এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরোনো বাংলার ছড়াগুলি

    Parolin
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০০৬ | ২২৭৬১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • vikram | 134.226.1.136 | ২০ জুন ২০০৬ ২৩:৪৯603039
  • অ এ অজগর আসছে তেড়ে
    আমটি আমি খাবো পেড়ে
    ইঁদুর ছনা ভয়ে মরে
    ঈগল পাখি পাছে ধরে
    উট চলেছে মুখটি তুলে
    দীর্ঘ ঊ টি আছে ঝুলে
    ঋষি মশাই বসেন পূজায়
    ৯ কার যেন ডিগবাজি খায়
    এক্কা গাড়ি খুব ছুটেছে
    ঐ দেখো ভাই চাঁদ উঠেছে
    ওল খেও না ধরএ গলা
    ঔষধ খেতে মিছে বলা

    বিক্রম

  • tan | 131.95.121.251 | ২০ জুন ২০০৬ ২৩:৫০603040
  • আইসো কুটুম বইসো কুটুম
    শালিধানের চিড়া কুটুম খা-আও রে।
    মেঘেতে দেওয়া ডাকে
    নদীতে বান ডাকে
    কেমনে যাইবা কুটুম নদীপারের গাঁও রে।
    আইসো কুটুম বইসো কুটুম...

  • samran | 59.93.255.92 | ২০ জুন ২০০৬ ২৩:৫৩603041
  • ও পেনটি বায়োস্কোপ
    টাই টুই টায়োস্কোপ
    সুলতানা বিবিয়ানা
    সায়েববাবুর বৈঠকখানা
    কাল বলেছেন যেতে
    পান সুপারী খেতে
    পানের আগায় মরিচবাটা
    ইস্প্রিংএর চাবি আঁটা
    আমার নাম রেনুবালা
    গলায় দিসি মুক্তার মালা।

  • vikram | 134.226.1.136 | ২০ জুন ২০০৬ ২৩:৫৮603042
  • মা যদি হন রাজী
    বড়ো হয়ে আমি হবো খেয়াঘাটের মাঝি

    বিক্রম

  • dam | 199.244.214.30 | ২০ জুন ২০০৬ ২৩:৫৯603043
  • কাকাতুয়ার মাথায় ঝুঁটি
    খরগোশটি পালায় ছুটি।
    গোরু-বাছুর দাঁড়িয়ে আছে
    ঘুঘুপাখি ডাকছে গাছে।
    ঙ নৌকায় মাঝি ব্যাঙ
    চিতাবাঘের সরু ঠ্যাং
    ছাগলছানা লাফিয়ে চলে।
    জাহাজ ভাসে সাগর জলে।
    ঝাড়ু হাতে এলো কানাই,
    ঞ চড়ে নাচছে দুভাই।
    টিয়াপাখীর ঠোঁটটি লাল,
    ঠাকুরদাদার শুকনো গাল।
    ডুলি কাঁধে বেহারা যায়
    ঢুলি ভায়া ঢোলক বাজায়।
    ণ নাকের পরে,
    তিমি আপন শিকার ধরে।
    থালাভরা আছে মিঠাই,
    দোয়াত আছে কালি নাই।
    ........ (ন ভুলে গেছি)
    পাখির বাসা হাওয়ায় নড়ে,
    ফোয়ারা হতে জল পড়ে।
    বুলবুলিটির মুখটি কালো।
    ভালুক জানে বাসতে ভালো।

    আর মনে নেই।
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:০২603045
  • বাব্বা:, এই থ্রেডটা তো পড়ে শেষ করা যাচ্ছে না।

    _এক্সের লেখা সুবুদ্ধি তাঁতির পুত্রের কুবুদ্ধি ঘনালো র মাঝে দুটো লাইন বোধহয়

    আজিডাঙা কাজিডাঙা মধ্যে ধনেখালি
    সেখান থেকে এল ব্যাঙ চোদ্দ হাজার ঢালি
  • samran | 59.93.255.92 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:০২603044
  • আরেকটা ছড়া খোকন এর--

    খোকন যাবে শ্বশুর বাড়ি
    খেয়ে যাবে কি?
    ঘরে আছে গমের ময়দা,
    শিকেয় আছে ঘি।
    একটুখনই দাঁড়াও
    খোকন জিলিপি ভেজে দি;
    খোকন যাবে শ্বশুর বাড়ি
    খেয়ে যাবে কি?
    ঘরে আছে তপ্ত মুড়ি
    মেনা গাইয়ের ঘি!
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:০৯603046
  • আর ঐটা কেউ বলবেন না? যেকোনো গল্পের শেষে

    আমার কথাটি ফুরোল
    নটে গাছটি মুড়োল
    কেনরে নটে মুড়োলি
    গরুতে কেন খায়
    কেনরে গরু খাস
    রাখাল কেন চরায় না
    কেনরে রাখাল চরাস না
    বউ কেন ভাত দেয় না
    কেনরে বউ ভাত দিস না
    ছেলে কেন কাঁদে
    কেনরে ছেলে কাদিস

    ...

    তারপর কি?
  • dam | 199.244.214.30 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:১২603047
  • তারপর

    পিঁপড়ে কেন কামড়ায়?
    কেন রে পিঁপড়ে কামড়াস?
    কুটুস কুটুস কামড়াব
    গর্তের ভেতর সেঁধোব।
  • s | 141.80.168.152 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:১৯603049
  • জনতা, উহু.. আমি আইসি মানে কোনরকমে প্রাণ নিয়া ফিরত আইসি। ব্র্যাণ্ডেনবুর্গ গেট এলাকায় আজ প্রায় লাখখানেক মানুষের ভীড় (সংখ্যাটা এক পুলিশ বলল)। এই ছয় সাড়ে ছয়ফুটদের মহা মিছিলে পাঁচফুটিয়া আমি যে পিষে মরি নাই সে নেহাতই পূর্বপুরুষের সুকৃতির ফল আর আমার পার্শ্ববর্তী দুই মহাপুরুষের(যদিও তারা কুড়ির গণ্ডী অতিক্রম না করা বালক মাত্র)বদান্যতা। তারা ধরেই নিয়েছিল আমি ইণ্ডিয়া থেকে খেলা দেখতে উড়ে আসা কোন পরিযায়ী অতএব তারা আমায় সামান্য জায়গা করে দিয়েছিল সে নেহাতই তারা অবার্লিন বালক বলেই। আগেরবার ক্যামেরা নিতে ভুল হয়েছিল বলে এবার আঁটঘাঁট বেঁধে গিয়েছিলাম। মোক্ষম সময়ে আবিষ্কার করলুম ব্যাটারীতে চার্জ দেওয়া হয় নাই। কিসব অসাধারণ শিল্পকর্মের নমুনা যে মিস করলাম সে ভাষায় প্রকাশ্য নয়।শুধু দীর্ঘশ্বাস ঈঈশ শ শ শ।
    খেলা যত এগিয়েছে আমি ততই নিশ্চিন্ত হয়েছি আমার হসপিটাল যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না আজ কিছু না হলেও ফাটা কর্ণপটহ নিয়ে তো যেতেই হবে। সে যে কি উন্মাদনা আর চূড়ান্ত উন্মত্ততা ডেসক্রাইব করা মুশকিল। আর খেলা যখন ভাঙ্গল????? সকাল সন্ধ্যে মেকাপ করা বার্লিন নগরীর ফিটফাট রাস্তার সুরত দেখে মনে হল এরে কয় রেপড। এখানে ভাঙ্গা বোতল, ওখানে কাঁচ, ওখানে কাগজ, সেখানে বিয়ার ক্যান আর বোতল, ক্রেট, ব্যানার, ফেস্টুন, থুতু, জুতো, ছেঁড়া টি শার্ট কি নেই খালি কন। তারমধ্যে শিরে সংক্রান্তি ছোট ছোট সব স্টেশনে প্রবেশ নিষেধ নাকি চাপ নিতে পারবে না। আহারে। অতএব পয়দল চলো চলো চলো চলতে রহো ও ও ও ও সেইইইইইইই কখন আসবে ফ্রেডরিস স্ট্রাসা কিম্বা আলেকসাণ্ডার প্লাটজ নিদেনপক্ষে পটসডামার প্লাটজ। চিন্তা নেই, সংগী উন্মত্ত মেঘনাদ জনতা। যে রাস্তা যেতে লাগে মিনিট সাতেক এখন তা মেরেকেটে কুড়ি পঁচিশ। বাস, বাস, বাস কোথায়? আকুল দুনয়ন খুঁজে ফিরে মাণিক রতন। আছে তো ঐ তো, সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে পড়েছে সব যানবাহনই। উপায় কি উন্মত্ত জনস্রোত রাস্তার উপর দিয়েই বিশাল অজগরের মতন চলেছে মহানন্দে ভেঁপু বাজাতে বাজাতে। দশগাড়ী পুলিশের সাধ্য কি সে বাহিনীকে হটায়। অতএব? অতএব জনতার দরবারে পুলিশের আবেদন। কোথা থেকে পুলিশ ভ্যানে লাগল চোঙা আর সেই চোঙা ফুঁকে ভাবগম্ভীর গলায় পুলিশের নিবেদন আলে লয়টে আউস স্ট্রাসে হেরাউস। কেউ বিশ্বাস করবে কি না জানি না শুনতে শুনতে আমার ক্যাসাব্লঙ্কার সেই সিনটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই সিনটা মনে আছে যেখানে প্যারিসে জার্মান সাঁজোয়া গাড়ি ঢুকছে আর নাজীরা মাইকে হেঁকে হেঁকে শহর খালি করার কথা বলছে? একদম সেই স্বর, সেই গলা যেন ইতিহাসের ভূত উঠে এসেছে। আমি সত্যি সত্যি গেঁথে গিয়েছিলাম ঐ স্বর শুনে। সে যা হোক, কি যেন বলছিলাম? ও বার্লিনে আমার চার বছরের ইতিহাসে প্রথম দেখা ট্র্যাফিক জ্যাম। শুধু আমাদের দেশের সাথে তফাত এই যে কেউ বিরক্ত নয়, পুলিশেও না। আহা একটা মোটে দিন, করুক একটু দুষ্টুমি করুক - লোকের ভাবগতিক খানিক এইরকম। শব্দদূষণ সব ডেসিবেল ফুঁড়ে উড়ে গিয়েছে কখন। সামনে ভেঁপু পিছনে ভেঁপু, ডাইনে তাই বাঁয়েও তাই তার সাথে গান ধরেছে গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা। হেঁড়ে গলায় সেকি গান - 'ডয়েচল্যাণ্ড ডয়েচল্যাণ্ড ফিনালে ফিনালে'। তারইমধ্যে চোখে পড়ে ট্রেন স্টেশন, গর্ভগৃহে ঢোকার জন্য লাইন দাও। ট্রেন এলে বোঝা গেল ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী দাড়িবুড়ো এইসব ভেবেই না কব্বে লিখে গেছিল। ধন্য আশা কুহকিনী - পরের স্টেশনে নিশ্চয়ই সেঁধাবার জায়গাটুকু পাব অতএব চালাও পানসি মানে পাগাড়ি বেলঘরিয়া। কাল লাল হলুদের জঙ্গলে এক পেট খিদে এক কোমর টনটনানি এক পা ধূলো এক কান তালা আর এক শরীর ভর্তি ক্লান্তি নিয়ে আমার পথ চলা - পরের ইস্টিশানের খোঁজে।
    তারপর মনে নাই।
    ঘোর যখন ভাঙ্গল দেখলুম আমি ভাটিয়ালীর ভাটি গাঙ্গে দাঁড় বাইছি।
  • s | 141.80.168.152 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২০603050
  • একি??? এটা এখানে কেন??? জনতা ভীষণ দু:খিত। অ মামু এটারে সরাও গো।
  • vikram | 134.226.1.136 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২১603052
  • বিয়ের গান লেখো না কেউ কেউ -যে যা জানো।

    বিক্রম
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২১603051
  • আর ঐ টাও কেউ কমপ্লিট করে দিন না --

    ইন্দি বিন্দি সিন্দি উঁকি মারে গাছের আড়াল থেকে
    ...

    মা এসে দুঘা দিল
    খাওয়া দাওয়া ঘুচে গেল
    ইন্দি বিন্দি রাগ করে শুতে গেল রে

    একটা সুরে গাইতাম নার্সারীতে।
  • s | 141.80.168.152 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২৩603054
  • মেম খায় চা বিস্কুটের পরে আরো দুলাইন -
    মেমের মাথায় পাকা চুল
    সাহেব বলে বিউটিফুল।

    খোকা যাবে বিয়ে করতে সঙ্গে যাবে কে
    বাড়িতে আছে হুলোবেড়াল কোমর বেঁধেছে।

    খোকন খোকন করে মায়
    খোকন গেছে কাদের নায়
    আয় রে খোকন ঘরে আয়
    দুধ মাখা ভাত কাগে খায়।

    খোকা গেছে মাছ ধরতে ক্ষীরনদীর কূলে
    ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে মাছ নিয়ে গেল চিলে।

    সব ছড়াই প্রায় খোকাদের নিয়ে, খুকুমণি হাতে গোণাগুণতি।

    চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদমতলায় কে
    হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে খুকুমণির বিয়ে।
  • samran | 59.93.255.92 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২৩603053
  • আমার কথাটি ফুরাল
    নতে গাছটি মুড়াল
    কেন রে নটে মুড়ালি
    গরুতে কেন খায়
    কেন রে গরু খাস
    রাখাল কেন চরায় না
    কেন রে রাখাল চরাস না
    বউ কেন ভাত দেয় না
    কেন রে বউ ভাত দিস না
    কলাগাছ কেন পাতা ফেলে না
    কেন রে কলাগাছ পাতা ফেলিস না
    জল কেন হয় না
    কেন রে জল হোস না
    ব্যাং কেন ডাকিস না
    সাপে কেন খায়
    কেনরে সাপ খাস
    খাবার ধন খাবনি? গুড়গুড়ুতে যাবনি?
  • s | 141.80.168.152 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২৯603056
  • আমি একটা অদ্ভূত ছড়া জানি যেটা আমায় ছোটবেলায় এক অদ্ভূতূড়ে কাকু শিখিয়েছিলেন এই এই উচ্চারণ সহকারেই।
    কিসে কথা
    বেঙ্গুলি মাথা
    কি বেঙ্গুলি
    নাট বেঙ্গুলি
    কি নাট
    আঁখি পাট
    কি আঁখি
    সকর আঁখি
    কি সকর
    হাতি মকর
    কি হাতি
    রজ্জা হাতি
    কি রজ্জা
    খড় খজ্জা
    কি খড়
    মৃগী নড়
    কি মৃগী
    ঝাড় মৃগী
    কি ঝাড়
    আখু ঝাড়
    কি আখু
    সতালি আখু
    কি সতালি
    ভুঁড়ি মতালি

    এইরকম আর অনেকটা, ভুলে গেছি। এর কোন মানে মাথামুণ্ডু ছিল না আর এটাই নাকি মজা। এরকম নাকি বিদেশী ভাষাতেও আছে আর সে কাকু তার কি একটা খটমট নামও বলেছিল, আমি ভুলে মেরে দিয়েছি।
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:২৯603055
  • তীর্থর লেখা 'দাদখানি চাল' এর পরের প্যারা

    ঐ যে ওখানে
    ঘুড়ী ধরে টানে
    ঘোষেদের ননী
    আমি যদি পাই
    তাহলে উড়াই
    আকাশে এখনি

    আর তারপর

    দাদখানি তেল
    মসুরির বেল
    চিনিপাতা কৈ

    ...

    ইত্যাদি। সব পারমুটেশন আমারও মনে নেই।
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:৩৪603057
  • আচ্ছা বিয়ের ঐ গানটার পুরো লিরিক কারো জানা আছে?

    লীলাবালি লীলাবালি বড় যুবতী সই লো কি দিয়া সাজাইমু তরে ...

    কিসব ছিল সিন্দুক থাইয়া শাড়ী দিমু উড়না লাগাইয়া ...
  • s | 141.80.168.152 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:৩৬603058
  • গানটার এমপিথ্রি ছিল আমার কাছে, খুঁজলে পেয়ে যাব মনে হয়।
  • Parolin | 84.203.39.74 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:৪১603060
  • বাঁকুড়ার এক গ্রামের দেওয়াললিখন -

    বিয়েতে চাই না শাড়ি চুড়ি
    সোনার গয়না গলার হার
    এবার থেকে চেয়ে নেবো
    সুলভ মুল্যে শৌচাগার।

    :-))
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:৪৫603061
  • সুখলতা রাও এর 'এক ছিল সাতু রায়' আসলে ভাবানুবাদ। ইংরিজি ছড়াটা ছিল --
    Solomon Grundy
    Born on a Monday
    Christened on Tuesday
    ...


    সত্যজিত ও ছোটোদের কিছু ছড়া খুব সুন্দর অনুবাদ করেছেন। সেগুলো আমি ছোটোবেলায় শুনিনি। বড় হয়ে পড়েছি। তবে এগুলো এত সুন্দর যে আমাদের বাচ্চাদের শেখানো যেতে পারে। একটা নমুনা --

    তারা ছাঁকনি চেপে সাগর পাড়ি দেবে
    দেবেই দেব
    তাদের সবাই করে মানা
    বলে আর কিছুতে যা না
    দিচ্ছে হাওয়া পুবে
    ঘুর্ণীতে সব মরবি যে রে ডুবে
    তাও কি তারা টলে
    তারা সবই মিলে হাত পা ছুঁড়ে বলে
    ছাঁকনি চেপে সাগর যাওয়ায় নেইকো কোনো ভুল
    এরাই পাপাঙ্গুল
    নীল মাথাতে সবুজ রঙের চুল
    পাপাঙ্গুল
    ...
    ইত্যাদি। বইয়ের নাম 'তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম'।

  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০০:৫৩603062
  • আর ঐটা হয়ে গেছে? এই এত বড় থ্রেডে রিপিট হচ্চে কিন কে জানে --

    আমসঙ্কÄ দুধে ফেলি
    তাহাতে কদলী দলি
    সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে
    হাপুস হুপুস শব্দ
    চারিদিক নিস্তব্ধ
    পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:০৬603064
  • আরেকটা লালাবি ছিল। এটা গান। আমার বড়মামী গাইত। কেউ শুনেছেন কি? আমার শুধু কয়েক লাইন মনে আছে --

    গল্প বলার পালা এখন নিঝুম নিশি রা-আ-আ-তে
    ঘুম যায়, ঐ চাঁদ মেঘপরীদের সাথে

    ...
    এমন সময় রাজার কুমার এল বাঁশী হা-আ-আ-তে
    ঘুম যায়, ঐ চাঁদ মেঘপরীদের সাথে
    ...
    ইত্যাদি। আমার মেমারিটা বড্ড বাজে।
  • m | 67.173.95.147 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:২৫603065
  • খুকু নাচে কোনখানে
    শতদলের মাঝখানে
    সেখানে খুকু কি করে
    চুল ঝাড়ে আর ফুল পাড়ে
    ডুব দিয়ে দিয়ে মাছ ধরে।

    আয় আয় টিয়ে
    নাও ভরা দিয়ে
    নাও নিয়ে গেল বোয়াল মাছে
    তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে
    ওরে ভোঁদড় ফিরে চা
    খোকার নাচন দেখে যা।

    জটি বুড়ির মাথায় জটা
    চোখ দুটো তার কটা কটা
    হাত দুটো তার কাঠি কাঠি
    হাতের কাছে রাখছে লাঠি
    কত জিনিস আছে যে তার
    হিসেব করে রাখে কে আর
    ভাঙা কাঁসি ভাঙা কুলো
    বালিশ আছে নেই কো তুলো...

    তারপর আর কি ছিলো মনে নেই:-(
  • kali | 160.36.205.19 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:২৯603067
  • জবরখাকির (জ্যাবরওয়াকি)বিক্রম যতটুকু দিয়েছো তার পরে হলো :

    তাও সে নিয়ে ভুরপি তলোয়ার
    খুঁজতে গেলো মাংসুমি দুশমনে,
    অনেক খুঁজে সন্ধ্যে যখন পার
    থামলো গিয়ে টামটা গাছের বনে।
    শন শন শন চললো তরবারি
    শানিক সিনিক জবরখাকি শেষ।

    ........... (এই লাইনট মনে পড়ছে না।)

    জবরখাকি তোর হাতেতেই গেলো,
    আয় না বিমি বোস না কোলে এসে।
    ......... (উ: আবার ভুলে গেছি)
    বললে বাপে চট খিলিয়ে হেসে।

    কে দুই বেড়ালের দু লাইন বললে?
    আরো আছে তারপর।

    খিল খিল্লির মুল্লুকেতে থাকতো নাকি দুই বেড়াল
    একটা শুধায় আরেকটাকে তুই বেড়াল না মুই বেড়াল।
    তাই থেকে হয় তর্ক শুরু চিৎকারে তার ভুত পালায়
    আঁচড় কামড় চরকিবাজী ধাঁই চটাপট চড় চালায়।
    খামচা খাবল ডাইনে বাঁয়ে হুড়মুড়িয়ে হুলোর মত
    উড়লো রোঁয়া চারদিকে তে রামধনুরই তুলোর মত।
    তর্ক যখন শান্ত হলো, ক্ষান্ত হলো আঁচড় দাগা,
    থাকতো দুটো আস্ত বেড়াল, রইলো দুটো ল্যাজের ডগা।

    বেড়ালের আরো শুনবে?

    বেড়াল বেড়াল কেমন বেড়াল?
    কেউ দেখেনি এমন বেড়াল।
    এই যে বেড়াল, সেই যে বেড়াল,
    এমনটি আর নেই যে বেড়াল।
    আয় রে বেড়াল,হায় রে বেড়াল
    কোথায় চলে যায় রে বেড়াল।
    বেড়াল বেড়াল কেমন বেড়াল?
    যেমন বেড়াল,তেমনি বেড়াল।

    খাগড়াই বললে তো আরো কতই দেওয়া যায়:

    ১।
    তিন বুড়ো পন্ডিত টাকচূড়ো নগরে
    চড়ে এক গামলায় পাড়ি দেয় সাগরে।
    গামলাতে ফুটো ছিলো আগে কেউ দেখো নি?
    গান কানি তাই মোর থেমে গেলো এখনই।

    ২।
    নন্দ ঘোষের শামলা গরু ভাগলো কোথায় লক্ষ্মীছাড়া।
    নন্দ ছোটে বনবাদাড়ে,সন্ধানে যায় বদ্যিপাড়া।
    শেষকালেতে অর্ধ রাতে হদ্দ হয়ে ফিরলে পরে,
    বাসায় দেখে ঘুমোয় গরু ল্যাজ গুটিয়ে গোয়াল ঘরে।

    ৩।
    যাদু রে আমার আদুরে গোপাল
    নাকটি নাদুস, থোপনা গাল
    ঝিকিমিকি চোখ, মিটিমিটি চায়
    ঠোঁট দুটি তায় টাটকা লাল।
    গোবদা গড়ন এমনি ধরণ
    আবদারে কেউ ঠোঁট ফুলোয়?
    মখমলি রং মিষ্টি নরম
    দেখছো কেমন হাত বুলোয়?
    মোমের পুতুল ঘুমিয়ে থাকুক
    দাঁত মেলে আর চুল খুলে।
    টিনের পুতুল, চীনের পুতুল
    কেউ কি এমন তুলতুলে?

    ৪।
    ম্যাও ম্যাও হুলো দাদা, তোমার যে দেখা নাই?
    গেছিলাম রাজবাড়ী,রানীমার সাথে ভাই।
    তাই নাকি? বেশ বেশ ,কি দেখেছো সেখানে?
    দেখেছি ইঁদুর এক রানীমার উঠানে।

    ৫।
    ছোট ছোট ছেলে গুলো কিসে হয় তৈরী?
    কিসে হয় তৈরী?
    কাদা আর কয়লা
    ধুলো মাটি ময়লা
    তাই দিয়ে ছেলে গুলো তৈরী।

    ছোট ছোট মেয়ে গুলো কিসে হয় তৈরী?
    কিসে হয় তৈরী?
    ক্ষীর ছানা ননী আর,
    ভালো যাহা দুনিয়ার
    তাই দিয়ে মেয়ে গুলো তৈরী।

    ৬।
    বলছি ওরে ছাগল ছানা,
    উড়িস নে রে উড়িস নে।
    জানিস নে তোর উড়তে মানা?
    হাত পা গুলো ছুঁড়িস নে।

    রং হলো চিঁড়েতন
    সব গেল ঘুলিয়ে
    গধা যায় মামাবাড়ি
    টাকে হাত বুলিয়ে।

    বেড়াল মরে বিষম খেয়ে
    চাঁদের ধরলো মাথা।
    হঠাৎ দেখি ঘরবাড়ি সব
    ময়দা দিয়ে গাঁথা।

    বিক্রম,

    ওটা সোনার বৌ ই।তাড়াহুড়োয় লিখতে গিয়ে ভাই লিখে ফেলেছি।আর ঐ এক যে আছে মজার দেশ ছড়াটার আমারো ঠিক ঐ টুকুই মনে আছে। তবে একটা লাইন ছিলো 'ছেলেরা খায় ক্যাস্টর অয়েল রসোগোল্লা ফেলে'।

  • m | 67.173.95.147 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:২৯603066
  • আমার ছেলের প্রিয় গান:-)

    ফুটফুটে জোছনায়
    জেগে শুনি বিছানায়
    বনে কারা গান গায়
    ঝিমিঝিমি ঝুমঝুম

    চাও কেন পিটিপিটি
    উঠে পড়ো লক্ষ্মীটি
    চাঁদ চায় মিটিমিটি
    বনভূমি নি:ঝুম
    ঝিমি ঝিমি ঝুম ঝুম।
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:৩০603068
  • ও আচ্ছা, ট্যানের ওটা --

    খিলখিল্লির মুল্লুকেতে থাকতো নাকি দুই বেড়াল
    একটা শুধায় আরেকটাকে তুই বেড়াল না মুই বেড়াল
  • kali | 160.36.205.19 | ২১ জুন ২০০৬ ০১:৩৫603069
  • হুউম তনু, লালকমল নীলকমলের গান বলি শোন।

    চাষী ভাই চাষী ভাই গো,
    আমাদের কেউ নাই কেউ নাই গো।
    কি নাম দেশের ডাকে সবাই
    কোথায় থাকেন রাজা মশাই
    বলে দাও।
    চাষী ভাই চাষী ভাই গো......
  • dri | 199.106.103.254 | ২১ জুন ২০০৬ ০২:৪১603071
  • এক যে ছিল মজার দেশ এর লাস্ট লাইনটা হঠাৎ মনে পড়ল --

    মজার দেশের মজার কথা বলব কত আর
    চোখ খুললে যায় না দেখা মুদলে পরিষ্কার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন