এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.214.233 | ২১ মে ২০১৩ ১৪:২১612005
  • অবিনাশ

    পাতালের আহ্বান দুর্নিবার
    অন্ধকারের প্রগাঢ় প্রলেপ

    এই অবধি লিখে অবিনাশ ভাবতে বসল, কবিতা লেখা কি আমার সত্যি উচিত ? সমস্যাটা হ’ল, যাতে ভাবনায় জড়িয়ে না যাই, তাই মনাদা কবিতা লিখতে বলেছিল। এত কী ভাবিস রে সারাদিন? বেশি ভাবলে তো মাথা খারাপ হয়ে যাবে। কী ভাবিস, বলতো আমায়। অবিনাশ বলল, না, তেমন কিছু তো নয়, তবে ভাবনা তো চলেই আসে, করব কী? মনাদা বলল, তা অবশ্য ঠিক। ভাবনা ছাড়া মানুষ থাকতে পারেনা। আমরাও ভাবি, ছেলেকে স্কুল বদলে ইংলিশ মিডিয়ামে দেব কিনা, প্রভিডেন্ট ফান্ডে একটু বেশি কাটাব কিনা, কাজের মেয়েটা বড় বেশি কামাই মারছে, ওকে ছাড়াতেই হবে। গিন্নীর অ্যাপেন্ডিক্সটা পরের বছর কাটালে কি দেরী হয়ে যাবে? নানা চিন্তা মাথায় ঘোরে। তোর তো সেসব ঝামেলা নেই, তাই ভুলভাল ভাবনা। তা তুই বরং কবিতা লেখ। যা ভাববি তাই লিখে ফেল। আজকাল দারুণ সুবিধে হয়েছে। কবিতার সব নিয়ম কানুন নাকি উঠেও গেছে, বালাই গেছে। যা লিখবি তাই কবিতা। তুই লেখ। বলা যায়না, একদিন হয়তো দেখলি –

    অবিনাশ ভাবল, নাঃ এই কবিতাটা চলবেনা। প্রগাঢ়-র পর আবার প্রলেপ। দুটো প্র পর পর ভাল লাগছেনা। আহ্বান লিখতে হ আগে, না ব আগে? তাছাড়া দুর্নিবারের সঙ্গে আকর্ষণ যায় শুনেছি, আহ্বান যায়? তার ওপর কথা হচ্ছে, এটা তো আমার ভাবনা নয়। আমি এমন কথা ভাবছিনা, তবে মনের ভেতর থেকে কে যেন ঠেলে, গুঁজে দিচ্ছে ভাবনাটা। কে সে? অবিনাশ? না না, আমিই তো অবিনাশ। কিন্তু নাঃ আমার দ্বারা হবেনা। তা ছাড়া আমি কী ভাবছি? আচ্ছা ঠিক কী ভাবছি এখন? এখন আমি ভাবছি, আমি কী। আমি কী বলতে, আমি শিশু, কিশোর বা বালক নই। আমি বৃদ্ধ, অশীতিপর বা নবতিপর কিছুই নই। নিদেনপক্ষে সিনিয়র সিটিজেনও নই। রইল বাকি যুবক আর প্রৌঢ়। আমার বয়স এখন উনচল্লিশ বছর ন’মাস। আমি কি যুবক ? আমি প্রৌঢ় হব বোধহয় পঁয়তাল্লিশ পেরোলে। তবে এখন আমি কী? আমি কি অবিবাহিত? না তো, এই তো বছর পাঁচেক আগে শিবালিক হাউস ভাড়া করে, তবে কেটারারটা ভাল ছিলনা। চিংড়িটা পচা ছিল অনেকেই বলেছে। কিন্তু আমার তো বৌ নেই, তবে কি মৃতদার ? তাও তো না। ডিভোর্সি? নাঃ। তবে?

    অবিনাশ ভাবল আমি কি বেকার? জবলেস ? না না, চাকরিটা আছে তো, মাঝে মাঝেই বাড়িতে চিঠি আসে। আমি যাইনা সে কথা আলাদা। সরকারি চাকরি অত চট করে যায়না। উঃ তবে আমি কী? আচ্ছা, আমার নাম সত্যিই অবিনাশ তো? মনাদা যে জিতু বলে ডাকল আমায়? ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেটে বা অফিসের রেকর্ডে তো স্মরজিৎ কুন্ডু লেখা আছে। আচ্ছা আমি যদি মারা যাই হঠাৎ ? লোকে কী বলবে, অবিনাশ মারা গেছে, না স্মরজিৎ? অবিনাশ কে, আমি?

    লোকটা আজ আবার এসেছে। আচ্ছা, লোকটা সব সময়ে চাদর গায়ে দিয়ে থাকে কেন? এখনও তো তেমন শীত পড়েনি। আগে এসব চলতনা। তখন পাড়ায় ভুলভাল লোক ঢুকলেই রকে বসা ছেলেরাই আটকাতো। কী চাই ভাই? কাকে খুঁজছেন? এখন পাড়া বলে আর কিছু নেই। সেই সব একতলা দোতলা বাড়িগুলো নেই, আম, নীম, কাঁঠাল গাছগুলো নেই, কোথাও কোনও রক-ও নেই। রকে বসা ছেলে টেলে আজকাল আর দেখা যায়না। সব লম্বা লম্বা জি প্লাস ফোর গা ঘেঁষে রাস্তা অন্ধকার করে দাঁড়িয়ে। তাদের হরেক খোপে হরেক কবুতর। কে কখন ঢুকছে, বেরোচ্ছে, কে খবর রাখে।

    লোকটা অবিনাশকে দেখে হাসল। ভাল আছেন, অবিনাশ? অবিনাশ ভাবল, এই যে ভাল আছি কিনা জিজ্ঞেস করল লোকটা, আসলে কিন্তু এটা কোনও প্রশ্ন নয়। আমি তো কোনওদিনই উত্তর দিই না। তাতে তার খুব একটা কিছু আসে যায় বলে মনে হয়না। তবু লোকটা বলে, ভাল আছেন অবিনাশ? আসলে ও আমায় মনে করিয়ে দেয় যে আমি অবিনাশ। কিন্তু আমি অবিনাশ কেন? আমার বৌ নেই কেন? আমি চাকরি করিনা কেন? আমি বাড়িতে একা থাকি কেন? আমি কি পাগল?

    ঘটনাটা বেশি পুরোন নয়, এই বছর দুয়েক হবে। সেদিন হঠাৎ পাওয়ার কাট হয়ে গেল। তার পর জেনারেটরও চললনা। সবাই বলাবলি করছিল, সেটা নাকি খারাপ হয়ে গেছে। ইলেকট্রিসিটি নেই তাই এসিও নেই। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। অফিস শুদ্ধু লোক বেরোতে চাইছিল। লিফট-ও বন্ধ। তাই সিঁড়ি বেয়ে নামছে সবাই। অনেকটাই নামতে হয়। সিঁড়িটাও অন্ধকার মতন। প্রায় দোতলার কাছাকাছি চলে এসে দেখা গেল, এই লোকটাও নামছে পাশাপাশি। এ বাড়িতে আরও অনেক অফিস আছে। সবাইকে চেনাও সম্ভব নয়, কিন্তু এইরকম চাদর গায়ে দেয়া লোক কি কোনো অফিসের কর্মী হতে পারে?

    লোকটা বলল, ভাল আছেন অবিনাশ ? কাছাকাছি প্রভাস নামছিল। বলল, কে অবিনাশ? ইনি তো কুন্ডুদা, স্মরজিৎ কুন্ডু। কাকে ভুলভাল নামে ডাকছেন মশাই? কথাটা লোকটার কানে ঢুকল বলে মনে হলনা। সে বলল, চলুননা অবিনাশ, আমরা নেমে যাই। নামতে বড় মজা জানেন, উঠতেই কষ্ট। সত্যি তো, নামতে কিন্তু সত্যি মজা। আবার যদি সিঁড়িটা গোল হয়, তাহলে আরও মজা। নামছি তো নামছি – নামছি তো নামছি – আরও নামছি – আরও –

    পিওন বলে আজকাল কোনও পোস্ট নেই। বললে ভীষন রেগে যায় এরা। বলে, হমলোগ গুরুপ ডি হ্যাঁয়, পিওন ফিওন মত বোলিয়ে। তা গ্রুপ ডি রামপরবেশ চেঁচিয়ে বলল, আরে আরে কুন্ডুবাবু, কহাঁ যা রহেঁ হ্যাঁয় ? ইয়েহি তো গ্রাউন্ড ফলোর হ্যায়। ইসকে নীচে তো বেসমেন্ট হ্যায়। আইয়ে আইয়ে – হাত ধরেই টেনে নিল সে। ভেবেছে বোধহয় অন্ধকারে তলা ভুল হচ্ছিল। কিন্তু নামতে দারুণ লাগছিল, নেশার মত। আরও নেমে যাওয়াই যেত। চাদর গায়ে লোকটা কিন্তু নেমেই গেল। বেসমেন্টে কী কাজ ওর? আচ্ছা বেসমেন্টেরও তলায় যাওয়া যায়না?

    তার পরেও লোকটা এসেছে বার দুয়েক। একদিন তো লিফটের সামনেই ধরল সোজাসুজি। চলুননা অবিনাশ, সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে নামি। নামতে ত কষ্ট নেই, বলুননা, আছে কষ্ট? সেদিন আবার সিকিওরিটির লোকটা ধরল তাকে। এইযে, এইযে সার, ওদিকে না, এইটে বাইরে যাবার রাস্তা। অবিনাশ দেখল আর নামা যাবেনা। কিন্তু চাদর গায়ে লোকটা তরতরিয়ে নেমে গেল যে? সিকিওরিটির লোকটা তাকে ধরলনা কেন? চেনাশোনা নাকি? বাড়ি এসে রত্নাকে সে সাফ সাফ জানিয়ে দিল, আমার নাম কিন্তু অবিনাশ। রত্না ভুরু কুঁচকে বলল, তার মানে? তুমি তো আগে মদ টদ খেতেনা, নতুন ধরলে?

    এ পাড়ার বেশির ভাগ বাড়ি প্রোমোটারের গর্ভে গেলেও দু-একটা সাবেক বাড়ি এখনও টিকে আছে। এইটা তার মধ্যে একটা। এ বাড়িতে অবিনাশ একা থাকে। অবিনাশ পাগল টাগল নয়, কিন্তু সারাদিন ধরে কি সব ভাবে। খাওয়া দাওয়াও চলে যাচ্ছে ঠিক। ব্যাঙ্কের টাকা ফুরোতে এখনও কিছু বাকি। ভাতের হোটেলে নিরামিষ তিরিশ টাকায়। মনাদার বাড়ি থেকে ডাল রুটি আর পেঁয়াজি দিয়ে যায় প্রায়ই। সে বেলাটা তিরিশ টাকা বেঁচে গেল। রত্না বাপের বাড়িতেই থাকে তবে রবিবার টিফিন কেরিয়ারে চিকেন আর ভাত পাঠায়। অবিনাশের খাওয়ার কষ্ট নেই। অবিনাশ আলো কম জ্বালে, গরমেও পাখা বন্ধ রাখে মাঝে মাঝে। পঞ্চাশ টাকার বেশি ইলেকট্রিকের বিল হয়না। এ সব কারনেই বোঝা যায় অবিনাশ পাগল নয়, শুধু আজকাল ভাবনায় ডুবে থাকে সারাদিন। ভাবনার বেশির ভাগটাই হল একটাই ব্যাপার নিয়ে, - আমি কী? অথবা, আমি কে?

    সেদিনও আলো নিভিয়ে রেখেছিল অবিনাশ। শুয়ে শুয়ে ভাবছিল, এই যে ভাবছি, ভেবেই চলেছি, কেন ভাবছি এত? অফিসে জয়েন করব? করলে তো এত ভাবতে পারবনা, কাজ করতে হবে তো। একসঙ্গে দুটো করলেই মুশকিল। কোনওটাই ভালমত হবেনা। তাছাড়া অফিসে গেলেই তো সবাই কুন্ডুবাবু কিংবা স্মরজিৎ বলে ডাকবে। ওটা তো ভুল নাম, আমি তো অবিনাশ।

    একেবারে অন্ধকার নয়, কারণ এবাড়ি অন্ধকার হলেও রাস্তায় বা আসেপাশের বাড়ির আলো আসছে। জানলার বাইরে একটা চাদর গায়ে দেয়া চেহারা দেখা গেল। ভাল আছেন অবিনাশ? নীচে যাবেন? চলুননা। বেশ অন্ধকার চারিদিক, এই তো সুযোগ – লোকটার পাশাপাশি অবিনাশ নামতে শুরু করল সিঁড়ি দিয়ে। এবাড়ির সিঁড়িটা গোল, বেশ ভালই লাগছে নামতে, বেশ লাগছে। একবার মনে যে খটকা লাগেনি তা নয়। দোতলা থেকে একতলা নামলেই তো শেষ, তবু এতক্ষণ নামছি কী করে? নামছি তো নামছি, নামছি তো নামছি, নেমেই চলেছি-

    রত্নার বাপের বাড়ির কাজের লোক বলল, খাবার দেয়া গেলনা দিদি, জামাইবাবু ঘুমোচ্ছে বোধহয়, দরজা বন্ধ। সেকী? এতক্ষণ ঘুমোচ্ছে? চলতো দেখি। মনাদা এসেছেন, বৌদি এসেছেন, ফ্ল্যাটবাড়ির লোকগুলো খুব একটা পাড়ায় মেশেনা, তবু জ্ঞানপ্রীত সিংজি এসেছেন, আলভারেস রা কর্তা গিন্নী দুজনেই এসেছেন। একটু পরে পুলিশ চলে এল। রত্নাকে বলল, ম্যাডাম দরজাটা ভাঙছি তাহলে। আশ্চর্য, ভেতর থেকে সব বন্ধ, এমনকি ছাদের দরজাও, তো জলজ্যান্ত লোকটা গেল কোথায়? আলভারেস গিন্নি রত্নাকে জড়িয়ে ধরে আছেন, ডোন্ট ক্রাই ডিয়ার, হি মাস্ট বি সামহোয়্যার। কনস্টেবল বলল, স্যার, সিঁড়ির তলাটা দেখেছেন? টালিগুলো এক্কেবারে নতুন মনে হচ্ছে। খুঁড়ে দেখব স্যার? খুঁড়ে অবশ্য কংক্রীট আর মাটি ছাড়া কিছুই পাওয়া গেলনা।

    ২০/০৫/২০১৩
  • ranjan roy | 24.99.20.13 | ২১ মে ২০১৩ ১৫:০৪612016
  • করেছেন কী রূপংকরদা!
    পড়েই আমার স্ত্রী রত্নাকে বললাম-- নীচে নামতে কোন কষ্ট নেই। নেমে দেখ। নামতে নামতে নামতে---!
    -- কী আজেবাজে বকছ রঞ্জন?
    -- কে রঞ্জন? আমার নাম অবিনাশ।

    তারপর গোটা গল্পটা পড়ে শোনালাম, এক্ষুণি।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.200.129 | ২১ মে ২০১৩ ১৫:১৭612027
  • এখানে লাইক বাট্‌ন নেই ,স্মাইলির লোগো নেই, অগত্যা 'ক'।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২১ মে ২০১৩ ১৫:২৪612038
  • ভালো লাগলো। রনজিত দাশ এর একটা উপন্যাস মনে পড়ল।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২১ মে ২০১৩ ১৫:৩২612049
  • ভালো লেগেছে এটা
  • | 24.97.92.155 | ২১ মে ২০১৩ ১৫:৪৬612060
  • বাঃ এইটা বেশ লাগল।
  • চান্দু মিঁঞা | 233.236.237.160 | ২১ মে ২০১৩ ১৭:০৮612067
  • দারুণ
  • san | 213.88.22.135 | ২১ মে ২০১৩ ১৭:১১612068
  • আমারো বেশ লাগল :-)
  • pi | 78.48.231.217 | ২১ মে ২০১৩ ১৮:০৫612069
  • দারুণ লাগলো।
  • কে | 113.245.197.178 | ২১ মে ২০১৩ ১৯:২৯612006
  • দিব্য
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.204.201 | ২২ মে ২০১৩ ১১:২৬612007
  • মালটা কি গ্যারাজ হয়ে গেল? লোকে ভাববে যাঁদের 'শ্যামাপোকা' ভাল লাগেনি। তাঁদের জন লেখা। :-(
  • de | 190.149.51.66 | ২২ মে ২০১৩ ১১:২৭612008
  • ভালো লেগেছে --সুন্দর চিত্রকল্প!
  • siki | 132.177.211.149 | ২২ মে ২০১৩ ১৫:২০612009
  • এখানে মিনিময় হবে না?

    খিল্লি অ্যাপার্ট, দিব্য হয়েছে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.205.105 | ২২ মে ২০১৩ ১৫:২৩612010
  • মিনিময় হচ্ছে কই? সবাই তো এক কথায় সেরে দিচ্ছেন।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২২ মে ২০১৩ ১৫:২৯612011
  • শাশ্বত সত্য-তে প্রশ্ন দিয়ে এলাম তো, ওখানে দিলেও হবে বললেন, তাই।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.205.105 | ২২ মে ২০১৩ ১৫:৩৮612012
  • হ্ঃ-), ওখানে যতদূর ক্ষমতা, উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি তো। জানিনা পছন্দ হবে কিনা। :-)
  • kallol | 125.241.51.173 | ২২ মে ২০১৩ ২০:৪৩612013
  • রূপঙ্করদা। সত্যি কথা বলতে, পড়ে তেমন আরাম হলো না। আসলে গল্প বলার এই ফর্মটা আমার ভালো লাগে না। এই যে আপনার সাথে আমার দেখা হলে আপনি আমায় গল্পটা যেভাবে বলবেন, ঠিক সেইভাবে লেখা। তা নইলে নীচে নামার বিষয়টা কৌতুহলদ্দীপক।
    তার নাম স্মরজিৎ। কিন্তু সে মেনে নেয় যে সে অবিনাশ, যার বিনাশ নেই। যদিও তার আত্মপরিচয় নিয়ে তার প্রচুর সন্দেহ আছে। সে অফিস যায় না, বৌ তার কাছে থাকে না, কারন সে অন্য মনের মানুষ। সে "স্বাভাবিক" যুক্তি কাঠামোয় নেই, তার নিজস্ব একটা যুক্তি কাঠামোর জগত আছে। সেখানে সিঁড়ি ছাড়াও নামা যায়। স্মরজিৎ বা অবিনাশের সঙ্গ চাই। তার চারপাশের মানুষদের সাথে সে ভাবনার আদানপ্রদান করতে পারে না, সেটা খুব স্পষ্ট। তাই সেই লোকটা আসে, যাকে সে একাই দেখতে পায়। সেই তাকে নীচে নামার কথা বলে। নীচে কোথায়? নীচে নামা বলতে আমরা সাধারনতঃ অধঃপতনের কথা ভাবি। কিন্তু অবিনাশ বা স্মরজিৎ তো "স্বাভাবিক" যুক্তি কাঠামোয় নেই। তার যুক্তি কাঠামোয় নীচে নামা মানে কি? জানিনা। হতে পারে গভীরে যাওয়া। কিসের গভীরে? জানি না। সে কি জীবনের নীচে যেতে চায়? সম্ভবতঃ। মৃত্যু নিয়ে তার অসুবিধা আছে, সেই আত্মপরিচয়ের অসুবিধা। কে মারা গেলো? অবিনাশ না স্মরজিৎ নাকি জিতু? তার চেয়ে যদি জীবনের ঊর্দ্ধে না গিয়ে তলায় নেমে যাওয়া যায়? জন্মের আগে, পরিচয়হীনতায়। যেখানে পরিচয় নেই, তাই পরিচয় নিয়ে সমস্যাও নেই।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.204.59 | ২২ মে ২০১৩ ২১:০৪612014
  • Kallol - আকাশ মেঘলা করে রাখলে কলমচিদের একটু সুবিধে হয়। মানে, মেঘের মধ্যে নানা মানুষ নান রকম আকৃতি দেখতে পায়। এই লেখাটা লোভে পড়ে ফেবুতেও দিয়েছিলাম। তো সেখানে ঘনাদা (রামকৃষ্ণ ভট্টা) অনেকটা, মানে বেশ অনেকটাই আপনার কথাই বলেছেন। আবার অন্য কেউ কেউ অন্য কিছুও ভেবেছেন।

    ওদিকে Kaju জানতে চেয়েছিলেন, মোদ্দা ব্যাপারটা কী? কিন্তু সেটা ঐ শাস্বত- থ্রেডে। তো আমি বললাম, আমার অবিনাশকে ৪র্থ মাত্রায় পাঠিয়ে দেবার ইচ্ছে ছিল। তাই শুনে তিনি একটা ব্যাখ্যা দিলেন। সেটা আমার খুব মনোমত হ'ল। আমি সেটাই আঁকতে চেয়েছিলাম।

    আর পড়ার আরাম? ঘটনা হ'ল, আমার সব গল্পই তো এমনি। মানে আমি সজাসুজি কথা বলার মত করেই লিখি। খুব একটা সাহিত্য রস থাকেনা তাতে। কিন্তু স্টাইল পাল্টানো তো খুব ঝামেলার। মানে এটাই স্পন্‌টেনিয়াস আসে তো, তাই এভাবেই লিখি সবই।

    এই প্রসঙ্গে বলি, একটা নিজস্ব অভিজ্ঞতা জড়িয়ে যাছে এই গল্পের সাথে ( আমার প্রায় সব গল্পেই থাকে)। সেটা এখানে বললে বেজায় খিল্লি হবে বলে চেপে গেছি।
  • Kaju | 69.93.203.53 | ২২ মে ২০১৩ ২১:১৪612015
  • আমাকে এত আপনি-আপনি করবেন না তো রূপঙ্করদা। তুমি শুরু করেন।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.204.59 | ২২ মে ২০১৩ ২১:১৫612017
  • তথাস্তু :-)
  • | 24.97.11.58 | ২২ মে ২০১৩ ২৩:১৩612018
  • হয়ত জানতে চান নি, তবু আরেকটু বড় করে বললে বলতে পারি এই গল্পটায় পাঠকের ভাববার জন্য জায়গা আছে, সেজন্যই ভাল লেগেছে। একটা অন্য কিছু যা থমকে দিচ্ছে সম্ভাবনা নিয়ে দু মুহূর্ত ভাবতে বাধ্য করছে -- সেই জিনিষটা আমার ভাল লেগেছে।
    আর চেষ্টাকৃত আয়ত্ত্ব করা সারলভাবে গল্প বলার ধরণের তুলনায় আমি স্বাভাবিক স্বতঃস্ফুর্ততা পছন্দ করি, তাই ফর্মও ভাল লেগেছে।
  • | 24.97.11.58 | ২২ মে ২০১৩ ২৩:১৪612019
  • *সরলভাবে
  • ranjan roy | 24.99.12.157 | ২২ মে ২০১৩ ২৩:২১612020
  • দ চমৎকার ভাবে আমার ভালোলাগার জায়গাটা বলে দিয়েছে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.192.42 | ২২ মে ২০১৩ ২৩:২৫612021
  • জানতে না চাইলে কি বলতে নেই? আপনারা না বললে আমি ভবিষ্যতের ইন্ধন পাব কোত্থেকে? হ্যাঁ, আমি কয়েক রকম গল্প লিখি। আসলে সারা জীবন নাটক লিখে এসে, বুড়ো বয়সে গল্প ধরেছি। ধারাবাহিকতা থাকেনা, এক একটা এক এক রকম হয়ে যায়। তা যাকগে। আমি তো তেমন কেউকেটা না। তবুও যে এত মানুষ পড়ে যান আমার গল্প, এটাই তো বিরাট ব্যাপার।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ০৩:০১612022
  • ভাল লাগল। রুপঙ্কর-বাবু, ঐ অভিজ্ঞতাটা বা অভিজ্ঞতা-গুলো প্লিজ শেয়ার করুন না।
    খিল্লি হবে কিছু, কিন্তু আমার মত অনেক পাঠকের ভাল লাগবে, এ গ্যারান্টি দিতে পারি। বিজ্ঞান এখনই সব জেনে ফেলেছে,এমন তো সবাই ভাবে না।
  • kallol | 125.242.196.137 | ২৩ মে ২০১৩ ০৮:৫৯612023
  • না না, রূপঙ্করদা। আমি আপনাকে লেখার স্টাইল পাল্টাতে বলিনি। আমার এই স্টাইলটা ভালো লাগে না। তাতে কি? সব কিছু আমার মতো করে ভালো লাগতে হবে এমন কোন মাথার দিব্যিও তো নেই। বিষয়বস্তু আমার ভাবিয়েছিলো বলেই না লিখলাম।

    রে ব্র্যাডবেরীর একটা ৫ম ডায়মেনশনে যাবার গপ্পো আছে। সে অবশ্য সাই-ফাই বলে লোকে।
  • kallol | 125.242.196.137 | ২৩ মে ২০১৩ ০৯:০২612024
  • *আমায়
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.223.169 | ২৩ মে ২০১৩ ০৯:৩০612025
  • Kallol - আচ্ছা, শ্যামাপোকা আপনার ভাল লেগেছিল না? 'মোপাঁসীয়' এবং আরও সব মহান লেখকের সঙ্গে তুলনা করে আমায় এক্কেবারে লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন। তো আমার এই লেখাটা কি অন্যরকম? একই তো ধারা। তবে হ্যাঁ, কনটেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা। আর স্টাইল বা কনটেন্ট কিছু একটা তো ভাল লেগেছে? তাতেই আনন্দ।

    না আমি সাই ফাই লেখার চেষ্টা করিনি, শুধু আকাশটা একটু 'মেঘলা' করে রেখেছি। পাঠকের কল্পনাশক্তিকে একটা ফ্রী রান। নানা রকম লিখি। নাটক লেখা বন্ধ করার পর হাত নিশপিশানি তো থামেনা।

    এবার অরণ্য

    অরণ্য, আপনি তো আমাদের দেশের সময়ে রাত্রিবেলা পড়বেন। ততক্ষণে তলিয়ে যেতে পারে। তবু আপনার কথা ঠেলতে পারিনা। সেই বহুকাল আগে 'জ্যোতিষের' টইতে আমার একমাত্র সমর্থক আপনি ছিলেন।

    ১৯৭০/৭১ সালে দক্ষিণ শহরতলিতে ( তখন তাই ভাবা হত) রিজেন্ট পার্ক এলাকায় একটা বাড়িতে আমায় ক'দিন রাত্রিবাস করতে হয়েছিল। সে সময়ে ঐ এলাকায় বড় বড় বাগান ওয়ালা কিছু বাংলো টাইপ বাড়ি ছিল ধনী লোকেদের। এখন গেলে সে ছবি কল্পনাও করা যাবেনা। কিছু নকশালপন্থী বা বলা উচিত তাদের নাম করে কিছু খুচরো লুম্পেন, সেই বাড়ির মালিকদের কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা দাবী করে, আর সে টাকা না পেলে খুনের হুমকি দেয়। তাই সেই সব বাড়ি ফেলে বা নামমাত্র প্রতিনিধি বসিয়ে মালিকরা সরে পড়েন অন্যত্র। আমাদের সংস্থার কতৃপক্ষ এমনি তিন চারটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন ওখানে।

    সে বাড়িটার বাগান বড়। বাড়িটা বিশাল কিছু নয়। দোতলা বাড়ি, কিন্তু তিনতলায় ছাদের লাগয়া একটা ঘর ছিল। আমি থাকতাম সেই ঘরে। আমাদের সংস্থার আরো অনেকেই থাকত সেখানে, কিন্তু সেদিন শনিবার ছিল বলে সবাই নিজদের বাড়িতে চলে গেছিল সপ্তাহান্তে, আমি একলাই ছিলাম সেদিন।

    সেদিন ডিনারের পর রাত্রে লোডশেডিং বা পাওয়ার কাট হ'ল। তখন একবার হলে ঘন্টা দুই তিন থাকত। আমি বড় বড় দুটো মোমবাতি জ্বেলে কাজের টেবিলে বসলাম। একটা প্রোজেক্ট বানানোর ছিল। হঠাৎ আমার ঘরের দরজায় করাঘাত। আমার একটু অবাকই লেগেছিল, কারণ ঐ দরজাটা খুললে একটা প্যাসেজ। সেটার পর আবার দরজা। তাই সেই দরজা না খুললে আমার ঘরের দরজা অবধি পৌঁছনো যায়না। মানুষ আসতে পারেনা, হাওয়াও না। তবে করাঘাত কিভাবে?
  • kallol | 111.63.167.162 | ২৩ মে ২০১৩ ১০:২৩612026
  • একদম ঠিক ধরেছেন রূপঙ্করদা।
    শ্যামাপোকার বিষয়বস্তুর সাথে ফর্মটা ভীষন ভালো গেছে। আসলে, আমাদের সেই আদ্যিকালের তর্ক ফর্ম না কন্টেন্ট। এক এক ধরনের বিষয় এক এক ধরনের আঙ্গিকে ভালো যায়। তার মানে এই নয় যে একটা বিষয় একটাই আঙ্গিকে লেখা হবে। শ্যামাপোকা ছোট্ট মিষ্টি গল্প, আর তার ট্রিটমেন্টে মোপাঁসীয় ছোঁওয়া - একদম কপিলদেবের পামোলিভ কা জওয়াব নহী। সারা গল্প জুড়ে প্রধান চরিত্রকে একভাবে এঁকে যেতে যেতে যখন পাঠক চরিত্রটি নিয়ে নিশ্চিত হতে শুরু করেছে, তখন শেষ লাইনের মোচড়ে তাকে সম্পূর্ণ অন্য দিকে দিয়ে যাওয়া যা পাঠকের মনের কোনাতেও আসে নি। এই জিনিস বাংলা ছোট গল্পে সফলভাবে নিয়ে এসেছেন, রবীন্দ্রনাথ। কাদম্বরী মরিয়া প্রমাণ করিলো - এর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ। আর খুব সফলভাবে করে গেছেন মানিকবাবু, বিভূতি মুখুয্যে এবং নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।
    কিন্তু অবিনাশের বা স্মরজিতের গল্প একদম অন্য ধারার। বিষয়বস্তুর জটিলতাকে ধরতে সহজ সরল আঙ্গিক একটু সরলিকৃত বলে আমার মনে হয়। তবে এটা নেহাৎই আমার মনে হওয়া, আমার ভালো লাগা। আঙ্গিক নিয়ে বা সে অর্থে কোন কিছু নিয়েই, নিদান হাঁকা আমার বিলকুল না পসন্দ।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.183.89 | ২৩ মে ২০১৩ ১৩:২৪612028
  • অরণ্য - আগের অংশের পর.........(আর কেউ পড়ছেননা, তাই আপনি রাত্রে এসে নিশ্চিন্তে পড়বেন)

    আমি রিপোর্টিং এর দিন গিয়ে কেয়ারটেকারের খোঁজ করছিলাম, দেখলাম বাগানে একটা তক্তপোষের ওপর এক সৌম্যদর্শন বিহারী প্রৌঢ়। আমাদের সব বাড়ির একজন কেয়ারটেকার আর সবকটা বাড়ি মিলিয়ে একজন সুপারভাইজার থাকতেন। আমি বললাম, এবাড়ির কেয়ারটেকার কে?
    প্রৌঢ় বললেন, হমকো বোলিয়ে না, হম হ্যাঁয় তো খিদমদ কে লিয়ে-
    আমি বললাম, আপনি...?
    তিনি বললেন, আমি এবাড়ির দারোয়ান। আমি বললাম, দারোয়ান? তিনি বললেন, হ্যাঁ আগে এ বাড়ির মালিকের চাকরি করতাম, এখন আপনাদেরর চাকরি করি। আমি বললাম, তার মানে আপনি কেয়ারটেকারের কাজই করেন। তো আপনার মাইনে তো এর চার পাঁচ গুণ হওয়ার কথা। তিনি বললেন, দেখুন মানুষ যা পায়, তাই নিয়েই খুশি থাকা উচিত। নকশাল হামলায় মালিক ভাগলো। আমার তো বোরিয়া বিস্তর বেঁধে দেশে চলে যাবার কথা। আপনারা আমায় আবার চাকরি দিলেন। এই তো অনেক। আমি একটা নতুন দর্শন শিখলাম তাঁর কাছে, - যা পাচ্ছ, আরও চাইবার আগে ভেবে দেখ তাই তোমার বেশি কিনা। এটা এখনো মেনে চলি।

    আমি বললাম, আমার কাগজ পত্র দেখবেন না? তিনি বললেন, ওসব দেখে আমি কী করব। এই পান্ডব বর্জিত জায়গায় নাম ভাঁড়িয়ে কে-ই বা আসতে যাবে। আপনি ও বাড়িতে গিয়ে সুপারভাইজারকে দেখাতে পারেন, কিন্তু তার প্রয়োজন নেই।

    এবার আমি ঘর চাইলাম। আমারদের রেওয়াজই হচ্ছে, কেয়ারটেকারকে গিয়ে প্রথমেই বলা, সবচেয়ে ভাল ঘর কোনটা? ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভড বেসিসে সেটা আগে দখল কর। দরওয়ানজি বললেন, একদম ওপরে চলে যান। ছাদের ঘরে প্রচূর হাওয়া। ওটাই বেস্ট ঘর। একতলায় একটা ঘরের পাশে বিশাল হসনাহেনার ঝাড়। আমি বললাম, এই ঘরে তো দারুণ গন্ধ আসবে সন্ধে বেলা। তিনি বললেন, আপনি বললে এক্ষুণি চাবি দিয়ে দেব। আপনি আমায় জিজ্ঞেস করলেন, তাই বললাম ওপরের ঘরই সবচেয়ে ভাল। আপনি ইয়ং ম্যান, দিনে দু চার বার সিঁড়ি ভাঙতে কতই বা আর কষ্ট।

    আমি কথা না বাড়িয়ে তিনতলার ঘরের চাবি নিয়ে নিলাম। কাজটা ভালই করেছিলাম। ওই হসনাহেনার গন্ধ ওয়ালা ঘরে এল এক ন্যাশনাল লেভেলের হকি প্লেয়ার। পরের রাতেই তার যাবতীয় সম্পত্তি, মায় জামা কাপড় পর্যন্ত চুরি হয়ে গেল জানলা দিয়ে আঁকশি বাড়িয়ে।

    এর পর আসছি...।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন