এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাংলা গান ও সুমন

    ন্যাড়া
    গান | ২৫ আগস্ট ২০১২ | ৮৪০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:৫৫569164
  • একটা কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে, ৭০-এর দশকে কলকাতার জ্যাজফেস্টে একদম প্রান্তিক শ্রোতারা যেতেন, শুনতেন, তারিফ করতেন। বাংলা গানের সঙ্গে যুক্ত অজস্র মানুষও এই সব ফেস্টের কথা জানতেন ও না।
    ৯০-এ সুমন কিন্তু সবাই শুনেছে, তারিফ করেছে, ওয়েষ্টার্ন/ইস্টার্ন, অ-সাঙ্গিতিক - বাঙালী ম্যাংগো পাবলিক সুমনের গান শুনেছে।

    বাই দ্য ওয়ে - r2h যে বিটল্‌স বিঠোফেন-এর লাইনটার কথা বলল, ওটা আমারও কেমন কাঁচা মনে হয়েছে। অন্য অনেকগুলো লাইনও।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১১:৪৩569165
  • তাহলে ৮০র সুমনকে নিলো না কেন জনতা। বহু গান তো সেই একই।
    কারন তারা শুনতে পায় নি। নাগরিকের গান রেকর্ড হয়েছিলো সুমনের নাকতলার বাড়ির (পোস্ট জার্মানী, প্রি ইউএসএ) স্টুডিওতে। নিজেদের মার্কেটিং। তাইতে যা হবার তাই হলো। বাই চান্স যারা শুনলো শুনলো। ১৯৮০তেই এই অবস্থা ১৯৭৫ অবস্থাটা ভাবুন।

    আর সুমনের উত্থানের পিছনে প্রিন্ট মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সুমনের প্রথম অনুষ্ঠান আজকাল আর আনন্দবাজার যেভাবে কভার করেছিলো তা আজও ভাবা যায় না। সুমনের গান, তার প্রেজেন্টেশনকে সব সব সবটুকু কৃতিত্ব দিয়েও বলছি, সুমনের সাংবাদিক বন্ধুরা যোগ্য মানুষের জন্য প্রাণ দিয়ে করেছিলেন। অন্য অনেক যোগ্য বা যোগ্যতর মানুষ ঘটনাচক্রে তা পান নি, যেমন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য প্রতুলদা প্রকাশ্যে গান গাইছেন ১৯৮০ সাল থেকে। প্রতুলদা প্রথম বাণিজ্যিক্ভাবে প্রকাশিত হয়েছেন বোধহয় ১৯৯৭-৯৮ সালে।

    আবারও বলছি সুমনের গান নিয়ে (তোমাকে চাই-এর পরে পরেই) সেই একই সমালোচনা - কেমন যেন একঘেয়ে সুরে কবিতা পড়া। আমি সেদিন বা আজও একমত নই। কিন্তু এই ক্রিটিকটা ছিলো।

    কি করে বোঝাই আপনাদের। আমাদের কাছে ১৯৭৫এর ৫ বছর আগেও বিটলস, ডিলান, বেঠোফেন, রবিশংকর, আলি আকবরেরা বুর্জোয়া বা ফিউডাল সংষ্কৃতি ছিলেন।
    জাগো জাগো জাগো সর্বহারা, কমরেড লেনিনের আহ্বান জাগে মুক্তি সেনা দল, মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি - এগুলিই ছিলো গান। সর্বহারা সংষ্কৃতির গান। আজকে আপনি মুচকি বা অট্টহেসে বলে দিতেই পারেন - ফাগোল। সেদিন ওটাই আমাদের জীবন আমাদের যাপন ছিলো।
    বন্ধুদের প্রাণের বিনিময়ে, আমাদের শরীরে ও মন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার দামে, তখন বুঝতে শিখছি ওসব চিন্তা ভুল। শুনছি ইম্যাজিন, হোয়ের হ্যাভ আল দ্য ফ্লাওয়ার্স গন, জামাইকা ফেয়ারোয়েল, কান্ট বাই মি লাভ, হে জুড, ঘেটো, ফেয়ারোয়েল অ্যাঞ্জেলিনা, ওল ম্যান রিভার, হার্ড রেইন, ট্যাম্বুরিন ম্যান, ব্লোইং ইন দ্য উইন্ড, সাউন্ড অফ সাইলেন্স। ভাবছি বাংলায় এমন হয় না???
    সেই সময় মহীন। যারা এসবের মধ্যে দিয়ে যায় নি, তারাও মুগ্ধ। তবে হ্যাঁ, সময়ের দায়। সে সময়ে খুব কম শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষ এই অনুভবগুলোর একদম বাইরে ছিলো। পঞ্চা-পারুল থেকে পাঞ্চালী-পল্লবেরা পর্যন্ত।
    তখন সারারাতের রবিশংকর-আলি আকবর বা লুই ব্যাঙ্কস শুনতে যেতাম। আর কুয়াশায় ঢাকা প্রথম ট্রামে ফিরতাম, আড্ডায় দুটো চা মেরে। আমরা যারা সরাসরি রাজনীতি করতাম বা করতাম না তারাও। সময়টা অন্যরকম ছিলো। আজকের মতো সকলেই গান শুনতো না। কারন অধিকাংশের কাছে গান শোনার কোন যন্ত্রই ছিলো না। রেডিও বা কোন বড়লোক , হ্যাঁ বড়লোক বন্ধুর বাড়িতে গ্রামাফোন ছাড়া।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:০৬569166
  • গানের ভালমন্দ কি বুঝি জানি না, কিন্তু কল্লোল-দার কাছে কৃতজ্ঞ এই লেখাগুলোর জন্য।
    সেই উত্তাল সময়ের স্বাদ পাচ্ছি।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:১০569167
  • অনেক অজানা কথা জানতে পারছি, কল্লোলদা খুব ভালো লাগছে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:১৩569168
  • ঠিক তা নয় বোধহয়। সত্তরের দশকেও লোকে তেড়ে বাংলা গান শুনত - হেমন্ত, মান্না, সন্ধ্যা, কিশোর, মানবেন্দ্র, শ্যামল, দেবব্রত, কণিকা, চিন্ময়, সুচিত্রা। পাড়ার জলসা ঠাসা থাকত, লোকজন সারারাত গান শুনত। সুযোগের অভাব ছিল না।
    তোমাকে চাই-এর আগে সুমনের গান গাইলেও লোকের সে গান ভালো লাগে নি। আনন্দবাজারের রিভিউ, আর চাড্ডি মিষ্টি কথা দিয়ে কি লাখ লাখ ক্যাসেট বিক্রি হয়, লোকে পকেটের পয়সা কহরচ করে গান শোনে যদি ভালো লাগে, তবেই।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:১৫569169
  • তবে হ্যাঁ, সুমনের গানে সুরে সময়বিশেষে যে একঘেঁয়েমির কথা কল্লোলদা বলেছেন, তার সঙ্গে আমি কিছুটা একমত।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:৩২569170
  • তবু যারা ক্যাসেট বুমের সময়ে গান গেয়েছেন, তারা তুলনায় অনেক বেশী মানুষের কাছে পোঁচতে পেরেছেন। টেপ রেকর্ডার সস্তা হয়ে গেছে ১৯৮৫র কাছাকাছি। ওয়াকম্যান এসে গেছে ১৯৯০তেই। ক্যাসেট কেনা সহজ হয়ে গেছে। রেকর্ডিং সবে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল হয়েছে।
    কলকাতায়, আমাদের কয়েকশো বন্ধুদের মধ্যে দুজনের বাসায় টার্ণটেবল ছিলো। তাদের মধ্যে একজনের বাসায় মেশোমশায়ের অনুমতি ছাড়া সেটা ব্যবহার করা যেতো না। অন্য জনের বাড়িই ভরসা ছিলো বিটলস বা পল রবসন শোনার। তাও তো রেকর্ড পেতে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের পুরোনো রেকর্ডের দোকান ভরসা। সাধারন রেকর্ডের দোকানে ইংরাজি গান থাকতো না। তারা মান্না-হেমন্ত-শ্যামল-মানবেন্দ্র বা লাতা-আশা-কিশোর-মুকেশ-রফি ছাড়া আর যাদের চিনতেন তারা হিন্দুস্থানী ক্লাসিকাল।
    মহীনের ১৯৭৮ সালের রেকর্ড আমরা একটাই বিক্রি করতে পেরেছিলাম। নামী কোংপানি না বলে মেলডি রাখতে চায় নি। একই অভিজ্ঞতা রঞ্জন প্রসাদেরও।
    যারা তখন রেকর্ড কিনতেন, তারা সাধারনভাবে বছর ৪০শের আসেপাশে। যারা তখন ১৮ থেকে ২৫ তাদের ওসব কেনা কাটার রেস্ত ছিলো না।

    আজ একটু দোকানে ব্যাস্ততা। ২ তারিখের পর মহীনের অন্য কিছু গানের লিংক ও কথা দেবার চেষ্টা করছি। তার মধ্যে একটা UFO নিয়ে - অজানা উড়ন্ত বস্তু বা অ-উ-ব।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১২:৪৪569171
  • লসাগু একমত নই। ৮০র সুমন লোকে শোনেই নি। ধরুন গড়িয়াহাটার মোড় / মিনি মিনি বাস বাস। এতো ৮০র নাগরিকের প্রথম ক্যাসেটের গান। সেই গানই হিট ৯০এ, কারন গানটা ভালো। সেতো আগেও ভালো ছিলো। শোনেই নি লোকে, পৌঁছায় নি লোকের কাছে। আনন্দবাজার ম্যাটার করে। তারও আগে ম্যাটার করে গানটা ভালো কিনা। কিন্তু আনন্দবাজার ম্যাটার করে। কতো সিডি, ক্যাসেট বের হয় এইচএমভি থেকে কে খবর রাখে? কিভাবে খবর পাই ? ঐ আনন্দবাজার / মিডিয়া।

    পাড়ার জলসায় মান্না হেমন্ত সন্ধ্যা, শ্যামল ? না বোধয়। সারা কলকাতায়, তাও পূজোর পরে দুচারটে জায়গায় ওদের লাইভ শোনা যেতো। আর শোনা যেতো বিই বা যদুপুরের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে (তখনও ফেস্ট হয় নি)। বাকি জলসায় কন্ঠিরা ছিলেন। বাংলার মান্না, কসবার হেমন্ত, ভাবানীপুরের শ্যামল ইত্যাদি।
    এঁদের গান শুনতাম রেডিয়োতে। অনুরোধের আসর।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৪:৩৫569172
  • লসাগু।
    আপনি একটা পোস্টে লিখেছেন সুমন-নচি-বাংলা ব্যান্ডের এই জোয়ার না এলে মহীন অজানাই থেকে যেতো।
    একটু মনে করে দেখুন সুমন-নচি ৯০এ। ৯০ থেকে ৯৫ তিনটে বাংলা ব্যান্ডের নাম করুন। পাবেন না। তার মনে নেই তা নয়, তবে তারা তখনো প্রান্তিক। কোলাজ, চন্দ্রবিন্দু ও ক্যাকটাস। এছাড়া কোন ব্যান্ড তখন ছিলো না। চন্দ্রবিন্দু প্রাকাশিত হচ্ছে - আর জানি না ১৯৯৮। ক্যাকটাস - ১৯৯৯। কোলাজের একটা অ্যালবাম আছে সেটা বোধহয় ১৯৯৯এই। সুমন নচির আবির্ভাবের ৮/৯ বছর বাদে এসব হচ্ছে।
    কিন্তু কেন?
    ১৯৯৫এর বইমেলায়, আবার বছর কুড়ি পরে মহীন সম্পাদিত বাংলা গানের অ্যালবাম বেরুনোর পর বাংলা ব্যান্ডের "জোয়ার" আসে। মহীন জেনেছে মানুষ বছর কুড়ি পরে মহীন দিয়েই। আর বাংলা ব্যান্ড? সেতো মহীনের কুড়ি বছর পরেকার অবদান।
    সুমন বা নচি এর জন্য দায়ী নহেন।
  • ... | 69.160.210.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৪:৫১568806
  • '৯৫ এর বইমেলায় নহীনের বছর কুড়ি পরে বেরোলো কেন? আশা অডিও বের করল কেন?
  • siki | 96.98.43.85 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:১৫568807
  • আনন্দবাজার না। সুমনকে তুলেছিল আজকাল।
  • siki | 96.98.43.85 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:১৮568808
  • নব্বই পঁচানব্বই ব্র্যাকেটের মধ্যে উঠেছিল পরশপাথর। শুধু শহর কলকাতা বা শহরতলী নয়, গ্রামে মফস্‌সলেও বেশ বেজেছিল পরশপাথর।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:২১568809
  • আরে, আপনেরা কেউ একটা আর্থ প্রাযুক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না? আর পারবেনই বা কি করে। বয়সটা অল্প।

    শুনুন মশাইএরা। আমাদের আর্লি কৈশোরে যৈবনে যখন সবসে বেশী সংগীতমুখী হয় মানুষের মন, তখন রেডিও আর ঐ অল্পোকটা রেকর্ডিং কোং ছাড়া সংগীতের সম্প্রচার হতো না। ক্যাসেট টেপ তখনো আবিষ্কার হয় নি। বৈভবের উচ্চতম শিখরে কয়েকজনের বাড়ীতে রেকর্ড প্লেয়ার এসেছে। সারা পাড়া ঝেঁটিয়ে যেতো সেই বাড়ীতে গান শুনতে। স্টিরিও তো স্বপ্নমাত্র।

    সস্তার প্লেয়ার আর ক্যাসেট, প্রচুর দোকান ,ছোটোখাটো গানের কোং এইসব আসতে আসতে প্রায় ৯০ ছুঁই ছুঁই।

    বহু গ্রুপ,ব্যান্ড- ভালো হোক খারাপ হোক, নিজেদেরকে ছড়িয়ে দিতে পারে নি সেই সময়ে। লোকে ফিস ফাস নাম শুনেছে, গান শোনে নি।কেনো অমুক বা তুসুক তখন ফ্যাল করলো সেটার সংগীত ছাড়াও আরো কারন আছে। বুঝলেন তো ?
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:৩০568810
  • আর ঐ অমুক বা তুসুক কাগোজে ব্যাক করেছিলো তাই উনি বিখ্যাত হয়েছিলেন এটা মানি না। তাহলে জর্জদা কবে বিস্মৃতির অতলে চলে যেতেন। এটা সেই "মিডিয়ায় প্যাঁক দিলো, তাই তো জ্যানগ্যান আমাদের ছেড়ে চলে গ্যালো" টাইপের কথা।

    আমার সুমনকে যেমন মনে পরে - বোধয় ৯০ নাগাদ। হঠাৎ করে লোকের মুখে মুখে সুমনের নাম শুনি। "তোমাকে চাই"। কার কাছ থেকে জানি ক্যাসেটটা চেয়ে এনে শুনলাম। দারুন লাগলো। কিনলাম । খুব শুনতাম। এখনো শুনি। বোধয় সবকটা ক্যাসেটই আছে আমার কাছে। কোনো খবরের কাগজে লিখেছিলো তাই আপামর শহর উত্তাল হয়ে গেছিলো এমনটা মনে পরে না।

    কিন্তু তখনো সুমন শুনে ভ্যাঁ করে কাঁদি নি, নিত্যানন্দ আমায় ধরো ধরো বলে ঘন ঘন মুর্ছা যাই নি। এটাও ফ্যাক্ট।
  • siki | 96.98.43.85 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:৩৬568811
  • না না, কাগজে বিখ্যাত করেছিল তা বলি নি। তবে সুমনের জন্য লেখালিখির ব্যাপারে আনন্দবাজারের চেয়ে আজকালের বেশি অবদান ছিল, এইটুকুই আর কি।
  • | 132.248.183.1 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:৪১568812
  • কল্লোল দা আমি। অব্শ্য অখন আমার মাত্র ২ বছর বয়েস ছিল। তো কী হয়েছে?
  • | 132.248.183.11 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:৪৩568813
  • আর কল্লোল দা পাগল হয়ে গেছিল বলে ওটাকে ভালো বলতে ই হবে এই যুক্তি ট কেমন যেন লাগছে।
    ডিঃ ক্লেঃ এক দম নিজের মত।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৫:৫০568814
  • অনেকদিন ধরেই কথা হতো মনিদার (গৌতম চট্টোপাধ্যায়) সাথে, সে প্রায় ১৯৮৩/৮৪ থেকে, মহীনের তিনটে অ্যালবাম আবার প্রকাশ করা হোক ক্যাসেটে। ডিস্কগুলোতো প্রায় কেউই শোনেনি, কারন তখন আম জনতার কাছে গ্রামাফোন ছিলো না। এখন তো টেপরেকর্ডার রয়েছে ঘরে ঘরে। এই আর কি।
    ওদিকে মনিদা আর বাপি তখন ফিল্ম নিয়ে মশগুল। সবে নাগমতী (মনিদার প্রথম ফিচার ফিল্ম) রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছে। তাই গানটানে আর মন নাই। তখন পরের ফিচার লক্ষীছাড়ার চিত্রনাট্য লেখা চলছে। তার গান বাঁধা হচ্ছে।
    সে ফিল্ম হবে কি হবে না করতে করতে বছর তিনেক গেলো। গান রেকর্ড হলো, কিন্তু প্রডিউসার পাওয়া গেলো না। তখন আবার গান নিয়ে ভাবা হচ্ছে। যে গানগুলো রেকর্ড হলো তার কি হবে। তার মধ্যে পড়াশোনায় জলাঞ্জলি, সামনে ফাঁড়া লক্ষীছাড়া পেছনে পুলিশ এসব গান ছিলো।
    তা, এইসব করতে করতে ১৯৯৫। তখন ঠিক হলো পুরোনো রেকর্ডিং নয়, নতুন ভাবে করা হবে। কে গাইবে? অনেকেই মনিদার কাছে আসতো, তাদের গান শোনাতে, তার থেকে যারা মহীনের সাঙ্গীতিক চিন্তায় ফিট করে তাদের নেওয়া হলো। পরে তারা অনেকেই বিখ্যাত। এখন কার লক্ষীছাড়া ব্যান্ড তখন তৈরী হলো, গাবু (মনিদার ছেলে), পরমব্রত (সতীনাথ-সুনেত্রার ছেলে), বুলার মেয়ে (নামটা ভুলে গেছি) আর সায়ক। ঐ অ্যালবামে গান গায় সুরজিৎ, এখন ভুমিতে। অন্তরা চৌধুরী, পরমা, ঋতিকা এরকম আরও অনেকে। প্রচ্ছদ করে হিরণদা (মিত্র) আর মনিদা মিলে। কিছু মহীনের আগেকার ও পরেকার গান, আর কিছু যারা গেয়েছে তাদের গান নিয়ে আবার বছর কুড়ি পরে (১৯৭৫-এ মহীনের প্রথম অ্যালবাম - সংবিগ্ন পাখীকূল ও কলকাতা বিষয়ক)।
    ক্যাসেটটির প্রযোজক এ মুখার্জি বইয়ের পাব্লিশার। মার্কেটিং করেছিলো আশা অডিও। পরে আশা স্বত্ব কিনে নেয়। পরের অ্যালবামগুলো, ঝরা সময়ের গান, মায়া, ক্ষ্যাপার গান, আশা থেকেই।
    বাংলা কাব্যগীতির ইতিহাসে প্রথম সম্পাদিত অ্যালবাম। এর পরেই বাংলা ব্যান্ডের উত্থান।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৬:০৫568815
  • ডিডি।
    তোমার মনে আছে কি না জানি না, আমার তো স্পস্ট মনে আছে। সুমনের প্রথম বড়ো একক অনুষ্ঠান, সম্ভবতঃ আশুতোষ সেন্টিনারী হলে। আনন্দবাজার ও আজকালে বিশাল বড়ো করে ছবি দিয়ে উচ্ছসিত প্রশংসা। সাধারনত আজকাল ও আনন্দবাজার একই লোকের রিভ্যু করতো না। সেই প্রথম। তবে, নিশিচতভাবেই সুমনের ঐ রিভ্যু পাবার যোগ্যতা ছিলো।
    কিন্তু সে তো প্রতুল মুখোপাধ্যায়েরও ছিলো আরও ১০ বছর আগে। উনি এরকম রিভ্যু পান নি। পেলে কি হতো কে জানে। ১০ বছর পর যখন লোকে প্রতুল শুনছে, তখন প্রতুলদার গলার মজা ৫০% চলেই গেছে।
    সুমন নামে একটা মানুষ গান গায়, সেটা লোকে জানলো তো কাগজ পড়েই। প্রতুল নামে একটা লোক গান গায় সেও লোকে জেনেছে কাগজ পড়েই, তবে ১৫ বছর বাদে - এই যা তফাৎ। অথচ সুমন নিজে তার আগে বহু অনুষ্ঠানে প্রতুলদার প্রশংসা করেছে, প্রতুলদার গানও গেয়েছে। গানওয়ালা গানটা প্রতুলদাকে উৎসর্গ করেছে। তাতে কিছুই এসে যায় না, যতক্ষন মিডিয়াতে নাম না আসছে।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৬:১৮568817
  • আর জর্জদা? কাগজে কি কম লেখালেখি হয়েছে ওনাকে নিয়ে? বিতর্কও তো একধরনের খবরে থাকা।
    লোকে কিন্তু ভুলে গেছে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রকে, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীকে, নরেন্দ্র মিত্রকে, গোবর্ধন আশকে। এঁরা প্রত্যেকেই অসাধারন শিল্পী। লোকে ভুলে গেছে কারন মিডিয়া মনে রাখেনি।
    এ বছর বোধহয় জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর জন্মশতবর্ষ, জর্জদারও। গত বছর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের শতবর্ষ ছিলো।
    জর্জদা আজও মিডিয়ায় আসেন। এঁরা আসেন না।
  • ... | 69.160.210.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৭:৩০568818
  • ""ক্যাসেটটির প্রযোজক এ মুখার্জি বইয়ের পাব্লিশার। মার্কেটিং করেছিলো আশা অডিও। পরে আশা স্বত্ব কিনে নেয়।""
    -প্রথম প্রযোজক তো ধরে নিলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাওয়া গেছিল। তারাই রেকর্ডিংএর যাবতীয় খরচা দেয়। আশা অডিও মার্কেটিং টা নিলো কেন? টাকা নিলো? এই স্ট্র্যাটজি প্রথম তিনখানি অ্যালবামে নেওয়া যায় নি কেন? ফাইনান্সারের অভাব? কোনো বড় রেকর্ড কোম্পানিকে দিয়ে মার্কেটিং করা যায় নি টাকার অভাবে?

    বছর কুড়ি পরে যত ভালো রেকর্ডিং হয়েছিল, প্রথম তিনটে তার দশ ভাগের এক ভাগ ও হয় নি। উচ্চমানের রেকর্ডিং স্টুডিও পাওয়া যায় নি বলে? পয়সার অভাবে?

    মানুষ যখন সুন্দর রেকর্ডিংয়ে ভালো মেলডি শুনে অভ্যস্ত, তখ্ন তারা ঠিকঠাক ডিস্ট্রিবিউশন না হওয়া, বাজে ভাবে রেকর্ড করা অ্যামেচার প্রচেষ্টার গান শুনে উদ্বেল হয়ে পড়বে বলে আশা করা হয়েছিল কেন?
  • রোকেয়া | 213.110.243.21 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:০২568819
  • অরণ্যদা, ক্রিকেট গানটার লিংক

    মহীনের যে অল্পকটা গান খুব খাজা লাগে, সেগুলো একটা :(
  • lcm | 79.236.167.128 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:০৩568820
  • সেকি, সত্তরে তো আমি হুলিয়ে গান শুনেছি, টেপ/ক্যাসেট ছিল না, শুধু রেডিও-তেই বেশীর ভাগ সময়ই বিভিন্ন ধরনে সঙ্গীত হত। আর পুজো-র মাইকে গুলোতেই তো লতা, সন্ধ্যা, হেমন্ত, মান্না.... পাড়ার সঙ্গীতানুষ্ঠান তো ছিলই, আর ইয়ে সেও তো কম হত না, হ্যাঁ সব জায়গায় নামী শিল্পী আসত না, কিন্তু অনামীরা নামীদের গান গাইত, তাই তো লোকে ভিড় করে শুনত। রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান অনেক হত।

    আর, গান যদি সত্যিই অসাধারণ হয়, অনেক মানুষের ভালো লাগার মতন জিনিস যদি গানে থাকে, সে গান চেপে রাখা যায় না, মিডিয়া লাগে না, লালন বা রামপ্রসাদের সময় মিডিয়া ছিল না, নিধুবাবুর সময়ও না।
  • lcm | 79.236.167.128 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:০৭568821
  • ক্রিকেটের গানটির কথা খুবই সাধারণ মানের, কিন্তু মিউজিক আমার মহীনের অন্য অনেক গানের থেকে বেটার লেগেছিল।
  • lcm | 79.236.167.128 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:২০568822
  • মিউজিক, মেলোডি, সুর, অ্যারেঞ্জমেন্ট -- সব ভুলে শুধু কথা, সুকন্ঠ এবং উপস্থাপনায় মুগ্দ্ধ হয়ে একদম নতুন বাংলা গান শুনছি - বার বার শুনছি - আমার এ জিনিস শুধুই সুমন-এর কিছু গানে হয়েছে।
  • aka | 178.26.203.155 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:২৬568823
  • সুমনের গান প্রথম শুনি এক বন্ধুর বাড়িতে ক্যাসেটে, তখন আমার এগারো ক্লাস। বন্ধুর জন্মদিনে তার এক কাকু দিয়েছে। প্রথম গান 'দশ ফুট বাই দশ ফুট'। কিন্তু বাসার আসল ঠিকানা দশ ফুট বাই দশ ফুট, ট্যাং ট্যাং ট্যাং ট্যাং, এক মুখ দাড়ি মুখ অনেক দিনের কালো ছোপ ছোপ আবারও ট্যাং ট্যাং ট্যাং। এরপরে পেটকাটি চাঁদিয়াল, মোমবাতি বগ্গা - আকাশে ঘুড়ির ঢাল ছেলেটাকে ডাকছে।

    আবাপ টাবাপ নয় ঐ ক্যাসেট পুরো পাগল করে দিয়েছিল। একেবারে নতুন গান, নতুন মডিউলেশন, নতুন মিউজিক, নতুন আমেজ। মুক্তির ঘুড়ি আমাদের খবর পাঠিয়েছিল।

    মুশকিল হল সুমন বড় তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গিয়েছিলেন।

    সুমন, নচিকেতা না এলে মহীনের গান কেউ শুনত কিনা সন্দেহ আছে।

    যদিও আর কিই বা দিতে পারি, টেলিফোন, বছর কুড়ি পরের অ্যালবামে, ডানদিকে রই, গঙ্গা, ইত্যাদি তো ভালো গান।
  • ন্যাড়া | 132.179.60.116 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৮568824
  • কোন গান বা গায়কের জনপ্রিয় হয়ে ওঠার অন্যতম শর্ত হচ্ছে তার শ্রোতাদের একটা মিনিমাম ক্রিটিকাল মাস থাকতে হবে। এখন এই একটা লাইন দেখুন -

    "রানওয়ে জুড়ে কেউ নেই, শুধু পড়ে আছে শূণ্যতা" - মোটামুটি সহজ ভাষা, কেউ কেউ বুঝতে পারে, ছবি দেখতে পায়। মহীন কিন্তু এটা লিখলেন না। লিখলেন -

    "রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ-নেই-শূণ্যতা" - অল্প অদল-বদল, "কেউ নেই" বাক্যবন্ধটিকে হাইফেনবদ্ধ করে শূণ্যতার বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হল । লাইনের মানে ছবি একই থাকল - ছবি হয়ত আরও স্পষ্ট হল - কিন্তু লাইনটি অনেক বেশি কবিতা হয়ে পড়ল । হয়ত বেশি শৈল্পিকও । কিন্তু হারাল অনেক মধ্যমানের শ্রোতাকে । যারা সংখ্যাগুরু ।

    বা পংক্তির শেষ লাইন - "বেদনা-বিধুর রাডারের অলসতা / কিঞ্চিত সুখী পাখীদের সংবেগ" ! আবার সেই কবিতা । কিন্তু কতজন মানুষ পাখীদের সংবেগ মানে জানবেন ? রাডারই বা কী, আর তার অলসতাই বা কী ? কবিতা ভালবাসা মানুষেরা আহা-বাহা করে উঠলেন, কিন্তু আমাদের মতন "অলির কথা শুনে বকুল হাসে"-শোনা মানুষরা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করবে এই পংক্তিকে গান হিসেবে । হয়ওনি কি তাই ?

    অন্যদিকে সুমন তাঁর সাংবাদিকের কলমে একেবারে দৈনন্দিন ভাষায় লিখলেন

    নিঝুম অন্ধকারে তোমাকে চাই
    রাত ভোর হলে আমি তোমাকে চাই
    সকালের কৈশোরে তোমাকে চাই
    সন্ধ্যের অবকাশে তোমাকে চাই ।

    আমরা, অলির-কথা-শোনারা কিন্তু কোথাও অ্যালিয়েনেটেড বোধ করলাম না । আর আমরা কোন নতুন গান গ্রহণ না করলে ক্রিটিকাল মাস তৈরি হয় না । সে গান প্রান্তিকই থেকে যায় ।
  • aka | 178.26.203.155 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১৯:৫৩568825
  • এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। সব্কিছুর পরেও গায়কী, কথায়, মিউজিকে একটা জিনিষ থাকে যাকে এক্স ফ্যাক্টর বলে। সুমনের মধ্যে বা নচিকেতার মধ্যেও এক্স ফ্যাক্টর বেশি। প্রথমবার শুনলেই মনে হয় নতুন কিছু শুনলাম, আবার ফিরে শুনতে ইচ্ছে হয়। মহীনদের একজন ভালো গায়ক থাকলে মনে হয় ব্যপারটা অন্যরকম হত। ভালো বলতে ঐ এক্সফ্যাক্টর ওয়ালা হিরো টাইপ ক্যারিশম্যাটিক কেউ। মহীনের গায়কি আমার ভালো লাগে না। এ সবই ব্যক্তিগত ভাবে যা মনে হয় তাই।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২০:৫০568826
  • ন্যাড়া। একদিকে আফসোশ, বাংলা গানের লিরিক বাংলা কবিতার মানের ধারে কাছে নেই। লোকে ক্রীতদাস ক্রীতদাসী পড়ছে, হেমন্তের পোস্টম্যান পড়ছে, কিন্তু গান শুনছে ও কেন এতো সুন্দরী হলো, অন্যদিকে গান কবিতা হচ্ছে বলে ক্রিটিকাল মাস হারাচ্ছে। মহীন বাজার নিয়ে ততো ভাবেনি, যত না ভেবেছে নিজেদের প্রকাশ করা নিয়ে। তাই ক্রিটিকাল মাস নিয়ে মহীনের মাথা ব্যাথা ছিলো না। অনেকের কাছে পৌঁছতে হবে, কিন্তু আমরা এরকমই। তাতে - থাকো ইচ্ছে হলে কিংবা কেটে যাও।
    এটা আকা একদম ঠিক বলেছে মহীনের তেমন গাইয়ে কেউ ছিলো না। বাপি, ভানু গাইতো ভালো কিন্তু সেই উচ্চ্তায় পৌঁছাতে পারেনি। মনিদার গলা ভালো ছিলো, কিন্তু মনিদা গান গেয়েছে খুব কম। বুলার একটা রোবসনীয় বাস গলা ছিলো, কিন্তু চর্চা ছিলো না। তার ওপর তখনকার যুগধর্ম মেনে সক্কলে পাক্কা গাঁজাখোর ও অন্যান্য নেশায় দড়। বাউল-ফকির সকলে হয় না।
    কিন্তু আমার যেটা বলার ছিলো, সেটা হলো ঃ
    স্থায়ী-অন্তরা-সঞ্চারী ভাঙ্গা, ধুতি-পাঞ্জাবী-পায়জামা-হারমোনিয়ামের সংষ্কার ভাঙ্গা, পরিবেশন নিয়ে ভাবা, মঞ্চ নিয়ে ভাবা, প্রচ্ছদ নিয়ে ভাবা, চাঁদ-ফুল-লতা-পাতার বাইরে বের হওয়া, অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে কাজ করা - এসবের শুরু মহীনে।
    আবারও আমি বিণীতভাবে মনে করিয়ে দেই সুমন-নচি ১৯৯০। ১৯৯৫ পর্যন্ত মহীন বা বংলা ব্যান্ড প্রান্তিক অবস্থানে। ১৯৯৫ - আবার বছর কুড়ি পরে মহীন। এ মহীন ডিজিটাল, এ মহীন, ক্যাসেট, এ মহীন পরিনত। এ মহীনই মহীন চেনায়, চেনায় তার জঁর।
  • dukhe | 127.194.232.0 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২০:৫৭568828
  • জাতিস্মরের লিরিক কি ক্রিটিকাল মাসের আওতায়? "তথাগত তাঁর নিঃসঙ্গতা দিলেন অস্তরাগে" কি বেশি কবিতা, না কম?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন