেবা, রহড়া ইত্যাদি মিশনের সঙ্গে ম্যাচ, নিজেদের নাটক ইত্যাদি।
    মেলেনা খাওয়া-দাওয়া। খুব খারাপ।কারি পাউডারের ঝোল ঠিকমত মশলা ভাজা না হওয়ায় ভাতের ওপর মশলা, নীচের থেকে বয়ে যায় জল। পিঁড়ে গুলো ময়লা জমে কালো, খাবার ঘরের ফ্লোর ময়লা। চানের পুকুরের জলে কচুরিপানা। খোস-পাঁচড়া খুব কমন।
    ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট ছিল।
    পরে কিছু পরিবর্তন হয়, মানছি। পানাপুকুর বোজানও হয়। স্নানের কল লাগে। খাবারের মান একটু ভালো হয়।
    আর ছিল ব্যাপক হোমোসেক্স, ভীষণ ঝটকা লেগেছিল।
    কিন্তু ধীরে ধীরে এই মিশন, এই স্কুল, এই হস্টেল আমার নিজের হয়ে যায়। আমরা যত ইচ্ছে গাল দেই, অন্য কেউ কিছু বল্লে হাতা গুটিয়ে ঝগড়া করতে তৈরি হয়ে যাই।
    যদিও টি সি খেয়েছি, কিন্তু আজ কোন রাগ নেই। বুঝি হস্টেলের অভিজ্ঞতা আমাকে শক্তিমান করেছে, বিপরীত পরিস্থিতিতে বেঁচেথাকার সাহস ও শক্তি দিয়েছে।
    ভর্তি হয়েছিল দাদুর প্রভাবে গীতা-চন্ডী নিয়মিত পড়া অতি ধার্মিক রঞ্জন , পাঁচ বছর পরে বেরিয়ে এল নাস্তিক, ধর্মীয় আড়ম্বরকে স্কেপ্টিকের বাঁকা চোখে দেখা রঞ্জন।
    কিন্তু ঐ পরিবেশে শিখেছি সংঘশক্তিকে শ্রদ্ধা করতে। বন্ধুদের ভালবাসতে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে। আমার সেই সময়ের বন্ধুরা অনেকেই মিশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমি নই। আমার চোখে এটিও কমিউনিস্ট পার্টির মত একটি সামাজিক সংগঠন। একটি ঐতিহাসিক লগ্নে জন্মেছে, বর্দ্ধিত হয়েছে, এখন ক্ষয়ের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
    আজ রাজারহাটের যে ফ্ল্যাটে এসে ভাড়ায় উঠেছি, তাও আমার মিশনের হস্টেলের ছোটবেলার বন্ধুর। ভালবাসা আজও অক্ষুণ্ণ।
    কিন্তু আমার মেয়েদের স্কুল জীবনে নিজেদের কাছে রেখে কলেজ জীবনে হস্টেলে পাঠিয়েছি। ফল ভালই হয়েছে।
    কয়েক বছর ধরে ভাবছি-লিখব সেইসব অম্লমধুর নীল-লাল-সবুজ-কালো দিনগুলোর বৃত্তান্ত, সাহসে কুলোয় না। সবই যে লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু কিছু কিছু বাদ দিতে হয়। কোনটা বাদ দেব? কতটা বাদ দেব? বুঝতে পারিনা। তাই লিখছিনা। স্কুলজীবনের হস্টেল যে অন্যরকম।
    নরেন্দ্রপুরের তরুণ মহারাজ(গবা?) আমার একবছরের জুনিয়র, হালিশহর থেকে আসা কোরাধুতি পর্থা মঙ্গোলয়েড ধাঁচের চেহারা তরুণ আমার রুমমেটও ছিল। কখনো কখনো পেছনে লেগেছি, কিন্তু বেশ লাভেবল্‌। রসেবশে ছিল, সন্ন্যাসী হবে ভাবিনি।
    যদ্দূর মনে পড়ছে মেনগেটের ওপারে জয়শ্রী সিনেমার সামনে ফুটপাথ থেকে মাসিক আট আনা
    ভাড়ায় নিয়ে আসা সচিত্র কোকশাস্ত্রও ওকে পড়িয়েছিলাম।ঃ)))
    ধ্যাৎ, আমি যে থামতে জানি না। তাই না লিখলেই ভাল।
  • ranjan roy | 24.99.210.97 | ১১ মে ২০১২ ১৪:০৭546909
  • অপু,
    ছাত্রদের দাবী কি সবসময় ভুলভাল? তাহলে আমাদের মিশনে কখনো কখনো ছাত্রদের ( ডে-স্কলারদের) আন্দোলনে টিচরদের পরোক্ষ সমর্থন ছিল কি করে? হ্যাঁ, সেই ১৯৬৪তেও। আর যদ্দূর মনে পড়ছে ১৯৬৮তে বিদ্যামন্দিরে ছাত্রদের( হস্টেলের) আন্দোলনে হস্টেল বন্ধ করে দিয়ে অনেককে টিসি ধরানো হয়েছিল। আমি তখন মৌলানা আজাদে পড়ি। আমাদের স্কুলের পুরনো বন্ধু জয়ন্ত বন্দ্যো বিদ্যামন্দির থেকে টিসি খেয়ে আমাদের কলেজে চেষ্টা করছিল, তখন জেনেছিলাম।
    আর টিচার, বাবা-মা,গুরুদেব, পার্টির দাদা -- এঁদের গুরুজন বলে কো্শ্চেন করা চলবে না, মেনে নিতে হবে-- এমন কনফুসীয় অন্ধ আনুগত্য কি একুশের শতকে কাম্য?
    শিক্ষাক্ষেত্রে গুন্ডামির, দলীয় অন্ধ আনুগত্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে কোশ্চেন করাটাই বন্ধ করে দিলে জন্মফুল ফেলতে গিয়ে বাচ্চাটা ফেলার মতন হবে না কি?
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ১১ মে ২০১২ ১৪:১৮546910
  • আমি একটা জিনিস দেখেছি। যে কোনো ধর্মীয় ছোঁয়া লাগা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলটিমেটলি দক্ষিনপন্থার হেজিমনি কেন্দ্র হয়ে যায়। এই রাজনীতি খারাপ টাইপের কথাবার্তাগুলো সেন্ট-জেভিয়ার্সেও শোনা যাবে। মানে একদম নীতিগতভাবে মনে করা হয় এটা।

    এই কারণে এসব জায়গা থেকে ভাল কেরিয়ার-ওয়ালা ছেলে বেরোতে পারে, কিন্তু ইন্টেলিজেন্সিয়া কম আসে।

    দীপঙ্কর ভট্চাজরা ব্য্তক্রম, নিয়ম না। .
  • dukhe | 212.54.74.119 | ১১ মে ২০১২ ১৪:২৫546911
  • ইউনিয়ন, এসেফাই আর সিপি ছাড়াও যে কলেজ দিব্বি চলে (হয়তো তুলনায় ভালোই চলে), রামকেষ্ট মিশনের কলেজে এটাই মালুম হয়।
  • অপু | 24.99.84.71 | ১১ মে ২০১২ ১৪:২৯546913
  • না রঞ্জন দা অন্ধ ভাবে মেনে নেবো কেন?

    দেখুন এই বয়েস টা এমন একটা বয়েস যাতে আমরা নিজেদের ভালো মন্দ সব সময় বুঝতে পারি না। তাই ব্যক্তিগত ভাবে আমি ছাত্র দের রাজনীতি করার বিপক্ষে। ( একট নির্দিষ্ট বয়েস অবধি) আমি আমার প্রেসি অনেক প্রতিশ্রুতি মান ছেলে শুধু এই রাজনীতি এবং তার সাথে রিলেটেড বাওয়ালি করতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে।

    আমি অন্ততঃ পছন্দ না হলে বা মতের সাথে না মিললে মহারাজ দের শক্ত শক্ত প্রশ্ন করতাম তো।

    বাবা মা কেও করেছি কখনো কখনো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন