এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনেক সাহসে সর্ষে

    de
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০১২ | ১০৭৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 130.62.194.128 | ২৭ জুন ২০১২ ২০:১০559207
  • হুচি, ঠিক বেঁধে রাখেনা -- ফারানের হাতা দুটো দুদিকে ঝুলতে থাকে, আর পেট/বুকে দুহাত দিয়ে আঁকড়ে থাকে কাংড়ি!

    কুমুদি,

    কাঠের বিরিজের ছবি তোলা হয়নি, পড়ে যাবো এই ভয়ের চোটেই নড়বড় করছিলাম -- মেয়েকেও ধরে ছিলাম --

    ঐশিক,

    ছবি আসিতেছে ঃ)
  • pi | 82.83.84.10 | ২৭ জুন ২০১২ ২০:১৭559208
  • বৃষ্টি পড়লে ঐ কাংড়ি নিয়ে কী করে ?
  • Nina | 22.149.39.84 | ২৭ জুন ২০১২ ২০:২৬559209
  • দুরন্ত দেবু--দুরন্ত লিখছিস---ছবিগুলো খুউব সুন্দর।
  • de | 130.62.194.128 | ২৭ জুন ২০১২ ২২:৫৮559210
  • সিটি প্লাজা হোটেলে আজ আমাদের শেষ দিন -- মালপত্র নিয়ে বিল মিটিয়ে বেরনো হলো। মালপত্রের সঙ্গে করে দুজন ছেলে চল্লো আমাদের সাথে, তারা শিকারায় চড়ে আমাদের মালপত্র রেখে আসবে হাউসবোটে। এই ক'দিন রোজই রাত্রে হাউসবোটে আলোকিত ডাল লেক দেখতে দেখতে ফিরতাম। আজ সেই হাউসবোটেই থাকবো মনে করে বেশ থ্রীলিং লাগছিলো।

    আজকে রাতের জন্য পুরো হাউসবোটটাই আমাদের। দুই ভাই এই হাউসবোটের কেয়ারটেকার কাম মালিক। সাজিদ আর নাদির। হাউসবোটের নাম নোয়াস আর্ক। আশে-পাশের সমস্ত হাউসবোটেই বাইরের কাঠের কাজের সূক্ষ্ম কারুকার্য্য দেখার মতো। ভিতরে ঢুকে সুন্দর ড্রয়িং রুমে হাত-পা ছড়িয়ে বসি। ছোট ভাই, সাজিদ আমাদের চা এনে দিলো। কাশ্মীরে আসার পর থেকে এই প্রথম চা খেয়ে তৃপ্তি হলো -- সর্বত্রই মসালা চা, তেজপাতা, ইলাইচি , গুচ্ছ দুধ-চিনি ঢালা সরবত খেয়ে খেয়ে মুখ পচে গেছিলো। এর পরে ডাইনিং রুম তারপরে ছোট প্যাসেজ পেরিয়ে দুই বেডরুম আর টয়লেট।

    হাত-মুখ ধুয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে বসা হলো। মাঝে মাঝেই ছপ ছপ আওয়াজ করে শিকারা যাচ্ছে। আশে-পাশের হাউসবোটগুলোতেও লোকজন বসে আছে -- জলের উপরে পুরো একটা গ্রাম। ধীরে ধীরে চারপাশের শোরগোল কমে আসে -- বড় আলোগুলোও নিভতে শুরু করে। শুধু বাইরের লাল-নীল আলোগুলো জ্বলে থাকে। সাজিদ এবার খেতে ডাকলো -- কাল ভোর-ভোর বেরোতে হবে। শ্রীনগর এয়ারপোর্ট থেকে সকাল এগারোটায় লে র ফ্লাইট।

    রাত ঘন হওয়ার সাথেই আরো একটা শিকারার আওয়াজ -- আমাদের হাউসবোটের দিকেই আসছে। তার মধ্যে থেকে দুজন ফারান পরা লম্বা যুবক বেরিয়ে আসে -- জানা গেলো ওদেরই একজন নাদির, বড় ভাই। অন্যজন তারই বন্ধু -- ওরা দুজন বাইরে থেকে রাত্তিরে বোট পাহারা দেয়।

    রুম হীটিং নেই বলে খুব ঠান্ডা হাউসবোটের ভিতরে। তাড়াতাড়ি লাইট নিভিয়ে কম্বলের তলায় ঢুকে পড়লাম।
  • সোমনাথ২ | 217.239.86.106 | ২৮ জুন ২০১২ ০০:৪৪559211
  • Date:25 Jun 2012 -- 08:37 PM এর ছবিগুলো দারুণ হয়েছে ।
  • | 60.82.180.165 | ২৮ জুন ২০১২ ১০:০০559212
  • দে,ভারী সুন্দর হচ্ছে ।
    তাড়াতাড়ি কম্বলের তলা থেকে বেরিয়ে এসোঃ)
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৮ জুন ২০১২ ১২:৫৪559213
  • আমার একটা কথা আছে-সুকান্তর কথা বলা হচ্চে না তেমন করে,কেন?সে বেচারা এমন চমৎকার কাব্যে উপেক্ষিত কেন?

    সেও বোধ্হয় সুবিনয় স্যারের ছাত্তর,যদ্দুর মনে পড়ছে।
  • lcm | 79.236.170.152 | ২৮ জুন ২০১২ ১৩:১৮559214
  • দে-র কিছু ছবি খাসা।
    অনেক ছবি সিকি-র সাথে কমন মন হতে পারে।
  • de | 213.197.30.2 | ২৮ জুন ২০১২ ১৩:৩৯559215
  • ম', লসাগু আর সোমনাথ২ -- থ্যাংকু, থ্যাংকু!

    কুমুদি,
    কাব্যে উপেক্ষিত কোথায়? লিখেছি তো! খুব বেশী কিছু লেখার মতো (চৌহানের মতো) করেনি তো! ঃ))
  • de | 213.197.30.2 | ২৮ জুন ২০১২ ১৪:২৫558922
  • পরের দিন খুব ভোরবেলা ঠান্ডায় ঘুম ভেঙ্গে যায় -- একখানই বড় কম্বল, মেয়ে আর কুমুদির সুকান্ত তা টেনে নেওয়ায় আমি ঠান্ডায় জমে গেছি। উঠে চোখেমুখে জল দিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ালাম। হাউসবোটের বাইরে আরেকটা ছোট নৌকা-বাড়ি। সাজিদ ওখানেই শোয়, কিচেনটাও ওখানেই, চা-জলের সাপ্লাই ওখান থেকেই আসে। সইত্যের পথ থেকে বিচ্যুত না হতে চাইলে আরো একটা কথা বলা উচিত -- সেটা হাউসবোটের টয়লেট -- কমোডের দিকটা গলা অব্দি ঘষা কাঁচে ঢাকা, পর্দাও আছে, কিন্তু বসলে পরে পুউরো ডাল-লেক, দূরে পাহাড়ের সারি, সব দৃষ্টিতে আসে। টয়লেটের এমন ভিউ আরেকবারই দেখেছিলাম -- সেটাও পরে এই লেখাতেই বলবো!

    এরপরে খুব তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিলাম সবাই, স্নান-টানের ঝামেলায় গেলাম না, বরফের মতো ঠান্ডা জল, এমনিতেও লে পৌঁছে যাবো বারোটার মধ্যে! গিয়ে দেখা যাবে। আটটা নাগাদ বেরোলে আধঘন্টাখানেকের মধ্যেই এয়ারপোর্ট পৌঁছে যাবো। এগারোটায় ফ্লাইট, এতো সকালে ব্রেকফাস্ট করারও আর ইচ্ছে হলো না। শুধু চা-বিস্কুট খাওয়া হলো। এই ক'দিনের টাইট শিডিউলে আমাদের শিকারা-ভ্রমণ বাকি ছিলো -- আজ সকালে তাই খানিকক্ষণ শিকারায় চড়ে ঘোরা হলো, ভোরবেলাকার ডাল লেক, শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া, পানকৌড়িদের ডুব, শালুক আর পদ্ম ফুলের পাতা সরিয়ে সরিয়ে শিকারা চড়ে ঘুরে বেড়ানো -- এসবই চিরকালীন স্মৃতি হয়ে রয়ে গেলো। এরই মধ্যে শিকারাওয়ালা মেয়েকে সাজিয়ে দিলো কাশ্মীরি ড্রেসে। ছবি-টবি তোলা হলো। শ্রীনগরে অনেক ফ্যামিলিই হাউসবোটেই থাকে। তাদের ছেলেমেয়েরা ছোট্ট ডিঙি নৌকো চড়ে স্কুলে যাচ্ছে তখন! ছবিটার একটা ডাইরেক্ট লিং রাখলাম।

    https://plus.google.com/photos/104319172682511520305/albums/5755288138011870129/5755288327205648066?authkey=CMaLotnIvsPLSw

    শিকারা-ভ্রমণ শেষ হলে হাউসবোটের ভাড়া মিটিয়ে ঐ শিকারাতেই নাদির-ভাই আমাদের পৌঁছে দিতে এলো। জিনিসপত্র গাড়িতে তুলে দিয়ে বল্লো "ফির ওয়াপস আইয়েগা হামারি জন্নতমে" ! এতোটুকু আলাপ -- তাও মুখের রেখায় বিষন্নতার ছাপ। একমাত্র গুলমার্গ বাদ দিলে সর্বত্র মানুষের এতো ভালো ব্যবহার -- সারা জীবন মনে থাকবে!

    মুন্নাভাইই আজ গাড়ী নিয়ে পৌঁছে দিতে এসেছে আমাদের, বার বার করে সেও বল্লো আবার আসার কথা। এয়ারপোর্টের দিকে যেতে গিয়ে একটা বাসের পেছনের লেখাটা বেশ ভালো লাগলো, যদিও গাড়ির মধ্যে থেকে পরিষ্কার করে ওঠেনি -- তাও ছবিটার লিং!
    https://plus.google.com/photos/104319172682511520305/albums/5755288138011870129/5759005409207138882?authkey=CMaLotnIvsPLSw
  • শ্রাবণী | 127.239.15.27 | ২৮ জুন ২০১২ ১৫:১৯558923
  • এই কাশ্মিরী ড্রেস পরে ছবিতে মেয়েগুলোকে খুব মিষ্টি দেখাচ্ছে, সাঁঝকে আর দের মেয়েকেও (সরি, ওর নাম লেখেনি দে কোথাও).......এখন দেখলে খুব ভালো লাগে কিন্তু তখন আমি এতই পাকা ছিলাম যে কিছুতেই তুলতে রাজী হইনি,
    অথচ মামাবাড়িতে শোকেসে এখনও বোনেদের ঐ ড্রেস পরা ছবি শোভা পাচ্ছে, আমার নেই!
  • de | 190.149.51.67 | ২৮ জুন ২০১২ ১৫:৪১558924
  • এয়ারপোর্টে ঢোকার যে মেইন গেট তার ঠিক সামনেই এক্স-রে মেশিন, এয়ারপোর্টের এন্ট্রান্সের অনেক দূরে! সেখানে মালপত্তর চেকিয়ে আবার গাড়িতে তুলে এয়ারপোর্টের সামনে এসে দাঁড়ানো গেলো। ট্রলিতে মাল তুলে মুন্নাভাইকে টা টা করে এন্ট্রান্সের দিকে এগোই আমরা!

    সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দাড়িওয়ালা দুই সিকিওরিটি গার্ড, ফ্লাইটের টিকিট দেখাতেই ফিচেল একটা হাসি হেসে তারা বল্লো " ফ্লাইট তো চলা গ্যয়া"!

    প্রথমে আমরা ভাবলাম, নিশ্চয়ই কিছু বোঝার ভুল হচ্ছে -- দুজনেই কাশ্মীরি, নিজেদের মধ্যে কাশ্মীরিতেই কথা বলছে। হয়তো ভাষাটা ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না! কিন্তু ভবি ভোলবার নয় -- কিছুতেই তারা আমাদের এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢুকতে দেবে না। কিছুক্ষণ টিকিট দেখিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা হলো -- কাল রাত্তিরেও নেটে দেখিয়েছে ফ্লাইটের টাইম এগারোটায়, তাহলে কি করে ফ্লাইট চলে যায়? এখন বাজে আটটা চল্লিশ! সেসব কোন কথায় তারা কানই দেয় না -- ফ্লাইট চলে গেছে ব্যাস! আর কিচ্ছু জানিনা, এয়ারপোর্টে কিছুতেই ঢুকতে দেবো না -- এই বক্তব্যে তারা অনড়! শেষে দেখা গেলো একটু দূরে এয়ার-ইন্ডিয়ার অফিস। লোকজন বসে আছে। আমি মালপত্র আর মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, সুকান্ত ছুটলো সেখানে। এদিকে মেয়ের চোখ গড়িয়ে তখন বন্যা নেমেছে -- লে যাওয়া হবে না, এই ভেবে!

    প্রায় আধঘন্টা ওইভাবে দাঁড়িয়ে রইলাম -- খানিকক্ষণ বাদে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে সুকান্ত বল্লো --ফ্লাইট রিশিডিউলড হয়েছে, সাডেন রিশিডিউলিং, এখানে কোন উড়ো ফোন বা টেররিস্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনায় এরকম নাকি প্রায়ই হয়ে থাকে। এয়ার ইন্ডিয়ার সাইটেও দেখাচ্ছে নটা দশ নাগাদ ফ্লাইট ছাড়ার সময়। আমাদের টিকিট যেহেতু এজেন্টের বুক করা, তাই কোন রিফান্ড পাবো না, কারণ ওরা বলে দিচ্ছে আপনার এজেন্ট কেন জানায়নি আপনাকে, এটা এজেন্টের ফল্ট! এয়ার ইন্ডিয়ার সাইটে গিয়ে ডাইরেক্ট বুকিং করলে রিফান্ড পাওয়া যেতো! মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় এসব শুনে। নটা দশ মানে আমরা যখন এখানে এসে পৌঁছেছি তখনও ফ্লাইট এখানেই ছিলো -- গেটের পুলিশ আমাদের না আটকালে হয়তো ধরতেও পারতাম ফ্লাইটটা!
  • প্পন | 226.52.215.232 | ২৮ জুন ২০১২ ১৫:৪৪558925
  • এই জন্যই অ্যার ইন্ডিয়ায় কভু চড়িও না। ঃ(
  • de | 190.149.51.68 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:০২558926
  • আমাদের গোমড়া মুখ দেখে পুলিশ দুটো কির'ম ফিচেল হাসি হেসে বল্লো "ক্যা হুয়া, বোলা থা না চলা গ্যয়া ফ্লাইট!" মুখগুলো পুরো হিন্দী সিনেমার ভিলেনদের মতো লাগছিলো।

    ইতিমধ্যে দেখা গেলো এক গুজরাতী ফ্যামিলি -- বেশ বড়ো গ্রুপ প্রায় জনা আটেকের, তারাও গেটের সামনে পুলিশের সাথে লড়ে যাচ্ছে -- কাছে যেতেই জানা গেলো যে তাদেরও আমাদের মতো একই কেস। তবে তারা বেশ বলিয়ে কইয়ে গুজরাতী, ব্যবসা করে খায়, তাদের কথা বলার আর ম্যানেজমেন্টের ঢঙই আলাদা। তিনজন ভদ্রলোক, আমাদেরই কাছাকাছি বয়স হবে, ঠিক ম্যানেজ করে ফেল্লো পুলিশগুলোকে-- মালপত্র, কাচ্চাবাচ্চা নিয়ে আমরা মেয়েরা বাইরে দাঁড়ালাম আর তিনজন ভদ্রলোক আর সুকান্ত এবার এয়ারপোর্টের মধ্যেকার এয়ার ইন্ডিয়া অফিসে গেলো ঝগড়া করতে। এবার একটু জোর পাওয়া গেছে -- শুধু আমরাই একা মুরগী নই, দলে আরো আছে।

    এইখানে গুজরাতীদের একটু প্রশংসা না করে পারছি না -- আমরা যেখানে একটুতেই রিঅ্যাক্ট করে ফেলি, এই পুরো ফ্যামিলিটাকে দেখলাম, পুরো কুল! ফ্লাইট চলে গেছে -- তো কি, কিছু একটা বন্দোবস্ত হবেই, এভাবে তো ছেড়ে দেবো না! এইরকম অ্যাটিটুড! পথে বেরোলে কত কীই যে শেখার থাকে!

    আরো প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করতে হলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। প্রচুর খিদে পেয়ে গেছে, মেয়ের মুখখানা শুকিয়ে গেছে! ব্রেকফাস্ট করে আসা হয়নি! আশেপাশে কোন দোকানও নেই যে সেখান থেকে কিনে নেবো। তারপরে চারমূর্তি ফিরে বল্লেন, কথা চলছে, তবে এবার মালপত্র নিয়ে এয়ারপোর্টের মধ্যে ঢোকার পারমিশান মিলেছে। মালপত্র নিয়ে, এক্স রে চেকিং করিয়ে ভিতরের চেয়ারে বসে সাময়িক হাঁপ ছাড়লাম!
  • de | 190.149.51.68 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:০৪558927
  • শ্রাবণী, মেয়ের নাম অনসূয়া, ডাকনাম মুনিয়া!

    প্পন, এল টি সি তে অ্যার ইন্ডিয়া ছাড়া গতি নাই যে!
  • de | 190.149.51.68 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:২৬558928
  • মেয়েকে গুজরাতী মেয়েগুলোর সঙ্গে বসিয়ে রেখে ভিতরে অফিসে গিয়ে দাঁড়ালাম আমিও। ঐ ফ্যামিলির কয়েকজন বয়স্ক মানুষ অলরেডি লে পৌঁছে গেছেন আজকের সকালে দিল্লী-লে ফ্লাইটে! ওদেরও এটা নিয়ে একটু চিন্তা ছিলো।

    ভিতরে গিয়ে দেখি গুছিয়ে বোঝানো চলছে। ওদেরই মধ্যে একজন খুবই ঠান্ডা মস্তিষ্কের করিৎকর্মা ছেলে, নাম দীপক, সে মোটামুটি জোনাল অফিসারকে কনভিন্স করিয়ে ফেলেছে -- সেই অফিসারও কাশ্মীরি, তিনি বেশ সহানুভূতির সঙ্গেই শুনছেন গোটা ব্যাপারটা। আমার জীবনে এতো ভালো নেগোশিয়েশান আর আর্গুমেন্ট আগে কখনো শুনিনি।

    সবচেয়ে সুবিধার ব্যাপার যেটা ছিলো -- ওদের টিকিট ডাইরেক্ট এয়ার ইন্ডিয়ার সাইট থেকেই কাটা। এছাড়াও কালকেই ওরা এয়ার ইন্ডিয়ার এসেমেস পেয়েছে, কারেক্ট টাইমেই ফ্লাইট আছে বলে। এই দুটো নিয়ে দীপক লড়ে গেলো -- আমরা শুধুই দর্শক। ওর বক্তব্য হলো যে এই গোটা ব্যাপার টায় আমাদের কোন রকম ফল্ট নেই, পুরো দোষ যেহেতু এয়ার ইন্ডিয়ার, সুতরাং এয়ার ইন্ডিয়া আমাদের রিফান্ড তো দেবেই , সেই সঙ্গে আমাদের লে অব্দি যাওয়ার ব্যবস্থাও তাদেরই করতে হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অ্যার ইন্ডিয়ার শ্রীনগর টু লে ফ্লাইট সপ্তাহে মাত্র একবার, প্রত্যেক বুধবার! সেই অফিসার তখন নানা ফিজিবল পসিবিলিটি দেখালেন, তার মধ্যে একটা হলো, আজ দিল্লী যাওয়া এবং দুদিন বাদে দিল্লী থেকে লে আসা। তার আগে সব ফুল! এছাড়া আজ শ্রীনগর থেকে জম্মু চলে যেতে পারি, সেখান থেকে কাল লে র ফ্লাইট আছে। জম্মু বা দিল্লীতে থাকার সমস্ত খরচ এয়ার ইন্ডিয়া বহন করবে।

    কিন্তু অতোদিন দেরী করতে আমরা কেউই রাজি না। তাই দীপকদের বক্তব্য হলো এয়ার ইন্ডিয়াকেই আমাদের গাড়ি ঠিক করে দিতে হবে লে যাওয়ার। মাঝে কার্গিলে থাকার বন্দোবস্তের টাকাও দিতে হবে। এছাড়াও রিফান্ড তো আছেই। সুন্দরভাবে আর্গুমেন্টের জাল বুনে জোনাল জুনিয়ার অফিসারকে বুঝিয়ে ফেল্লো দীপক। এবার অপেক্ষা শুধু সিনিয়ার এয়ারপোর্ট অথরিটি এসে এই প্ল্যানে হ্যাঁ করার!
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:৩৯558929
  • এইরকম সিচুয়েশন আমি খুব এনজয় করি,মনে হয় এতক্ষণে রোমাঞ্চকর কিছু হচ্ছে,ফিকফিক করে হেসেও ফেলি,বোকার মত।
    মুনিয়া-বাঃ কেমন চমৎকার নাম।
  • de | 190.149.51.67 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:৪৮558930
  • সিনিয়ার অফিসার এসে আর পৌঁছায়ই না -- প্রায় এগারোটা বেজে গেলো। কাছের একটা দোকান থেকে প্যাটিস কেনা হলো, অখাদ্য খেতে, মুখে দেওয়া গেলো না!

    অবশেষে প্রায় বারোটার কাছাকাছি সেই আপিসার এলেন! এসেই জুনিয়ার আপিসারের সব কথা শুনে তাকে প্রচন্ড ধমক - -এই জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার কিছু হয় না, তোমার মতো জুনিয়ার অফিসারেরাই একে লাটে তুলে দিচ্ছে। কে তোমাকে বলেছে এদেরকে এতো সব প্রমিস করতে? এসব কিছুই দেওয়া হবে না-- রিফান্ডও দেওয়া হবে কিনা সেটাও অনেক রকম কিছু খতিয়ে দেখার পরেই ভাবা হবে! জুনিয়ার ভদ্রলোক কাঁচুমাচু। এইবার গুজরাতীদের আরেক রূপ দেখা গেলো -- একপ্রস্থ ভদ্রভাবে চেষ্টা করার পর তারা বল্লো , ঠিকাছে, কিচ্ছু নেবো না আমরা, এক্খুনি এখান থেকে সোজা কোর্টে যাবো, সেখানেই ফয়সলা হবে। মোটা অংকের রিফান্ড চাইবো, এই হ্যারাসমেন্টের ক্ষতিপূরণ, লে তে আমাদের যেসব বুকিং হয়ে আছে তার ক্ষতিপূরণ প্লাস সাংবাদিকদেরও জানাবো! আপনি আপনার মতো দেখুন, আমরাও আমাদের মতো করেই দেখে নেবো! এইবার সিনিয়ার অথরিটি ধীরে ধীরে নরম হলেন।

    শেষ পর্য্যন্ত ঠিক হলো -- লে যাওয়ার জন্য দুটো ইনোভা বুক করবে এয়ার ইন্ডিয়া। কার্গিলে থাকার বন্দোবস্ত করবে আর রিফান্ড দেবে। সব ঠিক হওয়ার পরে দেখি গুজরাতীদের একটি ছেলে কতগুলো ডেয়ারী মিল্কের বার কিনে এনে সব অফিসারদের থ্যাংকু বলে দিয়ে দিলো। আমরা চুপচাপ দেখে/শিখে গেলাম!

    বাই রোড যাওয়া হবে শুনে ঐ ফ্যামিলির সবাই, আমি আর আমার মেয়ে লাফাতে লাগলাম! আমাদের তো প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিলো বাই রোড যাওয়ার! সুকান্ত বেচারা আর কি করে! ওকেও বাই রোড যেতে হবে এখন! তবে এখানেই শেষ নয়। অলক্ষ্যে আরো হাসি বাকি ছিলো।

    এই দু দিনের পথের ছবি দিলাম। গল্প আসছে! আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় জার্নি এখনো অবধি!

    https://plus.google.com/photos/104319172682511520305/albums/5755290995233297281?authkey=CKrx95-tu8bnxQE

    https://plus.google.com/photos/104319172682511520305/albums/5755298530776341505?authkey=CK-lkquxwZWZigE
  • hu | 22.34.246.72 | ২৮ জুন ২০১২ ২০:২১558931
  • বাপরে! কি কান্ড! পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
  • সিকি | 132.177.187.171 | ২৮ জুন ২০১২ ২০:৪১558933
  • ফাটাফাটি। জস্ট অসা এক্সপিরিয়েন্স।

    দে, গন্তব্যটা যদি জম্মু কাশ্মীর হয়, তা হলে এয়ার ইন্ডিয়া শুধু নয়, যে কোনও ফ্লাইটই গ্রাহ্য হয়। আমাদের হয়েছে, স্পাইসজেট এবং জেটে।

    আর সরকারি এলটিসির নিয়মে এজেন্টকে দিয়ে টিকিট কাটালে সেটা গ্রাহ্য হয় না। সরাসরি এয়ারলাইন্স থেকে কাটতে হয়।

    অবশ্য এটা দিল্লির সরকারি মিনিস্ট্রির নিয়ম। তোমাদের নিয়ম আলাদা কিনা জানি না।
  • pi | 82.83.84.10 | ২৮ জুন ২০১২ ২০:৫০558934
  • শাপে বর হল কিনা কখন জানতে পারবো !
  • de | 130.62.181.46 | ২৮ জুন ২০১২ ২২:৪২558935
  • সিকি,

    আমাদের আপিসের নিজস্ব এজেন্টই সব টিকিট বুক করে -- এটা এমনিতে যে কোন সরকারী অফিসিয়াল ট্যুরের জন্যও করে। এলটিসির বোধহয় একটা নিয়ম ছিলো -- এয়ার ইন্ডিয়া ফুল হয়ে গেলে অন্য এয়ারলাইন্স অ্যালাউড!

    পাই আর হুচি,

    কালকে লিখবো আবার! ঃ))
  • ঐশিক | 132.178.216.63 | ২৮ জুন ২০১২ ২৩:৫৯558936
  • অপেক্ষায় রইলাম
  • সিকি | 132.177.187.171 | ২৯ জুন ২০১২ ০০:৪৬558937
  • ধুত্তেরি, ভুল টইতে লিখে ফেলেছি।

    আমার পিকাসার অ্যালবামের কোটা ভর্তি হয়ে গেছে। কাল থেকে ছবি আপলোডাবো কেং কয়ে?
  • Nina | 78.34.167.250 | ২৯ জুন ২০১২ ০৬:১৫558938
  • আমাদের রাষ্ট্রপিতা--গুজরাতী--খোদ ইংরেজদের কথা বলে খেদিয়ে দিল ঃ-)
    তবে আমিও গুজরাতীদের এখন খুব রেসপেক্ট করি--যেখানে যায়----সেখানেই সাকসেসফুল!

    সিধা উঙ্গলি ঘী না উঠলে টেঁঢ়া উঙ্গলি হি সহি

    তারপর বল ---জমে ক্ষীর তোর লে-অভিযান

    মুনিয়া পাখী ক্ষী কিউট---

    হে হে শ্রাবণী তুই এত পাকু হলি কি করে?এবার গিয়ে ছবি তোলাস কাশ্মির কি কলি সেজে--বেশ দেখাবে।
  • de | 213.197.30.2 | ২৯ জুন ২০১২ ১৬:০৭558939
  • নীনা-দি ঃ))

    সিকি,

    গুগলপ্লাসের এরিয়া বোধহয় একটু বেশী তাই না?
  • de | 130.62.170.30 | ২৯ জুন ২০১২ ২৩:২০558940
  • আনেক আকাঙ্খার বাই-রোড জার্নি লে’তে – তাও ফ্রী তে! এতো সুখ কপালে সইবে কিনা এইসব ভাবতে ভাবতে বাকি ফর্ম্যালিটির জোগাড়যন্তর হয়ে গেলো। সেই জুনিয়ার অফিসারই ফোন করে সব অ্যারেঞ্জ করলেন। এয়ারপোর্টের এটিএম থেকে টাকা তুলে এসে মালপত্র গাড়িতে তুলে আমরা রওনা দিলাম। তখন ঘড়িতে প্রায় দেড়টা। এর মধ্যে আমাদের কার্গিলে থাকার বুকিং করা হলো। কার্গিলে সাধারণ মানুষদের থাকার জন্য তিনটেই মাত্র হোটেল আছে -- তিনটে পাসের নামে। একটার নাম হোটেল ডি জোজিলা আর দুটোর একটার নাম সিয়াচেন, অন্যটার নাম মনে নেই। পথে লাঞ্চের জন্য কোথাও দাঁড়াতে হবে -- এই কথা বলাতে ড্রাইভারেরা হাঁ হাঁ করে উঠলো। "রাস্তাতেই কিছু কিনে নিন সাব, সোনমার্গ থেকে জোজিলা পাস যাওয়ার যে কানেক্টিং রোড সেটা তিনটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। মিলিটারী নিয়ম, ওখানে অন্য কোন কথা খাটবে না" -- তাহলে আবার কার্গিলের বুকিং ক্যানসেল আর সোনমার্গে থাকার বন্দোবস্ত করার হ্যাপা। তাই রাস্তাতেই এক-জায়গায় দাঁড়িয়ে জল, ফ্রুট, কেক, চকোলেট এইসব কিনে নেওয়া হলো। গুজরাতীদের অবশ্য চিন্তা নেই -- যেখনেই যায় খাকরা- ভুজিয়ার অনন্ত সম্ভার ওদের সঙ্গেই থাকে! এইসব করতে করতে যখন আমরা শ্রীনগর পেরোলাম তখন প্রায় আড়াইটে। কালকেই এই রাস্তায় এসেছিলাম -- তবে আজকে আবহাওয়া আরো পরিষ্কার, ঝক-ঝক করছে রোদ্দুর, নীল আকাশ। সারাদিনে কিছুই খাওয়া হয়নি তবুও মনটা যেন ফুর-ফুর করছে। আমাদের থেকেও বেশী আনন্দ মেয়ের। ও খুব ছোটবেলা থেকেই বেড়াতে খুব ভালোবাসে, বেড়ানোর কষ্ট ওর গায়েই লাগেনা সেই ছোট্ট থেকেই! নানা গল্প চলতে থাকে ঐ গুজরাতী গ্রুপের সঙ্গে। সব ভাই বোনেরা মিলে ঘুরতে এসেছে। একটা জিনিস দেখবার মতো -- প্রথাগতভাবে বেশ উচ্চশিক্ষিত তারা, কেউ এঞ্জিনিয়ার, কেউ ম্যানেজমেন্ট পড়েছে ভালো ভালো ইনস্টিট্যুট থেকে -- যে সব ডিগ্রী থাকলে আমরা বাঙালীরা বেশ পান চিবোতে চিবোতে সুখী আপিসের ঠান্ডা কোণে কাটানোর চেষ্টা দেখি -- এরা সেই সব ডিগ্রী নিয়েই ব্যবসায় নেমেছে। নিজেদের ছোট ছোট ব্যবসাকে বাড়ানোর স্বপ্নেই বিভোর।

    সোনমার্গের মিলিটারী ক্যাম্পের সামনে যখন এসে পৌঁছলাম জাভেদ-ভাইয়ের অনেক প্রচেষ্টা সত্বেও তখন ঘড়িতে ঠিক সাড়ে চারটে। সামনে দুই আর্মি অফিসার চৌকি আগলে বসে। একজনকে ঠিক কবীর বেদীর মতো দেখতে। প্রথমে গুজরাতী ছেলেগুলো আর সুকান্ত যেতে ওদের সিম্পলি হঠিয়ে দিলো! এখন কিছুতেই রাস্তা খোলা হবে না! তারপরে প্রমীলা বাহিনীর অপারেশন -- একে একে আন্ডা-বাচ্চা সহকারে গাড়ি থেকে নেমে ঘিরে ফেলা হলো অফিসারদের। গলায় একটু অল্প করে মাখন লাগিয়ে মোলায়েম করে "প্লীইজ স্যার! বুকিং আছে কার্গিলে, ফ্লাইট মিস হয়ে গিয়ে আসতে দেরী হলো! দিন না ছেড়ে --" দুয়েকবার এর'ম বলার সঙ্গে সঙ্গেই কবীর বেদী চিচিং ফাঁক বলে দিলো! ঃ))

    এর পরের রাস্তা যতো দেখি ততো মুগ্ধ হই -- মেয়েও প্রচন্ড এক্সাইটেড - -"মা আমি যেন কিছু মিস করে না যাই --দেখো! " ধীরে ধীরে বরফের রাজ্যে উঠে যেতে থাকি আমরা। আমাদের এই জার্নির ঠিক দু'দিন আগে রাস্তা খুলেছে। বরফে ভর্তি রাস্তা, ভাঙাচোড়া, মাঝে মাঝে এমন ভাবে স্কিডিং হচ্ছে যে হৃৎপিন্ড লাফিয়ে গলার কাছে উঠে আসে। ক্যামেরার শাটার টিপেই চলেছি -- বিরাম নেই। ধীরে ধীরে শুরু হয় বরফের অদ্ভুত মায়াবী জগত! আমরা এতো দেরী করেছি বলেই বোধহয়, সোনমার্গের পরে বেশ কিছুটা রাস্তায় সামনের দিকে শুধুই আমাদের দুটো গাড়িই যাচ্ছিলো, ওদিক থেকে যাও বা গাড়ী আসছে, সেটাও কম! এই ভাবে চলতে চলতে জোজিলা পাসের বেশ খানিকটা আগে এসে গাড়ি দাঁড়িয়ে গেলো। এই অ্যালবামের বারো নম্বর ছবিতে https://plus.google.com/photos/104319172682511520305/albums/5755290995233297281/5755291003666141058?authkey=CKrx95-tu8bnxQE। আগে বেশ খানিকটা রাস্তার খুবই খারপ অবস্থা। সামনে লে তে মালবাহী ট্রাকের সারি যাচ্ছে। শ্রীনগর থেকে লে তে দৈনন্দিন খাবার-দাবার, সবজিপাতি ইত্যাদী চালান যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ট্যুরিস্ট ভেহিকলও আছে -- পুরো সারি দেওয়া ট্রাকগুলোর প্রত্যেকটাকে প্রায় দশ বারো জন লোক খুবই খাড়াই স্লোপ দিয়ে ঠেলে ঠেলে তুলছে ইঞ্চি ইঞ্চি করে ! একটাও যদি পিছনে স্লিপ করে আসে এতো বড় লাইনে এক বিশাল অ্যাকসিডেন্টের সম্ভাবনা! যতক্ষণ না পুরো ট্রাকের সারি চড়াইয়ের পথটা উঠে যাবে ততোক্ষণ রাস্তা বন্ধ! অগত্যা গাড়ী থেকে আমরা নেমে আসি। মাঝে তেরো নম্বর ছবিতে আমদের ড্রাইভারেরা সুকান্তর সাথে। এর পরেই জাভেদ ভাই আঙুল তুলে দেখালো -- পাশেই অনেক উঁচু পাহাড়ের গায়ে হিমালয়ান গোটেরা সব চড়ে বেড়াচ্ছে, বরফের ওপর দিয়ে দিব্বি লাফিয়ে লাফিয়ে একটা ঘাসের প্যাচ থেকে আরেকটার দিকে যাচ্ছে পালে পালে। (১৫ আর ১৬ নং) তাদের বাঁকানো শিং আর ছাগল-দাড়ি! এইখানে নাকি স্নো লেপার্ডও প্রায়ই দেখা যায়। অনেক বাইনোকুলার চোখে লাগিয়ে তাদের খোঁজা হলো কিন্তু দেখা গেলো না। এইসব করতে করতে রাস্তা ক্লীয়ার -- চলো, চলো বলে আবার গাড়িতে চড়ে বসি!

    খানিক পরেই শুরু হয়ে যায় তুষার-রাজত্ব। দুইদিকে উঁচু বরফের পাঁচিল, মাঝখানে সরু রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলো ধীরে ধীরে এগোচ্ছে -- বরফের প্রাচীর ওপরে ফ্রস্ট-ক্রিস্টালের কতরকমের কারুকার্য্য! গাড়ি চলতে চলতেই তার খানিকটা ধরে রাখার চেষ্টা করলাম। আমি মোটেই ভালো ছবি তুলি না! কিন্তু এরকম জায়গায় ক্যামেরা এক মিনিটের জন্যও বন্ধ রাখা যায় না! এই ভাবে চলতে চলতে এসে যায় জোজিলা পাস! ১১৬৪৯ ফিট উঁচুতে। যদিও এটার নাম জোজি পাসই লেখা উচিত -- লা মানেই পাস। অ্যালবামের ৪৫-৫১ নং ছবি জোজিলায়। এর পরে খুব ছোট ছোট দুটো জায়গা - গুমরি আর মনিমার্গ হয়ে আমরা এসে পৌঁছই দ্রাসে। দ্রাসে পৌঁছে সবাই টয়লেটের খোঁজ করায় সামনের ক্যাম্প থেকে দুটো ভাঙ্গাচোরা ঘর দেখিয়ে দিলো। ঘর দুটো রাস্তার দিকে পিছন করা-- ঘুরে তার সামনে যেতেই -- কি কান্ড! দরজাই নেই! সামনে বরফে ঢাকা পাহাড়, ঘরটা দুতলার মতো হবে। নীচের তলাটা ফাঁকা -- ওপর তলার টয়লেটের সিমেন্টের মেঝেতে শুধু একটা ইঞ্চি দুয়েক ব্যাসার্দ্ধের গর্ত! আর কী প্রচন্ড ঠান্ডা সেখানে! দ্রাস এমনিতেও বিশ্বের সেকেন্ড কোল্ডেস্ট প্লেস। শীতকালে মাইনাস ষাট অব্দি তাপমাত্রা যায়! দ্রাসে পৌঁছেই কেমন ঝুপ করে একটা অন্ধকার হয়ে গেলো। এরপরে কার্গিল অব্দি আর গাড়ী থামবে না। চারিদিকে আকাশছোঁয়া পাহাড়ের রুপোলী চূড়াগুলো ধীরে ধীরে চাঁদের আলোয় মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে!
  • hu | 22.34.246.72 | ২৯ জুন ২০১২ ২৩:৩৬558941
  • আহা! কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি চাঁদের আলোমাখা তুষারশৃঙ্গ।
  • ঐশিক | 132.179.40.241 | ২৯ জুন ২০১২ ২৩:৪৮558942
  • ছবি কই? ছবি দেখায় না :(
  • de | 130.62.170.30 | ২৯ জুন ২০১২ ২৩:৫২558944
  • ছবির লিং দিলাম যে 28 Jun 2012 -- 04:48 PM এ! না দেখতে পেলে বোলো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন