এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অথ বুনো মোষ তাড়ানোর কথা

    π
    অন্যান্য | ১৫ জুন ২০১২ | ৪৫৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ব্যাং | 132.172.238.235 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৫৩547972
  • এই আগলি ইন্ডিয়ান লুরুতে এখন এতটাই জনপ্রিয় যে বহু মানুষ এদের সম্র্থন করে এগিয়ে আসছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাঁধে তুলে নিচ্ছেন নিজেদের বাড়ির, অফিসের চারপাশের রাস্তা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব।
    প্রথম লিংটা পামিতাদের আপিসের ছেলেমেয়েরা আগলি ইন্ডিআনের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে কিভাবে নিজেদের আপিসবাড়ির সামনের ফুটপাথকে সাজুগুজু করিয়ে দেয়।


    একে একে এগিয়ে আসে ওর‌্যাকল, আইবিএম, আইএনজি বৈশ্য, সেঞ্চুরি ইত্যাদি কোংয়ের লোকজনেরা।

    নীচের লিংটা সেঞ্চুরির লোকজনরা কীভাবে নিজেদের রাস্তা নিজেরাই পরিষ্কার করে।


    এই ছবিটা হচ্ছে সায়নের বলা বিটিএম এর রাস্তা ছবি http://www.facebook.com/photo.php?fbid=427457553980172&set=a.125833837475880.17876.123459791046618&type=1&theater

    আগলি ইন্ডিয়ানদের নাম লোকে জানতে পারে প্রথম, যখন এরা নিজেদের চেষ্টায় বিশপ কটন গার্লস স্কুলের ফুটপাথ থেকে ভ্যাট সরিয়ে ফুটপাথটিকে পুনরুদ্ধার করে। তার আগে ঐ ফুটপাথ নামের নরকযন্ত্রণাটির কথা আমার মতন ভুক্তোভোগীরাই জানে।
    দয়া করে ইউটিউব ঘেঁটে বিশপ কটন গার্লসের স্পটফিক্সিংয়ের বাকি ভিডিওগুলো দেখে নিন।
  • ব্যাং | 132.172.238.235 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৫৭547974
  • sch আমাদের পাড়ায় ঠিক এই জিনিসটাই এখন আমরা শুরু করেছি, কেউ অপোকম্মো করলেই সে পোষা কুকুরকে দিয়েই করাক বা বাচ্চাকে দিয়েই, সেই অবস্থার ছবি তুলে কমিউনিটি ইয়াহুগ্রুপ আর গুগলগ্রুপে পোস্ট করা। আগের থেকে অনেক কম এইসব অত্যাচার এখন।

    রাতের আগে আর সময় পাব বলে মনে হয় না।
  • sch | 125.242.180.114 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৪:২১547975
  • দেখছেন তো ব্যাং দিদি কেন বলছিলাম কেস স্টাডিটা খুব ইম্পর্টান্ট। আমি ডিডি-দার ঘ্যান পদ্যের মতো ঘ্যানর ঘ্যানর করে যাব - যতক্ষণ না একটা বড়ো ফোরামে আপনাদের কার্যকলাপ প্রকাশ পায়
  • সায়ন | 170.83.96.84 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৫:০৪547976
  • এক ঘন্টা মিটিন করে এসে পড়লাম। আবার মিটিন। সন্ধ্যের আগে আবার লিখবো। খুব ভালো লাগছে পড়তে। ব্যাঙদিকে অগ্রীম অভিনন্দন। sch, ইনোভেটিভ সাবজেক্ট। দ্যাখা যাক। ফোটো তুলে ফেবু'তে চিপকানো - এটা এখানে ট্রাফিক রুল ভায়োলেশনের কেসে করি/করে। বেশ কাজের।
  • সায়ন | 111.63.221.140 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২২:৪০547977
  • ব্যাঙদি লিখবে বলেছে যখন, নিশ্চই লিখবে (কিন্তু প্রশ্ন হল, কখন!) ...

    আপাতত ক'টা লিং দিয়ে যাই।
    ১) http://www.dailydump.org/
    ২) http://www.cbengaluru.com/phase4/partners.php
    ৩) http://www.saahas.org/

    এগুলোর মধ্যে আমাদের দোকানে "সাহস" থেকে স্টল দিয়েছিল। মোটামুটি সিএসআর ইনিশিয়েটিভের দৌরান টুকিটাকি কাজে (যেমন গবাদি পশুর ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে হাত লাগানো ইত্যাদি) পার্টিসিপেশন হয়ে থাকে। সাহস'এর কাজকর্ম সম্বন্ধে সেই প্রথম জানকারি পাই। কমবেশী ভালো কাজ অনেকেই করছে। কিন্তু তেড়েফুঁড়ে কাজে নামতে গেলে একটু বেশী টাইম অ্যাভেইলেবল চাই। কাজ না করার অজুহাত নয়, সত্যিই চাই। তবুও আমার মনে হয় একটা এস্ট্যাব্লিশমেন্টের আওতায় কাজ না করে যদি সম্ভব হয় (মানে যাঁদের ক্ষেত্রে), একটা ফ্র্যাঞ্চাইজ খুলে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি কাজ করাটা বেটার হবে।
  • ব্যাঙ | 132.167.216.125 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২১547978
  • এই সাহসের সাথে আমাদের কথাবার্তা বহুদূর এগিয়েছিল, বেশ কয়েকটা মিটিংও হয়, কিন্তু এরা ড্রাই ওয়েস্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য উল্টে আমাদের থেকেই টাকা চেয়েছিল! ফলে আমরা পিছিয়ে আসি। পিছিয়ে আসার পরে আরো খোঁজখবর করে জানতে পারি সাহস যেসব প্রমিস করেছিল তার সবটা সত্যি ছিল না। এই ড্রাই ওয়েস্টের গল্প লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে।
  • ব্যাঙ | 132.167.216.125 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২৪547979
  • যাগ্গে, পুরানো কথায় ফিরে আসি। কেউ যদি সময় নষ্ট করে এই টইটা উল্টে দেখছেন, তাদের আমি আবারও অনুরোধ করব। আগলি ইন্ডিয়ানের বিশপ কটন গার্লসের স্পটফিক্সিংয়ের সব কটা পার্ট (ভিডিও) ইউটিউব ঘেঁটে দেখতে। পুরোটা দেখলে আমরা কেমন, সেটা বেশ ভালোভাবে জানা যায়।
  • ব্যাঙ | 132.167.216.125 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২৫547980
  • এখন কথা হচ্ছে, যে শহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এত মানুষ এগিয়ে আসছেন শহর পরিষ্কার রাখতে, তাহলে সেই শহরের আজ এই হাল কেন!

    সঙ্গে থাকুন।
  • ব্যাঙ | 132.167.216.125 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৩৬547981
  • আজ ঘুম পাচ্ছে, পরে লিখব।
  • siki | 11.38.13.3 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৫০547983
  • সঙ্গে আছি।
  • sch | 69.93.195.230 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০২:১৫547984
  • byang দিদির ভিডিওগুলো আমার অফিসের কটা ছানাকে দেখিয়ে বললাম দেখো ওরা পারলে আমরা পারবো না কেন - লোকজন হাই তুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে হাসলো। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দিল "ক্ষী যে বলেন - এসব বনের মোষ কেউ তাড়ায়"

    আসল প্রশ্ন হলো মানসিকতা। কিন্তু ভিডীওগুলো খুব কাজের। দেখলে বোঝা যায় ইচ্ছে থাকলে করা যায় - এমন কিছু কঠিন না - কিন্তু ইচ্ছেটাই আসল -
    kudos ব্যাং দিদি - ভিডীওগুলো সত্যিই অনবদ্য
  • pi | 127.194.3.51 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০৮:১২547985
  • নেট অ্যাপ আর সেঞ্চুরির ভিডিও দুটো দেখলাম। এইসব কোং এর লোকেরা কি এটা নিয়মিতভাবে ক'রে চলেন ? নাকি, একবার পরিস্কার করলে ময়লা ফেলা, জমা অনেকটাই আটকানো যায় ? আর টেলিফোন কোং এর সাথে কথা বলা হয়না, যাতে তারা এরকম না করে বা ক'রলে ঠিক ক'রে দ্যায় ?
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:২২547986
  • ব্যাং,পড়ছি,পড়ছি।সময় ও সুযোগ মত লিখো।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৬547987
  • পাই, টেলিফোন কোং য়ের সঙ্গে কথা বলা হলেও সে সবই কাকস্য পরিবেদনা। তাদের কর্ণপাত করতে বয়ে গেছে। আর তোর প্রথম প্রশ্নের উত্তর হল - প্রথমবার পরিষ্কার করতে বিশাল এফোর্ট লাগে, চোখের চামড়াওয়ালা লোকজনেরা আবার সেই জায়্গাটা নোংরা করতে লজ্জা পায়। আর তাছাড়া ঐসব কোংয়ের যেসব ছেলেমেয়েরা হাত লাগিয়েছিল, তারাও নজর রাখে।

    আমি তোকে আবারও বলব বিশপ কটন গার্লসের সব কটা ভিডিও দ্যাখ। শেষের দিকের কোনো একটা ভিডিওতে দেখবি অত কষ্ট করে বানানো ওয়ান্ডারলু কারা যেন এসে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে গেছে। কারা করেছে, সেটা খুঁজে সময় নষ্ট না করে আগলি ইন্ডিয়ানরা আরো একবার ওয়ান্ডারলু গুলো নতুন করে মেরামত করল।

    sch, ইউটিউবে অ্যাগোনি অ্যাট ওরাকল এর ভিডিওটা দেখবেন একবার সম্ভব হলে।

    কুমুদি, ভিডিওগুলো সময় করে দেখ।
  • | 24.96.81.159 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪১547988
  • ৭ অবধি দেখলাম সকালে। মনে হচ্ছিল যেন ভিডিওর ভেতর থেকে গন্ধ পাচ্ছি। সত্যি যাঁরা এইটা করছেন তাঁদের সশ্রদ্ধ অভিনন্দন।

    আমাদের CSR টিমকে ফরোয়ার্ড করলাম যদি কিছু করা যায় কলকাতার অন্তত আমাদের অফিসের সামনেটার জন্য।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৬547989
  • এবারে আসি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কথায়। বেশ কিছু বছর আগে আমাদের পাড়ার কিছু মহিলারা তিতিবিরক্ত হয়ে নিয়ম করেন যে এবার থেকে হাউসকিপিং স্টাফরা আর বাড়ি বাড়ি কলিং বেল বাজিয়ে আবর্জনা কালেক্ট করবে না, প্রত্যেককে নিজের নিজের গারবেজ ব্যাগ নিজেদেরকে নীচে নেমে বিল্ডিংয়ের নীচে রাখা বিনে ফেলে আসতে হবে।

    এই মহিলাদের তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠার পিছনে বেশ কিছু কারণ ছিল।
    ১) প্রতিটা বিল্ডিংয়ে কুড়িটা করে ফ্লোর আর প্রতি ফ্লোরে আটটা থেকে ছটা করে ফ্ল্যাট। এবারে রোজ একশো কুড়ি থেকে একশোষটটা ফ্ল্যাটের আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল বড় বড় বিন লিফটে করে উপরে তুলে প্রতিটা ফ্লোরে থেমে থেমে। ফলে সকাল দশটা থেকে বারোটা লিফট আটক থাকত। এবং তারপরেও এক ঘন্টা লিফটে ঢোকা যেত না দুর্গন্ধের কারণে। প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা দুটো লিফ্টের একটা বন্ধ থাকায় রেসিডেন্টদের অত্যন্ত অসুবিধে হচ্ছিল।
    ২) কিছু রেসিডেন্ট যখনতখন দরজার বাইরে গারবেজ ব্যাগ রাখতে আরম্ভ করল অথবা লিফট করিডোরে। ফলে মাঝে মাঝে কুকুর এবং বাঁদররা সিঁড়ি দিয়ে আঠেরো-উনিশতলাতেও আসতে শুরু করল খাবারের সন্ধানে। এবং তারা যে কায়্দায় প্যাকেটগুলো ছিঁড়ে কাংখিত খাদ্যবস্তুটি সংগ্রহ করে ত্রিপ্ত হয়ে ফিরে যেত, তা আমাদের জন্য মর্মান্তিক হত। কারণ প্যাসেজে পা দেওয়া যেত না, পুরো ফ্লোরে ছড়িয়ে থাকত এঁটো-কাঁটা ।
    ৩) যারা নাইট শিফটে কাজ করত তারা বিকেলবেলাতেই দরজার বাইরে গারবেজ ব্যাগ রেখে দিয়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করল। ফলে ইঁদুরদের আনাগোনাও বাড়তে থাকল।

    যখন নিয়ম করা হয় সবাইকে নিজেদের আবর্জনা নিজেদের নীচে এসে বিনে ফেলে যেতে হবে। তখনই প্রথম ওয়েস্ট সেগ্রিগেশনের চিন্তাটি মাথায় আসে আমাদের।
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৯547990
  • বিশপ কটনের ফুটেজটায় গারবেজ সাফ করার পরও পার্পল হেজ পাব পুনরায় তাদের ট্র্যাশ ফেলে গেছিল, রাত একটার পর, সেটা জানা যায় তাদের গারবেজ ব্যাগ ঘেঁটে। আর এইচডিএফসি ব্যাঙ্কও। এই গাধাবোটগুলো ...... :-X
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫৩547991
  • তখনও অব্দি আমাদের জানা ছিল ই-ওয়েস্ট সবচেয়ে সাংঘাতিক, তাই সেটিকে আগে আলাদা করে ফেলা প্রয়োজন। তখন বোধহয় ২০০৪ সাল। সবার বাড়িতেই ভরতি পুরনো ফ্লপি ডিস্ক এবং সিডি। সেই জন্য রাখা হল একটি বড় কালো বিন দুশোচল্লিশ লিটারের।
    এই জ্ঞানটুকুও ছিল যে কিচেন ওয়েস্ট আলাদা করে ফেলতে পারলে, তা থেকে পাড়ার বাগানগুলোর জন্য সার বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। তাই কিচেন ওয়েস্ট ফেলার জন্য রাখা হল সবুজ বিন, সেও ঐ দুশো চল্লিশ লিটারের।
    আর বাকি সব ধরণের ওয়েস্টের জন্য নীল বিন, সেও ঐ দুশো চল্লিশ লিটারের।

    তখন আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সবাইকে এটা মানতে বাধ্য করা যে নিজেদের আবর্জনা নিজেদেরকেই নীচে এসে নামিয়ে যেতে হবে।

    এবার শুরু হল মেয়েদের ভলান্টিয়ার গ্রুপের সাথে অন্য রেসিডেন্টদের অশান্তি। রেসিডেন্তদের অনেকেই এই নিয়ম মানতে অস্বীকার করলেন।
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫৭547992
  • ইলেকট্রনিক সিটিটা মোটামুটি পরিচ্ছন্ন কারন ২৪/৭ সুইপার ইত্যাদিরা বহাল। কিন্তু বাদবাকি রাস্তাগুলো, বিশেষতঃ ওল্ড সিটি - একএকটি রৌরব নরক। ব্যাঙদি, এই গারবেজ কনসলিডেশন পয়েন্ট কিন্তু আগে এমন মাত্রাতিরিক্ত ছিল না, থাকলেও আউটস্কার্টে, স্কুল আপিস হসপিটালের কাছেপিঠে না। এটা নিয়ে ইদানিং পেপারে হুলুস্থুলুও বেশ চলছে। গোটাটাই মূলতঃ পাসিং দ্য বাক। কিস্যু হবে না। আর্চার্দিন পরে "হলিডে সীজন" শুরু হয়ে গেলেই সবাই সব ভুলে যাবে। আর কে না জানে উৎসবে আহ্লাদে আমারা কেমন দায়িত্ব নিয়ে জঞ্জাল ছড়াই।

    "আগলি ইন্ডিয়ান"রা ট্র্যাশ ক্যানের নাম রেখেছে "তেরে বিন" :-D
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:০০547994
  • শুরু হল সম্মুখ সমর। রেইদেন্টদের অনেকেই দরজার বাইরে বা Kঅরিডোরের যেখানে সেখানে বা সিঁড়ির ধারে গারবেজ ব্যাগ ফেলে রাখাটা কন্টিনিউ করতে থাকলেন। ভলান্টিয়ার গ্রুপের মেয়েরাও লম্বা লম্বা গ্লাভস পরে ব্যাগগুলো খুলে খুলে খুঁজতে লাগল কোনো সন্ধান্সূত্র পাওয়া যায় কিনা, কোন ফ্ল্যাট থেকে এটা এসেছে। হয় সামনের দোকানের হোম্ডেলিভারির হ্যান্ডরিটেন বিল (যাতে ফ্ল্যাট নম্বর লেখা) নয় ক্রেডিট কার্ডের বিল, নয়তো পাড়ার মোড়ের রেস্টুরান্টের প্লাস্টিকের ডাব্বা অথবা পিজ্জার বাক্স। ফোন লাগাও রেস্টুরান্টে, "ভাইয়া, কাল অমুক বিল্ডিংয়ের কত নম্বর ফ্ল্যাটে ডেলিভারি করেছিলেন?" যেই পাওয়া গেল ফ্ল্যাট নম্বর দুই-তিনজন রণরঙ্গিনী সেই গারবেজ ব্যাগ হাতে নিয়ে চললেন সেই ফ্ল্যাটে। দরজা খোলা মাত্রই তাদের ফ্ল্যাটের ভিতরে সেই ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে, "এটা নীচে গিয়ে রেখে আসবেন কি?"
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:০১547995
  • রেসিডেন্ট
    করিডোর
    সন্ধানসূত্র
    হোমডেলিভারি
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:০৮547996
  • যেসব রেসিডেন্টরা রাজি হলেন, মেনে নিলেন ভলান্টিয়ার গ্রুপের প্রস্তাব, তাদেরও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেল অন্য এক সমস্যা। তারা বেশির ভাগরাই গারবেজ ব্যাগ নীচে পাঠাতে লাগলেন কাজের মেয়েদের হাত দিয়ে। কাজের মেয়েরাও এই এক্স্ট্রা পরিশ্রমের জন্য (লিফটে করে নীচে নেমে বিনে ফেলা) নিজেদের মাইনে দেড়শো-দুশোটাকা মতন বাড়িয়ে নিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না, তারা উনিশতলার ব্যাগ রাখতে লাগলো পাঁচ তলায় লিফটের সামনে, অথবা আটতলা থেকে পনেরোতলায় কাজে যাওয়ার সময় লিফট বারোতলায় থামিয়ে সেখানে রেখে যেতে লাগল আটতলার ব্যাগ।

    ভলান্টিয়ার গ্রুপের মেয়েদের সাথে কাজের মেয়েদের শুরু হল এক অনন্ত চোরপুলিশ খেলা। যথারীতি ব্যাগ খুলে ফ্ল্যা নম্বর বার করে নীচে সিকিউরিটী ডেস্কে গিয়ে রেজিস্ট্রার খুলে সেই ফ্ল্যাটে কোন মেয়ে কাজ করে খুঁজে বার করে সেই ফ্ল্যাটে ফোন করা জিজ্ঞেস করা "আপনার বাড়িতে কাজ করার পরে কোন বড়িতে কাজ করতে যায় আপনার কাজের মেয়ে?" জেনে নিয়ে অন্য বাড়িতে গিয়ে বেল বাজিয়ে দরজার বাইরে খোলা চটি দেখে সেই কাজের মেয়েKএ ডেকে বকুনি দেওয়া। তখন আমাদের অনেকেরই মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল কোন কাজের মেয়ের চটির রং কী।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:২২547997
  • ভলান্টিয়ার গ্রুপের মেয়েদের বেশ কিছুজন ক্লান্ত হয়ে পড়ল পরবর্তী দুই-তিনবছর ধরে এই অনন্ত চোরপুলিশ খেলায় । যারা তখনও ক্লান্ত হল না, তাদের তখন অন্য এক সমস্যা ফেস করতে হল, তাদের বাড়িতে কোনো কাজের মেয়ে কাজ করবে না। কাজের মেয়েরা ভলান্টিয়ার গ্রুপের মেয়েদের বয়কট করতে শুরু করল। প্রতিটি বিল্ডিং থেকে দুই-তিনজন করে মহিলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই ভলান্টিয়ার গ্রুপ। এই মহিলাদের প্রায়ই যখনতখন ফোন করে সিকিউরিটি স্টাফরা ডাকত "ম্যাডাম একবার নীচে আসুন, অমুক মেইড ভীষণ ঝগড়া করছে। বলছে পাড়ার বাইরে আমরা পা রাখলেই লোকাল ছেলেদের দিয়ে আমাদের মার খাওয়াবে" । তখন এইসব মহিলাদের কেউ কেউ নীচে গিয়ে সিকিউরিটি গার্ডদের সিকিউরিটির ব্যবস্থা করত কাজের মেয়ের কার্ড ক্যানসেল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে।
    এই করতে গিয়ে একবার এক মহিলা ভয়ানক বিপদে পড়েছিলেন। এক কাজের মেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ায় সিকিউরিটি গার্ডকে থাপ্পড় মেরে তার টেবিল উল্টে দিয়ে অশান্তি করছিল দেখে, সেই মহিলা সেই মেয়েটির ঐ পাড়ায় ঢোকার কার্ড ক্যানসেল করে দেবে বললে, কাজের মেয়েটি তার এম্প্লয়ার অন্য এক রেসিডেন্ট মহিলাকে ফোন করে জানালে, তার এমপ্লয়ার মহিলা পরের দিন দুইজন পুলিশকে ঘুষ দিয়ে ডেকে আনেন, ভলান্টিয়ার মহিলাকে কড়কে দেওয়ার জন্য।
    এইসব চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। ভলান্টিয়ার গ্রুপের মহিলারা মাঝে মাঝেই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। কিন্তু আবার পুনরুদ্যমে কোথাও কোনো গারবেজ ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখলেই গোয়েন্দাগিরিতেও লেগে যান। কাউঅকে কাউকে টানা দুই-তিনবছর ধরে কাজের মেয়েরা বয়্কট করতে থাকে। তাদের একটাই দাবী, তাদের পক্ষে সেগ্রিগেট করে দুটো ব্যাগ দুটো আলাদা রঙের বিনে ফেলা সম্ভব নয়। দুটো আলাদা বিন বলতে সবুজ ও নীল বিন। মানে কিচেন ওয়েস্ট আলাদা ব্যাগে সবুজ বিনে ফেলা আর অন্য জাবতীয় আবরজনা আরেকটা ব্যাগে ভরে নীল বিনে ফেলা। তাদের যেটা যেমন ইচ্ছে বিনে তারা ফেলবে।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৬547998
  • অধিকাংশ ভালন্টিয়ার মেয়েদেরই অন্য কাজকম্মো ছিল, ঘরে ছোট বাচ্ছা ছিল, ফলে কারুর পক্ষেই সম্ভব ছিল না রাউন্ড দ্য ক্লক বিনের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কাজের মেয়েদের বাধ্য করা ঠিক ব্যাগটা ঠিক বিনে ফেলতে।
    কমিউনিটির ইয়াহু এবং গুগলগ্রুপে কতবার মেইল পাঠানো হয়, দয়া করে কাজের মেয়েদের হাতে বিন পাঠাবেন না। যাদের উপায় আছে, তারা নিজেরা এসে ফেলে যান। কিন্তু ৯৯% রেসিডেন্টই পছন্দ করলেন কাজের মেয়েদের হাত দিয়ে নীচে পাঠানোর উপায়টি। আমার ঘরের আবর্জনা আমার ঘরের বাইরে গেলেই আমার দায়িত্ব শেষ। সেটি কোথা অব্দি পৌঁছাচ্ছে, সেটা দেখা আমার কাজ নয়। কাজের মেয়েকে এই কাজের জন্য দুশো টাকা করে প্রতি মাসে বেশি দিচ্ছি এর্বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৭547999
  • প্রচুর বানান ভুল হচ্ছে, তবু আশা করি পড়া যাচ্ছে। আমাকে গুচর লোকজনরা যদ্দিন না চাঁদা তুলে নতুন ল্যাপি কিনে দিচ্ছে ততদিন এই বানানই পড়তে হবে, কিচ্ছু করার নেই।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩৯548000
  • শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কাজের মেয়েদের জন্য কিছু ক্লাস নেওয়া হবে, যেখানে তাদের এই সেগ্রিগেশনে ভালোমন্দ শেখানো হবে।
    কিন্তু সে আরেক সমস্যা। দুইহাজার ফ্ল্যাটের কম করে সাত-আটশো কাজের মেয়ে তাদের সবাইকে যদি বা খোলা মাঠে উপরে ছাউনি লাগিয়ে চেয়ার দিয়ে বসানো গেল, কিন্তু সবাইকে একসঙ্গে ক্লাস করার জন্য কীভাবে পাওয়া সম্ভব। রেসিডেন্টরা বেঁকে বসলেন কেউ একদিনের জন্যও রেয়াত করবেন না, কাজের মেয়েদের কাজে না আসা, বা কারুরই একদিনের জন্যও কাজের মেয়ের আসা সময়ের অদলবদল চলবে না। কারুর আছে পুজো, কারুর আছে বাচ্চার স্কুলে পেরেন্ট-টিচার মিটিং, কারুর আবার হসপিটালে না গেলেই নয়।

    তাহলে রোব্বার? রোব্বারে ক্লাস রাখা যাক? সেদিন তো বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকবে!

    রোব্বার? রোব্বার কীভাবে সম্ভব? সেদিন বলে সকাল থেকে কত কাজ? রোব্বারে কি আমরা নিঃশ্বাস ফেলার সময়টুকুও পাই!

    অনেক আলাপাআলোচনা করে , একমাস ধরে অন্তত একশোটা ইমেল পাঠিয়ে রেসিডেন্টদের জানানো হয় অমুক দিন কোনো কাজের্মেয়ে কোনো বাড়িতে কাজ করবে না। তাদের আমাদের ক্লাসে আসতেই হবে। মেন গেটে বসে কাজের মেয়েদের ঢোকা-বেরোনোর সময়ে তাদের বলা - অমুকদিনে কিন্তু আসতেই হবে। লোকের বাড়ি বাড়িয়ে গিয়ে বেল দিয়ে দিয়ে বলা "ও আপনার বাড়িতে কাজ করে বুঝি? ওকে যেন অমুক দিনে মিটিংয়ে দেখতে পাই! ওকে পাঠানোর দায়িত্ব আপনার। প্লিজ প্লিজ পাঠাবেন"
    এসবে যে কত সময় যেত সে আর বলার কথা নয়।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:৪৬548001
  • অবশেষে সেই দিন সকাল থেকে সাজ-সাজ রব। মেন গেটে দাঁড়িয়ে থেকে কাজের মেয়েরা আসামাত্রই তাদের কাঁধে ব্যাজ লাগিয়ে দিয়ে তাদের নিয়ে গিয়ে বসানো। জলখাবার দেওয়া। বড় স্ক্রীন টাঙিয়ে তাদের ভিডিও দেখানো হয় কীভাবে তাদের সেগ্রিগেট করা উচিৎ, না করলে কী ক্ষতি, কোনটা কোথায় ফেলা উচিৎ, না ফেললে পরে কী অসুবিধে হতে পারে। এই প্রেজেন্টেশনে ওদের কিছু ছবি দেখানো হয়, যে আমাদের মত স্বচ্ছল ঘরের আবর্জনাগুলো আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তো যায়, কিন্তু ডাম্পার ট্রাকগুলো বহুক্ষেত্রেই যেখানে গিয়ে ফেলে আসার কথা সেখানে গিয়ে ফেলে না এসে ফেলে দেয় তোমরা যেসব বস্তিতে থাক, তার পাশে। তোমরা যদি কিচেন ওয়েস্টের সাথে প্লাস্টিক কাগজ ডায়াপার এসব না মেশাও, তাহলে তোমরা আর তোমাদের বাচ্চারা একটু কম দুর্গন্ধহীন বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পার। ওদের বস্তির পাশে ডাম্পার ট্রাকগুলোর ময়লা ফেলে আসার ছবি দেখে ওদের কেউ কেউ বুঝতে পারে, সেগ্রিগেশন কেন ওদের জন্যও প্রয়োজনীয়।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:৫২548002
  • এত কিছু করেও আমরা আজ অব্দি হান্ড্রেড পারসেন্ট সেগ্রিগেশনের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি নি। খুব বেশি হলে আমাদের লক্ষ্যের ৬০%য়ের কাছকাছি আমরা গেছি।

    এর মধ্যে আমাদের অজস্র মিটিং হয় ওয়েস্ট ডিজপোজাল নিয়ে যেসব সংস্থা কাজ করছে, তাদের সাথে। যাদের মধ্যে সাহস ছিল অন্যতম। যাদের কথা সায়ন লিখেছে।

    খুব বোরিং হচ্ছে বুঝতেই পারছি, আমারও আপাতত দম ফুরিয়ে এসেছে। বাকিটা পরে লিখব। যাদের বিরক্তিতে গা জ্বলে যাচ্ছে তারা schকে ধরে পেটান, schএর জন্যই গুরুর পাতায় এরকম নাকে কাপড়চাপা দেওয়া টাইপের কথাবার্তা লিখতে হচ্ছে।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০০548003
  • দমু,
    বিশপ কটন গার্লসের সব কটা ভিডিও দেখো। আজ সকালেই ঐ ফুটপাথ দিয়ে হাঁতছিলাম আর ভাবছিলাম দুইবছর আগেও ওখান দিয়ে হাঁতার কথা ভাবতেই পারতাম না। রাস্তায় নেমে গাড়িঘোড়ার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হত।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০৩548005
  • হাঁটা

    টই লেখার থেকে ভাটানো কত্তো সহজ! কিন্তু ভাটপাতায় কেউ আমাকে মিসায় না! ঃ-(((
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন