এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কনিষ্ক | 233.223.139.113 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:২৯547380
  • তিনশো সাতাত্তর ও একশো বারো কোটি

    ব্যাপারটা একটু বোকার মতো হচ্ছে না ... ... !

    ১৮৬০ সালের আইন এবং তা এখনো বাতিল করা হয়নি। যতক্ষণ তা আছে ততক্ষণ বিকল্প যৌনতা অপরাধ। শুধু ৩৭৭ ধারা নয় সমস্ত আইনের ক্ষেত্রেই তা সত্যি। সুপ্রিম কোর্ট কেবল এ কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছে।

    সুতরাং অকারণে সুপ্রিম কোর্টের মুণ্ডপাত করে তো কোনো লাভ নেই ...

    এবার ভারতীয় রাজনীতিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এই আইন আর থাকবে কিনা। কারণ একমাত্র সংসদেরই অধিকার আছে তা বাতিল করার। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই মত ও অমত শুরু হয়ে গিয়েছে। LGBT আন্দোলনকারীদের এবার ভারতীয় রাজনীতিকে বাধ্য করতে হবে সমানাধিকারের দাবিতে সমর্থন করতে। কারণ দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সহমতের যৌন নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রের কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না।

    তবু, তবু, তবু আমার পাপী মন কেমন যেন গন্ধ পায় ... ২০০৯ সালে দিল্লী হাইকোর্ট এই ধারাকে সংবিধানের সমানাধিকারের পরিপন্থী বলার এতো দিন পরে ঠিক পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরোবার ঠিক পরেই গোটা দেশ যখন আগামী লোকসভার হিসেব কষতে ব্যস্ত ঠিক তখন, তখনই ... ! কী জানি বাবা !!

    এবং এবং এবং LGBT আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েও বলছি, বলতে বাধ্য হচ্ছি ৬৬ বছরের স্বাধীন ভারতবর্ষে কোন সমানাধিকারটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে শুনি? অসংগঠিত ক্ষেত্রে (কৃষি, শিল্প ও পরিষেবা মিলিয়ে)জীবিকা নির্বাহ করেন ভারতের কত শতাংশ মানুষ ১২১ কোটির প্রায় ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ১১২ / ১১৩ কোটি। তাঁদের সারা জীবনের রোজগার এক একজন শিল্পপতির এক দিনের লাভের থেকে কম। কই সেই বিষয়ে তো লোকজনকে এতো সরব হতে দেখা যাচ্ছে না !!!

    আসলে ভারতীয় গণতন্ত্র হলো পুতুল নাচের ইতিকথা। এতো সুতোয় আমরা বাঁধা যে সময় বুঝে একটাতে টান দিলেই হলো ... সামনে লোকসভা সুতরাং হে ভারতবাসী এখন বরং MNCর হাতে দেশটা বেচে দেওয়া ভুলে, মুক্ত বাজারের বৈধ সন্তান দুর্নীতি ভুলে, সাম্প্রদায়িকতার উদ্ধত বুটের আওয়াজ ভুলে, আসুন আপাতত "আপাত নীরিহ" LGBT সমানাধিকার নিয়ে চিন্তিত হই ... আর বোকার মতো সুপ্রিম কোর্টকে গালি দিই ...

    হয়তো এই "আপাত নীরিহ" বিশেষণটি বিতর্কের জন্ম দেবে, সমস্যাগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তির কথা ভেবে পলিটিক্যালি কারেক্ট হতে পারলাম না, দুঃখিত নই।
  • Pallab Baran Pal | 92.178.162.68 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:৩৯547381
  • ইচ্ছেনদী

    যখন তখন আমি ইচ্ছেমতো নদী হতে পারি
    কারণ সমুদ্রের তাতে কোনোকিছু যায় বা আসে না
    নদীর কিনারে আমি ‘দ’ হয়ে বসে থাকতে পারি
    কারণ সমুদ্রের ধারে ওইভাবে বসা অসম্ভব

    সমুদ্র বানানে হ্রস্ব উ-কার মোটেই ঠিক নয়
    কারণ একমাত্র দীর্ঘ উ-কার সদৃশ বসলেই
    সমুদ্র দু’হাতে তাকে নিরঙ্কুশ কোলে তুলে নেয়
    তাবড় পুরুষদেরও হুবহু সে রমণীমুদ্রায়
    সমর্পণ করতে দেখেছি সমুদ্রের শরীরের কাছে

    পুরুষেরও নারী হতে ইচ্ছে হয় কখনো সখনো
    যেমন আমার ইচ্ছে অধুনা কৃষ্ণা গোদাবরী
  • sosen | 111.63.156.226 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:৪৮547382
  • একটা নিয়ে চেঁচামেচি করলেই অন্যটা ভুলে যেতে হয়, কি দুরবস্থা ভারতবাসীর মস্তিষ্কের
  • π | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:৫০547383
  • কণিষ্কবাবু, একটা ইস্যু নিয়ে বলতে গেলে অন্য ইস্যুটাকে ভুলতে হবে কেন ? আর এটা 'আপাত নিরীহ' ই বা কেন ?
  • π | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২১:৩৬547386
  • এটাও পেলাম।

    'এটা এত জরুরি বিষয় নয়, যার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আদালতকে রায় দিতে হবে!দেশে কত বড় বড় সমস্যা রয়েছে!'
    বিমান বসু
  • দেব | 111.219.104.54 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২২:৩০547387
  • কণিষ্ক, না ব্যাপারটা বোকার মত হচ্ছে না।

    যেকোন দেশে অনেক সমস্যাই থাকে। সেগুলো সিরিয়ালিই সলভ হতে হবে এমন নয়। একাধিক ইস্যুতে পাশাপাশিই কাজ চলতে পারে।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২২:৩৭547388
  • সতীশ কুমার কৌশল-এর বক্তব্য অনুযায়ী যেন সমকামীদের হাতেই এই দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে!
  • ঈশান | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:৩৩547390
  • এইটা অনেক জায়গাতেই শুনি। "দুর্নীতি নিয়ে চিৎকার আসলে শ্রমিক শ্রেণীর শোষণের দিক থেকে মানুষের চোখ সরিয়ে দিচ্ছে"। "দুর্নীতি"র জায়গায় "পরিবেশ" বসান। "পরিবেশ" এর জায়গায় "সমকামিতার সমানাধিকার"। এই চিন্তাভাবনার ইশকুলটা পাল্টানো দরকার। সবকটাই কি একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িয়ে নেই? দাবীটা হওয়া উচিত, "প্রতিটি দাবী আলাদা-আলাদা নয়, একটা আরেকটার সঙ্গে জুড়ুন"। পরিবেশের সঙ্গে নারী, দুর্নীতির সঙ্গে সমকামিতা, যৌন কর্মীদের অধিকারের সঙ্গে শ্রমিকের অধিকার, সব মিলিয়েই তো বৃহত্তর ছবিটা। কোনোটাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে তো মুশকিল।
  • s | 182.0.249.87 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:৫৬547391
  • কিন্তু এটাও তো ঠিক যে সব সমস্যা ইক্যুয়ালি মিডিয়া স্পেস পাচ্ছে না। অনেক সময় গভীরতর সমস্যাগুলো মিডিয়া স্পেস না পেয়ে আপাত লঘু সমস্যা অনেক সময় ধরে মিডিয়াতে ঘুরে বেরাচ্ছে।
    আর সব দাবী একের সঙ্গে আরেকটা জোড়ায় বেসিক মুসকিল হল যে, একজন ইনডিভিজ্যুয়াল হিসেবে প্রত্যেকটা দাবীতে আমার আলাদা আলাদা মতামত থাকতে পারে, কিছু দাবী আমি সমর্থন করতে পারি, কিছু করতে পারি না। তাই কালেক্টিভলি দাবীগুলোর সাপোর্টবেস একটা জগাখিচুরি তৈরি হওয়ার প্রবল চান্স।
    BTW 'দুর্নীতির সঙ্গে সমকামিতা' কিভাবে জোড়া যাবে এইটে জানতে পারলে প্রানটা একটু ঠান্ডা হত।
  • cm | 181.76.220.29 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০০:০১547392
  • এই রে, এর মধ্যেও ইন্টিগ্রেশন! মেজারটা পেলেই কষে ফেলি।
  • cm | 181.76.220.29 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০০:০৩547393
  • যাঃ সবার আলাদা আলাদা মেজার, তালেতো উত্তর মিলবেনা।
  • ঈশান | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:৩৭547394
  • দুর্নীতির সঙ্গে সমকামিতাটা সোজা হয়ে যাচ্ছে। আরেকটু আনরিলেটেড জিনিস নেওয়া যাক। পরিবেশ আর সমকামিতা। এদের তো কাঁথাসেলাই করে জুড়ে দেওয়া যাবেনা। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বৃত্তের ব্যাপার। আপাতঃদৃষ্টিতে কোনো সংযোগ নেই। ড্যাম তৈরিতে উচ্ছিন্ন মানুষ, আর যৌনপরিচয়ে মার্জিনাল মানুষের কোথাও কোনো মিল নেই। শুধু একটা জায়গা ছাড়া, দুজনই কোনো না কোনো ভাবে মার্জিনাল। বা বলা উচিত উচ্ছেদ বা সমকামিতার স্বীকৃতি, দুটোই কোনোনা কোনো ভাবে প্রান্তিকতার সমস্যা। এবার দুটো প্রান্তিকতার সমস্যা স্রেফ প্রান্তিকতার কারণেই কি কাছাকাছি আসতে পারেনা? ধরুন ড্যামে উচ্ছিন্ন মানুষদের নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কাছে উচ্ছেদ, বাসস্থান হারানো মানুষের দল, এটা জ্বলন্ত সমস্যা। তাঁরা বলতেই পারেন, "ভিটে-মাটি ছাড়া বাকি সবই শৌখিন আন্দোলন"। অন্যদিকে একজন সমকামী মহিলা যিনি বিষমকামী সম্পর্কে থেকে প্রতিদিন ধর্ষিতা হচ্ছেন, তিনি বলতেই পারেন "দিনের পর দিন ধর্ষিতা হবার চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু নেই"।

    দুটোই হাইপোথেটিকাল। এরকম কেউ বলেন, বা বলবেন এমন না। তবে এই সুর শোনা যায়। নানা স্তরেই। ওই বিমান বাবু যেমন বলেছেন। কিন্তু এভাবে কি ভাবা যায়না, যে, প্রান্তিকতার বিভিন্ন সমস্যার কোনোটাই আসলে একে অপরের চেয়ে ছোটো বা বড়ো না?সবকটাই নিজের নিজের জায়গায় মর্মান্তিক, কঠিন, এবং এক্ষুনি অ্যাড্রেস করার যোগ্য। এই বোঝাপড়াটাকেই আমি জুড়ে দেওয়া বলছি।

    এইটা না করলে নারীদের সমস্যা "শুধু" নারীদের সমস্যা হয়ে থাকবে। সমকামীদের সমস্যা "শুধু" সমকামীদের সমস্যা হয়ে থাকবে। দুর্নীতির সমস্যা "শুধু" নাগরিক সমস্যা হয়ে থাকবে। সবকটাই বিচ্ছিন্ন, আলাদা হয়ে থাকবে। সেটা না করে প্রান্তিকতার বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে এদের দেখলে ভালো হয়না?

    প্রশ্ন হবে, সবার তো আলাদা আলাদা সাপোর্ট বেস, ইত্যাদি। কিন্তু সত্যিই কি সবাই আলাদা? উচ্ছিন্ন মানুষদের মধ্যে কি সমকামীরা নেই? না সমকামীদের মধ্যে কেউ উচ্ছিন্ন হননা? শ্রমিকরা কি মাল খেয়ে এসে বৌকে ঠ্যাঙাননা? নাকি নারীরা কেউ শ্রমিক নন? নানা প্রকার অ্যাজেন্ডার তফাত আছে, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে তো জল-অচল নয়ই।
  • π | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩০547395
  • এই সমস্যাগুলোকে একসাথে ইস্যু বানানোর মধ্যে কোন বিরোধও তো নেই। একটা আন্দোলন অন্যটার ক্ষতি করে দেবে এমন তো নয়। যদি একটা আন্দোলম বেশি মিডিয়া স্পেস নিয়ে নিচ্ছে বলে মনে হয়, তাহলে মিডিয়ার স্পেসটাকেই বাড়াতে হবে, সব ক'টাকে অ্যাকোমোডেট করার জন্য। কিন্তু একটা অন্যটার থেকে স্পেস কেড়ে নিচ্ছে, এরকম বলার কোন কারণ দেখি না। আর এই ইস্যুটাকে নেহাত নিরীহ বলে মনেও করিনা।
  • π | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৫547396
  • এই ইনিশিয়েটিভটার কথা এখানেও থাক।

    https://www.facebook.com/sec377each1teach1 এই পেজটাতে যান, শুধু লাইক বা অন্যদের ইনভাইট নয়, আর কী কী করা যায়, তাই নিয়ে মতামত দিন এখানে।

    This initiative is to dispel the confusions and apathy towards sexual diversity through engaging one of your friend into dialogue.

    Irrespective of whether you are gay, lesbian, bisexual, transsexual or Straight, you can take part in this campaign just by talking to *1* of your friends. What you need to do is the following:

    1. If you are queer and closeted (fully or partially), please come out to *1* of your friend and engage her in discussion.
    2. Irrespective of your sexuality and outness quotient, please talk to *1* of your friend and explain to her why you support LGBT rights and believes that sec377 should be repealed.
    3. Ask at least *1* of your friend to propagate this message.
    4. Ask your friends to like the page.

    At this juncture, it is utmost important to educate the mass.

    Lets start the snowball rolling!

    এখানে যেমন বলা হয়েছে, সমকামী বা বিষমকামী যাই হোন, কাউকে এই নিয়ে আলোচনায় এনগেজ করুন, নিজেও কথা বলুন। শুধু এই পেজে বা ভার্চ্যুয়ালিই নয়, ফিজিক্যালিও। এই ক্রসটক, ইন্টার‌্যাকশনটা খুব দরকার। সবাই মিলে এগিয়ে এলে এটা নিজেই একটা মুভমেন্ট হয়ে উঠতে পারে।
  • π | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:১১547397
  • এটাও থাক। দেশের সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন।

  • π | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৩২547398
  • এইটিও থাক।

    BJP president Rajnath Singh today said his party “unambiguously” endorsed the re-criminalisation of gay sex — the first conclusive statement from the party that makes the legislative option difficult for the UPA.

    “We will state (at an all-party meeting if it is called) that we support Section 377 because we believe that homosexuality is an unnatural act and cannot be supported,” Rajnath Singh told The Telegraph tonight.

    The BJP has been fighting shy of articulating its position since the Supreme Court ruled on Wednesday that Section 377 did not suffer from any constitutional infirmity.

    The BJP has now dropped its circumspection, probably on the assessment that the gay community is not electorally significant and the party stands to suffer a dent in its traditional base if it is seen to be supporting “unnatural acts”.

    http://www.telegraphindia.com/1131214/jsp/nation/story_17679913.jsp#.Uq0_U_RDu2L

    এই পার্টিটি ক্ষমতায় এলে যে কী কী হবে ....
  • aranya | 78.38.243.161 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৩৪547399
  • শুধুই ভোট গোনা, সব দল শুধু ভোট গুনে যায়, মানুষের মুখে ব্যালট পেপার ...
  • π | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০০:২৪547403
  • নাঃ, যুক্তিবাদী ঘোষের লেখার এই অংশটুকুন কোট না করে আর পারলুম না ঃ)

    " যারা এই ধারা বাতিলের দাবী নিয়ে, যৌন-স্বাধীনতার ধ্বজা ধরে গলা ফাটাচ্ছেন, তাদের কাছে বিনীত ভাবে জানতে চাই- কোনো সমকামী ‘দম্পতি’-র মধ্যে যৌন সংসর্গ কিভাবে সম্ভব, যা আপনাদের মতে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বা না মেনে? পুরুষের সঙ্গে পুরুষের? নারীর সাথে নারীর? অথবা পুরুষ বা নারীর সাথে কোন পশুর???
    অশ্লীলতা এড়িয়ে, যথাসম্ভব শোভন/ শালীন ভাষায় বলতে পারি, যারা পারস্পরিক ‘সম্মতি’ তে ঘটা সবরকমের যৌন-স্বাধীনতা নিয়ে সরব-তারা কি পিতা-কন্যা, মাতা-পুত্র…এসব ছাড়াও পায়ু-মৈথুনের আইনি অধিকার চাইছেন? এই হলো তাহলে তাদের মতে ব্যক্তিস্বাধীনতা! যৌন-স্বাধীনতা! জানিনা, প্রায় ১২ বছর আগের মতন, আবার স্লোগান উঠবে কিনা-“অমুক খাটিয়ে খাই, তমুকের অধিকার চাই।”
    অনেকেই আছেন যারা বিষয়টা নিয়ে হয়তো একটু বা বেশ বিভ্রান্ত। আবার একটা বড় অংশ সব জেনে বুঝেই চূড়ান্ত যৌন-অজাচারের পক্ষে এক গন-উন্মাদনা করতে চাইছেন। তোল্লাই দিতে চাইছেন এক লুম্পেন সংস্কৃতিকে।
    এটা নিঃসন্দেহেই এক সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস। এই আগ্রাসন থামাতে প্রয়োজন পাল্টা আগ্রাসনের, যা বয়ে আনবে সুস্থ সংস্কৃতির ঝোড়ো বাতাস, যার শিরায়-শিরায় জানান দেবে দিন বদলের চেতনার তীব্র আকুতি।
    তাই, আহ্বান রাখছি সমস্ত সুস্থ চিন্তাসম্পন্ন, সাম্যকামী মানুষের কাছে-আসুন, রুখে দাঁড়ান। কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে আমরা সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি এই নোংরা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যা সমাজের একটা অংশকে নিশ্চিতভাবেই ঠেলে দিতে পারে সীমাহীন নৈরাজ্য ও অজাচারের অন্ধকার দুনিয়ায়।
    সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী, নির্মাণও।
    আমরা প্রস্তুত।"
  • রোবু | 213.147.88.10 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০০547404
  • বিজেপি আর যুক্তিবাদী সমিতির একই স্ট্যান্ড। দৃঢ় বিশ্বাস সুসিও এদের সাপোর্ট করবে।
  • 4z | 194.148.163.236 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০২547405
  • এই সুস্থ সংস্কৃতির ধ্বজাধারীদের চাঁদা তুলে কোনারক-খাজুরাহোর ট্যুরে নিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করলে হয় যে কোন পাশ্চাত্য প্রভাবে এগুলো খোদাই করা হয়েছিল? বা কত ডলারের স্পনসরশীপ এসেছিল এগুলোর জন্য? বলদামোর একটা সীমা আছে মাইরি :(
  • ঈশান | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:১৮547406
  • কিন্তু প্রশ্নটা তো সিরিয়াস।

    " যারা এই ধারা বাতিলের দাবী নিয়ে, যৌন-স্বাধীনতার ধ্বজা ধরে গলা ফাটাচ্ছেন, তাদের কাছে বিনীত ভাবে জানতে চাই- কোনো সমকামী ‘দম্পতি’-র মধ্যে যৌন সংসর্গ কিভাবে সম্ভব, যা আপনাদের মতে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বা না মেনে? পুরুষের সঙ্গে পুরুষের? নারীর সাথে নারীর? অথবা পুরুষ বা নারীর সাথে কোন পশুর???"

    "প্রকৃতি"র নিয়ম, মূলতঃ বিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু সোসিও-বায়োলজি-ওয়ালার লেখা পড়েছিলাম। অক্ষরে অক্ষরে মনে নেই। কিন্তু যুক্তিটা খানিকটা এইরকমই। আমার ভাষায় লিখলে জিনিসটা এরকম দাঁড়াবেঃ

    একটি "ট্রেট"এর টিকে থাকার ন্যূনতম শর্ত হল পরবর্তী প্রজন্মে তার পুনরুৎপাদন, অর্থাৎ প্রজনন। যেমন, লম্বা লোকেরা যদি লম্বা হবার কারণে প্রজননে অক্ষম হয়, তাহলে কিছুদিন বাদে পৃথিবীতে আর লম্বা লোক দেখা যাবেনা।

    এবার সমকামিতা যদি একটি "ট্রেট" হয়, তাহলেও সেটি পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হবার সম্ভাবনা নেই। কারণ সমকামীরা সমকামী "ট্রেট"এর জন্যই প্রজননে অক্ষম। ফলে দুনিয়ায় প্রাকৃতিক নিয়মেই সমকামিতা থাকার কথা নয়।

    তবুও যে সমকামিতা টিকে আছে, কারণ, সমকামী "ট্রেট"এর লোকেরাও বিষমকামী সম্পর্কে গিয়ে প্রজননে অংশগ্রহণ করেন। এইভাবে সমকামিতা অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে টিকে গেলেও বিশুদ্ধ সমকামীরা সংখ্যায় ক্রমশঃ কমে আসছেন। এবং আস্তে আস্তে পৃথিবী থেকে মিলিয়ে যাবেন। ইহাই প্রকৃতির নিয়ম।

    কার লেখা মনে নেই। যুক্তিপরম্পরার খানিকটা আমি বানালামও হতে পারে। কিন্তু মোদ্দা গপ্পোটা এরকমই। "বিজ্ঞান" ও "প্রকৃতির নিয়ম" বলে কিছু আগেভাগেই ধরে নিলে এই জিনিসই হবে। বিজ্ঞানকে অ্যাবসলিউট ধরে নেবার তো এটাই মুশকিল। তখন সেটা মৌলবাদে পরিণত হয়।

    বস্তুতঃ "প্রকৃতির নিয়ম" বা "বিজ্ঞানের নিয়ম" এখানে, বা কোনো ক্ষেত্রেই কোনো যুক্তি হতে পারেনা, ওরকম অ্যাবসলিউট কিছু হয়না, এইটা প্রবীর ঘোষের মতো বিজ্ঞানমনস্কদের বুঝতে হবে। শুধু এই ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই। নইলে মৌলবাদের জবাবে আরেকটা মৌলবাদের জন্ম হবে। যা আমি সেই কব্বে থেকে বলে আসছি, আজকে হাতেগরম দেখতে পেলেন।
  • চাড্ডি | 127.194.198.134 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:২৭547407
  • মাঝে মাঝেই প্রাচীণ ভারতের সুবিধেমতন রেফারেন্স টানাটাও বিশেষ কাজের না। মুক্ত যৌনতার কালচার আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার -এই দাবী তোলার সময় খাজুরাহোর জয়গান , আর পুরুষ নারীর সমানাধিকারের দাবীতে মনুস্মৃতির কুৎসা দুইই একইসাথে চালানোকে সুবিধেবাদ বলে।

    জয় শ্রীরাম।
  • a x | 86.31.217.192 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৪৭547408
  • না, এই ক্ষেত্রে যুক্তিবাদীদের বিজ্ঞানটা আদৌ পরিষ্কার না। জেনেটিক ট্রেট ঐ ভাবে বহন হয় না।
  • a x | 86.31.217.192 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৫০547409
  • আর হ্যাঁ চাড্ডির বক্তব্যর সাথে একমত। বিজ্ঞান বা ঐতিহ্য এইসব দিয়ে সিভিল রাইটসের দাবী করতে গেলে মুশকিল।
  • aranya | 78.38.243.161 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:২২547410
  • তর্কের খাতিরে যদি ধরে নি, সমকামিতা 'প্রকৃতির নিয়ম'-এর বিরুদ্ধে, সেক্ষেত্রেই বা রাষ্ট্র সেটাকে ক্রাইম আখ্যা দিয়ে কি করে আইন করতে পারে?
    দুজন অ্যাডাল্ট যদি প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজ করে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে, তাতে রাষ্ট্রের মাথা ঘামানোর কোন এক্তিয়ার থাকতে পারে না
  • ঈশান | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:১৬547411
  • উল্টোদিকের "গে-জিন" জাতীয় বক্তব্য পড়েছিলাম। সেও হুবহু মনে নেই। তার মোদ্দা কথা হল, পুং গে-ত্ব মেয়েদের দিক থেকে বাহিত হয়। তাতে একটু ঘুরপথে কিন্তু শেষবিচারে প্রজননের সুবিধে হয়। আগেরটার মতো গে-জিনও মনে হয় এখনও হাইপোথিসিসই।

    কিন্তু কোনটা ঠিক কোনটা ভুল সে তো অন্য বিষয়। সেটা এখানে আমার প্রতিপাদ্য না। কথা হল পক্ষে-বিপক্ষে সব মতই ধরে নেয় "প্রজনন-সাফল্য"ই হল প্রকৃতির নিয়মের মাপকাঠি। যা প্রজনন-সফল (সোজা অথবা বাঁকা পথে) তাই প্রকৃতির নিয়মের পক্ষে এবং যা প্রজনন-সফল না তা "প্রকৃতিবিরুদ্ধ"।

    যুক্তিবাদীরা একটি হাইপোথিসিস নিচ্ছেন, অন্যরা উল্টোটা নেবেন। সবই বিজ্ঞানের নামে।

    কিন্তু কথা হল এখানে বিজ্ঞানকে কি আদৌ টেনে আনার দরকার আছে?বিশেষ করে যেখানে সনসংখ্যার ঠেলায় দুনিয়া অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এখানে ওই "প্রকৃতি" "বিজ্ঞান" এইসব টেনে আনা অনেকটা নিজের আইডিওলজির পক্ষে "সব ব্যাদে আছে" বলার মতো। এই আর কি। নচেৎ রুশো বা ভলতেয়ারের আইডিওলজির সঙ্গে প্রকৃতির বিশেষ সম্পর্ক নেই।
  • π | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:৩১547413
  • পারেনা তো। আর যুক্তিটা সেদিন থেকেই আসা উচিত। বা, র‌্যাদার, ঐ প্রাকৃতিক, তাই বৈধ এই দিক দিয়ে যুক্তি আসাও উচিত নয়। সমকামিতা জেনেটিক (যার কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি) কি এপিজেনেটিক হোক কি না হোক, অন্য কোন প্রাণীতে থাক বা না থাক, যদি বিশুদ্ধভাবে চয়েস ও হয় (লিখতে গিয়ে মনে হল, বাইসেক্সুয়ালদের মধ্যেই তো অনেকে বাই চয়েজ সমকামী হন !), তাও এটা মেনে নিতে হবে। বা র‌্যাদার, এই নিয়ে আপত্তি তোলার কোন এক্তিয়ার নেই।

    ক'দিন আগে এই লেখাটাও আবার তুলেছিলাম, এই প্রসঙ্গেই।
    http://www.guruchandali.com/default/2010/05/03/1272900339912.html
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন