এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | 116.213.50.178 | ১০ জুলাই ২০১৩ ২৩:১১609453
  • যাউক প্পনের প্রশ্নের উত্তর তো হইল অহন আমারটার উত্তর দিব কেডায়?
  • কুসুম্বা | 120.227.224.37 | ১০ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩২609454
  • চাষিরা বলছিল এবার বর্ষা ভালো হবেনা, আর কবে হবে বর্ষা, আষাঢ় মাস শেষ হতে চলল!

    মাঝে ক'দিন খুব তর্জন গর্জন চলল। অমন বিদ্যুত কবে যে শেষ আকাশ জুড়ে চমকাতে দেখেছি মনে পড়েনা। সেই সময় এদিক ওদিক থেকে যা খবর পাওয়া গেল সব মিলিয়ে দুজন মানুষ আর ৫টি গরু বজ্রপাতে মারা গেছে। তারপর, এই ক'দিন আগে, আমাদের গ্রামেরই উত্তম লেট, যাকে সবাই আমরা চানাচুর বলে ডাকতাম, সে যেদিন মারা গেল, অদ্ভুত আমি সেই দুপুরে মাত্র একবারই হাল্কা একটা অওয়াজ শুনেছিলাম(গ্রামেই ছিলাম তখন)! সবাই আরো অবাক হয়ে যা আলোচনা করছিল তা হল মাঠের মাঝে চানাচুরের কয়েক হাত দুরেই কাজ করছিল তার বাবা ও মা এবং গরুটাও পাশেই চড়ছিল, কারো কিছু হলনা চানাচুর একাই চলে গেল, সবেতো তিরিশ বত্রিশ বছর বয়স হয়েছিল, ছোট ছোট দুটো মেয়ে, বৌটার কি কপাল!! এইরকম সব কথা।

    বিকেলে চারটা নাগাদ উত্তম লেটের মরদেহ যখন হাসপাতাল থেকে এল সারা গ্রাম যেন ভেঙ্গে পড়ল তোপসের মোড়ের মন্দির-মাঠে।

    সন্ধ্যার পর টুকরো টাকরা কথা কানে আসতে লাগল--
    চানাচুরের কি ভাগ্য, এতগুলো গাড়ি, মটর সাইকেল, গাঁয়ের সব বামুন আর কুনো ল্যাটের মড়ার কাছে দেখেছিস! তারাপিঠতো গেল বটে!

    অবধারিত টিপ্পনি ছুটে এল--
    এখুন যে ভোট! তার ল্যেগে। টাকা কুথা পাবে উ!

    তারপর এই আদিখ্যেতা নিয়ে বহু কথা, হাসাহাসি।

    জানা গেল যে তাপ্পুদা আর কাউকে চান্স না দিয়ে সবার আগে তোপসের মোড়ে ঘোষণা করেনঃ চল তারাপিঠ যা খরচা সব আমার।

    রাতের দিকে উত্তমের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এমএল কর্মী বুদ্ধদেব লেট আমার কাছে আক্ষেপ করেঃ
    একটা লাল সেলামও দিতে পারলামনাগো, ছিলতো আমাদেরই, লাল কার্ড হোল্ডার, হালে কদিন হল ওদের সাথে ভিড়েছিল, মনটা খারাপ লাগছে, একটা লাল কাপড়, লাল সেলাম কিছুই দিতে পারলামনা!
  • কুসুম্বা | 120.227.224.37 | ১১ জুলাই ২০১৩ ০১:২৯609455
  • রঞ্জনদা
    আপনার ছত্তিশগড়ের আঁকিবুকি পড়ি, মাওবাদ ও মহেন্দ্র কর্মার হত্যা প্রসঙ্গেও ভালো লেগেছে।

    বীরভুম জেলার রামপুরহাট১নং ব্লকের চাকাইপুর গ্রামে মমতার জন্ম। পাশের গ্রাম আমার প্রিয় কুসুম্বা। এই গ্রামে মামার বাড়িতে কেটেছে মমতার ছোটোবেলা। রাজনৈতিক হালহকিকত দিতে গিয়ে মামাটি ও মামাতোদের কথা এড়িয়ে থাকা আর যাচ্ছিলনা বলে নাম রহস্যটা প্রকাশ করে দিতেই হল। ব্যক্তিগত কিসসা এড়িয়ে আরো কিছুদুর লেখাটা এগুতে পারে, বিশেষত গ্রামে জমে থাকে আরো কত কথা। কাল প্রথম পর্বের ভোট। আপনাদের সামগ্রিক অবজার্ভেশন জানাবেন।

    সবার ভালো লাগছে দেখে আমিও যে আনন্দ পাচ্ছি তাতো বলাই বাহুল্য। গুরুচন্ডাতে বেশীদিন নই, টইটা খুলেছিলাম পঞ্চায়েতের বাজারে আপনাদের দৃস্টি আরো একটু গ্রামের দিকে ফোকাস করার অভিসন্ধিতে। সময় প্রচুর থাকে আবার থাকেওনা, তবু/তাই গুরুচন্ডার অনেক লেখাই পড়ি আবার মিসও করি অনেক কিছু। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে দেখি টইটই করেই কেটে যাচ্ছে, দরকারি অনেক পড়া বাদ পড়ে যাচ্ছে।

    সন্ত্রাসের তুলনা করতে দুটো ফ্যক্টরকে বাদ দিলে হবেনা।
    ১। সিপিএম জমানায় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর জাঁকিয়ে বসেছিল ধীরে ধীরে। সেই মাধ্যমেই ক্ষমতাবান শ্রেণী/বর্ণ তাদের আধিপত্য অব্যাহত রাখতে ও শেকড় বাকড় ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল অনেক গভীরে, উত্তর ভারতের মত নিম্ন বর্ণের কাছ থেকে কোন চ্যালেঞ্জ পেতে হয়নি এখানকার উচ্চবর্ণদের, জাত্পাত ভিত্তিক মোবিলাইজেশনও তেমন দেখা যায়নি। তিনোরাও সিপিএমের পথেই চলতে চাইবে, কিন্তু তার জন্য সময় দরকার। তাদের আধিপত্য বিস্তারের বর্তমান প্রক্রিয়াটা তাই অনেক অ্যানার্কিক ও হুব্বাবাজ গোছের। বিশেষত সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের আগে পর্যন্ত তিনোদের শ্রেণীভিত্তিটা ছিল মুলত শহর ও মফস্বলের লুম্পেন অর্থনীতি পুষ্ট শ্রেণীগুলো(যদিও খুব পরিস্কার ভবে এই শ্রেণীগুলোকে চেনানর মত ম্যাটেরিআল বা পড়াশুনা এখনও আমার কাছে নাই)।
    ২। মমতার কাছে চ্যলেঞ্জটা অনেক কঠিন। গণতন্ত্রের প্রশ্নেই ব্যাপক আলোড়নের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। এসেই তাকে চলতে হচ্ছে উল্টো পথে। ৭৭এই জ্যোতি বসুকে তা করতে হয়নি। অর্থাত ক্ষমতায় আসার মুহুর্ত থেকেই মমতাকে বন্দুকটাকে ঘুরিয়ে ধরতে হয়েছে তাদের দিকেই যারা তাকে ক্ষমতায় এনেছে। সিপিএমের দলবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালানর যুক্তিটা বেশীদিন কার্যকর থাকতে পারেনা। সমস্ত শ্রেণীর উর্দ্ধে মমতাময়ী সীজারিয়ান লীডারের ইমেজটাই মূলধন ছিল তার, সেটাও বিভিন্ন ঘটনায় অনেকাংশে খর্ব হয়ে গেছে এখন।

    বাকী, বিভিন্ন শ্রেণীগুলোর বিকাশ ও রিঅ্যালাইনমেন্টটাই দেখা বোঝা(আর গ্রামাঞ্চলে এই বিষয়্টাই একটা গোলোকধাঁধা) এবং সেই অনুযায়ী রাজনৈতিক ভুমিকা রাখাটাই এখন দরকার। আমি অন্তত তাই করব। এই টইয়ে বা অন্যত্র সেসব নিয়ে চর্চা হলে আমার উপকার।
  • b | 135.20.82.164 | ১১ জুলাই ২০১৩ ০৮:১৪609456
  • গোগ্রাসে গিলছি। কুসুম্বা, লিখতে থাকুন।
  • PM | 233.223.154.149 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১১:৩৬609457
  • কুসুম্বা, আপনার গ্রামের ওপোর শহুরে মিডিয়ার প্রভাব একটু জানাবেন। এখানে একটা বিতর্ক প্রায়-ই চলে যে আঃ বাঃ, বর্তমান স্টার আনন্দ, ২৪ ঘন্টা এদের আদৌ কোনো প্রভাব গ্রামে আছে কিনা। আপনি একটু পরিস্কার করুন প্লিজ
  • ppn | 190.215.54.157 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১১:৪০609458
  • বুজি, মাজি, গুজি এদের প্রভাবের কথাও জানাবেন।
  • ম্যামি | 69.93.242.130 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৩:৫৩609459
  • বিভিন্ন শ্রেণীগুলোর বিকাশ ও রিঅ্যালাইনমেন্ট সত্যিই গোলোকধাঁধা। শহর গ্রাম মিলিয়েও গোলোকধাঁধাই বটে।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.53 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৪:১২609460
  • প্রিন্টের তুলনায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যে গ্রামের ব্যাপক নিরক্ষরতার জগতে অনেক বেশী প্রভাবশালী হবে তা বলাই বাহুল্য। আবাপানন্দ ও ২৪ঘন্টার প্রভাব নিয়েত সন্দেহ থাকার কথা নয়! দুটোই সমানে সমানে চলে। রাঢ়ের এই দিকটার বাড়ির গঠন যদি লক্ষ্য করে থাকেন তালে দেখবেন যে এই মাটির দোতলা (গরিবদেরও) বাড়িগুলিতে সুবিশাল একটি খোলা বারান্দা থাকে যা ডাইনিং ড্রয়িং লিভিং অলপারপাস ব্যবহৃত হয়। সন্ধ্যা হতেনা হতেই মা ঝিলিক বাহা ইত্যাদিতে সেঁটে যায় মেয়েরা বাচ্চারা, পুরুষরাও। একটু রাতের দিকে, মানে ওই ৯টার দিকে, কিছুক্ষণ খবর দেখার চান্স নেয় বাড়ির কর্তারা। কিন্তু বাড়িতে নয়, ক্লাবগুলোতে অবসর কাটে ছেলে ছোকরা ও যুবকদের, আর সেখানেই, বিকেল সন্ধ্যাতে খাওয়াদাওয়া সেরে, লম্বা আড্ডা দেয় যা সারা রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনার গ্রাফের সাথে ওঠে নামে আবাপানন্দ ও ২৪ঘন্টা মারফত। প্রত্যেক পাড়াতেই অমন ক্লাব আছে। আমি লেট বাউড়ি ও বায়েন পাড়ার কয়েকটি ক্লাবে ঢুকেছি কখনো কখনো।

    শতকরা হিসাবে খুব ক্ষুদ্র অংশই হয়ত নিউজ ফলো করে, কিন্তু রাজনৈতিক সংবাদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ওই দুটি চ্যানেল দ্বারাই সবচেয়ে বেশী মাথায় ঢোকে এবং এও দেখেছি যে যে কোন সংবাদকেই নিজস্ব ধ্যানধারণা দিয়ে বিচার/ফিল্টার করে সেইমত বিশ্বাস/অবিশ্বাস স্থাপন করার একটা প্রবণতা বেশীরভাগেরই আছে। ওই 'নিজস্ব' ধ্যানধারণাটা অবশ্য অত সহজে লোকেট করতে পারবেননা কারন উহা হইল আপনারা যারে কন সানি এবং যাহা সতত গতিময়। জটীল সেই গতি কেননা, আগেই বলেছি, জাত বর্ণ শ্রেণি স্তর ও সরকারী কেটেগরী মিলিয়ে আন্তর্সম্পর্কের ম্যাট্রিক্সটি এক গোলোকধাঁধাঁ। উত্‍পাদন ও তার মালিকানার স্বার্থে ঘটে চলা দৈনন্দিন সংঘাতই চেতনায় সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে নিশ্চয় কিন্তু বাইরে থেকে আসা রাজনৈতিক চেতনা একটা ক্রুশিয়াল ফ্যাক্টর এবং সেখানেই ঢুকে আছে আবাপানন্দ ইত্যাদি। সেই প্রভাব কতটা কেমন তা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে, অস্বীকারতো করা যাবেনা!

    কলকাতার 'বুজী'দের সম্পর্কে আগ্রহ উত্‍সাহ নন্দীগ্রাম এপিসোডের পর অনেক বেড়ে যায়। কে কোন দলের অতশত বুঝতে না চেয়ে কোন বিষয়ে তারা বিরোধিতা করছে সেটাই মুখ্য বিষয় হয় চর্চার। সেই মহামিছিলের পর থেকে কলকাতার 'বুজী'দের একটা কৃষক দরদী মুখছবি তৈরী হয়েছে বলে মনে হয়।

    খবর পেলাম। কাল বায়েনপাড়ায় ফব ও তিনো একদম সমান সমান প্রচার করেছে। দুদলই ১৮ কেজি করে পোল্ট্রি খাইয়েছে।
    কুলু(মুলত মধ্যকৃষক)দের মধ্যে যারা এমএল পার্টিকে ভোট দেবে ভাবছে, তারা উত্‍কন্ঠিত হয়ে এমএল প্রার্থীকে বলেছে: তুমরাও একটু খরচ করো, নাইলে জিতবা কি করে!
  • ম্যামি | 69.93.242.130 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৪:৫৩609461
  • খুব গরিবদের কথা বলছি, ইদানিংকালের প্যানেল ডিসকাশনগুলো তাদের কেমন লাগে?
  • ম্যামি | 69.93.242.130 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৪:৫৬609232
  • যেমন, অরুনাভ ঘোষ যা যা বলেন সেগুলো তাদের কাছে কৃষকদরদী রূপে দেখা দেয়?
  • PM | 233.223.154.149 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৫:০৩609233
  • গুরুর পাতায় প্রচলিত দুটি মিথ ভাঙলো তাহলে -

    ১। গ্রামের রাজনীতিতে মিডিয়ার প্রভাব নেই।

    ২। বুজিদের বক্তব্য গ্রামের মানুষের কাছেই পৌছয় না, ভোটে প্রভাব ফেলার কোনো প্রশ্নই নেই

    আরেকটা বহুল প্রাচারিত মিথ-ও ভাঙলো ( গুরুর নয়), সেটা হলো পঃবঃ এর মানুষ রাজনীতি সচেতন। পয়্সা, দাক্ষিন্য দেখিয়ে ভোট পাওয়া --ওসব বিহার , ইউপি, তামিলনাড়ুতে হয়। এখানে হয় না।

    এখানে আমরা যারা ভাটবাজী করি তাদের যে মাটির সাথে যোগাযোগ কত কম, আপনার লেখা পড়ে তা প্রকাশ পাচ্ছে।

    আরো লিখুন প্লিজ
  • PM | 233.223.154.149 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৫:০৮609234
  • শিল্পের জন্য কৃষিজমি নেওয়টা ( উপযুক্ত ক্ষতিপুরনের বিনিময়ে অবশ্যই) কি গ্রামের মানুষ /কৃষিজীবীরা এখনো কৃষক বিরোধী অবস্থান বলেই দেখেন? সিঙ্গুর নিয়েই বা মানুষ কি ভাবেন?
  • h | 213.132.214.156 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৬:০০609235
  • পি এম কে একটা কথা বলার ছিল। আমার বক্তব্য হল, বুদ্ধিজীবী দের প্রভাব অবশ্যই অপেক্ষাকৃত ভাবে কম, সংগঠিত রাজনৈতিক দলের চেয়ে। গু চ র পাতা বলে কোনো লোক আছে বলে জানি না। আমার এইটা মত, আরো কারো আসে কিনা আমি জানি না, মাইরি। মনে নেই। গ্রামে শুধু না শহরেও। একই গল্প।

    আর সামান্য একটা কথা, গু রু চন্ডালি বা ফেসবুক ইউজ করি বলে আকাশে থাকি তা না বা পৃথিবীর আর কিছুর সংগে যোগাযোগ নেই তাও না। অতএব যা বলি বা যতটুকু বলি সেটা খুব কল্পনা প্রসূত কিসু না।

    মানে গ্রামে ভোটের আগে মুর্গী খাওয়ানো হল এটা নতুন কোন খবর না। ঘনিষ্ঠ রা আরো খাওয়াতে বলছেন সেটাও নতুন না। কিন্তু এই গল্প গুলো আমার কাছে কোনো নতুন ভ্যালু অ্যাড করে না। কুসুম্বার লেখা আমার ভালো লাগছে না এই কারণে জে রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের তথাকথিত নিরপেক্ষ দের অ্যাপাথি টা উনি কোথাও কোথাও শেয়ার করছেন বলে, ভালো লাগছে এই কারণে যে মানুষ টা জানার ইচ্ছে টা, এবং ক্লিয়রলি অসম্ভব জ্ঞানী মানুষ হওয়া সত্ত্বেও মূলতঃ অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকটা য় জোর দিচ্ছেন বলে।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.28 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৬609236
  • অনেকদিন পরে এই টইটা পড়ে ভালো লাগল কারণ গ্রামের কথা আমি খুব ভালোবাসি আর সেটা গ্রাম থেকে দুরে আছি বলে নয় গ্রামের সঙ্গে জুড়ে আছি বলে।
    যা পড়ছি তা একজনের অভিজ্ঞতা হিসেবেই পড়ছি কোনো দলিল হিসেবে নয়।

    তবে গ্রামের লোককে নাইভ ইত্যাদি ভাবা নিয়ে আমিও এখানে অনেকবার টুকরো টুকরো করে আপত্তি জানিয়েছি, তখন লোকের কথা শুনে মনে হয়েছে টিভি ফোন মোবাইল এবং দোকানের বাঁশের বেঞ্চে বসে হাত ঘুরিয়ে খবরের কাগজ পড়ে তুমুল আলোচনা, রাজনীতির হিসেব কড়ায় গন্ডায় বোঝা এবং নিজস্ব মতামত নিজের মত করে রাখা, এসব ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং এক আধটা গাঁয়ে হলেও হতে পারে......হয় না বলেই মনে হয়!:)

    কুসুম্বার অবসার্ভেশন গুলো ইন্টারেস্টিং, তার মত করে এবং লেখা খুব ভালো, পড়তে ভালো লাগছে। আমার দেখাশোনার সঙ্গে কিছু মিলছে কিছু মিলছেনা, খুব স্বাভাবিকভাবেই, কারণ অনেকসময়, আমার গ্রামের সঙ্গেই পাশের গ্রামের কার্যকারণের মিল পাইনা, কিধরণের মানুষের বাস সেগাঁয়ে, কী অবস্থার তার ওপরে অনেক কিছু বদলে যায়!
  • PM | 233.223.154.149 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৯609237
  • মাটির সাথে যোগাযোগ প্রসংগে আমি "আমরা" শব্দ টি ব্যবহার করেছিলাম-মানে আমি আর আমার মতো লোকজনের কথা বোঝাতে। আপনার সাথে সেই যোগাযোগ থাকতেই পারে। ওনার বলা অনেক কথা সত্যি আমি আগে শুনি নি। আমার ভালো লাগছে কুসুম্বার লেখা কারন উনি কলকাতা থেকে দূরবর্তি এক আদিবাসী অধ্যুসিত গ্রামের ফাস্ট হ্যান্ড খবর লিখছেন বলে।

    আর হ্যা , "১০০ % নিরপেক্ষ" এটা আমার কাছে সোনার পাথর বাটি ছাড়া কিছু নয়। আপনি , আমি, কুসুম্বা কেউ-ই তা নয়। তাতে কি?
  • ranjan roy | 24.99.51.131 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৭:০৩609238
  • আজ আকাশ-বাংলা চ্যানেলে দুপুরে প্যানেল ডিসকাশনে ছিলেন কংগ্রেসের জয়প্রকাশ, বামেদের ফ ব নেতা অশোক ঘোষ।
    জয়প্রকাশ বাঁকুড়ায় নাম করে করে ৯০ প্রতিশত কেন্দ্রে একতরফা ভোট করানোর জন্যে তিনোকে অভিযুক্ত করলেন।
    আর সেই সঙ্গে স্পষ্ট বললেন যেই এইসব কেন্দ্রে তিনোর প্রার্থী তারাই যারা ২০০৩ ও ২০০৮ এ সিপিএম এর ক্যান্ডিডেট ছিল।
    এর থেকে কুসুম্বার বিশ্লেষণ গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে যে এবার যে বেশ কিছু লোক মাও থেকে বা সিপিএম থেকে তিনোর ক্যান্ডিডেট হয়েছে তার অর্থ এই নয় যে রাঢ় বাংলায় তিনোর সঙ্গে সেই এলাকার মাও বা সিপিএম এর কোন গোপন আঁতাত ছিল।
    বরং কুসুম্বা যেমন বলেছেন, গরীব নয়, মধ্য ও উচ্চবর্গের কৃষকরাই গ্রামাঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা রক্ষার স্বার্থে কখনো সিপিএম, কিছু এলাকায় কখনো মাও, কখনো তিনো হয়েছে।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.28 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৭:৩২609239
  • এটা এরা এতদিনে জানল! এককালে এভাবেই কংগ্রেসী সব সিপিএম হয়েছিল নাহলে তখন তো বেশীরভাগ গ্রামে হাতে গোণা সিপিএম/সিপিআই/কর্মনষ্ট হত, প্রায় এখন যেমন মাওবাদী তেমনই ভয়ংকর মনে করত সাধারণ লোক তাদের।

    আবার সিপিএম দের তিনোমুল হয়ে যাওয়াও আজকের ঘটনা নয়, এটা ২০১১র আগে থেকেই শুরু হয়েছে। নাহলে আর ২০১১ হল কী করে!
    আমাদেরই চাষী এককালে সিপিএমের পঞ্চায়েত ছিল এর আগের বারে তিনোমুলের আর তারও আগে তার দাদু প্রধান ছিল এবং পাড়াশুদ্ধু লোক এদের ফলো করে কখনো কংগ্রেস কখনো সিপিএম এখন তিনোকে ভোট দেয়!
  • h | 213.99.212.54 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫১609240
  • পি এম পয়েন্ট টেকেন। ভাষ্যকার গ্রামের লোক হলেই, গ্রাম প্রসঙ্গে তাঁর কথা খুব সইত্য হবে, এটা মনে করার কোন কারণ নেই। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বা লক্ষন শেঠ ভালো লোক হত। এটা পার্সোনাল ইন্টিগ্রিটি র ব্যাপার। সান অব দ্য সয়েল ইত্যাদি রাজনীতির প্রচুর সমস্যা আছে এবং সে সমস্যা শুধু ই তাত্ত্বিক না। একটা গ্রামে কোন ঝামেলা হলেই, নির্যাতিত হোন, বা ভাষ্যকার হোন, তাঁরা গিয়ে প্রথমে যেটা প্রমাণ করেন, বহিরাগত কজন। ইত্যাদি। অ্যাজ ইফ একটা গ্রামে কোন খঃ লোক থাকতে পারে না।

    অনেকের ই এই লেখাটা ভালো লাগছে, দ্যাট ইজ বিসাইডস দ্য পয়েন্ট।

    আমার মনে হয়, একটা লেখা, ভালো লাগার কারণ অনেক কিছুই থাকতে পারে, তার একমাত্র কারণ বাসস্থান মাহাত্ম্য নাই হতে পারে, বা অন্তত হবেই এরকম কোন কারণ নাই।

    গ্রাম সমাজের শ্রেণী বিন্যাসের কথাও নতুন কিসু না। সেটা কে বুজেছে, কবে বুজেছে, কবে বোঝে নি , কোন রাজনইতিক শক্তির নেতৃত্ত্বে কখন কারা এগুলো ও নতুন কথা না। নতুন কথা কি পাচ্ছি আমরা তাহলে, কুসুম্বার লেখায়, জানার আগ্রহ, কনভিকশন কে জানার পদ্ধতি টার মধ্যে আসতে না দেওয়ার আগ্রহ, আর নিরপেক্ষতার ভাষা যে প্রশাসনিক না হলেও চলে তার শিক্ষা। আপনার কারণ জানি না, আমার এই জন্যেই মেন লি ভালো লাগছে।

    বাইঅ দ্য ওয়ে, একটা লোক আদ্যপান্ত সৎ হলেও সম্পূর্ণ ভাট বকতে পারে, এটাও জেনে রাখাই ভালো, রাজনীতি অন্য যে কোনো বিষয়ের মতই একটা বিষয়, মরালিটি আর অবসারভেশন বা বিশ্লেষণ এর ক্ষমতা সবার সমান হয় না। আমি অনেক সিরিয়াস লিই খচ্চার লোক কে রিজনেবল ভালো অ্যানালিসিস দেখেচি, গ্রামে ও শহরে। আপনিও দেখেছেন, নতুন কিসু না।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.36.159 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৮:২৫609241
  • h 4 p.m এর "বুদ্ধিজীবী দের প্রভাব অবশ্যই অপেক্ষাকৃত ভাবে কম, সংগঠিত রাজনৈতিক দলের চেয়ে" সাথে বেশিরভাগই একমত হবে।

    তবে তাতে বুদ্ধিজীবীদের গুরুত্ব কিছু কমে যায় না কারণ আমার ধারণা যেটা ক্রুসিয়াল তা হল স্যুইং আর সেখানেই বুদ্ধিজীবীদের অবদান। উদাহরণ সহযোগে বোঝানো থেকে বিরত রইলাম।
  • h | 213.99.212.54 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৮:৪৭609243
  • চান্দু মিঞা র এই বক্তব্যে, আমার বক্তব্য নিম্নরূপ ঃ-)

    - অপিনিয়ন মেকার দের সাথে, সংগঠিত বা যোগাড় করা রাজনইতিক শক্তির স্বার্থের বা দৃষ্টিভংগীর মিলন না ঘটলে রাজনইতিক সুইং খুব বেশি সম্ভব না।

    - মার্কেট ফোর্স এর তৈরি করা সেন্সিবিলিটি র বাইরে গিয়ে কথা বলার মত বুদ্ধিজীবী খুব বেশি নেই। অতএব মেরিট অফ আর্গুমেন্ট , যে টা কিনা বুদ্ধিজীবীর মূল অস্ত্র হওয়ার কথা ছিল, সেটা কতটা সত্যি শক্তিশালী সে বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
  • cm | 233.231.139.211 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৯:২১609244
  • তাহলে কি এই রকম দাঁড়ালো।

    ১) মার্কেট ফোর্স বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রথমে নির্ধারণ করছে কোন দল তাদের পক্ষে সুবিধেজনক হতে পারে।

    ২) সেই অনুযায়ী নির্মিত সেন্সিবিলিটি নিয়ে বুদ্ধিজীবী ময়দানে নামছেন।

    ৩) ভোটের বাক্সে আমরা ফল দেখছি। অর্থাৎ বাজারই নিয়ন্তা হয়ে উঠছে।

    ( আমি ধরে নিয়েছি বুদ্ধিজীবীর বাণী তার সৎ বিশ্লেষণ প্রসুত নাকি শেখানো বুলি তা নির্ধারণের রাস্তা নেই।)
  • ছেনাল ঘোষ | 125.241.71.11 | ১১ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৩609245
  • সিপিএম, পুলিশ-ক্যাডার লেলিয়ে পিটিয়ে জমি নিয়ে নেবে, কিন্তু দিদিমণি নেবেন না এটা গ্রামের মানুষ কেমন খায়? এর প্রভাব কতটা জানতে আগ্রহী রইলাম।
  • ranjan roy | 24.99.32.246 | ১১ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৬609246
  • শ্রাবণীকে ক।
  • কুসুম্বা | 116.198.200.110 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:২৬609247
  • গ্রামের মানুষের থেকে শহরের মানুষ বেশী রাজনীতি সচেতন কিংবা তার উল্টো- এরকম তুলনা অর্থহীন। বর্তমানে শহরের সবচেয়ে আধুনিক আইটি শিল্পের শ্রমিকের তুলনায় গ্রামের কুলাক (সরলীকৃতভাবে বুঝলে কুলাক=কৃষি+চাকুরী+ব্যবসার অধিপতি) অনেক বেশী শ্রেণী সচেতন বলে মনে হতে পারে তাঁদের কাছে যাঁরা এই দুই শ্রেণীকেই কাছ থেকে দেখেছেন। উদারনৈতিক গণতন্ত্রের ইন্ডিভিজুয়ালাইজড বুর্জোয়া নাগরিক হিসাবে নয় বরং এক জনসমষ্টিগত গণরাজনৈতিক কারক('সাবজেক্ট' এর বাংলা কি হবে? 'ইন্ডিভিজুয়ালাইজড' এর?) হিসাবে বুঝতে হবে কৃষক চৈতন্যকে। এরকমটা সাবল্টার্নদের চর্চায় পেয়েছি যা আমার বিলকুল কাজে লেগেছে বুঝতে। দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিকতায় 'সাবমিসিভ' কিন্তু বিশেষ মুহুর্তে বারবার 'প্রতিরোধী' চেতনায় ঝলসে উঠতে কি দেখিনি আমরা কৃষকদের? এইযে এক অচলায়তনকে হঠিয়ে দিল মানুষ, সেই হঠিয়ে দেয়াটা কি কৃষকের প্রাণপাত প্রতিরোধ দ্বারাই উত্সারিত হয়নি (টিভি সেলেবরা, বুজী, ভাবে তারাই করেছে!!)? সেই নন্দীগ্রামের কৃষকেরাই এখন আবার তিনোদের দাপট মুখ বুজে সইছে।

    ম্যামি,
    কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ হলে অনেকেই নিজের মতের সমর্থনে বলে যে কলকাতার বুদ্ধিজীবিরাও এই নিয়ে বিরোধিতা করেছে। কয়েকজন গেরস্থর মুখে 'মুখটা ঐ প্যারালাইসড নক্সাল কি যেন নাম' লোকটার বক্তব্যের প্রশংসা শুনেছি কয়েকবার, মমতাকে চটকদার আক্রমনের কারনে অরুণাভকে মনে ধরতে দেখেছি ঘোর মমতা বিরোধিদের। কৃষক দরদী মুখছবি কোন ব্যক্তির নয়, সামগ্রিকভাবে সেই মহা মিছিল যে কৃষকের গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিল তা তো সাধারণ কৃষকদের না বোঝার কথা নয়।

    আজ ছিলাম নক্সালদের সভায়। সিপিএমের দুজন আঞ্চলিক নেতা, যারা সিঙ্গুর পর্ব থেকে নিস্ক্রীয় হয়ে গেছিল, তারা যোগ দিয়েছে দেখলাম, কথা হল অনেক তাদের সাথে। আমার সেই নক্সাল বন্ধু মুর্খাজী বাবুর বক্তব্য শুনলাম এই প্রথম, অন্তঃসারশুন্য আবেগ কেবল। সবাইকে চমকিত করে একজন ইয়াং হোলটাইমার ক্যাডার(বাইরে থেকে আসা) কৃষি সংকট ও ছোটো-মাঝারি কৃষকের সাথে গ্রামীণ শ্রমজীবিদের জোট গড়ার প্রয়োজনিয়তার থীমে সুন্দর বক্তব্য রাখল। শুনল অনেকে, কিন্তু শেষে ঐ 'নক্সালরা বলে ভালো' গোছের কমেন্ট এল, আর একজন বিষম রাগ দেখিয়ে বলল 'সব ঠিক আছে, কিন্তু মমতাকে মমতা বেগম কেন বলা হলনা'!!
  • কুসুম্বা | 116.198.200.110 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৩৭609248
  • মমতা কিন্তু একটা ইমেজকে খুবই সযতনে লালন পালন করেছেন এই দু'বছর। প্রত্যক্ষভাবে তাঁর সরকার কোন জমি গ্রাসে নামেনি। লোবা থেকে সাময়িক ভাবে হলেও পিছিয়ে এসেছে কিন্তু। সেজ নিয়েও একটা এককাট্টা বিরোধিতা শো করে এসেছে। তলায় তলায় কি হচ্ছে বা আগামীতে কি হবে তা অন্য প্রশ্ন।
  • pi | 172.129.44.87 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৪২609250
  • গ্রাম নয়, উচ্ছেদের প্রসঙ্গে বললাম।
  • pi | 172.129.44.87 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৪২609249
  • কিন্তু নোনাডাঙা ?
  • aranya | 154.160.226.53 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৪৩609251
  • আম্মো সেলাম জানাই, কুসুম্বা-কে। খুব ভাল লাগছে এই টইটা।
  • h | 213.99.212.54 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৪৫609252
  • হ্যাঁ আমার একটা প্রশ্ন হল, এটা সিঙ্গুর এর পর থেকে ই প্রশ্ন, এই যে শিল্প/ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন আটকানো গেলেও, আর্বানাইজেশন আটকানো যাবে না, বা নতুন ধরণের জমির কনসোলিডেশন আটকানো যাবে না, এই নিয়ে আপনার গ্রামের কেউ আলোচনা করেছে, মানে গ্রামের লোকেরা বা রাজনইতিক সংগঠক রা?
  • aranya | 154.160.226.53 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০০:৫৫609254
  • একটা নাইভ প্রশ্ন, 'মমতা কিন্তু একটা ইমেজকে খুবই সযতনে লালন পালন করেছেন এই দু'বছর' - এই কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে - সত্যিই কি সবটাই শুধু ইমেজ রক্ষা, সে মমদি-ই হোন বা বুদ্ধ-বাবু বা অন্য নেতাদের ক্ষেত্রে? যেমন, এটার কি সামান্য সম্ভাবনাও আছে যে মমতা সত্যিই জোর করে কারও জমি কেড়ে নিতে চান না?
    কামদুনি-র নিহত মেয়েটি বা অন্য যে কোন ভিক্টিমের ক্ষেত্রে রাজনীতির লোকেরা কি সত্যিই শুধু নিজেদের রাজনৈতিক লাভের কথাই ভাবেন, সাধারণ মানবিক খারাপ লাগা, ভিক্টিমের জন্য, তাদের একেবারেই থাকে না?
    ভাবতে ইচ্ছে হয় যে কোথাও কোন শুভ বোধ হয়ত এদের মধ্যেও বেঁচে আছে। জাস্ট উইশফুল থিংকিং, আই গেস ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন