এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাংলা গান ও সুমন

    ন্যাড়া
    গান | ২৫ আগস্ট ২০১২ | ৮৪০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:২৭568929
  • Bangladesh -
    Formed in 1970, Souls is one of the oldest pop bands in Bangladesh and has performed more than 4,000 concerts.

    West Bengal -
    The alternative form of music produced by Mohiner Ghoraguli of Calcutta was not able to grab the crowd during the 70′s , but they became the visionary for the Bengali bands and gave birth to rock culture in West Bengal.
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৩৩568931
  • আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছি না, এই তুলনাটা (মহীন-সুমন) কেন!!
    আমি যেটা বলার চেষ্টা করছি - সুমন প্রথম নয়। আমি কোথাও বলিনি সুমন মহীনের চেয়ে ভালো না খারাপ, বেশী জনপ্রিয় না কম জনপ্রিয়। সুমনের গানের সাথে মহীনের গানের (সুরের) তুলনা হয় না। দুটো আলাদা জঁরের। লিরিক নিয়েও তুলনার মানে হয় না, দুটো আলাদা সময়ের। দুটোর প্রেক্ষিতই আলাদা।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৩৩568930
  • মহীন বনাম সুমন তক্কোটা ঠিক লেভেলে নয়, হওয়া উচিত মহীন বনাম চন্দবিন্দু/ভূমি, অথবা, সুমন বনাম নচিকেতা।
    সমবেত প্রচেষ্টা, আর, একক প্রচেষ্টার এরকম তুলনা হয় নাকি।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৩৬568932
  • যাক, তাহলে তো আর আগে পরের-ও প্রশ্ন নেই।
  • কল্লোল | 125.241.105.26 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২২568933
  • সিনেমার দরিয়া (প্রথম রেকর্ডিং - পবন দাসের গাওয়া)

    এ গানটা এখন যেভাবে গাওয়া হয়, তার থেকে একেবারেই আলাদা। অনেকটা বাংলা কাওয়ালী ধরনে।
  • Rana | 133.237.166.31 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৫568934
  • পেলাম না তো, উপরে আই ডিটা ও দেখ্লাম একটু গড়বড়িয়েছে, ইন্ডিয়া আইডি টা যদিও ঠিকই আছে। দয়া করে পুনরায় ফরোয়ার্ড করে দেবেন?

    [email protected] বা [email protected]
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৩568935
  • পাঠিয়েছি দুটো আইডিতেই।
  • cb | 213.91.201.56 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:৩২568936
  • দেবজ্যোতি মিশ্র কে নিয়ে বড় লেখা চাই, প্লিজ
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৩:০০568937
  • দেবজ্যোতি মিশ্রকে নিয়ে বড় কিছু লেখা আমার সাধ্যের বাইরে। আমি বরং দেবুকে দিয়ে লেখানোর চেষ্টা করতে পারি।
    মনিদা মারা যাবার পর কোন এক স্মরণসভায় দেখা। অল্পক্ষণ আড্ডা হয়েছিলো, বিষয় সলিল চৌধুরী ও মহীনের হর্মোনি ব্যবহারের ফারাক।
    কিছু আগে রানাও লিখেছে এ নিয়ে।
    দেবুর মতে, সলিল হার্মোনি ব্যাবহার করেছেন গানের ঐ পংক্তি/পংক্তিগুলিকে আন্ডারলাইন করার জন্য। আর মহীনের হার্মোনি বরং নানান আবেগ (যন্ত্রনা, আনন্দ, হতাশা) প্রকাশ করার জন্য।
    আমি দেবুকে সেই তবে থেকে এটা নিয়ে লিখতে বলে বলে হেদিয়ে গেছি। দেবু এই নিয়ে লেখার ঠিকঠাক অধিকারী। এক তো ওর সঙ্গীতবোধ নিয়ে কোন কথা হবে না। তার ওপর ও তো অ্যারেঞ্জার হিসাবে দুজনের সাথেই কাজ করেছে।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩২568939
  • প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলি।

    ২০০২-০৩ এর দিকে তিনি এপারে খুব ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছেন, ছোট ছোট আড্ডায়, ["আমি বাংলায় গান গাই"] গানটি রেকর্ডবন্দী হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। তখনও আন্তর্জাল, আইপড, এমপি ৩, ইউটিউব, এফএম রেডিও'র এতো প্রসার হয়নি। অল্প কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এসেছে। রেকর্ডকৃত গান চৌকো ক্যাসেট থেকে গোলাকার সিডি/ডিভিডিতে রূপ নিচ্ছে দ্রুত।...

    সেই সময় "চারণ" শিল্পগোষ্ঠির [বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ সমর্থিত] সাবেক সদস্য মাহামুদুজ্জামান বাবু ["আমি বাংলায় গান গাই"] গানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গেয়ে খুব নাম করেন। চে গুয়েভারা'র ছাপ মারা জলপাই সবুজ গেঞ্জি, লাল বেরেটা ক্যাপ, আর ১২ পকেটের ঠোলা প্যান্টে সারাদেশের মঞ্চগুলোতে এই গান গান গেয়ে মাহমুদুজ্জামান বাবু রীতিমত স্টার থেকে মেগাস্টার বনে যান। তবে তিনি কোথাও ভুলেও গানটির জন্মদাতা প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ করেন না।

    একসময় প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান মাহমুদুজ্জামান বাবুর কণ্ঠে রেকর্ড হয়েও বের হয়; ততদিনে গানটি তস্করের কণ্ঠেই মোবাইল ফোন, এমপি ৩, রিংটোনে এসে গেছে। সেখানেও আয়েশে স্থান করে নেয় প্রতুল মুখোপাধ্যায় নন, তস্কর-বাবুর ["আমি বাংলায় গান গাই"]।

    পুঁজির ধর্ম মেনে করপোরেট দৈনিক প্রথম আলো [এটিই এখন শীর্ষ দৈনিক] তস্কর-বাবুকে ফোকাস করতে উঠেপড়ে লাগে।প্রথমালোর উদ্যোগে ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে চে জন্মবার্ষিকী উদযাপন বা প্রথমালো-এইচএসবিসি গোলটেবিল বা গনিত উৎসব বা বা অ্যাসিড ভিক্টমদের পুনর্বাসন বা উত্তরের খরা/শীত/বন্যা কবলিত এলাকায় দৈনিকের ত্রাণ কার্যক্রম বা "বদলে যাও, বদলে দাও"সহ হেনেতেন আরো নানান সব প্রথমালো-কীর্তিতে তস্কর-বাবু থাকেন শীর্ষে...কণ্ঠে প্রতুলের চোরাই গান ["আমি বাংলায় গান গাই"]।

    অবস্থাটি এমন দাঁড়ায় যে, চোরাই গানটি বোধহয় শিগগিরই জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে, এমনও ভাবেন অনেকে।

    এ পর্যায়ে ২০০৬ সালের ২ জুলাই লেখা বিবৃতিতে প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন:

    ["আমি বাংলায় গাই গাই'...গানটি আমি লিখেছি, সুর করেছি, গেয়েছি। প্রথম ধ্বণীমূদ্রন (রেকর্ডিং) আমারই কণ্ঠে। তারপর আমার অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে অসংখ্য শিল্পী এ গান গেয়েছেন।

    আমার গান কণ্ঠে কণ্ঠে প্রচারিত হবে, এর চেয়ে আনন্দের কথা আর কী হতে পারে? কিন্তু গানটি আর একটি রেকর্ডে গ্রন্থিত করে প্রকাশ করার আগে সেই রেকর্ডের উদ্যোক্তা, প্রকাশক বা আমার লিখিত অনুমতি নেওয়া তো খুবই প্রয়োজন। বরণ্য গণসঙ্গীত শিল্পী পিট সিগারও বিশ্বের সব শিল্পীদের একই রকম অনুরোধ করেছেন।

    আমাকে শুধু গীতিকার ও সুরকার আখ্যা দিয়ে নিজেকে শিল্পী হিসেবে জাহির করে কেউ বা কারা যদি যুগপৎ মানি (টাকা) ও মান অর্জনের চেষ্টা করেন, তাহলে তিনি বা তারা আর প্রচারক থাকেন না, হয়ে যান প্রতারক। এই অনৈতিকতাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।

    অনৈতিক কাজ করে কেউ জনপ্রিয় হতে পারেন, তার ব্যবসায়ীক সাফল্যও হতে পারে, কিন্তু তাতে অন্যায় ঢাকা পড়ে না।

    আমি গান গেয়ে সাধারণ মানুষের তো বটেই, অনেক জ্ঞানী-গুনি মানুষের সন্মান, শ্রদ্ধা, ভালবাসা পেয়েছি। গানের কথা ও সুরের জন্য প্রতারকদের সাধুবাদ আমার না পেলেও চলবে। আমি অবশ্যই গীতিকার ও সুরকার। কিন্তু গায়ক হিসেবে আমার পরিচিতি সবচেয়ে বেশী। সেটা যাঁরা জানেন না বা জানতে চান না, তাঁদের জেনে নেওয়াই ভাল।

    যাঁরা সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রাম করেন, আমার গান তাঁদের জন্যই। অন্যায়ের প্রতিবাদে দেশে দেশে তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য আমার শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাই।" ]

    http://www.amarblog.com/Biplob-Rahman/posts/141995

    দৃশ্যতই বিবৃতিটি তস্কর মাহমুদুজ্জামন বাবু'র উদ্দেশ্যেই লেখা। তবে দুঃখজনক প্রথোমালো গ্রাসের থাবায় বিবৃতিটি এপারে খুব একটি প্রচার পায়নি।

    লোকমুখে শোনা [সত্যি-মিথ্যে যাচাই করা হয়নি], চে'র কসটিউমে সুসজ্জিত তস্কর-বাবু নাকি ওপারে গিয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন; কিন্তু এখনো কোনো অনুষ্ঠানে বা রেকর্ডে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের নাম করতে দেখা যায়নি। ...আর লীলাটি এখনো চলমান, তস্কর-বাবু এখনো মেগা/সুপার স্টারই আছেন।...
  • Rana | 133.237.166.31 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:২৬568940
  • সুমনের সুর নিয়ে বিশেষ কিছুই বলার নেই। এখানেও দেখবেন যারা আহা উহু করছেন, তারা লেখা নিয়েই তা করছেন। আহা জাতিস্মর অবিস্মরনীয়। বিভূতিভূষণ অমর। কিন্তু সব ওই কথাই দাদা, ওই কথাই সার। নিজের ধরনের বাইরে যখনই সুমন কিছু করাতে চেয়েছেন, তখনি ডাহা ফেল মেরেছেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? জাতিস্মরের সত্যি হোক, বুকের ভিতর। ইচ্ছে হলোতে জাগে জাগে রাত। বরং নচি অনেক এদিক থেকে versatile ছিল।

    হে ভগবান, যাবো অচেনাতে গিয়ে কিনা সুমন লিখলো, "সাম্নেই স্বর্গের সিঁড়ি/ রাধানাথ ধরালেন বিড়ি"। ভাবা যায়?

    আগে দেখি কে কি বলে। তার পরে লিখবো।

    কল্লোলদা, মেল করেছি। তুই বললে খুব খুশি হবো, তুমি বললে একটু কম।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৫৭568941
  • প্রতুলদাকে নিয়ে।
    প্রতুলদার গান "প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান" হিসাবে শুনি ১৯৮০তে থিয়েটার রোডের এক প্রেক্ষাগৃহে। নামটা খেয়াল নেই। আয়োজক স্কুল অফ পিপলস আর্ট (সোপা)।
    বন্ধু অমিত রায় এসে খবর দিলে সেই "জেন"কে খুঁজে পাওয়া গেছে, চল শুনতে যাবো।

    জেন ও তার গান।
    তখন নকশালবাড়ির আন্দোলন তুঙ্গে। প্রথমবার ধরা পড়ে আছি অলিপুর স্পেশাল জেলের বাচ্চা ফাইলে। আমার তখন ১৫ বছুরে কিশোর, ফলে সাধারন ওয়ার্ডে আমার ঠাঁই নাই। সকালে ৭টায় ওয়ার্ডের তালা খুলতো। প্রাতঃকৃত্যাদি সেরে সকালের ছোলা সেদ্ধ চায়ের লাইনে দাঁড়িয়ে শুনছি সামনের কজন গাইছে, মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি / সেদিন সুদূর নয় আজ.......................
    চা ও ছোলাসেদ্ধ নিয়ে তাদের সাথে জুটে গেলাম। তারপর ঐবারের জেলে থাকার পুরো মেয়াদটাই আমার কেটেছিলো ওদের সঙ্গ করে। অরূপদা, সিন্টুদা, বাদল আর পরিতোষ। পরিতোষ তার মাস তিনেক পরেই গেল ভেঙ্গে পালাতে গিয়ে শহীদ হয়। কলকাতায় থাকতে এদিক ওদিক মিটিং মিছিলে অরূপদার সাথে দেখা হতো। সিন্টুদা আর বাদলের কোন খবর নেই।
    সে যাই হোক, আমি তখন জেলে বসে শুনছি,
    দাবানল জ্বলুক দাবানল / দিকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ুক / বিপ্লবেরই দাবানল
    আমার মাগো / কেবলে তুই সন্তানহারা / দুশমনে রুখিতে তোর এক পুত্র দিলো প্রাণ / দ্যাখ আজ তোরে মা বলে ডাকে / হাজারো সন্তান
    থাক না হাজার অযুত বাধা / দীর্ঘ দূর যাত্রায় কিসের ভয় / কিসের ভয় সাহসী মন লাল ফৌজের / লাফিয়ে হই পার
    জন্মিলে মরিতে হবে রে / জানে তো সবাই / তবু মরণে মরণে অনেক ফারাক আছে ভাই / রে সব মরণ হয় সমান
    ওদের থেকে শুনেছিলাম, এগুলো সব কমরেড জেন-এর গান। জেন অবশ্যই ছাদ্ম নাম। আসল নাম জানা বারণ, কেউ জানে না।
    (চলবে)
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৫৮568942
  • *জেল ভেঙ্গে পালাতে গিয়ে
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৩৪568943
  • গানগুলোর সুর মজার। কিছু গান যেমন জন্মিলে মরিতে হবে, আমার মাগো, কে বলে তুই সন্তানহারা এগুলো লোকসুরের আঙ্গিকে বাঁধা। আবার মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি, দাবানল জ্বলুক, থাক না হাজার অযুত বাধা - এগুলোর সুর নাকি চীনা সুরে বাঁধা।
    তো সে যাই হোক, আমি এগুলো জেনের গান বলেই জানতাম।
    ১৯৭৫এ আবার যখন জরুরী অবস্থায় ধরা পরি, তখন আরও অনেক জেনএর গান শুনলাম।

    ১৯৭৭এ ছাড়া পাওয়ার পর। রাসবিহারী-কালিঘাট অঞ্চলে রাজনীতি করছি। গানের দল হয়েছে। তাতে জেনের গানও গাওয়া হচ্ছে পুরোনো আইপিটিএ ও অন্যান্য গানের সাথে।
    এই চলতে চলতে ১৯৮০তে এসে অমিত খবর দিলো, জেন গান গাইবে।
    (চলবে)
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২৫568944
  • মঞ্চে এলেন সোপার প্রাণপুরুষ বিনয় চক্রবর্তি। আর সাথে নিয়ে এলেন ছোটখাটো এক মানুষকে, নাম প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
    পরিচয় শুনলাম ইউবিআইতে স্ট্যাটিস্টিক্স ডিপার্টমেন্টের কর্মী। ৭০এর সেই উত্তাল সময়ে গান বেঁধেছেন অজস্র। নিজে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী, তাই ওঁর ভাইয়ের নামে চলতো গানগুলো। ওঁর ভাইয়ের ডাকনাম জেন।

    তো, গান শুরু হলো। আমরা সবিস্ময়ে দেখলাম কোন যন্ত্র নেই, হারমোনিয়াম, দোতারা, খমক মায় একটা ডুবকী পর্যন্ত নেই।

    শুরু করলেন ডিঙ্গা ভাসাও দিয়ে। অসম্ভব সুরে, কিন্তু ভীষন পাৎলা, প্রায় মেয়েলী গলা।
    তারপর একের পর এক গান, আর গানের প্রিল্যুড, ইন্টারল্যুড সব গলা দিয়েই চলছে। ববি ম্যাকফার্লন আরও ৮ বছর পরে আসবেন তার Don't worry Be happy নিয়ে।
    ভোকাল রিফ্রেন(ডিঙ্গা ভাসাও, মুক্ত হবে প্রিয় মাতৃভূমি), মুখে দোতারার মতো আওয়াজ (আঁসুর মাঝে হাসির ঝিলিক আনলি রে তুই কালিন্দী),মুখেই ভেঁপু (লাল পিঁপড়ের গান)। আমরা হতভম্ব বললেও কিছুই বোঝাতে পারবো না।
    এর আগে মহীন শুনে পাগল হয়েছি। কিন্তু এতো অন্য, একেবারে অন্য কিছু। একদম একা একটা মানুষ গান গাইছে সারা শরীর দিয়ে। ঘ্টনাচক্রে দল ছাড়া একলা গান গাইতে হলে আমাকেও যন্ত্র ছাড়াই গাইতে হতো, খালি গলায়, কিন্তু খুব অতৃপ্ত লাগতো। শিখছিলাম কিভাবে যন্ত্র ছাড়াও গান গাওয়া যায়, ঠিকঠাক গাওয়া যায়, মানুষকে আনন্দ দেওয়া যায়, নিজেকে প্রকাশ করা যায়।
    এরপর প্রতুলদা অনুষ্ঠান করতে শুরু করলেন। গাইতে শুরু করলেন মিটিংএ মিছিলে। আমরা সেই প্রতুল সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকলাম, ঋদ্ধ হতে থাকলাম, স্নাত হতে থাকলাম।
    পরের দিকে প্রতুলদার অনুষ্ঠানে অমিত (যার কথা প্রথমেই লিখেছি) প্রতুলদার সাথে হারমোনিয়াম বাজাতো। কিছুকাল পরে প্রতুলদা আবার সেই একলা গাওয়াতেই ফিরে যান। আজও তাইই।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.13 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:৩৮568945
  • কল্লোল বাবু, আপনার নিজস্ব প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে খুব ভালো লাগলো। তার প্রাণের স্ফূরণের শেকড়টি এখন একদম দৃশ্যমান। শুভেচ্ছা।
  • siki | 96.98.40.158 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:০৬568946
  • অপূর্ব লাগল।
  • aka | 178.26.203.155 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৪০568947
  • সইত্যের খাতিরে কয়ে যাই। প্রতুলদা আমাদের ডিপের প্রাক্তনী। গোল্ডেন জুবিলির সময়ে আলাপ পরিচয় হয়েছিল। ডিপের ছাত্র বলে স্নেহ করতেন, অনেকদিন হল চিনতে বোধহয় পারবেন না আর। মানুষ হিসেবে ভদ্রলোক, সদাশয়। কিন্তু গান হিসেবে বাংলায় গান গাই শুধু ভালো লাগে আর সেরকম কিছু না। তবে কিনা চেনাশোনার জন্য দূর্বলতা একটু আছে, সেটা পার্সোনাল বায়াস।
  • প্পন | 190.215.35.198 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০২:০২568948
  • ডিঙ্গা ভাসাও আর শ্লোগান ভালো লাগে নি আকার?
  • কল্লোল | 125.242.135.37 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:০০568950
  • কোন অনুষ্ঠানে প্রতুলদাকে
    ১) লাল পিঁপড়ের গান, ২) নরক গুলজার নাটকের কথা বোলো না (প্রতুলদার সুরটি) আর ৩) খিলখিল্লির মুল্লুকেতে থাকতো নাকি দুই বেড়াল
    শোনা (ও দেখা) একটা অনন্য অভিজ্ঞতা।
    সম্ভব হলে ওঁকে দিয়ে হযবরল পাঠ - সে এক হযবরলই।
  • b | 135.20.82.166 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:১৮568951
  • হয ব র ল তো সি ডি হয়ে বেরিয়েছিল। সত্যি অনন্য।
    (আমার মাঝে মধ্যে মনে হয়, ধরেন, ঐ ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে এসব গান যদি দেবব্রত গাইতেন......)
  • aka | 85.76.118.96 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:০৬568952
  • এইসব গুলো গানই অনুষ্ঠানে শুনেছি এবং গোল্ডেন জুবিলির কাজের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডার মেজাজেও শুনেছি। সবকটাই ভালো, কিন্তু আমার মনে হয় ওনার গলা খুব ভালো লাগে না। তাই ভালোলাগার রেশটা থাকে না।
  • কল্লোল | 125.242.135.37 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৩৪568953
  • আকা।
    প্রতুলদার গানের গলা আমাদের (মধ্যবিত্ত শহুরে বাঙ্গালীদের) সীমারেখার বাইরে। আমরা অভ্যস্থ, ভারী গলা - দেবব্রত বিশ্বাস (তাও গ্রামাফোন কোংপানী হেঁড়ে গলা বলে প্রথমবার বাতিল করেছিলেন। একই কারনে আকাশবাণীতে বাতিল হয়েছিলেন তরুণ বচপন সায়েব), আর পাৎলা গলা - শ্যামল মিত্র / মন্না দে।
    পল রোবসন, নাম বাদ দিয়ে শোনালে বাঙ্গালী নেয় না, এ আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। গায়ক কে তা না জেনে, ওল্ড ম্যান রিভার শুনে সমবেত মত - গলাটা যেন বড্ড ভারী। পল রোবসন জেনে মন্তব্য - যাই বলো, আমাদের ভূপেন হজারিকা অনেক ভালো গায়।
    প্রতুলদার গান যখন প্রথম ধ্বনিমুদ্রিত (ঋণ - প্রতুলদা) হয়, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার গান, পাথরে পাথরে নাচে আগুণ - ৯০ শতাংশ মানুষ প্রতুলদার গলা শুনে আঁৎকে উঠেছিলো। আবার তারাই মাস দুয়েক বাদে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে, যখন গলাটা মেনে নিতে শিখেছে।

    অবশ্য, শেষ বিচারে পসন্দ আপনা আপনা।
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:২০568954
  • প্রতুল বাবু-র প্রতি শ্রদ্ধা আছে অনেকখানি, গান ভাল লাগে, তবে ঐ আম বাঙালীর মতই, গলাটা এখনও খুব ভাল লাগে না।

    শুনি নি অনেকদিন, এই লেখাগুলো পড়ে আবার ইচ্ছে হচ্ছে শোনার। থ্যাংকু কল্লোল-দা, বিপ্লব।
  • aniketa pathika | 69.93.208.169 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৩:৫০568955
  • সুমন মানে যারা "তোমাকে চাই" বলেন আমি তাদের থেকে সামান্য আলাদা জায়গা থেকে লিখছি, তবে প্রায় এক ই কথা। সেটা ১৯৯১ সাল, নভেম্বর মাস। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ। অ্যাপ্ল্যায়েড কেমিস্ত্রি হল। নবীনবরণ অনুষ্ঠান। আধুনিক গান গাইবেন সুমন চট্টোপাধ্যায় । শুনে বেশ হতাশ হয়েছিলাম, একে তো আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত নয়, তার ওপর গায়কের নামটাও অচেনা। অন্য কোনো কাজ নেই বলে কিছুটা বাধ্য হয়ে বসা। গায়ক মণ্চে উঠলেন। জিন্স-শার্ট-দাড়িতে সাবলিল, সহজ হাসিতে, স্বাভাবিক ভঙ্গীতে যন্ত্রপাতি সাজিয়ে নিলেন সারা অঙ্গে। সদ্য কলকাতায় আসা আমার কাছে এই সব কিছুই নতুন। দু একটা মামুলি কথার পর গান শুরু হোলো। প্রথম গানটা ‘ও গানওয়ালা’ না ‘তোমাকে ভাবাবো ই ভাবাবো’ মনে করতে একটু অসুবিধে কিন্তু যাই হোক আমার প্রথম প্রতিক্রিয়াটা ছিল ঐ ‘পতন ও মূর্ছা’। এর পর একে একে ‘প্রথম স্কুলে যাবার দিন’ ‘সন্জীব পুরোহিত’ (এই গান গাইবার আগে বোলেছিলেন হাততালি না দিতে), ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু। প্রায় দু ঘন্টা। খুব ভালো জিনিস বোধহয় খুব বেশিক্ষন নেওয়া যায় না, এক সময়ে মনে হছিল একটু ফাঁক পেলে ভালো হয়, সব গান আর আলাদ করে যেন কানে ঢুকছে না, কিন্তু এইরকম জিনিস ছেড়ে যেতেও পারছি না। এই সময় গায়ক নিজেই বল্লেন ‘আপনারা চাইলে আমি আরো গাইতে পারি কিন্তু এবার বোধহয় থামা উচিত না হলে আপনাদের আর ভালো লাগবে না`। এর পর আর একটি গান গেয়ে উনি গাওয়া শেষ করেন কিন্তু কেন জানি না, এই অনুষ্ঠানে উনি 'তোমাকে চাই’ গান নি। কে বা কারা সেই সন্ধ্যায় গাইবার জন্য সুমন কে ডেকেছিলেন আমি জানি না কিন্তু তাদের কাছে আমি বিশেষ উপকৃত। এইদিন আমার জীবনবোধ-ও-ভাললাগার এক নতুন পর্ব শুরু হয়েছিল। এইভাবে সুমনকে না শুনলে-ও সুমন আমার জীবনে নিশ্চই আসতন, তবে প্রায় উপকরনহীন সেই ছাত্রজীবনে সুমনকে খুঁজে পেতে আমাকে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হত।
    আমার মনে সুমনের গান নিয়ে সেই যে ঘোর লাগলো তা আজো কাটেনি। জীবনে প্রথম দর্শনে (বা শ্রবনে) প্রেম বলতে আমি এখনো এই অনুভুতিকে-ই বুঝি। এখনো আমি সুমনের গান সম্পর্কে ঠিক নিরপেক্ষ বিচার করতে পারি না।
    এই কথাগুলো আজ লিখতে ইছে হল তার দুটো কারণ। প্রথমত এই অনুষ্ঠান আমার কাছে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি এর পরে আজ পর্যন্ত সুমনের গান বা অনুঠান নিয়ে যত কথা সুনেছি সব-ই ১৯৯২ সাল বা তার পরে এবং সব ই অনেকটা ‘তোমাকে চাই’ কেন্দ্রিক। কিন্তু তোমাকে চাই বাদ দিলে-ও সুমনের গান ‘সেই ঘন ঘন মাথা নাড়ার’ দিনে-ও কাউকে এমন ভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল, তার প্রমান আমি নিজে। আমার সুমন পর্ব যেহেতু তোমাকে চাই-এর আগে শুরু হয়েছিল তাই ‘তোমাকে চাই’ এই ভয়ানক রোম্যন্টিক কথার মোহে আচ্ছন্ন না হয়ে-ও আমি সুমনের প্রতিটি কথায় আলাদা আলাদা ভাবে মুগ্ধ ও বিস্মিত হতে পেরেছি। দ্বিতীয়ত, একেবারে মফস্বলে বড় হয়ে মূলত রবীন্দ্রসংগীত ও হেমন্ত-মান্না-কিশোর শোনা ও পশ্চিমি গানের সম্পর্কে কোনো অভিগ্যতা না থাকা কানের ভেতর দিয়েও সুমন মরমে পশিতে পেরেছিলেন একবারে-ই।
    সেইদিন যারা আমার সংগে বসে সুমন শুনেছিল তাদের সকলেরই আমার মত অবস্থা হয়েছিল এমন নয়, কিন্তু ভাল লেগেছিল অনেকেরই। এর পরে সুমনের গলায় রবীন্দ্রসংগীত শুনেছি, তাতে-ও মুগ্ধ হয়েছি নিয়মমত। এখন রবীন্দ্রসংগীতের উচ্চারনে কিছু কিছু ত্রুটি কানে ধরা পড়ে কিন্তু সুমনের গান নিয়ে সেই জায়গাটা এখনো একইরকম আছে।
    পরে পরে শুনেছি নচিকেতা-অন্জন-শিলাজিত। কিন্তু কেন শুধু সুমনে এমন মজে গেলাম, তা নিয়ে ভেবেছি অনেক। তার অনেক কথাই এখানে লিখেছেন অনেকে। সেই কথা আমিও লিখবো হয়তো পরে এক সময়।
  • siki | 96.98.40.158 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:১২568956
  • সঞ্জীব পুরোহিত কি ১৯৯১ সালে লেখা হয়েছিল?

    অন্য কথায়। আমার বাবা সুমনের মগজে কারফিউয়ের শেষদিকের খাদের ভয়েস শুনে হেবি খচে গিয়ে বলেছিল, এটা কি গান? আবার সেই লোকই প্রতুলের ডিঙ্গা ভাসাও শুনে ভেসে গেছিল।
  • Blank | 69.93.204.84 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৩৩568957
  • আব্রাহাম সারের ইন্টারভিউ গুলো থেকে কখনো মনে হয় না যে মহীনের ঘোড়াগুলিতে তুলে আনার আগে উনি কোথাকার এক আবু ছিলেন।
    যদ্দুর জানি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ভায়োলিন চর্চা শুরু আর ডিগ্রী লাভ। এখনো ওনার মুল কাজের সাথে মহীনের বিশেষ সম্পর্ক নেই যদিও ওনার ফিলহারমোনিকে উনি মহীনের অনেক গান পারফর্ম করেন। আর ওনার কেরিয়ার পাথ শুরু হয়েছে ভায়োলিন দিয়েই। লা মার্টসের মিউজিক টীচার, স্কুল অফ মিউজিকের মিউজিক টীচার এই সব কিছুই ওনার নিজের চেষ্টার এবং ছোটবেলা থেকে পাওয়া মিউজিক শিক্ষার ফল। পরে নিজের অর্কেস্ট্রা এবং আজ একজন সত্যিকারের সেলিব্রিটি।
  • aka | 85.76.118.96 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৪৭568958
  • আজ মনে পড়ল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আর একটা গান।

    কিসের ভয় সাহসী মন লাল ফৌজে
    লাফিয়ে হই পার
    লাফিয়ে হই পার
  • কল্লোল | 125.242.134.12 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৪৩568959
  • ব্ল্যাঙ্ক।
    আব্রাহাম বেহালা শিখতেন ও পড়াশোনা করতেন বেহালার অক্সফোর্ড মিশনে। ঐ মিশনের মাঠেই মহীনের আড্ডা-গান হতো। সেখান থেকে আব্রাহাম মহীনের একজন হয়ে যান।
    আমার নিজের চোখে দেখা কি অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন মনিদাকে।
    মহীনের ঘোড়াগুলি আব্রাহমের জীবনের এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়।

    আকা।
    ঐ গানটারই প্রথম লাইন - থাক না হাজার অযুত বাঁধা / দীর্ঘ দূর যাত্রায় কিসের ভয় / কিসের ভয় সাহসী মন............
  • নচিভক্ত | 69.160.210.2 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৪:৫১568961
  • ---""সুমনের প্রথম অ্যালবামের .... গীটারে গাওয়া গানগুলো, শুনলে ... উপলব্ধি হয়, যে এই গানে চারআনা ...... কথকতা লুকিয়ে আছে। এটা সুমনের ...গানের ভঙ্গি, এটাই ওনার স্বরপ্রয়োগের কায়দা। সুমনের গানের ক্ষেত্রে .... তাঁর সুরে কথা বলার ছোঁয়া লেগে থাকে। .... অর্থাৎ এই ধরণের গানে সুমন তার আটপৌরে কথাকে উচ্চকিত সুরেলা আবৃত্তি হিসেবে ধরতে চাইলেন, এরকম কী ভাবা যায় না ? ""

    -- আজ্ঞে, সামগ্রিকভাবে জীবনমুখী যুগের প্রকাশিত গানগুলো দেখলে, নচিকেতা, অঞ্জন, শিলাজিৎ, মৌসুমী এমনকি, হ্যাঁ প্রতুল-ও - প্রায় সবার ক্ষেত্রেই এই একই কথা বলা যায় না কি? সুর কম, কথা বেশিরভাগ মুখের কথ্য উচ্চারণ ও ভাষার কথ্য ধরণটাকে ধরার জন্য উন্মুখ। সুমনের লেখা কথাগুলো এঁদের চেয়ে একটু বেশি শ্রুতিমধুর, গদ্যঘেঁষা, ছন্দচ্যুতিবিহীন, এইটুকুই তো?

    মনে করুন "কখনও সময় আসে" গানে যেখানে সুমন গাইছেন "ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দআনা"। এই বাক্য আবৃত্তি করলে একজন কথক যেভাবে "ঠিক" শব্দের উচ্চারণ করবেন ওই "ঠিক" শব্দের সুরে একেবারে সেই নোটগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে, খালি একমাত্রা বেশি লেগেছে। কিংবা "হাল ছেড়ো না" গানে "বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে" অংশের 'কণ্ঠ' শব্দে যে সুরপ্রয়োগ, সেখানেও একই কনসেপ্ট। খুঁজে খুঁজে এরকম আরও উদাহরণ দেওয়া যায়।

    -- আজ্ঞে, নচিকেতা, অঞ্জন, শিলাজিৎ, মৌসুমী, প্রতুল থেকে খুঁজে খুঁজে এরকম গুচ্চ্ছ উদাহরণ দেওয়া যায়। দেওয়ার আদৌ আর দরকার আছে কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন