এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাংলা গান ও সুমন

    ন্যাড়া
    গান | ২৫ আগস্ট ২০১২ | ৮৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ন্যাড়া | 132.179.60.116 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২১:১৬568829
  • কল্লোলদা, আমি মহীন যা করতে চেয়েছিল তাকে খাটো করছি না । হয়তো মহীন বেশি লোকের কাছে পৌঁছতেই চায়নি । সেটা তাদের প্রেরোগেটিভ । আমি যেটা দেখানোর চেষ্টা করছি সেটা হল কী কী কারণে সুমন পূর্ববর্তীরা প্রান্তিক হয়ে রইলেন ।

    প্রত্যেক মাধ্যমের একটা নিজস্ব ভাষা থাকে । গানের ভাষা আর কবিতার ভাষা আলাদা । সেই জন্যে সব কবিতায় সুর করা যায় না । নইলে বাংলা কবিতার যা কর্পাস, তাতে গানের কথার জন্যে কখনই হাপিত্যেশ করে মরতে হত না ।

    তো প্রশ্ন হচ্ছে, মহীন কী কবিতার ভাষা থেকে গানের ভাষা হয়ে উঠতে পেরেছিল ? ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীর প্রসঙ্গ এসেছিল এই বলতে যে বাংলা গানে ভাষার দিক দিয়ে, বিষয়ের দিক দিয়ে সমকালীনতার অভাব ছিল, কাব্যগন্ধের অভাব কোনদিনই হয়নি । সেই গন্ধের মানের রকমফের নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু সমকালীনতা ছিল না ।

    কবিতার ভাষারও তো রকমফের আছে । সুধীন দত্তর কবিতার ভাষা বা বিষ্ঞু দে-র কবিতায় গ্রীক মিথোলজির রেফারেন্সের বেড়া ভেঙে কৃত্তিবাসের অনেকে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে কবিতায় ধরতে চাইলেন ষাটের দশকে । সেটা মহীন আসার অনেক আগে । সেই হিসেবে মহীনের গানে ভাষার বেড়া অনেক উঁচু হয়ে গেল ।

    সুমন তার গদ্যে সেই সমকালীনতার অভাবটাকেই বার বার নির্দেশ করেছেন । আর তিনি তার গানে সেটা ধরার চেষ্টা করেছেন । সুমনের আগে ঘোষিতভাবে এই চেষ্টা আগে কেউ করেছেন বলে আমার জান নেই, অঘোষিতভাবে কেউ করতে চেয়েছেন এরকম আমার শোনা নেই ।
  • ন্যাড়া | 132.179.60.116 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২১:২১568830
  • "জাতিস্মর" বা "ক্যাকটাস তুমি কেঁদো না"-য় ভাষার বেড়া উঁচু। এবং অ্যানেকডোটালি বলতে পারি এ গানগুলো সুমনের অন্য অনেক গানের থেকে কম চলতি কারণ এরা ক্রিটিকাল মাস ছুঁতে পারে নি।

    এ প্রসঙ্গে আর একটা ব্যাপার একজন শিল্পী যখন ঐ ক্রিটিকাল মাস ছুঁয়ে ফেলেন, তখন ধীরে ধীরে বেড়া তুললেও শ্রোতারা চট করে প্রত্যাখ্যান করেন না।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২১:২৩568831
  • শুধু কথা বা সুর বা উপস্থাপনা নয়, সুমনকে জনপ্রিয়তা দিয়েছিল সুমনের গানের রাজনীতিও। খুব সচেতনভাবে গানের রাজনীতি ব্যবহার করলাম, ব্যক্তি সুমনের রাজনীতি থেকে আলাদা করার জন্য। গণনাট্য ইত্যাদি প্রায় ফুরিয়ে আসার পরে সুমনের গান নব্বইয়ের যুবকদের পছন্দসই একটা রাজনৈতিক কন্ঠ দিয়েছিল। নব্বইয়ের দশক মানে বামফ্রন্ট জাঁকিয়ে বসছে এবং সোভিয়েতের পতন, বিজেপির উত্থান এবং লিবারালাইজেশনের শুরু। বামপন্থাও চাই আবার এতদিনে থিতু হয়ে বসা বামপন্থার মডেলটাও পছন্দ নয়। দিনবদলের স্বপ্ন ইত্যাদি একেবারে মুছে গেছে তা না হলেও পার্টিগত শেকলের নিগড়ে বাঁধা না থেকে সেটা কিছুটা ব্যক্তিগত হলেই যেন ভালো হয়।

    সুমনের গান এই ব্যক্তিগত বামপন্থাকে পপুলার ফর্ম দিল। প্রথম অ্যালবামের আশি শতাংশ গানই বিভিন্নভাবে এক একটা পোলিটিকাল স্টেটমেন্ট করছে। যে পোলিটিকাল স্টেটমেন্ট তুখোড়ভাবে বামপন্থী, আবার একান্তভাবে ব্যক্তিগত। সলিলের বামপন্থার সঙ্গে সুমনের বামপন্থার এখানে এক বড়ো তফাৎ হয়ে যচ্ছে। সলিল যেখানে "ডাকেন", সুমন সেখানে "চান"। গান লেখার পরিবেশও পালটে গেছে। সলিল মাঠেঘাটে কাজ করতে করতে লিখছেন। সুমন সেখানে একক। যুথবদ্ধ প্রয়াসে সুমন কখনই সেরকম আস্থা দেখান নি। সলিল বারবার বলেন "আমাদের", "মোদের", "আমরা", সুমন বলেন "আমি", "আমার", "আমাকে"। "পথে এবার নামো সাথীর" রাজনীতির শেষ প্রতিভূ প্রতুল মুখোপাধ্যায়। সুমন পরবর্তীকালে কোটেশ্বর রাওকে নিয়ে গান বাঁধলেও সুমন প্রাথমিক জনপ্রিয়তা পান বামপন্থা ও ব্যক্তির এক অনাস্বাদিত যুগলবন্দীতে- যা নব্বই দশকের যুবকদের প্রয়োজন ছিল।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২১:৪৪568832
  • যে ঘরানারই হোক, সুমন গানের মধ্যে খুব স্পষ্টভাবে একটা রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট রাখছেন। প্রতিতুলনায় মহীনের রাজনৈতিকতা হয় অস্পষ্ট, নয় তো শূন্য। বস্তুত" "ভালোবাসি" গানটায় যেটুকু রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট করা হয়েছে সেটা প্রায় রাবীন্দ্রিক- ভাসা-ভাসা মধ্যবিত্ত উইশ-ফুলফিলমেন্টের প্রোটোটাইপ- যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে / শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে / তখন ভালো লাগে না লাগে না কোন কিছু / সেদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সব কিছু। নকশাল আন্দোলনের আঁচে সেঁকা লোকজনের থেকে বাংলা গান আরও রাজনৈতিক পরিপক্বতার দাবী করেছিল। শুধু সমাজবদলের রাজনীতি নয়, প্রাত্যহিক জীবনের গ্লানিরও যে রাজনীতি আছে, যাকে সুমনের "দশ ফুট বাই দশ ফুট' বা 'পেটকাটি চাঁদিয়াল" স্পর্শ করার চেষ্টা করল, সেই নাগরিক বারোমাস্যাও মহীনের গানে সেভাবে এল না- পঁচানব্বইয়ের আগে বা পরে। সেই ট্র্যাডিশনের অনুবর্তী বাংলা ব্যান্ডও তাই মূলতঃ নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া না নেওয়া নিতে পারা বা না নিতে পারার যাবতীয় সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত রইল।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:১৯568834
  • বলরামবাবুর এই দ্যাখাটা দারুন। মহীনের ভাসাভাসা রাজনীতি।
    একদম পাক্কা ঠিক।
    কিন্তু আমার কৈফিয়ৎ। হ্যাঁ, এটা কৈফিয়ৎ।
    আমরা - ও নকশাল নকশাল নকশালবাড়ির মা / তোর বুকত রকত ঝরে / তোর রকতে রাঙ্গা নিশান লইয়া / বাংলা চাষী জয়ধ্বনি করে থেকে - কমরেড লেনিনের আহ্বান / জাগে মুক্তি সেনা দল - থেকে দাবানল জ্বলুক দাবানল - গেয়ে গেয়ে ক্লান্ত তখন। সব স্বপ্ন মুছে গেছে। পরাজয়ের অন্ধকার গলিতে বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে পথ খুঁজছি, কাঁধে বন্ধুদের লাশ, পায়ের তলায় বন্ধুদের চাপ বাঁধা রক্ত। ঐ গানগুলো তখন আমাদের বুকে অবিশ্বাসী পাথরের মতো চেপে আছে। ভুলতেও পারিনা, গাইতেও পারিনা। ঐ উচ্চকিত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসছি। নতুন করে শুরু করা আবার শূণ্য থেকে। তখনও মন ভাষা খুঁজছে, হাত পাতছে পশ্চিমে, হাত পাতছে ঘরের মাটিতে।

    ভাষা খুঁজছে মহীন।

    কথা দিয়া বন্ধু ফির‌্যা না আইলা / এ কেমন কথা / হায় একি দশা / কাইন্দা হইলাম আকুল / শুকায় যে মালার ফুল / সঙ্গে শুকাইলো মোর প্রাণডা আর মনডা / করি সব কাজে ভীষণ ভুল / হায় হায় / সব হারাইয়া কান্দি গো / আশার ছলনায় ভুল্যা গিয়া আজ পথে বসিলাম গো /
    কবে তুমি ফির‌্যা আসিবা বন্ধু / রইলাম তার আসায় / হায় এ দুরাশা / বুকে বাজে ভীষণ ব্যাথা / প্রাণে জাগে তারই কথা / প্রাণের কথা বুকের ব্যাথা হইয়া / আমার মনে জাগায় যে হতাশা / হায় হায় / সব হারাইয়া কান্দি গো / আশার ছলনায় ভুল্যা গিয়া আজ পথে বসিলাম গো

    এটা একটা রাজনৈতিক গান। ৭৬-৭৭এর রাজনৈতিক গান। পরাজয়ের গ্লানির গান। বিপ্লবের প্রতি অভিমানের গান।
  • aka | 178.26.203.155 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:২৪568835
  • বোঝো!!!! আমি তো ভেবেছিলাম এটা হাফসোল গান। নাঃ এই গানের সুর থেকে গানের জঁর বোঝা যায় নি।
  • lcm | 202.12.84.160 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৩৬568836
  • এটা রাজনৈতিক গান! সমকালীন গান!
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৩৭568837
  • কৈফিয়তের ঠেলায় সুরটা নিয়ে বলতে ভুলে গেছি।
    বাংলা লোকসুর, কিন্তু কোন বিশেষ অঞ্চলের নয়। সেটা কেমনে হয়? হয়, যদি সুরটার চলন একটু বিটলস ঘেঁষা করে দেওয়া যায়। Helpএর Help, I need helpএর পরের পংক্তিটির সুরের চলন ভাবুন।
    এরপর - হায় একি দশা বা হায় এ দুরাশা হার্মোনাইজ করা। আবার হায় হায় / সব হারাইয়া কান্দি গো......... পথে বসিলাম গো - আবার হার্মোনাইজ করা। ব্যাথার জায়গায় হাত পড়লে যে রিনরিনে ব্যাথা ছড়িয়ে যায় - এই হার্মোনি যেন সেই কাজটাই করে যায়।
  • Rit | 213.110.243.21 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৩৯568839
  • আমার জন্ম মহীনের গানের পরে। আমি মহীন শুনলাম ২০০০ এ এসে। সুমন যেমন নাড়া দিয়েছিল মহীন কিন্তু দিল না। হয়ত সময় টা বুঝতে পারিনি।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৪০568841
  • হ্যাঁ লসাগু। বিপ্লব আমাদের বন্ধু ছিলো বলে ভাবতাম। একদিন সে আসবে, আসবেই, বড় বিশ্বাস ছিলো। জেল থেকে বেরিয়ে....................
    জেনেছিলাম, সে কথা রাখে নি।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৪০568840
  • ধরা যাক "রোদনভরা এ বসন্ত"। সন্‌জীদা খাতুনের লেখায় পাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদ স্মরণে এই গানটি এক ধরনের অনিবার্যতা পেয়েছিল। অথবা আরও পুরোনো যুগের "অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া" যা বিপ্লবীদের অতিপ্রিয় বিপ্লবী গান হয়ে উঠেছিল। খুবই সম্ভব যে "কথা দিয়া বন্ধু ফিরা না আইলা"কে খানিকটা সেইভাবেই অনেকে ভাবতেন। কিন্তু সেটা তাৎক্ষণিক ইন্টারপ্রিটেশন। ইতিহাস 'রোদনভরা এ বসন্ত"কে "চিত্রাঙ্গদার' প্রেমের গান বলেই জানে, "অমল ধবল পালে" শরতের গান এবং "কথা দিয়া বন্ধু ফিরা না আইলা" বাংলা বিরহগীতির বিশ শতকীয় সংস্করন হিসেবে। অন্তর্লীন ব্যক্তিগত ব্যাখ্যাকে বহমান সময় সেভাবে পাত্তা দেয় না।

    সুমন সেখানে প্রথম থেকে সরাসরি নিজের রাজনৈতিক টেক্সটের কাঠামো তৈরি করে নিচ্ছেন। সবথেকে বড়ো কথা নিজের গনে সরাসরি ইতিহাসের দায় বহন করছেন, "সময়ের" কথা বলছেন- এই সময়ের কথা না, সময়ের কথা। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যেমন বলেছেন যে সুমনের গান শুনলে মনে হয় যে সুমন সময়ের নাড়ি টিপে বসে রয়েছেন। এই গুণটা ভালো কথা ভালো সুর ভালো প্রিলিউড ইন্টারইউডের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করার আসল এক্স-ফ্যাক্টর। সলিল পারতেন, সুমন পেরেছেন।
  • ন্যাড়া | 132.179.60.116 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৪৪568842
  • আমাদের আলোচনায় সুর এখনও আসেইনি। ওটা ছাড়া গানের আলোচনার কোন মানেই হয়না। কল্লোলদা, সুরগুলোর একটু অ্যানালিসিস দাও।

    কথা দিয়া বন্ধু-তে আমার মূল আপত্তি যে এটা সম্পূর্ণ একটা আরোপিত ভাষা। মহীনের কেউ এ ভাষায় কথা বলে না। মহীনের শ্রোতাদেরও কত অংশ এ ভাষায় কথা বলে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এর সঙ্গে "এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়"-এর তফাৎ কোথায়? দুটোই আরোপিত ভাষায় গাওয়া।
  • lcm | 202.12.84.160 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৫০568843
  • না, না, আপনার দিক থেকে তো ঠিক আছে। আপনি তো স্রষ্টার দিক থেকে ভাবছেন, কিন্তু আমশ্রোতার আসনে নিজেকে বসিয়ে ভাবুন, কোনো পরিপ্রেক্ষিত বা ভূমিকা ছাড়া এ গান ... আকা যেরকম বলেছে।
    আর যা বলতে চাই সেটা বলরাম লিখে দিয়েছে।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:১০568844
  • হ্যাঁ এটা আরোপিত কথা ও সুর। মহীনের শ্রোতারা এ ভাষায় কথা বলে না, কিন্তু মহীনের গানের ঠেক বসলে এটি ও দরিয়া একাধিকবার গাওয়া হয়ে থাকে। সেটা হয়তো সুরের মজা, হার্মোনির মজা পেতে। কিন্তু শুধু তা নয়।
    কিন্তু ৭৫-৭৬এ যখন বিপ্লব নিয়ে হাহুতাশ করাও যেতো না, তখন মনের কথা বলার রাস্তা কোই? বিপ্লবের প্রতি অভিমানকে হাফসোলি রূপ দেওয়া তাই। এরকম লোক কথা আঙ্গিক এসেছে দরিয়া বা টেলিফোনেও। কিন্তু সেখানে চাপ নেই কোন কিছু লুকানোর, তাই অনেক বুদ্ধিদীপ্ত। আবার মজা করে লুকানো গান কাপে কাপে / আমার হিয়া কাঁপে। শুনতে শুনতে মনে হয় নারীর জন্য। শেষ লাইনে গান বলে এক কাপ কফির জন্য। চাপ নেই, তাই বুদ্ধিদীপ্ত।
    কথা দিয়ায় বুদ্ধি নয়, অভিমান আর আসল কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা কাজ করেছে। তাই।
    সুরটা নিয়ে একটু আগেই লিখেছি 10:37 PM পোস্টে। কিভাবে হার্মোনি দিয়ে টাটাকা ব্যাথার জায়গায় হাত রাখার রিনরিনে করে ওঠা কষ্টের সাঙ্গীতিক রূপ দেওয়া যায়।
  • generic letter | 219.195.144.82 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:২৬568845
  • কল্লোলদার একটা কথা আন্ডারলাইন করছি। মহীনের অনেক গানেই ভোক্যাল উইক। সেটা মধ্যসত্তরে যেমন সত্যি, মধ্যনব্বইতে একটু অন্যভাবে সত্যি। অনেকে গাইলেন মহীন - কেউ কেউ ভাল গাইলেন, কেউ কেউ তেমন না। কিছু গান তাই যতটা মানুষকে ছুঁতে পারত, ততটা পারল না (উদাঃ তাকে যত তাড়াই দূরে দূরে) - অবশ্যই এখানে আমি "মহীন সম্পাদিত" গান একসাথে ক্লাব করছি। মোরোভার, যদি একজন কারো ভয়েস থাকে তাহলে ক্যারেক্টার তৈরি হয় তার গায়কী দিয়ে (ভাবুন শিলাজিত, নচি ইত্যাদি) - এক্ষেত্রে সেটাও হতে পারল না। আবেদনটা তাই আরো খানিকটা সীমাবদ্ধ হয়ে রইল।
  • aka | 178.26.203.155 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৫৩568846
  • আরও একটা জিনিষ মনে হয় গানের ক্ষেত্রে তাহল কোনরকম ভাবে একটা ইউনিক সাউণ্ড এফেক্ট তৈরি না হলে তাদের পক্ষে লোকের মনে দাগ কাটা মুশকিল। সেই সাউণ্ড এফেক্ট সুর দিয়ে হতে পারে, গলা দিয়ে হতে পারে, যন্ত্র দিয়ে হতে পারে। লোকে যা এক্সপেক্ট করছে তার বাইরে নতুন কিছু দেওয়া। সেই সাউণ্ড এফেক্ট যা শুনেই মনে হবে আরে দারুণ তো, আরেকবার শুনি।

    কবিতা কৃষ্ণমূর্তি লতার আগে জন্মালে হয়ত উনিই লিজেন্ড হতেন লতা নয়। আশা তখনই আশা হয় যখন সে গীতা দত্তকে অনুসরণ করা ছাড়ে।

    সুমনের গানের সাউন্ড এফেক্ট একেবারে নতুন। শুনলেই বোঝা যায় সুমনের গান। তারপরে লোকে শোনে, কথা বোঝার চেষ্টা করে। সুমনের গান মফস্বলে খুব বেশি পপুলার কোনদিনও ছিল না। আমাদের এলাকায় আমি বাদ দিলে আর দু একজন সুমন শুনত। তাও তাদের ভালো লাগার গান ছিল 'তোমাকে চাই' আর দুই 'গড়িয়াহাটার মোড়'। যেগুলো একটু মেলডিয়াস। কিন্তু সুমনের গান একধরণের শ্রোতা তৈরি করেছিল যারা একটু অন্যরকম গান শুনতে চাইছিল কিন্তু একইসাথে সেই গান যেন 'আঁতেল' টাইপ না হয়। নচিকেতার গান শুনতে শুরু করেছিল তারাই।

    মহীনের গান শুনে আমার কখনওই মনে হয় নি আরে দারুণ তো, আর একবার শুনি। সুমন না হলে এমনকি নচিকেতাও অমন পপুলার হত কিনা আমার সন্দেহ আছে। বাংলা গানে 'জীবনমুখী' গানের শ্রোতা তৈরি করেছিলেন সুমন।
  • প্পন | 122.133.206.23 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৪:১০568847
  • পঃবঙ্গে বাংলা ব্যান্ড উত্থানের পেছনে শুধু মহীনের কথা বলছ কল্লোলদা, বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীত কিন্তু অনেকদিন ধরেই মূলধারার শ্রোতাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। পঁচানব্বইতে মহীন শোনার আগেই যদুপুরে সংস্কৃতির আসরে শুনে ফেলেছি এলার্বি, মাইলস, ফিডব্যাক। আমার তো মনে হয় মহীনের সাথে সাথে চন্দ্রবিন্দু বা পরশপাথরের চন্দ্রবিন্দু ও পরশপাথর হয়ে ওঠার পেছনে এদের প্রভাব ছিল অপরিসীম।

    ভুললে চলবে না বাংলাদেশে ওই সত্তরেই আজম খান কিংবদন্তীসম হয়ে উঠেছিলেন। মহীন সেই পর্যায়ে যেতে পারল আর কই, বড় জোর ফোকলোর হয়ে থেকে গেল নাগরিক শ্রোতার একটি অংশে। পঃবঙ্গের সাংগীতিক ইতিহাসে আজম খানের সঙ্গে যদি কারো তুলনা করা যায় (প্রভাবের বিচারে) সে হল সুমন এবং একমাত্র সুমন।

    (কেউ যদি এলার্বি, মাইলস, সোলস বা ফিডব্যাক শোনেননি (মনে হয় সংখ্যাটা খুব কমই হবে) তাঁরা নেটে একটু খুঁজলে পেয়ে যাবেন। সহজলভ্য বলে লিং দিলাম না)
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২০568848
  • পঃবঃএ বাংলা ব্যান্ড ১৯৯০এর আগেও ছিলো। মহীন, নগর ফিলোমেল, Q, কোলাজ, চন্দ্রবিন্দু, ক্যাকটাস, পরশপাথর। এছাড়া ঐ জঁরে একা গাইতেন রঞ্জনপ্রসাদ, শমী ব্যানার্জি। এরা ছিলেনই। কিন্তু এদের অবস্থান ছিলো প্রান্তিক। জোয়ার আসে ১৯৯৫এ মহীনের আবার বছর কুড়ি পরে - জনপ্রিয় হবার পর।
    বাংলাদেশী ব্যান্ডের প্রভাব ছিলো, তবে তেমন জোরদার নয় যা একটা আন্দোলন হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।

    আমার দাবী ৭০এর মহীনের জনপ্রিয়তা নিয়ে নয়। বাংলা কাব্যগীতিতে তাদের অবদান নিয়ে। প্রথম অনেক কিছু শুরু করা নিয়ে।
  • pinaki | 132.164.233.158 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৪568850
  • পরশপাথর প্রথম ক্যাসেট '৯৫ (বা '৯৬, ঠিক মনে পড়ছে না)। তার আগে অনিন্দ্যদা একা এবং অয়ন আসার পরে দুজনে মিলে একসাথে গ্রুপ করে ফেস্ট টেস্ট এ গাইতো। কিন্তু '৯০ এর আগে নয়।

    প্পনকে ক। চন্দ্রবিন্দু, নগর ফিলোমেল, ক্যাকটাস - এসবই ছিল। কিন্তু এদের গান যে ব্যাপক হারে লোকে শুনতে শুরু করল, তার পিছনে সময়ের একটা চাহিদা তো ছিলই। এছাড়াও ছিল দুটো ঘটনা। ১) সুমন (প্রথম) এবং নচির (দ্বিতীয়) আবির্ভাব, ২) যাদবপুরের ফেস্টে '৯৪ তে বাংলাদেশের ব্যান্ড ফীডব্যাকের বিপুল সাফল্য।
    এরপর মহীনকেও দ্বিতীয় দফায় এতটা জনপ্রিয় করার পিছনে যাদবপুরের '৯৫ এর ফেস্টের মহীনের প্রোগ্রাম। তবে তদ্দিনে লোকের অন্যরকম বাংলা গান শোনার কান তৈরী হয়ে গেছে। মনে আছে '৯৫ এর প্রোগ্রামেও প্রচুর লোক ওএটি তে নাচতে না পেরে (মানে মহীনের গান তো ঠিক ঝিন্কু নাচার নয়, আর তার ওপর ঐ দিন মহীনের ঠিক আগেই প্রোগ্রাম করে গেছে ক্যাকটাস, আর তারা পাব্লিককে নাচিয়ে গেছে) মহীনের প্রোগ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। গৌতমদা বলেন যারা শুনতে চাইছোনা তারা ফেটে যাও। শেষ অব্দি ছিল শ দুয়েক লোক। কিন্তু যারা ছিল তারা একটা অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে ফেরে। আর তারপর তারাই হস্টেলে, বাড়ীতে পাগলের মত মহীন শুনতে ও শোনাতে থাকে।

    ইতিহাস নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে - এগুলোও থাক। ঃ-)
  • pinaki | 132.164.233.158 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:২৪568851
  • মহীন অনবদ্য - সে নিয়ে সন্দেহ নেই। বাংলা ব্যান্ডের কনসেপ্ট সত্তরে তারাই এনেছে - সে নিয়েও সন্দেহ নেই। নতুন ধরণের লিরিক, সুর নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার ধক তারাই প্রথম দেখিয়েছে সত্তরে - সে ব্যাপারেও একমত। কিন্তু কথা যদি হয় '৯৫ উত্তর সময়ে বাংলাব্যান্ড কেন জনপ্রিয় হল - সেখানে মহীন চালিকাশক্তি নয়। বরং একটা অন্য হাওয়ায় ভর করে মহীনের পুনর্জন্ম। সেই অন্য হাওয়াকে কে তৈরী করল? আমার উত্তর - ১) মূলতঃ সময়, সময়ের দাবীটাই মূল চালিকাশক্তি ২) সুমন চট্টো।
  • শিবাংশু | 127.201.161.97 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৪:৫৭568852
  • টইটা অনবদ্য। এতোদিন দেখা হয়নি। যাঁরা লিখছেন, আমার ধারণার সঙ্গে মিলুক না মিলুক, যাই হোক না কেন, কেউই তাঁদের পর্যবেক্ষণে ফাঁকি দেননি।

    এই মূহুর্তে শুধু পড়তেই ভালো লাগছে। আসলে ন্যাড়ার ধারণার সঙ্গে নিজের অবস্থান এতো বেশি সদৃশ যে মনে হচ্ছে আমার কথাই তিনি লিখছেন। 'মহীন' নিয়ে কল্লোলদার অবস্থান আমি জানি। আমিও যথাসাধ্য 'মহীন' শুনেছি। একটা ধারার পথিকৃৎ হিসেবে অবশ্যস্বীকার্য, কিন্তু সংখ্যাগুরুর কাছে ঠিক পৌঁছোতে পারেননি বা চাননি। এ বিষয়েও ন্যাড়ার সঙ্গে আমি একমত।

    দুটো বিষয়, একটা ঈশান কথিত 'ছেদপর্ব', এখনও একমত না হলেও ভাবছি আর কেসিকথিত সুরারোপের ব্যাপারটা। ন্যাড়া এই সুরযোজনা নিয়ে লিখবেন বলেছেন। তার অপেক্ষা রইলো। কারণ এ নিয়েও বিস্তর লেখার আছে।
  • siki | 96.98.43.85 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:২২568853
  • জমে গেছে!
  • kd | 69.93.221.131 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:০৪568854
  • মাইরি, মনে হচ্ছে এইগুলোকে কয়েকঘন্টার জন্যে একটা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ালে মাছি হয়ে থাকি (সঙ্গে সুমেরু রেকর্ডার নিয়ে)।

    ভাবতে পারো, ২০১৩ বইমেলায় প্রথম অডিও চটি - ২০১২ বইমেলায় "কারাগার"এর রেকর্ড ভেঙে চুরমার। ঃ)
  • dukhe | 127.194.248.191 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩৩568855
  • পেটকাটি চাঁদিয়াল আবার নতুন কী ?

    এ কিশোর পারবে কি এই বোঝা টানতে / ঐ বাবু কোনদিন চাইবে কি জানতে?

    এর পাশে এই লিরিক রাখুন -

    কত চিঠি লেখে লোকে
    কত সুখে প্রেমে আবেগে স্মৃতিতে কত দুঃখে ও শোকে
    এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ শহরে ও গ্রামে
    এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে ।

    (বয়স হচ্ছে, দুটোতেই কিছু ভুল হতে পারে)

    দুটোতেই ঐ যাকে বলে একইরকম রাজনীতি । পরের গানটি প্রথমটির চেয়ে অনাগরিক, কিন্তু অনাধুনিক কি ?
  • | 127.194.99.1 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩৪568856
  • সবাই গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়েছেন। আমি শুধু শুনবো আর শিখবো।
  • ন্যাড়া | 132.179.94.216 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৪৫568857
  • এটা আমি লিখতে যাচ্ছিলাম, 'পেটকাটি চাঁদিয়াল'-এ রানারের ঋণ আছে।

    যে ছেলেটা প্রাণপণে রিক্সা চালাচ্ছে,
    মুক্তির ঘুড়ি তাকে খবর পাঠাচ্ছে।।

    এই পংক্তিতে, আমি অন্ততঃ,

    দরদে তারার চোখ কাঁপে মিটিমিটি
    একে যে ভোরের আকাশ পাঠাবে সহানুভূতির চিঠি।

    এই লাইনদুটোর স্পষ্ট প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।
  • Rit | 213.110.243.21 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৪৯568858
  • সুমন নিজে তো বলেছেন পেটকাটি চাঁদিয়ালের সুর টা শচীন দেববর্মনের 'হায় কি করি গো বল মন নিয়া' র সুর থেকে নেওয়া।

    উনি তো নিজেকে আজকাল ব্লটিং পেপার বলে দাবী করছেন।
  • dukhe | 127.194.249.42 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:০৭568859
  • ন্যাড়াস্যারকে ক।
  • aka | 85.76.118.96 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:১৩568861
  • রানার যেভাবে আপামোর জনসাধারণের কানে পৌঁছেছে পেটকাটি চাঁদিয়াল পারে নি। সুরটা বোধহয় একটু শক্ত টাইপ? ফলো করতে অসুবিধা হয়। নাকি কেসি যা বলল হুঁ হুঁ করে গাওয়া যায় না বলে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন