এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজ সাঈদী রাজাকারের ফাঁসি ও অন্যান্য কথন

    শিমূল
    অন্যান্য | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ৪৭১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৭:১৮587567
  • জামাতের ওয়েব সাইট থেকে আপডেট ::
    _________________________
    ["প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে কঠোর নজরদারির মধ্যে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। ওই সেলের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া, গোসল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছেন তিনি। তবে ২৪ ঘণ্টা তিনি কিভাবে সময় পার করছেন, সেলের বাইরে করিডোরের ওপর বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে তা মনিটরিং করা হচ্ছে।"]

    http://jamaat-e-islami.org/newsdetails.php?nid=MTQyMA==

    বুক্টা ফাইট্টা যায় ;)
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৭:২৪587569
  • UPDATE:

    Hindu temples torched, vandalised in Ctg, Lalmonirhat
    Miscreants have torched a Hindu temple in Satkania upazila of Chittagong and vandalised another one in Aditmari upazila of Lalmonirhat as a wave of attack on the minority community continues.
    No-one has been reported in the attacks, according to our correspondents in the districts.
    In Chittagong, unknown criminals set fire to “Sarbojonin Magodeshwari Mandir” at Nathpara village in Satkania upazila headquarters.

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/hindu-temples-torched-vandalised-in-ctg-lalmonirhat/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৭:২৮587570
  • হরতালের সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব।। এ নিয়ে মুক্তমনায় নোট লিখেছেন গীতা দাস।

    পড়ুন:

    [" সংখ্যালঘুর মানচিত্র (১৫) :: গীতা দাস
    আমি একজন সাম্প্রদায়িক বলছি। হ্যাঁ, আমি একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘুর প্রতিনিধি হিসেবে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি বলছি। তবে আমার মনের এ ধারণাটিকে কেউ কেউ আমার ক্ষোভের ও হতাশা্‌র বহিঃপ্রকাশ, কিংবা অলস মস্তিষ্কের অনুর্বর ভাবনা, অথবা সাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রতিফলন মনে করতেই পারেন। আমি অবশ্য মনে করি এটা আমার জীবনাভিজ্ঞতার ফসল। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা প্রত্যেকে সাম্প্রদায়িক এবং আমি নিজেও। তা না হলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হলে আমি অসহায় বোধ করি কেন? নারী নির্যাতন হলেও, মানবাধিকার লংঘন হলেও অসহায় বোধ করি। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হলে আরও বেশি করি।..."]

    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=34091
  • প্পন | 190.215.55.151 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৯:১৫587571
  • সিকি, হাতসাফাই বাবা পুত্তাপর্তির। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক না।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:১০587572
  • ফেবু'তে প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী'র একটি নোট [ ১৮+]

    "এক মেশিনবাজ বহুগামী ধর্ষক সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ায় নাখোশ জামায়াত-বিএনপি ইসলামের নামে সারাদেশে তান্ডব চালাচ্ছে! গুজব রটিয়ে এরা মাঝে ভন্ড সাঈদীকে চান্দে পর্যন্ত পাঠিয়েছে! বিদিশা-জিনাত-নীলা চৌধুরী-মেরী বদরুদ্দিনসহ বহু নারীতে আসক্ত বহুগামী এরশাদের নাকি শাহবাগ ইস্যুতে ইসলামের কষ্টে' প্রাণ কাঁদছে! তার প্রিয় ম্যানেজ মানবজমিন লিখেছে, ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে এরশাদ! এসব নষ্ট লোকজনকে যদি ইসলামের কান্ডারি বলা বা দাবি করা হয়!! আল্লাহ তোমার ধর্মকে এসব ভন্ড থেকে হেফাজত করো আল্লাহ!"
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:১৪587573
  • "চট্টগ্রামে শীর্ষ ১০ আলেমকে হত্যার পরিকল্পনাকে একাত্তরের বুদ্ধিজীবি হত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জালালুদ্দিন আল কাদেরী।

    তিনি বলেন, যেসব আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে তারা নবীর শানে যারা অবমাননাকর বক্তব্য দেয় তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ আলেমরা সব সময় ইসলামের সঠিক রূপরেখা সমাজের সামনে তুলে ধরেন।

    জালালুদ্দীন বলেন, একাত্তরে যেভাবে তালিকা করে বুদ্ধিজীবি হত্যা করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূণ্য করতে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যাদানকারী আলেমদেরও হত্যা করতে চায় জামায়াত-শিবির।

    সাত দাবি:

    এ হত্যা পরিকল্পনাকারীদের নেপথ্য নায়কদের সনাক্ত করে জাতির সামনে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিসহ ৭টি দাবি তুলে ধরা হয়।

    দাবির মধ্যে রয়েছে দেশের জনগণ ও শীর্ষস্থানীয় সুন্নি আলেমদের নিরাপত্তা বিধান, দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা, ইসলাম ও নবী অবমাননাকারী, ধর্মীয় উস্কানীদাতাদের কঠিন শাস্তির বিধান করে সংসদে আইন পাশ করা, শীর্ষ আলেম হত্যার পরিকল্পনার জন্য সংসদে নিন্দা প্রকাশ, বিভিন্ন ব্লগে ও ফেইসবুকে নবী অবমাননাকারীদের সনাক্ত করে শাস্তি দান, যারা শীর্ষ আলেম হত্যার পরিকল্পনাকে ‘সাজানো নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদ এবং এ ধরণের বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
    http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c3d88059b2e320757be9d6e62d2211aa&nttl=06032013179431
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:২০587574
  • আপডেটগুলো দেওয়ার জন্যে বিপ্লবকে শতসহস্র ধন্যবাদ।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৩০587575
  • আপডেট:

    বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হাজির না হওয়ায় তিন জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।...
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article598838.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৩২587353
  • "দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ
    নিজস্ব প্রতিবেদক

    যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী ও ছেলেরা। ফাঁসির রায় হওয়ার পর প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখা হলো সাঈদীর। সাঈদীর পরনে এ সময় ফাঁসির আসামির জন্য নির্ধারিত পোশাক ছিল বলে কারা তত্ত্বাবধায়ক জানান।

    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী বলেন, সাঈদীর স্ত্রী সালেহা সাঈদী, ছেলে মাসুদ সাঈদী ও নাসিম সাঈদী এবং দুই পুত্রবধূ সুমাইয়া সাঈদী ও সুলতানা শামীম সাঈদী বুধবার বেলা পৌনে ১টার দিকে কারাগারে আসেন। তারা সোয়া ১টা পর্যন্ত এখানে থাকেন এবং কিছুটা দূরত্বে থেকে সাঈদীর সঙ্গে কথা বলেন।

    একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন-ধর্ষনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।"
    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Entertainment&pub_no=1173&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=330419#.UTcuH6LcoSs
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৪১587354
  • # ম্যাক্সিমিন,

    ধন্যবাদ জানানোর কিছু নেই। এই ধরণের খবরগুলো আমাকে প্রেরণা জোগায়:

    "শাহবাগ এবার শান্তিনিকেতনে
    নিজস্ব প্রতিবেদক কলকাতা

    এবার শামিল হলেন শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থীরাও। মোম জ্বালিয়ে গত সোমবার মৌলবাদ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তারা। বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নিজেদেরও মিলিয়ে নিলো মানবতার মোহনায়।

    সেদিন সন্ধ্যায় প্রথমে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা প্রদর্শন করেন মৌলবাদবিরোধী পথনাটক। এর আগে বোলপুর হাই স্কুলের সামনে মিলিত হন তাঁরা। সেখানেই 'জয় বাংলা' স্লোগান তুলে কাদের মোল্লা, সাঈদীসহ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করা হয়।

    এরপর বিশ্বভারতীর ১ নম্বর গেট থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। পদযাত্রায় একে একে যুক্ত হন শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা নেপাল, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেনের শিক্ষার্থীরাও। তাঁদের বুকে লেখা ছিল, শাহবাগ চত্বরের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি। মিলিত শক্তির মূর্ছনায় তাঁরা গান ধরেন, ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা। মোমের অগ্নিশিখায় যুদ্ধাপরাধবিরোধী এই আন্দোলনকে শান্তিনিকেতনের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় জানান তাঁরা। বালপুর শহর পরিক্রমা শেষে পদযাত্রা আবার বোলপুর হাই স্কুলের সামনে এসে শেষ হয়।

    বিশ্বভারতীর ছাত্র দিনা সুলতানা কিংবা রেজওয়ানুল সুরিদদের মতো প্রত্যেকেই জানান, তাঁদেরও মন পড়ে আছে শাহবাগে। পড়াশোনার কাজে যেহেতু এখনই বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না, তাই শান্তিনিকেতন থেকেই শাহবাগের প্রতি জানালেন সমর্থন। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ভারতের বুকে ছড়িয়ে দিলেন এক টুকরো বাংলাদেশ।"

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1173&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=5#.UTcuuaLcoSs

    ___________

    এই যে আরো একটি:

    "আরেক শাহবাগ যেন পেট্রাপোলে
    সুব্রত আচার্য্য, পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে

    বনগাঁর তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মৃত্তিক রায় চৌধুরী, হাবড়ার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী চৈতি গুহঠাকুরতা কিংবা হুগলির পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বিলাস সাহা এসেছিল বনগাঁ থেকে পেট্রাপোলে 'শাহবাগের পাশে' দাঁড়াবে বলে। স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ বনগাঁ স্টেশন চত্বর যেন জনারণ্য।
    'মৌলবাদ দূর হট' কিংবা 'শাহবাগের পাশে আছি' স্লোগান লেখা কাগজ বুকে ঝুলছে আট থেকে ৮০ বছরের সবার। মাইকে বাজছে 'আমি বাংলায় গান গাই...' প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় গান।

    সেখান থেকে একাত্তরের পর আরো একবার পেট্রাপোলের নো ম্যান্স ল্যান্ডের উদ্দেশে এপার বাংলার 'পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি' নিয়ে পা মেলায় কয়েক হাজার মানুষ। মেটিয়াব্রুজের মন্থন পত্রিকা থেকে এসেছিলেন সাংবাদিক জিতেন নন্দী, শান্তিপুরের রঙপীঠ নাট্যকেন্দ্রের রুদ্র প্রসাদ, নীলিমা বিশ্বাস, 'আমরা একটি সচেতন প্রয়াস'-এর প্রবীণ সদস্য সুস্মিতা রায়চৌধুরী, তরুণ সাংবাদিক সুকুমার মিত্র; বনগাঁ নাট্যচর্চা কেন্দ্র, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস, স্বয়ংযুক্তি, জাতীয়তাবাদী যুব পরিষদের দিপ্তীমান বসুরা একাত্মতা প্রকাশ করে মিছিলে শামিল হন। জামায়াত-শিবিরবিরোধী বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ডাকে শান্তির লড়াইয়ে একাত্ম হতে এসেছিলেন আরো অনেকে।

    স্টেশন থেকে পেট্রাপোল নো ম্যান্স ল্যান্ড- প্রায় সাত কিলোমিটার হেঁটেও মিছিলের কোনো ছন্দঃপতন হয়নি। বরং রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল কিংবা প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান শক্তি জুগিয়েছে পদযাত্রায় নামা হাজারো মানুষের মধ্যে।

    গানের সুরে, মৌলবাদবিরোধী স্লোগানে বনগাঁ বাটার মোড়, শিমুলতলা ব্রিজ, জয়ন্তীপুর ব্রিজ হয়ে সীমান্তের শেষ সীমানায় গিয়ে এই প্রতিবাদী স্রোত আছড়ে পড়েছিল সন্ধ্যা নামার আগেই।

    তবে যেহেতু সীমান্ত এলাকা, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হয় প্রশাসনকে। তাই নো ম্যান্সের বেশ কিছুটা আগেই বিএসএফ, পুলিশ ও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শাহবাগের পাশে দাঁড়ানোর এই মিছিলকে আটকে দেন। তবে সেখান থেকে সুকুমার মিত্র, সুকুমার মণ্ডল, অরূপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, পঙ্কজ রায়- এ পাঁচজনকেই পুরো মিছিলের মুখ হিসেবে নো ম্যান্সে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় বনগাঁর প্রশাসন। সেখানে বনগাঁর এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্তসহ বিএসএফের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ওদিকে বাংলাদেশের তরফ থেকেই সেখানকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মৌলবাদবিরোধী পদযাত্রা শেষে ভারতের বন্ধুদের স্বাগত জানাতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে এসে ভিড় করে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটনও সেখানে ছিলেন। এসেছিলেন শার্শা গ্রামের দুই মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আলী ও যশোরের শওকত আলীরা।

    সীমান্তের এপার থেকে তখনই পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা স্লোগান তুলে বলেন, 'মৌলবাদবিরোধী যুদ্ধ আর বাংলাদেশে থেমে নেই। এই যুদ্ধ এখন এপার বাংলায়ও। ওপারের বাঙালিদের সঙ্গে একাত্তরে এপার বাংলার মানুষ যেভাবে পাশে ছিল; শাহবাগ আন্দোলনের পাশে আছে এই বাংলাও একইভাবে।' এই স্লোগান শুনে ওপার থেকে হাজারো কণ্ঠে তখন জয় বাংলা স্লোগান গর্জে ওঠে। মেয়র লিটন তখন বলেন, '৪২ বছর পর আবারও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রমাণ করল, তারা আমাদের সঙ্গে আছে। একাত্তরের ভারতের অবদান ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সফল হতো না। তাই সেই যুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ স্বীকার করে।'

    তিন দিনের হরতাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। তার মধ্যে রবিবার দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন নো ম্যান্স ল্যান্ডের এপার-ওপারে। ফলে রবিবার থমকে গিয়েছিল সীমান্ত বাণিজ্য। পর্যটকের যাতায়াতও ছিল নামে মাত্র। এর মধ্যেই ফুরফুরা শরিফে তীর্থ করে এসেছেন ৩৫ জন মুসলিম তীর্থযাত্রী। তাঁদেরই একজন শেখ সুলতান আহমদ। বাগেরহাটের পেরিয়াগাছার মাধ্যমিক স্কুলের এই প্রধান শিক্ষক বললেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরেছিল, নিরীহ মানুষ খুন করেছিল; তাদেরই একটি বড় অংশ এখন জামায়াত-শিবিরের নেতা। তারাই বাংলাদেশে অশান্তি ছড়াচ্ছে। সুলতান আহমেদের সঙ্গে একমত তাঁর সঙ্গী আবুল হোসেন, মোক্তার মিয়াসহ তীর্থযাত্রীরাও।

    বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ যে ভালোভাবেই পেট্রাপোল সীমান্তে পড়েছে- সেটি রবিবার স্পষ্টই বোঝা গিয়েছে। বহু আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র বন্ধ ছিল এ দিন। হোটেল কিংবা চায়ের দোকানের মালিকরাও ঝাঁপ খোলেননি। দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য কাগজে-কলমে সচল থাকায় 'বর্ডার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট' নামের খাবারের হোটেলের তিন দরজার মধ্যে মাত্র একটি দরজা খোলা পাওয়া গেল। ওই হোটেলের মালিক সুজিত ঘোষ জানালেন, বাংলাদেশের মানুষই এই হোটেলের প্রধান খদ্দের। আজ থেকে তিন দিনের হরতাল। তাই এই অবস্থা। বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোলের পণ্য নিতে এসে আটকে পড়েছেন আজগর আলী। বেনাপোলের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিংয়ের ব্যবসায়ী এই যুবকের মতে, এক দিন ব্যবসা বন্ধ হলে গড়ে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় তাঁর।"

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=04-03-2013&type=gold&data=news&pub_no=1171&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=2
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৫৭587355
  • BREAKING: Bangladesh Nationalist Party (BNP) called a nationwide dawn to dusk strike tomorrow, MARCH 7. #Shahbag #Shahbagh
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৫৯587356
  • "হত্যা করে পুলিশকে বন্ধু ডাকল শিবির
    নিজস্ব প্রতিবেদক

    হরতালে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে ছয় পুলিশ সদস্যকে খুন এবং আরো অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্যকে আহত করার পর জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত ইসলামী ছাত্রশিবির 'পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু' বলে ঘোষণা করেছে। ছাত্রশিবির বলছে, 'আমরা পুলিশকে জনগণের তথা আমাদের বন্ধু মনে করি এবং করতে চাই। পুলিশ আমাদের শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। পুলিশ কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীরই শত্রু হোক- এটাও আমরা চাই না।'
    গত সোমবার কয়েকটি পত্রিকায় 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিক ভূমিকায় আমাদের উদ্বেগ' শিরোনামের সচিত্র বিজ্ঞাপনে তারা এই দাবি করে। অর্ধপাতাজুড়ে মুদ্রিত রঙিন বিজ্ঞাপনে সব হামলা ও সহিংসতার দোষও এককভাবে চাপানো হয় পুলিশ বাহিনীর ওপর।

    এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ জনগণের বন্ধু' এটা তো প্রবাদই রয়েছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির যা করছে তাতে বন্ধুর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে। তারা মুখে বলছে এক, আর তাদের অন্তরে আরেক। এভাবে তো বন্ধুত্ব হয় না। তারা মুখে যা বলে, কাজেও তা-ই করে দেখাতে হবে। বন্ধুত্বের কথা শুধু মুখে বললেই হবে না, পুলিশের আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্যরা পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব তাঁরা পালন করছেন। হরতালে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা এড়ানোর সুযোগ ছিল কি না তা জানতে চাইলে এ কে এম শহিদুল হক বলেন, 'পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালালে সেখানে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতেই পারে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটবে।'

    ছাত্রশিবিরের উল্লিখিত বিজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, 'দুই-একটি গণমাধ্যম পুলিশ ও সরকারদলীয় বাহিনীর গুলিবর্ষণকে ছাত্রশিবিরের নামে প্রচারের চেষ্টা করলেও তাদের ফুটেজগুলোতে বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে। এটাই প্রমাণ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রত্যেকটি কর্মী পুলিশ ভাইদের বন্ধু মনে করে।' আবার একই বিজ্ঞাপনে পাঁচটি ছবির ক্যাপশনে সব ধরনের হামলা ও সহিংসতার দোষ চাপানো হয় পুলিশ বাহিনীর ওপরই। এসব ছবির ক্যাপশন যথাক্রমে : 'জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে পুলিশ, গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি, পবিত্র মসজিদে গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ, পুলিশের সামনেই বৃদ্ধের দাড়ি ধরে নির্যাতন এবং চোখ উপড়ে মানুষ হত্যা কখনোই পুলিশের আচরণ হতে পারে না।'

    পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য : এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, জামায়াত-শিবিরের হরতালে এ পর্যন্ত ছয়জন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির হরতালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা করে এক রেলওয়ে পুলিশসহ চার পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
    নিহতরা হলেন : পুলিশ কনস্টেবল মো. বাবলু মিয়া (৪৩), পিতা মৃত তফিজ উদ্দিন, বগুড়ার সোনাতলীর ঠাকুরপাড়া গ্রাম, কনস্টেবল হযরত আলী (২৯), পিতা মো. আবু সামা, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের কিশামদ গোবধা, কনস্টেবল মো. তোজাম্মেল হোসেন, পিতা আনছার আলী, রংপুরের পীরগাছার রহমতচর এবং সৈয়দপুরে রেলস্টেশন পুলিশ কনস্টেবল খাজা নাজিমুদ্দিন আকন্দ (৫০), পিতা ইছাহাক আলী আকন্দ, গাইবান্ধার সাঘাটার খামার ধনারূহা।

    গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, হরতালের সময় ঘূর্ণিঝড়ের মতো হামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

    ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের সহিংসতায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার লোহাগাড়ার বটতলীতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু তারেক (২২)। তাঁর বাবা আবু তাহের, বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর মাধ্যম পালগিরি গ্রামে। সবশেষ গত ৩ মার্চ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় কুপিয়ে খুন করা হয় পুলিশ কনস্টেবল জি এম ওমর ফারুককে (২৮)। তাঁর বাবা মোহাম্মদ আলী গাজী, বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির জামালনগর গ্রামে।"

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1173&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=0#.UTcwkaLcoSs
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:০২587357
  • "MARCH 6, 2013
    Hindu temple torched in Comilla
    STAR ONLINE REPORT

    Miscreants vandalised and torched a Hindu temple in Daudkandi upazila of Comilla early Wednesday as attack on minority communities continues.
    Unknown criminals vandalised the temple and set fire to it at Battala Kalibari in Chapatali village of Mohammadpur East Union in the dead of night, said Abul Faysal, officer-in-charge of Daudkandi Police Station.
    Subhash Bhoumik, a resident of the village, said locals guarded the temple till 2:30am today in wake of attacks on minority community.
    They found the tin-shed temple completely alight in the morning, Bhoumik said.
    Five statues of Hindu gods and goddess have been damaged during the incident, he claimed."

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/temple-torched-in-comilla/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:০৪587358
  • "MARCH 6, 2013
    Govt not ruling out possibility of army deployment: Ashraf
    STAR ONLINE REPORT

    Syed Ashraful Islam. File photo.
    The government is not ruling out the possibility of deploying army in the wake of widespread violence, Awami League general secretary Syed Ashraful Islam said on Wednesday.
    “The government is using all the apparatuses it has to maintain law and order. If situation requires, it would involve other ones,” he said at a press conference at AL president’s political office in Dhanmondi the morning.
    “We are not ruling out or ruling in anything,” Ashraf said when asked about government response regarding local administration’s request for army deployment in some parts of country.
    The AL general secretary thinks the government has handled the situation with patience and skillfulness and brought the chaos under control.
    The main opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) and its ally Jamaat-e-Islami would have to bear the responsibility of the killings and loss of properties during the countrywide violence, he said.
    Terming the BNP as a “communal party”, Ashraful said Khaleda Zia called for a war through her recent press conference. The recent violence across the country is proof for it, he added.
    He warned that the AL would not allow anyone to create a situation like 1/11 in the country.

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/al-wont-allow-111-like-situation-ashraf/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:০৮587359
  • "MARCH 6, 2013
    Arrest warrant for 3 Jamaat leaders
    STAR ONLINE REPORT

    International Crime Tribunal (ICT) -2 on Wednesday issued arrest warrants for three Jamaat-e-Islami leaders for showing ‘disobedience to a tribunal’s order’.
    The leaders are Jamaat acting secretary general Rafiqul Islam Khan, Central Executive Council member Hamidur Rahman Azad, MP, and Dhaka city unit Assistant Secretary General Selim Uddin.
    The three-member panel led by its chief Justice Obaidul Hassan asked the authorities concerned to produce the trio before it on March 21.
    The three-member tribunal led by its chief Justice Obaidul Hassan issued the arrest warrants as the leaders did not appear before the tribunal for the fourth time today to explain a contempt of court rule issued against them.
    Before issuance of the arrest warrant, the three counsels of the Jamaat leaders withdrew their power of attorneys saying that they couldn’t communicate with their clients.
    Earlier on February 7, the tribunal asked the three to explain why contempt of court proceeding would not be initiated against them for making provocative and derogatory remarks about the tribunal and asked them to appear before the court on February 20. But they did not appear before the tribunal.
    The tribunal issued the notice on the basis of reports published in The Daily Star and the Prothom Alo on February 5 on a Jamaat rally held in the city the previous day.
    Later, the prosecution on February 27 sought issuance of arrest warrant to ensure their presence claiming their absence as “disobedience to the court’s order” to ensure their presence.
    The tribunal extended time till March 3 asking them to appear before the court saying “necessary order” would be passed if the Jamaat leaders failed to appear before it.
    The Prothom Alo quoted Selim Uddin as saying, “There is no scope for the controversial tribunal to deliver any verdict if the country is to be saved from a civil war.” The daily quoted Azad as saying at the same programme, “This tribunal cannot exist anymore.”
    The Daily Star in a report headlined “Jamaat warns of civil war” quoted Rafiqul Islam as saying, “Don’t push the country into a civil war by delivering one-sided verdicts against our leaders. If anything happens to Quader Mollah, every house will be on fire.”

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/arrest-warrant-for-3-jamaat-leaders/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:১০587360
  • The Daily Star @dailystarnews10m
    30 hurt as BNP, Jamaat men clash with cops in city bit.ly/WIVamX
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:১৩587361
  • "আওয়ামী লীগ সমর্থকদের তওবা পড়িয়ে 'মুসলমান' করা হলো!
    জয়পুরহাট প্রতিনিধি

    আওয়ামী লীগের ১৬ জন সমর্থককে ধরে মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে 'মুসলমান' করা হয়েছে। বলা হয়েছে, 'এরা আওয়ামী লীগ দলের সমর্থক হওয়ায় এদের মুসলমান বলা যাবে না, তাই তওবা পড়িয়ে তাদের মুসলমান করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামায়াতে ইসলামী দলকে সমর্থন করার জন্য ওয়াদাও করানো হয়েছে।' এ ঘটনা ঘটেছে গত রবি ও সোমবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জামায়াত অধ্যুষিত এক গ্রামে।

    জানা গেছে, পাঁচবিবির প্রত্যন্ত পল্লী ভাড়াহুত গ্রামের মাতবর বিএনপি সমর্থক আব্দুর রহিম ও আব্দুল মালেক মাস্টার এবং জামায়াত সমর্থক সিদ্দিক ও আশরাফের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁরা ওই গ্রামেরই আওয়ামী লীগ সমর্থক কাদের, কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াছিন, হাসান, নুরুন্নবী, আজিজুল হকসহ ১৬ জনকে গত রবি ও সোমবার দুই দফায় মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে 'মুসলমান' করে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের সহিংসতার সময় জামায়াতের পক্ষ থেকে গ্রামে ছড়ানো হয়, যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে তাদের আর মুসলমান বলা যাবে না। তারা মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেছে। কাজেই তাদের মুসলমান হতে হলে মসজিদে তওবা করতে হবে। এরপর পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রামের কাদের, কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াছিন, হাসান, নুরুন্নবী ও আজিজুল হকসহ ১১ জনকে রবিবার এবং পাঁচজনকে সোমবার ফজরের নামাজের পর থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওজু করিয়ে ভাড়াহুত জামে মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াত নেতা (এলাকায় রাজাকার হিসেবে পরিচিত) জফির উদ্দিন ও পাশের জাবেকপুর মসজিদের ঈমাম ময়েজ উদ্দিন তাদের তওবা পড়ান। এ সময় আ. খালেক নামের গ্রামের মাতবরও উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে সেখানে তাদের ওয়াদা করানো হয় এই বলে যে 'আমরা প্রতিজ্ঞাপূর্বক ওয়াদা করিতেছি যে, আমরা আওয়ামী লীগ করায় অমুসলিম ছিলাম, বর্তমানে জামায়াত দলের সাথে থাকার ওয়াদা করে মুসলমান হচ্ছি। আওয়ামী লীগ যে করে সে ইহুদি। আমরা কোনোদিন ওয়াদার বরখেলাপ করলে আবার অমুসলিম হয়ে যাব। আমিন।' এরপর দোয়া করে তওবা পাঠ করানো হয়।

    এ সময় গ্রামের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নাম না বলার শর্তে তওবাকারী কয়েকজন জানান, ওই গ্রামের বকুল নামের এক যুবক তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে গ্রামের সবার সামনে তাকে ভুল স্বীকার করে মাফ চাইতে হয়। এ সময় অপমান সইতে না পেরে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    গ্রামের একটি সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মসজিদে আবু জার গিফারী নামের স্থানীয় মাদ্রাসার এক ছাত্র ইমামতি করে। সেখানে নামাজ শেষে প্রায়ই গ্রামের ওই তিনজন মাতবরসহ ১০ জন গোপনে বৈঠক করেন। তাঁদের কথার বরখেলাপ করার ক্ষমতা ওই গ্রামে কারো নেই। সূত্রটি জানায়, জফির উদ্দিন স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত হলেও ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁকে রাজাকার বলতে সাহস পায় না।
    পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম সেলিম এ ব্যাপারে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তওবা পড়ানোর জন্য ওই গ্রামের ছেলেদের প্রস্তাব দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমিও শুনেছি।'

    গত বৃহস্পতিবার সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর এলাকায় জামায়াত-শিবির তাণ্ডব শুরু করে। তারই জের ধরে তাদের ওপর এই খবরদারি করে গ্রামের জামায়াত-বিএনপির ওইসব নেতা। তাঁদের কথা না শুনলে বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।"

    http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1173&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=10
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৮:২২587362
  • "মন্দিরে হামলা প্রতিমা ভাঙচুর আগুন অব্যাহত
    এক পরিবারকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
    কালের কণ্ঠ ডেস্ক

    জামায়াত-শিবিরের চলমান সহিংসতায় মন্দিরে হামলা করে অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার রাতেও বরিশালে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে ঘরের মধ্যে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। নাটোরের সিংড়ায় হরিমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নাথপাড়ায় একটি মন্দিরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের হামলার প্রতিবাদে গতকাল রংপুরে মানববন্ধন হয়েছে।

    বরিশাল অফিস জানায়, গত সোমবার রাতে বরিশাল নগরীর নাজির মহল্লা এলাকায় অমৃত লাল দে কিন্ডারগার্টেন-সংলগ্ন বিশ্বাসবাড়ির সুভাষ চন্দ্র দাসের ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তারা ওই পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উদ্ধার পায় পরিবারটি। এ ছাড়া বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ায় মালাকার বাড়ির কালীমন্দিরের বারান্দায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বারান্দায় থাকা খড়কুটা পুড়ে গেছে বলে পুলিশ জানায়।

    সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, 'সোমবার রাতে ঘরের মধ্যে আমি ও মা কাঞ্চন রানী দাস ছিলাম। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেরোসিন ও পোড়ার গন্ধ পাই। পরে দেখি ঘরের বেড়ায় আগুন। এরপর চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে।' কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, জামায়াত-শিবির নাশকতার জন্য এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    এদিকে বরিশালের কয়েকটি স্থানে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এর আগে পিঙ্গলাকাঠী এলাকার বোরাদী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আলীগঞ্জ কালীমন্দিরে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

    নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলার সোয়াইর গ্রামে হরিমন্দিরের দরজার তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মন্দিরের পাশেই একটি খড়ের গাদায় আগুন দেয় তারা। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে দায়ী করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানায়, আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে তারা বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

    গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা। বেদী থেকে উল্টে পড়ে রয়েছে মন্দিরের প্রতিমা কাঠামো। পাঁচটি প্রতিমার মুখমণ্ডল ও হাত-পা ভেঙে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন অধিবাসী জানায়, স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই গ্রামের অধিবাসী সৌরিন্দ্র নাথ সরকার জানান, বংশপরম্পরায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে হরিপূজা হয়ে আসছে। কখনো এ ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
    চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সোমবার গভীর রাতে সাতকানিয়ার নাথপাড়ায় একটি মন্দির আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ক্ষেত্রপাল মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়। এতে মন্দিরটি পুড়ে গেছে।'

    সাতকানিয়া উপজেলাটি জামায়াত- শিবির অধ্যুষিত এবং সেখানে গত বৃহস্পতিবারের পর চরতি ইউনিয়নেও একটি মন্দির ভাঙচুর হয়েছিল।
    চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের মালিবাড়িতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর ধারণা, জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মন্দিরের সেবায়েত দীনেশ চন্দ্র বলেন, 'রাতে মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী এসে মন্দিরটি ভাঙচুর করে। পরে মহাদেব প্রতিমাটি ভাঙচুর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। তারা হুমকি দিয়ে আমাদের ভারত চলে যেতে বলে।'

    রংপুরে মানববন্ধন : হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল শহরের পার্কের মোড় এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে।
    মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সদস্য রথিশ চন্দ্র ভৌমিক, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ রংপুর জেলা সভাপতি বনমালি পাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, সিটি কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আব্দুল জলিল মিয়াসহ শিক্ষক ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।"

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1173&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=15#.UTc5eaLcoSt
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.25 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১২:৫৮587364
  • ফেবু'র একটি নোট:
    ____________________________

    ["পশ্চিমবঙ্গে জামাতি সক্রিয়তা : একটি আহ্বান
    by Kafir Mahasina on Thursday, March 7, 2013 at 12:32am ·
    শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে দেখি এখন বেশ একটা শোরগোল চলছে। সব খবরের কাগজ আর টিভি চ্যানেলগুলোকে দেখি হঠাৎ করেই আন্দোলনকে সমর্থন করতে শশব্যস্ত হয়ে পড়েছে, যেন বেশ একখানা গরম খবর পাওয়া গেছে! খবরের কাগজ পরে আর দুই-চারদিন ইন্টারনেট ঘেঁটে নতুন নতুন আবিষ্কার করা ‘রাজাকার’, ‘জামাত’ ইত্যাদি শব্দগুলো সাধারন মানুষ, বিশেশত ছাত্র ও যুবসমাজের মুখে মুখে ফিরছে। বিভিন্ন কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো দেখি শাহবাগ আন্দোলনকে সমর্থন করতে উঠে পড়ে লেগেছে, খানিকটা ফ্যাশনের মতো।

    মনে হতে পারে, এ নিয়ে আমি ব্যঙ্গ করছি কেন ? করার সঙ্গত কারণ আছে। যাদের কাছে বাংলাদেশ মানে শুধু ঢাকা ইলিশ আর হাসিনা, যারা জানেই না বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি, যারা চেনে না বাংলাদেশের এই নতুন প্রজন্মকে, তারা আচমকা এমন রাস্তায় দাঁড়িয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে ‘জয় বাংলা’ আর ‘রাজাকার হটাও’ ব্যানার নিয়ে চিল্লাচ্ছে -- ব্যঙ্গ না করে থাকা যায়!
    যারা এসব করছেন তাদেরকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই। আপনারা জানেন, বাংলাদেশি তরুণ তরুণীরা কাদের নিষিদ্ধ করতে এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথে নেমেছে? সারা রাত জেগে আন্দোলনকারীদের সচেতন করেছে কাদের নতুন নতুন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে? কারা এই জামাতী ? ঠিক জানেন না, তাই তো! না জানাটাই স্বাভাবিক। কেননা খবরের কাগজের রিপোর্টারগুলোর এখনো পর্যন্ত সময় হয়ে ওঠেনি তলিয়ে দেখার জন্য একটু খোঁজাখুঁজি করার। তবে যেহেতু এই আন্দোলনের প্রথম থেকে আমি প্রতিটি ঘটনার সাক্ষী, তাই কিছুটা বলার অধিকার তো থাকেই, বলাটা কর্তব্যও ।

    জামাত বলতে বাংলাদেশে বোঝায় ‘জামাআত ই ইসলামী’ নামে একটি আন্তর্জাতিক গোঁড়াপন্থি সুন্নি মুসলিম ধর্মিয় সংগঠনের বাংলাদেশ-শাখাকে, যার জন্ম ১৯৪১ সালে, ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আগে লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তানে) এবং জন্মদাতা সৈয়দ আবুল আলা মউদুদী।
    এই সংগঠনটির সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য—
    ১) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের ভূমিকা শূন্য, কিন্তু ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টিতে এদের বিশাল ভূমিকা।
    ২) এই সংগঠনটি তৈরি করা হয় পলিটিক্যাল ইসলামের প্রচার করতে। পলিটিক্যাল ইসলামের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের ইসলামী-করন। অর্থাৎ এরা যে রাষ্ট্রেই থাক না কেন এদের উদ্দেশ্য একটাই রাষ্ট্রটিকে মধ্যযুগীয় আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করা।
    ৩) বর্তমানে (পাকিস্তান ছাড়া) ভারত এবং বাংলাদেশে সক্রিয় থাকলেও এই সংগঠন কালও পাকিস্তানী ছিল আজও পাকিস্তানী এবং ভবিষ্যতেও পাকিস্তানীই থাকবে।
    ৪) যারা মনে করেন যে ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না, তাদের জানিয়ে রাখি এরা কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের শিরোমণি ওসামা বিন লাদেন কে প্রকৃত মুসলিম এবং জেহাদ-কারী শহিদ বলে মনে করেছেন এবং সর্বত্রই ভারতবর্ষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এরা লাদেনের প্রতীকী জানাযার অনুষ্ঠান করেছে। এই তিনটি দেশে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থনে এরা কথা বলে এসেছে এবং ধারাবাহিকভাবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ চলিয়েছে।
    ৫) ইসলামের সমালচনা এরা সহ্য করে না, কিন্তু অন্যধর্মের সমালচনা করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করে না।কেউ ইসলামের বিরোধিতা করলে কিম্বা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামী জীবনযাপন না করলে এরা তাদের শত্রু গণ্য করে।

    বাংলাদেশে নিত্যদিন জামাতিরা অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। অমুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে কোনও কারণ ছাড়াই আচমকা আক্র্মন ধর্ষণ হত্যা করে তাদের মধ্যে স্থায়ী সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাখতে এরা বদ্ধপরিকর। এরা পয়লা বৈশাখ পালনের বিরুদ্ধে, একুশে ফেব্রুয়ারির বিপক্ষে, বসন্তোৎসবের বিপক্ষে, রবীন্দ্রনাথের বিপক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতারও বিপক্ষে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এরা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার পরবর্তি সময়ে এদের ইসলামীকরনের চোটে দেশের অমুসলিমরা তো বটেই এমনকি শিক্ষিত মুসলিম সমাজও শশব্যস্ত। দেশের একাধিক বুদ্ধিজীবীকে খুন বা খুনের চেষ্টা এরা করেছে এবং করে চলেছে।

    তাই দীর্ঘদিন পরে হলেও স্বাধীনচেতা আধুনিক মনস্ক সমাজ তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গন আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু যতই আন্দোলন তারা করুক না কেন, জামাত কে নিষিদ্ধ করা সহজ হবে না । কেন না এরা আজ বাংলাদেশের সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে জায়গা করে নিয়েছে। তবু সেলাম বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে তারা অন্তত লড়াইটা শুরু করতে পেরেছে।

    এ তো গেল বাংলাদেশের কথা। আজ আমার কলম ধরার কারণ অন্য। এই জামাত এ ইসলামীর ভারতীয় সংগঠন কিছুদিন ধরে আস্তে আস্তে ভারতে সক্রিয় হয়ে উঠছে। অনুকূল পরিবেশে পশ্চিমবঙ্গে তো ইদানীং অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে তারা ছোট বড় ইসলামী দল গুলোকে একত্রিত করছে। তাদের মূল লক্ষ্য সারা ভারতে মুসলিম দলগুলোকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। এই ব্যাপারে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জামাত শাখা। গত জানুয়ারির শেষ পনেরদিন ধরে সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি শহরে তারা প্রচার চালিয়েছে। অমুসলিমদের এবং মুসলিমদের মধ্যে পুস্তিকা বিলি করেছে। ভারতের ইসলামী- করন জরুরি এমন কিছু বিশয়ের পুস্তিকাও বিলি করেছে। অবশ্য পুস্তক বিলির সময় নাম জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল। কেননা অমুসলিমদের জন্য বই আলাদা, মুসলিমদের জন্য আলাদা।

    এরা পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি মুসলিম দলকে একত্রিত করে ফেলেছে। বাংলাদেশে আন্দোলনের বিপক্ষে প্রচার করছে পশ্চিমবঙ্গে। আন্দোলনকারীদের কাফির আর ইসলামবিরোধী বিদেশি মদত-পুষ্ট বলেও প্রচার করছে। এই বাংলার মুসলিমরা কেবলমাত্র এদের জন্য বাংলাদেশের গনআন্দোলনকে সমর্থন করছে না। ভারতবর্ষের মাননীয় রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের আগে তাকে হুমকির স্বরে বার বার আর্জি জানিয়েছে, যাতে করে তিনি কোনও ভাবেই ‘ইসলাম বিরোধী’ বাংলাদেশের সরকারের সাথে কোনও যোগাযোগ না রাখেন। বাংলাদেশে ভারতবর্শের রাষ্ট্রপতি যাওয়ার পর তার অতিথিশালার বাইরের বোমা বিস্ফোরণের সাথে এর সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য কোনও বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় না। (তবু মাননীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের হাত শক্ত করেছেন বলে অন্তত স্বস্তি বোধ করছি একজন ভারতবাসী হিসাবে। যে জামাতরা ভারত সরকারকে ভিলেন তৈরির চেষ্টা সর্বান্তকরণে করে থাকে, সেখানে তাদের গালে ভারত সপাটে চড়টা মারতে পেরেছে। ) আজ সমস্যা পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার ভোটের জন্য যে মুসলিম-তোষণ শুরু করেছিল সেটা এখন ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক বছরে হাফ ডজন মুসলিম পত্রিকা, মুখ্যমন্ত্রীর যত্রতত্র হিজাবী বেশে নিজেকে উপস্থাপন কলকাতার বুকে শরিয়তি স্টাইলে অনার কিলিং, পুলিশকে দিনে দুপুরে সর্বসমক্ষে হত্যা, একাধিকবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুটপাট, পোড়ান এবং মহিলা ধর্ষণ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে পরিচালনা করছে কারা!

    পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এইসব বিষয়ে একেবারেই যে সচেতন নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নয়ত তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারের সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতবিরোধ এবং শেষ মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত পরিমাণ জল দিতে না চাওয়া যে কেবলমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ হাসিনা সরকার কে বিপদে ফেলা ছাড়া আর কিছু নয়, তা খুব সহজেই এই দেশের মানুষ বুঝতে পারতো। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাদের কথায় চলছে আর কাদের হাত শক্ত করছে তা জলের মতো পরিষ্কার হলেও পশ্চিমবঙ্গের মানুশজন এসব বুঝতে পারছে না বা বোঝার প্রয়োজন বোধ করছে না।

    যাইহোক, এইসব বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। আমি বলতে চাই পশ্চিমবঙ্গ একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে, ভবিষ্যতে কিন্তু এর পরিণতি আরও ভয়ঙ্কর হতে বাধ্য। বাংলাদেশের মানুষেরাও প্রথমে বুঝতে পারেনি যে জামাতদের ইসলামের নামে সমর্থন করার ফল কি হতে পারে, আজ তারা তার খেসারত দিচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গও আজ সেই একই ভুল করছে। যা এখনি ফল দিতে শুরু করেছে। মিডিয়া এই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর গুলোকে চেপে দিয়ে আরও সর্বনাশ করছে। এভাবে পেইন কিলার দিয়ে রোগ সারানো যে অসম্ভব তা কেউ বুঝতে চাইছে না (কিম্বা হয়ত সরকারী চাপ আছে)। তবে সামনের দিনগুলো আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন, যে বুদ্ধিজীবীরা এখন চুপ আছেন, নীরবে থেকে এড়িয়ে চলছেন, কাল যখন সহ্য করতে না পেরে মুখ খুলবেন তখন হয়ত বাংলাদেশের হুমায়ুন আজাদ আর আহমেদ রাজীব দের অবস্থা হবে।

    মাননীয় রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় বড়সড় সাংবাদিক সম্মেলন করে জামাতে ইসলামী ( এবং তাদের ছত্রছায়ায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম দলগুলি সম্মিলিত ভাবে) যা দাবী করেছে, তার সারমর্ম এরকম—
    ১) বাংলদেশ নাকি আন্দলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে ফাঁসীর নির্দেশের পর থেকে।
    ২) কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশে মুসলিম ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।
    ৩) পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষজন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে এমনতর ইসলাম বিরোধিতা দেখে।
    ৪) বাংলাদেশের আন্দোলন আদতে নাকি সরকার বিরোধী আন্দোলন, সরকার এই আন্দোলনে গনহত্যা চালাচ্ছে।

    এই দাবীগুলি যে সর্বৈব মিথ্যা তা বলাই বাহুল্য। মজার কথা হল, এত বড় একটা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এত কথা বলা হলেও কোনও সাংবাদিককে একটিও প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এইজন্য সাংবাদিকরা ক্ষোভে ফেটে পরেন সম্মেলন শেষে। এবং প্রশ্ন করার অধিকারের কথা বললে মুসলিম নেতারা একজন সাংবাদিককে বেশ মারধর করেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে।
    আমি পশ্চিমবঙ্গের এই ছাত্র ও যুবসমাজকে জানাতে চাই, এখন আমাদের বাংলাদেশের কথা পরে ভাবলেও চলবে। বাংলাদেশে যা পরিস্থিতি, তাতে জামাত এ ইসলামী ও তার সহযোগীদের পক্ষে খুব একটা সুবিধা হবে না সেখানে থাকা। তারা যেন তেন প্রকারেণ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে চাইছে (এবং ঢুকছে), কেননা এটাই তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এখানে একবার চলে এলে তাদের আশ্রয় দেবে এখানকার জামাত সংগঠন এবং রাজ্যসরকার। তখন এরা দুই বাংলায় তাদের ক্রিয়াকলাপ চালাতে পারবে নিরাপদে। ফলে দুই বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে। চানক্যের একটি কথা মনে পরে গেল। তিনি বলছেন, “অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নাও কেননা, সব ভুল নিজে করে শেখার মতো যথেষ্ট দিন তুমি একটা জীবনে পাবে না”।আমাদের অবিলম্বে উচিত বাংলাদেশের অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া।

    আগামী ২৬ শে মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে জামাতে ইসলামী(হিন্দ) এবং তাদের সহযোগীদের বিরাট সমাবেশ করা হবে। আমি পশ্চিমবঙ্গের সচেতন ছাত্র ও যুবসমাজকে আহ্বান জানাই, বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থনের পাসাপাসি পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতে এদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হন, প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশের মানুষ যেমন এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আপনারাও রুখে দাঁড়ান।"]

    https://www.facebook.com/notes/kafir-mahasina/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7
    %8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%
    A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8
    %E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6
    %8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0
    %A6%BE%E0%A6%A8/221272338018625
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.25 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৩:০৫587365
  • গণজাগরনের আনুষ্ঠানিক ফেবু পেজগুলোর একটি থেকে:
    _________________________________________

    ["।। প্রজম্ম চত্বর - শাহবাগ ।।
    সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও তাদের ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ যাবতীয় সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের তথ্য নিবন্ধন ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে "ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে" একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

    সার্বক্ষণিক যোগাযোগঃ ৯৬১১৩৫৩, ৮৬১৬২৪৮, ০১৭১১৩০৮১৪৮

    সবাইকে তথ্যটা জানিয়ে দিতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন।'']

    https://www.facebook.com/Adivasi.bd/posts/458165630922346
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.25 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৩:১৬587366
  • Shahbag Square LIVE
    @ShahbagInfo
    UPDATE: General secretary of Khagrachari Shibir is arrested along with 3 others, explosive materials found: goo.gl/g8eZP #Shahbag
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.25 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৩:৩৭587367
  • UPDATE:

    #Amnesty for Hindu protection - bdnews24.com shar.es/jRR1D via @ShareThis

    #West Bengal on #Shahabag movement #War Crime #Bangladesh fb.me/1CEQLZ5oG

    #Pratul's song on #Shahabag #War Crime #Bangladesh যুদ্ধকে মুছে ফেলতে চাই/আমরা যুদ্ধে নেমেছি তাই/মন্ত্র করেছি... fb.me/D94kjaC5

    #Govt not ruling out possibility of army deployment: Ashraf | The Daily Star fb.me/1UweSGF6w

    #BNP to consider ‘proper’ talks proposal: Farooque http://t.co/quLggBDN1Y

    #4 female BNP MPs picked up http://t.co/aiC7OlJYo1

    #হরতালের বিরোধিতায় রাজধানীতে মিছিল - http://t.co/axtd35srmM http://t.co/axuv7pLju1

    #আলোচনা হতে পারে: আশরাফ - http://t.co/axtd35srmM http://t.co/6jXho29hLG via

    #‘সাংসদদের মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি’ - http://t.co/axtd35srmM http://t.co/9br8Kru6Sn

    #E-BOOK: শাহবাগের সাথে সংহতি #Shahabag #War Crime #Bangladesh
    http://t.co/7SThRMxNvt
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.25 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৩:৪৯587368
  • আরেকটা, টুইটার থেকে:

    #Protest on Ershad, #Shahabag #War Crime #Bangladesh fb.me/2pj5z95Sb
  • siki | 132.177.190.82 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৬:৩২587369
  • বিপ্লব, লিখতে থাকুন, লিখতে থাকুন। গোগ্রাসে পড়ছি। অনেক জানছি।

    গুরুর দৌলতে একদিন আপনাকে মনে রাখবে দুই বাংলার বাঙালি। এই আন্দোলনের আদ্যোপান্ত নিয়ে এত ভালো ডকুমেন্টেশনের কাজ আর বোধ হয় এ দেশের কোথাওই হচ্ছে না।

    আপনার কলমের সঙ্গে আছি।
  • de | 69.185.236.53 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১৬:৩৯587370
  • একদম সত্যি কথা -- অসাধারণ একটা ডকুমেন্টেশন হচ্ছে -- আপনার তিনটি টইই খুব মন দিয়ে পড়ছি বিপ্লববাবু!

    পরের দিকে এই লেখাগুলো একসাথে করে ছাপানো হলে খুব ভালো লাগবে!
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১৬:১২587372
  • যারা এই টইয়ে নজর রেখেছেন, তাদের সাধুবাদ-- আরেকবার।

    আরো কিছু আপডেট:

    ______________________________________

    #Sammilita Sangskritik Jote calls hartal for Saturday in Narayanganj
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/body-of-narayanganj-gonojagoron
    -mancha-conveners-son-found/

    #নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর নারায়ণগঞ্জের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকির (১৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article599684.bdnews

    #দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article599706.bdnews

    #একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে পথচিত্র অঙ্কন শুরু হয়েছে।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article599664.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১৭:২৫587375
  • ফেবু থেকে:
    _____________________

    সংখ্যালঘুর ছড়া
    লুৎফর রহমান রিটন

    (নোয়াখালীতে জামায়াত-শিবিরের তান্ডবে ৭৬টি হিন্দু পরিবারের নিঃশ্ব হবার সচিত্র সংবাদ দেখার পর)

    এক.
    হিন্দু তুমি? তোমার নিবাস গুঁড়িয়ে দেবো
    সুযোগ পেলেই তোমার বাড়ি পুড়িয়ে দেবো।
    তুমি হচ্ছো সংখ্যা লঘু, বুঝলে কী না?
    রক্তে দু’হাত ক্যাম্নে রাঙাই তোমায় বিনা!

    তুমি হচ্ছো রাজনীতিতে দাবার গুটি
    ক্ষুদ্র মৎস্য, ক্ষমতাহীন, চুনোপুটি।
    অমর্যাদা করবো তোমায় পদে পদে
    যতোই কাঁদো অরক্ষিত জনপদে—
    রক্ষা তোমায় করবে না কেউ, পালাও তুমি
    হিন্দু তুমি, এ নয় তোমার জন্মভূমি!

    জন্ম নিলেই হয় না স্বদেশ, বুঝলে দাদা?
    ভোট-বাজারে তোমরা গরু তোমরা গাধা।
    জন্ম নিলেই হয় না স্বদেশ, বুঝলে দিদি?
    তোমার ভোটেই জেতে আমার প্রতিনিধি।

    আমার দলেও হিন্দু আছে দু’তিনখানা
    আচরণে ওরা সবাই শুকরছানা।
    হিন্দু মেরে সাফ করে দেই তবুও ওরা
    দেখতে পায় না। চোক্ষে ওদের ঠুলি পোরা।
    প্রতিবাদ তো দূরের কথা কয় না কিছু
    উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নিতে আমার পিছু—
    ভৃত্য হয়ে নিত্য ঘোরে দিবস-রাতি!
    (এই ঘটনায় লজ্জিত হয় মানব জাতি?)

    দুই.
    সংখ্যালঘু নির্যাতনের এ কোন্‌ ধারা?
    যখন-তখন ছাই হয়ে যায় হিন্দুপাড়া!
    যখন-তখন ধর্ষিতা হয় হিন্দু নারী!
    ধর্মান্ধ পুড়িয়ে দেয় হিন্দু বাড়ি!

    হিন্দু আমি, তোমার তাতে কী আসে যায়?
    আমারও কী নেই অধিকার অই পতাকায়?
    এ দেশ তোমার একার তো নয়! আমারও তো!
    জড়িয়ে আছি জন্মাবধি ওতপ্রোত!
    একাত্তরের তিরিশ লাখে আমারও খুন—
    আমার দেহ জ্বালিয়েছিল দ্রোহের আগুন
    মুক্তিযুদ্ধে আমার দাদা আমার দিদি
    মা পিসিমা শহিদদেরই প্রতিনিধি...

    ওহে মানুষ রহম করো, রহম করো
    জননী এই জন্মভূমি কাঁদছে বড়ো...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন