এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমি আমার বেলুড় জীবন নিয়ে একটা লেখা লিখছিলাম, highly non linear, কারণ linearity আমার ধাতে নেই, এন্তার বানান ভুল আছে, লেখার প্রথম তিনটে কিস্তি দিলাম, লোকজনের ভালো লাগলে আরো দেব,

    Nishan Chatterjee
    অন্যান্য | ০৯ মে ২০১২ | ২৭৭৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অপু | 24.99.84.71 | ১১ মে ২০১২ ১৪:৩০546914
  • সিদ্ধার্থ র 2:18 মুচকি হাসির সাথে ডাক করলাম।ঃ-))
  • কে জানে! | 24.96.36.227 | ১১ মে ২০১২ ১৪:৪৮546915
  • একটা ইন্টারেস্টিং গল্প বলি।

    অশোক রাও কভি ভারতের সমকামী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। আশির দশকের মাঝামাঝি যখন সমকামিত্ব আলোকপ্রাপ্ত মহলে ততটা "শিক" (chic) হয়ে ওঠে নি, সেইসময় অশোক নিজের সমকামিত্ব ঘোষণা করে সমকামীদের জন্য বিভিন্ন প্রয়াস শুরু করেন। অশোক রাও কভি প্রথম জীবনে সামাজিকভাবে সমকামিত্ব প্রকাশ না করতে পেরে, নিজের যৌনতা থেকে নিজেকে আড়াল করতে রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসের শিক্ষানবিশি করেন। অশোকের গুরুস্থানীয় ছিলেন স্বামী হর্ষানন্দ। স্বামী হর্ষানন্দ অশোককে কি বলেছিলেন সেটা অশোকের মুখ থেকেই শোনা যাক।

    গে টুডের সাক্ষাৎকারে অশোক বলছেন- "I did my diploma in religion and comparative theology from the Ramakrishna Math where I trained to be a monk. I also discovered my gay nature there and was given sensible counseling for it by the monks. “Accept it as natural. Whatever occurs in nature is natural though it may not be common,” advised my counselor, Swami Harshananda."

    সমকামীদের সাহিত্যের গবেষিকা রুথ ভনিতা লিখছেন- "Gay activist Ashok Row Kavi recounts that when he was studying at the Ramakrishna Mission, a monk told him the Mission was not a place to run away from himself, and that he should live boldly, ignoring social prejudice. Row Kavi went on to found the Indian gay magazine Bombay Dost. "

    ইন্ডিয়াটাইম্সের সাক্ষাৎকারে অশোক- "The interesting thing is that I came out as a gay man in the Ramakrishna Mission where I was studying to be a monk and my counselor there, Swami Harshananda, thought it was no big deal. In fact, he drove me out saying -- this is not a place you can hide your homosexuality, go and fight for what you think is right."

    ইতিহাস বড়ো বিচিত্র। অনেক সময়ই আমাদের বোধের নাগালের বাইরে।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ১১ মে ২০১২ ১৫:১৬546916
  • হর্ষানন্দ নিঃসন্দেহে ব্যাতিক্রম। মিশনগুলোতে সমকামীতা খুব ব্যাপক না হলেও, বেশ আম ব্যাপার। সত্যি কথা বলতে কি হস্টেল, বিশেষ করে স্কুল হস্টেলে সমকামীতা স্বাভাবিক ভাবেই আসে, কিন্তু ট্যাবু হয়ে।
    আমার মনে হয়, আমাদের মতো রক্ষণশীল সমাজে সব মানুষের জীবনেই সমকামীতা আসে, বয়ঃসন্ধিতে। যৌন বোধ জাগছে, কিন্তু অন্য লিঙ্গের সাথে যোগাযোগ প্রায় নেই। এরকম অবস্থায় ইনসেস্ট ও সমকামীতাই বয়ঃসন্ধিকালের মানুষের আশ্রয়।
    এ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও বটে।
    এখন অবস্থা হয়তো পাল্টেছে, আমার ধারনা নেই।
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৫:৪৩546917
  • অপুদা তোমাদের আমলে কিরকম ছিলো জানি না, আমাদের সময় বাড়াবাড়ি ছিলো বেশ কিছু

    ৪।রুম এ ছেলে দের নির্বাচনঃ একট রুমে ৪ টে করে ছেলে থাকতো। মহারাজ রা খুব ভেবে চিন্তে ছেলে পিলে দের মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করতেন এবং এমন একট পরিবেশের সৃষ্টি হত এখানে একটু কম পিছিয়ে পরা ছেলে টির মনে ভালো রেজাল্ট করার উদগ্র বাসনা তৈরী হত।

    আমরা বিড়ি খেয়ে সাসপেণ্ড হয়ে ফেরার পর, ডিপার্টমেণ্ট না দেখে একসাথে এক ঘরে পাঁচজনকে দিয়ে দেয়, এবং তার সাথে আমাদের পড়াশুনার উন্নতির কোন সম্পর্ক নেই।

    ৫।বিদ্যামন্দিরে বেশীর ভাগ শনি বার খুব ভালো ভালো সেমিনার হত। বিভিন্ন বিষয়ে (ক্রীড়া জগত থেকে সাহিত্য,অর্থনীতি এই সব জগতের দিকপাল মানুষে আসতেন এই সেমিনারে বলতে)।

    হোতো, কিন্তু প্রতিটা সেমিনার প্রতিটা ছেলের ভালো লাগবে এমনটা সম্ভব না! কিন্তু তাও জোর করে প্রতিটা সেমিনারে যেতে হবে এটা পাতি বাড়াবাড়ি।

    ৬। মহারাজ রা সারাক্ষন ছেলে দের ওপর নজর রাখাতেন।কেউ কোন বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছে কিনা। এক্সট্রা টুটোরিয়্যাল ক্লাস। যে বিষয় টি কলেজে ভালো প্ড়ানো হচ্ছে না। তার জন্যে বাইরে থেকে অতিথি অধ্যাপক আনানো ইত্যাদি।

    নজর রাখতেন বটে তবে সবসময় পড়াশুনার দিকে না, এবং ছেলেটি কে তার উপর নির্ভর করতো কোনদিনে নজর রাখা হবে!

    ৭। বিদ্যামন্দিরে নানা রকম সাংস্কৃতিক কর্মাশালা লেগেই থাকতো। নাটক,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা, দেওয়াল ম্যাগাজিন লেগেই থাকতো। অনেক লাজুক ছেলে ও এই রকম একত পরিবেশ য়ে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা কে তুলে আনতে পারতো।

    খুব কম লোককেই করতে দেখেছি, আর আমার ওগুলো করতেও ভালো লাগতো না, তার চেয়ে সন্ধেবেলা স্বাধীন ভাবে ঘুরতে দিলে কাজে দিতো

    ৮। এখন ও প্রতি বছর বিভিন্ন সাবজেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার লিস্ট বেশ কিছু নাম থাকে ।

    থাকে, কিন্তু থাকেও যে না তার প্রমাণ স্বয়ং আমি, প্রত্যেক দিন সন্ধেতে পাঁচিল টপকে বেরোতাম, কারণ রোজই মনে হোতো কাল যদি না বেরোতে পারি, নাহলে জেটিতে গিয়ে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে জয়শ্রীতে গিয়ে পানু দেখা (সবসময় পানুটাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো এমনটা না, নিয়ম ভাঙাটা), আমার পড়তে ইচ্ছে করতো রাতে, কিন্তু ১১টায় লাইট অফ, আর তাছাড়া যখনই শোও না কেন শীত গ্রীষ্ম বর্ষা নির্বিশেষে ৫ টাতে উঠতেই হবে! সেটা আমার মোটেও ভালো লাগতো না। আমার গোটা জীবনে সবচেয়ে খারাপ ফল আমার বেলুড়ে থাকতেই, টেনে হিঁচড়ে ফার্স্ট ডিভিশন, যেখানে আমার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ৯০% এর উপর, মাস্টার্স ৭৫% এর উপর, এবং পি এইচ ডি তেও যথেষ্ট ভালো স্কোর, কাজেই একা আমার দোষ বললে মানব না

    ৯। শেষে লোকে একট নাম্বার দেখতে চায় । তাই ঠিক মনে পড়ছে না। কিন্তু বিদ্যামন্দিরের ন্যাক স্কোর ৯৫ ব ৯৭+

    সেটার আগে কি করা হয়েছিলো আর আমাদের কি পরিমান খোঁচানো হয়েছিলো আমরাই জানি।
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৫:৪৮546918
  • ছাত্রদের রাজনীতি না করলেও যে চলে যায় তার প্রমাণ নরেন্দ্রপুর কলেজ, আর রাজনীতি না করলে যে চলে না তার প্রমাণ বেলুড়, আমি তেজসানন্দের আমলের একটা ঘটনা বলবো

    তেজসানন্দ তখন প্রিন্সিপাল, তিনি বাংলার মাস্টারমশাইকে বললেন, পল্লীসমাজ নাটক করাবেন। সবাই ছেলে, কাজেই এক ছেলেই সাজলো নারী, আরেকটি ছেলে রমেশ, কদিন বাদ থেকেই তাঁর মনে হোতে লাগলো যে ছেলেদুটির মধ্যে তিনি প্রয়োজনের থেকে বেশি ঘনিষ্ঠতা দেখছেন, এবং শুধুমাত্র এই ধারণার ভিত্তিতে দুজনকেই টিসি!

    এটা বিদ্যামন্দিরের ৫০ বছর পুর্তির ম্যাগাজিন থেকে পড়া!

    আমার কেসটা মোটে ভালো লাগেনি। সেক্ষেত্রে একটু ছাত্রদের কথা শোনারও ব্যবস্থা থাকা দরকার!

    আর একবার বেলুড়ে রেজাল্ট খারাপ করলেই হোলো, সাথে সাথে মার্কা মেরে দেবে!
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৫:৫০546919
  • আগের কমেণ্টের প্রথম কথাপ্রসঙ্গে বলি, নরেন্দ্রপুরে কিন্তু পলিটিকাল চিন্তাভাবনা encourage করা হোতো, ভস্তকের স্টল থেকে নানা ভালো ভালো বই পাওয়া যেত, নকশাল আন্দোলনের সময়ও ছাত্র শিক্ষকদের বেশ involvement ছিলো, মহারাজদের অবশ্যই ছিলো না।
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৫:৫৫546920
  • রঞ্জনদা আমার লেখাটা পড়ছেন দেখে বেশ রোমাঞ্চ হোলো, :) আমিও জয়শ্রীর খদ্দের ছিলাম :P তবে সবচেয়ে ভয়ানক কথা হোলো আপনি গবার সিনিয়ার, আর গবা কোকশাস্ত্র পড়েছে :D

    তবে আপনি হস্টেল জীবন এবং স্কুলের অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন আমি একেবারে একমত, আমি যখন ক্লাস ফাইভে ভর্তি হই নরেন্দ্রপুরে কেঁদে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন মনে হয় ঐ ছটা স্কুলের বছরে অনেক কিছু শিখেছি।
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ১১ মে ২০১২ ১৬:০৪546921
  • আমিও পড়ছি। ভালোও লাগছে লেখাটা।
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৬:০৫546922
  • দক্ষিণপন্থার হেজিমনি কথাটা মানব না সিদ্ধার্থদা, বলে তার কম কারণও থাকে না, আমার নিজের এক নরেন্দ্রপুরের বন্ধু এই রাজনীতির জন্য ভয়ানক ভুগেছিলো হিন্দু হস্টেলে থাকতে, যেটাএকেবারেই স্বাস্থ্যকর না, ওসব এসএআই জাতীয় জিনিস না থাকাই ভালো মনে হয় আমার, তবে ছাত্রদের খানিকটা ইউনিয়ন করতে দেবার অধিকার থাকা দরকার।

    কে জানে এবং কল্লোলদা, সমকামিতা ইশকুলে দেখেছি, কোন কলেজেই দেখিনি, নরেন্দ্রপুর স্কুলে, ঐ দামড়া বয়েসে বাঁধা থাকতাম সবসময়, মনে আছে একবার ক্লাস এইটে সংস্কৃত বর্ষ উদযাপন হবে, তাতে জানা গেলো মেয়েরা আসবে, ভালো কথা, সেদিন প্রোগ্রাম হচ্ছে একটা ঘাসের লনে, সামনে একটা সিমেণ্টের স্টেজ, আমরা ঘাসের উপর বসে, মেয়েরা যখন বসলো, তখন স্কার্টের তলা দিয়ে.... ছেলেপিলের কি আনন্দ, সবাই যে এই নিয়ে কি না কি আলোচনা করলাম তার নেই ঠিক।

    এর মধ্যে যেরকম বয়েসে প্রথম জানছি সেক্স বলে একটা ভয়ানক রোমাঞ্চকর বিষয় আছে, পানু বই পড়ছি প্রথম, গেট টপকে সামনের সাইবার ক্যাফে গিয়ে ডায়াল আপে পানু ছবি দেখছি, তখন স্বাভাবিক ভাবেই উদগ্র কামনা জাগে, অনেকেই অনেক কিছু করে, কিন্তু তারা অনেকে আবার পরের জীবনে অসমকামীও হয়ে যায়।

    আর তার উপর ছিলো অপ্রেশন, আমাদের ছক্কা ডাকনামের এক মহারাজ ছিলেন, যিনি ছেলেপিলেকে ঘরে ডেকে নানান জ্ঞান দিতেন যার মোদ্দা বক্তব্য বীর্য মাথায় তোলো! তিনি রাত ১১টার পর টর্চ নিয়ে ঘুরে দেখতেন কেউ উপুড় হয়ে শুয়ে আছে নাকি, পাছে বিছানায় ঘষে! কোন মানে হয়?

    এর মাঝে চাপা থাকলে যা হয় আরকি....

    তবে হর্ষানন্দ সত্যিই ব্যতিক্রম, ছক্কাকে আমি মোটেই ওরকম ভাবতে পারছি না!
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৬:১১546924
  • ছক্কাকে নিয়ে একটা গপপো মনে পড়ে গেলো

    ছক্কা প্রেয়ার হলটলে এসব জ্ঞান তো দিতোই, মাঝে মাঝে ঘরে ডেকেও নানা আরবিট প্রশ্ন করতো, আমাদের জুনিয়ার এক ছেলে, সানি নাম, তাকে একবার ডেকে পাঠিয়েছে।

    সানি আমাদের কাছ থেকে জেনে গেছে কিরকম কিরকম কোশ্চেন করে কি কি তার উত্তর, তাই যখন জিজ্ঞেস করেছে বেরোয় কিনা? কখন কখন এরকম হয়? এসব প্রশ্ন সানি একদম ঠিকঠাক উত্তর দিয়েছে।

    ছক্কার হঠাৎ সন্দেহ হওয়ায়, একটা আউট অফ সিলেবাস প্রশ্ন করে দিয়েছে, বল তো কি রঙের?

    সানি গেছে ঘাবড়ে, কি বলা যায় ভেবে পায় না। যা মনে হচ্ছে সেটা বললে যদি কেস খায়, হয়তো ফিজিক্সের এক্সপেরিমেণ্টের মত কেস, যা মনে হচ্ছে আসলে তা নয়।

    অনেক ভেবে ওর মনে হয়েছে একটু নীলাভ ব্যপারটা, মুখ ফসকে বলে ফেলেছে ultra violate!

    আর যায় কোথায়, বাকি ঘটনা ইতিহাস! সাদা বাংলায় সানির নিজের পেছন তারপর থেকে আর নিজের রইলো না!
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৬:১২546925
  • ধন্যবাদ Sinfaut :) আরো আসছে :)
  • নিশান | 82.89.200.226 | ১১ মে ২০১২ ১৬:১৪546926
  • রবিবাসরীয়
    -------------

    অনেকদিন হয়ে গেলো, লেখা হয়নি, টুকরো কিছু কথার তাৎপর্যে আবার আসবো, কিন্তু তার আগে প্রথম ঝিমঝিম থেকে কিভাবে পেছনে রিমঝিম এ এসে পৌঁছলাম সে কথায় আসা যাক আরো একবার, যেরকম বলেছিলাম, শম মোটেই খারাপ লোক ছিলো না, কিন্তু বেলুড়ের নিয়মকানুন এমনই যে যেকোন ভালো লোককেও মনে হবে শয়তানের আখড়া! বেলুড়ের রুটিন আগেই বলেছি, কিন্তু রোববার দিন এটা বেশ খানিকটা বদলে যেত!

    সকালে বাপুজী কেক আর চা দিতো, সেটা খেয়ে পড়াশুনা করার কথা, মজা ছিলো পড়ার সময়ের পর খাঁচা থেকে কিছুক্ষণ বেরোনো যেত, এদিকে আবার রোববার মাংস থাকতো, সেজন্য বুভুক্ষু হাভাতের মত আমরা পালকসহ মুর্গী খেতে সাড়ে বারোটায় ফিরতাম একখেপ। নাহলে কিন্তু সকালে বেরিয়ে একেবারে বিকেলে ফেরা যেতেই পারতো!

    দুঃখের বিষয় বেলুড়ের নানা লোকের মাথায় সুর্যের আলো ভালোভাবেই পড়তো, সালোক সংশ্লেষ ভালই হোতো, কাজেই কিভাবে সাড়ে সর্বনাশ আটকে ছেলেপিলের রবিবাসর বন্ধ করা যেতে পারে সেইটে তাঁরা ভালোই বুঝতেন, মানে তাঁদের মাথায় প্রকৃতই একদিকে পেরেক ঢুকিয়ে দিলে অন্যদিকে স্ক্রু হয়ে বেরিয়ে আসবে।

    এই সময় আমার সাথে বন্ধু হয় শুভদীপ কুমারের। আমাদের দুজনকেই পাগলা বললে আধা বলা হয়, আমরা সিনেমা দেখতে যেতাম না, প্রেম করতেও না, যেতাম হঠাৎ করে ট্রেনে চেপে আচমকা কোথাও একটা।

    সকালে চা খেয়ে কুমার ডাকবে আমায়, আমি বেরোব, গোপনে সারদাপীঠের পিঠ ঘেঁষে বেরোব, শিবু মাইতির দোকান থেকে সিগারেট নিযে দুজনে হাঁটতে আরম্ভ করবো বেলুড় মঠের লাইন ধরে, বেলুড় স্টেশনে এসে দেখবো কোন ট্রেন আসছে, হাওড়া যাব না, কারণ টিকিট কাটার বাসনা নেই, অতএব ধরতে হবে আপের ট্রেন, সেটা এখন কর্ড লাইন ও হতে পারে, মেনও হতে পারে, কিম্বা তারকেশ্বর লোকাল ও হতে পারে।

    মনে আছে একবার উল্টোদিকে হেঁটে লিলুয়ায় গেছিলাম, পিঁজরাপোলের কাছে, ওরকম নোংরা জায়গা আমি বাপের জন্মে দেখিনি!

    আরেকবার বেলানগর গিয়ে একটা রামকৃষ্ণ আশ্রমে গেছিলাম, যারা মিশনের সাথে যুক্ত নয়, সেখানে এক সাধু আমাদের নেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। সেবারেই লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম রাজচন্দ্রপুর, লাইন দিয়ে হাঁটা দুষ্কর, চতুর্দিকে নরবর! সে যাই হোক, আমরা গভীর আলোচনা করে ঠিক করলাম এখন হেঁটে ফেরা অসম্ভব, আমরা বরং শিয়ালদা ডানকুনি ট্রেন ধরে বালিঘাট গিয়ে অটো ধরে নেবো।

    কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম, চাপলাম ট্রেনে, বালিঘাট আসার পর আমাদের মধ্যে কেউ একটা বললো, "নামবি? এখন ফিরে কি হবে?" নামা আর হোলো না, নামলাম গিয়ে শিয়ালদায়, এবার কি করা যাবে? রোববারের বাজার, চাদ্দিক বেশ ফাঁকা ফাঁকা, আমরা ঠিক করলাম, চলো বালিগঞ্জ যাওয়া যাক, আদত গপপো হোলো, ল্যান্সডাউন যাওয়া হবে। পরণে দুজনেরই চেক চেক পাজামা, আর ময়লা জামা!

    ল্যান্সডাউন কেন?

    কারণ ১১ ১২ কেলাসে, আমরা নরেন্দ্রপুর থেকে পথনির্ধারক নামের একটি জায়গায় দল বেঁধে যেতাম, হাজরার মোড়ে। সে জায়গা কালে কালে বৃন্দাবন হয়ে উঠলো, আমিও উড়ু উড়ু প্রেমের আনন্দে ভাসতে থাকলাম। কিন্তু কদিন বাদে আবিষ্কার করলাম, যে সঙ্গিনী ছাড়া প্রেম ভারী বিদঘুটে হয়ে যাচ্ছে। চাদ্দিকে মদনরোগের হাওয়া বইছে পাতি, মানে ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে বসন্তরোগের হাওয়া ( পক্স না কিন্তু ) ! আমিও প্রেমে পড়লাম বৈকি, আর মোলায়েম ভাবে না, পড়লাম একেবারে পপাৎ ধরণীতলে যাকে বলে আর কি!

    সে কি প্রেম রে বাবা, বিড়ির কৌটো নিযে গৌরাঙ্গ ভবনের ছাদে তারা দেখে কাটিয়ে দিচ্ছি, কিম্বা দিস্তে দিস্তে কাব্যি লিখছি, বন্ধুর ডাইরীতে লিখতে দিলে "তাঁর" কথায় ভরে দিচ্ছি পাতা ফাতা, তনুময়ের সামনে বসে আটটা ইনসিগনিয়া টেনে ফেললাম, মানে সিগারেটটা মোটেও ভালো না, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যপারটা হোলো আমি ধরেছিলাম কিন্তু মাত্র ১-২ মাস আগে, তা প্রেক্ষিতে, মানে কদিন আগেও ধোঁয়া গিলতাম আর আরবিট আরবিট সময়ে ঢেকুরের সাথে ধোঁয়া বেরিয়া আসতো।

    সে যা গেল গেল, আমার পড়তে যাবার অন্য আকর্ষণ ছিলো "সে", মনে আছে একবার অটো উল্টোনোর পরের হপ্তায়, প্রায় খোঁড়া পা নিযে লেঙচে লেঙচে দমদম থেকে হাজরায় পড়তে এসেছিলাম!

    লোকজন হেবি প্যাঁক দিচ্ছে, কিন্তু তাতে আমার আর কি, আমি তো মনে মনে গুনগুন করছি "প্রেমিক পাগল বে সকল, তা বলে আমার মন কি টলে?"

    এত প্রেম কিন্তু মুখে বুলি নেই, মানে বহুত চেষ্টা করে দু তিনদি পাশে বসেছি মাত্র, কিন্তু কৈশোরের প্রেমের চার্মই আলাদা, দুদিন পাশে বসেই মনে হোলো আমার প্রেমের আগুনে দু হাতা ঘি পড়লো, তাতে কি আর ভবি ভোলে?

    এদিকে জানি "তাঁর" এক পিস পুরুষবন্ধু আছে, কিন্তু তখন জয় গোস্বামী, বিনয় মজুমদার পড়া "নিসসানবাবু" কি দমে, মানে প্রেম একটা ইয়ে তো, তার যে উত্তর থাকতেই হবে এমনটা কে বললে গোছের চিন্তা ভাবনা আর কি।

    এই প্রেমের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে আবিষ্কার করলাম যে কোথায় থাকে কি বিত্তান্ত কিছুই জানি না।

    অতএব গড়িয়া থেকে গোলপার্ক অব্দি আমি আর লাহিড়ী হেঁটে ৮০টাকার স্ল্যামবুক জোগাড় করা হোলো, মানে হাতখরচা পাই কুল্লে ৪০০-৪৫০ টাকা মাসে, কিরকম গায়ে লেগেছিলো আন্দাজ করাই যায়, কিন্তু মেরেছ কলসির কানা তা বলে কি প্রেম দেবো না?

    সে জিনিস নিয়ে ভায়া মিডিয়া করে পৌঁছনো হোলো লক্ষ্যে, সেও ঝানু জিনিস, আর ঝানু হবার দরকারও ছিলো না, আমাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছিলো, জানা গেলো দুদিন বাদে পাওয়া যাবে।

    দুদিন বাদে চাঁদনী যাবার পথে হাজরায় নামলাম, জিনিসটা জোগাড় করতে, জোগাড় হোলো, আমি আর বিশেষ দাঁড়াইনি, সোজা ট্রামে চেপে ধর্মতলার দিকে, খিদিরপুর পেরোল, রেসকোর্সের কাছাকাছি এসে সাহস করে খুললাম, মানে কি আর বলবো, পাশে ব্ধু খ্যাক খ্যাক করে হাসছে, মাথার পেছনদিকে পড়ছে দুপুর দুটোর রোদ, আর সামনের খোলা স্ল্যামবুকে খোলা অপ্রেম!

    কি কেস রে বাবা, মানে এখন দাঁড়িয়ে কেত নিয়ে বলতেই পারতাম, মেয়েটির রুচি খারাপ ছিলো, তাই আমার মত মহাপুরুষকে হেলায় হারালো। কিন্তু ইয়ার্কি বাদ দিলে আমিও বেশ খানিকটা বাড়াবাড়ি করেছিলাম বৈকি, যেটা করা সম্ভবতঃ উচিৎ হয়নি।

    সে যা হোক, সেসব নিয়ে ভাবার জন্য আরো মোটামুটি ৪০ বছর পাওয়া যাচ্ছে, মাঝে দুর্ঘটনায় গত না হলে! বরং আসল কথাটা হোলো, সেই স্ল্যামবুকে পাওয়া গেছিলো ঠিকানা, আজকাল মেয়েরা বাপের জন্মে "হতে চাইছে" প্রেমিককে এসব দেয় না, কিন্তু প্রাক-ইণ্টারনেট যুগের শেষদিকে এসব তখনও চালু ছিলো।

    তো ল্যান্সডাউন যাবার উদ্দেশ্য ছিলো বাড়িটা খুঁজে বার করা, কুমার রাস্তার লোককে নানা ঢপ দিয়ে খুঁজে বার করেছিলো, প্রতিভাবান সন্দেহ নেই, তো সে বাড়ি দেখে আমরা আবার ফিরে আসছি, হাতে ক্লাসিক, দূর থেকে দেখছি একটা চেনা লোক আসছে, কে হতে পারে? বেলুড়ের কেউ নাকি রে বাবা? কিছুক্ষণ পরে বুঝলাম ওটা গৌরহরি ভুঁইয়া, আমাদের স্কুলে রসায়ন পড়াতেন, ভালো আমাকে ভালোই বাসতেন, কিন্তু আমি ইতর বিশেষ, তাই ৪০০ টাকার হাতখরচায় ৩টাকার ক্লাসিক (মাত্র ৩টান দেওয়া) আর ফেলা হোলো না, পাতি উল্টো দিকে ঘুরে খরগুশে ভাব নিলাম, যে আমি দেখতে পাচ্ছি না মানে আমাকেও দেখতে পাচ্ছে না! মানে আসল জানে ভয়টা ছিলো বাইরের একজন লোক জেনে যাবে যে বেলুড়ীয় দুটি প্রাণী রোববার সকালে ল্যান্সডাউনে সিগারেট খেতে খেতে প্রাক্তন ব্যথার বাড়ি খুঁজছে!

    ভুঁইয়া আর পেরোনই না, আমি বেশী এগোচ্ছিও না, অবশেষে একটা গলি দেখে হালকা করে সটকে পড়লাম।

    ------------------------------------

    সকালে এই যে আমরা বেরোতাম, এটা কেবল আমরাই জানতাম, কাজেই ধরা পড়ার সুযোগ নেই, আর ঘরে খুঁজলে নানা ভুজুং ভাজুং দেওয়া যাবে 'খন। কিন্তু আমরা সকলেই সাহসী হয়ে উঠছিলাম, এবং আমি ও কুমারও ব্যতিক্রম ছিলাম না, এক রবিবার, দুপুরে আমরা ঠিক করলাম কোলকাতায় রাইটার্সের কাছে কোথায় একটা সিনাগগ আছে সেটা দেখে ফেলতে হবে। আগেই বলেছি বেলুড়ের নিয়ম, যেখানে যাবে লিখে যাও। কিন্তু এই দামড়া বয়েসে ওসব পোষায় না, আর শুধু লিখলেই হোতো না কারণ লিখতে হোতো আর কারণটা কেন কারণ সেটার ব্যখ্যাও করতে হোতো, কাজেই জনগণ সেসবের ধার মাড়াতো না, আর লোকজন তখনও জানেনি শম আসলে কতটা কুল!

    বেরিয়ে পড়লাম, সব্য বেরোল আমাদের সাথেই কিন্তু চলে গেল প্রেম করতে, বেলুড়ে প্রেম নিষিদ্ধ ফল ছিলো বলাই বাহুল্য!

    কিন্তু আমরা একটা খবর রাখতাম না, সেদিন গুচ্চের ছেলে ঠিক করেছিলো সিনেমা দেখতে যাবে বলে, ফলে যখন ফিরলাম জানলাম ভবনে নাকি দুপুরে ৭০% চেলে ছিলো না, ফাঁকা দেখে শমর সন্দেহ হয়, এবং খোঁজ চালানোর পর আমাদের নিখোঁজ তালিকায় তোলা হয়।

    প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় ভাগে এরকম একটা ঘটনার জন্য তৈরী ছিলাম না, সবাইকে মুচলেকা দিতে হবে, কাজেই জনগণ গোঁফ চুমরে সাহিত্য প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লো, অমর, ডাকু, সুমন, এরা বললো এরা বাইরে খেতে গেছিলো বেলুড় বাজারেই, আমি আর কুমার যদি প্রকাশ করি আমরা গঙ্গা কালাপানি পার করেছি কি হবে আল্লাই জানেন, আর সব্য প্রেম করতে গেছিলো, সেটা বললে কি হবে তার জন্য আল্লা লাগবে না আমিই যথেষ্ট!

    আমাদের গপপো হোলো, আমি আর সব্য অঙ্কের আর কুমার ইংরাজী সাহিত্যের কি একটা ভজঘট জিনিস নিযে সাইবার কাফে গেছিলাম, কিন্তু ধারে পাশে না, বেলুড় স্টেশনের কাছে।

    রাতটা কোনোভাবে কাটলো, সকাল ৯টা নাগাদ খবর পেলাম, প্রেয়ার শেষ করেই শম অমরদের নিযে বেলুড় বাজার চলে গেছে, হাফপ্যাণ্ট পরা অবস্থাতেই, মানে সেই বেলুড়ে যেখানে আমরা ১৮ শতকের সতী ছিলুম, পায়ের গোছ দেখা গেলেই চরিত্রহীন বলে দেগে দেওয়া হোত, সেরকম জায়গায়, মানে ভদ্রলোক কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বোঝাই যাচ্চে!

    কিন্তু দোকান তো নেই, শম বেলেল্লা রকমের খেপে গেছে, ছেলেপিলে কি বলবে খুঁজে পাচ্চে না! অমর ভেবে চিন্তে বললো মহারাজ, চাকা লাগানো খাবার গাড়ি ছিলো, কাল এখানেই বসে ছিলো আজ চলে গেছে, অকাট্য যুক্তি, অপ্রমাণ করার উপায় নেই, আর গাড়ীওলার রুটিন শমর সাথে একেবারেই মেলে না এ সম্ভাবনাও পাওয়া যাচ্ছে না, মানে এমনটা হতেই পারে যে প্রত্যেকবার শম আসার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে লোকটা চলে গেছে!

    কাজেই শম কিছু করতে পারলো না, দমচাপা রাগ নিযে ফিরে এলো

    ----------------------------------------------

    আমি সব্য আর কুমারকে ডেকে আনলাম, এবং আবিষ্কার করলাম চাকা লাগানো সাইবার ক্যাফে খুঁজে বের করা যাবে না, অতএব একমাত্র উপায় একটা কাফে খুঁজে বের করে নানা গপপো দিযে সেখানে প্রমাণ করে আসা যে আমরা কাল দুপুরে এসেছিলাম।

    আমরা হাঁটতে আরম্ভ করলাম লালবাবা কলেজ অভিমুখে, লালবাবা পেরিয়ে হঠাৎ একটা বাঁদিকের গলিতে দেখলাম একটা কাফে, বেশ ভালো জায়গা, বিশেষ কেউ আসে না, সাতপাঁচ ভেবে সেখানে ঢুকলাম।

    ঢুকেই কুমার শুরু করলো "আচ্ছা কাকু কাল আমরা তিনজন এসেছিলাম, তা আমাদের ছাতাটা ফেলে গেছি একটু খুঁজে দেখবেন?"

    কাকু ঘোলাটে চশমা থেকে চেয়ে বললেন " তা বাবারা আমি তো কাল ছিলাম না, দাঁড়াও রেইস্টারটা দেখি, তোমাদের নামকি বাবা, মানে কাল কি নামে সই করেছিলে?"

    আর দাঁড়ায়? পাক্কা ঠগ কেসে ফেঁসে যাচ্ছিলাম, আমি উল্টোদিকে ঘুরে দৌড়, বাকি দুজনও আমার পেছন পেছন, বুড়ো কাকু বেচারা কি ভাবলেন কে জানে।

    অতএব বোঝা গেলো, আমাদের কপালে শনি নাচছে, এসময় একমাত্র দৈব ভিন্ন ভরসা নেই, মনে মনে এলাহী ভরোসা জপতে জপতে ফিরে এলাম
    ------------------------------------------------------

    ফিরে এসে, মানে এভাবে বলা উচিৎ নয়, তাও বলছি, কোন শালা বলে জপে তপে ফল হয় না, আমরা বেঁচে গেছিলাম, কিন্তু কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশের মধ্যে দিয়ে। তীর্থ, রাজু, অংশু গপপো দিযেছিলো তারা উত্তরপাড়ায় তীর্থর বাড়ি গেছে। শম চাইলে হোমস হতে পারতো, শম আলাদা আলাদা করে তিনজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছে তীর্থর বাড়ি কয়তলা, এবং কি রং, তারপর তীর্থর মাকে ফোন করে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে। কাকিমা জানতেন মহারাজ ফোনকরে জিজ্ঞেস করতে পারেন এরা গেছিলো নাকি, কিন্তু এরকম আরবিট, অসংলগ্ন প্রশ্নের জন্য তৈরী ছিলেন না, ফলে বাজারে তীর্থের বাড়ি তিনরঙা হয়ে উঠলো, এবং তারপর আর কি, তীর্থ, রাজু আর অংশুর গাল একরঙা হয়ে উঠলো, সহজ ও সুন্দর চিত্রবিচিত্র লালিমায়। তীর্থকে যে মারটা দিয়েছিলো, সেটা পাতি গরুমারা মার, বিনয় ভবনকে তার পর থেকে নিঃসন্দেহে গরুমারার জঙ্গল বলা যেত!

    মাঝখান থেকে আমাদের নিযে ভাবার আর সময় পাওয়া গেলো না, সেই সুযোগে শেষ প্রমাণ মুচলেকা গুলো বিশ্বস্ত সুত্রে সরিয়ে ফেলা হোলো, শমও আর মাথা ঘামালো না, আল্লা মালিক তীর্থ বাঁচালেওয়ালা!
    --------------------------------------------------------

    আমরা তো নাহয় বেঁচে গেলাম সে বারের মত, যুগান্তকারী ঘটনাটা ঘটলো সন্ধের প্রার্থনার পর, প্রতিদিন প্রার্থনার পর শম গড়ে ১/২ থেকে ১ ঘণ্টা নানা সাংসারিক, আধিভৌতিক এবং আধিদৈবিক নানা বিষয়ে জ্ঞান দিতো, আর হেবি ফ্যানাত, মানে একটা উদাহরণ দিতে গেলে, ধরা যাক একটা নোটিস এসেছে, শম শুরু করবে " একটা নোটিস এসেছে, কিন্তু সেটা পোড়ে কোনো লাভ নেই, কারণ ইখানে কেউ শুনবে না, কিন্তু তবু আমাকে তো পোড়তেই হোবে ওয়ার্ডেন হিসেবে, আর কে বলতে পারে তুমাদের মধ্যে কেউ সুনবে না, আর না সুনলেই বা কি? আমার কাজ আমি পড়বো! কিন্তু তবুও খারাপ লাগে যে পোড়া হোবে, শোনা হোবে না কাজ তো দূরের কোথা....." এই লুপে নিদেন পক্ষে পাঁচবার ঘুরে নোটিস পড়া হবে, তারপর কাউকে দাঁড় করিযে নোটিসের বক্তব্য জানতে চাইবে, তারপর আবার আরেকজনকে ডেকে নোটিসের ভাবার্থ!

    সে যা হোক, সেদিন দেখি থমথমে আবহাওয়া, কেউ কিছু বলছে না, হঠাৎ শম বলে উঠলো "এভাবে গেলে তো চলবে না, তোমাদের যেখানে খুশি যাও না, মোরে যাও, সিনিমা দেখতে যাও, যদি মদও খেতে যাও বলে যাও, আর....আর...যদি আরো কিছু চাপতে না পারো, যদি বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়, তাহলে তাও যাও, কিন্তু বোলে যাও"

    গোটা জায়গাতে একটা খুকখুক হাস্যধ্বনি শোনা গেল

    শম আরবিট রকমের খচে বোললো " যা পারো কোরো, মোরো তোমরা" বলে দুপদুপ করে ভয়ানক বেগে বেরিয়ে ঘরে চলে গেলো।

    -------------------------
    ক্রমশঃ
    -------------------------
  • শ্রী সদা | 69.97.138.55 | ১১ মে ২০১২ ১৬:৪১546927
  • একঘর ! চলুক, চলুক।
  • | 24.96.25.48 | ১১ মে ২০১২ ১৬:৪৩546928
  • নিশানের লেখাটা ক্কি ভাল লাগছে। নির্মোহ ব হো তো অ্যায়সা।
  • | 24.96.25.48 | ১১ মে ২০১২ ১৬:৪৫546929
  • আর এই লোকগুলো তো প্পুরো স্যাডিস্ট।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১১ মে ২০১২ ১৭:৩৫546930
  • এবার মনে হচ্ছে আমাকে নরেন্দ্র্পুর এর জীবন নিয়ে পেন ধরতে হবে। নরেন্দ্রপুর অনেক লিবারাল অন্যানি রামকৃষ্ণ মিশন গুলির থেকে। গাছের পাতায় পাতায় এখনেব হোম ও দের গল্প। ৭ দিন যদি কেও মেয়ে না দেখতে পায় হোম ও না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। ক্লাস ১১ এ যখন ভর্র্তি হই তখন মনে হত একোন আজব জায়গা -পারার দিদি বহেন ব্যথা কেহ নাই। সে শুন্যতার উপলদ্ধি ও এক বিরাট পাওনা জীবনে।
  • santanu | 186.205.206.73 | ১১ মে ২০১২ ১৮:১২546932
  • ৮৩ থেকে ২০০৪ - ২১ বছরে বিদ্যামন্দির দেখি আমূল বদলে গেসল। ৮৩ তে
    ১) দুপুরে ডিম রুটি পাওয়া যেত
    ২) বেলুড়মঠে হাত ধরে প্রেম করা যেত
    ৩) রবিবার যেখানে খুশী যাওয়া যেত (তবে ওই, লিখে)
    একদিন ভর বিকেলবেলা খাতা টেনে লিখেছিলাম, বাড়ি যাচ্ছি, কারণ - VP তাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশান্ত মহারাজ গোল গোল চোখ করে দেখালেন। পরে VP যখন শাস্তি মকুপের জন্য ডাকলেন, ততক্ষনে আমি বাড়ি পৌছে গেছি।
    সব মিলিয়ে ওই দু বছর মন্দা কাটে নি। তবে তার পরের ৪ বছরের kharagpurer জীবনের সাথে কি আর তুলনা চলে? তবে দুটোই তো বাই চয়েস।
  • santanu | 186.205.206.73 | ১১ মে ২০১২ ১৮:১২546931
  • ৮৩ থেকে ২০০৪ - ২১ বছরে বিদ্যামন্দির দেখি আমূল বদলে গেসল। ৮৩ তে
    ১) দুপুরে ডিম রুটি পাওয়া যেত
    ২) বেলুড়মঠে হাত ধরে প্রেম করা যেত
    ৩) রবিবার যেখানে খুশী যাওয়া যেত (তবে ওই, লিখে)
    একদিন ভর বিকেলবেলা খাতা টেনে লিখেছিলাম, বাড়ি যাচ্ছি, কারণ - VP তাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশান্ত মহারাজ গোল গোল চোখ করে দেখালেন। পরে VP যখন শাস্তি মকুপের জন্য ডাকলেন, ততক্ষনে আমি বাড়ি পৌছে গেছি।
    সব মিলিয়ে ওই দু বছর মন্দা কাটে নি। তবে তার পরের ৪ বছরের kharagpurer জীবনের সাথে কি আর তুলনা চলে? তবে দুটোই তো বাই চয়েস।
  • santanu | 186.205.206.73 | ১১ মে ২০১২ ১৮:১৩546933
  • দুবার এলো ক্যানো?
  • একক | 24.99.178.143 | ১১ মে ২০১২ ২০:০২546935
  • এই "কারণ" লেখা টা নিয়ে আমাদের ও হেব্বি বাওয়াল হত . আমি তো ওয়ান থেকে টেন বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন এ. ক্লাস ৬ অবধি আমরা ওসব চিঠিচাপাটি আনতুম . তারপর একটা ঘটনার পর বন্ধ হয়.
    আমি একটা এক লাইন এর চিঠি জমা দিয়েছিলুম "অনিবার্য কারনবশতঃ গত কল্য নিম্নসাক্ষরকারী বিদ্যায়াতন এ অনুপস্হিত ছিল " ( এরকমন বাংলা লিখতুম কেন সে অন্য গপ্পো )

    এই "অনিবার্য " পড়ে ক্লাস টিচার উদমা খেপে যান ! " এটা কি ? অনিবার্য কারন টা আবার কি কারন ?"
    আমি নিপাট মুখে বল্লুম " যে কারণের নিবারন সম্ভব নয় " . চিঠি টা দুমড়ে মুচরে গোল্লা পাকালেন কিন্তু কি মনে করে ফেল্লেন নাহ !

    এক মাসের মধ্যে ওরকম এক গুচ্ছের চিঠি এলো . সব ওই একটাই লাইন :( :(

    তারপর আর কোনদিন চিঠি চান নি. মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করতেন .
  • সিকি | 132.177.193.21 | ১১ মে ২০১২ ২১:২৬546936
  • একঘর এবং গোলা এবং যা-তা হচ্ছে।

    শান্তনুটা কি আমাদের শান্তনু দেবনাথ?
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ১১ মে ২০১২ ২২:১৩546937
  • অপুদার মুচকি হাসির উত্তরে একটাই প্রশ্ন করার।

    কোনো মেয়ের পেছনে ঘুরেও অনেক ছেলের কেরিয়ার শেষ হয়ে গেছে। .তাহলে ছাত্র-বয়েসে প্রেম করাটাও অন্যায়, তাই তো? ঃ)
  • অপু | 24.99.51.27 | ১১ মে ২০১২ ২২:২০546938
  • নিশান খুব ভালো হচ্ছে।

    ১। আরে আমাদের ছেলে পিলে দের মধ্যে ও কেয় কেউ বিড়ি খেত( সিগু র অভাবে) কিন্তু লুকিয়ে। একটা কথা ভেবে দেখো এত গুলো ছেলে র মধ্যে যদি ডিসিপ্লিন আনতে হয়। ক্ষেত্রে বিশেষে একটু কড়া হতে হবে। তবে অবশ্যা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে নয়।

    ২। আমরা রোজ মন দিয়ে বেলুড়মঠে মেয়ে দেখতে যেতাম। কঠোর জীবনে ও ই একটাই ভালো লাগার জায়গা

    ৩। বেশ কিছু ছেলে পিলে নিয়ম করে সিনেমা দেখতে যেত।

    ৪। বেলুড়ে বাড়ি হওয়ায় আমি প্রায় প্রতি শনি বার বারি আসতাম। সঞ্জীবন মহারাজ অসামাপিকা ক্রিয়ার একটু বেশী ব্যবহার করতেন। আমাকে বলতেন ' আরে ব্রতীন তুই কি প্রাতি সপ্তাহে এই ভাবে বাড়ি যেতে থাকতে থাকবি?'

    ৫। তবে হ্যাঁ গার্জেন কল টা একটু বেশী হত। আমার মেজদার গার্জেন কল হল পড়ার ঘরে বসে স-শব্দে ঢেঁকুর তোমার জন্যে । বাবা গিয়েচিলেন গার্জেন হিসাবে।

    ৬। রামকৃষ্ণ মিশন গুলো সহ কামিতার ডিপো। এই অজুহাত শুনেছি। আমার বাবা, দু ই কাকা, আমাদের প্রজন্মের আরো ৪ জন বেলুড় /বেলঘড়িয়া র ছাত্র । কারোর কাছেই এই অভিযোগের যথার্থতা খুঁজে পাই নি।
  • অপু | 24.99.51.27 | ১১ মে ২০১২ ২২:২১546939
  • শান্তনু দা, তোমাদের সময় কোন মহারাজ প্রিন্সিপাল ছিলেন? রনেন মহারাজ না গননাথ মহারাজ?
  • অপু | 24.99.51.27 | ১১ মে ২০১২ ২২:২৩546940
  • মুচকি হাসি ট ইনটেলিজেন্সের অভাব বললে কিনা সেই জন্যে। ও ই ভাবে তো প্রমান করা যায় না। কিন্তু তুমি দিব্যি জেনেরিক স্টেটমেন্ট দিলে তাই আর কী!! ঃ-))
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ১১ মে ২০১২ ২২:৫০546941
  • উফ্ফ, ইন্টেলিজেন্সের অভাব কোথায় বললাম!

    ইন্টেলিজেন্সিয়া আসে না সেটা বললাম তো ! দুটো এক হল?

    ইন্টেলিজেন্ট ছেলেপুলে না গেলে কলেজের রেজাল্ট অত ভাল হয়না।

    কিন্তু প্রেসিডেন্সি বা জে এন ইউ-র সাথে তফাত হল, ওখানে সিস্টেমকে প্রশ্ন করতে শেখানো হয়। একটা কালচারাল ডিসকোর্সের ভয়ানক প্রভাব থাকে যেটা স্বভাবে বামপন্থী।

    রা কৃ বা সেন্ট জেভি-তে সেই প্রশ্নগুলো উঠতে দেওয়া হয়না।

    এটা সিম্প্লিফায়েড হতে পারে। আমি যেসব ছাত্র দেখেছি তাদের ওপর ভিত্তি করেই বললাম।....
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ১১ মে ২০১২ ২২:৫৬546942
  • বাই দ্য ওয়ে, এই কথাগুলো কাউকে হার্ট করার জন্য বলা নয়। আমি নিজেও এমন সব জায়গায় পড়েছি যেখানে রাজনীতি করতে দেওয়া হত না। তাতে ফলটা ভাল হয়নি বলেই মনে হয়েছিল। ট্রেস ব্যাক করার সুযোগ থাকলে প্রেসি-তে পড়তাম।
  • rimi | 85.76.118.96 | ১২ মে ২০১২ ০১:২৭546943
  • ইয়ে সিস্টেমকে প্রশ্ন করা আর নিয়ম ভাঙা কিম্বা ডিসিপ্লিন ভাঙা আদৌ সমার্থক নয়। ঝান্ডা নিয়ে খানিক মিছিল করলেই সিস্টেমকে প্রশ্ন করা হয় না, আর সিস্টেমকে প্রশ্ন করে তারপরে থেমে গেলে অশ্বডিম্ব প্রসবিত হয়। প্রেসিতে আমি পড়েছি। ডিসিপ্লিন ভাঙা আর অশ্বডিম্ব প্রসবের রাজনীতি খুব কাছে থেকেই দেখেছি। অত্যন্ত বিরক্তিকর। বামপন্থা, অন্তত পঃ বঙ্গে, সিস্টেমকে যেভাবে প্রশ্ন করায় আর যেভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে (মানে যদি সেটাকে আদৌ উত্তর খোঁজা বলা যায়) সেইটার ফলাফল পঃ বঙ্গের গত কয়েক দশকের ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যায়!!!
    বেলুড়ে বিড়ি খেলে যে সাস্পেন্ড করত সেইটা বেশ করত!!
  • pi | 147.187.241.6 | ১২ মে ২০১২ ০১:৪৪546944
  • :D
  • Generic Letter | 77.171.97.37 | ১২ মে ২০১২ ০৩:০৩546946
  • আমি প্রেসি দেখেছি, নরেন্দ্রপুরও। রিমিকে ক্ক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন