এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bb | 24.99.124.48 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৩:২৭609288
  • বিহারে এই কুমার লেখাটা অনেক্দিন থেকেই চালু। তামিলনাড়ুতেও কেউ পদবী লেখে না আজকাল, কিন্তু তাতে জাতপাতের কোন বদল হয় নি। এই সমাধানগুলি কিরকম জোরকরে চাপান মনে হয়। এর থেকে সমাজ সংস্কার অনেক দরকারি, যেমন পুজাতে বামুনদের অধিকার, উচ্চ বা নিম্ন জাত ইত্যাদির ভাগাভাগি।
  • কুসুম্বা | 80.39.185.46 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৪:৫৩609289
  • পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত পদবি/উপাধি ত্যাগ করে ব্যক্তিগত স্তরে ব্রাহ্মণ্যবাদী পরিচয় থেকে কেউ নিজেকে মুক্ত করতে চাইলে মন্দ কি? তার সন্তান সন্তদিদের চেতনায় নিশ্চয় তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমার পিতৃদেব তাঁর যৌবনেই পৈতে ফেলে দেন এবং আমাদের ভাইদের কারো পৈতে দেননি বলে আমার পিতৃকুলের আত্মিয়দের সমালোচনার মুখে ঝামা ঘষে আমরা পুরুতবামুনদের ব্যাঙ্গবিদ্রুপ সেই ছোট বেলা থেকেই করতাম এবং 'নীচু জাতের' প্রতি একধরণের একতা বোধ করতাম। পদবিটা আছে। আমার ছেলেও পেয়েছে। তবে জাতের থেকেও তা হল আমার অর্জিত শিক্ষাসংস্কৃতির কেরিয়ার হিসাবে নিজের পুত্রকে দেখতে চাওয়ার গোপন লালসা যা পিতৃতান্ত্রিক। মনে আছে? সেই যে শুরু:
    " যাচ্ছ, দূর্গা? Zaaও... তুমি আমার ভালো বউ ছিলে। তুমি আমার ছেলের ভালো মা ছিলে... আমার ছেলে। আমার শিক্ষা সংস্কৃতি বয়ে নিয়ে যাবেই..." যুক্তি তক্কো আর গল্পের?

    কিন্তু সবচেয়ে বেশী দরকার সামাজিক আন্দোলন আর তারো থেকে বেশী ভূমি সম্পর্কটাকে উল্টে দেওয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম। বিহারে মন্দিরে দলিতদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে তীব্র সংঘাতময় সংগ্রাম হয়েছে মালে পার্টির নেতৃত্বে, শুনেছি। জমির সংগ্রামতো আছেই।
  • PM | 233.223.159.113 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩৪609290
  • বোধ হয় রন্জনদাই কোথাও বলেছিলেন, বিহার, ছত্তিসগড়ে উচ্চবর্ণের লোকেরা মাওবাদীদের টার্গেট হওয়া থেকে বাঁচতে পদবী লাগাচ্ছে না আজকাল।
  • আই | 127.194.231.226 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩৬609291
  • কুসুম্বা, আজ পুরোটা একসাথে পড়লাম। মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।
  • ম্যামি | 69.93.254.195 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৫:৪৪609292
  • দুলে বাগদিদের পদবী কী? দুলে বা বাগদি?
  • PT | 213.110.246.230 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫০609293
  • বিহার থেকে গুচ্ছের ছাত্র আসে যারা কুমার পদবী ব্যবহার করে। কিন্তু শিক্ষা অর্থ ইত্যাদি উপার্জনের পরে প্রায় কেউই বিশেষ সমাজ সংস্কারের পথে হাঁটে না। শুধু উচ্চবর্ণের অধিকার ভোগ করে সেই মনুবাদী সমাজের অংশ হয়ে যায়। মুসলিম ধর্ম থেকে বা নিম্ন বর্ণ থেকে ঊঠে আসা মানুষেরা দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে কোন সমাজ সংস্কারের কাজে লেগেছেন? তাঁরা তো আপ্রাণ জাত-পাতের সমাজটাকেই লালন-পালন করেছেন গত ৬০/৬৫ বছর ধরে।
  • PT | 213.110.246.230 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৮:১৬609294
  • "ভোটে কেউ যদি এদিক ওদিক করে তাদের তালিকা প্রস্তুত করুন। ২৯ শে জুলাইয়ের পরে তাদের ময়না-তদন্ত হবে"-খেজুরির জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী (২৪ ঘন্টা বক্তৃতা সম্প্রচার করছে)

    যারা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পোবোল বাসনায় এই দলটাকে ক্ষমতায় আনার জন্য তাত্বিকতা করেছিল তারা অন্ততঃ টাক-দাড়ি চুলকোবে আশা করি।
  • কুসুম্বা | 116.196.65.205 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৬609295
  • চুল-দাড়ি-টাক চুলকানো সেরে হাতগুলোত মুষ্টিবদ্ধ হতে শুরু করেছে বেশ কিছুদিন। অচলায়তন হঠিয়েছে আপাতত দুবছর হল, কিন্তু থেমেতো যায়নি দেখছি কলকাতা কামদুনি খরজুনা নোনাডাঙা। অত সহজে থামানো যাবেনা বলেই কেষ্টা-শুভেন্দু-মমতা-মুকুলের সন্ত্রাস প্রযুক্তি। ময়না-তদন্ত তারও হবে। উপযুক্ত প্রয়োজন পেলে জীবন দিতে কেইবা পরোয়া করে। অত্যাচারিত হতভাগারা জানে তার কানাকড়ি জীবনের সেটাই সর্বোচ্চ মূল্য। অবাক শাসকের বিশ্বাস হয়না। ভাবে, স্বগোত্র-শত্রুর ষড়যন্ত্র। নন্দীগ্রামে দেখলেনতো চোখের সামনে, তহরির আবার। সুতরাং, হতাশ হবেননা পিটি, যদি হয়ও সিসিফাসের জীবন জনতার!

    "হারুক ছাই জিতুক, ও মা**র আর চারা নাই। বুলছে জামা কাপড় দেখেই উ বুঝে লিচ্ছে মাওবাদি! আমি রিক্সা চালাই, বল শা** আমি সিপিএম না নক্সাল না তিনোমুল আমার জামা দেখে!" বিয়ে বাড়িতে আসপাশে একঘর লোকের সামনে গৃহকর্তার উক্তি শুনে সত্যিই চমকে উঠেছি, আজই, এই ঘন্টা কয়েক আগে, রামপুরহাট শহরে হঠাত দেখা গাঁয়ের বন্ধু চুল্লুখোর চাঁদু মাল যখন টানতে টানতে নিয়ে গেল তিন নম্বর ওয়ার্ডে তার বেয়ায় বাড়িতে। বেয়ায়ের আজ ছেলের বিয়ে। তিনিই জানালেন, সাইকেল দিচ্ছে তিনোরা তার ক্যাডারদের, একই রকম নীল রংএর সাইকেল। চোখে পড়েনিতো! তখন মাথায় আসেনি, এখন লিখতে গিয়ে নীল পাড় নীল চটি রাস্তার নীল-সাদা ডিভাইডার মনে এলো। বেয়ায় কি রসিকতা করলেন! মনে হয়না। আর, জামা কাপড় দেখেই বুঝে ফেলার ভাষনটা মুখ্যমন্ত্রী কোথায় দিলেন? টিভির সামনে অবশ্য খুব বেশি বসা হয়না।
  • siki | 132.177.158.245 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২২:২৭609296
  • কামদুনির পরে বলেছিলেন। উনি জামাকাপড় দেখেই কে মাওবাদী চিনে নিতে পারেন।
  • pi | 118.12.169.134 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৪609298
  • ঃ)
  • কুসুম্বা | 233.176.204.37 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ০১:৪৯609299
  • বাগদিদের পদবী মাল(এই অঞ্চলে অন্তত)। ভোটার লিস্ট দেখছিলাম। কয়েকটা ক্ষেত্রে মাল-এর পাশে ব্র্যাকেটে বাগদি লেখা আছে।

    অঞ্জন ঘোষের একটি লেখায় ১৯৩১ সালের একটা কাস্ট সার্ভের রেফরেন্স পেলামঃ
    বাগদিদের স্বাক্ষরতা-১।৯২, কৃষিতে যুক্ত-৮১।৭৪, শিল্পে-৫।০৩, উচ্চতর পেশায়-১।১৭।

    বাউরিদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ০।৭৭, ৬৫।৯৪, ৪।০৭, ০।৭৮।
    এখনকার সংখ্যাগুলো কী? খুব কি পাল্টেছে ছবিটা? জানা নাই। বায়েনরা নিশ্চয় আরো নীচে হবে।

    ভোটার লিস্ট দেখে বুঝলাম এমএল প্রার্থীদের বারবার হারার কারন। যে ৫টা জিপিতে লড়ছে তার ৪টাতেই মধ্য অংশটা(মন্ডল আর কিছু পাল) সমান না হলেও লেট+বাউরি+বায়েন+মাল এর প্রায় কাছকাছি সংখ্যায়। ঐ শ্রমজীবি জাতিগুলো এদের বলে গেরস্থ। গেরস্থদের বড় অংশ ক্ষমতাসীন দলের আসেপাশে জোটবদ্ধ, স্বজাত ও উচ্চবর্ণের কুলাকদেরই এরা ফলো করে। নক্সালদের এরা ভয় পায়। কারন, ভাবে যে নক্সাল এলেই মজুরী বড়ানোর দাবি তুলবে। অর্থাত নক্সাল বিরোধিতাটা যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক, কুলাকদের ক্ষেত্রে যেটা উল্টো এবং কুলাকরাই এই আতঙ্কটা চাগিয়ে দেয়। এমএল পার্টি যখন সারের দাম বাড়া ও ফসলের দাম কমার বিরুদ্ধে বা কৃষকের গণতন্ত্রের প্রশ্নে প্রচার আন্দোলন করে তখন এই গেরস্থদের বেশীরভাগের মন তাদের দিকেই ছুটে যায়, এদের মধ্যের ছোটো গেরস্থরা কেউ কেউ যোগও দেয় পার্টিতে। এই প্রবণতাটা বাড়ছে। কেননা মধ্যচাষিরা হাড়ে হাড়ে কৃষি সঙ্কটটা টের পেতে শুরু করেছে, আর এ বিষয়ে নক্সালরা ছাড়া আর কেউইতো কিছু বলেনা। কৃষিমজুরদের জোরালো জোট থাকলে মধ্য কৃষকদের বৃহত অংশকে কুলাক সঙ্গ পরিত্যাগ করে ভেঙ্গে বের হয়ে প্রান্তিকদের সাথে চলে আসার পরিঘটনা অন্যত্র আমি দেখেছি। আসপাশের গ্রামগুলোতেও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছিনা। প্রান্তিক জাত/শ্রেণীগুলোর মধ্যে লিবারেশনের ভালো সমর্থনভিত্তি আছে দেখছি, বাকী বাম দলগুলি এই শ্রেণীগুলোর মাঝে যতটা না রাজনৈতিক সমর্থন ভোগ করে তার থেকে অনেক বেশী ভোট পায় মুলত পঞ্চায়েতের কিছু আর্থিক দানধ্যানের মাধ্যমে যা কখনই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনা এবং যা দিয়ে কখনই বৃহত্তর অংশকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়না।

    মধ্যকৃষকের জোরালো সমর্থনের ভিত্তিতে কুলাকদের নেতৃত্বে সিপিএম প্রান্তিক শ্রেনীগুলোকে নিজেদের দিকে ধরে রেখেছিল (প্রান্তিক শ্রেণীগুলো মুলত খানিক আর্থিক রিলীফ ও খানিক সন্ত্রাসের চাপে এবং পুরান কিছু আন্দোলনের ঐতীহ্যে জুড়ে ছিলো)।

    বর্তমানে এই সমীকরণটা চুরমার হয়ে গেছে। নতুন কোন সমীকরণ এখনো তুলনামুলক স্থায়ি চেহারা নিয়ে উপস্থিত হয়নি। পুরানো থেকে নতুনে যাওয়ার এই সঞ্চারপথে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে উত্থাপিত প্রশ্নগুলি আরো বেশ কিছু সময় ইতিবাচক ভুমিকা রেখে যাবে বলে মনে হয়, যতই মমতা ব্যনার্জী তা মুছে ফেলার চেষ্টা করুননা কেন।

    কুলাক তথা ধনী কৃষকের নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলনের বামফ্রন্টিয় ধারাটাকে উল্টে দিয়ে শ্রমজীবি চাষির নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলনের ধারা গড়ে তুলতে পারলে গ্রামাঞ্চলের ক্ষমতার প্রবাহটা বৈপ্লবিক চেহারা নেবে। সিপিএম করতে করতেই এই বিশ্বাসে পৌঁছেছি। সিপিএম ছাড়তে ছাড়তেই এই বিশ্বাসকে যতবার প্রশ্নের মুখে ফেলেছি ততবারই তা গভীরতর হয়েছে, কিন্তু কবি অনেক আগেই বলেছেন যে ইহা সহজ লয় বটে, বহু যুগের মনীষার কাজ!

    হলইবা।
  • h | 127.194.226.199 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১০:১৩609300
  • পুরোটা একমত হলাম না দুটি কারণে।

    প্রথমতঃ প্রান্তিক(আপনার ভাষায় 'ছোটো গৃহস্থ') ও মধ্য কৃষক জিনিসটা অনেকটাই বীরভূমে দুটো জিনিসের মিলিত ফল। একটি ভূমি সংস্কার, আরেকটি শ্যালো টিউবওয়েল এর ব্যাপক ব্যবহার ও বৎসরে একাধিক চাষ। আরেকটি ফ্যাকটর ও আছে, সেটা হল ডিস্ট্রিক্ট রোড নেট ওয়ার্ক, তবে সেটা কনসোলিডেশন এর সময়ে, ফরমেশন এর সময়ে না। আমি মূলতঃ মধ্য-দক্ষিন-পূর্ব বীরভূমের কথা বলছি। (উত্তর ও পশ্চিম বীরভূমের কথা আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। মানে আপনার আলোচনা সেটা নিয়ে অবশ্য শুরু হয়েছিল।)
    তো এই যে সিপিএম-পার্টি র নেতৃত্ত্বে মধ্য কৃষক এর বাড় বাড়ন্ত যেটা বলছেন, সেই অ্যালায়েন্স এর শুরু ফর্মেশনের আদি থেকে।
    আপনার এই অ্যানালিটিক মডেল বর্ধমানে যতটা প্রযোজ্য, বা এমনকি মুর্শিদাবাদে যতটা বীরভূমে সেটা নয়।

    দ্বিতীয়তঃ
    দিন মজুর ক্ষেত মজুরের মাইনে বাড়ানোর আন্দোলন এর সময়ে পার্টির মধ্যে বিভাজন, এবং তার নানা স্প্লিন্টার গ্রুপ তৈরী, আবার সারের দামের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ে নতুন কনসোলিডেশন, শুধু কৃষক সভা না, যে কোনো কৃষি প্রধান অঞ্চলের রাজনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট। নতুন কিসু না। আপনি চতুরানন মিশ্রের লেখাতেও এই জিনিস পাবেন। আপনি যে লাইনে সংগ্রামের কথা বলছেন, এই লাইনে শুধু অজিত সরকার না, প্রায় প্রতিটি জেলায় যেখানে যেখানে বামপন্থী কৃষক সংগঠন রয়েছে, তাদের এই কথা ভাবতে হয়েছে। আপনি যে জায়গাটা এই মডেলে আনতে বিস্মৃত হচ্ছেন সেটা হল, অকৃষি, বা কৃষির সিজনাল প্যাটার্ন এর কারণে যে অসংগথিত শ্রমশক্তি, তাকে কি ভাবে , কি লাইনে, কি শ্লোগান দিয়ে অর্গানাইজ করবেন। কাদের মধ্যে সমর্থন চলে যাবে, কাদের সমর্থন পাবেন, সেই শক্তি কে রাজনইতিক সংহত শক্তিতে রুপান্তরিত করবেন কি ভাবে, ধরুন মাইগ্রান্ট লেবার এর সমস্যাটা পরের ডাইমেন্সন, আপাতত ওটাতে চোখ বুজে রইলেন। আমি সরাসরি বলছি, পশ্চিম বংগের গ্রামীন সমাজে এইটেই অ্যাড্রেস করতে পারেন নি, কোনো বামপনথী ডিনোমিনেশন এর লোকেরা। শুধু সিপিআই এম নয়।

    এই ভাবনা আপনার অআনালিটিকাল মডেলে অনুপস্থিত। তবে কিসুই এসে যায় না, আপনার মত মানুষ মানুষের সংগে থাকলে, সূত্র একটা বেরোবে, সশ্রদ্ধ সেলাম নেবেন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১০:১৭609301
  • দুর্দান্ত আলোচনা হচ্ছে। চলুক।
  • h | 127.194.246.174 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১৫:২২609302
  • আর ফাইনালি, গরীব মানুষ যখন যখন দলে দলে তথাকথিত ভাবে গরীব মানুষের নিজের পার্টি ছেড়ে অন্যান্য পার্টি তে যায়, তার ব্যাখ্যার জন্য এই বিশ্লেষণে আরো কতগুলো মাত্রা বা অন্তত অভিজ্ঞতার শেয়ারিং আশা করি।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০১:০৩609303
  • আম্রিকায় গরীব শ্রমজীবি সাদারা হুলিয়ে রিপাবলিকানদের ভোট দেয়। অথচ রিপাবলিকানরা অনেক বেশী গরীবের পেটে লাথ মারে।

    খুবই ওয়েল-ডকুমেন্টেড ফেনোমেনা। এখানে দেখুন, রিপাবলিকান অ্যান্টি-এলিট অ্যান্টি-ইন্টেলেকচুয়াল স্ট্যান্ডের কথা আছে। আমাদের মমতা দিদিকে মনে করিয়ে দেয়।

    http://en.wikipedia.org/wiki/What's_the_Matter_with_Kansas%3F
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৪609304
  • শিবু,
    চমৎকার ডকু।
    এই ফেনোমেননটা নানা ভাবে প্রকাশ পায়। গুজরাতে দাঙ্গার সময় কয়েকটি আদিবাসীবহুল জেলায়(যেমন ডাং) এদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
    ছত্তিশগড়েও বিজেপি আদিবাসীদের মধ্যে একটি ফলস্‌ আইডেন্টিটি তৈরি করে এদের অনুসূচিত জাতি ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ওসকায়।

    [আইডেনটিটি ক্রাইসিস? জানতে ইচ্ছে রইল।]

    হানু,
    ইমিগ্র্যান্ট লেবারের ফ্যাক্টরটা প্রণব বর্ধন খেয়াল করেছেন মনে হয়। সম্বন্ধিত টইয়ে ওঁর বক্তব্য দেখো।
  • h | 213.132.214.156 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:৪৩609305
  • শিবুদা, বড় বিপদ আর বড় হতে পারে, ব্ল্যাক মিডলাক্লাস আর হিস্পানিক রা রিপাবলিকান দের তেড়ে ভোট দিতে শুরু করলে।
  • de | 69.185.236.53 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:৫৫609306
  • অসাধারণ টই -- পঞ্চায়েত-ভোটের পরেও চলুক! গ্রামীণ বাংলা সত্যি কি ভাবে, কি করে -- রাজার নীতি সম্পর্কে তাঁদের কি ধারণা -- এই অ্যানালিসিসটা বড়ো ভালো লাগছে! সত্যি কথা বলতে, তাত্ত্বিক কথাগুলো একটুও কচ্‌কচ্‌ করছে না অত্যধিক তথ্যের ভারে। এমন লিখতে পারা কম কথা নয়!!
  • কুসুম্বা | 80.39.185.70 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৫:৫৪609307
  • "...উক্ত জনসভায় সবারে করি আহ্বান। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সমস্ত মা মাটি মানুষকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান হচ্ছে।"

    মাইকগাড়ি প্রচার চালাচ্ছে ১৯জুলাই রামপুরহাটে মমতার বিশাআআল জনসভা। এদিকে মামাটির ছেলে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একবার যদি গাঁয়ে চক্রার্পনটা হয়। কুটকুটি মেরে দেওয়া যাবে শালোদের।

    জমি বিচে খেতে খেতে সাত বিঘায় এসে ঠেকা বাবু এই মামাতো ভাইটি ফব করত অনেকদিন, গত পঞ্চায়েত থেকে হাওয়া টের পায় এবং তত্‍ পর রেলমন্ত্রে চাকুরী দেবার ঢালাও ব্যবসায় দেখতে না দেখতে তিনতলা বিশাআআল ইমারত গজিয়ে ওঠে সবার চোখের সামনে। এবার প্রধান হওয়াটা খুব জরুরী। কারন, রাস্তার উল্টোপারে সামান্য একটা দশ ফুট বাই পনের ফুট যে ঘর তিনতলার ফাউন্ডেশনে পিলার ফিলার দিয়ে অনেকটা এগিয়ে ফেলেছিলেন তা আটকে দিল নক্সালরা! বিডিও আর পঞ্চায়েতে মাস পিটিশন দিয়ে অভিযোগ করে দিল যে রাস্তা আর কোঅপারেটিভের যায়গা গ্রাস হচ্ছে! গ্যারেজ যদি না বানাতে দিবি ত এম্বুলেন্সটা যে দিল দিদি সেটা কুথায় থাকবে! শালোরা বলে, তুমারই যদি জাঘা, আর গাঁয়ের ল্যেগেই যুদি ঘর তুলছ, তাইলে পঞ্চায়েতের নামে বা ক্লাবের নামে আগে জাঘাটা লিখে দাও কেনে!

    গ্রামে তাই প্রার্থী হয়েছেন মামাতো ভাই, জিতলেই প্রধান। পাশের বনহাট অঞ্চল থেকে স্ত্রীকে দাঁড় করিয়েছেন সমিতিতে, রামপুরহাট১নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বানানোর বাসনায়। তারপর দেখা যাবে কার জায়গা আর কে আটকায়।

    দিনরাত ডজন দুয়েক ক্যাডার পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি নকল ব্যালট নিয়ে চরকিপাক ঘুরছে, তাদের মন মেজাজ ফুরফুরে রাখতে কোনরকম কার্পণ্যও করছেননা তিনি, কিন্তু কানাঘুষায় যা শুনতে পাচ্ছিলেন তাইত সত্যি হতে চলেছে! ছোটলোকরাত নয় শুধু, গেরস্থরাও নক্সালদের সেই মাস পিটিশনে সই করেছিল, নক্সালরাই রটিয়েছে 'ফুলে কলাগাছ প্রার্থী', আর নিজের প্রচারকদের একটা অংশই কিনা শেষে হাতে নাতে ধরা পরল গভীর রাতে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গুপ্ত বৈঠকে! জেতাটাইত চরম অনিশ্চিত্‍! তারপরতো প্রধান!

    পিসতুতো দিদির কনভয়টা একবার যদি ঢোকে গাঁয়ে তাইলে কুটকুটি শেষ শালোদের, এখন তো এখন, আগামী পাঁচ দশ বছর ঘরশত্রু বিভীষনগুলো আর ট্যাঁ ফু করতে পারবেনা।

    আসবেন কি আসবেননা এই নিয়ে লোক চর্চায় কেউ কেউ ওইদিন কেমন জামা কাপড় পরে ঘর থেকে বাহির হলে মাওবাদী হিসাবে চিহ্নিত হবেনা তা জিগ্যেস করে রসিকতাও করছেন। এর পেছনেও নক্সালদের হাত থাকতে পারে।
  • h | 213.132.214.156 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:০২609309
  • দে, আমার একটা বক্তব্য আছে, কুসুম্বা অসাধারণ লিখছেন সেটা ঠিক কথা, কিন্তু থিওরি তে অনাগ্রহ টা ঠিক কেন? এই অনাগ্রহ টা কি রাজনীতির ক্ষেত্র বলে না কি জেনেরালি সোশাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে?
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৭609310
  • যদি-ও প্রশ্ন আমাকে নয়, কিন্তু উত্তর দেওয়ার লোভ সামলানো যাচ্ছে না। অনধিকার প্রবেশ মার্জনীয় :-)
    আমার ক্ষেত্রে, জেনারেল সোশাল সায়েন্স এর ক্ষেত্রে। এদিকে এপ্লায়েড রাজনীতিতেতো প্রবল আগ্রহ।
  • de | 69.185.236.53 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৬609311
  • হাটে-মাঠের রোজকার রাজনীতিতে ততো অনাগ্রহ নাই হানুদা -- সোশ্যাল-সায়েন্সও অতিরিক্ত টার্মিনলজি বা তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত না হলে পড়তে রাজি আছি, ইন্টারেস্টও পাই। তবে, সেভাবে লেখাপত্তর খুব পাওয়া মুশ্‌কিল! আসলে আমি ল্যাদখোর পাবলিক, সাবজেক্টের বাইরে খুব এফর্ট দিয়ে কিছু বোঝার তেমন সময়ও থাকে না, তবে এরই মধ্যে কুসুম্বার মতো লেখা পেলে পড়ে ফেলি গোগ্রাসে। দোষ কারো ---ইঃ ঃ))
  • h | 213.99.212.54 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৮609312
  • নানা দোষ কেন হবে? এরকম লেখা তো বিরাট পাওয়া , আমি যে কিনা নকু-তদুপরি-মাতৃক্রোড় ত্যাগী নকু- দুচোক্ষে দেখতে পারি না ;-) সে পজ্জন্ত মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মোর সিরিয়াসলি, সমস্যাটা আমার ক্ষেত্রে মোটামুটি এরকমঃ

    - শুধু একটি গ্রামের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে লেখাটা নয় সেতো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
    - শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও নয়, সেটাও বোঝা যাচ্ছে প্রায়শঃ। যেমন ধরুন এই প্রবন্ধে ক্যাডার শব্দটা অনেকদিন পরে সশ্রদ্ধ অর্থে ব্যবহৃত হল, অথচ এত আনন্দ বাজার শিক্ষিত রা বা মানবতাবাদী রা কেউ রা টি কাড়লেন না। এও এক তাত্বিক আগ্রহের প্রকাশ ঃ-)
    - সোশাল সায়েন্সে, মার্কেটিং থেকে সরকারি পলিসি থেকে আরম্ভ করে, ফলিত রাজনীতির সাংগঠনিক প্রয়োজনীয়তার টার্গেট গ্রুপ লাগে। তো সেই টার্গেত গ্রুপ খোঁজার কাজে কুসুম্বা নিজেই নেমেছেন। কোন ধরণের মানুষ কে নিয়ে চলতে চান, নতুন যোগ দেওয়া দলের কাজে, আশা করি সেই জায়গাটা খারাপ লাগছে না?
    - এই বার টার্মিনোলোজি। এ মানে কিছু করার নেই। সব বিষয়ে টারমিনোলোজি থাকবে, পলিটিক্সে থাকবে না? তাই কখনো হয়? পৃথিবীর স্রেষ্ঠ থিয়োরী বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত মা-মাটি-মানুষ বলে একটা টার্মিনোলোজি বানিয়েছেন, যার একটা বিশেষ মানে আছে, যে মানে টা মা কিম্বা মাটি কিংবা মানুষ এর উপরে, আলাদা করে দেখলে। এছাড়া ধরো, যারা সবচেয়ে টার্মিনোলোজির বিরুদ্ধে, জীবনের কথা ছাড়া নাকি যারা কিছু কথাই বলে না, সেই সংবাদ মাধ্যম, কত টার্মিনোলোজি তৈরী করেছে। 'রাজনইতিক মহল' এই শব্দ বন্ধটার মানে পুরোটা জানে, কৈ হ্যায় অয়সা? ইত্যাদি, টার্মিনোলোজি তো আছে, থাকবেও, শব্দ তো শুধু শব্দ নয়, চিন্হ তো বটে।
  • h | 213.99.212.54 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:৪২609313
  • মানে তর্কটা শুধু দে র সংগে না, কৃশানুর সংগেও।

    যাক গে তোমাদের উত্তর দেওয়া হয়ে গেলে, আমি আর কিসু বলবো না এই প্রসংগে, টই টা হাইজাক করছি, এই দুর্নাম পেতে চাই না।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৬:৪৮609314
  • হানুদা, এ কিছু করার নেই। দেদিকেই কোট করছি। 'আসলে আমি ল্যাদখোর পাবলিক, সাবজেক্টের বাইরে খুব এফর্ট দিয়ে কিছু বোঝার তেমন সময়ও থাকে না' - আমার ক্ষেত্রে সাবজেক্টটাও বাদ পরবে।

    তবে ক্যাডার নিয়ে অবজারভেশনটা ভালো। ছোটবেলায়-তো ক্যাডার শব্দার্থ ভালো, এমতই জেনে এসেছি। পার্টি-র ক্যাডার মানে একটা লোক সংসার বিলাস ছেড়ে একটা আদর্শ-র পিছনে লেগে রয়েছে। চারিদিকে এরকম বেশ কিছু লোক দেখছি। হঠাত কি হইতে কি হইয়া গেল, 'বাজার'-এ ক্যাডার এর মানে পাল্টে গেল। সিপিয়েম এর হয়ে কোনো একটা কথা বললেই স্কুলেটুলে, খেলার মাঠে 'তুই শালা সিপিয়েমের ক্যাডার' বলে গাল খেতে হত :-)
  • de | 69.185.236.53 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৫609315
  • একে একে --

    ১) কোন একটা গ্রামের রাজনৈতিক খন্ডচিত্র নয় সেটা বোঝাই যাচ্ছে, সামগ্রিক ভাবে বীরভূমের রাজনৈতিক পটভূমিকার খানিকটা হলেও যেন খেই ধরা যাচ্ছে, আবাপ-এই সময় পড়া আমার ব্যক্তিগত মধ্যমেধাসম্পন্ন রাজনীতিকে নট-সো-সিরিয়াস অ্যাটিটিউডে দেখা মানসিকতার কাছে যেটা বেশ নতুন। দৈনন্দিন সংবাদপত্রের উচিত ছিলো এই শূন্যতাটা ধরা -- সত্যিকারের গ্রামীণ রাজনীতির সাথে শহুরে বৈঠকখানা কি রকের রাজনীতির কিছু মেলবন্ধন, কিন্তু সামহাউ চালু সংবাদপত্রগুলো সবাই অন্য লাইনেই হাঁটে। যার ফলে গ্রামের মানুষ রাজনীতির কিছু বোঝে না, যা হোক কিছু বুঝিয়েই তাঁদের দিয়ে ভোটবাক্স ভরানো যায় -- (কেউ একটা সিঙ্গুরের রায় নিয়েও অনুরূপ বক্তব্য রেখেছেন দেখলাম )এই মানসিকতাই আমাদের অনেক দূরে ঠেলেছে। সেখানে কুসুম্বা অনেক কাছ থেকে দেখা এই অ্যানালিসিস আমার কাছে অনেক বেশী যুক্তিপূর্ণ আর প্রাসঙ্গিক লেগেছে।

    ২) ক্যাডার শব্দবন্ধ সম্পর্কে আমারো এক্কালের মত কিশানুর মতোই! তাপ্পরে মহারাষ্ট্রে চাগ্রী করতে এসে শুনি লোকে কইচে, "আরেসেস, সিপিয়েম, সিপিআই এগুলো সবই তো ক্যাডার-বেসড অর্গ্যানাইজেশন ---" তারপরে আরো কিছু মন্তব্য ছিলো -- তবে আরেসেসের সাথে এক ব্রাকেটে বামপন্থী ক্যাডারকে বসতে দেখে একটু অন্যরকমই লেগেছিলো। এখন মনে পড়লে সিম্পুল হাসি পায়! বয়স হচ্চে!

    ৩) কোন ধরণের মানুষ -- এইটা আমার কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ওনার এই অবসারভেশন

    "মধ্যকৃষকের জোরালো সমর্থনের ভিত্তিতে কুলাকদের নেতৃত্বে সিপিএম প্রান্তিক শ্রেনীগুলোকে নিজেদের দিকে ধরে রেখেছিল (প্রান্তিক শ্রেণীগুলো মুলত খানিক আর্থিক রিলীফ ও খানিক সন্ত্রাসের চাপে এবং পুরান কিছু আন্দোলনের ঐতীহ্যে জুড়ে ছিলো)।

    বর্তমানে এই সমীকরণটা চুরমার হয়ে গেছে। নতুন কোন সমীকরণ এখনো তুলনামুলক স্থায়ি চেহারা নিয়ে উপস্থিত হয়নি। পুরানো থেকে নতুনে যাওয়ার এই সঞ্চারপথে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে উত্থাপিত প্রশ্নগুলি আরো বেশ কিছু সময় ইতিবাচক ভুমিকা রেখে যাবে বলে মনে হয়, যতই মমতা ব্যনার্জী তা মুছে ফেলার চেষ্টা করুননা কেন।"

    -- যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে পঃ বঃ তে সত্যিই অন্যরকম কিছু ঘটছে, যেটা আগের গতানুগতিকতার থেকে আলাদা এবং তাই আমি যথেষ্ট ইন্টারেস্টেড এই ব্যাপারটার ডিটেলস পেতে।

    ৪) বাকী রইলো টার্মিনলজি - - সেখানে রয়েছে আমার অক্ষমতা-- সামাজিক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের একটু সহানুভূতিই এখানে আমার প্রার্থনা ঃ))

    টইয়ের তাল কাটার জন্য দুঃখিত!!
  • ranjan roy | 24.99.163.64 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৬:৪৩609316
  • ক্যাডার নিয়ে দু'কথাঃ
    -------------------------------
    হিন্দিবলয় ও পশ্চিমভারতে দে ও আমার একই অভিজ্ঞতা।
    একজন আর এস এসের নেতা আমার বন্ধু এবম সিপিআই সমর্থকের শ্বশুর আমায় বলেছিলেন --" কম্যুনিস্ট ও আর এস এস দুটোই ক্যাডার-বেসড পার্টি। ওপেন নয়। ক্যাডারদের মাইন্ড ওপেন থাকে না। নাজিদেরও ছিল না। গণতন্ত্রের জন্যে ক্যাডারবেসড পার্টিগুলোর বাড়বাড়ন্ত ভালো নয়, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।"

    আমি হতভম্ব!
  • siki | 132.177.198.183 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৮:০২609317
  • আরে ক্যাডার নিয়ে অমন দুচ্ছাই মনোভাবটা আমারও ছিল সারা ছোটবেলা জুড়ে। সিপিএমের ক্যাডার যা দু একপিস দেখেছিলাম, তাই দিয়ে ঐ রকম ধারণা তৈরি হয়েছিল।

    তাপ্পর বউ যখন কেসচা চাগরি পেয়ে বলল,'আমি সিএসেস ক্যাডার', সেই থেকে ক্যাডারদের আমি ক্ষুব সম্মানের চোখে দেখি।এই সব দিল্লি জুড়ে কিলবিল করছে আইএএস ইত্যাদি, এরাও নাকি ক্যাডার। বেঙ্গল ক্যাডার, পাঞ্জাব ক্যাডার ইঃ।

    এমনিতেও আমি শাণ্ডিল্য গোত্রীয়দের খুবই সমঝে চলি, সে অন্য ব্যাপার ...
  • | 24.97.155.41 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৮:৫০609320
  • কি কান্ড! রঞ্জনদা/দে কে পশ্চিমভারত থেকে শুনতে হল এইটা!! এদিকে আমরা সেই ৯৩-৯৪ সালে পশ্চিমবঙ্গেই তো এইটা বলতাম যে আর এস এস আর সিপিএম দুইই ক্যাডারবাহিনীর ভরসায় দাপাচ্ছে। দুইই দলের কাছে মাথা বিকোনো; অবশ্যই সিপিএম ক্যাডারদের কান বাঁচিয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন