এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মনোবিজ্ঞান কী আদৌ বিজ্ঞান ??

    একক
    অন্যান্য | ০৮ জুলাই ২০১২ | ৬১০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sahana | 127.194.237.250 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৩:৫০553406
  • @byang,
    ADHD নিয়ে সময় করে লিখব

    @পাই,
    তোমার দেওয়া link খুলছে না। তাই পড়তে পারলাম না।
  • রানারা | 69.160.210.2 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৩:৫২553407
  • সেই তো। আমি সাহানার দেওয়া ডেফিনেশন দেখিয়ে HR এর সাথে তক্ক করতে গেলাম যে মেডিটেশন করে কিৎস্যু হবে না। তার চেয়ে আমাকে সেই সময়টা টাইম অফ দেওয়া হোক। বাড়ি গিয়ে বৌ বচ্চার সাথে সময় কাটাবো। তো ওরা আমায় এসব দেখিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিল -

    Eastern traditions, such as mindfulness meditation:
    Mindfulness meditation is known to be helpful in several areas, such as in the acceptance of urges in substance abuse as a component of relapse prevention (Marlatt 1994) (see Relapse Prevention Training), the acceptance of emotions in personality disorders (Linehan 1993), or the acceptance of chronic pain (Kabat-Zinn 1991). Mindfulness is at its essence an active acceptance procedure because it is designed to remove the barriers to direct contact with psychological events.
    p. 29, International Encyclopedia Of The Social & Behavioral Sciences

    Therapists use their assessment of the specifics of the patient’s difficulties in self-regulation to suggest any viable technique drawn from the broad repertoire of cognitive-behavior therapy, as well as teaching Zen philosophy and meditation as aids in helping the patient to accept and tolerate painful aspects of reality (Robins et al., 2001)
    p. 520, HANDBOOK OF PERSONOLOGY AND PSYCHOPATHOLOGY - Stephen Strack

    বলল আরো অনেক আছে। হুদো হুদো সাইকোলজীর কেতাবেই আছে। কী আর বলব, এমন তো হতেই পারে।

    আকা,
    ডায়াবেটিসজনিত টায়ার্ডনেস কি কাউন্সেলিং করে যাবে?

    আর, আমি ওমনাথ হলে কোনো বাড়তি সুবিধে হয় কি?, মানে ধরুন মনোবিদ্যার বিজ্ঞান হিসেবে গন্য হবার সম্ভাবনা কিছু বাড়ে? তাহলে আমায় ওমনাথ, প্রেমনাথ, জগন্নাথ যা খুশি ডাকতে পারেন।

    সিঁফো,
    লজিক সম্পর্কে কোনো প্রথাগত পড়াশুনো নেই। তাই সেটা অদ্ভুত হতেই পারে। সাহানা সময় করে লিখলে আর আমিও আরেকটু সময় বের করতে পারলে হয়তো খানিক কুয়াশা কাটবে। ততক্ষণ এককই লিখুন।

    আর, আপনাকেও সেই একই প্রশ্ন, দিনের বেলার রানারা রাতের বেলার জিপা হলে মনোবিদ্যার কোনো বিশেষ সুবিধে হয় কি? এই ধরুন কোনো মনোরোগের ট্রেইট বলে দাগিয়ে দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গোছের?

    রানারা
  • sahana | 127.194.237.250 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৪:১১553408
  • সত্যি ই cognitive behaviour therapy ফলপ্রসু। বিশেষতঃ যাদের anxiety disorder বা somatoform disorder হয়, তাদের ক্ষেত্রে।এমন কি anxiety related depression এর ক্ষেত্রেও খুব ফলদায়ক।
    আরেক টা পদ্ধতি আছে REBT rational emotive behaviour therapy এটাও depression এ খুব হেল্প্ফুল।
    আমার লেখার speed আর সময় দুটো ই আমার বক্তব্যের মাঝের ফাঁক তৈরী করছে হয়্ত। যেমন ওপরের paragraph কেই যদি তোমরা line by line follow করতে যাও, সেটা ঠিক হবেনা। সবার anxiety disorder এই যে এই থেরাপী দ্বয় কার্য্করী হবে তা নাও হতে পারে।
    patient এর ধরণ personality type, সমস্যার তীব্রতা, therapist এর skill সব ই অবধানযোগ্য।
    আরেক্টু সময় করে CBT নিয়েও লিখব।
    মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের meditation করার চেষ্টায় আমার ব্যক্তিগত উত্সাহ রইলো, কিন্তু তার সম্ভব্যতা আর ফলাফল নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেল।
  • একক | 24.96.100.35 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৪:৪১553409
  • একটা প্রশ্ন : এখানে নিউরোলজির লোকজন থাকলেও ভালো হত.

    "মেন্টাল পিস " এটাকে কিভাবে মেশিন দিয়ে বোঝা যায় ? ইইজি নয় শুধু . আরও কিছু ম্যাপিং সিস্টেম আছে কি ? এখানে একদম পাতি পিস বোঝাচ্ছি . কেও জেনেবুজে "শান্তি একটি এবস্ট্রাক্ট কনসেপ্ট" মার্কা জিনিষ আম্দামি কর্বেন না পিলিজ . লাই দিতেক্তর যদি সম্ভব হয় তাহলে এগোনি /পিস এগুলও কিছুটা কাউন্ট করা সম্ভব হওয়া উচিত .
  • রানারা | 69.160.210.2 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৫:২৬553410
  • Richard Layard এর Happyness নামে একটি বই আছে পেঙ্গুইন থেকে। তাতে এই মাপামাপির কিছু গল্প আছে। গুল্প ও হতে পারে অবশ্য।

    রানারা
  • aka | 178.26.215.13 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৮:০০553412
  • রানারা, প্রশ্নটা খুব ইন্টারেস্টিং। ঃ)

    উত্তর হল আদৌ না।
  • hu | 22.34.246.72 | ১২ জুলাই ২০১২ ২৩:৫১553413
  • কেসিদা ও কেসিবৌদি যে 'এমন তো হয়েই থাকে' বলে ঘরে বসে থাকেন নি, নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটা আইডেন্টিফাই করেছেন এবং কাউন্সেলিং করিয়েছেন তার জন্য আমার অভিনন্দন জানবেন। কোন সমস্যা সত্যি করে থাকলে সেটা নিজের কাছে স্বীকার করতে পারা একটা বড় ধাপ, আর সেই সাথে বাড়ির লোকের সহযোগিতাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে জেনে ভালো লাগল।
  • pi | 82.83.87.188 | ১২ জুলাই ২০১২ ২৩:৫৭553414
  • *পড়া
    যায়

    মামুর কল ভাওয়েলখেগো হয়ে গেছে।
  • aka | 85.76.118.96 | ১৬ জুলাই ২০১২ ১৭:২৫553416
  • সাহানা প্যারেন্টিং নিয়ে কিছু জ্ঞান প্রদান কিয়া যায় কি? ছোটদের মনস্তত্ব এবং কিছু ডু'জ অ্যাণ্ড ডোন্ট'জ।
  • আষিক | 34.131.255.110 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১২:০৫553418
  • কাউন্সেলিং (১)

    তিনি তোমার সমস্যার কথা শুনবেন
    তোমার কাছেই জানতে চাইবেন
    কী হতে পারে এর সমাধান
    মজাটা এটাই যে সমাধান জানলে তুমি
    কখনই তার কাছে যেতে না
    অথচ এরকম খেলার মধ্যেও ঝুঁকির গন্ধ পেয়েছ
    বারবার একই প্রশ্ন
    মাথায় রাখতে হয় সমস্ত উত্তর
    খেয়াল রাখতে হয়
    শুধু ডাক্তার দেখালেই হয় না
    নিজেকেও সেইমতো অসুস্থ করে তুলতে হয় ।
  • আষিক | 34.131.255.110 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১২:০৬553419
  • আমার লেখা একটি কবিতা শেয়ার করলাম :)
  • .... .. | 69.160.210.2 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১২:২৬553420
  • কাউন্সেলিং যারা করে তারা বাই ডেফিনেশন ডক্তার নয়। ডাক্তাররা কাউন্সেলিং করে না, অসুধ দেয়। - একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। ভবিষ্যতে কবিতা লিখতে কাজে দেবে।
  • lcm | 79.236.172.240 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৩:২৬553421
  • নিউরোসায়েন্স অনেক নতুন কাজ শুরু হবার পর থেকে, বিশেষ কম্পুটার প্রযুক্তি-র সমন্বয়ে অনেক কাজ হচ্ছে - ব্রেইন ম্যাপিং, ম্যাপিং মেমরি ... এসেট্রা।
    ন্যাটজিও-র সাইটে এখানে থ্রিডি-তে ব্রেইন ম্যাপিং খানিকটা বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে -
    http://ngm.nationalgeographic.com/2007/11/memory/brain-interactive

    সাইকোলজি (মনোবিজ্ঞান), স্টাডি অফ হিউম্যান মাইন্ড - সেটাকে অনেকে সায়েন্স বলে মানতে চান না। লজিক বা ফিলসফি-তে ফেলতে চান। অনেকেই সাইকোলজিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্ট দের শ্রিংক (shrink) বলে থাকেন।

    স্টাডি অফ্‌ মাইন্ড তো আসলে স্টাডি অফ্‌ ব্রেইন এবং নিউরোসায়েন্স। যার ফলে, মানুষের ব্যবহার (বিহেভিয়ার) এখন ব্রেইনের বিভিন্ন অংশের হাজারো ছবি, গ্র্যাফিক্যাল এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালিসিস দিয়ে বিশ্লেষন হচ্ছে। আরো কাজ হবে এই ফিল্ডে। সাইকোলজিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্ট-দের থেকে নিউরোসাইন্টিস্ট-দের কদর আরো বাড়বে।
  • san | 24.99.52.195 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৩:৩৫553422
  • কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি জিনিসটা আমি একটু জানতে চাই। মানে স্টেপগুলো , জেনেরিক লেভেল এ । উদাহরণ দিয়ে বা না দিয়ে। এদের rationale এবং effect নিয়েও জানতে ইচ্ছুক। কেউ একটু বুঝিয়ে বললে উপকার হয়। নিছক কৌতুহল নয়, একটু দরকারেই জানতে চাই।
  • ...... ... | 69.160.210.2 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৩:৫৯553423
  • দুয়ের পাতায় কিছু বইয়ের টরেন্ট আছে। নিজে পড়ে নিলেই ল্যাটা চুকে যায়।
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৪:০৪553424
  • 'কিছু' বই পড়লে বদহজম হওয়ার চান্সও প্রবল। তেমন উদাহরণ ও বড়ই হাতের কাছে আছে।
  • san | 24.99.52.195 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৪:০৬553425
  • কেউ সহজ করে বুঝিয়ে দিলে সুবিধে হয়। নেহাৎ না দিলে কঠিন করেই বুঝতে হবে আর কী করা ঃ-( তবে বইকে তো আর না বুঝতে পারলে জিজ্ঞেস করা যায়না। আমার জ্ঞানবুদ্ধিও আবার একটু কমের দিকেই ঃ-)
  • জলধি | 68.97.152.131 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৭:৪৩553427
  • কিছু কিছু কমেন্ট পড়লাম । সাহানাদি সম্ভবত সাইকোলজিস্ট বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট । সাইকোলজির দিকটা তিনিই বলুন । আমি নিজে আসলে এখনো স্টুডেন্ট । সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আশা করলে ভুল হবে ।

    ১) কেউ কেউ কথা তুলেছেন সাইকায়াট্রিকে নিউরোলজিস্টদের হাতে তুলে দিতে । ব্যাপারটা আসলে তেমন নয় । ওর মধ্যে কোনো সমাধান নেই । সাইকায়াট্রিস্ট এবং নিউরোলজিস্টদের মধ্যে যে পার্থক্য দেখছেন সেটা প্রফেশনাল লেভেলে । প্রফেশনাল লেভেলে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের যে পার্থক্যগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো কাজের সুবিধার জন্য । কারণ একজন মানুষের পক্ষে সবকিছু মাথায় রেখে সব অসুখ বিষয়ে মাস্টার হওয়া সম্ভব নয় । এই স্পেশালাইজেশনগুলো ভবিষ্যতে আরো বাড়বে । কিন্তু গবেষণার লেভেলে সাইকায়াট্রিস্ট আর নিউরোলজিস্টদের পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ নয় । সেখানে সাইকায়াট্রিস্ট, নিউরোলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, কেমিস্ট, ফিজিওলজিস্ট এবং আরো বিভিন্ন মানুষ একযোগেই কাজ করছেন ।

    ধরা যাক, ভবিষ্যতে একটা সময় আসল যখন দেখা গেল সাইকায়াট্রিক সব অসুখই হচ্ছে ব্রেইনের বায়োকেমিক্যাল কারণে এবং সেগুলো সব সনাক্ত করাও সম্ভব হলো, তখন কী হবে? সাইকায়াট্রি নিউরোলজিস্টদের হাতে চলে যাবে? তখনো যাবে না । কারণ এদের একটা বেসিক পার্থক্য আছে । সাইকায়াট্রিক ডিসঅর্ডারগুলোর প্রকাশ হয় প্রধানত আচরণের মধ্যে বা ইমোশন-চিন্তার মধ্যে আর নিউরোলজিক্যাল অসুখগুলোর প্রকাশ হয় প্রধানত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের অসুবিধার মধ্যে (যেমন প্যারালাইসিস বা হাত পা ঝিনঝিন করা) । তবে কিছু কিছু অসুখের ক্ষেত্রে ক্লিয়ার বাউন্ডারি নেই, সেসব ক্ষেত্রে দুই ডিসিপ্লিনের মানুষকেই দরকার হয় । যেমন ব্রেইনে কোনো ইনজুরির ফলে সাইকোসিস হওয়া ( এরকম হয়) । এখানে দুই ডিসিপ্লিনের মানুষকেই লাগবে ।

    ২) কেউ কেউ কিছু ডিসঅর্ডারের উদাহরণ দিয়েছেন এবং সেগুলোতে কী কী লক্ষণ দেখা যায় তার কিছু তালিকা দিয়েছেন, লক্ষণের তালিকাগুলো দেখে কারো কারো কাছে অ্যাবসার্ড মনে হয়েছে যে এগুলো থেকে একটা ডিসঅর্ডার কীভাবে অবেজকটিভলি আইডেন্টিফাই করা সম্ভব । লক্ষণগুলো তো ক্লিয়ার কিছুই বলছে না! ব্যাপারটা সত্য । এরকম মনে হতে পারে । তবে ব্যাপারটা আর ততটা ধোঁয়াটে মনে হবে না যদি আপনি সব সাইকায়াট্রিক ডিসঅর্ডারগুলো একসঙ্গে মাথায় রাখেন এবং বিভিন্ন ডিসঅর্ডারের প্যাটার্নগুলোকে একসঙ্গে বোঝার চেষ্টা করেন । এই বিষয়ে আরো বলছি পরবর্তী অনুচ্ছেদে ।

    ৩) মানসিক বা শারীরিক বিভিন্ন অসুখই রয়েছে । কী কী পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে একটা অসুখ থেকে আরেকটা অসুখ আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়? দুইটি পদ্ধতি আছে ।
    ক) যখন আপনি জানেন, অন্তত কিছুদূর পর্যন্ত জানেন যে অসুখটা কেন হয়েছে । যেমন ডায়াবেটিস, প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন তৈরি না হওয়ার কারণে হয় । ইনসুলিন কেন তৈরি হচ্ছে না তার সর্বশেষ কারণটা আপনার নাও জানা থাকতে পারে কিন্তু কিছুদূর পর্যন্ত আপনি জেনেছেন । এবং আপনি জেনেছেন যে ডায়াবেটিস অ্যাপেন্ডিসাইটিস নয় কারণ অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয় অ্যাপেন্ডিক্স-এর ইনফ্ল্যামেশন হলে ।
    খ) যখন আপনি ডেফিনিট কারণটা জানেন না কোনো অসুখ কেন হয়েছে । এবার সিমপটম বা লক্ষণের উপরে নির্ভর না করে উপায় নেই । অনেকগুলো লক্ষণকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বা সিমপটম-গুচ্ছে বিন্যস্ত করা । যেখানে প্রতিটি ক্লাস্টার একেকটা আলাদা অসুখ হিসাবে অনুমিত হবে । এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে প্রতিটি ক্লাস্টারের গতিবিধি কীরকম, সময়ের সাপেক্ষে এগুলোর পরিবর্তন বা অপরিবর্তন কীরকম । এবং কোন্ কোন্ ওষুধে এই ক্লাস্টারগুলো কোন্-টা কীভাবে রেসপন্স করছে । অনেক মানুষের অনেকদিনের এসব পর্যবেক্ষণ থেকে একেকটা ক্লাস্টারের বৈশিষ্ট আরেকটা থেকে আলাদা করে চিহ্নিত হবে । মেডিসিনের অন্যান্য শাখা এই ধাপ পার হয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে, অনেক ক্লাস্টারকে সেখানে শুধু আলাদা করাই হয় নি, সেগুলোর ডেফিনিট কারণও অনেক জানা গেছে । ফলত সেখানে বিভিন্ন ক্লাস্টারের সাবটাইপিংও সম্ভব হয়েছে । কিন্তু সাইকায়াট্রির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অবশ্যই ভিন্ন । সাইকায়াট্রি এখনো শৈশবকাল পার হচ্ছে এটা কেউ মনে হয় অস্বীকার করছে না । সাইকায়াট্রিস্ট কিংবা সায়েন্টিস্টরা তো নয়ই ।

    সাইকায়াট্রিক ডিসঅর্ডারের যে ক্লাসিফিকেশন এখন প্রচলিত আছে সেটা প্রধানত খ-এর পদ্ধতির উপরে নির্ভর করে । এটা নিয়ে সবসময়ই তর্ক চলছে, সাইকায়াট্রিস্ট মহলে, গবেষক মহলে, সবখানেই । কাজ চলছে । কেউ তো বসে নেই । আমরা ছাড়া :)

    আমি ‘প্রধানত’ শব্দটা উল্লেখ করেছি । কারণ, বর্তমান ক্লাসিফিকেশনের পেছনে বায়োকেমিক্যাল এভিডেন্স যে একদম নেই তা নয় । তবে এগুলো ঠিক ডায়াবেটিস-এর মতো সুব্যাখ্যায়িত কিছুতেই নয় । এবং এসব এভিডেন্স ক্রমাগত বাড়ছে ।

    ৪) সাইকোলজিক্যাল বা সাইকায়াট্রিক গবেষণার কিছু বাধা আছে । অনতিক্রম্য বাধা । এই বিষয়টা কেউ উল্লেখ করেন নি মনে হয় ।

    ক) ফিজিওলজিক্যাল বা প্যাথলজিক্যাল অনেক গবেষণাই শুধু মানুষের মধ্যেই হয় নি, হয়েছে অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও । সেটা করার সুযোগ আছে । এবং বর্তমান জ্ঞানের একটা বিরাট অংশ এসব গবেষণা থেকে অর্জন করা । কিন্তু সাইকোলজি বা সাইকায়াট্রির ক্ষেত্রে এই সুযোগটা খুব সীমিত । কারণ হাইয়ার সাইকিক ফাংশনগুলো সেভাবে আছে কেবল মানুষেরই । মানুষের উপর নির্বিচারে গবেষণা চালানো তো সম্ভব নয় ।
    খ) এই বিষয়টা সাহানাদি বললে বেশি ভালো হয় । মানসিক প্রক্রিয়া এবং পরিবেশ পরস্পর নির্ভরশীল । পদার্থবিজ্ঞানে যেভাবে গবেষণা চালানো হয় ঠিক সেই অর্থে সাইকোলজিক্যাল গবেষণা চালানো সম্ভব নয় । পদার্থবিজ্ঞানে একটা পরীক্ষার ফলাফল যেসব ফ্যাক্টর(ভ্যারিয়েবল)-এর উপরে নির্ভর করে সেগুলোকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় । সাইকোলজির ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয় । একজন মানুষের বেড়ে ওঠা, সমাজ, শিক্ষা, আরো অনেক কিছু---এগুলোর সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে পরীক্ষার পরিকল্পনা করবেন?

    আপাতত এটুকুই । আমি পণ্ডিত নই । সবকিছুকে আমি সহজভাবে বোঝার চেষ্টা করি । এবং সহজভাবেই বলার চেষ্টা করি ।
  • pi | 82.83.82.13 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৭:৪৫553428
  • জলধি এসেছে যখন, এটাকেও তুল্লাম।
  • pi | 82.83.82.13 | ২৪ আগস্ট ২০১২ ১৭:৫৪553429
  • ধুর ! বেটইতে পোস্ট ঃ(
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৮:০৯553431
  • এটা কী মনস্তত্ত্বে যাবে? তাই যাক।

    কদিন আগে টিভিতে একটা অনুষ্ঠান দেখলাম। What would you do? নামের একটা প্রায় রিয়েলিটি শো। একাটি বারে বস তার অধীনস্থ কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরছে, অনিচ্ছা সত্বেও যৌন হেনস্থা করছে, প্রোগ্রামটা হল, সেই দেখে বারের খদ্দেররা কী রিয়্যাক্ট করছে, সেটা দেখা। বলাবাহুল্য বস ও কর্মচারীরা সাজানো।

    তা, প্রোগ্রামে খদ্দেরদের রিয়াকশনের একটা চমৎকার প্যাটার্ন ছিল। বস পুরুষ এবং হেনস্থা হওয়া কর্মচারী মহিলা। যতজন খদ্দের ওই অনিচ্ছুক মহিলার প্রত্যাখ্যানের ইচ্ছা দেখল, ভঙ্গী দেখল, তার প্রায় নব্বই শতাংশই রিয়াক্ট করল। বেশ কয়েকজন উঠে এসে চুপি চুপি মহিলাকে কোথায় অভিযোগ জানালে সুবিধে হয়, সে বিষয়ে পরামর্শও দিয়ে গেলে। সব মিলিয়ে সবটাই খুব প্রেডিক্টেবল ও মানবিক।

    কিন্তু অনুষ্ঠানের পরিচালক হলেন বদ। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি রোলটা উল্টে দিলেন। বস হয়ে গেল মহিলা আর কর্মচারী পুরুষ। বস সেই একই রকম বদ, সে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে, খদ্দেরদের বলে ছবি তুলে দিতে, ফেসবুকে আপলোড করবে। ছেলেটি একই রকম অনিচ্ছুক। কিন্তু এবার খদ্দেরদের মধ্যে রিঅ্যাকশন ঠিক উল্টো। সবাই হেনস্থা খুবই উপভোগ করতে লাগল। ছবি তোলার জন্য বেশ কয়েকজন ভলেন্টিয়ারও করল। সব মিলিয়ে খুবই ফুর্তির পরিবেশ। কেবল একজন, শুধু একজন, চুপি চুপি ছেলেটিকে বললেন, মেয়েদের জন্য যা আইন ছেলেদের জন্যও তাইই।

    কিন্তু সে শুধু একজনই। যদিও, এবিসি বলল, যৌন হেনস্থার ২৬% পুরুষদের উপরেই হয়। আর অনেকটাই আনরেকর্ডেড থাকে। স্বাভাবিক কারণেই। এটা আমেরিকার স্ট্যাট।

    আর হ্যাঁ, মনে হচ্ছে, খদ্দেরদের মধ্যে একজন মনস্তাত্ববিদও ছিলেন। :)
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৮:১২553432
  • তা, আমার কথাটা হল, মাস সাইকোলজি ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। আরও অনেকগুলো আসল কথা আছে, কিন্তু আর লিখতে পারছি না। কাল হবে।
  • proshno | 24.96.68.200 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৮:৫০553433
  • গুরু চন্ডালগণের কাছে একটি প্রশ্ন ছিল।
    একজন কাউন্সেলরের কাছে লোকজন ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানায়। প্রফেশনাল হেল্প চায়। ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুরাও জানায়, কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেক কিছুই তিনি জানেন কাউন্সেলর হবার সুবাদেই। তিনি এবার সেই কথাগুলো অনেক সময় নানা লোকজনকে বলেন। হেল্প যে চাইছে তার পরিচিত মহলেও অনেক সময় বলেন। সেই নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এক্ষেত্রে কী করা যায়? আইনী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
  • | 24.99.39.137 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৪553434
  • হুম ভাল প্রশ্ন। আমিও কৌতুহলী।
  • ladnohc | 116.209.112.104 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ১৬:৫২553435
  • একজন কাউন্সেলর, একজন ডাক্তার, একজন উকিল...... এরা অনেকের একান্ত ব্যক্তিগত কথা জানতে পারেন, এবং সেই কথাগুলো অনেক সময় নানা লোকজনকে বলেন। স্থান-কাল​-পাত্র বদলে দিলে মনে হ​য় না কারো কোনো প্রবলেম হতে পারে। আত্মরক্ষার টইতে অনেকের ব্যক্তিগত কথা আছে গল্পের ছলে; কিন্তু অন্যের জীবনের কথা তার বিনা অনুমতিতে নামোল্লেখ করে বলা কখনই উচিত না।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ২০:৪৮553436
  • আইন-কানুন দিয়ে কিছু করা যায় কিনা বলা চাপ। দেশে প্রাইভেসি আইন তেমন কঠিন নয়। তবে এমন এক্ষেত্রে, অভিযোগ করলে, মনে হয়, কাউন্সেলরের কাউন্সেলিং করার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়। যদিও ১০০% নিশ্চিত না। এক্সপার্টরা ভালো বলতে পারবেন।

    তবে প্রাইভেসি আইন যাই বলুক, এটা পেশাগত এথিক্স ভঙ্গের অপরাধ।
  • sosen | 125.187.44.202 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ২১:৫০553438
  • দ্যাশে কিসুই করা যায়না।
    বিদেশে সর্ব কিছু করা যায়। তবে বাংলাদ্যাশে কিসু করা যায়না, রোয়ান্ডা তেও না।
    বোলনে কা মতলব-ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের বেশিরভাগ দেশেই পেশেন্টের প্রাইভেসি আইনের দ্বারা সুরক্ষিত, তৃতীয় বিশ্বে নয়।

    তবে ওই কাউন্সেলর এর চেম্বারের বাইরের দেয়ালে পোস্টার সেঁটে আসতে পারেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন