এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনেক সাহসে সর্ষে

    de
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০১২ | ১০৬৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 213.197.30.2 | ২৫ জুন ২০১২ ১১:১৭559174
  • বড়াই বললেন বলে সার্চ করে দেখলাম -- এল্সভিয়ারে (সার্জারি) পেপারও আছে এই কাংরি ক্যানস্যারের ওপরে।

    Kangricancer

    Imtiaz Wani, MDCorresponding author contact information, E-mail the corresponding author

    Post-Graduate Department of Surgery, S.M.H.S Hospital, Srinagar, India

    Accepted 5 October 2009. Available online 24 November 2009.

    http://dx.doi.org/10.1016/j.surg.2009.10.025, How to Cite or Link Using DOI
    Cited by in Scopus (0)

    Permissions & Reprints

    Background

    Kangricancer is a heat-induced skin carcinoma associated with the use of the Kangri. This Kangri, which is a traditional fire pot, is an ingenious mode of providing warmth. The Kangri is an earthenware container with an outer encasement of wickerwork that is filled with ignited coal inside for providing a source of heat in winter months. Its prolonged use may result in formation of erythema ab igne, a reticulate hypermelanosis with erythema, which may transform into cutaneous cancer. Currently, this skin cancer rarely is found in the Kashmir valley.
    Methods

    Between 2003 and 2008, all those having Kangricancer were studied.
    Results

    A 5-year study was conducted during which 17 patients who were documented with a Kangricancer were treated. Sixteen patients had cancer on a thigh and 1 had cancer on the abdominal wall. All had an excision of the neoplasm. Histopathology documented squamous cell carcinoma in all patients.
    Conclusion

    Kangricancer still occurs in patients who live in remote areas of Kashmir where there is a chilling cold in winter months and have no modern and alternative cheap means of warming other than the Kangri.

    Several types of malignant neoplasms are attributed to environmental factors, many of which have been attributed to heat exposure. The precancerous lesions and cancers resulting from excessive and prolonged heat are now well recognized, but it may be an unreported entity. In certain parts of Kashmir, a Kangri is used as a source of warmth, but it can be associated with cutaneous cancer. Kangricancer was described by physician missionaries of the Church Missionary Society during the 19th century and represents an environmentally induced cancer. The Kangri is a small earthenware bowl held in a frame of wickerwork (Fig 1). The earthenware bowl, which contained ignited coal, is called Kundal. A simple protective covering ensheathed over the upper portion of wickerwork is called Woluhd. As an inexpensive personal heating system, Kangri is the ordinary person's cheap way to beat the chill in Kashmir. Kangricancer is a squamous cell carcinoma induced on the inner surface of the thigh or on the abdominal wall in areas of recurrent thermal skin injury in the people who warm themselves by braziers containing live coals held under their clothing.1 With the repeated use of Kangri, erythema ab igne, which is a reticular erythematosus hyperpigmentation, may develop in response to repeated skin exposure to moderate heat and may transform to squamous cell carcinoma (Fig 2).
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৫ জুন ২০১২ ১১:২৯559175
  • দে,অসাধারণ লাগলো।

    বাস্তব ভ্রমণ এ জীবনে কোনদিনই হবে না,মানস ভ্রমণ তো হল।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.27 | ২৫ জুন ২০১২ ১১:৩৯559176
  • আমি বোধহয় ইন্দোর সময়ের দু বছর আগে গিয়েছি, মনে করে দেখলাম......ঐসময় কাংড়ি আর ক্যানসার ব্যাপারটায় খুব দুঃখী হয়েছিলাম, প্রায়ই ঐ ফিরন পরা লোকগুলোর, বিশেষ বাচ্চা ছেলেমেয়ের কথা ভাবতাম, খারাপ লাগত...
    তারপর তো কাশ্মীর যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল, ভুলে গেলাম.....সে যাত্রায় এত আপেল খেয়েছিলাম, খিদে পেলেই মা হাতে আপেল ধরিয়ে দিত, তারপরে ফিরে এসে আপেল খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলাম, দীর্ঘকাল....ইদানীং আবার অল্পস্বল্প খাচ্ছি!
    তবে দের লেখা পড়ে আবার খুব যেতে ইচ্ছে করছে, কোন সময়ে যাওয়া যায় ভাবছি!:)
  • de | 190.149.51.69 | ২৫ জুন ২০১২ ১১:৫০559177
  • বরফে-কাদায় মাখামাখি রাস্তা, খিলেনমার্গের দিকটা পুরো অদৃশ্য -- তারি মধ্যে আকাশ থেকে পেঁজা তুলোরা নামছে -- এই অবস্থায় কোনমতে হাঁটা শুরু করা গেলো। বরফে ধপাধপ আছাড় খাচ্ছে লোকে চারিপাশে। তবে একটা কথা না বলে থাকা যায় না, চারিপাশ বাঙালীতে ভর্তি আর এই প্রচন্ড ঠান্ডায় মা-মাসিমারা জাস্ট শাড়ী পড়ে আর একখান শাল-মুড়ি দিয়ে যেভাবে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে বাঙালী মা-মাসিমাদের কুর্নিশ না করে পারা যায় না! মেসোমশাইদেরই বরং বাটার জুতো ভিজে যাবে বলে একটু দ্বিধা থরোথরো হতে দেখেছি ঃ))

    তো ঘুরে ঘুরে সব পয়েন্টগুলো দেখা হলো , আলাদা করে কিছুই বোঝা যায় না, সবই একরকম, বরফে ঢাকা! খিলেনমার্গের উপরে সব বরফে ঢাকা, ওখান থেকে নাকি পরিষ্কার দিনে এল-ও-সি স্পষ্ট দেখা যায়। আমরা শুধু সাদা ধোঁয়া দেখলাম! জুতো ভিজে গেছে, মোজাটা ভিজতে আরম্ভ করায় আমার আর মেয়ের দুজনেরই পায়ে যন্ত্রনা শুরু হলো। তাড়াতাড়ি নীচে নামলাম কোনমতে। হাত, পা, নাক সব সাড়বিহীন! জলদি দৌড়ে আবার সেই রেস্তোঁরা আর সোজা সামোভারের পাশের টেবিলে গিয়ে বসে যাওয়া।

    লাঞ্চ সাদামাটাই করা হলো -- বাটার রোটী আর রাজমার সবজি। এতো ওপরে ধোয়াধুয়ির অসুবিধে নিশ্চয়ই, সবজি বা চিকেন নেওয়া হলো না তাই! এরপরে ফেরার জন্য আবার লাইনে দাঁড়ানো। গন্ডোলায় নামার সময়ে একটু কুয়াশাটা কেটেছে, তাই একটু বেটার দেখা গেলো, তাই ভয়টাও আরেকটু বেশী হলো!

    নীচে নেমে এসে আবার সেই চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অতোদূর হাঁটা গাড়ী অব্দি। ঠান্ডা, বৃষ্টি -- শরীর যেন আর চলছিলো না। মুন্নাভাইয়ের ওপরেও বেশ রাগ হচ্ছিলো -- আমাদের ঠিকমতো গাইড করেনি বলে! ভেবেই রেখেছিলাম গিয়ে একটু বলবো!

    সেইমতো গাড়ীতে ওঠার পরেই বলা হলো -- আপনি তো আমাদের বল্লেন না গন্ডোলা কোথায় আছে। অনেকেরই গাড়ী সঙ্গে করে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছিলো দেখতে পেলাম, আপনি কেন নিয়ে গেলেন না? বেশ কাঁচুমাচু হয়েই সে জানালো যে যেসব ড্রাইভারেরা ট্যুরিস্টদের হেল্প করে বা করতে চায় তাদের পনিওয়ালা আর লোক্যাল দাদাদের হাতে এখানে মার খেতে হয়। সবসময় প্রত্যেকের ওপর ওদের লোক নজর রাখছে। তবে এইসব "হাতকাটা কাত্তিক" রাও অমানুষ নয়, যখনি যে গাড়ির প্যাসেঞ্জার পনি/গাইড বুক করে কি কোন জিনিসপত্র কেনে নিয়মমাফিক ড্রাইভারের পারসেন্টেজ পৌঁছে দিতেও এরা কার্পণ্য করে না!

    ফিরতে ফিরতে সন্ধে! কোনমতে খেয়েদেয়েই কম্বলের তলায়! সাদামাটা খাওয়া, ভাত, রুটি, স্যালাড, মিক্সড ভেজ আর চিকেন কারি। কাল একটু সকালেই বেরোতে হবে। কাল যাব পহেলগাঁও!
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ২৫ জুন ২০১২ ১৪:৪০559179
  • কিন্তু সোমবার এসব লিখলে লোকে কাজ করবে কেমনকরে? ছবি গুলো নিয়ে কোনো কথা হবে না, যেতেই হবে।।।এই বছর আর হলো না, সামনের বছর যাবই যাব।
  • pi | 82.83.84.10 | ২৫ জুন ২০১২ ২০:৫১559181
  • সেই পহেলগাঁও, সেই ক্যম্পিং, সেই লিডার নদী ! এখনো আমার চোটোবেলার খেলার ঝাঁপিতে লিডার নদীর লাল, সবুজ পাথর রাখা ! একটা পাথরকে মাছের মত দেখতে ছিল বলে ওটা নিয়ে খেলতুম না, বসার ঘরে শো কেসের জন্য দান করে দিয়েছিলুম।
    অত সুন্দর নদী বোধহয় আর দেখিনি।
  • de | 130.62.189.38 | ২৫ জুন ২০১২ ২১:৩৩559182
  • পহেলগাম বা পহেলগাঁও -- অনন্তনাগ জেলার সদর দফতর। আগে এটা পশুপালকদের গ্রাম ছিলো, শ্রীনগরের পূব দিকে প্রায় ৯৫-১০০ কিলোমিটার বাই রোড।

    সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়া গেলো। আজকেও মুন্নাভাইই আমাদের নিয়ে যাবে। তার উৎসাহ আমাদের পহেলগাঁও দেখানোর থেকে অনেক বেশী জাফরান, খোবানি আমন্ডের দোকান ঘোরানোর। পহেলগাঁও যাওয়ার রাস্তায় পড়ে পাঁপোরে বা পাম্পোরে। এই এলাকা থেকে ভারতবর্ষের সর্বত্র তো বটেই এমনকি বিদেশেও চালান যায় জাফরান। রাস্তার দুপাশে সারি সারি দোকান -- মুন্নাভাই আমাদের নিয়ে গেলো যে দোকানে, সেটা শুনলাম প্রায় ৭০-৮০ বছরের পুরানো। দোকানদার ঐ অত বছর ধরে জাফরান বিক্রি করছে, তার ছেলেপুলে, নাতি সবাই ওই দোকানের বিভিন্ন কাউন্টারে ড্রাই ফ্রুটস বিক্রি করছে, খালি দাদু একলা সেই জাফরানের কাউন্টার আগলে বসে আছেন। জাফরান মাপার যন্ত্রটাও ভারি কিউট, ছোট্ট মতো। ড্রাইভারের অনুরোধে দাদু মাঠ থেকে তুলে আনা জাফরান দেখালো (৩ নং ছবি), এক-একটা ফুলে তিনটে করে মেরুন রংয়ের স্ট্যামেন পিছনে হালকা হলুদ একটা স্ট্র্যান্ড দিয়ে জোড়া। সামনের তিনটে মেরুন রংয়ের স্ট্র্যান্ডই জাফরান, স্যাফ্রন বা কেশর।

    সেপ্টেম্বরের একমাস হাল্কা বেগুনী রংয়ের ফুলে মাঠ ভরে যায়, মাটির মাত্র কয়েক ইঞ্চি ওপরে ছোট্ট একটা ডান্ডা আর তার মাথায় ফুল, পাতা-টাতার বাহুল্য নেই।

    জাফরান পার গ্রাম আড়াইশো টাকা আর পাঁচগ্রামের প্রাকেট হাজার টাকা দাম। মুম্বইতে এইরকম ভালো কোয়ালিটির জাফরান পাওয়াই যায় না, পেলেও এর থেকে অবশ্যই বেশী দাম। তো জাফরান, খোবানি (ড্রাই অ্যাপ্রিকট), আমন্ড আর ওয়ালনাট কেনা হলো।

    দোকানের একপাশে শাহী কাবার দোকান। কাবা এক ধরণের স্তানীয় হট ড্রিংক। দারচিনি, শুট, পাউডারড সুগার, জাফরান মিশিয়ে বানানো, ওপরে আমন্ডের কুচি ভাসিয়ে দেয়। খেতে বেশ ভালো। কাবার ডাব্বাও কেনা হলো একটা।
  • de | 130.62.189.38 | ২৫ জুন ২০১২ ২১:৩৪559184
  • * স্থানীয়
  • Nina | 22.149.39.84 | ২৫ জুন ২০১২ ২১:৩৯559185
  • ঠিক ঠিক , পাই----
    কি সুন্দরী ঐ নীল নদী লিডার---কত মাছ ঐ নীল-কাঁচ-জলে
    অন্ত্যমিল হবেনা বলে মান্নাদে গাইলেন
    ট্রাউট মাছে ভরে গেল বিপাশা ঝেলাম !
    আমার খুব ভাল লাগে নদীর নাম--রাবি--আসলে হিন্দী উচ্চার্ণটা
    রা--উই---ইচ্ছে ছিল মেয়ের নাম রাখব কিন্তু মাসি কাকিরা স্রেফ রবী করে ছেড়ে দিল--এম্যা ও তো ছেলেদের নাম--ধ্যুস!
    শেষ গেছি কাশ্মীরে --ছেলে তখন দেড় বছরের--বাবা মা তাকে নিয়ে শ্রীনগরে বসে থাকত আর আমরা টোনাটুনি ঘুরে বেড়াতাম পহেলগাঁও, সোনমার্গ গুলমার্গ , খিলানমার্গ---হে হে কেউ কেউ জিগাত হনিমুনে এসেছ? এখন মনে হয় স্বপ্ন!!

    আবার কোনোদিন যাওয়া হবে কিনা জানিনা---
    দেবু , তোর সঙ্গে ঘুরতে কি ভাল লাগছে। ববার ছিল খাওয়ার আর মার রান্নার শখ---যেখানে যেত সেখান খাবার ও তার রেসিপি তাই জানা হয়ে গেছে। কাশ্মীরে অমাদের শালওয়ালার বাড়ীতে দাওতে ঐ আখনি মটন খেয়েছিলাম---আজও স্বাদ ভুলিনিঃ)
  • সিকি | 132.177.205.17 | ২৫ জুন ২০১২ ২১:৪৪559186
  • আসল উচ্চারণটা বোধ হয় কাহ্‌বা। অন্তস্থ ব। কাশ্মীরি চা। সবজেটে রঙের হয়, বাকি দে যেমন বর্ণনা দিল, ঠিক তেমন। স্বর্গীয় স্বাদ। গরম চা, সঙ্গে ঐ ড্রাই ফ্রুটসের জন্য শীতকালে শরীর গরম থাকে। অমৃততুল্য স্বাদ।
  • Nina | 22.149.39.84 | ২৫ জুন ২০১২ ২২:০১559187
  • দিল্লীতে অনেক পার্টিতে ডিনারের পর একেবারে প্রপার কাহ্বা দেয়--একেবারে সামোভারে তৈরি---মনে করেই আরামে চোখ বুঁজে গেল আমার--কি তার স্বাদ গন্ধ---
  • de | 213.199.33.2 | ২৬ জুন ২০১২ ১৭:১৬559188
  • পাই আর নীনাদি,

    লিডার আমাদেরো খুব সুন্দর লেগেছে! বাড়িতে একটা তাক আছে শোকেসের, সেটা শুধুই পাথর আর ঝিনুকে ভরতি, যে যে নদীর কাছে গেছি, সব নদীর কাছ থেকে নুড়ি কুড়িয়ে এনেছি। এছাড়াও সব পাহাড়ী জায়গার, ভলক্যানো, লাইমস্টোন কেভ -- সব জায়গা থেকে কুড়িয়ে আনা নুড়ির কালেকশান আছে। ঝিনুকও আছে নানা সাগরের!
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ২৬ জুন ২০১২ ১৭:২৩559189
  • দেদি, আজকের লেখা কই? অসাধারণ জায়গা, এখনি চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু ছাতার চাকরি!!
    নীনা দি, আখনি মাটন এর রেসিপি চাই, যাওয়া হলো না তা বলে কি খাওয়া ও হবে না নাকি?
  • pi | 82.83.84.10 | ২৬ জুন ২০১২ ১৮:০৫559190
  • তোমার ঐ শোকেসের তাকে খুব করে লোভ দিলুম।
  • de | 190.149.51.67 | ২৬ জুন ২০১২ ১৮:২২559191
  • লিখছি ঐশিক, আমারও যে ছাতার চাকরি! ঃ))

    কেনাকাটা সেরে আবার গাড়িতে বসে পড়ি। চারপাশে রাস্তায় শুধুই লম্বা লম্বা উইলো গাছ, পাম্পোরে ছাড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, দুপাশে শুধুই উইলো কাঠের তৈরী ব্যাটের ফ্যাক্টরি, সাথে নানা রকমের আর সাইজের ব্যাটের আউটলেট। যদিও কেউ ক্রিকেট খেলে না বাড়িতে তাও ফেরার পথে একটা ব্যাট কেনা হয়েছিলো।

    পহেলগাঁও যাওয়ার পথে ছোট ছোট অনেক কাশ্মিরী জনপদ পেরোতে হয়। তখন শীতের প্রায় শেষ - সর্ষে ফুলে ক্ষেত ভরে আছে। খানিকদূর যাওয়ার পরেই লিডার নদী সাথে সাথে চলতে থাকে। কুলকুল করে একটা মৃদু আওয়াজ সবসময় কানে বাজতে থাকে। লিডারের ধারে ধারে ক্যাম্প করে ট্যুরিস্টরা আছে, অনেককে বারবিকিউ করতে দেখা গেলো। একটা ব্রিজের কাছাকাছি দেখলাম র‌্যাফটিং এর সাইনবোর্ড। অনেকে র‌্যাফটিং করছে। এর পরেই আরু ভ্যালির মধ্যে ঢুকে পড়ে গাড়ি। আশেপাশে নাম না জানা অসংখ্য ঝর্নার জল এসে মিশেছে লিডারে। এমনি করে নদীর সাথে হাত ধরাধরি করে এসে গেলো পহেলগাঁও!

    বাজারের কাছে এসে মুন্নাভাই ছেড়ে দিলো আমাদের, এর পর আমরা পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখবো চারিদিক। গাড়ী থেকে নেমেই দৌড়ে নদীর কাছে আমরা, জলে হাত দিয়ে খানিকক্ষণ রাখার পরেই অবশ্য তুলে নিতে হয় -- বরফের মতন ঠান্ডা! নুড়ি কুড়ানো হলো, ট্রাউট মাছ ধরছে কিছু লোক, তাও দেখা হলো! এরপরে নদীর কাছ থেকে উঠে এসে লাঞ্চ !

    পহেলগাঁও তে অনেক বাঙালী হোটেল আছে। তাদেরই একজনের সাইনবোর্ডের নমুনা আছে ৪৮ নং ছবিতে। ৪৬ নং ছবিতে ফারান আর ৭৭ নম্বরে কাংড়ির ছবি আছে। লাঞ্চে আমরা অবশ্য বাঙালী খাবার নিই নি। রোগন জোস আর রাইস নেওয়া হলো। বেশ ভালো রান্না। (৪৯ নং) ল্যাম্বে গন্ধ নেই -- টার্কিশ ল্যাম্বের মতোই!

    লাঞ্চ সেরে পাহাড় বেয়ে ধীরে ধীরে বৈসরণের দিকে ওঠা হলো। পনিওয়ালাদের উপদ্রব এখানে খানিকটা কম। আমরা পায়ে হেঁটেই উঠছি দেখে অবশ্য পনিওয়ালারা একটু অসন্তুষ্টই হলো। খানিকদূর ওঠার পর একটা মাঝারি গোছের ঝর্না দেখে মেয়ের জেদ চেপে গেলো -- ঐ ঝরনাটার শুরুটা তাকে দেখতেই হবে। ছোট মানুষ, পাথরে পা ফেলে টুক টুক করে দৌড়ে দৌড়ে চলে যাচ্ছে, সাথে বাবাও দৌড়েছে, মেয়েকে একা ছাড়বে না বলে। আমি ধীরেসুস্থে হেলেদুলে চল্লাম। পথে আলাপ হলো সাজ্জাতের সাথে। স্থানীয় ছেলে, বছর দশেক বয়স হবে। পহেলগাঁও তে ভালো স্কুল নেই, তাই শ্রীনগরে থেকে পড়ে। ছুটি তে বাড়ি এসেছে ঘুরতে। বাড়ির ছাগল দুটো পাহাড়ে চরতে বেরিয়েছিলো, সাজ্জাত ওদের নিতে এসেছে। বেশ কালো হয়ে আসছে কিনা, যেকোন সময়েই বৃষ্টি নামতে পারে।

    মেয়ে আর তার বাবাকে তখন অনেক দূরে দেখা যাছে, তারা ঝর্নার উৎসসন্ধানে চলেছে -- আমি একটা একটু সমতল মতো জায়গা পেয়ে পাথরের ওপর বসে পড়লাম-- সামনে তাকালে বরফে ঢাকা একের পর এক পাহাড়ের রেঞ্জ-- কি একটা পাখী মিঠে সুরে ডেকে চলেছে-- ঝরনার কুলকুল আওয়াজ-- হাওয়া দিচ্ছে আর কনিফারের পাতা গুলো সর সর করে উঠছে-- যতদূর চোখ যায়, কেউ কোত্থাও নেই! নিজেকে আর বিশ্বসংসারের সমস্ত সমস্যাই যেন মিথ্যে বলে মনে হয় -- আহা এমনি ভাবে এখানেই যদি কেটে যেতো সারা জীবনটা!

    তা অবশ্য হয় না! খানিক বাদেই হাঁপাতে হাঁপাতে ঝরনা জয় করে দুইমূর্তি ফিরলেন ঃ)) -- গরম লাগছে, কোট খুলে ফেলবো, জল খাবো, এখুনি বৃষ্টি নামবে, ছাতা আছে কিনা সঙ্গে, ড্রাইভারকে পাওয় যাবে তো -- ইত্যাদী নানা জাগতিক সমস্যায় শীঘ্র জড়িয়ে পড়ি!
  • Nina | 22.149.39.84 | ২৬ জুন ২০১২ ১৯:০৫559192
  • দেবু
    ভারি সুন্দর লাগল তোর লেখাটা বেশ কয়েকবার পড়লাম--কেমন যেন মনটা ঝর্ণার সঙ্গে একাত্ম হতে চায়--সত্যি জীবন যদি ঐ ভাবেই কাটত---কিন্তু না তাহলে হয়ত এর নৈস্বর্গীক টানটা চলে যেত--কে জানে!!

    ঐশিক
    রেসিপি--মরেছে !! কাংড়ি তে লোহা গরম করে ঝোলে দেবে ছেঁকা--কোথায় পাব কাংড়ি? বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মতৃক্রোড়ে --তেমনই আখনি মাটন কাশ্মীরে ঃ-))

    তবে একটা জিনিষ আরও অবাক করেছিল---কাশ্মীরে বিয়ে হয় যখন তখন কে কত ভাল করে বিয়ে দিল তার স্ট্যাটাস সিম্বল হল ( তখন ছিল অন্তত) কত মণ --হ্যাঁ কত মণ মাংস খাওয়ানো হয়েছে!! আর যতদূর মনে পড়ছে কেমন যেন একটা সুড়ঙ্গ টাইপের কাটে আর তাতে ঝোল ঢেলে দেয়--ভাতে মেখে খাও--গোছের---ইস তখন যদি সর্ষে টই থাকত ত লিখতাম---আমারও ৩২ বছর হল লাস্ট ট্রিপের--স্মৃতি আবছা---

    চলো দেবু আগে বঢ়ো
  • de | 130.62.191.112 | ২৬ জুন ২০১২ ২১:৫২559193
  • নীনাদি,

    চলো আমরা গুরুবোনেরা একটা ট্রিপ করি পহেলগাঁও-- লিডার নদীর ধারে ক্যাম্পে থাকবো ঃ))। আর হ্যাঁ, কাংড়ি বিক্কিরি হচ্ছিলো অনেক -- রাস্তার ধারে ধারে দোকানে, কিনবো ভেবেছিলাম, কিন্তু অলরেডি যা লাগেজ হয়েছিলো, এর পরে লে যেতে হবে, এইসব ভেবে কাটিয়ে দিলাম!
  • de | 130.62.191.112 | ২৬ জুন ২০১২ ২১:৫৩559195
  • পাই, ঃ)))
  • শ্রাবণী | 24.98.77.248 | ২৬ জুন ২০১২ ২২:০০559196
  • আমার আর দুই মামাতো বোনের একসঙ্গে কাঁধ ধরে ছবি আছে লিডার নদীর ধারে.....জল খুব ঠান্ডা ছিল মনে আছে......সত্যি কত স্মৃতি!
  • de | 130.62.191.112 | ২৬ জুন ২০১২ ২৩:৪৩559197
  • আমদের ইনিশিয়াল প্ল্যানে পহেলগাঁওতে র‌্যাফটিং পয়েন্টে নাইট স্টে ছিলো, সেলিমভাইয়ের কথামতো সে প্ল্যান বদলে সোনমার্গ ইনক্লুড করা হয়েছিলো-- লে বাই রোড যাচ্ছি না বলে সেলিমভাই জোর করে বলেছিলো যে অ্যাট লিস্ট সোনমার্গ আর থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার অবশ্যই যেন দেখে যাই কারণ "থাজিওয়াস সে ইন্দাস রিভার ইস্টার্ট হোতা হ্যায়, নাজারা বহোত বড়িয়া হ্যায় উধার!" ইন্দাস মানে নালা সিন্ধ, ঝিলমের সবচেয়ে বড় শাখানদী। এছাড়াও কোলহৈ, মাচোই এইসব হিমালয়ান রেঞ্জের গ্লেসিয়ারগুলো দেখা যায় এখান থেকে। চারপাশে হিমালয়ের অনেকগুলো পিক দেখা যায়, তারমধ্যে একটা অমরনাথের পিক। অমরনাথ যাত্রা মূলতঃ দুটো জায়গা থেকে শুরু হয় একটা পহেলগাঁও-চন্দনবাড়ি, অন্যটা সোনমার্গের থেকে প্রায় ষোল কিলোমিটার দূরে থাজিওয়াসের কাছে বালটাল থেকে।

    তো এহেন সোনমার্গে যাওয়ার জন্য পরের দিন সকালবেলায় তৈরী আমরা। আজ ফিরে এসে আর হোটেলে যাওয়া নেই, আজ রাত্তিরটা আমরা থাকবো হাউসবোটে, কাল সকালে আমাদের লে যাওয়ার ফ্লাইট।

    প্রথমে হাউসবোটেই পুরো ট্রিপটা থাকা হবে ঠিক হয়েছিলো। আমার অফিসের একজন কাশ্মীরি সহকর্মী আমাদের প্ল্যান শুনে সাজেস্ট করেছিলেন যে হাউসবোটে থাকা একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা, সেটা সঞ্চয়ের জন্য এক রাত্তিরই যথেষ্ট। তারবেশি হাউসবোটে থাকা উচিত নয়। কারণটা সিম্পলি হাইজিনিক। অসংখ্য হাউসবোট গোটা ডাল লেক জুড়ে। বেশীর ভাগ সময়েই এদের ওয়েস্টগুলো সোজা জলেই ছেড়ে দেওয়া হয়। ডাল লেকের জল তাই মোটেও পরিষ্কার নয়। তার ওপরে হাউসবোটে জলের বন্দোবস্ত, কিচেনে ধোয়াধুয়ির ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আমরা যে সময়ে গেছিলাম, তখন হাউসবোটে রুম হীটার না থাকাটাও একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতো।

    আরো বলেছিলেন সেই সহকর্মী, ডাল লেকের তলার সেডিমেন্ট এতো ইসের গুণে খুবই উর্বর। ঐ সেডিমেন্ট তুলেই চারপাশের গার্ডেনগুলোতে সার হিসেবে সোজা সাপ্লাই দেওয়া হয়! এটা অবশ্য মজা করে বলাও হতে পারে। সে যাই হোক, আমাদের পুরো ট্রিপে হাউসবোটে থাকার প্ল্যান বাতিল করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিলো!
  • hu | 22.34.246.72 | ২৭ জুন ২০১২ ০২:৩৭559198
  • খুব ভালো হচ্ছে লেখা। কিন্তু কাংড়ির ছবিটা দেখতে পাচ্ছি না।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ২৭ জুন ২০১২ ১১:০৬559200
  • আমার কত দিনের ইচ্ছে যে wazwan খাব, ছাতার লুরু তে সে পাওয়া যায় কি?
    দে দি এরপরে তোমরা লে-তেও গিয়েছিলে? তার লেখা কবে পাব?
  • de | 190.149.51.68 | ২৭ জুন ২০১২ ১৭:৫৯559202
  • শ্রীনগরের আরেকটা ব্যাপার সম্বন্ধেও কমেন্ট না করে পারা যাচ্ছে না -- যেখানেই যাওয়া হয়েছে, পাবলিক টয়লেট নামক বস্তুটি এরকম একটা ট্যুরিস্ট স্পটে সংখ্যায় অস্বাভাবিক রকমের কম -- যাও বা আছে অতিরিক্ত নোংরা! ছেলেদের টয়লেটগুলোর তো কোন ইউজই নেই বোধহয় -- লোকজন দিব্বি রাস্তার ধারে ফারান ঢেকে বসে পড়ে (দাঁড়িয়ে কেউ করে না, এটাও পাপচক্ষে পড়েছে ঃ))) -- মেয়েদের টয়লেট হাতেগোণা কতগুলো জায়গায় আছে!

    সোনমার্গ, সোনেমার্গ, সোনামার্গ -- অনেক রকম উচ্চারণে শুনেছিলাম! শ্রীনগরের পূর্বদিকে প্রায় একান্ন/বাহান্ন কিলোমিটার। চারিপাশের বৃষ্টিঢাকা পরিবেশটা আজকে একটু পরিষ্কার হয়েছে -- তবে রাস্তাটা খুব একটা ভালো নয়! সোনমার্গের রাস্তায় সবে বরফ পরিষ্কার হয়েছে, বরফ তুলতে গিয়ে রাস্তার পিচের আস্তরণও চেঁছে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।

    সোনমার্গকে বলা হতো সিল্ক-রুটের গেটওয়ে, চীন আর অ্যারাবিয়ান কান্ট্রি গুলোর সাথে এই পথেই ব্যাবসা-বাণিজ্য চলতো। কার্গিলের যুদ্ধের পর থেকে এখানে খুব বেশী সেনার রমরমা -- এখনো লের রাস্তার এন্ট্রি এখানেই -- সেনারই কন্ট্রোলে, বেলা তিনটের পরে সে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়! এসম্বন্ধে আরো ডিটেল তো সিকি দেবে! ঃ))

    পহেলগাঁও যাওয়ার পথে যেমনি লিডার সোনমার্গে যাওয়ার পথে তেমনি হাত ধরাধরি করে চলে ইন্ডাস। সবুজ রঙের পরিষ্কার জল। খানিক দূর পাহাড় বেয়ে ওঠার পর দেখা যায় বড় বড় ঝরনা যেগুলো ইন্ডাসে এসে মেশে, সেগুলো সব জমে বরফ। চারপাশেও রাস্তার বরফ্গুলো বেশ জমিয়ে রেখেছে। গোরুগুলোর গায়ে বেশ লম্বা লম্বা লোম, অন্যরকম দেখতে।

    এইভাবে ফটো তুলতে তুলতে আর দেখতে দেখতে এসে যায় সোনমার্গ। খানিকক্ষণ এদিক ওদিক ঘুরে ফটো-টটো তোলার পর ঠিক হলো থাজিওয়াস/থাজওয়াস দেখতে যাবো। ওখন থেকে জিপ ভাড়া করতে হবে আলাদা করে, সবার কাছে থাজিওয়াস যাওয়ার পারমিট নেই। এই রাস্তায় যেতে গিয়েই অবশ্য বোঝা গেছিলো যে বড়সড় ঘাপলা আছে -- রাস্তার প্রথমেই লেখা -- কোনরকম যানবাহন এই রাস্তায় অ্যালাউড নয়। কিছু পুলিশের লোক আর স্থানীয় লোক একটা বাঁশের টানা দিয়ে রেখেছে রাস্তার ওপর -- ড্রাইভার একটা কাগজ দেখিয়ে আর হাতে কিছুমিছু গুঁজে দিলে তবেই ছাড়ছে।

    জিপের ভাড়া সোনমার্গ টু থাজওয়াস- বালটাল রিটার্ন আড়াই হাজার টাকা! প্রথমে শুনে একটু চমক লাগে। মাত্র ষোল কিলোমিটার যাওয়া আসায় এতো? পরে ড্রাইভার ছেলেটি বুঝিয়ে বল্লো -- এতে অনেক লোকের পাওনা আছে।

    সাব জিরো টেম্পারেচার আর হু হু করে হাওয়া দিচ্ছে, তার মধ্যে সাংঘতিক হুড়পাড় করে জিপ চলতে শুরু করলো। প্রথমে ফিশ পন্ড আর নেচার-পার্কের সামনে দাঁড়ালো গাড়ি। অদ্ভুত সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ! ফিশ-পন্ডে অতো ঠান্ডায় অবশ্য কোন মাছেদের দেখতে পাওয়া গেলো না! পাশে উঁচু উঁচু পাহাড়, ভ্যালি সবজায়গাতেই দেখলাম বেশ অতন্দ্র প্রহরা! এরপরে সোনমার্গ ক্লাব আর অমরনাথের যাত্রীদের থাকার জায়গা।

    গাড়ী থেকে হাত বার করে ক্যামেরার শাটর টেপা যাচ্ছে না -- হাত জমে শক্ত হয়ে গেছে। ইদিকে গ্লাভস পড়ে আবার ছবি তুলতে পারি না ! চারিপাশের এমন দৃশ্য ছবি না তুলে থাকাও যায় না। এইভাবেই ধীরে ধীরে পৌঁচে গেলাম থাজওয়াসে।

    বরফে ঢাকা গ্লেসিয়ার -- সাদা রঙের ওপরে বিন্দু বিন্দু কালো ডট - -অনেকেই উঠছে ওপরে ট্রেকিং করে। আমরাও খানিকটা দূর উঠবো ভাবলাম -- তবে তার আগে একটা খরস্রোতা নালা একটা নড়বড়ে কাঠের ব্রিজের ওপর দিয়ে পার হতে হবে। তারই ওপর দিয়ে অজস্র ফেরিওআলা, পনি হাতে পনিওয়ালা, হাজারো ট্যুরিস্ট সব হুড়মুড় করে পর হচ্ছে -- দেখে এতো ভয় হচ্ছিলো, এই ঠান্ডায় ঐ ঝরনার জলে পড়লে আর দেখতে হবে না! কোনমতে বাবাগো-মাগো করতে করতে মেয়েকে নিয়ে নালা পার হলাম। পড়িনি যে, সেটা জাস্ট কপাল! এর মধ্যে আবার বরফ পড়তে আরম্ভ করলো। তবে আকাশ আজকে অনেক পরিষ্কার।

    চারপাশে রোড বলে কিছু নেই, যেটুকু রাস্তা পনির খুরে-খুরে পুরো কাদায় ভর্তি। খানিকদূর ওঠার পড়ে আবার গুলমার্গের মতোই পা জমে যেতে লাগলো মেয়ের। তাড়াতাড়ি আবার নেমে এলাম! নেমে এসে আবার সেই নালা পেরিয়ে এসে ড্রাইভারের আর দেখা পাইনা - -এদিকে বেশ ভাওই বরফ-বৃষ্টি হচ্ছে। ওখানেও যারা গেছে তাদের ম্যাক্সিমামটাই বাঙালী - -তাদেরও একই অবস্থা, এক ভদ্রলোককে দেখলাম ফোনে বাঙালী হিন্দীতে তুমুল গালি দিচ্ছেন ড্রাইভারকে! আমরাও ফোন লাগালাম, কিন্তু সে পরের ট্রিপ খাটতে চলে গেছে -- আর থাজওয়াসের রাস্তার (রাস্তা বলে কিছু নেই যদিও, পুরোটাই মাটি আর পাথর, বরফে ঢাকা) শেষ প্রান্তে অসম্ভব জ্যাম হয়। সরু রাস্তা, তারি মধ্যে দুদিক দিয়ে গাড়ি আসছে। সে যাই হোক -- খানিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ড্রাইভার বাবু উদয় হলেন আর আমাদের নীচে নামালেন। টাটার জীপ ছাড়া ওপরে আর কিছু যায় না!

    নীচে নেমে প্রচুর খিদে পেয়ে গেলো --ততোক্ষণে প্রায় চারটে বেজে গেছে - - সামনেই একটা খুব সুন্দর সাজানো রেস্তোঁরা। সেখানে ঢুকে পরে অর্ডার দি -- কাশ্মিরী চিকেন মসালা, শাহী পনির, ভাত, নান এইসব রাশি-রাশি খেয়ে ফেলি! টেবিলে বসার সাথে সাথে সবার সামনে একটা করে কাংড়ি রেখে যায় - -হাত সেঁকার জন্য। এতোক্ষণ ঠান্ডায় থাকার পরে বেশ আরাম হয়।

    খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেরার পালা। ফেরার পথে শ্রীনগর ঢুকে আরএক প্রস্থ লেফট-ওভার শপিং হলো। এরপরে গেলাম হজরত-বাল দরগায়। ডাল- লেকের ধারে প্রায় চারশো বছরের পুরানো এই দরগা। মদিনা থেকে সৈয়দ আবদুল্লহ হজরত মহম্মদের চুল নিয়ে এসে এই দরগায় রাখেন। পরে আওরংজেব এসে সেই চুল কেড়েকুড়ে আজমের শরিফে নিয়ে যান।

    দরগা আর তার চারপাশ ভারি সুন্দর। কাল চলে যাবো এখান থেকে -- ভাবতেই খারাপ লাগছিলো!
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৭ জুন ২০১২ ১৮:৩২559203
  • কাঠের বিরিজের ছবি আছে তো?
    দে,লেখাটা বড্ড ভাল হচ্ছে!
  • ঐশিক | 132.179.89.56 | ২৭ জুন ২০১২ ১৮:৫০559204
  • আর ছবি?
  • hu | 22.34.246.72 | ২৭ জুন ২০১২ ১৯:০৭559206
  • দে-দি, কাংড়ি দেখতে পেলাম এবার। এরকম একটা জিনিস ওখানকার মানুষ সারাদিন নিজের শরীরে বেঁধে রাখে ভাবতেই কেমন লাগছে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন