এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলাদেশের শাহাবাগ য়ে রাজাকার যুদ্ধপরাধী দের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিরাট আন্দোলন চলছে।দলে দলে যোগ দিন।

    CHANDAN SARKAR
    অন্যান্য | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ১৬৫১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • চান্দু মিঁঞা | 127.216.46.150 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২০:৪২583977
  • এই হল কথা অপরাধী যতক্ষণ না তার নিজের কাছে অপরাধ স্বীকার করছে কোন শাস্তি দিয়েই কোন লাভ হবেনা, শুধুমাত্র প্রতিহিংসা চরিতার্থ হতে পারে মাত্র।

    আর সেই জন্যই আইসোলেশনে রাখা যাতে সে ভাবতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করতে পারে।
  • কল্লোল | 125.241.16.5 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২০:৫০583978
  • প্রচলিত শাস্তিব্যবস্থায় সংশোধন তো হয়ই না। বরং শাস্তির দেবার নামে হয় তাকে আরও বড় অপরাধী বানিয়ে তোলে, অথবা পয়সা ছাড়িয়ে জেলে দিব্যি থাকে।

    19 এপ্রিল 2010 এ একটা লেখা ছিলো বুলবুলভাজায় - প্রিয় বইয়ের সাথে আলাপ। তার দ্বিতীয় কিস্তিতে "বৃদ্ধার নির্বাসন" শীর্ষকে এই নিয়ে লেখা ছিলো। আমি প্রথম কিস্তিটা পাচ্ছি।
    http://www.guruchandali.com/default/2010/04/19/1271685920212.html
    পরেরটা পাচ্ছি না। কেউ খুঁজে দেবে?
  • Ekak | 125.118.15.170 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:০৪583980
  • "আর সেই জন্যই আইসোলেশনে রাখা যাতে সে ভাবতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করতে পারে।"

    দোষ উপলব্ধি তা কী জিনিস ? যে কাওকে কোনো পার্টিকুলার এক্তিভিতির পর পাকরাও করে এলিয়েনেট করে দিলে সে ভাবতে বসবে ক্যান এমন করা হলো এবং তারপর কস-এফেক্ট মিলিয়ে সিদ্ধান্ত করবে যে নিশ্চই অমুক কাজ করেছিলুম বলে শাস্তি পেলুম । এতে দোষ উপলব্ধি তা কোথায় ?

    ওই থেকে যে অনুশোচনা আসবে তাও কোনো উপলব্ধি ফবধি নয় । পাতি কস-এফেক্ট । আসলে অনুশোচনা == উপলব্ধি এটাই তো মিশনারী দের কনসেপ্ট । এখানে তফাত শুধু "ঈশ্বর এমন প্রেম করিলেন ,,,,,," টা নেই ।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.216.46.150 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:১৪583982
  • কল্লোলদার লেখা পড়েছেন অপরাধীর অপরাধবোধ জাগিয়ে দেওয়া সেটাই দোষের উপলব্ধি। কজ আর এফেক্টের হিসেব মনুষ্যেতর প্রাণীও বোঝে।

    চান্দু মিঁঞা
  • কল্লোল | 125.241.16.5 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:১৪583981
  • ওঃ চান্দুভাই, কি যে বলি আপনাকে। আপনার মুখে টুন্ডে কাবাব অক্ষয় হোক।
  • Ekak | 125.118.15.170 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:২৪583983
  • না অমনটা মনে করিনা । আর একী কথা বারবার ঘ্যান্ট পাকানো পশাচ্চেনা । শান্তিকল্যাণ হোক ।আসি ।
  • dd | 132.167.23.49 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৩৪583984
  • "যারা ফাঁসির পক্ষে তাদের জানাই, যান আপনি গিয়া নিজের হাতে ফাঁসি দেন, পারবেন?" - জিগালেন চাঁদু স্যার।

    একেবারে পষ্টই লিখি আমার হাত কাঁপবে না। কিন্তু যে গরুর কাবাব খাবো তাকে কাটতে পারবো না। মনে হয়।

    আর আমি প্রো ফাঁসি। বহুৎ কচকচানি হয়েছে, আর কি ল্যাখার আছে। প্রামান্য যুক্তি তো কিছু নেই কোনো পক্ষেই। এ গুলো ইমোটিভ ইস্যু। যার যেটা মনোভাব। এসব নিয়ে তক্কো হয় না।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.192.141 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৪১583985
  • আমার সামান্য অভিজ্ঞতাটুকুও বলি। আমার বাবা চাবাগান শ্রমিকদের ডিফেন্স লইয়ার ছিলেন। শুধু চাবাগান শ্রমিকদেরই নয়, গ্রামের লোকেদের কেস নিতেন। কী হত, জমিদার হয়তো প্ল্যান করছে, কুলিরা অথবা গ্রামের লোকেরা জানে আজ গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তারা আগে থেকে তৈরি হয়ে আছে। এবারে জমিদারের লোক খুন হয়ে গেল। এরা যে প্রিপেয়ারড, জমিদারের লোক তা জানে না কাজেই যথেষ্ট পরিমানে সতর্ক ছিল না। সেলফ ডিফেন্সে খুন নয়, প্রিমেডিটেটেডই বলতে হবে। কিন্তু এরা বেকসুর খালাস হত। আইন দিয়ে কত কী করা যায়, গরীবকেও বাঁচানো যায়। কিন্তু কজন গরীব মানুষ আর ঠিকমতন উকিল পায়। বাবার না হয় টাকার প্রয়োজন কম ছিল। সে যাই হোক, বাবা এদেরকে অপরাধী 'জাতীয়' লোক বলে ভাবেন নি বলে আমিও ভাবি নি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.192.141 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৫৮583987
  • এগুলো সবই খুনের মামলা। তা সত্বেও বলব, মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে প্রচলিত যুক্তিগুলো ইন্যাডিকুয়েট।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:০৪583988
  • আইডিয়াল সমাজে, যেটা অবশ্যই ইউটোপিয়া, শেখ সুহান-এর কেসটা হয়ত আলাদাভাবে দেখা হত। একজন দুষ্কৃতীর ছেলে, বাবা রাইভাল মাফিয়ার হাতে খুন হয়েছে, ছোটবেলা থেকে অপরাধ জগতের সান্নিধ্যে, বন্দুক-গুলি-বোমার মধ্যে বড় হয়েছে, সে গুলি চালানো ছাড়া আর কি করবে ?
    এই বাচ্চাটা (২১ বছর বয়স, বাচ্চাই বলছি)অন্য ভাবে বেড়ে ওঠার কোন সুযোগই পায় নি।
  • Yan | 161.141.84.239 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:০৯583989
  • ডাকাত গুন্ডা মাফিয়ারা কেন সংসার করে কেনই বা বাচ্চাকাচ্চা নেয়? এতো একধরনের ঝামেলা ওদের ঐ চরমপন্থী জীবনযাত্রায়! বিশেষ চাহিদার কথা যবি বলেন, তাইলে সেটা তো এরা পয়সা ফেলেই মেটাতে পারে! তাহলে এই বাচ্চাকাচ্চার ঝামেলা কেন????
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:১৩583990
  • ঠিক কইছেন, ইয়ান। সবারই হয়ত ইমোশনাল কম্পানি দরকার হয়। মাঝখান থেকে বাচ্চাগুলোর ঝাড় নামে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.192.141 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:১৮583991
  • অন্য ভাবে বেড়ে ওঠার কোন সুযোগই পায় নি। তাহলেও সে কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার করবে না। তাই তো মনে হয়।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:২৪583992
  • এই খুনটা যদি কোন প্ল্যানের অঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার, করতেই পারে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.192.141 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:৩৪583993
  • তাহলে আপনি একে ক্ষমা করে দেবেন?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.192.141 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:৪০583994
  • নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ফাদার ব্রাউন অনুবাদ বাঃ। কালকে পড়ব।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:৪৬583995
  • ম্যামি, অল্পবয়েসী ছেলেগুলোকে, লেগে থেকে বোঝাতে পারলে, অন্য পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে হয়ত খুনের ইচ্ছা মাথা থেকে তাড়ান যেতে পারে - এইরকম মনে হয়। বলেইছি তো ইউটোপিয়া। বাস্তবে কি করতাম জানি না, ভাগ্যিস আমি বিচারক নই।
  • স্বপন | 88.101.67.34 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২৩:৩৭583996
  • ইতিমধ্যেই দুটি রায় হয়ে গেছে এবং আসামিরা দন্ডিতও হয়েছে । অন্যান্য মামলাগুলিতেও আশাকরা যায় মামলা অনুযায়ী রায় ঘোষিত হবে। গত বিয়াল্লিশ বছরে এ কাজটা কোন সরকার করতে পারেনি। আন্দোলনকারিরা এতে খুশি নয়, তারা চায় কেবলমাত্র ফাঁসি। একমাত্র ফাঁসিই তাদের করতে পারে খুশি। তবে আদালত কি রায় দিবে আন্দোলনের দাবি অনুযায়ী, নাকি আইন এবং সাক্ষ্যপ্রমান অনুযায়ী? আর যদি আন্দোলনকারীরা আদালতের আইন বা সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নাই-ই থাকে তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নিলেই পারেন । সমস্যা কোথায়? এমনিতেও তো আইনি সিদ্ধান্ত মানছেন না তারা।

    চাপ প্রয়োগ করে কোন রায় বের করে আনার ফলাফল ভাল হতে পারেনা। এটা এই প্রসঙ্গে স্বয়ং সুলতানা কামালের কথা, যিনি নিজে এই ট্রাইব্যুনালে জামাতিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। যার মা প্ররম শ্রদ্ধেয় কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন গণআদালতের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। আজো স্পষ্ট মনে পড়ে বিরানব্বইয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণ আদালত মঞ্চে অসুস্থ্যতা সত্বেও তার উপস্থিতি এবং প্রত্যেকটি কথা।

    এখন পরিস্থিতি এমন যে, কোনরকম ভিন্নমত পোষন বা প্রকাশ করা মানেই আপনি রাজাকার বা দালাল। সকল রকম যুক্তিবুদ্ধির স্থান দখল করেছ সর্বগ্রাসীআবেগ। আশির দশক এবং নব্বই দশকের প্রথমার্থে ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের একজন কর্মীর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যতটুকু বর্তমান সরকার করেছে তা একসময় ছিল অসম্ভবপ্রায় কল্পনা। তাই ভয়ে আছি এই অর্জনটূকুও বা নষ্ট হয়ে না যায় আন্দোলনকারীদের অতিবিপ্লবীপনায়। আমি বুঝিনা ফাঁসি এবং যাবজ্জিবনের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। অপরাধ প্রমানিত হওয়া এবং তারজন্য দন্ড ভোগ করাটাই কি সবচাইতে আসল কথা নয়?
  • I | 24.96.105.200 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২৩:৪৭583998
  • স্বপনের কথা পছন্দ হল।
  • Yan | 161.141.84.239 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:৩২583999
  • একেকটা লোক, যাদের তিনশোর উপরে খুন প্রমাণিত, আরো বহু বীভৎস অপরাধ প্রমাণিত, যারা বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয় তার জন্য, সেইসব লোক যারা যাবজ্জীবনের রায় শুনে হাত দিয়ে ভি দেখায়, তারা---সেই সাংঘাতিক অপ্রাধীরা এই মুহূর্তে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবে না কেন, সেটাই তো প্রশ্ন আমার!!!!
    এরা জানে যাবজ্জীবন মানে এদের কিসুই হোলো না, সুকাল এলেই হাসতে হাসতে বেরিয়ে আবার বত্রিশ পাটি বার করে ঘুরতে পারবে। তাই ওরকম ভি দেখায়।
    এদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করা দরকার। আর কোনো কিছুই এদের জন্য থাকতে পারে না। কানে হরিনাম শোনানো কাসি বাজানো এইসব ফালতু সব কথা যারা বলছেন, তারা আসলে খিল্লি করতে চাইছেন বলে সন্দেহ হয় আমার।
  • কল্লোল | 125.242.150.250 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৬:৫৬584000
  • য়ান। একটু ভাবুন। এই লোকগুলো কেন অনুতপ্ত নয়? কারন তারা মনে করছে তারা যা করেছে ঠিকই করেছে। এখন পাকে পড়ে শাস্তি পাচ্ছে, বরং সেটাই তাদের সাথে অন্যায় হচ্ছে।
    এটা কি পাল্টানো যায়? আমি মনে করি যায়। সময় লাগে, কিন্তু যায়। যাবজ্জীবন দিলে সময়ও পাওয়া যায়। এদের সাথে তর্কে যেতে হবে। জেলে থাকাকালীনই ইসলামে সুপন্ডিতদের সাথে এদের কথা বলাতে হবে। এদের প্রমাণ করে দিতে হবে এরা যা করেছে তার সমর্থন ইসলামে নেই। তখনই এরা মানসিকভাবে ভাঙ্গবে। তখনই এরা অনুতপ্ত হবে। তা হলেই এদের ক্ষমা নয়। শাস্তি তো পেতেই হবে। সারা জীবনই জেলে থাকুক এরা।
    আপনি যদি মনে করেন এদের পাল্টানো যাবে না, তবে তর্ক নেই। কারন এগুলো বেসিক বিশ্বাসের কথা বোধের কথা, এতে তর্ক চলে না। কেউ মনে করে সব মানুষই সংশোধনযোগ্য। কেউ মনে করে সব মানুষই সংশোধনযোগ্য নয়।
  • Yan | 161.141.84.172 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৭:০৪584001
  • সমাজের বিরূদ্ধে অপরাধী, মানবিকতার বিরূদ্ধে অপরাধী, দেশের বিরুদ্ধে অপরাধী, বহু বাপ মা ও পুত্র কন্যার কাছে অপরাধী। এদের কেন লোকে নিজের কষ্টার্জিত অর্থে খাওয়াবে পরাবে ? মৃত্যুদন্ড হোক, আপদ যাক।
  • Yan | 161.141.84.172 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৭:১৩584002
  • সংশোধন ফংশোধন তো পরের কথা, আমাদের বর্তমান দুনিয়ার যেকোনো দেশের পুরো বিচার ও আইনব্যব্স্থা তো আসলে অন অ্যাভারেজ শান্তশিষ্ট ভদ্র আইন মেনে চলা লোকগুলো যাতে অপরাধীদের হাত থেকে কিঞ্চিৎ রক্ষা পেয়ে মানে মানে জীবন কাটাতে পারে। নইলে জেলে রাখারই বা দরকার কী? ছেড়ে রেখে কানে হরিনাম কী আল্লানাম কি যিশুনাম কি ডারউইননাম শোনালেই হয়! সংশোধন করা নিয়ে কথা!
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৭:২৪584003
  • মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ক্লিয়ার কোন টেক নেই, হয়ত কেস বাই কেস দেখা উচিত। তবে কল্লোল-দার কথাটা আমারও মনে হয়েছে, মৌলাবাদীদের কাউন্টার করার জন্য - 'ইসলামে সুপন্ডিতদের সাথে এদের কথা বলাতে হবে। এদের প্রমাণ করে দিতে হবে এরা যা করেছে তার সমর্থন ইসলামে নেই।'। অনেকটা বিধবাবিবাহের সমর্থনে জনমত গঠনের জন্য বিদ্যাসাগর যেমন হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ঘেঁটে যুক্তি বের করেছিলেন ...
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৭:৫২584004
  • মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ক্লিয়ার কোন টেক নেই কারণ যার ফাঁসী চেয়ে এতবড় আন্দোলন শুরু হল, সেই কাদের মোল্লার কথা যখন ভাবি, পিশাচ বললেও কম বলা হয়। বাংলাদেশের অতীত নিয়ে খুব সামান্যই জানি। মূলতঃ গুরুতেই যা পড়লাম, এনার আরেক নাম 'মীরপুরের কসাই'। ৭১-এ মেহেরুন্নিসা নামে এক জনপ্রিয় মহিলা কবি-র মাথা কেটে ফ্যানের সাথে বেঁধে ঘুরিয়েছিলেন, মেহেরুন্নিসা -র ১০-১১ বছরের দুই সন্তান-কে জবাই করে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন অন্যদের দেখানোর জন্য, সবক শেখাতে।
    কেন যেন মরার কথা ভাবলে ভয় পাই না, হয়ত সত্যিই মৃত্যুকে মুখোমুখি দেখলে ভয় পাব। অত্যাচারকে ভয় লাগে। যাদের সরাসরি গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, তাদের চেয়েও অনেক বেশী কষ্ট হয় সেই সব মেয়েদের জন্য, ২ লক্ষ - ৩ লক্ষ, জানি না কোনটা ঠিক সংখ্যা, গণিমতের মাল সেই সব মেয়েরা, যাদের আটকে রেখে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ধর্ষণ করে গেছে পাক সৈন্যরা আর তাদের সাথে যাদের হাতে হাত - সেই সব আলবদর, রাজাকার, আল-শামসেরা। মেয়েরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য নগ্ন অবস্থায় রেখে দেওয়া হত, লজ্জা পালানোর পথের কাঁটা ইঃ। যাদের ওপর অত্যাচার করা হয় নি, এক গুলিতে নিকেশ, আশা করি ৩০ লক্ষ শহীদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই বেশি ছিল, সহজে মুক্তি পেয়েছিল তারা।

    কাদের মোল্লা, গোলাম আযম - এদের মৃত্যুদণ্ড চাই কিনা জানি না, তবে এরা মারা গেলে যে এক ফোঁটাও দুঃখ হবে না সেটা জানি।
  • rana alam | 111.210.132.167 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৯:৪৬584005
  • শাহবাগ আন্দোলনঃ আশা এবং আশঙ্কা...

    প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ আন্দোলন মানব ইতিহাসে এক বিরাট সাফল্য।এপার বাংলাতে যারা প্রথম থেকে এই আন্দোলনের সমর্থনে গলা ফাটিয়ে আসছে,তাদের মধ্যে আমি নিজেও আছি।তবে,সম্প্রতি একটা আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।যুদ্ধাপরাধী খুনী মৌলবাদী’দের ফাঁসি’র দাবী করাটা সঙ্গত,কারণ দালাল-ঘাতক দের যে নৃশংসতার বিবরণ আমি পড়েছি বা শুনেছি,তাতে এখনই শিউরে উঠি।সুতরাং যারা এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী,তাদের দাবী’কে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
    প্রশ্নটা অন্য জায়গায়...
    ইদানীং দেখা যাচ্ছে,শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে বা মৌলবাদী’দের শাস্তি নিয়ে যারা সামান্যতম ভিন্নমত পোষণ করছেন,একশ্রেণী’র আন্দোলনকারীরা তাদেরও শত্রু হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।এ প্রবণতা সমর্থনযোগ্য নয়।জামাতি মৌলবাদীরা বিরুদ্ধ মত পোষণকারীদের জবাই করে ফেলে।কিছু শাহবাগ আন্দোলনকারীরা বিরুদ্ধ মত পোষণকারীদের ক্ষেত্রে একই মনোভাব দেখাচ্ছেন।প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী জামাতি’দের সাথে গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত মানুষের পার্থক্য আছে,সেটা ভুলে গেলে চলবেনা। আশা করি,শাহবাগ আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয়রা এ ব্যাপারটি ভেবে দেখবেন।কারণ,বিরুদ্ধশক্তি চাইছে দাঙ্গা ঘটিয়ে প্রজন্ম চত্বর কে কলঙ্কিত করতে।তারা বন্ধুর মুখোশ পরে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
    আরেকটা হাস্যকর ব্যাপার,ভারতের বেশ কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী দেখছি আচমকা ‘শাহবাগ আন্দোলন’ এর প্রচারক এবং সমর্থক হয়ে পড়েছেন।যেহেতু,প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীরা ঘটনাচক্রে ইসলাম ধর্মের,অতএব সুপ্ত তাড়না থেকে তারা সুকৌশলে ‘শাহবাগ আন্দোলন’ কে ইসলাম ধর্মের সাথে লড়িয়ে দিতে চাইছেন।অথচ,খুব পরিষ্কারভাবে,‘শাহবাগ আন্দোলন’ কখনই কোন ধর্মভিত্তিক বা ধর্মবিরোধী আন্দোলন নয়।এটি নির্দিষ্টভাবে খুনী রাজাকার দের শাস্তি’র দাবীতে সাধারণ মানুষের জণজাগরণ এবং তার সাথে ধর্মকে গুলিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা একশ্রেণী’র দালাল (যার মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম,দুই সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে) করে যাচ্ছেন,তাদের প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া যাবেনা।
    শাহবাগ জণজাগরণ নিয়ে অনেক আশা আর অল্প আশঙ্কা,দুটোই থাকছে।আশা করি,এই আন্দোলন মৌলবাদী’দের বিরুদ্ধে সুসংহত লড়াই-এর পথ দেখাবে সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষকে।আর আশঙ্কা হচ্ছে,বিরুদ্ধমত পোষণকারী মাত্রেই শত্রু,এই মনোভাব নিয়ে চললে এর পরিণতি সুখকর হবেনা।
    উত্তর ভব্যিষত দেবে।
    আপাতত শুধু আশাটুকুই সম্বল।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.203.127 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৯:৫৮584006
  • চিন্তার অস্বচ্ছতা শত যুক্তিতেও দূর করা যায় না। উদাহরণ, কল্লোল আজও মনে করে খুনি গিয়ে খুন হওয়া মানুষের পরিবারের সেবা করবে। সত্যি কল্লোল, কীভাবে এটা ভাবতেও পারলে!
  • quark | 24.139.199.1 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:২৯584007
  • গুরু আর কাসব দুটো নাম লিখেছিলাম। কাসবের উত্তর পেলাম, গুরুর পেলাম না। আর কাসব হাতে নাতে ধরা পড়েছিল মানছি। কিন্তু এই ধরণের অপরাধের তদন্তের দুটো দিক থাকে। এক, সেই অপরাধীর অপরাধের বিচার ও শাস্তি; দুই অপরাধীর পেছনের বড়ো ষড়যন্ত্রের খোঁজ। যদিও দুই নম্বর এই তইয়ের আলোচ্য নয়, তবু প্রশ্ন থেকেই যায় দুই নম্বরের উত্তর পাওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল নাতো?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.203.127 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:৪২584009
  • গুরুর সম্বন্ধে প্রমানের অভাব আছে কিনা জানিনা। কাল কিছু চিঠিও প্রকাশ পেয়েছে, হাতের লেখা বিশারদরা বলছেন ওনারই লেখা। গুরুকে নিয়ে যে বলি নি, এড়িয়ে গিয়েছিলাম, তার কারণ গুরুকে ঠিক অপরাধী ভাবতে পারিনা, শহীদ ভাবি, কারণ সে পার্লামেন্ট অ্যাটাক করেছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন