এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেড়ানোর প্ল্যান

    Toon Army
    অন্যান্য | ২৮ মে ২০১২ | ৩৩৭৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 69.93.192.20 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১১:০৫550958
  • উত্তরাখন্ড থেকে নেপাল। হিংসেতে নীল হয়ে আমি চুপ করে গেলাম।
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১১:০৭550959
  • নীল হোস না। হরিদ্বার-গোরখপুর এখনও টিকিট কাটিনি (অ্যাভেইলেবল দেখে নিয়েছি যদিও)। তবে রক্সৌল-হাওড়া টিকিট হয়ে গেছে।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৩৭550960
  • উরিব্বাস, কি হিংসুটে প্ল্যান। তবে কিচু জিনিস কয়ে যাই। ডিসেম্বরে ভি ও এফ গিয়ে লাভ আচে? হেমকুন্ড সাহিব পৌচতেও চাপ হতে পারে। তবে জোশীমঠ যদি যান, তাইলে আউলিতে স্কিইং করে আসবেন এট্টু আমার হয়ে। দেখবেন স্কিইং করতে না পারার দুঃখে আমার চোখের জল ওখানে এক লেয়ার বেশি বরপ জমিয়ে রেকেচে।
    আর আমায় যদি জিগ্গেস করেন আমি বলব দশ দিনে এট্টু তাড়াহুড়ো লাগচে। গোয়ালদাম -> হেমকুন্ড সাহিব একদিনে তো সম্ভবই না। এট্টু ভাবুন, দুই একটা বাদ দিলে মনে হয় আরো ভালো লাগবে। নইলে ওই বিকেল করে পৌচোনো আর সকাল বেলা সানরাইস দেকে দৌরনো। এট্টা জায়গায় না থাকলে, গন্ধ না শুঁকলে, হাঁটাহাঁটি না কল্লে ঠিক সুবিচার করা হয় না।
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৪৮550961
  • :-)))

    @ কৃশানুঃ গুড ফীডব্যাক। ভিওএফ যাবো না। হেমকুন্ড সাহিব, মানে যা বুঝলাম, বাদ দিয়ে দিয়েছি অলরেডি। যোশীমঠ যাবোই, আর সেখান থেকে আউলি। তবে স্কিইং'এর যা ওরিয়েন্টেশন প্যাকেজ দেখলাম, পকেটে টান পড়তে পারে। চক্রাতা, ধনৌল্টী, চোপ্তা, যোশীমঠ, আউলি, গোয়ালদাম - এগুলোর মধ্যে লাস্টটাই একটু অফ ট্র্যাক। লুরু থেকে ট্রেনে দিল্লি দু দিন, ওভারনাইট হরিদ্বার মানে টোট্যাল তিনদিন। এই পাঁচটা স্পটের জন্য দশদিন উইথ কমিউট - দেখা যাক।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৪:০৭550962
  • গোয়ালদাম একটু অফ ট্র্যাক তো বটেই। তবে কি, আমরা পাবলিক ভেহিকল ধরেই যোশীমঠ থেকে গোয়ালদাম গেসলাম, সরে বারোটার মধ্যে পৌছেও গেসলাম। যোশীমঠ থেকে গোয়ালদাম ১৮০ কিমি মতো। ভোর সাড়ে চাট্টে নাগাদ দুধের বা ন্যুজপেপারের গাড়ি ছাড়ে যোশীমঠ থেকে। চলে এলেন কর্ণপ্রয়াগ। সেখান থেকে গোয়ালদাম আর সাড়ে তিন ঘন্টা হবে।
    আউলিতে থাকার খরচ খুব বেশি। সেম্নি হলে যোশীমঠ থেকে গিয়ে সকালে রোপওয়ে চড়ে চলে যান আউলি। এই খরচটুকু বাঁচিয়ে একটু এদিক ওদিক করে যদি স্কিইং টা করে নিতে পারেন তাইলে বলতে পারবেন SAF এর ট্র্যাকে আমি একা স্পোর্টসম্যান। শীতকালীন SAF খেলাধুলো এই আউলিতেই হয়েছিল কিনা, ২০১১ সালে। ভেবে দেখুন্না আরেকবার।
  • সায়ন | 170.83.96.83 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১৯:৪৩550963
  • এরকম উস্কানিমূলক প্ররোচনায় ভেবে দেখার আর কিছুই থাকে না ঃ-)

    ইচ্ছে আছে যোশীমঠেই থাকব আর রোপওয়ের রুটটাই নেওয়ার কথা ইত্যাদি। স্কিইং মাথায় রইল। বাকি রাম ভরোসা। আর ওখানে যা কিছু ঘোরাঘুরি সব যেন দুধের/ন্যুজপেপারের গাড়িতেই করতে পারি। ক্যামেরার জন্য হাতগুলো খোলা থাকলেই হল। অনেক ধন্যবাদ এমন পজিটিভ প্ররোচনার জন্য। আমার মেইল আইডি sayantan dot de অ্যাট gmail, পারলে একটা মেইল ঠুকে দিন। কিছু ইনফো চাই।
  • siki | 11.38.13.3 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৫৪550964
  • হেমকুন্ড না হেমকুন্ট সাহিব?
  • সায়ন | 111.63.221.140 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৫৯550965
  • হিন্দী বানানবিধি মেনে লিখলে হেমকুন্ট (हेमकुंट साहिब)। ফিরিঙ্গি ভাষায় Hemkund Sahib
  • প্পন | 126.202.155.119 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০০:২৫550966
  • VoF যেতে হয় অগাস্টে। তখন তো বলেছিলাম গা করলি না।
  • সায়ন | 125.242.190.247 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০০:৫০550968
  • আব্বে তখন ছিলাম কই! তাছাড়া আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তো আছেই? কি আছে না অলরেডি গুল?
  • প্পন | 126.202.155.119 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০০:৫৩550969
  • গুলের কী আছে? রীতিমত আছে।

    আর নেক্ষট ইয়ারে অগাস্টে দেশে থাকেলি VoF টাও হয়ে যায়!
  • সায়ন | 125.242.190.247 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০১:০০550970
  • হুঁ হওয়ালেই হয়। আমি আছি। সেক্সিকিকে হোয়াটস অ্যাপ'এ 'হোয়াট মেক্‌স আস ক্লিক' পাঠাবো।
    ইসে, মনস্থির কল্লে? তার ব্যাপারে? আমি একটা দেখেছি কিন্তু তাকে মনে হয় লাদাখ নিয়ে যাওয়া যাবে না।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ০৩:০২550971
  • মেলিয়ে দিছি। আফনেরা আমাকে আর লোভ দেখায়েন না প্লিস। সামনের বছর জ্যান্মাসে লাদাখ চাদর আর জুন্মাসে কাশ্মির ট্রেক আছে। এর মধ্যে VOF দেখালে রূপকুন্ড যাব কবে শুনি? এমন মুসকিলে ফ্যালেন্না আফনেরা।
  • সায়ন | 111.62.41.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৬:২২550972
  • মোটামুটি এইরকম ঠিক করলামঃ

    দিল্লি সরাই থেকে মুসৌরি এক্সপ্রেস ধরে সকালে ডেহরাদুন। সেখান থেকে গাড়োয়াল উত্তরাখন্ডের জায়গাগুলো, চক্রাতা - ধনৌল্টি - চোপতা - যোশীমঠ - আউলি - ঋষিকেশ হয়ে ব্যাক টু হরিদ্বার, এই অর্ডারে।

    হরিদ্বার থেকে গোরখপুর এক্সপ্রেস ধরে পরদিন সকালে গোরখপুর, স্টেশন থেকে বাস ধরে তিন ঘন্টায় বিহার-নেপাল বর্ডারে সুনাউলি; বর্ডার ক্রস করে ওপার থেকে বাস/জিপ যা কিছু হোক ধরে প্রথম প্রেফারেন্স ডাইরেক্ট পোখরা। যদি সন্ধ্যের আগে গাড়ি না থাকে তাহলে ব্রেক জার্নি করে বুটওয়াল, সেখান থেকে পোখরা। বাদবাকিটা সেখানে থেকে কাঠমান্ডু ঘুরে বীরগঞ্জ। সেখান থেকে রক্সৌল, ফেরার ট্রেন মিথিলা এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া।

    ইন আ নাটশেল।
  • | 24.96.111.165 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০২550974
  • ওর পাশে
  • | 24.96.111.165 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০২550973
  • আর নেপালে যে সেই কালিগন্ডকি নদী, বুকে রাশি রাশি নারায়ণ শিলা নিয়ে যে কলকলিয়ে বয়ে যাচ্ছে ---- র পাশে গিয়ে একবার বসবে না?
  • সায়ন | 111.62.41.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৭:২৪550975
  • থিঙ্কুস দমদি', পোখরা গিয়ে পৌঁছে হাতে দু'দিন থাকবে। কালিগন্ডকি নদী মানে পোখরা - বাগলুং রাজমার্গ ধরে সহস্রধারা, সেইখানে অই নদী। পোখরা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার। নদীর ছবি ইত্যাদি দেখে যাওয়ার ইচ্ছেটা... যদি যেতে পারি, যদি যেতে পারি ...
  • siki | 24.140.82.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৮:৪৪550976
  • অনেক অভিশাপ দিলাম।
  • সায়ন | 111.62.41.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৯:০৭550977
  • :-D আচ্ছা তুই আগে ফের তো দুফাই থেকে তারপর তো আছেই সবকিছু!
  • siki | 24.140.82.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৯:১০550979
  • মনে থাকে যেন। :-|
  • সায়ন | 111.62.41.133 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৯:১৯550980
  • মনে আছে। কুফ্রীতকেও এই পোস্টের দ্বারা মনে করিয়ে দেওয়া হল। ঃ-)
  • I | 24.99.114.110 | ১৮ নভেম্বর ২০১২ ০০:৫৪550981
  • চিলাপাতা-বক্সা-জয়ন্তী নিয়ে একটা প্ল্যান দেন। থাকার জায়গা ইত্যাদি নিয়ে ইনফো। ৭ দিন মত। মার্চের তৃতীয়-চতুর্থ সপ্তাহ।
  • Blank | 69.93.242.24 | ১৮ নভেম্বর ২০১২ ০১:০১550982
  • রামনাথ দার ফোন নং দেবো ইন্দো দা। কথা বলে নাও। খুব ভালো ঘোরাবে। পাখী পোকা সব চেনে।
  • ঐশিক | 132.181.132.130 | ১৯ নভেম্বর ২০১২ ১৭:৫১550984
  • একক্দা, আমার বাপি না গিয়েছিলেন ২০১১তে, গোলা জায়গা কিন্তু এখন বন্ধ :(
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৪০550986
  • দেদি কে ধন্যবাদ টইটা খুঁজে দেওয়ার জন্যে। কালকে ভাটে ট্রেক নিয়ে কিছু লিখেছিলাম, ওগুলো এইখানে দিয়ে যাচ্ছি। একটু ইনকোহেরেন্ট লাগতে পারে। কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে জানাবেন। সীমিত জ্ঞান-মাফিক উত্তর দেব। একক, ব্ল্যান্কিদার মতো ট্রেক ভেটেরান রাও পিচ-ইন করুন।
    ইন্ডিয়াহাইক্স সম্বন্ধে:
    আমি ইন্ডিয়াহায়িক্স এর অফিসিয়াল নই, তবে ওদের মেম্বার (যদিও মেম্বার হলে ইতরবিশেষ কিছু হয় না) , ওদের সাথে গেচা লা গেছি, লাদাখ ও যাচ্ছি ওদের সাথেই।
    প্রথমত, আমি কেন ইন্ডিয়াহায়িক্স এর সাথে গেলাম? আমার সম্পূর্ণ অচেনা মানুষ জনের সঙ্গে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। ভবিষ্যতে একা ট্রেক করার প্ল্যান রয়েছে। একা ট্রাভেল করেছি, কিন্তু ট্রেক করার সাহস হয় নি, তাই ওদের সাথে গেলাম।
    ওরা প্রচন্ড প্রফেশনাল নয়, সেটা ওদের খরচাপাতি দেখলেই বোঝা যায়। গেচা লা যেতে ওদের সাথে যা খরচ পড়েছিলো দু তিন জনের ছোট টিম হলে তার চেয়ে বেশি পড়ত।
    পজিটিভ গুলো আগে লিখি।
    ব্যবস্থাপত্র বেশ ভালো। টাকা অনলাইন ট্রান্সফার করা যায়। আপনি তো মনে হয় লুরুতে। ওদের আপিসে গিয়েও দেখা করতে পারেন। লুরুতেই অর্জুন মজুমদার আর ওনার স্ত্রী সন্ধ্যা চান্দ্রাসেকারান থাকেন, ওনারাই ইন্ডিয়াহায়িক্স চালান।
    ট্রেক শুরু হবার কিছু নির্দিষ্ট দিন থাকে। সেই দিনে যারা যারা রেজিস্ট্রার করেন মোটামুটি হপ্তা খানেক আগের থেকেই ইন্ডিয়াহায়িক্স এর কেউ একজন তাদের মধ্যে ইমেইল বিনিময়ের ব্যবস্থা করে দ্যান। প্রত্যেকের ট্রেইন ফ্লাইট ইত্যাদির টাইমিং জেনে নিয়ে গাড়ি য়ারেঞ্জ করার চেষ্টা করেন। লোকাল কেউ থাকলে ( য্যামন গেচা লা-র ক্ষেত্রে আমি লোকাল যেহেতু) তাকে কিছু দায়িত্ব নিতে হয়, য্যামন বাকিদের সাথে কোঅর্ডিনেট করে মিটিং পয়েন্ট ঠিক করা ইত্যাদি।
    খাবার দাবার খুবই ভালো থাকে। স্বাস্থ্যকর, তবে সম্পূর্ণ নিরামিষ। গেচা লা তে খাবার খুব স্বাদুও হয়েছে, তবে এই বিষয় তা হয়ত ট্রেক টু ট্রেক চেঞ্জ হতে পারে। দুধ, কর্নফ্লেক্স, মধু, ফল, ব্রেড, জ্যাম, আলু সেদ্ধ, ভেজ স্যালাদ থাকে ব্রেকফাস্টে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। ট্রেক এর শেষে পৌছতেই ( যদি কুকরা আমাদের আগে গিয়ে পৌছতে পারে) সুপ। তারপরেই লাঞ্চ - নুডলস বা খিচুরী। ডিনারে ভেজ রাইস, নুডলস, খিচুরী বা মোটা রুটি। এবং শেষে চা, কফি, হরলিক্স বা গরম কিছু।
    টেন্ট গুলো ছোট, এক একটায় তিনজন করে শুতে হয়। কিন্তু আমার অসুবিধে হয় নি। বাকিরাও কেউ বলেননি কোনো অসুবিধের কথা। ব্যাগ গুলো খালি ইনার চেম্বার এর বাইরে রাখতে হয়। সামার টেন্ট, কিন্তু বেশ পোক্ত, আর বাইরের চেয়ে চার থেকে ছয় ডিগ্রী টেম্পারেচার কমিয়ে দেয়। স্লিপিং ব্যাগ ওরাই দেয়। আমার যদিও স্লিপিং ব্যাগ ছিল, কিন্তু নিয়ে যেতে হয় নি। টেন্ট এর ছবি দেখতে চাইলে বলবেন।
    ট্রেকে একজন লিডার থাকে, যে সমস্ত ডিসিসন গুলো নেয়। আর চলার সময় একজন লিডার( সাধারনত লোকাল) থাকে, আর এক বা একাধিক সুইপার।
    এদের ব্যবহার আমার বিশেষ ভালো লেগেছে। তবে সকালে উঠিয়ে কিছু দৌড়-ঝাঁপ করানোর দিকে বিশেষ নজর ছিল, দলে কিছু বয়স্ক লোক থাকার কারণে, যেটা কেউ কেউ সামান্য অপছন্দ করেছেন ততক্ষনাত, পরে অবশ্য বলেছেন এটা হয়ে ভালই হয়েছে।
    মেডিকেল টিম আলাদা করে থাকে না, ট্রেক এর গাইড দের কাছেই অসুধ থাকে, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যা হয়ত যথেষ্ট হবে না। অবশ্যি আপনাকেও নিজের অসুধ নিয়েই যেতে হবে।
    পারমিট ঠিক ঠাক করে। কোনো গুপি নেই। খালি ফেরার সময় কক্চুরাং বলে একটা জায়গায় থাকতে হয়, যেটার পারমিট সিকিম গভো: দেয় না, কিন্তু ওখানে না থেকেও কোনো উপায় থাকে না। তাই ওখানকার লোকজনের সঙ্গে এরা একটু নেগসিয়েসিওন করে থাকার ব্যবস্থা করে ফ্যালে।

    প্লাস্টিক ফেলা ছড়ানো, জলের অন্তত দুশ মিটারের মধ্যে টয়লেট না করা নিয়ে বেশ স্ট্রিক্ট ছিল, সেটায় আমি খুব খুসি হয়েছি।

    আর কেউ আস্তে বা জোরে হাঁটলে ওদের কিছু বক্তব্য ছিল না, সবাইকে নিজের পেসে হাঁটতে এনকারেজ করেছে সব সময়, বারবার বলেছে কোনো অসুবিধে হলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে, AMS এর ব্যাপারে লুকিয়ে না রাখতে।

    আমাদের প্রবল ডাইভারস গ্রুপ ছিল। পনের বছরের শিবানী জুনিয়র-মোস্ট, সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। আরো তিনটি মেয়ে। তিপ্পান্ন বছরের পান্ডে জি, অভিজ্ঞ ট্রেকার। ডক্টর দেসাই, বয়েস অত চল্লিশ, অনভিজ্ঞ। কারুরই কোনো অসুবিধে হয় নি।

    ছবি দেখতে হলে বলবেন, ওদের টেন্ট খাবার দাবার ইত্যাদি-র ছবি আমার কাছে আছে, এই ছবি গুলো আমার ওদেরকে দেওয়ার কথা ছিল যাতে ওরা বিজ্ঞাপনে এ ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু ল্যাদ খেয়ে আর প্রসেস করে পাঠানো হয় নি।
    এই ট্রেক টা নিয়ে বিশদে সর্ষেতে লিখব এরকম প্ল্যান আছে। মনে হচ্ছে প্ল্যানই থেকে যাবে।

    নেগেটিভ:
    রুপিন পাস ট্রেকে আমার এক বন্ধু রেজি: করেছিল। পরে যথেষ্ট লোক না হওয়াতে ওটা ক্যানসেল হয়ে যায়। বদলে ওকে ওরা রুপ্কুন্দ নিয়ে যায়।
    এক টেন্টে তিনজন থাকতে হয়।
    আমি ফটোগ্রাফি কম্পিতিসনে প্রথম হওয়ায় আমাকে ওরা পাঁচ হাজারের ভাউচার দিয়েছে, ফলে চাদর ট্রেকে আমার পাঁচ কম লাগছে। সেই সাথে ওদের একটা ট্রেকিং পোল আর টি শার্ট পাঠাবার কথা ছিল, কিন্তু লজিস্টিকস এর ইস্সু থাকে পাঠাতে পারেনি, ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। এটাকে আমি নেগেটিভ ভাবতে রাজি নই, তবু জানিয়ে রাখলাম।

    ফিসিকাল ফিটনেস নিয়ে এককের উত্তর:
    বেশ কিছু ট্রেক আছে ( এএসি তু মডারেট লেভেল) যেখানে খুব বেশি ফিটনেস লাগেনা । সেগুলো আরামসে করা যায় । এই যেমন কাশ্মীর লেক । লম্বা হাঁটা আছে কিন্তু বিশাল কিছু চড়াই ভাঙ্গা নয়.। ধীরে ধীরে হাইট বেড়েছে । চাইলেই করতে পারেন।
    আমার বক্তব্য:
    সবচেয়ে জরুরি মনের জোর। কিন্তু ফিজিক্যাল ফিটনেস এর একটা লেভেল থাকলে তবেই সেটা পাওয়া যায় বলেই মনে হয়।
    এবার কত টা ফিজিক্যাল ফিটনেস জরুরি সেটা নির্ভর করছে কোন ট্রেক তার ওপর। কয়েকটা উদা: দি।
    সান্দাকফু - ইজি। প্রায় কোনো ফিজিক্যাল ফিটনেস দরকার নেই। নিজেকে যদি খুব আনফিট মনে হয়, সপ্তাহ দুয়েক সকালে আধ ঘন্টা মোটামুটি জোরের ওপর হাঁটলেই যথেষ্ট। রেগুলার স্মোক করলে ওটা চার সপ্তাহ করে নিলে ভালো। আর কমন কিছু ফ্রি হ্যান্ড - ঘাড় কাঁধ হাতের মাসল ফ্লেক্সিবল করার জন্য ( শক্ত করার জন্য নয়, কাজেই বুক ডন ইত্যাদির কোনই দরকার নেই, এমনকি অএরবিক্স ও যথেষ্ট)। এই রুটে পোর্টার পাওয়া যায়, ব্যাগটা তাকে দিয়ে দিলেই হবে, তবে পোর্টার দের জন্যও ভালো ব্যাগ কেনা উচিত ( নিজে নেবেন এইটা মনে করেই কেনা উচিত)। আর নিজে বইবেন একটা ২ কেজি মতো ওজনের ব্যাগ, থাকবে দুটো জলের বোতল, একটা হালকা জ্যাকেট, ক্যামেরা, কিছু অসুধ ব্যান্দেদ, ডেটল ই:। এই সময়ে আমি খুবই আনফিট ছিলাম এবং সাত কেজি ওজনের ট্রেক ব্যাগ প্লাস ক্যামেরা নিজে নিয়েছি। অসুবিধে হয় নি। কাজেই বুঝতেই পারছেন। সান্দাকফু-র রিটার্ন অসাধারণ। ঠিক সময়ে যদি যান, এক ঘন্টা পর থেকেই কান্চান্জন্ঘা ময়। দিনের শেষে এভারেস্ট, মাকালু লোত্সে ও ঢুকে পড়বে।

    গেচা লা - মডারেট তো হার্ড। হার্ডার বা হার্দেস্ট নয়। সান্দাকফু-র মোটামুটি কঠিন অংশ গুলো হচ্ছে গেচা-র সহজতম। প্রচন্ড মনের জোর না থাকলে ফিটনেস ট্রেইনিং করে নেওয়া ভালো। কোনো রকম ট্রেনিং না করেও লোকজন করে, কিন্তু আমি বলব রিস্কি। আমি যখন গেচা লা করি তখন এক মাসের একটা সিডিউল করেছিলাম, যেটা গ্র্যজুয়ালি ইন্ক্রিস করেছিল। শেষে আধ ঘন্টায় ৫ কিমি দৌড়তে পারতাম। তাও ফেদং থেকে দেওরালি টপ উঠতে চাপ হয়েছিল। শেষ দিনের ক্লাইম্ব আরো কঠিন ছিল, কিন্তু সে দিন যেহেতু ব্যাক করে ক্যাম্পে ফেরত আসা, তাই পিঠে ভারী ব্যাগ ছিল না, অসুবিধে হয় নি। আর দুপাশে ওরকম দৃশ্য দেখলে অসুবিধে হয় না। কিন্তু এই ট্রেকে প্রথন তিনদিন ভিউ ব্লক থাকায় ইন্সপিরেশন পাওয়া মুস্কিল হয়।

    চাদর - যাই নি এখনো। কিন্তু গ্র্যদিয়েন্ট ইজি। একক, ব্ল্যান্কি দা যেমন বলেছেন, বরফের ওপর হাঁটাটাই টাফেস্ট পার্ট। আর ওই ভয়ঙ্করী ঠান্ডা। খুব বেশি ফিটনেস লাগে না, ওই সান্দাকফু-র মতই।

    একিউট মাউন্টেন সিকনেস - AMS - পাহাড়ে চড়তে গেলে একেই সব চেয়ে বেশি ভয়। অসুধ পাওয়া যায়। দায়ামক্স। প্রিভেন্টিভ বা কীয়রেটিভ। আসিতজোলামায়দ গোত্রের অসুধ। নো সাইড এফেক্ট ( আমি যতদুর জানি) ।

    ভুল ভাল বানান লিখছি বলে দুঃখিত।

    প্রথম ট্রেক কি করা যায়:
    সান্দাকফু।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৪৯550987
  • আমরা সাধারনত নিজেরা যাই ট্রেকিং এ। কারন আমাদের একটা বসিক নিয়ম নিজেদের মধ্যে থাকে, সেটা হলো কোনো একজনও যদি অসুস্থ হয়ে পরে, বা আর টানতে না পারে তো নেমে আসা হবে। সেখানেই শেষ ট্রেকিং, আমরা আর এগোবো না। কোনো প্রফেশনাল গ্রুপে এটা হয় না।
    নিজেরা যাওয়াতেও সমস্যার কিছু নেই। গাইডদের কনট্যাক্ট ইন্ডইয়ামাইক বা অন্য সোর্স থেকে পাওয়া যায়। তাদের সাথে কথা বলে নাও। বাকি পোর্টার বা অন্য জিনিস গাইড ই এনে দেয়। ঝাক্কি ঝামেলা বলতে ইন্ডিয়ামাইক ঘাঁটা আর বিভিন্ন গাইড কে ফোন করা।
    কৃশানু যেটা বল্লো যে মনের জোর। সেটা একদম সত্যি। ট্রেকিং এ সবচেয়ে বেশি দরকার যে জিনিসটা সেটা হলো মনের জোর। বিশাল হাই ফাই কোনো ফিজিকাল ফিটনেস লাগে না। তবে চেহারা খুব ভরি হলে এক্সপিডিশান রুট গুলোতে সমস্যা হতে পারে। যেমন ধরুন পাহাড়ের গা বেয়ে পাথরের ওপর ব্যালেন্স করে হাঁটতে হবে। ভারি চেহারা হলে সেটা সমস্যা হবে। এই ভারি বলতে আমি ওয়েট বলছি না। অজ্জিত দা লম্বা, তো অজ্জিত দার ওয়েট আমার থেকে বেশী হবেই। হাইট ওয়েটের রেশিও যেন ডেঞ্জার কিছু না হয় (ইয়ে মানে আমি উল্টোদিকে বোধিদার উদহরন দিলাম না)।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৫০550988
  • মিনিমাম বয়স কিছু নেই। যাস্ট কিছু জিনিস বুঝতে শিখলেই হলো।
    আর রাস্তা ঘটে যে কোনো জায়্গায় হাগু হিসি করার অভ্যাস রাখতে হবে।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৫২550990
  • প্রথম ট্রেক আমি মডারেট কোনো রুট সাজেস্ট করবো। পঞ্চ কেদার, রুপকুন্ড এইসব। এতে অনেক ব্যপার ক্লীয়ার হয়ে যায়। অনেক এক্সপেকটেশান সেট হয়ে যায়। ইজি রুটে সেটা হয় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন