এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো চিনাপন্থীরা?

    কুলদা রায়
    অন্যান্য | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ৬৬৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৪:৩৭576731
  • শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্থপতি। তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়েছিল ১৯৬৯ এর গণ আন্দোলনের সময়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাত থেকে বন্দী অবস্থায় ১৯৭২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানী কারাগারে ছিলেন। তার ফাঁসীর হুকুম হয়েছিল। তার কবরও খোঁড়া হয়েছিল। বিশ্ব জনমতের চাপে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সরকার।
    এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। এই যুদ্ধে শেখ মুজিব ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়।
    পাকিস্তানপন্থীরা শেখ মুজিবকে শত্রু হিসেবেই বিবেচনা করেছে। তাদের সমর্থক মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী পার্টি, জামায়াতে ইসলামী শেখ মুজিব প্রশ্নে পাকিস্তানপন্থাকে অন্ধ অনুসরণ করেছে। তাকে হত্যা করা হলে নাজাত বা মুক্তি দিবস হিসেবে দিনটিকে পালন করেছে।
    এই পাকিস্তানপন্থার সহযোগী প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী রাজনীতিকদের মত বাংলাদেশের চিনাপন্থী বামপন্থীদেরও ঘোষিত শত্রু হলেন শেখ মুজিব। তাঁর জীবিতকালে এবং মৃত্যুকালে--মৃত্যুপরবর্তীকালে চিনাপন্থীদের ছোড়া তীর সদা-সর্বদা শেখ মুজিবের প্রতিই নিক্ষিপ্ত হয়েছে--হচ্ছে। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চিনাপন্থীদের অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাদের গলার স্বর একই সুর ও বানী ধারণ করে।
    গুরুচণ্ডালীতে এর ব্যতিক্রম দেখা গেল না। ভারতের আসাম প্রদেশের একজন চিনাপন্থী বাম-রাজনীতিক ১৯৫০ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে দাঙ্গা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে শেখ মুজিবকে বিষোদ্গার করেছেন সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী জামায়াতের ইসলামী ও মৌলবাদীদের সহায়ক চিনাপন্থীদের মতই।
    শেখ মুজিবের সমালোচনা আছে। থাকবে। প্রশ্ন হল--শেখ মুজিবের উপর ভারতীয় বা পশ্চিম বঙ্গীয় অথবা আসামীয় চিনাপন্থীদের এতো ক্ষোভ কেনো? তিনি তাদের কোন বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছিলেন?
  • কল্লোল | 125.184.42.53 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৬:২৪576842
  • পঃবঃতে ৭১এর মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে নকশালদের মধ্যে দুটো আলাদা মত ছিলো।
    অসীম চ্যাটার্জিরা মনে করতেন, মুজিব - রাশিয়া ও ভারতের দালাল। সোভিয়েৎ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীরা "চেয়ারম্যানের চীনকে" ঘিরে ফেলার চক্রন্ত করছে। তাই মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন।
    চারু মজুমদার মনে করতেন এটা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উত্থান। কিন্তু মুজিবের হাত থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিতে হবে ইপিসিপিএমএলকে। মহম্মদ তোহাদের এই লড়াইকে জনযুদ্ধে পরিনত করে তুলতে হবে।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৪৫576867
  • দাদা,
    ১. মুজিব - রাশিয়া ও ভারতের দালাল হলে সমস্যা কি? এটা কি মার্কিন-পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ কিছু ছিল?
    ২.ইপিসিপিএমএল-এর কি এমন বিশেষত্ব ছিল যে নেতৃত্ব কেড়ে নিলে জনযুদ্ধ হয়ে যাবে?
    ৩. হক-তোয়াহাদের হাতে জঙ্গণের নেতৃত্ব ছিল না কেন? এ দোষ কি মুজিবের ছিল? মুজিব কি হক-তোয়হাদের কাছ থেকে নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন? এবং যদি হক-তোয়হাদের হাতে কেনো জনগণ এলো না--এলো মুজিবের কাছে?
    ৪. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক চারু মজুমদার হন কি করে? তাকে বাংলাদেশের জনগণ কবে কখন কিভাবে কোথায় গুরু মেনেছিল?
    ৫. চেয়ারম্যানের চীনকে রাশিয়া-ভারত ঘিরে ফেললে বাংলাদেশের সমস্যা কি?
    ৬. বাংলাদেশে হক-তয়হাদের পার্টির অবস্থান কোন পর্যায়ে ছিল যে তারা সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা হতে পারতেন?
  • কল্লোল | 125.242.188.135 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৩৫576878
  • হুম। কিন্তু ভাই কুলদা, এসব প্রশ্ন আমারে জিগাইলেন কেন?
    আমি তো শুধু সেই সময়কার ভারতীয় চীনা পন্থীদের মতামতটুকু তুলে ধরেছি। এগুলো আমার মতামত নয়। তাই তার জবাবের দায়ও আমার নয়।
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ১০:৪৬576889
  • মুজিবের বিরুদ্ধে মূল ক্ষোভটা সম্ভবতঃ অগণতন্ত্রের জন্য, একদলীয় শাসন কায়েম করা নিয়ে।
    যেকোনও অগণতান্ত্রিক শাসক জনতার কাছে অপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। এবং বহুক্ষেত্রে ধর্মীয় মৌলবাদ সেই ক্ষোভকে দখল করে ন্যায়।

    যদি বিশ্বযুদ্ধে জাপান জিতত, বা নেতাজি কোনও ভাবে ভারতের শাসক হত, তার অবস্থাও একদিন মুজিবের মতন হত মনে করি।
  • কল্লোল | 125.241.101.39 | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ১৭:১৪576900
  • সে সব ক্ষোভ তো মুজিব ক্ষমতায় আসার পরের গল্প। কিন্তু ক্ষমতায় আসার আগেও তো চীন ও চীনপন্থীরা মুজিবের ওপর খাপ্পা।
    কেন? সেটাই তো কুলদা বলবে।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০০:৪৩576911
  • এতো পঞ্চার বাপ আর খাপের খাপ মিলে যাওয়ার মত কেস! মাওপন্থী কিষেণজী এবং তাঁর সমর্থকেরা সিপিএমের বদলে তিনোদের ক্ষমতায় দেখতে চাইতেন আর অন্য একজন চীনাপন্থী মুজিবের মুণ্ডুপাত করছেন। অসীম চাটুজ্জে অবিশ্যি আজকাল সদাই দাবী করেন যে তাঁদের তখনকার লাইনটা ভুল ছিল-অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে যে মুজিব সম্পর্কে তাঁর অবস্থানটাও ভুল ছিল।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৩:৫২576922
  • শেখ মুজিব, আমরা তাকে বঙ্গবন্ধু বলতেই স্বস্তিবোধ করি, সে বঙ্গবন্ধু একাত্তরের পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তাকে মেরে ফেলার পরে ক্ষমতায় ছিলেন--
    ১) মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান--
    তিনি সেনাতন্ত্র কায়েম করেন, পাকিস্তানী কোলাবরেটরদের দেশে ফিরিয়ে আনেন, সংবিধান থেকে সেক্যুলারিজিম-সমাজতন্ত্র মুছে দেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেন। ধর্মের নামে রাজনীতিক দল করার আইন জারী করেন। ক্ষমতায় ছিলেন--(১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত)।
    ২) জেনারেল হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ--পাকিস্তানী ভাবধারায় রাষ্ট-ধর্ম হিসাবে ইসলামকে জারী করেন, গণতন্ত্র বাতিল করে সেনাতন্ত্র এবং দূর্নীতিকে তৃণমূল পর্যন্ত নিয়ে যান। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেন রাষ্ট্রীয়ভাবে। ক্ষমতায় ছিলেন--১৯৯০ সাল পর্যন্ত)।
    ৩) খালেদা জিয়া--জঙ্গী মৌলবাদীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। এবং আগের দুই জেনারেলের নীতিকেই কঠোরভাবে অনুসরন করেন। সংখ্যালঘু নির্যাতনে রেকর্ড গড়েন। তিনি দু টার্মে ক্ষমতায় ছিলেন।
    একাত্তরের পর থেকে এরাই বেশীদিন ক্ষমতায় ছিলেন।
    এখন প্রশ্ন হল--আলোচনায় বাংলাদেশ প্রশ্ন এলেই চিনাপন্থীরা এদের নাম কখনোই নেন না। সোজা গালী দিয়ে বসেন শেখ মুজিবকে। শেখ মুজিবের চেয়ে কী এরা কী ভালো ছিলেন?
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৪৩576933
  • চিনাপন্থীরা কি এখনও আছে ? সুশান্ত-বাবু কি নিজেকে চিনাপন্থী বলেন?
    বর্তমান চীন দেশ ক্যাপিটালিজম আর ডিক্টেটরশিপের মিশ্রণ, কোন কোন মাপকাঠিতে উন্নয়ন হচ্ছে অনেক, কিন্তু মানবাধিকারের অব্স্থা অতীব করুণ, প্রেস সেন্সরশিপ ইঃ এড়িয়ে যেটুকু চোখে পড়ে।
    ২০১২-তে চিনাপন্থী কারা?
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৪৯576732
  • পরবর্তী শাসক-দের ব্যাপারে কুলদা বাবুর সাথে প্রচণ্ড ভাবে একমত - জিয়া, এরশাদ, খালেদা কি সব লোক, বাপরে বাপ। শেখ সাহেব এদের চেয়ে শতগুণে ভাল ছিলেন, imho।
  • তাতিন | 127.197.72.75 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৫২576743
  • এদের সমালোচনা করার আলাদা করে কিছু নেই। কিন্তু, বাকশালি নীতির মধ্যে দিয়ে এদের আসার ভবিষ্যৎ তৈরি করেছিলেন শেখ মুজিবই। যে ঘোষিতিভাবে প্রতিক্রিয়াশীল, তাকে আলাদা করে প্রতিক্রিয়াশীল বলার কি আর আছে। কিন্তু মুজিবের একটা ন্যুনতম প্রগতিশীল ভাবমূর্তি আছে, সেইখানে তাঁর ডিক্টেটরিয়াল পার্টটা বেশি চোখে পড়ে এবং চোখে পড়ে যে সেই ভূমিকাটার জন্যই পরবর্তীকালে ইসলামি মৌলবাদ উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:২৮576754
  • তাতিন-কে সমর্থন। মুজিবের কাছে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশকে সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে একমাত্র উনিই হয়ত পারতেন। ওর ব্যর্থতা ইসলামি মৌলবাদকে আবার প্রভাব বিস্তারের সুযোগ দেয়।
  • kc | 204.126.37.78 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:০৪576776
  • আসল বইটা আমার কাছে আছে। মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে দীপক ঘোষের বইটার মত একদম। শুধু কেচ্ছাতে ভর্তি। ফালতু বই।
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:১০576787
  • 'আমার ফাঁসী চাই' -এই বইটা আমারও আছে। ফালতু-ই মনে হয়েছিল পড়ার সময়, তবে ঘটনা (বা কেচ্ছা)-গুলোর কিছু সত্যি কিনা জানি না।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ০৪:০৭576798
  • ধন্যবাদ তাতিন। PTএবং অরণ্য এবং কল্লোলদা। আপনারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।
    তাহলে বোঝা যাচ্ছে--বঙ্গবন্ধুর সমস্যা হল--
    ১) তিনি বাকশাল করেছিলেন।
    ২) এক নায়কতন্ত্র গড়ে তুলেছিলেন।
    ৩) তিনি আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা গড়ে তুলতে পারেননি।
    ৪) এই ব্যর্থতার কারণে ইসলামী মৌলবাদের বিস্তার ঘটেছে।

    তাহলে আমার প্রশ্ন হল--বাকশালের সমস্যা কী ছিল বলে আপনারা মনে করেন?
    যুক্তি-প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে বাকশালকে গালি দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আশা করছি এটা বাকশালকে অপছন্দ কারার কারণগুলো ব্যাখ্যা করবেন। এবং আলোচনাগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ০৯:০৬576809
  • বাকি সব দলকে নিষিদ্ধ করে এক-পার্টি শাসনব্যবস্থা চালু করা হলে তাকে গালি দিতে যুক্তিপ্রমাণও লাগে নাকি!
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫০576820
  • সোভিয়েত রাশিয়ায় কয়টা পার্টি ছিল? চীন দেশে কয়টা পার্টি ক্ষমতায় আছে? কিউবায় কয়টা পার্টি আছে?
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১০:৪৮576831
  • এই ব্যবস্থাগুলোকে কি গালি দেওয়া হয় না?
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১১:১৫576843
  • কিছু লোক/পার্টি থাকে যারা দুনিয়ার প্রায় সব কিছুর ওপর খ্যাপা।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৩:১৬576854
  • একদলীয় শাসনব্যবস্থা হলেই সেটাকে গাল দিতে হবে কেন? ভারতীয় বহুদলীয় ব্যব্স্থা নাকি অধিকাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে "উন্নয়ন" করছে -সেটা তো এই গুরুর পাতাতেই অনেকে লিখেছে।

    মুজিব হত্যার পরের দিনগুলোতে যারা ক্ষমতায় ছিল,এমনকি ভোটে জিতেও ছিল তারা কি আরও ভাল সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করেছিল? এরশাদকে একসময়ে পৃথিবীর গরীবতম দেশের ধনীতম রাষ্ট্রপতি বলা হত। এরা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশীদের কোন উপকারটা হয়েছে?
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৪:১৩576859
  • একদলীয় শাসনব্যবস্থা না এলে এরা আসত না ক্ষমতায়
  • কল্লোল | 111.62.122.212 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০৪576860
  • কুলদা।
    বাকশাল - বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টি এক হয়ে তৈরী হয়। সেই সময় অন্য সব পার্টিকে আইনতঃ অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়। সেই সময় আভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থাও জারী করা হয়।
    বাকশালকে অপছন্দ করার এটাই যথেষ্ট কারন।
    চীন-সোভিয়েৎ-কিউবা এসব দেশেও তাই হয়েছে। আমার মনে হয় না এই কারনে চীনপন্থীরা মুজিবের ওপর খাপ্পা।
    আপনি বাকশালের ভালো দিক্গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আমি শুনবো।
    হ্যাঁ, মূল বিষয়টা চীনপন্থীরা কেন মুজিবের ওপর খাপ্পা সেটাতে আপনার মত জানতে আগ্রহী।
  • dd | 120.234.159.216 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৬:৩৫576861
  • চীন ছিলো চীনপন্থী। আগাগোড়াই।

    আর সে সময়ে ,ঐ সত্তরের দশকে ,তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতির উদ্যোক্তা,প্রবক্তা,হোতা লালচীনের দরকার ছিলো পাকিস্তান/আম্রিগার দিকে ঝুঁকবার। ফলত ভারতের চীনাপন্থীদেরও আর কোনো অপশন ছিলো না।

    নীরেট নিশ্ছিদ্র জিও পলিটিক্সের অমোঘ তাড়নায় তাই চীন স্বচ্ছন্দে বাংলাদেশের লিবারেশন লড়াইকে সমর্থন করে নি। কলকাতায় বসে আমরা খুব আতান্তরে পরেছিলাম। সে কি কথা? যেখানেই নিপীড়ন সেখানেই প্রতিবাদ। অত্যাচার সাম্রাজ্যবাদ করে আম্রিগা। তাতে এট্টুআট্টু ধুঁয়ো দেয় সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী সোভিয়েত রাশিয়া। আর দুনিয়ায় দিকে দিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলে চীন। মুক্তির লড়াই মানেই মাও।

    এইটাই তো ইকুয়েশন। এরকম নামতাই শিখেছিলাম আমরা। শুধু এই কারনেই মুজিব ক্ষমতায় আসলে গোঁ ধরা মাওবাদীরা খুসী ছিলো না। নেহাৎই এক ঐতিহাসিক অ্যাক্সিডেন্ট তায় ইন্দিরা গাঁধির প্ররোচনায় মুজিব ক্ষমতায় এসেছে। আমি(ও আমরা) সব সময়েই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য মুখিয়ে থাকতাম । মুজিব যে তলে তলে একটি দালাল বিশেষ সেটি পষ্টো করে প্রমানের জন্য।

    এই হোলো ইতিহাস বা নস্টালজি।
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৯:৪৪576862
  • ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বক্তৃতাটি জনসম্মুখে বঙ্গবন্ধুর শেষ বক্তৃতা। আর এখানেই তিনি বিশ্লেষণ করেছিলেন তার দ্বিতীয় বিপ্লব বা বাকশালের পরিকল্পনার।
    শুনুন- তার ভিডিও--
    http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=4BEgMGYFpcE
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ১৯:৫০576863
  • বাকশাল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি সাক্ষাতকার

    বঙ্গবন্ধু, আপনার রাজনৈতিক চিন্তাধারার মূলনীতি বা লক্ষ্য কি?

    আমার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা ধ্যান ও ধারণার উৎস বা মূলনীতিমালা হলো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চার মূলনীতিমালার সমন্বিত কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি শোষণহীন সমাজ তথা আমার দেশের দীনদুখী শোষিত বঞ্চিত শ্রমজীবি মেহনতী মানবগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের সমষ্ঠিগত প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক একনায়কতান্ত্রিক’ শাসন প্রতিষ্ঠাকরণই আমার রাজনৈতিক চিন্তাধারার একমাত্র লক্ষ্য।

    বঙ্গবন্ধু, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র কি একযোগে বা পাশাপাশি চলতে পারে?

    যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তাকে সংখ্যালঘু ধনিক শোষকদের গণতন্ত্র বলাই শ্রেয়। এর সাথে সমাজতন্ত্রের বিরোধ দেখা দেয় বৈকি। তবে গণতন্ত্র চিনতে ও বুঝতে আমরা ভুল করি। কারণও অবশ্য আছে। আর তা হলো শোষক সমাজ গণতন্ত্র পূর্ণভাবে বিকাশলাভ করুক তা চায় না। এবং গণতন্ত্রকে কিভাবে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার হাতিয়ারে পরিণত করা যায়- এখানে চলে তারই উদ্যোগ আয়োজন। এভাবেই প্রকৃত গণতন্ত্রকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ অজ্ঞ জনগণই শুধু নয়- তথাকথিত শিক্ষিত সচেতন মানুষও প্রচলিত আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে বুঝতে অক্ষম। এরা ভাবে যে ভোটাভুটিই হলো গণতন্ত্র। একটু তলিয়ে দেখে না প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার কত পার্সেন্ট ভোট দিলো, কোন শ্রেনীর লোকেরা নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলো, কারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলো, ক্ষমতাসীনরা কোন পদ্ধতিতে তাদের শাসন করছে, সাধারণ জনগণ কতোটুকু কি পাচ্ছে। সুতরাং আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি- প্রচলিত গণতন্ত্রের বদৌলতে সমাজের মাত্র ৫% লোকের বা প্রভাবশালী ধনিকশ্রেনীর স্বৈরাচারী শাসন ও বল্গাহীন শোষণকার্য পরিচালনার পথই প্রশস্ত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রচলিত গণতন্ত্রের মারপ্যাচে সমাজের নিম্নতম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শাসন ও প্রভাব প্রতিপত্তি, সর্বপ্রকার দূর্নীতি শোষন অবিচার অত্যাচার ও প্রতারণায় সমাজের সর্ববৃহত্তম অজ্ঞ দুর্বল মেহনতী কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানব গোষ্ঠীর (শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ) মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

    প্রকৃত গণতন্ত্র বলতে আমি এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বুঝি, যে ব্যবস্থায় জনগনের বৃহ্ত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বৃহত্তর কল্যাণের নিমিত্তে তাদের জন্য, তাদের দ্বারা এবং তাদের স্বশ্রেণীভুক্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সরকার প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে তাদেরই প্রকৃত শাসন ও আর্থসামাজিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা প্রচলিত গণতান্ত্রিক উপায়ে অর্জিত হতে পারে না। কারণ প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে চলে অর্থ সম্পদের অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে এ জাতীয় আর্থ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া কোনো প্রকারেই সম্ভব না। একমাত্র সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতিই এদেরকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের কার্যকরী নিশ্চয়তা দিতে পারে-তাদের আর্থ সামাজিক মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এজন্য আমি মনে করি প্রকৃত গণতন্ত্রের আরেক নাম সমাজতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মধ্যেই প্রকৃত গণতন্ত্র নিহিত। এজন্যেই আমি গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি। আমি মনে করি প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের ভেতর কোনো বিরোধ নেই।

    অনেকে বলেন ‘বাকশাল’ হলো একদলীয় বা আপনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার একটি অপকৌশল- এ সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার মতামত দিন।

    সাম্রাজ্যবাদের অবশেষ পুঁজিবাদী সমাজসভ্যতা ও শোষক পরজীবিদের দৃষ্টিতে ‘বাকশাল’ তো একদলীয় শাসনব্যবস্থা হবেই। কারণ বাকশাল কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে আমি সাম্রাজ্যবাদের প্রতিনিধি বহুজাতিক পুঁজিবাদী শোষক, তাদের সংস্থা সমূহের লগ্নিকারবার এবং তাদের এদেশীয় সেবাদাস, এজেন্ট, উঠতি ধনিক গোষ্ঠীর একচেটিয়া শোষণ ও অবৈধ প্রভাবপ্রতিপত্তি-দুর্নীতি-প্রতারণার সকল বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য তাদের আঁতে ঘাঁ লেগেছে, বাকশাল ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীশক্তি শাসকরা এদেশে গোপনে অর্থ যোগান দিয়ে তাদের সেবাদাস ও এজেন্টদের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক কার্যক্রমকে বানচাল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সভাসমিতি এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমার সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কল-কারখানা, অফিস-আদালত, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন থানায় তাদের ভাড়াটে চরদের দিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, গণহত্যা, অসামাজিক কার্যকলাপ ও সাম্প্রদায়িক তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ষড়যন্ত্রের খবরা-খবর আমার কানে আসছে।

    প্রচলিত গনতান্ত্রিক বৈষম্য, শোষণ-দূর্নীতিভিত্তিক সমাজকে, দেউলিয়া আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, জরাজীর্ণ প্রশাসন ও অবিচারমূলক বিচার ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটিত করে একটি শোষণহীন, দূর্নীতিহীন, বৈষম্যহীন ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক সাম্যবাদী সমাজ বিপ্লবের পথ রচনা করেছি। এই সমাজ বিপ্লবে যারা বিশ্বাসী নন, তারাই বাকশাল ব্যবস্থাকে একদলীয় স্বৈরশাসন ব্যবস্থা বলে অপপ্রচার করছেন। কিন্তু আমি এ সকল বিরুদ্ধবাদীদের বলি, এতোকাল তোমরা মুষ্ঠিমেয় লোক, আমার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ দুখী মেহনতী মানুষকে শাসন ও শোষণ করে আসছো। তোমাদের বল্গাহীন স্বাধীনতা ও সীমাহীন দূর্নীতির মধ্য দিয়ে ব্যক্তিসম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতার হোলিখেলায় আমার দুখীমানুষের সব আশা-আকাংখা-স্বপ্ন-সাধ ধুলায় মিশে গেছে। দুখী মানুষের ক্ষুধার জ্বালা ব্যথা বেদনা, হতাশা-ক্রন্দন তোমাদের পাষাণ হৃদয়কে একটুও গলাতে পারেনি। বাংলার যে স্বাধীনতা তোমরা ভোগ করছো, এই স্বাধীনতা, এই দেশ, এই মাটি ঐ আমার দুখী মেহনতী মানুষের সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন সংগ্রাম এবং জীবন মৃত্যুর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তোমাদের অবদান কতটুকু আছে, নিজেদের বুকে একবার হাত দিয়ে চিন্তা করে দেখো। বরং অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছো। বিদেশী শাসক-শোষকদের সহায়তা করেছো। নিজের ঘরে থেকে ভাইয়ের ঘর পুড়িয়েছো, মানুষকে হত্যা করেছো। মা-বোনদের লাঞ্ছিত করেছো, আরো কি না করেছো! এসবই করেছো ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের ঘৃন্য লক্ষ্যে।

    আমার দেশের মাত্র ৫ পার্সেন্ট লোক ৯৫ পার্সেন্ট লোককে দাবিয়ে রাখছে, শাসন-শোষণ করছে। বাকশাল করে আমি ওই ৯৫ ভাগ মানুষের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক শাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করেছি। এতকাল মাত্র ৫ ভাগ শাসন করেছে, এখন থেকে করবে ৯৫ ভাগ। ৯৫ ভাগ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথে ৫ ভাগকে মিশতে হবে। আমি মেশাবোই। এজন্য বাকশাল করেছি। এই ৯৫ ভাগ মানুষকে সংঘবদ্ধ করেছি তাদের পেশার নামে, তাদের বৃহত্তর কল্যাণে, তাদের একক দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশালে। মূলত বাকশাল হচ্ছে বাঙালীর সর্বশ্রেণী সর্বস্তরের গণমানুষের একক জাতীয় প্লাটফর্ম, রাজনৈতিক সংস্থা, একদল নয়। এখানে স্বৈরশাসনেরও কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাঙালী জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত বা সমষ্ঠিগত শাসন ব্যবস্থায় কে কার উপর স্বৈরশাসন চালাবে? প্রত্যেক পেশার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে শাসন পরিষদ গঠন করা হবে। কোনো পেশা বা শ্রেণী অন্য পেশার লোকদের ওপর খবরদারী করতে পারবে না। যে কেউ যিনি জনগনের সার্বিক কল্যাণের রাজনীতিতে তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তিনি এই জাতীয় দলে ভিড়তে পারবেন।

    যারা বাকশালকে একদলীয় ব্যবস্থা বলেন, তাদের স্মরণ করতে বলি, ইসলামে ক’টি দল ছিলো? ইসলামী ব্যবস্থায় একটি মাত্র দলের অস্তিত্ব ছিলো, আর তা হলো খেলাফত তথা খেলাফতে রাশেদীন। মার্কসবাদও একটি মাত্র দলের অনুমোদন দিয়েছে। চীন, রাশিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম কিংবা অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রে কতটি করে দল আছে? এইসব ইসলামী রাষ্ট্রসমূহকে বাদ দাও, ওখানে মহানবীর ইসলাম নেই। বস্তুত প্রকৃত গণতন্ত্র বা সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই একটি একক জাতীয় রাজনৈতিক সংস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি জাতীয় কল্যাণের অভিন্ন আদর্শে, ব্যাপক মানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি মাত্র রাজনৈতিক সংস্থার পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু বহুদলীয় তথাকথিত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়। সেখানে বহুদলে জনগণ বহুধা বিভক্ত হতে বাধ্য। আর বিচ্ছিন্ন, বিভক্ত, পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বসংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানির রাজনীতি দিয়ে জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কোনোভাবেই অর্জিত হতে পারে না। ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেয় না। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও তাই বলে।

    বঙ্গবন্ধূ, বাকশালের মূল লক্ষ্য বা এর কর্মসূচী সম্পর্কে কিছু বলুন

    বাকশালের মূল লক্ষ্য তো আগেই বিশ্লেষণ করেছি। তবে এক কথায় আমি যা বুঝি তা হলো একটি শোষণহীন, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ ও শোষিতের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠাকরণ। বাকশাল কর্মসূচীকে আমি প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। এক. রাজনৈতিক, দুই. আর্থসামাজিক, তিন. প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থা

    এক. রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেক পেশাভিত্তিক লোকদের জাতীয় দল বাকশালে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা রেখেছি। এবং পর্যায়ক্রমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় দলের একাধিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনগণ তাদের মধ্যে থেকে একজনকে নির্বাচিত করবেন। প্রেসিডেন্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। জাতীয় দলের সদস্য যে কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট পদাধিকার বলে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হবেন। প্রেসিডেন্ট জাতীয় সংসদের আস্থাভাজন একজনকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীদের নিয়োগ করবেন। সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থায় প্রেসিডেন্টকে অপসারিত করতে পারবেন। মন্ত্রীসভা প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদের কাছে দায়ী থাকবেন। স্থানীয় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্ব প্রত্যক্ষভাবে বজায় থাকবে।

    দুই. আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক বহুমূখী গ্রাম-সমবায় প্রকল্প। এর মাধ্যমে গ্রামীন আর্থব্যবস্থায় উন্নয়ন বা স্বনির্ভর-স্বাধীন গ্রামীন ব্যবস্থা, বিশেষ করে ভূমিসংস্কারের প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূমিহীন কৃষকদের পুনর্বাসন তথা কৃষকদের হাতে জমি হস্তান্তর, উৎপাদন বৃদ্ধি ও সাম্যভিত্তিক বন্টন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। ভারী শিল্পকারখানা, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, বৈদেশিক বানিজ্য, ব্যাংক, বীমা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি জাতীয়করণ করে জনগণের যৌথ শেয়ার মূলধনে নতুন নতুন কৃষিজাত শিল্প ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা ও সংস্থা প্রতিষ্ঠা। সীমিত ব্যক্তিমালিকানাকে উৎসাহদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন সংস্থাসমূহ যাতে জনসাধারণ ও তাদের শ্রমিকদের শোষণ করতে না পারে তার ব্যবস্থা থাকবে।

    তিন. প্রশাসনিক কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, কর্পোরেশন ও বিভাগগুলোর পুনর্বিন্যাস ও পুনর্গঠন তথা মাথাভারী প্রশাসনের উচ্ছেদ সাধন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জেলা গভর্নর ও থানা প্রশাসনিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশের সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ, মহকুমা ও বিভাগীয় প্রশাসনকে তুলে দেয়া হচ্ছে। জেলা ও থানাগুলো জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হবে। গ্রাম সমবায় পরিষদ সদস্যদের ভোটে থানা পরিষদ গঠিত হবে। তবে থানা পরিষদের প্রশাসক/চেয়ারম্যান ও জেলা গভর্ণর জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। থানা প্রশাসক/চেয়ারম্যানরা ও জেলা গভর্ণররা জনগণ, স্ব স্ব পরিষদ ও প্রেসিডেন্টের কাছে দায়ী থাকবেন। গ্রাম সমবায় পরিষদ থানা পরিষদের কাছে, থানা পরিষদ জেলা পরিষদের কাছে দায়ী থাকবে। গ্রাম সমবায় পরিষদ, থানা পরিষদ, জেলা পরিষদ- এরপরই থাকবে জাতীয় সরকার। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে জাতীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে বিপুলভাবে বিকেন্দ্রিকরণ করে প্রশাসনকে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসনিক আমলাতন্ত্র, স্টিলফ্রেম গতানুগতিক বা টাইপড চরিত্রকে ভেঙ্গে গুড়ো করে দেবার ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারী কর্মচারীরা এখন থেকে জনগণের সেবক।

    বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টকে রাজধানীতে বহাল রেখে হাইকোর্ট বিভাগকে আটটি আঞ্চলিক বিভাগে বিকেন্দ্রিকরণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সুপ্রিমকোর্টের অধিবেশন বছরে অন্তত একবার করে প্রতিটি আঞ্চলিক বিভাগে (হাইকোর্ট) বসবে। জেলা আদালতসমূহ বহাল থাকবে। প্রতিটি থানাতে থাকবে একাধিক বিশেষ ট্রাইবুনাল। প্রত্যেকটি আদালতে যে কোনো মামলা ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মিমাংসা করতে হবে। গ্রামে থাকবে একাধিক শালিস বোর্ড। শালিস বোর্ড গঠিত হবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে। শালিস বোর্ড চেয়ারম্যান থাকবেন সরকার নিয়োজিত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটরা। এভাবে সুষ্ঠু, ন্যায় ও দ্রুততর গণমুখী বিচারকার্য সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধু, অনেকে বলেন, আপনি নাকি কোনো একটি পরাশক্তির চাপের মুখে বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাকশাল কর্মসূচী দিয়েছেন এবং এ ব্যবস্থা নাকি সাময়িক কালের জন্য করেছেন- এ বিষয়ে আপনি অনুগ্রহ করে কিছু বলবেন কি?

    কারো প্রেশার বা প্রভাবের নিকট আত্মসমর্পন বা মাথা নত করার অভ্যাস বা মানসিকতা আমার নেই। এ কথা যারা বলেন, তারাও তা ভালো করেই জানেন। তবে অপপ্রচার করে বেড়াবার বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই, তাই উনারা এ কাজে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। করুন অপপ্রচার। আমি স্বজ্ঞানে বিচার বিশ্লেষণ করে, আমার অভিজ্ঞতার আলোকে, আমার দীনদুখী মেহনতী মানুষের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আমি বাকশাল কর্মসূচী দিয়েছি। আমি যা বলি, তাই করে ছাড়ি। যেখানে একবার হাত দেই সেখান থেকে হাত উঠাই না। বলেছিলাম এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো, মুক্ত করেছি। বলেছি শোষণহীন দুর্নীতিমুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলা গড়বো, তাই করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। কোনো কিন্তুটিন্তু নাই, কোনো আপোষ নাই।

    বঙ্গবন্ধু, বাকশাল বিরোধীমহল অর্থাৎ ঐ ৫% সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও তাদের হাতেই রয়েছে বিপুল সম্পদ। তাদের সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী শক্তির যোগসাজশ। তাদের পেইড এজেন্টরাই রয়েছে প্রশাসনিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার কেন্দ্রে। তাদের কায়েমী স্বার্থের উপর আপনি আঘাত হানতে যাচ্ছেন, এই অবস্থায় তারা চোখ মেলে, মুখ গুজে বসে থাকবে বলে আপনি মনে করেন? তারা তাদের অবস্থান নিরাপদ ও সংহত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না?

    আমি জানি তারা বসে নাই। ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিদিনই ষড়যন্ত্রের উড়ো খবর আমার কাছে আসে। সাম্রাজ্যবাদ ও তার পদলেহীরা এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গোপন পথে অঢেল অর্থ এ কাজে লাগাবার জন্য বাংলাদেশে আসছে। সুকৌশলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ চলছে। অপপ্রচার চলছে। আমি জাতির বৃহত্তর কল্যাণে এ পথে নেমেছি। জনগণ সমর্থন দিচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্র করে, বাধার সৃষ্টি করে, হুমকি দিয়ে আমাকে নিবৃত্ত করা যাবে না। আমার কাজ আমি করে যাবোই।

    হয়তো শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরোয়া করি না। ও মৃত্যু আমার জীবনে অনেকবার এসেছে। একসিডেন্টলি আজো আমি বেঁচে আছি। অবশ্যই আমাকে মরতে হবে। তাই মৃত্যু ভয় আমার নেই। জনগন যদি বোঝে আমার আইডিয়া ভালো, তাহলে তারা তা গ্রহণ করবে। আমার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। আমার একটা বড় স্বান্তনা আছে, যুদ্ধের সময় আমি জনগনের সাথে থাকতে পারিনি। জনগণ আমারই আদেশ ও নির্দেশে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের এই শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবে আমি যদি নাও থাকি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার বাঙালীরা যে কোনো মূল্যে আমার রেখে যাওয়া আদর্শ ও লক্ষ্য একদিন বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।
  • তাতিন | 127.197.65.191 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ২০:৫১576864
  • উফফ, পুরো অ্যাসিড তো

    ইন্দিরা কি মুজিবাইট?
  • কল্লোল | 125.241.111.173 | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ২১:৩১576865
  • কাদের উদাহরণ দিলেন "বঙ্গবন্ধু"? ইসলাম ও মার্কসবাদের।
    কি কুলদা ঠিক আছে তো? মাও এবং স্তালিনও তো এই কথাই বলেছিলেন।
    ঠিক আছে তো?
  • দেব | 127.197.250.199 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ০০:০৩576866
  • যা বলার মোটামুটি ইতিমধ্যেই লোকজন বলে দিয়েছেন। আমার দুপয়সা -

    ৭১ এ চীনপন্থীরা শেখ মুজিবের বিরোধিতা করেছিলেন কারণ চীন সেইসময় পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে। এবং এরা ভারত সরকারকে (ভারতের সরকার, ভারত দেশ নয়) সন্দেহের চোখে দেখতেন। আমি মনে করিনা সেটা এদের প্রধান ভুল। যেকোন ইস্যুতে দুটো আলাদা অবস্থান থাকতেই পারে। কিন্তু এরা তার থেকে অনেক বড় ভুল বা অন্যায় করেছিলেন ৭০ এর নির্বাচনে মানুষের রায়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে। মুজিব বা আওয়ামী লিগের সাথে যাই সম্পর্ক থাকুক যে পার্টি ১৬৯ টা আসনের মধ্যে ১৬৭ টা তে জিতেছে তাকে ভারত-রাশিয়ার দালাল বলে দাঁত দেখালে সেটা চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতা। তার শাস্তিও এরা পেয়েছেন। বিলুপ্ত হয়ে গেছেন বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে। অবশ্য এটা চীনপন্থীদের একার বিশেষত্ব নয়। দক্ষিণ এশিয়ার সবকটা কমিউনিষ্ট পার্টিই চিরকালই তালকানা, হেডলেস। মস্কো বা বেজিং কে বাদ দিয়ে স্বাধীন অস্তিত্ববিহীন। যদি ঘটনাচক্রে চীন মুজিবকে সমর্থন করত এবং রাশিয়া পাকিস্তানকে, তাহলে আজকে দেখা যেত রাশিয়াপন্থীরা মুজিবের বিরুদ্ধে চলে গেছেন এবং চীনপন্থীরা সপক্ষে। কথাটা শুনে গায়ে লাগলে ১৯৪২ এর আন্দোলনের সময় (বা আজাদ হিন্দ ফৌজের ব্যাপারে) এদের অবস্থানটা খেয়াল করুন।

    জামাত যে কারণে মুজিব বিরোধিতা করে, চীনপন্থীরাও ঠিক সেই কারণে করেন কি? এটা আমার ঠিক জানা নেই। যদি না করেন তাহলে বিরোধিতা করেন বলেই দুটোকে একাসনে বসানোটা একটা লজিক্যাল ফ্যালাসি। লাল আর সবুজ দুটো রংই নীলের থেকে আলাদা। তাই বলে লাল আর সবুজ সমান কি? দুটো দলের আর্গুমেন্টগুলোকে আলাদা আলাদা করেই দেখা উচিত। মুজিব প্রথম জীবনে মুসলিম লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বাংলাভাগের পেছনে খেটেছিলেন। কন্ট্রোভার্সির স্কোপ আছে অনেক।

    বাকশালের ব্যাপারে সরি। অগণতান্ত্রিক কোন সিস্টেমকেই গ্রহণযোগ্য মনে করি না সে আপনার ম্যানিফেষ্টোতে যতই মিষ্টি কথা থাকুক না কেন। পিরিয়ড। সে বাংলাদেশে মুজিব হন, ভারতে ইন্দিরার জরুরি অবস্থা বা কাশ্মীরের রিগড নির্বাচন, কিউবা, নর্থ কোরিয়া বা ৫০ থেকে ৮০র দশক পর্যন্ত সাউথ কোরিয়া। তবে হ্যাঁ মুজিব হত্যার পেছনে বাকশালের ভূমিকা ডিবেটেব্ল। বাকশালের অপশাসনে বাংলাদেশে কোন গণঅভ্যুথানে তিনি পদচ্যূত হননি, নিহত হয়েছিলেন প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে। তাকে সরিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাও আরেক বাকশাল কায়েম করেছিলো।
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ০১:৩২576868
  • যা বলব ভাবছিলাম, দেব লিখে দিয়েছে।
    শুধু একটি কথা, মুজিব বাকশালের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রত্যক্ষভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে তিনি পদচ্যুত হন নি। ঠিক কথা। কিন্তু, গণঅভ্যুত্থান কি তিনি হতে দিতেন?
    নতুন রাষ্ট্রের জন্মের পর একটা ওয়ার্কেবেল সিস্টেমে আসতে সময় লাগে, প্রথম দিকে ক্যাওস থাকে। একনায়কতন্ত্র বিলুপ্ত হয় আর এক একনায়কতন্ত্র দ্বারা।
    ভারতের কথা ধরুন, স্বাধীনতার পরে ৩০ বছর লেগেছে প্রথম অ-কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতায় আসতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন