এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাংলা গান ও সুমন

    ন্যাড়া
    গান | ২৫ আগস্ট ২০১২ | ৮৪৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 96.96.161.14 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:০৮568962
  • নাঃ। দরকার নাই। :)

    কিন্তু ন্যাড়াদা থেমে গেল কেন? শিবাংশুদা?
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:২৩568963
  • প্রতুল দা-র গান আমার খুব-ই ভালো লাগে। আমি সুমনের পরে প্রতুল দা-র গান ই বেশি শুনি। মহীন ভালো লাগে না ( একদম ব্যক্তিগত মত, কোথাও মহিন কে ছোট করে নয়), নচিকেতা, অঞ্জন , শিলাজিত কারুর-ই এত বেশি গান ভালো লাগে না, যত সুমনের বা প্রতুল-দার লাগে। চন্দ্রবিন্দু কিছু শুনি, বাকি বাংলা ব্যান্ড ও তেমন পোষায় না।
    যাই হোক, প্রতুল বা সুমন বা মহিন নিয়ে কিছু বলছি না, গান শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু বলার ব্যাপারে তেমন অধিকারী নই, আমার পছন্দ অপছন্দের কথা একটু জানিয়ে দিলাম।
    কিন্ত একটা বক্তব্য ছিল। যদি-ও এটা জানি, এই আলোচনা বাংলা ফিল্ম-বহির্ভূত সঙ্গীত বা কাব্য-সঙ্গীত নিয়ে হচ্ছে, তবু যেহেতু সুর এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ এসেই পড়েছে, আমার মনে হয় একজনকে বাদ দিয়ে এই আলোচনা অসম্পূর্ণ। কল্লোল দা, ন্যাড়া দা - এদের থেকে সত্যজিত রায় এর সঙ্গীতভাবনা নিয়ে জানতে চাই। গুগাবাবা বা হীরক রাজার দেশের কিছু গান কি এই আলোচনায় থাকতে পারে না? আপনাদের কি মত?
  • ন্যাড়া | 132.179.29.177 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৮:৪৭568964
  • প্রতুল ও মৌসুমীর গান শুনে আমার কখনও মনে হয়নি তাঁদের স্টাইলে চার-আনা আবৃত্তি আছে। নচিকেতাও যা অল্প-স্বল্প শুনেছি, সেঅরকম মনে হয়নি। এক যদি না গানের ফর্মই ওরকম হয় - যেমন "এই বেশ ভাল আছি"। শিলাজিৎ সম্বন্ধে মন্তব্য করতে অপারগ। বরং অঞ্জন দত্তর কেসটা ইন্টারেস্টিং, বিশেষতঃ ওনার প্রথম দিকের গানগুলো। আবৃত্তি নয়, ওনার গানে একেবারে নাটকীয় উচ্চারণ পেয়েছি - রোল-প্লে ধরণের - হয়তো ওনার অভিনেতা সত্তর জন্যেই। ভাবুন, "পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবে"-র স্বরক্ষেপণ। তার সঙ্গে "শুনতে কি চাও"-এর স্বরক্ষেপণ একেবারে আলাদা। কিম্বা 'হরিপদ" গানে যেভাবে গল্পটা বলা হয়।

    আপাততঃ, ফেঁসে আছি। কদিন বড় পোস্ট হবে না। তদ্দিন অন্যদের থেকে শুনতে চাই। নচিভক্ত যদি বিভিন্ন গায়ক/কম্পোজারের কতক্গুলো উদাহরণ খুঁজে দেন যেখানে আবৃত্তির ঝোঁকের নোট গানে ধরেছেন, খুব ভাল হয়।

    এটা আবার আমি লিখতে চাই, কে বড় কে ছোট সেই তর্কে আমার বাসনা নেই। যেটায় আমার বেশি উৎসাহ সেটা হল বাংলা গানের দীর্ঘ ধারায় সুমন (বা অন্যরা) কে কী স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন - শুধু গান করে নয়। গানের স্ট্রাকচারে, কথার ব্যবহারে, সুরের প্রয়োগে, গায়কিতে - নতুন কী ডিভাইস ব্যবহার করছেন, সেগুলো কতটা সুপ্রযুক্ত আর কতটা দাগ রেখে যাচ্ছে।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:৩২568965
  • সুমনের "লালমোহনের লাশ" সিরিজে সেক্সাফোনের ব্যবহার খুব ভালো লেগেছে। দুদশকে গানের আনুসাঙ্গিক সংশ্লেষণের পরিবর্তন স্পষ্ট, স্পিরিটটি আজও একই। ...
    আন্তর্জালে শোনা, সেখানে অনেক গানই ঠিকঠাক ধ্বণীমূদ্রণ [সৌজন্যে: প্রতুল] হয়নি। এরপরেও "বাবা পড়ে আছে মর্গে" গানটি খুব বেশী হৃদয়স্পর্শী।

    http://www.shapludu.com/1417/4/album.php
  • Rana | 133.237.160.146 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০২:১৬568966
  • প্রথম বার সুমন শুনে কেমন লাগল; সেটা বলা মানে আবার গুচ্ছ গুচ্ছ সাইবার স্পেস খরচা। পুনরাব্‌ত্তির চর্বিত-চর্বণ থেকে দুরে থাকাই ভালো। তাছাড়া, বিরানব্বই সালে, আমি তখন সবে কেলাস ফোর। তখনো, যুগান্ত, যুগৎপাত, যুগস্‌ষ্টিকারী বোঝার মতো পিপুল পাকেনি। তবে, একটা কথা বলতেই হবে, এরকম অনায়াস সাধ্য ভাবে কথা বোঝা যায়, এমন গান এই প্রথম শুনলাম। প্রত্যেক শব্দ যেন ছিটকে বেরুচ্ছে। আর সত্যি, এমন গান আগে শুনিনি। এতো উৎসাহিত হয়ে ছিলাম যে হার্মোনিউম বাজিয়ে, হাফ প্যান্ট পরে পাড়ার জলসাতে "ভরসা থাকুক" বা "হাল ছেড়োনা" গাইতে শুরু করলাম। এখন ভাবলে আঁৎকে উঠি, একটা রোগা প্যাংলা এগারো বারো বছরের ছেলে যখন চোখ বুজে, যথোচিত সুমন ভাবাপন্ন হয়ে, এক ঘর/ পুজো মন্ডপ ভর্তি বুড়ো ধাড়ির সামনে"হাল ছেড়ো না" গাইছে। প্রচুর হাত তালিও পড়ত। এখন বুঝি তার সাড়ে পনেরো আনা ছিল, নির্মল আনন্দ লাভের জন্য।

    তবে আজও মনে হয়, সুমনকে আমরা বড়ো পরে পেলাম। একটা লোক কেনো সাধারনের কাছে তার সাত আট নম্বর গানে বলে উঠবে "আমারও তো বয়স হচ্ছে, রাত বিরেতে কাশি"। জোয়ারের শুরুতেই কেন সে ভাঁটার মরা স্রোতের কথা বলবে। যতই বলুক, দিন বদলের স্বপ্নের কথা, আদতে তো বয়সের চোরাবালিতে তার রথের চাকা গেছে অনেকটা ঢুকে।

    মনে হয়, একটা দুটো, ছোট্ট উদাহরন দিই, ডিলান থেকে। সুমনকে নিয়ে লিখতে গেলে, ডিলানের উদাহরন বার বার আসা খুব স্বাভাবিক। কেন না, সুমন ডিলানের গান থেকে যতটা বার বার প্রভাবিত হয়েছেন, তেমন আর কারো গান থেকে হয়েছেন বলে মনে হয় না। অথচ বাষট্টিতে শুরু করে, তিরাশিতেও ডিলান গাইছেন জোকারম্যান, এমনকী ২০০১ সালে গাইছেন মিসিসিপি আর লোকে আবার মাথা টাথা চুলকে ভাবতে বসছে।

    ডিলান পঁয়্ষট্টিতে লিখলেন,

    "The machine guns are roaring
    The puppets heave rocks
    The fiends nail time bombs
    To the hands of the clocks
    Call me any name you like
    I will never deny it
    Farewell Angelina
    The sky is erupting
    I must go where it's quiet."

    মনে হয় তিয়াত্তরে, Desolation Row তে লিখলেন;

    "Yes, I received your letter yesterday
    About the time the door knob broke
    When you asked me how I was doing
    Was that some kind of joke ?
    All these people that you mention
    Yes, I know them, they're quite lame
    I had to rearrange their faces
    And give them all another name
    Right now I can't read too good
    Dont send me no more letters no
    Not unless you mail them
    From Desolation Row."

    আর ২০০১ সালে মিসিসিপিতে লিখলেন;

    "Well my ship’s been split to splinters and it’s sinkin' fast
    I’m drownin’ in the poison, got no future, got no past
    But my heart is not weary, it’s light and it’s free
    I’ve got nothin’ but affection for all those who’ve sailed with me

    Everybody movin’ if they ain’t already there
    Everybody got to move somewhere
    Stick with me baby, stick with me anyhow
    Things should start to get interestin' right about now
    ---------------------------

    Well, the emptiness is endless, cold as the clay
    You can always come back, but you can’t come back all the way
    Only one thing I did wrong
    Stayed in Mississippi a day too long"

    প্রথম গানে রয়েছে, অস্থির সময়ের সাথে বোঝাপড়ার ইঙ্গিত, আকাশ রং পালটাচ্ছে, রাজা রানিরা আর কেউ আর not at large, এই তো সময়। চলো পাল্টে আসি। পরের গানে, ১৯৭৩ এ লিখলেন আট বছরে পাল্টে যাওয়া ধারণার কথা,দিন বদলের স্বপ্নের আস্তে আস্তে হিম ঘরে ঢুকে যাওয়ার কথা। কিন্তু তখনো ডিলান একা এই সময়ের যন্ত্রণাতে। মিসিসিপিতে কিন্তু, নিজের আদর্শে ক্ষত বিক্ষত, ক্লান্ত ডিলান দেখেছেন তার কমরেডদের, এক পুরনো যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে ডুবে যেতে যেতে, অসীম শুণ্যে তলিয়ে যেতে যেতে, তাকিয়ে দেখেছেন প্রেমিকার হাতের ছায়া। -

    বাংলাগানে এই সফল ট্রান্সফর্মেশন একমাত্র অত্যন্ত স্পষ্ট রবীন্দ্রনাথে। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা, আঠারো বছরের সুমনকে পেলাম না, তিরিশের সুমনকেও পেলাম না, পেলাম বিয়াল্লিশের সুমনকে। এই বয়সে যিনি লিখতে পারেন, ভরসা থাকুক, বা আরো পরে, প্রায় পঞ্চাশের গন্ডি ছুঁয়ে, "আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে" তাঁর প্রতিভা অনস্বীকার্য্য। শুধু আমরা সিকোয়েলটা পেলাম না। আর যাই হোক, জানলার কাঁচে বাতাস ধাক্কা দিচ্ছের সিকোয়েল "বয়স হয়েছে তাই" মানা যায় না। ওটা বড্ড পলিটিক্যালি মোটিভেটেড। (ক্রমশ)

    কল্লোলদা, ফোন করবো। এ ক'দিন পুরো চাপিত হয়ে আছি। একটু হাল্কা হলেই -
  • ................. | 69.160.210.2 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:৪৭568967
  • http://www.amarblog.com/Ishtiak-Islam/posts/145146
    পড়তে পারেন। বিশেষত কাগজের রিপোর্টিংগুলো। ইমেজ ডাউনলোড করে পড়াটা বেটার।
  • tatin | 132.252.251.244 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:৪৬568969
  • প্রায় সবার ক্ষেত্রেই এই একই কথা বলা যায় না কি? সুর কম, কথা বেশিরভাগ মুখের কথ্য উচ্চারণ ও ভাষার কথ্য ধরণটাকে ধরার জন্য উন্মুখ। সুমনের লেখা কথাগুলো এঁদের চেয়ে একটু বেশি শ্রুতিমধুর, গদ্যঘেঁষা, ছন্দচ্যুতিবিহীন, এইটুকুই তো?

    --বাংলায় কাব্যগীতি বলতে যে জিনিসটা চলত, সেইটার ধারা তো এইরকমই।

    চর্যা,বাউল, কীর্তন, রামপ্রসাদী কোথায় এই প্যাটার্ণের বাইরে যাওয়া হয়েছে?
  • nina | 78.34.167.250 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:০১568970
  • ন্যাড়া কেন থেমে গেল ঃ-০
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:১৯568972
  • ন্যাড়া।
    যদি ইচ্ছে করে তো, হয়ে যাক "আগুনের ফুল" নিয়ে একটা লেখা।
    আজকের কলকাতার কড়চায় লিখেছে এটা নিয়ে।
  • .............................. | 69.160.210.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৪৪568973
  • বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ কমিটি থেকে ২ সেপ্টেম্বর আগুনের ফুল নামের একটা অ্যালবাম বের করেছে । ওটার সিডি রাসবিহারী বা তার কাছাকাছি কোথাও থেকে অমিত রায় নামের এক ভদ্রলোক এর থেকে সংগ্রহ করতে হবে ১০০ টাকা প্রিন্টেড , ৭০ (সত্তর) টাকায় বিক্রি করছে । কনটাক্ট নাম্বার ৯৮৩০১১৮০৬৫।

    আজ যদি ভদ্রলোককে ফোন কর, তবে কাল হয়তো পেয়ে যাবে।

    ওদের কমিটি থেকে এর আগে পাথরে পাথরে নাচে আগুন নামে একটা অ্যালবাম বের করেছিল। তাতে প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মৌসুমী ভৌমিক দের প্রথম রেকর্ডিং ছিল। এগুলো বহুদিন আগে রেকর্ড করা দুষ্প্রাপ্য গান, এখন নতুন করে পাওয়া যাচ্ছে। আমি খুবই এক্সাইটেড। ঃ-)

    আমার বেসিকালি গানগুলো লাগবে। অন্য কেউ যদি অ্যালবাম টা কিনতে আগ্রহী থাকে, তাহলে , ৩২০ কেবিপিএস রিপ, আর অ্যালবাম কভারের স্ক্যান পেলেই আমার চলে যাবে। ঃ-)

    তবে মনে হয় বেশি কেউ এব্যপারে উৎসাহী হবে না, সেক্ষেত্রে আমি অ্যালবামটা কিনবো।

    আজকের আনন্দবাজারের কলকাতার কড়চা বলছেঃ

    আগুনের ফুল
    নতুন করে ফুটল সেই ‘আগুনের ফুল’, সিডি-র আকারে। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আগুনের ফুল কবিতামালা একদা জনপ্রিয় হয়েছিল খুব। তাতেই সুর করে সম্প্রতি গানের এক কোলাজ উপস্থাপন করল কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ সমিতি। ১৯৮৫-তে ৮টা গান আর ৫টা কবিতা নিয়ে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে প্রকাশিত হয়েছিল ‘আগুনের ফুল’। প্রকাশমাত্রেই জনপ্রিয়তা। তার পরে ২৭ বছর পেরিয়ে আবার সেই ফুল আর ফুলকির দেখা পেল কলকাতা।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:০৫568974
  • ..........
    কিনেই ফেলুন। তাতে হয়তো ভবিষ্যতে আরও কিছু অ্যালবাম পাওয়া যাবে।
    প্রসঙ্গতঃ, এটা সঙ্গীতায়োজক মধু মুখার্জির প্রথম কাজ। পরে মধু নচিকেতার অ্যালবামগুলোয় সঙ্গীতায়োজক হিসাবে কাজ করে খুব নাম করে।
    এটাতে মধুর গাওয়া গানও আছে।
    গানগুলো সব যে ভালো গাওয়া তা নয়। কিন্তু অসাধারণ কম্পোজিশন।

    ন্যাড়া। আর একবার ডাক দিয়ে গেলাম।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:০৬568975
  • অসাধারণ আবৃত্তি করেছেন রত্না মিত্র।
  • $$$$$$$$ | 69.160.210.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:২৯568976
  • সমস্যা হল, ওরা কোনো দোকানে রেখে বিক্রির ব্যবস্থা করছে না। এই ভাবে বিক্রি হয়? কেনা যায়? ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করে তবে কিনতে পাওয়া যাবে অ্যালবাম - এ আবার কি? যত লিটল ম্যাগ মানসিকতা।ঃ-(
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৪৫568977
  • আসলে দোকানে দিয়ে তার ফলো আপ করার মতন লোকবল নেই। কোন কোং মার্কেটিং এ রাজি নয়। তাই এই মুস্কিল।
  • ন্যাড়া | 132.179.53.122 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:২৪568978
  • কল্লোলদা, কুড়ি বছর পরে গানগুলো আবার শুনছি। যদিও মনে হচ্ছে কোনদিনই গানগুলো ভুলিনি। অসম্ভব ভাল লাগছে। ভাল লাগছে রত্না মিত্রর আবৃত্তিও। যদিও গেল কুড়ি বছরে আবৃত্তি নিয়ে আমি নিজের মত অনেকটাই পাল্টেছি। আমি এখন শম্ভূ মিত্র-পন্থী থেকে বেশি শঙ্খ ঘোষ-পন্থী হয়ে গেছি। রত্না মিত্রর আবৃত্তি শম্ভূবাবুর ঘরানার। খুব কিছু আপাততঃ লেখার নেই। যেটুকু আছে সেটা সুমনের লেখাটা শেষ করে লিখব।
  • I | 69.93.208.120 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:২১568979
  • কল্লোলদা ! গুরুর লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিন না !
  • কল্লোল | 111.62.93.102 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৩৫568980
  • আমার প্রস্তাব - গুরুর কলকাতার লোকজন নিজেদের মধ্যে কথা বলে সপ্তাহান্তিক দিনগুলোয় (রবিবার হলে ভালো হয়) কোথাও একটা জড়ো হন।
    অমিতকে (যার ফোন্নং দেওয়া আছে) ফোন করে সেখনে ডেকে নিন। আমি কোঅর্ডিনেটরের কাজটা করতেই পারি। আমার ভালো লাগবে।
    বা।
    আমি কিছু সিডি আনিয়ে নিয়েছি। তারপর বন্ধুদের দিচ্ছি। সেভাবেও হতে পারে। তবে প্রথমটাই সুবিধার। কেউ/কেউ কেউ যদি না আসতে পারে তাদের পৌঁছে দেবার দায়িত্ব কেউ/কেউ কেউ নিক। তারাও পরে অন্যদের থেকে নিয়ে নিতে পারে।
    এরকম কিছু একটা করলেই তো হয়।
    ফোন্নং ৯৮৩০১১৮০৬৫ অমিত রায়।
    অমিও অমিতকে ফোন করে দিচ্ছি।
  • কল্লোল | 111.62.93.102 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৪২568981
  • কফি হাউসের পাশের রাস্তায় ঢুকে ডানদিকের ছোট্ট গলিতে "ইন্ডিয়ানা" বইয়ের দোকান। তাতে আগুনের ফুল পাওয়া যাচ্ছে।
  • PM | 96.22.56.206 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:২১568983
  • এটাও থাক এখানে--- অবশ্যই বিনা মন্তব্যে

  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:৩৯568984
  • এই অমিত রায় কি র‍্যা ডিকালের? যিনি অন্তরংগ চারু মজুমদার বইটা বের করেছিলেন?
  • কল্লোল | 125.242.140.208 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:৪১568985
  • না না। সে অন্য অমিত রায়। এই অমিত গান গায় ও বানায়। ৭৬-৭৭এ সমতান নামে একটা গানের দলে গান গাইতো। নকশাল রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো। আমাদের ন্যাড়া বা শিবাংশুর মতো গান নিয়ে নানারকম চিন্তাভাবনা আছে। ওকে দিয়ে গুরুতে লেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
    ওর গানের লিংক

    দাঁড়িয়ে আমাদের ডানদিকে প্রথম জন।
    এই গানটায় মূল গায়ক তুবি, পাশে শংকর, হারমোনিয়াম বাজাচ্ছে বিমল, ডানদিকে বাবলু আর অমিত। এটা ৭০এর উত্তরপাড়ার অরণি আর যাদবপুরের সমতানের সদস্যদের মিলিত প্রয়াস - সম্ভবতঃ ২০০৪ এ এই অনুষ্ঠান হয়। এটাতে সুমনও গেয়েছিলো ওদের সাথে।
  • pi | 127.194.4.183 | ১৩ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৩২568986
  • লেখাটা শেষ হবেনা ?

    এটা এখানেই দিয়ে যাই। রোকেয়ার কল্যাণে শুনলাম। শুনেই যাচ্ছি।
    http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=YOo7_D975vE#!
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.186 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০১:২১568987
  • বাঃ কী ভালো কোরাস রেন্ডিশন। (যদিও ওরা ভয় পেয়েছে শুনে হাসি পেল)
  • a x | 109.45.102.131 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০২:৪৭568988
  • হাসি পেল কেন?

    সুমনের গানটা আমার কেমন বেসুরো লাগল।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.186 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৪৯568989
  • হাসি পেয়েছিল কথাগুলোর জন্যে, আর মুখের সিরিয়াস এক্সপ্রেশন দেখে। এদিকে টই পুরোটা পড়তে রাত কাবার হয়ে গেল।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.186 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৫০568990
  • 'ওরা' কি আর সত্যি করে ভয় পেয়েছিল?
  • a x | 109.45.102.131 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০৫:১৩568991
  • মানে সিভিল রাইটস্‌ মুভমেন্টে ভয় পায়নি? বা ম্যাকার্থিসম বর্ন আউট অফ ডেস্পেয়ার বা ভয় না?
  • কল্লোল | 125.241.86.25 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৫৮568992
  • ওরা ভয় পেয়েছিলো বলেই
    সরোজ দত্ত
    ওরা ভয় পেয়েছিলো বলেই
    জরুরী অবস্থা
    ওরা ভয় পেয়েছিলো বলেই
    চার্লি চ্যাপলিন আন আমেরিকান
    ওরা ভয় পেয়েছিলো বলেই
    ভূখ মিছিলে গুলি
    ওরা ভয় পেয়েছিলো বলেই
    সুব্বারাও পাণিগ্রাহী
    তালিকা অসম্পূর্ণ..............................
  • aranya | 78.38.243.161 | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ১০:৪৯568994
  • ওরা ভয় পেয়েছে জীবনে
    ওরা ভয় পেয়েছে মরণে
    ওরা ভয় পায় সেই স্মৃতিকে
    ওরা ভয় পেয়েছে দুঃস্বপনে

    সরোজ দত্ত থেকে আজাদ - যত সন্দেহ্জনক মৃত্যু, ফেক এনকাউন্টার ডেথ, সবেতেই সেই ভয় পাওয়ার গল্প।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন