এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজ সাঈদী রাজাকারের ফাঁসি ও অন্যান্য কথন

    শিমূল
    অন্যান্য | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ৪৭০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ১৮:৪৩587409
  • # কল্লোল,

    দাদা, আবারো একমত। এ নিয়ে আলাপ ছিলো। আগে আজ সন্ধ্যার কিছু তাজা খবর দেই।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ১৮:৫০587410
  • LATEST:
    ___________

    #WEDNESDAY, MARCH 13, 2013
    Govt guarding atheists: Khaleda

    BNP Chairperson Khaleda Zia has alleged that the government is killing opposition activists by opening fire on the “innocent ones” who are protesting “government repression and misrule”.

    “While killing our people this way, the government is guarding the atheists,” she said, referring to the Shahbagh protesters, while addressing people who gathered in front of BNP headquarters at Nayapaltan Wednesday afternoon.

    Also the leader of the opposition, Khaleda urged police to stop what she termed as “genocide” and arrest of opposition activists, warning that there will be trials for these in the future.

    The BNP chief reached the party office around 6:00pm and started her speech 5 minutes later.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/govt-guarding-the-atheists-khaleda/

    #‘গণহত্যার’ বিচার হবে: খালেদা

    দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, এই সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না।
    পুলিশি অভিযান ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দুই দিন পর বুধবার নয়া পল্টনে দলের প্রধান কার্যালয় দেখতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন।
    সেখানে সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতাও করেন তিনি।

    বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, গত সোমবার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়া না হলে আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ সারাদেশে হরতাল হবে।
    দলীয় চেয়ারপারসনের হরতালের এই ঘোষণা আসার পর উপস্থিত কর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তা স্বাগত জানায়।

    জামায়াতি তাণ্ডবের ফলে সৃষ্ট সহিংসতায় অর্ধশতাধিকের প্রাণহানিকে ‘গণহত্যা’ আখ্যায়িত করে খালেদা বলেন, “এই গণহত্যার জন্য আবার বিচার হবে, ট্রাইব্যুনাল হবে।”

    “প্রধানমন্ত্রী নিজেও দায় এড়াতে পারে না। গণহত্যায় ১৭০ জন নিহত হয়েছে।”
    যে সব পুলিশ সদস্য গুলি চালিয়েছে, ক্ষমতায় গেলে তাদের বিচারও করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

    তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আন্তর্জাতিক মান’ বজায় রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।

    “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তা হবে আন্তর্জাতিক মানের। ক্ষমতায় গেলে সে বিচার করব।”
    “এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই রাজাকার, আওয়ামী লীগেও বহু রাজাকার আছে, তাদের ধরতে হবে, আওয়ামী লীগের ‘এক’ থেকে সবাইকে।”

    যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা বলেন, “সরকার একদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করছে, অন্যদিকে ‘বিধর্মী-নাস্তিকদের’ পাহারা দিয়ে লালন-পালন করছে।

    “এইসব মঞ্চ-ফঞ্চ বন্ধ না হলে জনগণের মঞ্চ তৈরি হবে।

    বিকাল পৌনে ৬টায় একটি সাদা গাড়িতে করে নয়া পল্টনে পৌঁছান বিএনপি প্রধান। এ সময় তুমুল করতালিতে তাকে স্বাগত জানান দলীয় নেতা-কর্মীরা।

    হাজার হাজার কর্মী সমর্থকের মধ্যে দিয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ থেকে খালেদা জিয়াকে কার্যালয়ের ফটকে নিয়ে আসতে নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।

    ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহানগর আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।

    সর্বশেষ ২৩ মাস আগে এক অনুষ্ঠানের মাঝখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে এ কার্যালয়ে এসেছিলেন তিনি।

    গত ১১ মার্চ বিকালে নয়া পল্টনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের পর পণ্ড হয়ে যায়। এর কিছু সময় পরই বিএনপি কার্যালয়ে ঢোকে পুলিশ।

    সেখান থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয় এবং ওই কার্যালয়ের সব কক্ষে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ১০টি হাতবোমা উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।

    ওই ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন শীর্ষ নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া হলেও ১৮ দলীয় জোটের ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক আইনে মঙ্গলবার দুটি মামলা করেছে পল্টন থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার মুক্তি পাওয়ার পর কার্যালয়ে ফিরে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশি তল্লাশির সময় তার চেম্বারের সব আসবাপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। ফ্যান ও এসি নষ্ট করা হয়েছে। দপ্তরের দুটি কম্পিউটার অকেজো করে দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলের সব নথিপত্র ও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে পুলিশ। টিভি, ফ্রিজ, ফটোকপি মেশিনসহ ব্রিফিং কক্ষের আসবাপত্র ও মাইক সিস্টেমও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে টয়েলেটের সেনিটারি সামগ্রীও।

    পুলিশ কার্যালয়ে বোমা রেখে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসার খবরে দুপুর থেকেই নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টনে সমবেত হতে থাকেন। কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিলে বেলা ২টার দিকে নয়া পল্টন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

    এ সময় বিএনপি কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘ ১৮ ও ১৯ মার্চ সারা দেশে হরতাল হরতাল’।

    নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় চেয়ারপারসনের কার্যালয় থাকলেও সেখানে তিনি শেষবার আসেন ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল। সেদিন মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের নির্বাহী কমিটির সভার মধ্যহ্ন বিরতিতে এই কার্যালয়ে এসে কিছু সময় অবস্থান করে আবার সভায় ফিরে যান।

    গত বছর এ কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের সমাবেশে যোগ দিলেও অফিসের ভেতরে যাননি বিএনপি চেয়ারপার্সন। সাধারণত গুলশানে নিজের কার্যালয়েই দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
    http://bangla.bdnews24.com/politics/article601710.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ১৯:৩১587411
  • তো? দৃশ্যতই খালেদা জিয়া এখন জামায়াতে/ হেফাজতে ইসলামীর অঘোষিত নায়েবে আমীরের ভূমিকা পালন করছেন। আজ সন্ধ্যায় দেওয়া তার বক্তৃতাটি ধর্মের রাজনীতিতে ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মনে হয়। লক্ষ্যনীয়, ম্যাডাম হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যের চুম্বক অংশ:

    ০১. ["জামায়াতি তাণ্ডবের ফলে সৃষ্ট সহিংসতায় অর্ধশতাধিকের প্রাণহানিকে ‘গণহত্যা’ আখ্যায়িত করে খালেদা বলেন, “এই গণহত্যার জন্য আবার বিচার হবে, ট্রাইব্যুনাল হবে।”]

    এবং

    ০২. ["“আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তা হবে আন্তর্জাতিক মানের। ক্ষমতায় গেলে সে বিচার করব।”
    “এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই রাজাকার, আওয়ামী লীগেও বহু রাজাকার আছে, তাদের ধরতে হবে, আওয়ামী লীগের ‘এক’ থেকে সবাইকে।”]

    এবং

    ০৩. ["যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা বলেন, “সরকার একদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করছে, অন্যদিকে ‘বিধর্মী-নাস্তিকদের’ পাহারা দিয়ে লালন-পালন করছে।
    “এইসব মঞ্চ-ফঞ্চ বন্ধ না হলে জনগণের মঞ্চ তৈরি হবে।"]

    এ পর্যায়ে আমার মনে হয়, সরকার পক্ষ ও গণজাগরণকে এক করে দেখতে গিয়ে জামায়াত-হেফাজত-বিএনপিকে একই সঙ্গে কয়েকটি শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে--

    এক. আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুই. গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি, তিন. আওয়ামী লীগ, চার. মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভোটার-সমর্থক, পাঁচ. দলের ভেতরের মুক্তিযোদ্ধাদের, ছয়. বিদেশী দাতা গোষ্ঠি -- ইত্যাদি।

    এরমধ্যে দাতা গোষ্ঠির চাপ খুব প্রবল হওয়ার কথা। তাদের মনোভাবও স্পষ্ট, তারা হরতাল-নৈরাজ্য চায় না, চায় আলোচনার টেবিলে সমঝোতা, দুই দলের সহাবস্থান ["স্থিতিশীল গণতন্ত্র" কথাটি তাদের খুব পছন্দ]। আবার ব্রিটেন এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা মৃত্যুদণ্ড প্রদান বা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকে সমর্থন করে না [গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান দু'টি দাবিই হচ্ছে, রাজাকারের ফাঁসি ও জামায়াত নিষিদ্ধ করা]।

    আবার বিপরীত পাঠে, সরকারকেও পাল্টা প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে। যেমন--

    এক, জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি'র হরতাল-সন্ত্রাস, দুই. গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোনের কারণে জনমত, তিন. ট্রাইব্যুনালকে এগিয়ে নিতে ভোটার-সমর্থকদের চাপ, চার. বিদেশী দাতা গোষ্ঠির চাপ [পূর্বোক্ত], পাঁচ. আবারো ক্ষমতা গঠন। ...

    এ অবস্থায় খালেদা-হাসিনার মুখোমুখি অবস্থানে আমরা সাংবাদিকরা অস্থির পরিস্থিতে সেনা হস্তক্ষেপের যে আশঙ্কা করছিলাম, বাম বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমরও সদ্য দেওয়া সাক্ষাৎকারে একই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।

    দ্রষ্টব্য:

    [" আমরা কি আবারও অগণতান্ত্রিক শাসকদের হাতে পড়তে যাচ্ছি?
    শাসক শ্রেণীর দ্বন্দ্ব যদি এমন জায়গায় যায়, যেখানে বেসামরিক প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারের অধীনে যে সশস্ত্র বাহিনী আছে, র‌্যাব-পুলিশের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তখন শাসক শ্রেণী নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা সব দেশই করে থাকে, আমাদের দেশে একাধিকবার করেছে, সেটাই করবে। শাসক শ্রেণী তো চুপ করে বসে থাকবে না। এই যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, এটা তো অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারবে না। কাজেই শাসক শ্রেণী এটাকে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করার জন্য তখন অন্য পথ দেখবে। বেসামরিক প্রশাসন যদি কোনো আন্দোলন সামাল দিতে না পারে, তখন সামরিক প্রসাশন ক্ষমতা দখল করে। তবে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে মনে হয় না সামরিক বাহিনী সরাসরি ক্ষমতা দখল করতে পারবে। তবে ২০০৭-০৮-এর মতো সরকার গঠন হতে পারে। এটার সম্ভাবনা যে একেবারে নেই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।"]

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=12-03-2013&type=gold&data=news&pub_no=1179&cat_id=3&menu_id=77&news_type_id=1&index=2#.UUA_ntbcoSs
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৫ মার্চ ২০১৩ ২০:১০587412
  • একটি ফান পোস্ট। :ডি

    _____

    জামাত আর হেফাজত নামে দুই লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করছে। আর একটা ছাগু দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
    এক পর্যায়ে পুলিশ ছাগুটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার বাবা কোনজন?
    বাচ্চাটি উত্তর দিল, এটা ঠিক করার জন্যই তো ওরা মারামারি করছে! :ডি

    @ কপিরাইট: বাঁশের কেল্লা পেইজ।
  • শিমূল | 190.234.145.85 | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৭:১৬587413
  • খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছে, শেখ হাসিনা র বিচার হবে ট্রাইব্যুনাল করে গণহত্যার জন্য।
    পুলিশ কেন এবং কখন গুলি চালাতে বাধ্য হল তা উনি দেখলেন না
  • কল্লোল | 125.242.132.155 | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৯:২০587414
  • শিমূল। সেটা উনি কোনকালেই দেখবেন না। কেনই বা দেখবেন। কিন্তু একটা কথা এই তুমুল শাহবাগ আন্দোলনের মধ্যেও এই ধরনের ঘোষনা উনি করতে পারছেন কি করে?

    অনেকদিন শাহবাগের কোন আপডেট পাই না। সেখানকার খবর কি?
  • pi | 78.48.231.217 | ২৩ মার্চ ২০১৩ ২০:২৯587415
  • সরকার ব্লগ মুছে দিচ্ছে, মুছে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছে, ব্লগারদের নাম -ধাম-পরিচয় জানতে চাইছে !! সরকার এভাবে পিছনে লাগতে শুরু করলো কেন ?

    http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=be84985d1fbf49b83433fc6b4a560d80&nttl=23032013183741
  • pi | 78.48.231.217 | ২৩ মার্চ ২০১৩ ২১:২১587416
  • "আমারব্লগ ডট কম ( ২১ মার্চ ২০১৩ সকালে বাংলাদেশ বিটিআরসি( থেকে একটি ইমেইল নির্দেশ পেয়েছে।সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় আমার ব্লগকে বেশ কয়েকজনের ব্লগ একাউনট বাতিল এবং উল্লেখিত ব্লগারদের ব্যাক্তিগত তথ্যাদি- আই পি এড্রেস, লোকেশন, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাক্তিগত নাম পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিটিআরসি কার্যালয়ে ইমেইলে জমা দিতে বলা হয়েছে! "

    আমার ব্লগ সরকারের এই নির্দেশ মানছে না।
    'আমার ব্লগ কোন ব্লগারের ব্লগ বাতিল করবে না- আন্তর্জাতিক প্রাইভেসি আইন অনুযায়ী কোন ব্লগারের আই পি এড্রেস, লোকেশন, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাক্তিগত নাম প্রকাশ করবে না। '

    http://www.amarblog.com/amarbloginfo/posts/163151
  • dd | 132.167.14.95 | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১০:০৮587417
  • এই লেখাটা ভাল্লগলো। পড়ুন।
  • | 24.97.182.250 | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১০:১১587420
  • এইরে! লিঙ্কটা বুলভাল। খুলছে না তো।
  • dd | 132.167.21.31 | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১০:৩৮587422
  • ইএস। সেম সেম।

    "কাল আজাদ যা ভাটে দ্যায়, আজ ডিডি তাই টইতে তোলে"। - একটি প্রাচীন মাংগলিক প্রবাদ।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.62.187 | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১০:৪৯587423
  • ঠিক ঠিক , তমোঘ্ন হালদার এর বক্তব্য বেশ লাগল।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১৯:২৭587424
  • একদিকে সরকার মৌলবাদ বিরোধী কঠোর অবস্থানের বদলে ১৯৭১ এর মতো লুঙ্গী খুলে ব্লগারদের মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করতে মাঠে নেমেছে। আর অন্যদিকে এই সুযোগে বিডিনিউজ প্রধান তৌফিক ইমরোজ খালিদীর মতো মিডিয়া ড্রাগন রাতারাতি ভোল পাল্টেছেন। শাহবাগ আন্দোলন- স্যোশাল মিডিয়া--একাত্তরের চেতনা--গণতন্ত্র -- ইত্যাদি মহামহা বিষয় উদ্ধার করার যুদ্ধে তিনি আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলেছেন। অথচ এই একই ইন্টারনেট সর্দার মাত্র বছর খানেক আগেই সরকারি নীতিমালায় বাংলা ব্লগকে বেঁধে রাখার পক্ষে লম্বা-চওড়া ফরমান জারি করেছিলেন। নূরানী সুরত জেল্লা ছড়ায় বেশ। চাপাবাজিতেও।

    http://www.amarblog.com/Biplob-Rahman/posts/146255

    কিন্তু আফসোস... শেষ পর্যন্ত ল্যাঞ্জা লুকানো যায় না কিছুতেই। অতএব সাধু সাবধান।। :P
  • pi | 78.48.231.217 | ২৮ মার্চ ২০১৩ ১৭:০৯587425
  • শাহবাগের সমান্তরালে আরেকটা মঞ্চ গড়ে উঠেছে। জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শহীদ রুমি স্কোয়াড।
  • | 190.149.7.68 | ২৮ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৬587426
  • শাহবাগ এখন আন্দোলনের নতুন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে । জামাত নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরুর আলটিমেটাম ছিলো ২৬ তারিখ পর্যন্ত । সরকার কিছুই করে নি । স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিলো এবার নতুন এবং আরও কঠোর কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে । এই পরিপ্রেক্ষিতে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তারা দফায় দফায় আলোচনায় বসেন । উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন 'মহামান্য কহেন'-এর লেখা থেকে জানলাম আরেকটু কঠোর কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্তও হয় । এই সিদ্ধান্ত ছিলো ৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও-এর কর্মসূচি । কিন্তু ২৬ তারিখ গণজাগরণ সমাবেশের মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হলো ৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি পেশের । অথচ স্মারকলিপি এর আগেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর দেয়া হয়েছিল । সুতরাং সমাবেশের সময়েই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ থেকে দাবি ওঠে ঘেরাও কর্মসূচির, এবং এই দাবিতে স্লোগানও দেয়া হয় । এর মধ্যে সমাবেশের সেদিনই 'শহীদ রুমী স্কোয়াড' নামে একটা দল আমরণ অনশনে বসে ।

    ব্যাপারটা হলো আন্দোলনে অংশ নেয়া আওয়ামীলীগ অংশের অবস্থান এখন অপরিষ্কার । তারা ঘেরাও-এর কর্মসূচিকে ভাবছে ষড়যন্ত্র হিসাবে, সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসাবে । তাদের কেউ কেউ বলছে যে ঘেরাও-এর কর্মসূচি থেকে হিংসাত্মক কর্ম চালানো হতে পারে, এবং এরপর তারা যোগ করতে পারে আরও দাবি দাওয়া, যে দাবি দাওয়াগুলো আসলে বিএনপির । আবার জামাত বিষয়েও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট নয় । এর মধ্যে অমি রহমান পিয়াল, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হিসাবে যার পরিচয়, একটা গুজব ছড়িয়েছেন আমরণ অনশনে অংশ নেয়া একজন সদস্য মুজিবের এক খুনীর ছেলে বা ভাতিজা । কিন্তু কথাটা মিথ্যা ।

    আবার আওয়ামীলীগের কেউ কেউ বলছে কঠোর কর্মসূচির কথা যারা বলছে তারা চীনাবাম ।

    অন্যদিকে মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার, মঞ্চের আরও কিছু আয়োজক এবং আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেক সংগঠন, সাধারণ মানুষ অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ।
  • | 190.149.7.68 | ২৮ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৯587427
  • 'শহীদ রুমী স্কোয়াড'-এর একটা প্রেস রিলিজ

    শহীদ রুমী স্কোয়াড এর জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে আমরণ অনশনের ১৫ ঘন্টা
    জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবীতে ২৬ মার্চ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ রুমী স্কোয়াডের ডাকে শুরু হওয়া আমরণ অনশন কর্মসূচি পার করলো এর ১৫ তম ঘন্টা। গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামাত-শিবিরের নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিলো, সরকার সেটি না মানায়, এবং এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায়, শহীদ রুমী স্কোয়াডের সাত তরুণ এই অনশন কর্মসূচীর সূচনা করেন। ২৭ মার্চ সকালে স্বতপ্রণোদিত হয়ে এই অনশনে যোগ দেন আরো দুজন; অনড় এই দাবীতে অনশনে যোগদানকারীর সংখ্যা এখন মোট নয় জন।

    সকাল দশটায় অনশনরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত তরুণের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আলিফ প্রধান এবং সাফি নামের একজন ব্লগার। ২৬ মার্চ রাতে এই কর্মসূচির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে সংহতি প্রকাশ করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার মঞ্চ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বোধন। এছাড়াও সকাল থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ সশরিরে এসে জানিয়েছেন তাদের সমর্থনের কথা। শহীদ রুমী স্কোয়াডের পক্ষ থেকে বিকেল পাঁচটায় সবাইকে সংহতির আহ্বান জানানো হচ্ছে; এই কর্মসূচির সঙ্গে যে যেভাবে তাদের সমর্থন জানাতে চান, তাদের জন্য উন্মুক্ত এই আহ্বান। এছাড়াও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে সাড়ে ছয়টায় মশাল মিছিলে যোগ দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    আমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়ার সময় থেকেই শহীদ রুমী স্কোয়াড বিষ্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, অনেকেই এই কর্মসূচিকে গণজাগরণ মঞ্চের বিপক্ষে দাঁড় করাতে চাইছেন। তাদের সবার প্রতি স্কোয়াডের বক্তব্য হলো, ৫ ফেব্রুয়ারি, শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর সময় থেকেই অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে মূলমঞ্চের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ-তরুণীদের এই দলটি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনকে বেগবান করার স্বার্থে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচির সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয় দলটি; যার মধ্যে প্রজন্ম চত্বরে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতি স্থাপন ছিলো অন্যতম। গণজাগরণ আন্দোলনকে সেসময় বেগবান করার পেছনে প্রতিকৃতিটির অবদান যে অনেকখানি, এ ব্যাপারে এখন সন্দেহের অবকাশ নেই কারো। শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগ এবং দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের সবধরণের সহযোগীতার ফলেই প্রতিকৃতিটি স্থাপন সম্ভব হয়েছিলো, এবং এটিকে চত্বরে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও এরই মধ্যে নিয়েছে এই দলটি।
    স্কোয়াডের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে, আল্টিমেটাম না মানায় পরবর্তী সময়ের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে যে সকল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং সমর্থন দলটির আছে। বরাবরের মতোই প্রতিটি কর্মসূচিতে স্কোয়াডের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ থাকবে সক্রিয়ভাবেই।

    আর তাই, আমরণ অনশনের যে কর্মসূচি দলটির পক্ষ থেকে পালন করা হচ্ছে, সেটি যে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিগুলোর সম্পূরক, সেটিও জানানো হচ্ছে স্পষ্টভাবে। কোনভাবেই তাই এই কমূসূচি বা এই সংগঠনটিকে গণজাগরণমঞ্চের থেকে আলাদা কোন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে না দেখার জন্যও অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    যুদ্ধাপরাধী সংগঠন এবং তাদের সহযোগী হিসেবে জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমরা জানি, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সেটি যে কোন মুহুর্তে, যে কোন উপায়েই সম্ভব। আর তাই আমাদের এই প্রাণের দাবীর পক্ষে আমসাদের অবস্থান অনড়, এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে অহিংস উপায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কঠোর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমরা বেছে নিয়েছি আমরণ অনশনকেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং আমাদের আশা এতে সবার সমর্থন আমরা পাবোই।
    আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে তাই আমরা আজ বলতে চাই, বিজয়, নাহলে মৃত্যু- একমাত্র এই এই পথেই চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। আর তাই অহিংস উপায়েই দাবী আদায়ের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নিয়ে আজ আমরা রাজপথে; আশা আছে বিজয়ের, তবে মৃত্যুর ভয়ে এখন আর ভীত নই আমরা কেউ।

    সেঁজুতি শোণিমা নদী
    মুখপাত্র, শহীদ রুমী স্কোয়াড
    তারিখ: ২৭ মার্চ, ২০১৩
    যোগাযোগ-০১৭৬২১৫৮৯১৯
  • | 190.149.7.68 | ২৮ মার্চ ২০১৩ ১৮:৩৩587428
  • অমি রহমান পিয়ালের প্রচার বিষয়ে শহীদ রুমী স্কোয়াডের বক্তব্য:

    যে সাত জনের ডাকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাদের পরিচয়ঃ

    ১.সাদাত হাসান নিলয়
    রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট, বায়োমেডিকেল ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট, ঢাকা
    বিশ্ববিদ্যালয়
    পিতাঃ প্রকৌশলী হারুন-আল-রশীদ
    মাতাঃ সাবেকুন নাহার
    সমন্বয়ক, শহীদ রুমী স্কোয়াড

    ২. মেহেদি হাসান শুভ্র
    লেকচারার, সি এস ই ডিপার্টমেন্ট, World University
    পিতাঃ আব্দুছ ছালাম
    মাতাঃ সুরাইয়া ইয়াছমিন

    ৩. কাজী আকাশ
    ছাত্র (প্রথম বর্ষ), নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
    পিতাঃ কাজী মনিরুল ইসলাম
    মাতাঃ হাসিনা বেগম

    ৪. শরীফুল হক আনন্দ
    একাদশ শ্রেণী, বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
    পিতাঃ মোঃ সাইফুল কবির
    মাতাঃ সেরিনা কবির

    ৫. মানিক সুত্রধর
    চাকুরিজীবি
    পিতাঃ নিখিল চন্দ্র সুত্রধর
    মাতাঃ গীতা রানি সুত্রধর

    ৬. কাজী রুবায়েত আদনান দীপ
    একাদশ শ্রেণী, বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
    পিতাঃ কাজী এনায়েত হোসেন
    মাতাঃ নুরুন্নাহার

    ৭. নাজমুল আলম ভুঁইয়া (জয়)
    বি বি এ (সেকেন্ড লাস্ট সেমিস্টার) , এ আই ইউ বি
    পিতাঃ শাহ আলম ভুঁইয়া
    মাতাঃ শাহনাজ আক্তার চৌধুরী

    অমি রহমান পিয়াল ভাই, এই হচ্ছে আমাদের পরিচয়। এরপরও যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে তাহলে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাতে রাজি আছি।

    এখানে কারো চাচার বা বাবার নাম বজলুল হুদা না, এমনকি রজত নামেরও এখানে কেউ নাই। আর যদি থেকেও থাকে, এই ধরণের ব্যক্তিগত পরিচয় ধরে আক্রমণকে আমরা অনৈতিক বলেই মনে করি এবং সেক্ষেত্রে পরিচয় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতাম। যদি আপনি শহীদ রুমী স্কোয়াড সম্পর্কিত আপনার দেয়া তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করতে না পারেন, অনতিবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করুন।

    আমরা প্রত্যাশা করি শাহবাগ আন্দোলনের একজন সৈনিক হিসেবে আপনার যে ভাবমূর্তি, সত্য প্রকাশ ও ভুল স্বীকারের মধ্যে দিয়েই তা সমুন্নত থাকবে।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.47.150 | ২৮ মার্চ ২০১৩ ১৮:৪২587430
  • কি জ্বালা একি বামুনের ছেলে বামুন, চোরের ছেলে চোর ইত্যাদি আর্গুমেন্ট নাকি।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.42 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ১১:৫৮587431
  • অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, ডাক্তার আইজুদ্দীনের মতো লিজেন্ড ব্লগাররাই বাংলা ব্লগকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারির সৈনিক। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে পিয়ালের মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার ঋণ অশেষ।

    কিন্তু একই সঙ্গে তাদের প্রায়শঃই করা মুখ আলগা মন্তব্য ব্যক্তি অহং-এর প্রকাশ করে। এটি অনেক সময় সস্তা হাততালি পাওয়ার জন্যও করা হয় বলে মনে হয়েছে।

    ব্লগার/নাস্তিক বিরোধী মৌলবাদী লম্ফঝম্ফেরকালে পিয়াল মুক্তমনা ডটকম-এর ব্লগারদের নাস্তিক অর্থে "ছাগু" বলে গাল দিয়ে নিজের দীনতা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে মুক্তমনার নির্মাতা ও অগ্রসর লেখক অভিজিৎ রায় ফেবুতে এটি নোট লিখেছেন:

    _____________

    "[এই দীর্ঘ চিঠিটা অমি রহমান পিয়ালকে ব্যক্তিগত ম্যাসেজে পাঠিয়েছিলাম। পরে মনে হল, ব্যাপারটা তো কেবল পিয়ালের জন্য নয়। দেশের এই ক্রান্তি-লগ্নে সবাই যখন নানাদিক থেকে কনফিউজড, তখন কিছু সাদাসিধে কথা – যা পিয়ালকে খোলামেলা-ভাবেই বলেছি – সবার জন্যই মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ।

    কারো প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত মন্তব্য না করে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করার অনুরোধ থাকলো, বিশেষতঃ যারা মন্তব্য করবেন তাদের প্রতি। ]
    ===================

    পিয়াল,
    প্রথমেই আমার অভিবাদন এবং শুভেচ্ছা জানবেন। আপনি জামাত শিবির চক্রের বিরুদ্ধে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে কতটা সোচ্চার তা আমরা সবাই জানি। নিজের ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবন বিপন্ন করে হলেও আপনি যে দুর্বার আন্দোলনকে সফল করে তুলেছেন সেটা কেবল সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলকই নয়, সেই সাথে গর্বেরও।

    নিতান্ত অপারগ হয়েই এই ম্যাসেজটা লিখছি। আপনার সাম্প্রতিক কিছু স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আমার কাছে ৩ টি ম্যাসেজ এসেছে। যারা ম্যাসেজ দিয়েছেন তারা সবাই আমার পরিচিত এবং সেই সাথে আপনারও শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনি এক সিলেটী ‘ধার্মিক’ ভদ্রলোককে কিভাবে ‘কনভিন্স’ করেছেন সে সংক্রান্ত স্ট্যাটাস এটি। ব্যক্তিগতভাবে এতে আমার কোন আপত্তি ছিলনা, যদিনা আপনি সেই স্ট্যাটাসে ঢালাওভাবে সকল মুক্তমনাদের ‘জামাত’ হিসেবে ট্যাগ না করতেন। আপনি বলেছেন জামাত যেভাবে ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করে, মুক্তমনারাও নাকি তেমন করে। এগুলো সস্তা কথার কিন্তু দরকার ছিল না। মুক্তমনারা যে জামাত নয়, সেটা আপনিও ভাল করে জানেন, আমিও। নাস্তিকতা, ধার্মিকতা, ধর্মের সমালোচনা, ইহজাগতিকতা প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কাদের মোল্লার মত রাজাকারদের ফাঁসি যেমন আপনি চান, চাই আমিও। মুক্তচিন্তার চর্চাকারী লোকেরা সব ‘জামাতের মত’ - এগুলো বললে আমাদের চিন্তাভাবনার এবং সার্বিক আলোচনার কাঠামোটাই ভেঙ্গে পড়ে। অপমান করা হয় রাজীবের মত তরুণকে যিনি প্রাণ দিয়েছিলেন এই অভিন্ন ইস্যুতে। রাজীব নাস্তিক যেমন ছিলেন, তেমনি প্রাণ দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে। এর কোনটাই যে অসত্য নয়, তা আপনি জানেন। যে ইস্যু আমাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারতো, সেটা কেন যেন হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতার নিয়ামক। ‘আমার দেশের’ মাহমুদুর রহমান নাস্তিকদের বিরুদ্ধে বিষেদগার করেছেন বলে তার সুরে সুর মিলিয়ে আপনাকেও তা করতে হবে, সেটা আমি মনে করি না। আপনার দৃষ্টি এর চেয়ে অনেক প্রসারিত বলেই আমি মনে করি।

    দেখুন, এবারের বই মেলায় আপনার বই প্রকাশিত হবার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে আমি এ নিয়ে ব্লগে লিখেছি। মনে করে দেখুন, আপনার লেখা চুরি করে প্রথম আলো আর কালের কণ্ঠে এক পুলিশ কমিশনার সম্পাদকীয় লিখে দিলে, আমি তার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলাম। আপনাকে আমার প্রবন্ধ উৎসর্গ করেছিলাম। কেউ বলেনি ওগুলো করতে, আমি নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই করেছিলাম। প্রসঙ্গত: জানিয়ে রাখি, আমার কোন লেখা কিংবা কোন বইই আমি কোন মুক্তমনাদের উৎসর্গ করিনি। করিনি আসিফ মহিউদ্দীনকে, করিনি আমার বইয়ের সহলেখক রায়হান আবীরকে, করিনি প্রয়াত থাবা বাবাকেও। কিন্তু আপনাকে করেছি। করেছি - আপনার কাজ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি বলেই। আপনি এখন যে জায়গায় চলে গেছেন, আপনার কাছে হয়তো এগুলো খুব মামুলি, একেবারেই অনুল্লেখ্য ছোটখাটো বিষয়। কোন্‌ অখ্যাত লেখক আপনাকে কোন লেখা উৎসর্গ করেছে, তার জন্য কলম ধরেছে সেগুলো নিয়ে আপনি ভাবিত নন, কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা বড়। আপনার জন্য আমি কলম ধরেছিলাম। কারণ আপনি অমি রহমান পিয়াল বলেই।

    মূল কথায় আসি – ‘শাহবাগের আন্দোলন নাস্তিকেরা শুরু করেছে’ – এই মিথ্যা সংলাপ আমার দেশ, সংগ্রাম আর নয়া দিগন্তের শ্লোগান। আমার জানা মতে কোন নাস্তিক কিংবা মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী কোন ব্যক্তি এই দাবী করেননি। শাহবাগ আন্দোলনে আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে সবার অবদান আছে সেটা বলে দেবার প্রয়োজন নেই। নতুন প্রজন্মের সৈনিকেরা, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করেন সযত্নে, সবাই শাহবাগ আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। এদের মধ্যে আপনার মতো ধার্মিক যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন রাজীবের মতোন নাস্তিকেরাও। আস্তিকতা নাস্তিকতা বিচার না করেই সবাই ছুটে গিয়েছিলেন শাহবাগের চত্বরে। আমি জানি - সাইফুল, শাফায়েত, রায়হান, লীনা, নাস্তিকের ধর্মকথার মত মুক্তমনারা দিনের পর দিন শাহবাগে কাটিয়েছেন, আপনাদের সাথেই গলা মিলিয়ে শ্লোগান দিয়েছেন। এদের মত তরুণ তরুণীরা কেউই প্রথাগতভাবে ধর্মে বিশ্বাসী নন, কিন্তু তাদের এই পরিচয় তো কাদের মোল্লার মত রাজাকারদের বিচার চাইতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই না? তাই এই সব মুক্তমনারা সব ‘জামাত’ বললে তাদের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করা শুধু হয় না, রীতিমত অসম্মান করা হয় বলে আমি মনে করি। আপনার আরেকটি স্ট্যাটাসে দেখলাম কোন নাস্তিকেরা রোহিঙ্গাদের প্রতি সহৃদয় ছিল বলে ঢালাওভাবে তাদের জামাতের সাথে তুলনা করে দিলেন। কেউ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে দ্বিমত করতেই পারে, কিন্তু সেজন্য কি তাকে জামাত সার্টিফিকেট গলায় নিতে হবে? ‘সিলেটি ধার্মিক’ ভদ্রলোককে রাজাকারদের বিরুদ্ধে কনভিন্স করতে যদি আমারদেশ আর ইনকিলাবীয় ওলেমাদের সুরে কথা বলতে হয় তবে তা হবে খুব বিপজ্জনক। নাস্তিকেরা আপনাকে কখনো হত্যার হুমকিও দিবে না, আপনার কাজের জন্য রক্তাক্ত করে মাটিতেও ফেলে রাখবে না। এধরণের আঘাত কোন পক্ষ থেকে আসবে এবং অতীতে এসেছে সেটা আপনিও ভাল জানেন, আমিও। কাজেই দয়া করে বিষবৃক্ষের চারাগাছ রোপন করে সেটাকে মহীরুহে পরিণত হবার সুযোগ করে দেবেন না।

    এই স্ট্যাটাসটি যখন দিচ্ছিলাম তখনই দেখলাম ‘মোহাম্মদ সালমান সায়েম’ নামের এক কট্টর ফ্যানাটিক ব্যক্তি ফেসবুকে আপনাকে ‘নাস্তিক’ মনে করে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছে। ঐ কেশবিহীন গোলমুখো ‘ভদ্রলোক’ আপনাকে ম্যাসেজে বলেছেন, ‘কুত্তার বাচ্চা নাস্তিক, তোকে আমি হত্যা করব’। অথচ, আমরা সবাই জানি আপনি নাস্তিক নন। কিন্তু কেবল ভুলভাবে ‘নাস্তিক’ মনে করাতেই আপনি যেভাবে হত্যার হুমকি পেলেন, আপনি কি বুঝতে পারছেন একজন স্বঘোষিত ধর্মহীন মুক্তমনাকে প্রতি পদে পদে, প্রতি মুহূর্তে কি ধরণের হুমকি পেতে হয়? আমরা যে হুমকি ধামকি পাই, তার স্ক্রিনশট দিতে থাকলে ফেসবুকের পাতায় কুলাবে না যে! একটু খোলামনে চিন্তা করে দেখুন, কোন মুক্তমনা আপনাকে বলবে না, ‘কুত্তার বাচ্চা তুই আস্তিক, আল্লাহ মানিস, তোকে আমি হত্যা করব’। বরং বিপদে আপদে আপনার সমর্থনেই এগিয়ে আসবে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই হুমকিগুলো কেবলই কেন একমুখী হয়? আবারো বলছি, আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে তা দাবানলে পর্যবসিত হলে এর দায় কিন্তু নিতে হবে।

    ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি কারা করে তা আপনি জানেন। জামাত করেছিল একাত্তরে। খুন, রাহাজানি, হত্যা, ধর্ষণ কোন কিছু করতেই বাকি রাখেনি। স্বাধীনতা-উত্তর কালে এটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করেছে আমিনী, নিজামিরা। করেছে ‘মেশিন ম্যান’ সাঈদী। এমনকি করেছে এরশাদের মত লম্পটও। আর এখন করছে মাহমুদুর রহমানের ‘আমার দেশ’, কিংবা সংগ্রাম আর নয়া দিগন্ত। কিন্তু তাদেরকে মোকাবেলা করতে গিয়ে নিজের পাজামার গিট খুলে ‘খৎনা’ দেখিয়ে ‘তাদের চেয়েও আমি বড় মুসলমান’ প্রমাণ করার যে সংস্কৃতি চালু করতে আপনি চাইছেন, তার প্রতিফল কিন্তু বহন করতে হবে আমাদের সকলেরই। দেখুন, এত কিছুর পরেও কিন্তু দেখছি ইমরান এইচ সরকার আর মারুফ রসুলেরা যথেষ্ট মাথা ঠান্ডা রেখে বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। তারা কিন্তু মাহমুদুর রহমানদের ঠেকাতে গিয়ে ইনকিলাবীয় কায়দায় নাস্তিকদের একঘরে করছেন না, কিংবা তাদের হাস্যকরভাবে ‘জামাত’ বানিয়ে দিচ্ছেন না। আমি বুঝতে পারি হঠাৎ করে ঘাড়ে চরে বসা বিরাট দায়িত্ব নিতে গিয়ে একটু দিশেহারা হতে হয় অনেক সময়, কিন্তু একজন নিষ্ঠাবান নেতার সুদক্ষ নেতৃত্বের সম্যক পরিচয় প্রকাশ পায় এই ধরণের ক্রান্তিলগ্নেই।

    আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালিখি করলেও আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশীদার বলে নিজেকে মনে করেছি। আমার কাছে কাউকে ‘জামাত’ বলা ‘জারজ’ বলার চেয়েও অপমানজনক। আমি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নই, কিন্তু এই মুহূর্তে আমি সবচেয়ে কম যেটা চাইব, ধর্মনিরপেক্ষ ইহজাগতিক ধ্যান ধারনায় চালিত মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী শক্তিশালী ব্লগারদের মধ্যে ফাটল এবং বিচ্ছিন্নতা। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার ব্যাপারে মোটেই চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নই। আমার নিজেকে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কেউ বলে মনেও হয় না। কিন্তু যাদেরকে আমি চোখের সামনে আপনারই মত পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে শাহবাগের আন্দোলনে শরিক হতে দেখেছি, দিনের পর দিন রক্ত পানি করে আন্দোলন করতে দেখেছি, মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে তুলে উজ্জীবিত হতে দেখেছি যাবতীয় প্রতিক্রিয়শীলতা এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে, তাদের স্বীকৃতি না দিন, অন্ততঃ শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবেন না, এই আশাবাদ রইলো।

    মতপার্থক্য যাই হোক, আমি সবসময়ই আপনার শুভাকাংক্ষী হিসেবে থাকব। ভাল থাকুন।"
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.42 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ১২:২৪587432
  • ["আজ দেখলাম, টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা উচ্চারণ করেছেন নিলয় (দেখুন – অনশনের ৪৮ ঘণ্টার মাথায়, অনশনের মাঝেই ব্যাখ্যা দিলেন নিলয়। সেখানে স্পষ্ট করেছেন, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তাদের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবলে ভুল হবে। স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে আছি সবসময়। ইমরান সরকার যখন প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে যাবেন, তখন তাঁর হাতে আমাদের ১৭টি প্রাণ তুলে দেবো সঙ্গে নিতে’। কী দৃপ্ত উচ্চারণ, কী শক্তিশালী শপথ। গালিবাজ ব্লগারদের মতো কথার তুবড়ি নেই, নেতাগিরি নেই, নেই স্বঘোষিত রকস্টার হবার বাসনা। সোজাসাপ্টা কথাগুলোওই কত সহজ আর মার্জিত ভাষায় বলে গেলেন তিনি।"]

    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=34609
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ১৭:২২587433
  • সহব্লগার যীশু মোহাম্মাদের একটি ফেবু নোটে অরপি-বিভ্রান্তির বিষয়ে হয়তো অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে। খুব খেয়াল করে।

    ["আওয়ামী লীগের ডিজিটাল রক্ষীবাহিনীর নেতা অমি রহমান পিয়াল। তার সম্পর্কে ‘পেইড ব্লগার’ হিসেবে অভিযোগ আছে। রাজনৈতিক চরিত্রে পিয়াল বাকশালের ২০১৩’র সংস্করণ। এই ব্লগার পিয়াল শেখ মুজিবের মতোই বামপন্থীদের অপছন্দ করে (লীগের পোষা বামপন্থীরা নয়)। আর সুনির্দিষ্টভাবে বললে চীনপন্থী কমিউনিষ্টদের এরা মাত্রাতিরিক্ত ভয় পায়। কারণটা ঐতিহাসিক। শেখ মুজিব ভয় পেত কারণ, চীনপন্থীরা তার ক্ষমতার গদী কেড়ে নেওয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। এখনো এই ভীতি আওয়ামী লীগারদের আছে। কিন্তু সত্য হচ্ছে, একের পর এক ক্রসফায়ারে খুন করে চীনপন্থীদের নিঃশেষ করার পরও চীনপন্থার ভূতুড়ে আবহ এরা বজায় রাখে। অথচ রুমি স্কোয়াড থেকে মঞ্চের আশেপাশে কোথায় চীনপন্থা বলতে যা বোঝায় তার নমুনা নেই। বরঞ্চ আওয়ামী রক্ষী বাহিনীকেই আমরা দাপট দেখাতে দেখেছি।

    পিয়ালগং অর্ধসত্যের কারবারি নয়ত ঢাঁহা মিথ্যা ও কূৎসার বিনিয়ময়ে ধান্ধা ঠিক রাখে সর্বত্র। গালিবাজ পিয়ালের সঙ্গে আছে একগাদা আবর্জনা সম্পন্ন মগজের অধিকারী ব্লগার। এরা পিয়ালকে নেতা মানে। যে পিয়াল আন্দোলনের শুরুর বিন্দুতে শাহবাগ নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করেছিল সেই পিয়াল দু’দিন পরই গণজোয়ারের সিদ্ধু দেখে ভোল পাল্টে ফেলে। দ্রুত আন্দোলন কব্জা করার জন্য তখন মাঠে মাঠে ঘুরপাক খাচ্ছিল ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। তাদের দাবার গুটির বড় দানটি ছিল ইমরান এইচ সরকার। টেপ রেকর্ডারের মতো ইমরান আওয়ামী লীগের নির্দেশসমূহ ছাত্রলীগের পরিচালনায় পালন করতো। অতএব আমরা দিনে দিনে পরিষ্কার হতে থাকলাম যে, ইমরানের ঘিলুটা তার না হলেও গর্দানে মাথা তার একটাই।

    মঞ্চের এসব চতুরতা সম্পর্কে সর্তক করার জন্য প্রথম দিন থেকেই যথাসাধ্য স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বয়েৎ দিয়ে জিহ্বার স্বাধীনতা ধরে রেখেছি।

    আজ আমাদের জবান দিনে দিনে আরো বেশী জোরালে ও স্বাধীন হয়ে উঠছে। এবার পিয়ালগং ও মঞ্চের কতুবদের চিনে নিন সকলে। দেশের পরিস্থিতি বলছে এই পর্যায়ে আন্দোলনকে বেলুন উড়ানোর নাটক আর স্মরকলিপির মতো কর্মসূচিতে আটকে রাখা যায় না। আরো কঠোর হয়ে গণজাগরণের চেতনাকে রক্ষা করতে হবে। জানি, সামনের দিনে কেউ ঘুমাবে, কেউ বিদেশে পালাবে। কিন্তু এ মরার দেশকে ভালোবাসার তাগিদে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। শাহবাগের গণজাগরণ আমাদের জেগে থাকার সে প্রেরণা তুঙ্গে তুলে দিয়েছে।"]
  • pi | 78.48.231.217 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ২১:২৩587434
  • অমি রহমান পিয়াল তো দেখলাম ভুল স্বীকার করেছেন। ঐ রাজাকারের আত্মীয় বলা নিয়ে। যদিও, সত্যিই কেউ আত্মীয় হলেই বা কী ছিল ?

    আলাদা মঞ্চ থেকে করাকে না হোক, অনশনকে অনেকেই সমর্থন করছেন দেখলাম।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ২১:৪১587435
  • কেউ সত্যি-ই রাজাকারের আত্মীয় হলেও কোন সমস্যা নেই, তেমনি কেউ নাস্তিক হলেও সমস্যা নেই। মানুষ-টি অসাম্প্রদায়িক হলে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকলেই হল।
    এক বাংলাদেশি প্রতিবেশী-র সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, যেটা আমরাও মোটামুটি জানি, বাংলাদেশে গ্রাউণ্ড রিয়েলিটি এটাই যে নাস্তিক-দের ভাল চোখে দেখা হয় না। শাহবাগ আন্দোলনের ফলশ্রুতি-তে ভবিষ্যতে মানুষের চিন্তাধারা পাল্টাবে, এই আশার কথাও বললেন।
  • pi | 172.129.44.120 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ২৩:১১587436
  • কিন্তু উল্টো হচ্ছে তো। নাস্তিকদের ডিসওন করারও একটা ভালোমতন চেষ্টা চলছে। অবশ্যই জামাতের চাপে। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, চাপে ফেলতে তারা সফল হয়েছে।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১৯:৫৫587437
  • দেখা যাচ্ছে, অমি রহমান পিয়াল তার অবস্থান বদলেছেন। রুমী স্কোয়াডের সদস্যদের "কমরেড"ও ডেকেছেন।

    তবে তার অহং যায় নি। এখন তার নয়া সুর, রুমী স্কোয়াড নাকি অরপি'র জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে এগুতো চাইছে!!

    সংকটটি আসলে সংস্কৃতির। তাই অরপি খানিকটা ব্রেক কষলেও পুরোপুরি সংকটটি অতিক্রম করতে অক্ষম। এর উৎস ভক্তিবাদে, উগ্র আগ্রাসী জাতীয়তায় -- যার শেকড় মৌলবাদে গাঁথা। খুব খেয়াল করে।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ২০:০৯587438
  • পুনশ্চ: সহ ব্লগার যীশু মোহম্মাদের ফেবু'র নোটটিতে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য ক্রমেই জমে উঠছে।

    https://www.facebook.com/jishumohommad/posts/531576623559059
  • pi | 78.48.231.217 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৮587439
  • অনশনকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন হাসপাতাল থেকে কয়েকজনকে ছেড়েছে। অনশন চলছে। নতুন নতুন মুখ অনশনে যোগ দিচ্ছে।
  • বিপ্লব রহমান | 213.202.241.82 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ১৯:০৩587441
  • আপডেট-০১:
    ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্মবিদ্বেষীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গঠিত হয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ৩৪ জন ব্লগারের তালিকা হস্তান্তর হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। শিগগিরই বিচারক নিয়োগ।

    http://www.natunbarta.com/si-tech/2013/03/31/18939/

    আপডেট-০২:

    বৈঠকে দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক আল্লামা মুহাম্মদ মাহবুব আলম নয়টি ব্লগ সাইটের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনেন। ব্লগগুলো হচ্ছে, সামওয়্যার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, মুক্তমনা, নাগরিক ব্লগ, ধর্মকারী, নবযুগ, সচলায়তন, চুতরাপাতা ও মতিকণ্ঠ।

    আল্লামা মুহাম্মদ মাহবুব আলম বিভিন্ন ব্লগ সাইটের ৮৪ জন ‘নাস্তিক ও অপপ্রচারকারী’ ব্লগারের তালিকা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article608260.bdnews

    _____
    জয় মোল্লাতন্ত্র! :পি :পি :পি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন