এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঢাকাঢুকি আড্ডা

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ | ১২৬৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খ | 169.53.110.142 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০০:১৯601588
  • বাঃ
  • একক | 24.99.165.119 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:০৬601589
  • দুদিন চারশো চল্লিশ করে খাওয়ার পরে বুঝি সেরাটনিনটা ঝামেলা করচে । আমি ক্রমশ একটা ব্যটারী বক্স জাতীয় কিছু হয়ে উঠছি । ব্যটারী থেকে বোতল কে মনে পরে । এক্সাইড এর সিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হয়েচে । এঃ সেসব যা বিচ্ছিরি দিনপত্র কারবার সারবার । রাত একটায় বড় ঘড়ির সামনে স্কোর । তখন অবশ্য স্কোর বলতে শিকিনি । তা যাইহোক । হাঁটতে হাঁটতে সময়টা কেটে গ্যালো কিন্তু । কিছু বাজে না বকলে আমার সময় কাটতনা আর আপনাদের অবসর । এখন আবার আরেকটা গেল । এই আরকি । অসংখ্য তড়িতচুম্বকীয় বহু মাতৃক ভেড়া গুনতে থাকা যতক্ষণ না তারা আঁকার খাতার রং ভর প্রণালী বলে চেনা যায় ।
  • san | 133.63.144.104 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:১১601590
  • হুতোদাকে আরো বাঃ
    একককে থতমত খাওয়ার ইমো
  • I | 24.96.113.149 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ ২২:১৯601591
  • একক কি সুমেরুতে পৌঁছে গেল?
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:২৮601592
  • ছিটকে যাচ্ছে সময় গুলি কাপের থেকে এদিক ওদিক
    এই তো দেখি স্টেশন রোডে রোলের দোকান
    মেট্রো স্টেশন
    ক্যানিং লোকাল সন্ধ্যা মলিন
    দৃশ্যকল্প, চা পাওয়া যায় কাঁচের গ্লাসে।

    কিংবা যদি ফিরেও তাকাই, লোডশেডিঙের জীয়নকাঠি
    পাড়ার মোড়ে। জলের কলে, বৃক্ষ তরু।
    সেসব শহর, ফুটপাথ নেই, সাবধানতা গাড়ির লোকের।

    কাঁচের ঘরের ওদিক থেকে দৃশ্য আসে, বিষন্নতা যেমন ঘন
    বরফ কুঁচির ঝড়ের মত, আর কিছু না।

    ছিটকে যাচ্ছে সময় গুলি, কবের কথা, কি হলো তার?
    ঠাহর হয়না, বৃদ্ধ যেমন, গ্রামীন ঘোরে।

    ছিটকে যাচ্ছে সময় গুলি, কোথায় যেন গেলাম শেষে মেট্রো চেপে?
    কি যেন ঠিক করার ছিল, জীবন নিয়ে? কাদের যেন কথা দিলাম, কিসের কথা?

    এইগুলি সব দৃশ্যকল্প, বাস্তবতার এদিক ওদিক, পয়সা ছাড়া-ই।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:২৬601593
  • বর্ম চর্ম উষ্ণীষ ছিল ঠিক
    মনে মনে ছিল অপরাজেয়র ভাব
    পরিপাটি ছিল দেওয়ালের গাঁথুনিও
    রথচক্রটি ডুবে গেল গোষ্পদে

    মনে মনে ছিল আসমানী রঙধনু
    একমুখী ছিল হৃদয়ের অঞ্চল
    আষাঢ়গগন তেমন ছিলনা ঘন
    রথচক্রের নিয়তিতে ছিল কীট

    নাগরিক মেধা প্রতুল বিত্ত আর
    বেশভূষা ছিল নাহক চমৎকার
    মনে মনে ছিল অপরাজেয়র গ্লানি
    পলায়নপর রথচক্রের ফাঁদে

    রথচক্রটি ডুবে গেলে গোষ্পদে
    দিন পড়ে যায় পশ্চিম থেকে পূবে
    দিন পড়ে গেল মহাদেশ জুড়ে কালো
    মিছিল থামছে একাকী শব্দহীন
  • Tim | 12.135.57.31 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:৫৮601594
  • আহা, আরো হোক!
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২৩:১৬601595
  • সাদা সিধে দোল কেটে গেল, যেমন বাগানঘেরা বাড়িটি, সদর শহরে কঞ্চির বেড়া দেওয়া মরশুমি ফুল, জানালার নীচের কেয়ারী এইসব দৃশ্য যেরকম। দোল পূর্ণিমার চাঁদ আজকাল বেশ বড় সড় হয়, শীতের হাওয়া এখনো বইছে এইদিকে যদিও। দোল চলে গেল, দুসপ্তাহে বসন্ত আসছে নাকি, চমৎকার ফুল ফুটবে চারদিকে। দোল চলে গেল যদিও, যেরকম একবার বাড়ি গিয়ে দেখি প্রতিবেশী ভুটিয়া কুকুর মরে গেছে, বয়েসও তো কম হয়্নি তার, অথবা নদীর ধারে ভুট্টাখেত কেটে জমজমাট বসতি হয়েছে যারা গত কবছর আগে বন্যায় বাড়িঘর ডুবে এইশহরে এসে উঠেছিল। খুবই কুদৃশ্য হলো, কিন্তু কি আর করার আছে।
    সে যাক, এদিকে খুবই বসন্ত আসবে, চমৎকার চেরী ফুল, আরো সব নাম না জানা বিলিতি গাছপালা, পাহাড়ের মাথায় দাঁড়ালে দূরের শহর দেখা যায় আলো ঝলমল, গাড়িঘোড়া মানুষজন, দোকানপাট কি সুন্দর ডাউনটাউন, আর দুসপ্তাহ বসন্তের পাহাড়ের মাথা থেকে দেখা যাবে মেপল গাছের মধ্য দিয়ে বয়ে যাবে পশ্চিমা বসন্তের হাওয়া। দোল চলে গেছে, এই যা, কদিন আগে তো সরস্বতীপুজাও হয়ে গেল, ফাল্গুনে বিকশিত আম্রমুকুল এইসব হয়েছে তারমানে, কোন সিজনে যেন ডাহুক পাখির ছানাগুলো পুরোটা কালো থাকে, ডোবার ধারে হেঁটে বেড়ায় কুচো মাছ পোকামাকড় খোঁজে, যমকুলি পাখি আড়াল থেকে ডাকে ঝিমধরা দুপুরে আর তারপর বিশাল ফলহীন আমগাছের পাতায় বাড়ি ঘরদোর কি নোংরা কি নোংরা, তার মধ্যে একগাদা কাকের বাসা, সেসব কাঁপিয়ে দিয়ে হাওয়া বয় যেন খরবায়ু। তখন সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়, তবে এইগুলো সব অতীতকাল হবে, এখনো সেইসব নিয়ম আছে কিনা জানা নেই। এখন বসন্ত আসবে এদিকে সে খুবই চমৎকার, পরিপূর্ণ প্রকৃতি, গাড়ি করে হুহু চলে যাও একশো মাইল দুশো মাইল নদী পাহাড় সমুদ্র গাছপালা পাতার রংবদল দেখতে ধুলো ধোঁয়া কিছু নেই ঝকঝকে নীল আকাশে মেঘ, আর প্লেনের ধোঁয়ার কাটাকুটি। এইসব করতে করতে দোল চলে গেল, সে তো যাবেই, প্রতিবছরই যায় আনন্দদার গান আছে 'উড়ে যায় ক্যালেন্ডারের পাতা' শান্তনু পাশের থেকে ধুয়ো দিত, ও ইয়ে। দোলের দিন দুপুর বিকেলের মাঝখানে রাস্তাঘাট মোটামুটি শুনশান, টুকটাক ছেঁড়া শার্ট টিশার্ট এদিক ওদিক পড়ে আছে আর বিদ্ঘুটে রঙে পথঘাটের অতি বিচ্ছিরি চেহারা। তো সেইসব, হৈ হল্লা কমতে কমতে আবার গিয়ে পড়ে বাগান ঘেরা ছিমছাম বাড়িটির লাল সিঁড়ি গ্রীলের দরজা, স্থলপদ্মের গাছ এইসবে, সাদাসিধে যেন চমৎকার সব। আর ফোনে কোকিলের ডাক শুনে কিরকম একটা হাড় জ্বলে যায়, বিরক্তি লাগে, রাগ হয়ে যায়। একী তব বিবেচনা।

    আর মনুষজন নেই কত দৃশ্যে, অতীত ভবিষ্যৎ, দোল চলে যায় চুপচাপ।
  • sosen | 233.179.130.147 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২৩:২৩601596
  • তাই তো। দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন বসন্ত। স্টেরাইল।
  • একক | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০০:১৭601598
  • সাত দিনে তিনটে মেইল একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গ্যালো কিন্তু তাও সাড়া দি না আপাতত দেবনা বলেই যেন ঠিক্করি প্রথমটার উত্তরে কেয়ার টু এক্সপ্লেইন দ্য কন্টেক্স্ট লিখে ছেড়ে দিয়েছিলুম ইচ্ছাকৃতই যদি উত্সাহে বেড়াল ঠান্ডা জল পরে তবু আবার অন্য প্রসঙ্গ বা ঘুরেফিরে সেই কী করছিস কী করিস কাজ ফুরোয় না এদিকে কত কাজ পরে যে শুনেও শুনি না কিছুই তো করিনা শুধু বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে চব্বিশ চব্বিশ করে টাইম সিগনেচার বেড়ে যায় কেমন আছেন শরীর জিজ্ঞেস করে দুজনেই হেসে ফেলি ফোনে আর কেনো নানা সেকি কত কাজ সেই পুরনো পাটিগণিত টা মনে পরে যায় আমার বয়েস তোর দুগুন তুই একবেলা আমি দুবেলা কেমন মাইরি বাড়িতে জানলে একজনকে জেলে দিত আরেকজন কে গারদে কিন্তু কেও জানেনা বা জেনেশুনে হাল ছেড়ে দেয় আর প্রচন্ড কেয়ারলেস ভাবে বিকেল বুড়িয়ে সন্ধে হতে থাকে কখন মধ্যরাত আপনি দেয়ালে পিঠ দিয়ে উদোর পিন্ডি মেইলের উত্তর দিতে থাকেন বিনা আলোয় ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা কাত হয়ে শুতে শুতে বলি দরজার বাইরে চিমনির কাঁচ ভাঙ্গা পরে আছে দেখে পেরোবেন এভাবে যাই সরাসরি চলে যাই মেইল এর উত্তর দি না কী হবে
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০১:৫৬601599
  • আরো হোক আরো হোক
    হৈ হৈ করে বলে বন্ধুলোক
    জমজম করে ওঠে পার্টি, টলোমলো হুইস্কির গ্লাসে পিছলে যায় আলো
    বাজনা বাজে বাজনা বাজে হোমথিয়েটার শোনে না কেউ কারো কথা
    বাচ্চারা খেলাধুলো করে আনাচে কানাচে
    বিরিয়ানীর গন্ধে মম করে চারদিক, ঠিক কোলকাতার মত হলো না কিন্তু তাতে কি
    জমজম করে ওঠে পার্টি পিছলে যায় আলো।
    ঠান্ডা শীতের রাতে দেশ থেকে আনা নেভিকাটের আনকোরা প্যাকেট খোলে একজন,
    স্তব্ধরাতেরস্নিগ্ধসুধা জমজম করে ওঠে
    সবাই বলে আরো হোক আরো হোক
    একজন আরেকজনের দিকে আড়চোখে সাবধানে দেখে
    মনে হয় যেন ঠিক কোলকাতার মত হলো না
    বাইরের অন্ধকার সয়ে যায় চোখে।
    আর সবাই হৈ হৈ করে ওঠে, বলে আরো হোক আরো হোক।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:১৪601600
  • ফিলানথ্রপিক লোকেদের উচিত শিল্প, মানে ইন্ডাস্ট্রি চালানো।
    মানে এই ধরুন, আপনি আরো গোটা পাঁচেক দুর্দান্ত প্রকৃতির, এবং পয়সাওলা বন্ধুর সঙ্গে মিলে একটা ইঁটভাঁটা খুললেন বা কিনলেন। সেখানে একটা সুলভ ক্যান্টিন, এফেকেটিভ রেশন, অবৈতনিক স্কুল, ফ্রি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিনোদনকেন্দ্র খুললেন। চিমনি গুলোকে পরিবেশবান্ধব বানালেন, ওদিকে সোজা এবং বাঁকা পথে একটু প্রভাব তৈরী করে এবং খাটিয়ে লোকাল মার্কেটে বেশ একটা মনোপলি করার চেষ্টা করলেন যাতে এইসবের খরচপত্র ওঠে, আর আপনিও খেয়ে পরে বাঁচেন। পিএফ, জীবন/স্বাস্থ্যবীমা এইসব চালু করলেন। তারপর ধরুন একটা আইনসঙ্গত মদের দোকান। কোয়ালিটি কন্ট্রোলটা থাকবে, খোঁড়া বাদশার চোলাই খেয়ে বেঘোরে প্রাণ যায় কেন। ভালো ভাবে চালালে এসব খরচ কি আর উঠবে না?

    ইঁটভাটা-ই কেন? কারন আপনার গাড়ি কারখানা খোলার পয়সা নেই, আর ইঁটভাটা খুললে আপনি সবচে ছ্যাড়াব্যাড়া সেক্টরটির শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। ব্যাপারটা কোন দাতব্যও হলোনা, নিতান্তই একটা এথিকেল ভাবে চালানো ব্যাবসা।
  • Tim | 188.89.11.252 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ১১:২১601601
  • কিছুদূরে বহে ফল্গুধারা কিছু পাখি গাহে গান
    চিমনি আজিকে শান্ত বেবাক মোহনার কাছে প্রাণ
    বাঁধা পড়ে আছে ফিলানথ্রপিক কালিমালিপ্ত প্যান
    পিএফ বন্ধ, অন্ধ কোরোনা ফ্যান
    ইঁটভাটা তোর খুলিবে আবার, জাগিবে বিশ্বমাঝে
    গ্র্যাচুইটি দিবে বহুজনে আর অসংখ্য হিতকাজে
    ভিতরে উষ্ণ বাহিরে শীতল বরফিলি দানধ্যান
    পিএফ বন্ধ, অন্ধ কোরোনা ফ্যান
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:০৯601602
  • একটা ছুটি নিই, বাকী সব লাইনে পড়ে যাবে
    এরকম ভাবে সামান্য মানুষ
    তার শব্দ বাক্য অগোছালো এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে প্রেম
    চলকে পড়ে কফির কাপ থেকে সদ্য কেনা নতুন জামা, জিন্স।
    ভ্রম হয় তার অবিমৃশ্য ভ্রম, ধানাইপানাই দীর্ঘসূত্রী ভ্রম
    ভ্রমণ করে অন্য পাড়া গাঁয় ভ্রমণ করে পূর্বে ও পশ্চিমে।
    আবছা যেন স্বপ্নতে সম্ভব। আবছা যেন অনন্ত বনপথ
    শিশির ভেজা রাতের হাইওয়ে জড়িয়ে নিয়ে কুঁকড়ে দেওয়া ভয়
    এমন করে সামান্য লোক বাঁচে শাস্ত্রমতে পারলৌকিক কাজ।
    এদিক ওদিক ছিটকে যায় স্মৃতি মাঝে মধ্যে হঠাৎ টেলিফোনে
    গুটিয়ে যায় দশকজোড়া কাল। পাট করা তার জীবন, জীবিকা,
    সামান্য লোক, বাণিজ্যে তার বাস জীবন জোড়া মুহুর্তের ঘ্রাণ
    এইরকমই ভাবতে থাকে রাত থাকতে ঘুমের অছিলায়
    যখন তার ঘুমের অতিথিরা হ্ঠাৎ জোরে বাজায় টেলিফোন,
    উলুখাগড়া, ছড়িয়ে পড়ে ভ্রম, ছড়িয়ে পড়ে
    শব্দ বাক্য প্রেম, চলকে ওঠে ট্র্যাভেল মাগে কফি
    কুঁকড়ে দেওয়া পারলোকিক ভয়, আঁকড়ে ধরে অসীম হাইওয়ে।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৫ মে ২০১৪ ২৩:৫১601603
  • name: rabaahuta mail: country:

    IP Address : 172.136.192.1 (*) Date:05 May 2014 -- 11:32 PM

    আমাদের বাঘায্তীন পাড়ার সব আদি বাসিন্দারা ছিলেন স্বাধীনতাঘটিত ভিটেচ্যুত লোক। পাশের পাড়া ছিল আরো এককাঠি ওপরে, কোন জমিদার পরিবার প্রজা টজা শুদ্ধ এসে বসতি করেছিলেন, জমিদার বাড়ির পুকুরে এখন ঘটি না ডুবলেও বিশাল ফটক আছে, আর ভেতরে ঘোড়ার জল খাওয়ার গামলা, আর বয়স্ক পুরনো লোকজন ছাড়া ঐ ফটক বিশেষ কেউ পেরোয়না। নর্মাল শহরতলীর পাড়া, শুধু ফটকের ভেতরে আমবাগান আর মেন্টেনেন্সহীন একতলা জনবিরল পুরনো দালান। মাঝামাঝি একটা ছোট সাঁওতাল বস্তি ছিল, বিপ্লবী উল্লসকর দত্ত রোডের ধারে অন্নপূর্ণা ইটিং হাউস থেকে রাতে খেয়ে ফেরার পথে তাদের গান বাজনা শোনা ও দেখা যেত। পরে তাদের উৎখাত করে সেখানে ফ্ল্যাটবাড়ি উঠলো। তো যাগ্গে সেসব কোন কথা নয়। পাড়ায় পুরনো মুদী দোকান (নাম ভুলে গেছি, নারায়ন সাহা বলি, যদিও আসল নারায়ণকাকু মোটেই সুবিধের লোক না)। তো নারায়নজেঠু প্রাচীন বাঙাল ভদ্রলোক, পরনে ধুতি শার্ট, মাথায় টাক, চোখে চশমা ও হাতে গণশক্তি, আর দোকানে বাচ্চা কর্মচারীর নাম মধু, ওদের বাড়িতেই থাকা খাওয়া। নারয়নজেঠীমার খুবই প্রিয়পাত্র, সে আগে দোকানে ঘুমতো, কিন্তু রাতে স্বপ্ন দেখে কাঁদে বলে এখন বাড়ির ভেতরেই শোয়। তো মজা হল, মধুর নাম কিন্তু মধু নয়, পলাশ মিঞা। তো মধু কেন? না মুসলমান নামে শুনে তো দোকানে খদ্দের কমে যেতে পারে। পাড়ার সবাই সেটা জানে, কিন্তু ব্যাপারটাকে বেশ এক্সক্লুসিভ গোপন তথ্যের স্টেটাস দিয়ে রাখা হয়, মধু তথা পলাশ মিঞা এবং নারায়ণ জেঠুর অনিষ্ট আর কে চায়। তো গোঁফের রেখা গজাতে মধু দোকানের তহবিল ভেঙে পালালো। নারায়ন জেঠুর ধরা গলা, দোকানে নতুন বাচ্চা ছেলের আবির্ভাব, স্বনামে। কদিন পর দেখা গেল আবার সে এসেছে ফিরিয়া, পাশশো মুসুরীর ডাইল বা দেড় কিলো পিয়াইজ মাইপ্যা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন ছেলের ম্যানেজারিও সে করছে। কি ব্যাপার? শুনলাম নারায়ণ জেঠু হাসি মুখে জনে জনে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বাচ্চা পুলা, ঐ কয়টা টাকায় আর কয়দিন চলে, ইত্যাদি।

    এসব অবশ্য বছর পনেরো আগের গল্প।
  • maanasTeTa | 172.136.192.1 | ২৫ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৮601604
  • মাঝে মাঝে কানাকানি হয়, ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহলে প্রসঙ্গ ওঠে। বাজারের ফর্দ লিখতে গিয়ে মনে পড়ে যায়, অথবা শেষরাতে ঘুম ভেঙে ঘড়ি দেখে ঘুমিয়ে পড়ার আগে, বা আউটলুকের ক্যালেন্ডার দেখে চক্ষু ছানাবড়া করে হাল ছেড়ে দিয়ে মনে হয় তার কথা। ফেসবুকের ব্যাক্তিগত মেসেজে প্রসঙ্গ ওঠে। লিখতে লিখতে হঠাৎ থতমত খেয়ে গেলে মনে পড়ে, ফিরে দেখি আ-কার গুলি পড়েছে কিনা ঠিকঠাক, এইসব বাংলা ফন্টের আপদ। মধ্যরাতের কফিব্রেকে ঘুমন্ত গাড়িতে হেলান দিয়ে মনে পড়ে, দেখা যায় আদিগন্ত চলে গেছে রাস্তাঘাট, সুড়ঙ্গ, বন জঙ্গল, ইলেক্ট্রিকের আলোতে ঘুম ভাঙা পাখিদের বিরক্তি শোনা যায়। ফেনিয়ে ফেনিয়ে বেশী কথা লিখে তো লাভ নেই, তবে দেখা যাচ্ছে প্রসঙ্গ ওঠে মাঝেমাঝেই, কানাঘুষো হয় ঘনিষ্ঠ মহলে বা একলা অতর্কিতে। কিন্তু সেসব বলে আর কি হবে, চতুর্দিকে হাওয়া গরম। খটাখট বন্দুক বাঁধছে সবাই, ছবি উঠছে খবরের কাগজে, রক্ত গড়িয়ে পড়ে, লাশের গন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গ ওঠে, একাকী সময়, বিচ্ছিন্ন তন্দ্রা কেটে ধড়মড় জেগে ওঠা, বিদ্যাধরী খাল, কোনক্রমে ইউক্যালিপটাস গাছ, সিনেমা টিনেমা, ডলারের দাম, পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা, এদের সঙ্গে ঠারেঠোরে কথা হয়, কিন্তু লোকজন তো বড় ব্যস্ত, খবেরের কাগজ দেখে ছাইবর্ণ লোক সব, ঝোপঝাড়ে মরা মানুষের ঝাঁক, শিশুদের কথা তো বাদই দিলাম, তাছাড়া আছে ফিলমস্টারদের প্রিয় ইলিশ মাছের পদ, বিক্রী না হওয়া ঘোড়াদের বিষন্ন ভোঁতামুখ।
    তারমধ্যে আর এইসব করে লাভ নেই। তার কথা কানাঘুষোই থাক এমনিতেও রিটায়রমেন্ট প্ল্যান, উচ্চশিক্ষা, আত্মরক্ষা, ট্যুর প্ল্যান কাজ কি কম রে ভাই। তাছাড়া তিনি বলেছেন কবিরে দাও ডাক।
    তা দাও, আমার আর কি। তার কথা মনে পড়বে বাজারে ফর্দ লিখতে গিয়ে, ঘুম ভাঙার আগে কিংবা পরে।
  • PM | 233.223.159.88 | ২৫ জুলাই ২০১৪ ১১:১৯601605
  • বাংলা ভাষাটা যে এতো সুন্দর তা প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম !!! আরো লিখুন
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০২ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৪৬601606
  • পুজোর বাজারে চার্দিক বেশ ধূধূ
    এমন সময়ে সান্ধ্য ভাষায় বলি
    মিল করে দাও আদিতে ও অন্ত্যে
    ধূধূর সঙ্গে খুব মিল খায় 'শুধু'।

    পূজোর বাজারে সব্বাই গেছে বনে
    রিক্সা গাড়িতে শহরে মফস্বলে
    সব্বার হলো তিন তিন খানি জামা
    চাঁদ ডোবে রোজ নতুন জুতোর ধাঁচে

    পুজোয় এসব ন্যয়্সঙ্গত দাবী
    তিনখানি জামা একপাটি জুতো ক্যাপ
    ফোটে যেন বেশ ঝটপট বন্দুকে
    অবকাশে মদ সামাজিক সিধুপান

    পুজোর বাজারে বেবাক শরৎকাল
    সব্বাই গেছে জ্যোৎস্নালোকিত বনে
    তিনখানি জামা আর একপাটি জুতো
    গুণে গেঁথে দেওয়া রেলগাড়িদের সিটি।

    একখানি নদী বহুদিন হল মৃত
    ক্যালেন্ডারের মধুবাতাঋতায়তে
    পুজোর বাজারে মৃত মানুষের ঘুম
    আদি ও অন্ত্যে, শীতার্ত, নির্জন।

    পূজোর বাজারে চারদিক বেশ ফাঁকা
    প্রায় সবই গেছে হৈ হৈ উৎসবে
    শহরে রয়েছে বাড়িঘরদোর গুলি
    শরতের শশী, তিনটে নতুন জামা
  • Abhyu | 22.156.196.195 | ০২ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৫৪601607
  • হুতো আমাকে বলেছিল কটা ছবি এঁকে দেবে। কেউ কথা রাখে নি।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৩ অক্টোবর ২০১৪ ০০:২২601609
  • এহে একপাটি জুতো দিয়ে কি হবে, এক জোড়া। সরি চাই।
  • rabaahuta | 126.193.137.210 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:০৩601610
  • কিই বা এমন গরল ছিল তোমার দেশে
    সাঁতরে বেড়াও মিথ্যে পাহাড় শহর নদী
    মধ্যরাতে এদিক ওদিক অস্তগামী
    নষ্ট ঘুমে আঁকড়ে থাকো কূল কিনারা

    বাতিল সময় এপার ওপার চক্ষুবিহীন
    বন্দরে তার সমুদ্রচিল লুব্ধ পাখী
    একটুখানি সময় বাঁচাও এই ভিখারী
    কিইবা এমন গরল ছিল মন্দ আলোয়

    সকল ট্রাফিক থমকে থাকে লাল আলোতে
    ডান দিকে আর বাঁদিক জুড়ে জিয়ন কাঠি
    সবার পাড়ায় জ্বলছে তখন হলুদ আলো
    এইতো বুঝি শীতের মুখে ঘাসের গায়ে
    দুয়েক ফোঁটা শিশির এবং শিকড়বিহীন
    পরাগরেণু আবছা এবং ফঙ্গবেনে
    নাম কি তোমার? কোন শহরে সন্ধ্যে হলো?
    কিই বা এমন গরল ছিল সেই পাহাড়ে?
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৩০601611
  • সবই তো ঠিক ছিল বিরহ প্রেমালাপ
    রাধিকা ধরো ধরো মলয় সুবাতাস
    পদেও মিল ছিল ছন্দে খাপেখাপ
    আখর গুণেগেঁথে শব্দে রুপটান
    ঝরোখা খোলা ছিল নারীরা আনমন
    আকাশে চাঁদ ছিল চিকনা স্মার্টফোন
    লোকেরা সুশেভিত নিভাঁজ পরিধান
    পদ্যে লেখা ছিল এমনি ত্রুটিহীন
    সবই তো ঠিক ছিল মানসে তামরস
    আকাশে মধুচাঁদ সাজানো লালমাছ
    নিবিড় গীতগান স্পর্শে টাচস্ক্রীন
    লুকানো স্পিকারের মন্দ্র গম্ভীর
    উদাস মধুস্বর বাতাসে ভেসে যায়
    কুঞ্জ প্রস্তুত; সে বহু নীচে পড়ে
    শহর কোলাহল, এখানে ধুলিহীন।
    সবই তো ঠিক ছিল দেওয়ালে স্টেনসিল
    মূল্যে ন্যায্যত কলম কারুকাজ
    সবই তো ঠিক ছিল আবাদী জনপদ
    পদেও মিল ছিল ছন্দে খাপেখাপ।
    সবই তো ঠিক ছিল- হিসাবে একতিল
    সময়ে কীট ছিল, শহরে কোলাহল।
    বজ্রকীট ছিল সময়ে উদাসীন
    সময়ে ভাঁজ খুঁজে সেখানে ঘুম যায়
    সময়ে কীট ছিল সে কীট সঙ্গীত
    পদ্য, ছবি, খায় সে খায় কুঞ্জের
    সঙ্গী পরিপাটি, মানুষ, উদ্ভিদ
    জীবন, কোলাহল ব্যানালে হাহুতাশ
    সে কীট খেয়ে গেল, এছাড়া সবই ঠিক
    গোছানো, গোনাগাঁথা আকাশে মধুচাঁদ
    ছন্দে পরিপাটি সে খুবই ত্রুটিহীন।
  • T | 24.139.128.15 | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২০601612
  • আহা আহা
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০১601613
  • এখন সুমনের ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে ভাবলে গা চিড়বিড় করে। স্পেসিফিক কোন ধর্মের জন্যে নয়, তিনি যদি জন্মসূত্রে মুসলমান হতেন আর কোন মহান প্রতিবাদের জন্যে হিন্দু হতেন তবুও করতো। ধর্মকে শুধু ত্যাগই করতে পারা ভালো।

    অবশ্য তখন আমি এমন ভাবিনি, তিনিও ভাবেননি, ন্যাচারালি। কিন্তু গা চিড়বিড় করে, ধার দিন বুদ্ধিতে চিন্তার শুদ্ধিতে এইসব তো তাঁর কাছেই শোনা। আমি তো ম্যাঙ্গো পিপুল।

    আবার, ধর্ম বিষয়ে, সংখ্যাগুরুর আপারহ্যান্ড বিষয়ে ভারতবর্ষে দুম করে মুসলমান হয়ে যাওয়াটা যে ধাক্কাটা দিতে পেরেছিল, তা আর কিসে হতো? নাস্তিক হয়ে? ধুর, সেতো প্রাকবিজেপি যুগে আদ্ধেক লোক নাস্তিক বাকি আর্ধেক লোক বিফ ভুনা দিয়ে পরোটা খাচ্ছে আনোয়ার শার মোড়ে, অন্তত কলকাতায়। মুসলমান হয়েই তো বিয়ের জন্যে না আদর্শের জন্যে, এবং তারপর সেলিব্রিটির বৈবাহিক ও যৌন জীবন নিয়ে কুচ্ছো করার প্রতিভা যে আমাদের উনিশ শতক থেকে কিছু কমেনি, যদিচ আমরা আমেরিকান রঙ্গমঞ্চের ট্যাবলয়েডের কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত মার্জারনয়না ক্ষীণকটি সুতনুকার দিকে (উল্স) আধেক আঁখির কোনে তাকাইনা, আদর্শেরই বশে, সেইসব জিনিস দেখা গেল প্রগতিশীল ঘোমটার লজ্জানিবিড় অন্তরাল সরে গিয়ে। তো সেইসব হলো, এই ধাক্কাটা হতো না অন্য কিছুতে এত সহজে। গ্রাহাম স্টুয়ার্টস স্টেইনকে নিয়ে সুমনই তো গান বেঁধেছেন। এখন যতই ব্যাঙ্গ করি সেইসময় প্রতিবাদের কন্ঠ হিসেবে সুমনের গলা শোনা যেত নিয়মিত। এখন যতই আমিসর্বস্ব ছ্যাবলামি করুন, অসংলগ্ন কথায় ধর্মীয় সন্ত্রাসকে ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে ফেলুন, ধাক্কাটা দেওয়া যেতনা এইসব না করলে।

    কিন্তু সুমন কিনা বলেছিলেন, ধার দিন বুদ্ধিতে চিন্তার শুদ্ধিতে, তাই গা চিড়বিড় করে।

    আবার এই বাজারে শুনলাম মায়া কোদনানি সুইসাইড করতে পারেন, তা বেশ কথা, শুনে আনন্দ পেলাম। তাঁর চিকিৎসা হোক, ডিপ্রেশন খুব খারাপ জিনিস জানি। কিন্তু নরোদা পাটিয়াও খুব খারাপ ছিল।

    খুবই ঘাঁটা ব্যাপার। ভায়োলেন্সকে আগল দেবার উপায় হিসেবে সেক্সকে ভাবতে গিয়ে, ড্রাগ, ফ্লাওয়ার চিলড্রেন, হিপি এইসব ভাবতে ভাবতে হরে কৃষ্ণ হরে রাম (আগরতলায় এইলাইনের পর অবধারিত ভাবে বলা হয় রাত পোহাইলে ভাতের কাম, মানে রাতভর যতই তুমি হরে কৃষ্ণ ইত্যাদি করো, সকাল হলে ক্ষিদে পাবেই - খুবই গভীর দর্শন, তবে এইসব সহি দর্শন কিনা সেটা নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই), সুফি, বাউল ফকির এইসব মনে হলো। এই সবেরই মূল ধর্মে, কিন্তু খুবই অহিংস সৃষ্টিশীল ইত্যাদি, আবার ধর্মের মূলধারা থেকে চিরকাল প্রকৃষ্ট বাটাম খেয়েছে।

    প্রকৃত সারস বোধয় আসলে মানবিকতা। মানুষ নিকটে গেলেই উড়ে পালায়।
  • ranjan roy | 24.99.90.49 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:৪৭601614
  • আরো লেখো হুতো! আরো ভাবো।
    এস সবাই মিলে ভাবি। পুরনো সব চিন্তাগুলো, বিশ্বাসগুলো আলমারি থেকে বের করে নেড়েচেড়ে দেখি।
    বৃষ্টির পরে রোদ উঠলে ছ্যাতলা ধরা কাপড়গুলো রোদ্দূরে দেওয়ার মত।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৩601615
  • লিখতে গিয়েও গুটিয়ে রাখছি কলম
    অনেক কথাই বলছি এবং পরক্ষণে
    গোবিন্দায় নম।
    নীরবতায় উড়ছে দিনের মার্কা দেওয়া চৌকো কাটা কাগজ এবং বছর ঘুরে আবার একই মোড়ের মাথায়, চায়ের দোকান পাল্টে গেছে কিন্তু আমরা
    সেই যেরকম তখন ছিলাম, কথার ভান্ডে মা ভবানী এবং কিছু উড়ো খৈএর প্রবাদ। বৃষ্টি বাদল মাথায় নিয়ে জলের কলে দিনের মত
    ঝরতে গিয়েও মধ্যপথে থামছে হঠাৎ
    ফুল।
    দিনের পাতা থামছে হঠাৎ সহজ করে
    দূরের আওয়াজ ঘন্টা যেমন রেলের গেটে
    চায়ের দোকান শেষ বিকেলের বাড়ির পথে

    পরক্ষণেই থামছে বেবাক সময় এবং।
  • nina | 83.193.157.237 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:৪৩601616
  • হুতো , প্লিজ
    তোর মেয়ের লেখা একটি কবতে এখানে দে আমাদের জন্যে---পিলিজ
  • ঢাকাঢুকি | 149.72.158.28 | ১৫ মে ২০১৫ ০৩:১২601617
  • মাথা চুলকায়।
    ভুঁড়ির বোতামটা ছিঁড়ে যায়নি কিন্তু ঢিলে হয়ে গেছে খালি খুলে যায় টাক করা জামা উঠে আসে পুরনো মাপের জিন্স থেকে। জুতো জোড়া বুদ্ধগয়া কলকাতা টাইম্স স্কোয়ার এইসব জায়গার ধুলো কাদা খেয়ে কদাকার, মোজাগুলি চিটচিট করে, ছোটলোক আপদগুলি কফিপাত্র শেষ করে নতুন মাল চাপায় না, চাপালেও নতুন কফি গুঁড়ো না দিয়েই, মুখে দিলে ট্যালট্যালে ওয়াক, সিগারেটে লম্বা লম্বা ফিল্টার যেন জালিয়াতি চারাঘোটালার ভুষি। মাথা চুলকায় পাগল পাগল লাগে এই আপদের দেশের জলে কি থাকে কে জানে টাক পড়ে গেলে আর পদ্য লিখে কি হবে, মনে হয় খিস্তি করি, ভুত ভাগিয়ে দিই। নথি দাও পত্র দাও কাগজ দাও আরে বাবা ফ্লাইওভার বানিয়ে দে না রে ভাই মাথার মধ্যে তাহলেই তো উন্নতির হেস্তনেস্ত হয়ে যায়। মাথা চুলকায় খালি, ঘাট হয়েছে বস, এইসবই ঢপ ছিল দুটো পয়সা দে, মাথার ওপর একটা ফ্লাইওভার হোক, মাথা চুলকায় খালি ভুঁড়ির বোতাম খুলে যায়।
  • ঢাকাঢুকি | 114.179.72.200 | ২০ জুন ২০১৫ ১০:০৪601618
  • একটা ঘনঘোর কেলো ঘনাচ্ছে মনে হয়, পুরো শ্রাবণ রজনীর হঠাৎ খুশির মত। লাগ লাগ লাগ ঊনসত্তর।
  • রাঘববোয়াল | 114.179.72.200 | ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৬:৩৭601620
  • তীর্যক নীল তার রঙ।
    রঙেরা ভীষন গাঢ়, যেহেতু আঙুল নেই নখ নেই অন্যতর গোপন আয়ুধ,
    রঙেরা বন্ধু আর রঙেরা শত্রু তার, রঙ দিয়ে চিনে ফেলে বিষমদে মরেছে জাহাজী তার জং ধরা বিপুল নোঙর।
    রঙ দিয়ে চিনে ফেলে কে মাছ কে পাখী আর খাদ্যাখাদ্য ভেদ,
    বাস্তব জাদু আর নাসিকাগ্রে অভিমানী জলের উচ্চাবচ তাপ
    রঙ তার প্রিয়তম, তীর্যক দৃশ্যভ্রমে এলোমেলো ডুবে থাকে কল্পদৃশ্য, তন্ত্রসার, জাদুকর গভীর হাঙর।
    ফ্যাকাশে স্পর্শ তার ত্বক।
    খাঁজকাটা দাঁতে তার আমিষাদি আকৈশোর অন্ধকার পুঁথি
    লিখেছে যেখানে সব কি করে এ পৃথিবীতে কতভাগ জল আর কত ভাগ দুইপায়ে জিত
    অস্থি তার পরিপাটি নাস্তি তার পুষ্টি দিয়ে যায়
    প্রাকারে সবুজ নীল শ্যাওলায় ঘিরে থাকে নিষেধের টোপ
    তীর্যক নীল তার রঙ, নীলাভ সবুজ তার ঘর
    রঙেরা প্রখর বোধ, রঙেরা সঙ্গদোষ, ক্ষুরধার ক্ষিদে তার
    কল্পদৃশ্যে এলোমেলো, বুভুক্ষু নীরব হাঙর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন