এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মনোবিজ্ঞান কী আদৌ বিজ্ঞান ??

    একক
    অন্যান্য | ০৮ জুলাই ২০১২ | ৬০৯১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১০ জুলাই ২০১২ ০০:৩৭553339
  • পাগামি = পাগলামি।

    বাকি পরে লিখব। কিংবা কাটিয়েও দিতে পারি। :)
  • a x | 138.249.1.194 | ১০ জুলাই ২০১২ ০০:৪৬553340
  • আচ্ছা ঈশান এই যেটা বলল দেশে শহুরে মধ্যবিত্ত মহলে এই ট্রেন্ডটা, এটা আমার বেশ অবাক লাগছে। চিরটাকাল তো উল্টো দেখে এলাম। মনের অসুখ মানেই পাগলামো আর সেটা চেপেচুপে ঢেকেঢুকে রাখতে হয়। ইন্ফ্যাক্ট সিভিয়ার কেস, যেখানে ছোট বাচ্চার মধ্যে মেন্টাল রিটার্ডেশনের সিম্প্টম দেখা যাচ্ছে, সেখানে কোনোমতে লুকিয়ে রাখতে পারলে যেন বাঁচে, এরকমই দেখেছি।
  • aka | 178.26.215.13 | ১০ জুলাই ২০১২ ০০:৫০553341
  • অক্ষ, ক্যানসারের সাথে মেটাবলিজম এবং মেটাবলিজমের সাথে ডিপ্রেসনের সম্পর্ক অলরেডি এস্টাবলিশড না?

    মানে ডিপ্রেসন হলে মেটাবলিজম ঘাঁটে এবং তা ক্যান্সার ট্রিগার করতেও পারে।
  • kd | 69.93.203.79 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৪:০৪553342
  • না অক্ষ, অবাক হয়ো না। কলকাতায় এসে দেখছি এখন অদ্ভুত (এবং ভয়াবহ) ব্যাপার-স্যাপার স্ট্যাটাস সিম্বল, স্পেশালি উচ্চমধ্যবিত্তদের। শ্রিঙ্কের কাছে রেগুলার ভিজিট তার মধ্যে সবচেয়ে পপুলার (শুধু এদের না, এদের টীন, প্রিটীন ছেলেমেয়েদেরও)। এছাড়া ছোটখাটো হার্ট-অ্যাটাক, ইনকাম-ট্যাক্স রেড ইত্যাদিও আছে (এটা এক বন্ধুর রসিকতা, আমার মুখের হাঁ বন্ধ করতে)।

    ডিঃ এ'গুলো যে শুধু এখনকার ব্যাপার, তা বলবো না। আসলে, আমেরিকা যাওয়ার আগে নিম্নমধ্যবিত্ত সমাজে থাকতুম, ওই দুনিয়া চিনতুমই না। এখন ফিরে এসে (দুর)ভাগ্যক্রমে আমি এই দুনিয়ায় ল্যান্ড করে ফেলেছি আর এইসব দেখে প্রায়ই ভেবড়ে যাচ্ছি।
  • Spark | 161.141.84.239 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৫:৩৮553343
  • আহা, আমাদের নিম্নমধ্যবিত্ত ছোটোবেলায় বড়লোকের অসুখ আর গরীবলোকের অসুখ বলে দুটো ক্যাটেগোরি ই ছিলো, আমরা ছিলুম গরীব, তাই আমাদের হতো গলাব্যথা, পেটের অসুখ, সর্দিকাশি, জ্বরজারি, হাঁপানি, ডাবা --এইসব ছ্যাবলা অসুখ যত। নামগুলো লক্ষ করুন, বুঝবেন নামের মধ্যেই কেমন একটা হ্যালাফ্যালা ভাব। হোমোপ্যাথি আর মাদুলি এইসব সম্বল করে বাপদাদাদের পুণ্যফলে যে যার সেরে উঠতো বা যাপ্য অবস্থায় থাকতো(যাপ্য মানে যা নিয়ে মোটামুটি সুখেদুখে জীবনযাপন করা যায়)।
    আর বড়লোকের অসুখ ছিলো হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের ট্রাবল ইত্যাদি অভিজাত অসুখ। হাঁপানি আর ডাবা বড়লোক ক্যাটেগোরিতে গিয়ে হয়ে যেতো অ্যাজমা নামের অভিজাত অসুখ। ঊঠতি বড়লোক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা এইসব অভিজাত অসুখ আশা করতেন। কী অবস্থা!

    আসলে রোগের ব্যাপারেও বাঙালির হুজুগ আছেই, এখন হয়তো ডিপ্রেশন খুব একটা অভিজাত অসুখ, তাই তা পাবার জন্য আর তার প্রচারে বড়লোক বাঙালির এমন উৎকন্ঠ উদ্যম।

    ঃ-)
  • S | 139.115.2.75 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৫:৪২553344
  • সেকি? আমাদের মতন পাতি লোকেদের ট্যাক্সি যদি ক্যাব হয়ে ওঠে, বিস্কুটের বদলে কুকিজ আর লজেন্চুসের বদলে ক্যান্ডিজ হয়ে ওঠে, তাহলে রোগেরা বাদ যাবে কেন?
  • Spark | 161.141.84.239 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৫:৪৪553345
  • বিস্কুট আর কুকীজ কিন্তু আলাদা বস্তু, মানে আমার সীমিত অভিজ্ঞতায় তাই মনে হলো। ঃ-)
  • S | 139.115.2.75 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৫:৫৪553346
  • নিস্চই আলাদা বস্তু।
  • pi | 82.83.87.188 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৬:০০553349
  • আরে এটা লিখবো লিখবো করেও ভুলে গেছি। মানে, কথাটা ভেরিফাই করতে চাইছিলুম। কিছুদিন আগে যেটা অমর্ত্য সেন এক লেকচারে এসে বল্লেন। লেকচারের শুরুতেই বল্লেন, আমরা বাঙালীরা ভারি স্বাস্থ্য সচেতন। কোলকাতায় নাকি দেখা সাক্ষাত হলে একে অপরকে জিগায়, আপনার কিডনী আজ কেমন আছে ! এই নাকি আমাদের সম্ভাষণে প্রচলিত বাক্যালাপ !
    শুনে তো সারা হল হো হো করে উঠলো। তারপর বল্লেন, সিরিয়াসলি বলছেন, বা অমনি কিছু। তাতে আরো সবাই হেসে উঠলো।
    কিন্তু আমার কেমন মনে হল গুল দিলেন। পাশে যে বসে ছিল, তাকে তাই বললামও। কে জানে কাকে বিশ্বাস করলো।
  • Spark | 161.141.84.239 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৬:০০553347
  • আচ্ছা টফি ও কি আজকাল ধাক্কায় পড়ে ক্যান্ডি হয়ে গেছে? ঃ-)
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৭:৪৯553350
  • কি মুশকিল। আমি মোটেও স্ট্যাটাস সিম্বল ইত্যাদি মিন করিনি। মানসিক সমস্যা গুলো নিয়ে কোনো ভ্যালু জাজমেন্ট একেবারেই দিচ্ছি না।
  • sinfaut | 127.194.236.111 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৮:৩৩553351
  • @জিপা

    যার কাছে না গেলে জিন্দেগী কাঁচি - কাউন্সেলর এর এমন ডেফিনিশন কিভাবে পেলেন জিপা? লাইনের মধ্যে একটু বেশিই পড়ছেন না কি? বরং এটা বললে বোধহয় ঠিক হতো, কেমন কাউন্সেলর এর কাছে গেলে জিন্দেগী কাঁচি হবে না সেটা ওখানে লেখা আছে।

    "আর সাইকিয়াট্রিস্টদের জিগেস করুন, তারা বলবে ওষুধ না খেলে কচু হবে। কাউন্সেলিং করে সিজোফ্রেনিয়া সারালে তাকে নোবেল দোবো।" -
    স্কিৎজোফ্রেনিয়া যে কাউন্সেলিং এ সারতে পারে, এমন অদ্ভুত কাঁচা ধারনা কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট/সাইকোলজিস্ট এর নেই, আপনার থাকলেও থাকতে পারে। তাই নোবেল দেবার দাবী কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট করবে না, কারন সারানোর দাবীও কোনো সাইকোলোজিস্ট করবে না।

    "পুরো জিনিসটা অ্যালোপ্যাথ, হোমিওপ্যাথ, আয়ুর্বেদ যজুর্বেদ হেকিমি চিকিৎসার চেয়েও ঘাঁটা।" -

    এর মধ্যে ক'টা জিনিস আপনি নিজে পড়ে দেখেছেন?
  • byaa`m | 132.178.235.29 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৮:৪৮553352
  • পাই, সাহানা,
    যদি সম্ভব হয় ADHD নিয়ে কি একটু ডিটেলে লেখা যায়? পাইয়ের দেওয়া লিংটা আমার বেশ কঠিনমত লাগছে। সহজ করে বুঝিয়ে তোরা একটু লিখতে পারিস আমার জন্য?
  • একক | 24.99.112.41 | ১০ জুলাই ২০১২ ১০:০১553353
  • @অক্ষ

    আপনার দেওয়া লিঙ্ক টা দেখলুম .পড়লুম. টই অনেকটা এগোলো. এবার কিছু কথা বলা দরকার.

    প্রসঙ্গত আমি ইতিমধ্যে একাধিক ওটিসম টেস্ট এর মধ্যে দিয়ে গেছি. একিউট ওটিসম বলে কিছু নেই এটা আমি মনে করিনা . নিশ্চই আছে .
    আমার প্রশ্ন ২ ট জায়গায় . রোগ সনাক্ত করার এপ্রোচ এবং রোগ সরানোর এপ্রোচ .

    সনাক্তকরণের এপ্রোচ এ যে কস্চেনেয়ার এবং বিহেভেরিয়াল প্যাটার্ন রেকগনিশন এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া হয় সেটার ভালনারেবিলিটি খুব হাই .
    এক ই টেস্ট আমি বারবার আনসার দিয়ে / বিহেভ করে আলাদা আলাদা রেসাল্ট আনতে পারি. এর্জন্ন্যে কোনো বিশেষ বুদ্ধি লাগে না . ওটিসম টেস্ট হোক কী মেনসা-র আই-কিউ সব ই ডিফারেন্ট লেভেল অফ লার্নিং প্রসেস . ৩-৪ বার কোশ্চেন ( যদি পাল্টে আসে তাও ) ঘান্ত্লেই আপনি বুঝবেন সেট গুলো কী কী . কোন কোন ফাজি সেট এর এগেনস্ট এ কোন ডিসিশন এ পৌছেছে , আরে বাবা মেশিন হোক কী মানুষ সেই ত ডিসিশন ট্র !
    এবার আপনি সেটাকে কন্ট্রোল করতে পার্বেন . এইভাবে নিজের কেবি বানিয়ে নিয়ে যে কোনো কস্চেনেয়ার ভিত্তিক ডিসিশন প্রসেস কে কন্ট্রোল করা যায় . আমি দায়ত্ত্ব নিয়ে বলছি কিছু পাত্যার্ন এর ডিপ্রেশন আমি ফেক করতে পারি . আমার এক মাথামাতিশিয়ান বন্ধু আছে সে সাকসেসফুলি অডিটরি-ভিসুয়াল হ্যালুসিনেশন ফেক করে . এবং আর অনেক "মানসিক রোগ ".

    এবার লোকজন খেপে গিয়ে আমাকে গাল দেবে জানি. তুমি শালা পেছন্পাকা কাজ নেই মনোরোগ ফেক করো তার মানে এই যে মনোরোগের ডাক্তারি প্রসেস ভুল ?? একটু ধৈর্য্য ধরুন.

    আমরা কজন "এবসট্রাকট রেকগনিসন প্রসেস" নিয়ে একটা প্রজেক্ট করি এবং সেই কারনেই এসব করা. চিকিত্সকদের ওপর কোনো রাগ নেই আমার . কিন্তু সমস্ত রকমের কস্চেনেয়ার বেসড ডিসিশন ত্রি -র ভালনারেবিলিটি চেক করাটা দরকার . দুটো কেস বলি :

    গত বচ্ছর একটি বিখ্যাত আই-হসপিটাল এ আমি চোখ দেখাতে যাই . নিচের দিকের লেখাগুলো পড়তে পারছি কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার কে বল্লুম : "পড়া " কী ? এটা ট একটা লার্নিং প্রসেস . সেখানে একয়ার্দ ক্নলেজ, পারসেপশন এসব জুড়ে থাকে . আমি শেষ এর আগের লাইন এর অক্ষর গুলো সত্যি পড়তে পারছি নাকি কিছুটা চোখ দিয়ে পারা + কিছুটা আমার ব্রেইন এর পার্শিয়াল প্য্তার্ন ম্যাচিং করে ইন্টিলিজেন্ট লজিক দিয়ে
    সেট রেকগনিশন ?? আপনি শিওর হচ্ছেন কী করে ?
    তার কাছে কোনো উত্তর নেই . আরো দুজন ডাক্তার এলেন. তাদের কাছেও উত্তর নেই . শেষ এ অপ্থ্যাল্মলোজির হেড ডিপ এসে বল্লেন " কী করবো , এটাই প্র্যাকটিস" .
    জিগালুম "নিরক্ষর লোকজন এর ক্ষেত্রে কী করেন ? " . বল্লেন "ফল-পাখির ছবি , জীয়মেত্রিক সেপ দেখাই " .
    সেই চার্ট তাও দেখলুম . সেই এক ই জিনিষ . প্রিভিয়াস লার্নড কেবি প্রেসেন্ট পারসেপশন কে আয়্ফ্ফেচ্ত করবেই কর্বে.

    তারপর ধরুন :
    এই যে আই.কিউ টেস্ট . চোখের সামনে গুচ্ছের ছেলে-মেয়ে মেনসা র পুরনো কোশ্চেন আর নানান টেস্ট "সলভ" করে করে তারপর ভালো গ্রেড নিয়ে বেরোচ্ছে . তারমানে আদৌ কী আই.কিউ. টেস্ট হচ্ছে ?? হচ্ছেনা. ( এখানে কেও পরীক্ষার রেসাল্ট ভালো করা মানেই বুদ্ধিমান নয় টাইপ গ্রস পয়েন্ট তুলবেন না . অন্য পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য আর আই.কিউ. টেস্ট এর উদ্দেশ্য আলাদা )

    তাই , পুরোপুরি না হলেও এস মাচ এস এবসট্রাকট ফরম্যাট জরুরী. আর মনোরোগের ক্ষেত্রে যেটা জরুরী সেটা হলো যত টা সম্ভব নীয়রলোজি বেসড প্যাথলজিকাল টেস্ট এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া . আপনি একটু বুদ্ধিমান হলেই ডিপ্রেশন ফেক করতে পার্বেন . ম্যালেরিয়া কিন্তু ফেক করা যায়না. মনোরোগের সনাক্তকরণ যদ্দিন না ওই জায়গায় আসছে ভালনারেবিলিটি থাকবেই .
    কেও বলতে পারেন ... কেন ফেক করবো ? যাদের মনোরোগ হয় তাড়া কী ফেক করে নাকি ?? একটা সুস্থ মানুষ হটাত "মাথার মধ্যে শব্দ হচ্ছে " বলে আপিস যাওয়া বন্ধ করে দেবে কেন ?? . দেবে . কর্বে . করে . মানুষ "ফেক" জিনিসটা যে সবসময় ইচ্ছে করে করেনা সবসময় সচেতনভাবে করেনা . অধীত বিদ্যা কিভাবে বিহেভেরিয়াল প্যাটার্ন এর অংশ হয়ে যায় এবং মানুষ নিজেকে সেই প্রজেকশন এর মধ্যে ফেলেই ভাবতে থাকে এটা আপনারা ভাবলেই বুঝতে পার্বেন . এটা শুধু শিক্ষিত মানুষের প্রবলেম না . গ্রামেও আছে . সেখানে প্যাটার্ন টা একটু আলাদা . যেহেতু "মনোরোগ" কে কেমিকালী "সরানোর" চেষ্টা করা হয় তাই কনসার্ন টা বেশি.

    বাকি সমস্ত প্রসেস গুলো নিয়ে আমার মাথাব্যথা থাকলেও দুশ্চিন্তা নেই কারন তাতে মানুষের পার্মানেন্ট বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবেনা . মনোরোগের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা আছে কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লিনিকাল মেডিকেশন একটা ইরিভার্সিব্ল্স প্রসেস. শাঁখের করাত . ( বোল্ড এন্ড আন্ডারলাইনড ). ট্রয়াল এন্ড এরর করতে করতে একটা মানুষ এর ক্ষতি হয়ে যাবে.

    আলোচনা চলতে থাকুক . বেশ কিছু চিকিত্সক এর কাছে আমরা ফেক রুগী সেজে গেছি সেগুলো পরে কখনো বলবো. পুরোটা বলতে পারবো না . যতটা যায়. আবারও বলছি ডাক্তার দের ওপর রাগ নাই . ওরা কী কর্বে . দা প্রসেস দা প্রসেস .... ইট'স *** ভালনারেবল :(
    .
  • aka | 85.76.118.96 | ১০ জুলাই ২০১২ ১০:১০553354
  • একক আপনি অটিজমের কি টেস্টের মধ্যে দিয়ে গেছেন?
  • একক | 24.99.112.41 | ১০ জুলাই ২০১২ ১০:৫৯553355
  • আকা
    সামনে দেখা হলে ডিটেইল দিতে পারতুম . এখানে কেস ধরে ধরে লেখা টা একটু মুশকিল . এনিওয়ে

    ৩ জন ডাক্তার কলকাতায় এবং এখানে আসার পরে নি*** এ একজন কে ভিসিট করেছি. কলকাতায় আমাকে দুবার দুজন বন্ধু নিয়ে গেছিলো . আমি কোনো ভনিতা না করে প্রথমেই বলে দি যে আমি ওটিসম সম্বন্ধে পেপারস পড়েছি এবং তার থেকে আমার ধারণা হয়েছে আমার এরকম কোনো প্রবলেম আছে .
    এবার ডাক্তারবাবু আমার ইন্ত্রদাক্ষণ চাইলেন ( বুঝতে পারলুম কিভাবে নিজেকে সোশালি প্লেস করি সেটা বোঝার জন্যে ) . তারপর এমন কেন ভাবি . কেন নিজেকে এমন মনে হয় প্রশ্ন করতে করতে সোশাল ইন্টারএকশন -কমুনিকেশন -ইমাজিনেশন এই স্টেপ গুলো টেস্ট করলেন . ৩ জনের মধ্যে একজন বেশ বুদ্ধিমান . সরাসরি বলেন যে আমি ফেক কর্ছি না তো ? আমিও সরাসরি বলি : ধরুন আমি একটা মেশিন . আমার কথাগুলো আউটপুট . আপনার কী অপশন আছে মেশিন ফেক করছে কিনা ভাবার ? বা ফেক করলেও কেন করছে ? বা ধরুন এইযে ফেক করার মানসিকতা . কাজকম্মো ছেড়ে মনোরোগ ফেক করা এটাকে কী আপনি ওটিসম না হলেও অন্য কোনো মনোরোগের পর্যায় এ ফেলবেন ? তিনি হেসে ফেল্লেন . তারপর আবার সেট অফ টেস্ট শুরু করলেন. তবে অল অফ দেম ওয়ার ভেরি হনেস্ট . আই মাস্ট সে. ওটিসম এর কোনো ওষুধ হয়না. যারা ওষুধ দেয় তাড়া না বুঝে দেয়. সেটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন .

    নি*** এ যাকে ভিসিট করলুম তার প্রসেস আমার বেটার লেগেছে . আমাকে কিছু মেচানিকাল ওয়ার্ক করতে দেন . বুঝতে পারি রীপিতেতিভ প্রসেসিং চেক করছেন . প্রচুর কথা বলেন. আমার কথা ধৈয্য ধরে শোনেন . আমাকে হটাত বল্লেন আপনি তো অল্পস্বল্প লেখেন . এক্ষুনি বসে একটা কিছু বলুন তো . যা মনে হলো বল্লুম. শুনলেন . বল্লেন আপনার ক্রিয়েটিভ ট্রেইট আছে তাই সোশাল সার্কল থেকে এলিয়েনেতেদ . এটাকে আমি ওটিসম বলবনা. আমি বল্লুম ক্রিয়েটিভ ট্রেইট তো এডাল্ট ওটিসম এ আকছার দেখা যায়. তাতে ওটিসম নেই এটা প্রমান হয় কী ? উত্তর পাইনি . তবে একটা কথা খুব দামি বলেছেন ( মানে আমার দামি মনে হয়েছে আর কী ) অটিস্টিক ট্রেইট বহু মানুষের ক্ষেত্রে থাকে . সেটা যতক্ষণ না তাদের সোশাল ইন্তিগ্রেসী কে মারাত্মক এফ্ফেক্ত করছে ততক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির মতো নেগলেক্ট করুন.

    এবার , আর এক বন্ধু যে নিজে এখন ক্লিনিকাল সায়কিয়াত্রী তে এমডি শেষ করে মাইসোর এ প্র্যাকটিস করছে এবং আমাদের প্রচুর হেল্প করে তাকে এই সব কতা রিপোর্ট পড় পড় বলে বললুম : এরকম তো হতেই পারে যে আমার মধ্যেও ট্রেইট আছে এবং এটাও হতে পারে যে ওটিসম না থাকলেও অন্য কোনো জটিল মানসিক রোগ আছে যেই জায়গা থেকে আমি এই কাজ গুলো কর্ছি. সেটা আমি বুঝবো কী করে ? হলুদ চশমা দিয়ে দুনিয়া দেখলে তো কালার চেঞ্জ হবেই. আবার যে ডাক্তারের কাছে সাবমিট কর্ছি তারও হলুদ চশমা থাকতে পারে . সে বল্লো : দেখো এখনো পর্যন্ত্য পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী অটিস্টিক ট্রেইট এর লোকজন এরকম মাল্টিপল সাইদ থেকে উল্টে পাল্টে লজিক সাজিয়ে লোকের পেছনে লাগে না. যেটা তুমি লাগো. কাজেই অন্য কোনো রোগ থাকলেও ওটিসম নেই . কিন্তু আবার সেই প্রশ্ন . "এতদিন পর্যন্ত্য পাওয়া রিপোর্ট " অনুযায়ী . আমার মধ্যেকার লুকিয়ে থাকা অটিস্টিক ট্রেইট ই যে আমাকে বাধ্য করছেনা এরকম হাইপার রিয়াক্তিভ হতে তার প্রমান কী ?
  • একক | 24.99.112.41 | ১০ জুলাই ২০১২ ১১:০৫553356
  • বায় দা ওয়ে . একটা কথা বলেই রাখি . লোকজন কে উত্সাহিত করার জন্যে এই টই তে কিছু লুস টক করেছি আগে .
    মানসিক রোগ আছে . ফুকো থেকে দেকার্তে সব ঘেঁটে ফেলার পড়েও বোঝা যায় আছে . প্রমান ও করা যায় . স্কিত্জ এর ক্ষেত্রে যে ইন্টিগ্রিটি দিস্ব্যালেনস তৈরী হয় সেটা সোসাইটি জড়িয়ে থাকলেও "রোগ নয় " এমন কখনই বলা যায়না . কেন যায়না প্রমান ও করতে পারি. আমার খুব কাছের লোক স্কিত্জ এ আক্রান্ত . ডাক্তারের সঙ্গে কোথাও বলতে হয়েছে অনেকবার . কাজেই কেও বার খেয়ে জটিল রোগ হলে ডাক্তার থেকে পালাবেন না . একাদিমিক দিস্কর্স+ নতুন পথ খোঁজা আর আশু সমস্যার সমাধান দুটো আলাদা জিনিষ . এটা খেয়াল রাখবেন . বলে দিলুম :)
  • রানারা | 69.160.210.2 | ১০ জুলাই ২০১২ ১২:৫০553357
  • একক, যা বলেছেন। জটিল রোগ হলে ডাক্তার থেকে পালানো, আর সামান্য সমস্যা হচ্ছে সন্দেহ হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়নো দুইই সমান ক্ষতিসাধক হতে পারে।

    পাই প্রশ্ন করলেন - সাইকোলজিস্টের কাছে উক্ত ব্যক্তি গেলেন কেন ? কোন অসুখ এর পার্সেপশন ছাড়াই খামোখা কাউন্সেলরের কাছে গেলেন কেন ? কীসের কাউন্সেলিং এর জন্য ?

    - পার্সেপসনের কথাই বলতে চাইলাম তো। মানে সে মজা করে বৌএর লিপস্টিক কি মেয়ের পেনসিল লুকিয়ে রাখায় লোকে তাকে বলল ক্লেপ্টোম্যানিয়াক। হয়ত সে লুকিয়ে রেখে ভুলেই গেছিল। এবার মজা করার ধরণটা উদ্ভট হলেই তো সোসাল কনসানসেস তাকে ডিসঅর্ডার বলবে। তিনবার লোকে বললে সে নিজেও খানিক ভাববে ঠিকই তো, যাই কাউন্সেলিং করিয়ে আসি। ঈশান মনে হয় বেশ পরিষ্কার করেই লিখে দিয়েছে, যেটা বলতে চাইছিলাম, কিভাবে অধীত জ্ঞান ব্যক্তির চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে।

    তাতিন, মনোরোগ সারাতে কেন, বরং বানাতেও যৌথ পরিবার বা ধর্মগুরুদের ভূমিকা নিয়ে যথেচ্ছ আলোচনা পেয়ে যাবেন। যে দেশে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি ই দস্তুর, সেদেশের রিসার্চ ও তার লব্ধ ফলাফল-এর যৌথ ফ্যামিলি সংক্রান্ত সুবিধের চেয়ে অসুবিধের কথাই বেশি নথিবদ্ধ থাকার কথা। আমাদের দেশে তো আবার সেই অ্যাকুমুলেটেড রিসার্চ রেজাল্টের উপর নির্ভর করেই আপনার মানসিক রোগ কে ম্যাপ করা হবে। সল্যুশন দেওয়া হবে।

    সাহানা কলকাতায় প্রকৃত ইনসাইটফুল কাউন্সেলরের অভাবের কথা বললেন। মজার কথা এটা আবার কলকাতার প্রতিটি ইনসাইটলেস সাইকোলজিস্টেরও আফসোস, যা তারা তাদের পেশেন্টদের জানান। সাহানার আক্ষেপ সত্য, ও তাদেরটা অ্যাক্সেপ্টেন্স পাওয়ার জন্যে করা ভড়ং ধরে নিলেও দেখব, সাধারণ মানুষ, যে ঘটনাচক্রে রোগী হিসেবে টেবিলের এপারে বসে আছে, তার কাছে এটা বোঝার কোনো উপায় নেই। টেবিলের ওপারের লোকটিকে সে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে নিজের মন উজার করে দিচ্ছে, আর ওপারের লোকটি প্রবল এমপ্যাথি সহ তাকে অ্যাক্সেপ্ট করে তাঁর যে যে সমস্যার সঙ্গে যে যে ডিসঅর্ডারকে ম্যাপ করছেন যে যে সমস্যার যা যা সমাধানের সাজেশন দিচ্ছেন তাতে সেই রোগী অলমোস্ট ইনভেরিয়েবলি সাবস্ক্রাইব করবেন। যে মানসিক জোর থাকলে নিজের সমস্যার সমাধান তিনি নিজেই করতে পারতেন, অধিকাংশ লোক পরিবর্তিত বা প্রতিকূল পরিবেশে যা করে থাকে - সেই মানসিক জোর টা, কনফিডেন্স্টটা নেই বলেই তো তিনি কাউন্সেলিং করাতে গেছেন। ফলে একটা ভুল কাউন্সেলিং, ভুল ডায়াগনসিস এর পরিণাম মারাত্মক হতে পারে। সাইকোলজী অ্যাজ এ সাবজেক্ট এই সমস্যার কোনো সমাধান দেয় না। সে শুধু একজন কাউন্সেলরকে তৈরি করায়, আগের অ্যাকুমুলেটেড রিসার্চ রেজাল্টের ডেটাবেস সাপ্লাই করে। কেউ অ্যাপ্টিচুড টেস্ট না করিয়ে সেই প্রফেশনে এসে, বা টাকা বানাবার ব্যবসায়ী মানসিকতায় সেই প্রফেশনে এসে সজ্ঞানে ভেবেচিন্তে কোনো সামান্য সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি, জটিল ব্যয়সাপেক্ষ ট্রীটমেন্ট করলেন, নাকি, নেহাৎ কমপিটেন্সের অভাবে, রোগীর সমস্যা সঠিকভাবে না বুঝতে পেরে, ইউনিকনেস আইডেন্টিফাই না করতে পেরে, বা আদ্ধেক বুঝে নিয়ারেস্ট কেস ও সলিউশনে ম্যাপ করলেন - এটা পুরোপুরি সাবজেক্টিভ হয়ে যাচ্ছে। অথচ রোগী লোকটি, তার সমস্ত অধিকার জেনে বুঝেও নেহাৎ জ্ঞানের ইনফেরিওরিটির কারনে কাউন্সেলারের বলা কথাগুলো বিশ্বাস করছেন। বিশ্বাস করছেন তার সত্যিই ঐ সমস্ত ডিসঅর্ডারই রয়েছে। বলে দেওয়া পন্থাতে পারিপার্শ্বের সঙ্গে বিহেব করাতেই তার মুক্তি। টোটালিটারিয়ান বললেও এই প্রসেসটিকে কিছু কম বলা হল।

    এরপর ধরুন সমাধানের পন্থানির্দেশ। কাউন্সেলার নারীবাদী না পুরুষতান্ত্রিক, সুখীবিবাহিত না স্বিবাহবিচ্ছিন্ন, পরকীয়া সমর্থন করেন না, নাকি পলিগ্যামী, যৌথ পরিবারের সমর্থক না হাম দো হামারে দো, শাশুড়িকে মা ভাবেন না ডাইনি, ক্রিকেট-অন্ত প্রাণ না খেলাদেখাকে সামাজিক দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা মনে করেন, চাকরি করাকে মোক্ষ ভাবেন না স্বাধীন ব্যবসা না গৃহধর্ম পালন - ব্যক্তি কাউন্সেলারটির এবম্বিধ বাইশটি ওরিয়েন্টেশনের ফলশ্রুতি বাইশরকম বিহেভিয়ারাল নিদান হতে পারে। রোগীটির জীবন ও পারিপার্শ্বকে প্রভাবিত করতে দিয়ে কাউন্সেলারের কাছে যেকোনোরকম অন্ধ সমর্পন করা তাই সততই বিপজ্জনক হতে পারে। অথচ একবার ওপথে হাঁটলে, যেমন বোঝা যাচ্ছে ইররিভার্সেবিলিটির শর্ত মেনে, ফিরে আসা খুব একটা সুনিশ্চিত নয়।

    রানারা
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৩:১৮553358
  • মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে অ্যাওয়ারনেসই অনেক সময় রিলিফের প্রক্রিয়াকে শুরু করতে পারে। ঈশানের বক্তব্যটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাথে মোটেও মিলল না।

    একক, জিপা এবং রানারা-র বক্তব্য শুনেও কখনো কখনো মনে হচ্ছে তাঁরা হয়তো কখনো কাউন্সেলিং এর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাননি। তাই তাঁদের বক্তব্যগুলো আমার এক্সট্রীম এবং বাস্তবের সাথে সম্পর্কহীন লাগছে। আমার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ অন্য এবং এখনো অব্দি একটি কেসেও আমি দেখি নি কাউন্সেলর বা সাইকিয়াট্রিস্ট তাঁর ক্লায়েন্টকে সামাজিক স্রোতের সাথে কনফর্ম করতে শেখানোর মাধ্যমে রিলিফের বন্দোবস্ত করছেন। বরং উল্টোটাই আমি দেখেছি। যেখানে সোশাল সাপোর্ট সিস্টেমগুলো এই 'অন্যরকম' হতে চাওয়াকে কাটছাঁট করাটাকেই রিলিফের একমাত্র উপায় বলে বাতলাচ্ছে, সেখানে পেশাদার কাউন্সেলিং সাপোর্টই তাকে তার 'অন্যরকম' সত্ত্বা সহ সারভাইভ করতে সাহায্য করছে।
  • একক | 24.96.2.242 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৭553361
  • পিনাকি আদৌ পুরোটা পরেছেন তো ? বিশেষ করে এই শেষ পেজ এ যেগুলো লিকলুম ?
    এনিওযে আমার অভিজ্ঞতা যেটুকু সর্বসমক্ষে বলা যায় বলেছি, আপনার যদি মনে হয় প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাই নি ; "মনে হবার " অধিকার তো ঠেকাতে পারবনা .

    আর সায়কিয়াত্রিস্ত "কনফর্ম" করতে শেখায় এরকম কে কোথায় বল্লো ? লে হালুয়া . সাইকিয়াট্রিস্ট রা বোকা নাকী ? "অমুক টা করো না " বললেই সবাই সেটাই কর্বে . সেখানে কনফর্ম করতে সেখানো ?

    হ্যা, আল্টিমেটলি বিহেভেরিয়ালি কনফর্ম করান . সুক্ষ পার্থক্য আছে . দুটো এক নয় . একে মেন্টাল এনক্যাপসুলেষণ বলে .
    আপনাকে বোঝলুম তুমি বাকি দের সম্ভন্ধে যা ভাবো সব ঠিক . আদৌ তোমার মাথা খারাপ নয় . কিন্তু দেখো আমাদের সবাইকে নিয়ে থাকতে গেলে নিজের ইমোশন গুলো এইভাবে হ্যান্ডল করলে ব্লাহ ব্লাহ ব্লা .... যেরকম বলছি এতো সহজ ও নয় . মেন্টাল এন্ক্যাপ্সুলেষণ একটা বিশাল প্রসেস . ওটা করলে মানুষ চিরকাল ভাবে আমি যা ভাবছি সব ঠিক কিন্তু হু হু বাবা তোমরা জানতেও পারবেনা যে কী ভাবছি তোমরা ভাববে আমি তোমাদের মতো . মেনে নিচ্ছি মানে এই নয় যে "মন" এ নিচ্ছি.
  • একক | 24.96.2.242 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৩:৫৯553362
  • আরেকটা কথা না বলে যাই . মেন্টালি এনক্যাপসুলেট করা বলতে আমি ইন্টেলেকচুয়াল এন্ক্যাপ্সুলেষণ বুঝিয়েছি. সাইকোলজিকাল এন্ক্যাপ্সুলেসন বলে একটা বাজারী জার্গন আছে . ওটা নয় কেমন . এক্কুনি আবার হক্কলে তেড়ে আসবে তাই ন্যাজ তুলে এঁড়ে না বকনা দেখিয়ে গেলুম .
  • রানারা | 69.160.210.2 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৪:০৪553363
  • এবং এটা বেশি সাংঘাতিক। এটা সারাজীবনের মতো আর একটা বিশেষ মানসিক ব্যাধি কে লালন করতে শেখায়। নিজের আসল নিজত্বকে ক্যামোফ্যেজ করে সারাজীবন একটা নির্মিত পার্সোনালিটি বহন করা, ম্যানিফেস্ট করা ও বহন করা আনেক বেশি ডেঞ্জারাস। যে কোনো সময়ে পূর্ণ কোলাপ্স করার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেড়ে যায়। সারফেস ভ্যালুতে সেটা তাৎক্ষনিক সোসাল আন-অ্যাকসেপ্টেন্সকে কমব্যাট করলেও।

    রানারা
  • pinaki | 148.227.189.8 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৪:২০553364
  • হ্যাঁ, আমি আপনার শেষ পোস্টগুলো না পড়েই লিখেছিলাম। কিন্তু সেটা পড়ার পরে আমার ওপিনিয়ন কিছু বদলায় নি। আপনি রোগ ডিটারমিনেশনের পদ্ধতিকে উন্নত করতে চান, আরো বেশী প্যাথলজিকাল টেস্ট নির্ভর করতে চান - এগুলো নিয়ে কোনো আপত্তি আমার নেই। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এই টেস্ট হয় এবং অনেক সমস্যার ক্ষেত্রে প্যাথলজিকাল টেস্ট সম্ভব নয়। আমার আপত্তিটা হল আপনি যেভাবে পুরো কাউন্সেলিং প্রসেসটাকে ঠারেঠোরে 'কনফর্ম করানোর প্রক্রিয়া' বলে দাগাতে চাইছেন সেটা নিয়ে। নিজের ইমোশনকে হ্যান্ডেল করতে শেখানো আর কনফর্ম করানো এক হল?
  • pinaki | 148.227.189.8 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৪:২৮553365
  • রানারা যে কথাগুলো বলছেন, মানে এই 'কোলাপ্স করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়' ইত্যাদি - এর পিছনে কি কোনো রেফাঃ ইত্যাদি আছে, নাকি নিছক অনুমান? আর নির্মিত পার্সোনালিটি বহু লোকই বহন করে পারিপার্শ্বিক আর সামজিক চাপে। ইন ফ্যাক্ট সেটাই বহু মানসিক সমস্যার উৎস। ভালো কাউন্সেলিং সাপোর্ট তাকে তার নিজত্বকে খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে। আপনি তো পুরো কেসটা হেঁট মুন্ড উর্দ্ধপদ করে দিলেন। ঃ-)
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৪:৩৫553366
  • ইশানের জ্ঞানপ্রাপ্তির ফলে অটো-রিলিফের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়ে উল্টে ক্লায়েন্টের পরিবর্তিত অব্স্থানের একটা জাস্টিফিকেশনে পরিনত হয়, এই বক্তব্য নিয়ে আমারও একই প্রশ্ন ছিল। তো, পরিচিত সাইকোলজিস্ট কনফার্ম করল ফ্রয়েডিয়ান সাইকোঅ্যানালিসিস এর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা প্রায়সই ঘটে, ইশান মামু ঠিক বলেছে।
  • aka | 85.76.118.96 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৬:১৮553367
  • একক, আপনার যেরকম অভিজ্ঞতা তা আমার জানার সাথে আদৌ মেলে না। অসুবিধা না থাকলে পুরো ডায়গনসিস প্রসেস টা লেখা যাবে?
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৬:৪০553368
  • আর রানারা, সাইকলজিস্ট বা কাউন্সেলররা ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন না। কাজেই তাঁদের ভুল হ্যান্ডলিং এ একজন ব্যক্তির সমস্যার উপশম না হতে পারে, কিন্তু ঐ 'ইররিভার্সিবল' গোছের কোনো সমস্যায় চিরতরে আক্রান্ত হয়ে পড়ার চান্স খুবই কম। আপনি রজ্জুতে সর্পভ্রম করছেন। একজন নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট এর (যিনি ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন) ভুল চিকিৎসায় সেটা হওয়া সম্ভব। কিন্তু সে তো যেকোনো ডাক্তারি স্ট্রীম এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই ক্ষেত্রটা আলাদা কেন? নিউরোলজি, সাইকলজি, নিউরোসাইকিয়াট্রি - এগুলো সবই তো ইভলভিং ক্ষেত্র। মনের ব্যাপারটা বাদ দিন। সিম্পল নিউরোলজিকাল সমস্যার কথা ধরুন। বহু ক্ষেত্রেই নিঁখুত ডায়গনসিস এবং চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। কারণ এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। তাহলে নিউরলজি যদি সেকারণে দোষী সাব্যস্ত না হয়, তাহলে খামোখা সাইকিয়াট্রি দোষী হতে যাবে কেন?
  • sahana | 127.194.243.60 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৭:২৪553369
  • আমি নিজেও নিজের counselling করিয়েছি। অনেকটা সময় যাবত। আমার stress ছিল। কিন্তু নিজে এই profession এ আসব বলেই আর বেশী করে নিজেকে চিনতে চেয়ে , নিজের value system কে বুঝ্তে চেয়েcounselling করাতে গেছিলাম। hyderabad Dr. Satyaprakash এর কাছে।
    counselor এর কাছে কি চাই , মানে আমার কাছে আমার client অসলে কি চায় সেটা experience করা আমার উদ্দ্যেশ্য ছিল।
    আমার ব্যক্তিগত experience হল , আমরা নিজেদের কোন কারণে accepted feel না করলে বা নিজেকে accept করতে না পারার ফলে যে মনোকষ্টে ভুগি, তার থেকে অনেক্ভাবে আচরনগত সমস্যায় ফেলি নিজেদেরকে।
    আমি কিন্তু counselling এর ফলাফল খুব ভালো পেয়েছি। নিজের strength চিনতে পেরেছি, নিজের values কে respect করতে শিখেছি, (বাবা, মা নামক তুমুল emotional society er value থেকে আলাদা হওয়া সত্বেও), assertiveness এর উপকরিতা অনুভব করেছি, এবং কারও value কে judgementally না দেখে মনুষ টা কে গোটাগুটি accept করতে শিখেছি, at least accept করতে না পার্লে ভান করার চাপ নেওয়ার চাপ থেকে বিরত থাকতে শিখেছি।
    আর সব Profession এর মত এক্ষেত্রেও মাল যাচাই করে নেওয়াই ভালো। একটা sitting এ গিয়েই অন্তত ভালো লাগল না মন্দ লাগলো সেটুকু অনুভূতির সাপেক্ষে পরেরবার যাওয়ার plan করা ভাল। আমি থেরপিস্ত দের ক্ষেত্রে এমন experience এর কথা বললাম। psychiatry র ক্ষেত্রে আমি আমার কোন client কে refer করলে সেই ডাক্তারের কাছেই পাঠাই যার update knowledge আছে এবং insight অছে । আর clientদের কেও aware করে দি তার সমস্ত সমস্যা সম্পর্কে যেন বিস্তারিত কথাবার্তা আলোচনা করেন।
    মোদ্দা কথা knowledge তা ভুল না, application এই problem.
  • জিপা | 127.194.198.122 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:৪৯553370
  • @sinfaut

    যার কাছে না গেলে জিন্দেগী কাঁচি -
    -- "" কেমন কাউন্সেলর এর কাছে গেলে জিন্দেগী কাঁচি হবে না সেটা ওখানে লেখা আছে।""

    একদম ঠিক। আমিও তাই মীন করেছি। যার কাছে না গিয়ে অন্য বদ কাউন্সিলারের কাছে গেলে (সংক্ষেপে ঃ যার কাছে না গেলে), জিন্দেগি কাঁচি।

    "আর সাইকিয়াট্রিস্টদের জিগেস করুন, তারা বলবে ওষুধ না খেলে কচু হবে। কাউন্সেলিং করে সিজোফ্রেনিয়া সারালে তাকে নোবেল দোবো।" -
    - "" স্কিৎজোফ্রেনিয়া যে কাউন্সেলিং এ সারতে পারে, এমন অদ্ভুত কাঁচা ধারনা কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট/সাইকোলজিস্ট এর নেই, ""

    -- একদম ঠিক। আমিও তাই বলেছি। আর একটু শুধু বাড়তি বলেছি। সাইকিয়াট্রিস্টদের মূলতঃ ওষুধ খাইয়ে রোগ সারানোর আর সাইকোলজিস্টদের এক্কেবারে ওষুধ না খাইয়ে শুধু কাউন্সেলিং করে রোগ সারানোর প্রতি সবিশেষ ঝোঁক আছে। অথচ দুজনেরই বেসটা সাইকোলজী বলেই ব্যাপারটা সাইকোলজী সাবজেক্টটা অ্যাসেস করার পক্ষে একটু কনফিউজিং। অ্যাসেস মানে ঐ বিজ্ঞান কি বিজ্ঞান নয়-এইটে আরকি।

    "পুরো জিনিসটা অ্যালোপ্যাথ, হোমিওপ্যাথ, আয়ুর্বেদ যজুর্বেদ হেকিমি চিকিৎসার চেয়েও ঘাঁটা।" -
    -- ""এর মধ্যে ক'টা জিনিস আপনি নিজে পড়ে দেখেছেন?""

    একটাও না। পড়ে দেখলে ঘাঁটা লাগত না বলছেন?

    @ পিনাকি
    নাঃ, এখনো প্রত্যক্ষ কাউন্সেলিং প্রথাগত অর্থে হয় নি। ঠারেঠোরে ডায়াগনিসিসের চেষ্টার আঁচ পেয়েছি মাত্র। আমার মানসিক রোগের অস্তিত্ব নিয়ে অবশ্য আমার কিছুমাত্র সন্দেহ নেই। শুধু রেললাইনে বডি দেবো, কাউন্সেলরকে মাথা দেব না - এমনটাই পণ।

    আর, যা বলেছেন। নিউরোলজি, সাইকলজি, নিউরোসাইকিয়াট্রি - এগুলো সবই তো ইভলভিং ক্ষেত্র । অর্থাৎ মোটামুটি হাতুড়েই বলা যায়। খানিকটা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো জায়াগায় না যাওয়া পর্যন্ত এগুলোর দ্বারস্থ না হওয়ই শ্রেয় মনে হচ্ছে, অন্তত ছোটোখাটো সমস্যর ক্ষেত্রে। এক্কেবারে পাগল হয়ে গেলে অবশ্য আলাদা কথা।

    -- জিজ্ঞাসু পাঠক (জিপা )
  • sinfaut | 127.194.247.222 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৫:১৪553372
  • "যার কাছে না গিয়ে অন্য বদ কাউন্সিলারের কাছে গেলে (সংক্ষেপে ঃ যার কাছে না গেলে), জিন্দেগি কাঁচি।" -

    এই সংক্ষিপ্তকরণ কে অনৃতভাষন আখ্যা দেওয়া উচিত। কারন পরেরদিন এসে আপনি যেকোনো বাক্যের মধ্যে নিজের ইচ্ছামতন বেশ কিছু শব্দ বসিয়ে দিয়ে বাক্যের মানে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারেন।

    "সাইকিয়াট্রিস্টদের মূলতঃ ওষুধ খাইয়ে রোগ সারানোর আর সাইকোলজিস্টদের এক্কেবারে ওষুধ না খাইয়ে শুধু কাউন্সেলিং করে রোগ সারানোর প্রতি সবিশেষ ঝোঁক আছে।" -

    অথচ আখছার সাইকলজিস্ট রা সাইকিয়াট্রিস্ট কে রেফার করছেন, বা উল্টোটা। এও বোধহয় আপনার মনগড়া ধারনা তাই না?

    "একটাও না। পড়ে দেখলে ঘাঁটা লাগত না বলছেন?" -
    একটাও না পড়ে এতগুলো সাবজেক্টের তুল্যমূল্য বিচার করাকে মূর্খের চুলকানি ছাড়া কিছু বলতে পারছিনা। দুঃখিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন