এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষেঃ জুলে, লাদাখ!

    সিকি
    অন্যান্য | ২৩ জুন ২০১২ | ১১৪৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৮ জুলাই ২০১২ ২২:২১558476
  • sch,

    জানা যায় কিনা আইডিয়া নেই। ডিফেন্সের ব্যাপারস্যাপার বোধ হয় আরটিআই-এর মাধ্যমে জানা যায় না, তা হলে তো অনেকদিন আগেই অনেক কিছু কেলেঙ্কারি ধরা পড়ত।

    ভারতের ডিফেন্স মন্ত্রকের ঘাপলাবাজি সম্ভবত দেশের সমস্ত স্ক্যামের বাপ।
  • sch | 111.63.148.159 | ০৮ জুলাই ২০১২ ২২:৩৮558477
  • একটু গুগলিয়ে দেখলাম - এই লিঙ্কটা একবার দেখতে পারেন সিকিবাবু
    http://mod.nic.in/def-cpio.htm
    আমি বুঝলাম না ওই হসপিটাল কিসের আণ্ডারে পড়ে - তবে RTI কে এড়াতে পারবে না। হ্যাঁ কটা কামান কেনা হয়েছে - তারা কোথায় রয়েছে এইগূলো sure বলে না
  • bhatta | 132.175.18.180 | ০৮ জুলাই ২০১২ ২২:৫৫558478
  • পোনা কে চিনবো না তা কি হয়।সেই ten commandments তো এখনো ভুলিনি।তবে লেখা টা গোলা হচ্ছে।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১০:০৬558479
  • অসা লেখা, ছবির লিঙ্ক টা এখেনে দিলে সুবিধে হয়।
  • কুমু | 132.160.159.184 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১১:১৫558480
  • সিকির লেখা ম্ম্মচ্চ্চৎকার-সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চৌহান এট অল যাওয়াতে সিকির ট্যুর মনোমত হয়নি বটে,কিন্তু এই কাহিনীটি বড় উপাদেয় হয়েচে,বেশ আচারের মত।

    তবে লাখটাকার প্রশ্ন এটাই-চৌহানরা গেছিল কেন?সেই এলটিসির গল্প?
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২০:৩০558481
  • পম্যা, হ্যাঁ। আদি ও অকৃত্রিম এলটিসি তো বটেই, আর জম্মু কাশ্মীরের মত এমন জায়গা ভারতে খুব কমই আছে যেখানে কর্নেল আর মেজরদের কোলে চেপে "আরাম" করতে করতে ভেকেশন কাটানো যেতে পারে। পুরো রাজ্যটাকেই ইন্ডিয়ান আর্মি তুলো দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছে কিনা। মিলিটারির সান্নিধ্যে চৌহান বেশ অ্যাট হোম ফীল করে।
  • নেতাই | 132.177.156.33 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২০:৫৬558484
  • ভট্টাদা জলুর??
    আমিও তাহলে চিনতে পারি।
    কোন ব্যাচ??
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২১:৪৬558486
  • কিন্তু সবাইকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটা তোমাকেই ধরল কেন? একাও তো যেতে পারত।
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২১:৫৭558487
  • একার পক্ষে লে বেশ কস্টলি ট্যুর না, খরচা শেয়ার হত কী করে?

    আমি নিজের খরচা নিজে বহন করার জন্য তৈরি ছিলাম, কিন্তু ঘুরে আসার পরে দেখলাম, নিজে একা একা ঘুরতে হলে জাস্ট ফিরে এসে পার্সোনাল লোন নিতে হত।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:১০558488
  • বুঝলাম, ২০১৪ তে আমার সেই দশা আসছে। ঃ(
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:১২558489
  • আমি তাহলে কাটিয়ে দিলাম। বাইক আর শিখছিনা আপাততঃ)
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:২৮558490
  • না। পাহাড়ি এলাকায় গাড়ি ভাড়া করে ঘোরা বিশাআআআআল খরচা। আর্মির ডিসকাউন্টেড রেটে লে-তে আমাদের ন'দিনের ট্রিপে খচ্চা পড়েছিল আঠাশ হাজার টাকা। শ্রীনগর থেকে চারদিনে লে আসতে শ্রীনগরের গাড়ি নিয়েছিল, সেটাও আর্মির ডিসকাউন্টেড রেটে, সাড়ে সতেরো হাজার টাকা। এইটাই ডিসকাউন্ট ছাড়া নিলে খরচা হত যথাক্রমে বত্রিশ আর একুশ হাজার টাকা।

    বাইকে করে তুমি কত ঘুরবে? কিছুতেই বত্রিশ হাজার বা একুশ হাজার টাকার তেল পোড়াতে পারবে না।

    বাকি থাকা খাওয়ার খরচা? আমরা সব জায়গাতেই পয়সা দিয়ে থেকেছি। আর্মির মেস বলে কোথাও ফ্রি-তে থাকি নি। হোটেলে থাকলেও কমবেশি একই খরচা। একটা ডাবল বেড রুম আমাকে আমার ফ্যামিলির জন্য নিতে হয়েছে, রুমের পুরো খরচাটা আমার গেছে। আমার ফ্যামিলির খাবার খরচা পুরো আমার গেছে। তুমি যদি বন্ধুর সঙ্গে ঘোরো, রুমের খরচা, খাবার খরচা, সমস্ত পারহেড বেসিসে শেয়ার হবে, খরচা ড্র্যাস্টিকালি কমে যাবে।

    যতদূর শুনেছি, আড়াই তিন সপ্তাহের ট্রিপে কুল্লে এগারো হাজার টাকার পেট্রল খরচা হয়। এটা গেলবছরের হিসেব। ২০১৪য় পেট্রলের কেমন দাম হবে জানি না, তবে কুড়ি হাজারের মধ্যে বাইক সার্ভিসিং আর পেট্রল খরচা নেমে যাবে।
  • Zzzz | 152.176.84.188 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৩৪558491
  • সিকি স্যার,

    হ্যাটস্‌ অফ।
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৩৬558492
  • গল্প কিন্তু এখনো শেষ হয় নি।

    তবে আজ আর লিখতে পারব না। কাল লিখব।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪১558493
  • আব্বে বাইক ভাড়া নেবার খরচা নেই?

    সে তো নিজের গাড়ি করে লে গেলেও খচ্চা কম হত!
  • সিকি | 132.177.2.130 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪৩558494
  • খরচার একটা এক্সেল শীট বানিয়েছিলাম। সেটা পরে অফলাইনে শেয়ার করে ডিসকাস করব।

    আগে লেখাটা শেষ করি। তাইলে বুঝবে খরচা নিয়ে কেন কাঁদছিলাম।
  • সায়ন | 125.184.7.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪৬558497
  • কিসির ব্রহ্মতালুতে র‍্যাঁদা চালাতে চাই ঃ-এক্স
    প্পন্দা, ওই গুরুপ-লিংটা একবার মেল করে দাও তো।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪৬558495
  • তার উপরে লুরু-দিল্লি ফ্লাইটে যাওয়া আসার খচ্চা আ্ছে।

    সব মিলিয়ে কম করে ধরলেও ওই পঞ্চান্ন থেকে ষাট। মোটেও সস্তা নয়।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪৭558498
  • সরি। হ্যাঁ, এগুলো লিখে এখন টইয়ের গতি রুদ্ধ করার মানে হয় না। লোকজনে বাটাম দেবে। :)
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২২:৪৯558499
  • সান্দা, ফেবুতে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনলাইন হলে পিং করিস।
  • Santanu | 96.97.124.49 | ০৯ জুলাই ২০১২ ২৩:৩০558500
  • যা: অপ্পনের প্রশ্নটা (চৌহান ক্যানো সিকির সাথে এলো) আমার ও ছিল আর ওয়েট করে ছিলাম কিছু রোমহর্ষক ব্যাপারের জন্যে। তা নয় কেবল ওই ২২৭৫০ টাকার জন্য! কর্নেল কে মেজর বা উল্টোটা করে দেওয়া যার বাঁহাতের খেলা, তার কাছে ওই টাকা তো নস্যি। তার জন্যে এতো? মানে সিকির যেমন মনে হয়েছে ভুলভাল সঙ্গী, চৌহানের ও নিশ্চই মনে হয়েছে। যাক লেখা চলুক।
  • bhatta | 132.175.31.92 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৯:৪২558501
  • নেতাই,
    হ্যা জলু ২০০১ passout।
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ১০ জুলাই ২০১২ ০৯:৪৬558502
  • তাহলে তোমায় অবশ্যই চিনি।
    আমি ২০০৩
  • rc | 131.241.218.132 | ১০ জুলাই ২০১২ ১০:০৪558503
  • লাদাখ বেশ কস্টলি টুর । ২০০৪ সালের আগস্টে ৩ জনের ফ্যামিলির লেগেছিল ৫০০০০ মত । ২ উইকস মানালি-লেহ-প্যাং গং - সমরিরি - কার্গিল -নুব্রা ইনক্লুডিং কার রেন্ট ,হোটেল ,খাওয়ায়াদাওয়া । তাও তো শ্রীনগর এর dike যাওয়া হয় নি । এখান রাফলি কত পড়ল ?
  • সিকি | 132.177.2.130 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:০৯558504
  • ২০ জুন ২০১২

    সক্কাল সক্কাল ঘুমটা ভেঙেই গেল। রাতে শোবার আগে শেষ খবর পেয়েছিলাম যে সামনের মনাস্ট্রিতে আমাদের জন্য স্পেশাল ভিজিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাড়ে আটটা থেকে ওদের সাপ্তাহিক বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়ে যাবে, তাই আমাদের পৌঁছতে হবে ডট আটটায়। আধঘণ্টার স্লট পাওয়া গেছে। আমরা যেন রেডি হয়ে পৌনে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি। মনাস্ট্রি দেখে ফিরে এসে সিন্ধু নদের ধারে আমাদের অনারে স্পেশাল ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা।

    স্পেশাল ভিজিটটা কী হতে পারে, আইডিয়া ছিল না। দূর থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এটা নিতান্তই গ্রামের একটা ছোট মনাস্ট্রি। তা ছাড়া আমরা অলরেডি লে-তে স্পিটুক মনাস্ট্রি দেখে নিয়েছি। আজ লে ফেরার পথে হেমিস মনাস্ট্রি আর থিকশে মনাস্ট্রি দেখব, সুতরাং একটা গ্রামের মনাস্ট্রি দেখার জন্য আমাদের মধ্যে বিশেষ কোনও চাড় ছিল না। কিন্তু সি ও করণ ভদ্রলোক এই রিমোট জায়গায় সীমিত রিসোর্সের মধ্যে আমাদের জন্য এত খাতির করছেন, এখানে না করাটা খারাপ দেখায়।

    ঠিক পৌনে আটটাতেই বেরোলাম। সারারাত বিশ্রাম নিয়ে চৌহানকন্যা এখন ফিট। সে-ও চলল। সামনে মিলিটারির গাড়ি আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল সিন্ধু নদের কিনারা ধরে ধরে। ঠিক দশ মিনিটে পৌঁছে গেলাম থুপতেন চোলিং গুম্ফায়। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল চমক। বুঝতে পারলাম, স্পেশাল ভিজিট মানে কী।

    স্মিত হেসে প্রধান লামা আমাদের প্রত্যেকের গলায় ঝুলিয়ে দিলেন একটি করে সিল্কের উত্তরীয়, আর হাতে ধরিয়ে দিলেন আরেকটি করে সিল্কের উত্তরীয়। আগেই ডিস্কিটে সেই লামার দোকানে গল্প করতে করতে জেনে নিয়েছিলাম এই উত্তরীয়গুলো মন্ত্র পড়া, এগুলো বুদ্ধদেব বা দলাই লামার ছবির সামনে নিবেদন করা হয় কিংবা বিশেষ অতিথিকে এই উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

    হাতের উত্তরীয় নিয়ে আমাদের ভেতরে গিয়ে দলাই লামার ছবির সামনে সেগুলো "নিবেদন" করতে হল। এরপর কাচের শোকেসে রাখা প্রচুর দেবদেবী দেখিয়ে লামা তাদের পরিচিতি দিতে শুরু করলেন, আমি অবাক হয়ে দেখলাম কীভাবে হিন্দুইজম প্রায় পুরোপুরি গিলে ফেলেছে বুদ্ধিজমকে। একেকটা দেবীমূর্তি দেখিয়ে লামা বলে যাচ্ছেন, ইনি গ্রীন তারা, আপনাদের লক্ষ্মীদেবী, ইনি হোয়াইট তারা, আপনাদের সরস্বতী, ইনি অবলোকিতেশ্বর, ইনি অমিতাভ, ইনি (নাম ভুলে গেছি) আপনাদের শিবজির সাথে তুলনীয় ...

    দেবপরিচিতি শেষ হলে পরে নজর দিলাম আনুষঙ্গিকের দিকে। বুদ্ধের সামনে চা, বিস্কুট, ফ্রুট জুস, কেক, লুচি দিয়ে পুজো দেওয়া আছে। সামনে একটা বিশাল বড় প্রদীপ, তাতে ভর্তি তেল, একটা ধূপকাঠি দিয়ে লামা তাতে আগুন ধরালেন। সামনে সারি সারি বসবার আসন, সেখানে বসে ত্রিপিটক পাঠ করতে হয়, পুরো প্রার্থনাঘরটা তকটকে লাল আর হলুদ রঙে রাঙানো, অদ্ভুত সুন্দর, শান্ত, পরিচ্ছন্ন।

    দেবদর্শন শেষ হলে লামা সবার হাতে রঙীন কাগজে মুড়ে দিলেন বুদ্ধের প্রসাদ, সেই নকুলদানা। আর সাঁঝের জন্য স্পেশাল প্রসাদ, একটা ক্যাডবেরি বার। লামাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম।

    মনাস্ট্রি আসার পথেই দেখতে পেয়েছিলাম সিন্ধুর ধারে আমাদের জন্য সবুজ রঙের টেন্ট খাটানো হচ্ছে। ফিরে গিয়ে দেখি সে এক এলাহি ব্যাপার। নদীর ধারে বালির ওপারে একাটা জাম্বো টেন্ট বসানো হয়েছে, তার চারপাশে রেড কার্পেট বিছিয়ে, লাল রঙের ম্যাট দিয়ে সাজানো ব্রেকফাস্ট বাফে টেবিল, টেন্টের সামনে ফুলের টব বসিয়ে, ফিল্ড হসপিটালের ফ্ল্যাগ লাগিয়ে একেবারে যা তা ব্যাপার। করণ, সচীন মাগু, সঞ্জয় বিনায়ক সমেত আরো বেশ কিছু লোক ফুল মিলিটারি ইউনিফর্ম পরে আমাদের অভ্যর্থনা জানাবার জন্য প্রস্তুত। সে কী আপ্যায়ন, নিজের বিয়েতে এমন খাতির পাই নি। করণ বসে বসে প্রচুর গল্প করলেন, অধিকাংশই নিজের এবং চৌহানের প্রশংসা, সচীন সঙ্গ দিলেন আমার মেয়েকে। তাকে নিয়ে নদীর ধারে বসে ধৈর্য ধরে বালির কেল্লা বানালেন, এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ালেন হাত ধরে, কে জানে, তার ঘরেও এমন ছোট একটা মেয়ে আছে কিনা। হয় তো তাকে ছেড়ে পড়ে আছেন এখানে। হয় তো অনেকেই আছেন এ রকম। মিলিটারিতে কোনও রকমের ইমোশনকে প্রশ্রয় দেওয়া স্ট্রিক্টলি মানা, সে যুদ্ধের সময়েই হোক বা শান্তির সময়ে। কঠিন মুখ করে রেখে নিজের ডিউটি করে যেতে হয়। কিন্তু সেদিন সকালে, মিলিটারি ইউনিফর্মে একদল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যেন ইনফর্মাল হয়ে পড়েছিলেন। কথায় কথায় করণ জানালেন, মিলিটারির প্রটোকল অনুযায়ী আজ আমরাই এই হাসপাতালের প্রথম সিভিলিয়ান অতিথি, যাদের এই রকম ভাবে স্বাগত জানানো হল। এতদ্বারা এই প্রটোকল আজ থেকে ডকুমেন্টেড হয়ে গেল, এর পর কোনও সিভিলিয়ান এখানে অতিথি হয়ে এলে তাকেও এইভাবেই নদীর ধারে টেন্ট খাটিয়ে ব্রেকফাস্ট করিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।

    মিলিটারির ক্যামেরাম্যান তো অক্লান্তভাবে ছবি তুলে যাচ্ছেন, মাঝে মাঝে হাতফেরতা হয়ে আমাদের অনুরোধ অনুযায়ী আমাদের ক্যামেরাতেও আমাদের ছবি তুলে দিচ্ছেন। এইভাবে চলতে চলতে আবার সেই ওয়াঘা বর্ডারের প্রবেশ।

    লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে মাথার হাইট পর্যন্ত পা তুলে প্যারেড করতে করতে সেই ব্যক্তির প্রবেশঃ "জয়হিন্দ, শ্রীমান। নাশতা প্রস্তুত হ্যায়, শ্রীমান।"

    তারপর খাওয়া শুরু হল। প্রায় পাঁচ ছ রকমের পদ দিয়ে ব্রেকফাস্ট শেষ হল একসময়ে। এর মধ্যে "সিন্ধু নদীর জল খুব পবিত্র" বলে বোতল জোগাড় করে তাতে আমাদের সামনেই সিন্ধুর জল ভরে সেগুলোকে খুব দামী র‍্যাপিং পেপার দিয়ে প্যাক করা হল, আমাদের জন্য দুটো বোতল, চৌহানদের জন্য দুটো বোতল। অমন ভালো র‍্যাপিং পেপার আমাদের আর্চিজ গ্যালারিতেও পাওয়া যায় না।

    এবার বিদায়ের পালা। সচরাচর তো লোকজনের মুখ দেখা যায় না, তার ওপর প্রাণের সখা চৌহানকে ছেড়ে দিতে মন চাইছে না, আবার কবে দেখা হবে কে জানে, আমাকে, চৌহানকে আর তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানালেন করণ। বিস্ময়ের তখনো বাকি ছিল। সবাই উঠে বসার পরে দুখানা মাইক্রোওয়েভের সাইজের বাক্স এল, সেই রকম র‍্যাপিং পেপার দিয়ে মোড়া। ফোর জিরো ওয়ান ফোর ফিল্ড হসপিটালের তরফ থেকে আমাদের দুটি ফ্যামিলির জন্য "সামান্য" উপহার। ও হ্যাঁ, লাঞ্চ প্যাক করে দেওয়া আছে। সেটারও আলাদা প্যাকেট। আর, করণ কথা দিলেন, এখানে তোলা সমস্ত ছবি তিনি মিলিটারির ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে সিডি বা পেন ড্রাইভে ভরে পাঠিয়ে দেবেন।

    ভারি হৃদয় নিয়ে আমরা ফিরে চললাম। এবার সিন্ধু আমাদের বাঁদিকে। পেরিয়ে এলাম থ্রি ইডিয়টসের সেই ব্রিজ।

    কারু থেকে একটা ছোট্ট রাস্তা সাত কিলোমিটার উঠে গেছে পাহাড়ের ওপর, পাহাড়ের একদম মাথায় হেমিস গুম্ফা। এটা লে লাদাখ অঞ্চলের মুখ্য গুম্ফা। এখানে লামাদের ইশকুল আছে, বাচ্চা বয়েস থেকে ট্রেনিং দিয়ে লামা বানানো হয়, তারপরে লে লাদাখের বাকি মনাস্ট্রিতে তাদের পাঠানো হয় বাকি জীবনটা কাটানোর জন্য। সপ্তদশ শতকের এই গুম্ফায় একটা সুন্দর মিউজিয়ামও রয়েছে, প্রাচীন, অতি প্রাচীন তিব্বতী সংস্কৃতির বিভিন্ন জিনিসপত্র এখানে সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে। আরামসে দু ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়।

    লে-তে আমাদের সময় ক্রমশ কমে আসছে। ফেরার পথে ঝট করে দেখে নিলাম থিকশে গুম্ফা, আর তার পরে পরেই থ্রি ইডিয়টস খ্যাত সেই বিখ্যাত স্কুল। ড্রুক হোয়াইট লোটাস স্কুল, অপূর্ব সুন্দর। এর যে অংশটায় শুটিং হয়েছিল, সেটা দুহাজার দশের বন্যায় ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে, দেখে এলাম সেখানে এখন কনস্ট্রাকশন চলছে, ঠিক একই রকমভাবে আবার গড়ে তোলা হচ্ছে সেই অংশটা।

    এর পরে যখন শে প্যালেস এল, সবাই ততক্ষণে এত ক্লান্ত যে কেউ আর গাড়ি থেকে নামল না। অগত্যা, আমি একা একাই উঠে গেলাম রাস্তা বেয়ে।

    আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এটার রক্ষণাবেক্ষণ করে, মানে অ্যাকচুয়েলি কোনও রক্ষণাবেক্ষণই নেই, একটা লোক নেই, গোটা দুই ফরেনার ছাড়া, আর হ্যাঁ, এখানেই লে-তে আমি প্রথম ভিখারি দেখলাম। খানিক ছবি তুলে আবার নেমে এলাম।

    লে-তে এবারে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে এয়ার ফোর্স সিগন্যালিং-এর গেস্ট হাউসে। পৌঁছতে সময় লাগল ঠিক কুড়ি মিনিট।

    ঘরে এসে প্রথমেই কৌতূহল ধরে রাখতে না পেরে খোলা হল করণের দেওয়া সেই গিফটের প্যাকেট। খুলেই তো আমাদের চক্ষু চড়কগাছ। ভেতরে ঠাসা জাম্পিন, ট্রপিকানার জুসের প্যাকেট, কাজু, পেস্তা আর আলমন্ডের এক এক কিলোর প্যাকেট, আর আরও একটা প্যাকেট জুড়ে ঠাসা অ্যাকগাদা ক্যাডবেরিস ডেয়ারি মিল্কের বার। এত জিনিস?

    কাল আমাদের শেষ দিন। হাল্কা ঘোরাঘুরি, শপিং ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ। পরশু ভোরবেলা ফেরার ফ্লাইট। মন চাইছে না ফিরে যেতে, কেবলই চাইছে চৌহানের মেয়েকে আগাপাস্তলা ক্যালাতে, সে কিনা থেকে থেকেই আমাদের কানের কাছে এসে ঘ্যানঘ্যান করে যাচ্ছে, তার আর ভালো লাগছে না, এখন সে দিল্লিতে ফিরতে পারলে বাঁচে।

    ছবি তুলে দিলাম।

    সেই জুসের প্যাকেট, চকলেট আর কাজু পেস্তা আজও শেষ হয় নি, এখনও রোজ একটু একটু করে খেয়ে চলেছি।
  • সিকি | 132.177.2.130 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:১১558505
  • ২১ জুন ২০১২

    বিলম্বিত সকাল। হালকা গোছগাছ। বেলা করে বেরোলাম মার্কেটে শেষ চক্কর মেরে আসার জন্য। গেস্টহাউসের সামনেই একজন দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি লিফট চাইলেন মার্কেটে যাবার জন্য। রাস্তায় আলাপ হল, তাঁর বন্ধু এখানে এয়ারফোর্সে আছে, তার সূত্রেই তিনি গেস্টহাউসে উঠেছেন। নাম, নারায়নস্বামী। চেন্নাই আইআইটির স্টুডেন্ট, এখন সেখানেই ইলেকট্রনিক্সের ফ্যাকাল্টি। লে তাঁকে টেনে এনেছে চেন্নাই থেকে এখানে। কাল খারদুংলা জয় করে ফিরেছেন, আজ যাবেন লাস্ট মোমেন্টের কিছু কেনাকাটা করতে, আগামী কাল থেকে তিনদিনের ট্রেকে যাচ্ছেন স্টক কাংড়ি। আইস এক্স কেনা হয়ে গেছে, জুতো কেনা বাকি।

    মার্কেটে পৌঁছে নারায়নস্বামীকে বিদায় জানালাম, আমি আইআইটির বুড়ি ছুঁয়ে এখন আইটির দাসত্ব করি শুনে উনি খুব উৎসাহিত হয়ে বললেন, আপনি চেন্নাই আইআইটিতে আসুন, বক্তৃতা দেবেন আইটি ইন্ডাস্ট্রির কারেন্ট ট্রেন্ড নিয়ে, আমাদের ছেলেরা আইটি নিয়ে অনেক কিছু জানতে উৎসুক। কোথায় খাপ খুলেছো সিরাজ, এ যে পলাশির প্রান্তর, ইত্যাদি মনে মনে বিড়বিড় করে মুখে খুব উৎসাহ দেখিয়ে বিদায় নিলাম।

    শেষবেলায় কিছু চাবির রিং, কিছু টিশার্ট, ইয়াকের লোমের বানানো শাল, পশমিনা শাল ইত্যাদি কেনা হল। শ্রীনগর থেকেই সাপ্লাই আসে, তাই দাম বেশ বেশিই পড়ল, কী আর করা যাবে। মাঝে চৌহানের ছেলে এসে বলল, আঙ্কেল, বুলেট ট্রাই করবে?

    করলাম। ড্রাইভার দোরজির এক বন্ধু দু ঘণ্টার জন্য একটা বুলেট ধার দিয়েছিল ফ্রি-তে। লজ্জার কথা কী বলব মশাই, আমি এতদিন ধরে বাইক চালানো লোক, কী যে হচ্ছে কিছুতেই বুঝতে পারলাম না, যতবার ক্লাচ ছাড়ছি, ততবার করে বুলেট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বুলেট আর গড়ায় না। আঠেরো উনিশবার ট্রাই মেরে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। আমার ভাই প্ল্যাটিনা আর পালসারই ভালো, বুলেট আমার হাতে চলবে না।

    সন্ধ্যেবেলা গেস্টহাউসে প্যাকিং সেরে হিসেব নিকেশের পালা। দোরজিকে কাল পেমেন্ট করতে হবে। চৌহান আর আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেমেন্ট করেছি, সেই হিসেব জুড়ে চৌহান আমার কাছ থেকে বাইশ হাজার টাকা পায়। লে-তে এটিএম ঠিকঠাক পাবো কিনা, কনফিডেন্স না পেয়ে আমরা পুরো টাকাটা ক্যাশে এনেছিলাম। অর্ধেক ছিল আমার কাছে, অর্ধেক সিকিনীর কাছে।

    সিকিনী তার ব্যাগ খুলে টাকার বান্ডিল বের করে গুনে দ্যাখে, টাকা কম!

    কী করে হয়? গুনে গুনে টাকা ঢোকানো হয়েছিল দিল্লিতে। আমরা প্রত্যেকে দুবার করে গুণে ঢুকিয়েছিলাম। পুরো ট্রিপে আমার নিজের কাছে রাখা অর্ধেক টাকা দিয়ে চলেছে, সিকিনীর কাছ থেকে আমি একবারও টাকা চাই নি, অথচ ব্যাগে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সাত হাজার টাকা শর্ট।

    এক্সেল খুলে সমস্ত হিসেব তন্ন তন্ন করে মেলালাম, সাত হাজার টাকার হদিস কোথাও পাওয়া গেল না। তা হলে ...?

    তা হলে-র একটাই উত্তর হতে পারে, বাঞ্চ থেকে কেউ কিছু টাকা তুলে নিয়েছে। এমনভাবে তুলেছে যাতে আলাদা করে না গুণলে টেরই পাওয়া যাবে না। হাজার টাকার নোট ছিল নটা। বাকি সব পাঁচশো টাকার নোট। একটাই বান্ডিল করা ছিল, সেখান থেকে চোদ্দটা নোট কেউ তুলে নিয়েছে।

    কে নিতে পারে? ড্রাইভার? গেস্টহাউসের কেউ? এমন কোনও ইনস্ট্যান্স মাথায় এল না যাতে করে মনে হতে পারে তারা কেউ দায়ী। গেস্টহাউস বা হোটেল আমাদের পাল্টেছে বারে বারে। কেউ নেবার থাকলে পুরোটাই নিতে পারত, ব্যাগে আরও অনেক কাগজ ছিল, সিকিনীর ডিফেন্সের আইকার্ড ছিল, সেগুলোর ভ্যালু টাকাপয়সার থেকেও বেশি। মানে, এমন কেউ নিয়েছে, যে চেয়েছিল যে আমরা বুঝতে না পারি ঝট করে। সিকিনী মাঝে মাঝেই ব্যাগ খুলেছে, বান্ডিল যথাস্থানেই আছে দেখেছে। কিন্তু কখনও গুণে দ্যাখে নি। যে নিয়েছে, সে সেটা বুঝেই এমনভাবে তুলেছে, যাতে সন্দেহ না হয় বান্ডিল দেখে। এবং সে আমাদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে আছে, বা ছিল, গেস্টহাউসের কেউ সেই কারণেই সন্দেহের আওতার বাইরে। তাদের সঙ্গে বারে বারে দেখা হবার কোনও চান্সই ছিল না, তারা চাইলে পুরোটাই তুলতে পারত। লাদাখিরা কখনও এই ধরণের কাজ করে না, এটা আমি জানি। তা হলে?

    সন্দেহ তা হলে এক দিকেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব আনঅ্যাটেন্ডেড অবস্থায় ব্যাগ থেকে টাকা তুলে নেওয়া। গাড়িতে অনেকবার ব্যাগ ছেড়ে সিকিনী গেছে কোনও মনুমেন্ট দেখতে, আমরা চলে গেছি, গাড়িতে একা পড়ে ছিল চৌহানের মেয়ে, কিংবা ছেলে। বাইশ তেইশ বছর বয়েস, দুজনেই আনএমপ্লয়েড, চৌহানের ছেলে তো বখে যাওয়া, ক্লাস টেনের পরে সে আর পড়াশোনাও করে নি, একমাত্র ওদেরই সুযোগ ছিল সিকিনীর অনুপস্থিতিতে সিকিনীর ব্যাগ অ্যাক্সেস করার।

    আরও অনেক কথাবার্তা মনে পড়ল, যাতে করে সন্দেহ পোক্ত হল, কিন্তু প্রমাণ ছাড়া তো কিছু বলা যায় না!

    টাকার শর্টেজের কারণে চৌহানকে উনিশ হাজার পর্যন্ত দিতে পারলাম, বললাম, বাকি তিন হাজার দিল্লিতে গিয়ে দিয়ে দেব।

    শেষবেলার এমন ঘটনায় মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল।

    =============

    উপসংহার

    তিন হাজার টাকা নিয়ে দুদিন পরে, দিল্লিতে, অফিসে গিয়ে চৌহানকে দেবার সময়ে সিকিনী আলতো করে বলল, দেরি করে দেবার জন্য দুঃখিত, আসলে না, লে-তে কেউ আমার ব্যাগ থেকে টাকার বান্ডিল থেকে হাজার সাতেক টাকা চুরি করে নিয়েছে। কে করতে পারে বলে আপনার মনে হয়?

    চৌহান সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, বান্ডিলে কত ছিল?
    সিকিনী অ্যামাউন্টটা বলল। সাথে সাথে চৌহানের বক্তব্য, ম্যাডাম, এটা আমার ছেলের কাজ হলেও হতে পারে। ওর এরকম স্বভাব আছে। আমি ডায়েরির পাতার ফাঁকে টাকা রাখি, ও অনেকবার এইভাবে অল্প অল্প করে টাকা সরিয়েছে, যাতে আমি বুঝতে না পারি, পরে চড় থাপ্পড় খেয়ে স্বীকারও করেছে। চুরির নেচার শুনে আমার মনে হচ্ছে এটা আমার ছেলেরই কাজ। আমি আজ বাড়ি গিয়ে একবার কনফার্ম করব।

    সিকিনী খানিক ভদ্রতা করে, না না কী বলছেন, তা কী করে হয়, অত ভালো ছেলে, ইত্যাদি বলে রাখল।

    পরের দিন, চৌহান এসে সিকিনীকে জানাল, ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জানেন? সে তো কিছুতেই স্বীকার করছে না। বলছে, বাবা এ কী বলছো? আমি কেন আন্টির ব্যাগ থেকে চুরি করব? ... কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, কাজটা ওরই।

    এই হচ্ছে চৌহান আর তার পরিবার। একেবারে নির্লজ্জ দুকান কাটা টাইপের। সন্দেহের বশেও একবার সরি বলা নেই, টাকা ফেরত দেবার অন্য কোনও চেষ্টার কথা নেই, দ্বিতীয় দিনেই গল্প শেষ, উল্টে আমাদের থেকে আরও তিন হাজার টাকা দিব্যি হাত পেতে নিয়ে নিল। এবার বুঝছেন, কালমেঘের জুস দিয়ে কাজুকিসমিসসমৃদ্ধ পায়েস খেতে কেমন লেগেছিল আমাদের?
  • aka | 178.26.215.13 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:২২558506
  • সিকি অন্তত এই শেষে তো চৌহানকে আমার অত্যন্ত সৎ বলেই মনে হল। নইলে ওর তো স্বীকার করার কোন দরকার ছিল না।
  • সিকি | 132.177.2.130 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:২৩558508
  • তা হবে। টাকাটা ফেরত পাবার পরে বিবেচনা করে দেখতে পারি। :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন