এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২০:৪০612029
  • রূপঙ্কর বাবু, পড়ছি। ভাল লাগছে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.221.123 | ২৩ মে ২০১৩ ২১:৩৪612030
  • তিনতলার ঘরটা ছিল সত্যি ভাল। বিশাল বিশাল জানলা, একেবারে দরজার মাপের। মানে, মাটি থেকে লিন্‌টেল পর্যন্ত। আর তারা সংখ্যায়ও অনেক। হু হু করে হাওয়া। জানলার পাশেই বাগানের গাছগুলোর ডালপালা। সকালে এত রকম পাখির গান শুনে ঘুম ভাঙত, যে আমি ভাবতাম চিড়িয়াখানায় আছি।

    সেদিন ছিল শনিবার। একতলা আর দোতলার সবাই সেদিন উইক এন্ডে বাড়ি যাবে। এমনকি যারা কলকাতার বাইরে থেকে এসেছে, তারাও কোনও না কোনও আত্মীয় খুঁজে পেয়েছে কোলকাতায়। অজিতদা বলল, রূপঙ্কর, তুমি এত বড় বাড়িতে একলা থাকবে? তোমার তো কোলকাতাতেই বাড়ি, চলে যাওনা। আমি বললাম, প্রোজেক্ট অনেকটা বাকি, এই দুদিনে শেষ করতে হবে। বাড়ি গেলে কিছুতেই হবেনা। আমাকে থাকতেই হবে।

    ক্যানটীনটা ছিল একটু দূরে অন্য একটা বাড়িতে। সেখানকার স্টাফরা আনন্দে ছিল, দু দিন ছুটি। যখন শুনল একজন লোকের জন্য রান্না করতে হবে, তারা বেজায় মনঃক্ষুণ্ণ হ'ল। কী আর করা যাবে, কিচ্ছু করার নেই।

    ......এরপর -
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.209.219 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:০০612031
  • বিকেল ঘনিয়ে এল। একে একে সবাই চলে গেল। মনটা একটু খারাপই লাগছিল। বাড়ি গেলে মায়ের হাতের রান্না খেতে পেতাম। এখানকার চর্ব চোষ্যর চেয়ে তা অনেক ভাল। আমি নীচে এসে বাগানে একটু বসলাম। দেখি দরওয়ানজি আসছেন। আমায় দেখে অবাক হয়ে বললেন, কেয়া আপ ঘর নহী গয়ে? আমি বললাম, নাঃ আমার কাজ শেষ হয়নি। তিনি বললেন, অকেলে রহেঙ্গে ইয়াহাঁ? আমি বললাম, কেন, আপনি আছেন তো? তিনি বললেন, হম ইয়াহাঁ নহী রহতে। আমি বললাম, কেন? যখন এবাড়িটায় মালিকরা থাকতেন, তখন তো আপনাকে এখানেই থাকতে হত। তখন তো আমাদের কোম্পানি অন্য যে বাড়িগুলো নিয়েছে, সেগুলো অন্য সব মালিকের বাড়ি। তিনি সে কথার উত্তর না দিয়ে বললেন, জেয়াদা করকে মোমবত্তি রখিয়েগা, ইয়াহাঁ লোডশেডিং বহোত হোতা হ্যায়। বলে, চলে গেলেন।

    আমিও গুটি গুটি ওপরে চলে এলাম।

    কখন লোডশেডিং হয়, সেই ভয়ে আটটার মধ্যেই রাতের খাওয়া সেরে নিলাম। সে বাড়িটা এখান থেকে মিনিট পাঁচেক হেঁটে যেতে হত।

    সে সময়ে আটটাতেই ভুতুড়ে পরিবেশ। এই এলাকায় কোনও বাড়িতেই প্রায় লোক থাকেনা। আমাদের বাড়ির উল্টোদিকে খানিক দূরে একটা মাত্র বাড়ির তিনতলায় কেউ থাকেন। তাঁরা টিমটিমে আলো জেলেছেন। রাস্তার আলোও টিমটিমে। তাতে আরও অস্বস্তি। যতদূর দেখা যায় কোনও লোকজন নেই। শুধু যে বাড়িটায় ক্যান্টীন, সেখানে দু তিন জন আছে।

    ......লিখছি -
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:০১612032
  • অলৌকিকত্বের প্রতি আমার আকর্ষণ নট উইথ্স্ট্যান্ডিং, রুপঙ্কর-দার (বিনানুমতিতে বাবু থেকে দা-য় নেমে এলাম) লেখার স্টাইলটিও অনবদ্য।
    জাস্ট গল্প হিসেবে পড়লেও ভাল লাগে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.209.219 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:০৩612033
  • আপনিতো এক সময়ে 'রূপঙ্করদা'-ই লিখতেন। এই ঘটনাটা অলৌকিক কিনা জানিনা। কিন্তু কোনও ব্যাখ্যা আজও আমার কাছে নেই। অনেক ভেবে, যুক্তি সাজিয়ে - নাঃ। জাস্ট নেই।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.209.219 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:০৭612034
  • খেতে যাওয়ার অনুমতি চাইছি। শিগিগির-ই ফিরে আসব।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:১০612035
  • তুমি-ই বলুন, আপুনি কাটান দ্যান।
    ঘটনা-টা পড়ে মতামত দেব। এখনও অব্দি শুধু দরজায় করাঘাত - ভুল শোনা, অডিও হ্যালুসিনেশন ইঃ ব্যাখা দেওয়া যায় :-)
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:১১612036
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, অবশ্যই, খেয়ে আসুন।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:১৪612037
  • ফিরে এসেছি

    হ্যাঁ তা যায়। এটা হয়ও। উদা দিচ্ছি। আমার বাড়িতে আমি থাকি তিনতলায়। আসে পাশের সব বাড়িতেই কলিং বেল আছে, কিন্তু বেশির ভাগ আওয়াজই পৃথক। আর আমার তিনতলার বেলটা একদম অন্যরকম আওয়াজ। আমার কাজের মেয়েটা সকাল সাড়ে সাতটায় আসে। সে জানে ছেলেমেয়েরা বা অন্য কেউ নেমে দরজা খুলবেনা তাই আমার বেলটাই বাজায়।

    আমি প্রায় রোজই ও আসার মিনিট কুড়ি আগে একবার বেলের শব্দ পাই। তখন জেগে আছি এবং দিনের বেলা। প্রথম প্রথম কে? কে? বলে বারান্দা দিয়ে উঁকি মারতাম। এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। আজও আওয়াজ পেয়েছি। আজ সে কাজেই আসেনি।

    কিন্তু......কিন্তু অরণ্য এখানে একটা ব্যাপার আছে। একবার কনশাস হয়ে গিয়ে কান খাড়া করে আবার শোনার চেষ্টা করলে আর শোনা যায়না। কোনও হ্যালুসিনেশনই, তা সে ভিসুয়াল হোক বা অডিও, একটা সার্টেন ডিগ্রী অফ কনশাসনেস ভেদ করতে পারেনা। যদি করে, সেটাকে আর 'হ্যালু' বলা যাবেনা।
  • kumu | 132.161.5.230 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:১৬612039
  • ১০-০০ পি এম কন্টিনিউ করেন দেখি।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:২২612040
  • ভুল দেখা বা শোনা রিপ্রোডিউস করা যায় না, কনশাস-লি চেষ্টা করে। তাই বলছেন তো? বেশ।

    আপনার লেখা চলুক। ওয়েটিয়ে আছি।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:২৬612041
  • এই ব্যাপারটা আমি এনিওয়ে ডিসকাস করতামই। তুমি (পারমিটেড) আগেই উত্থাপন করলে বলে সুবিধে হয়ে গেল।

    গল্পে ফিরি

    লোড শেডিং এর ভয় এত লোকে দেখিয়েছে, যে কিচেন বাড়ি থেকেই গোটা চার পাঁচ 'সুশীল-সমাজ' সাইজের মোমবাতি নিয়ে আমাদের মেস বাড়িতে ফিরে এলাম ডিনারের পর। আর প্রোজেক্ট নিয়ে কাজে বসার অনতিবিলম্বে লোডশেডিং বা পাওয়ার কাট হয়ে গেল।

    এখানে ভূমিকায় একটা কথা বলে রাখি, আমি কিন্তু খুবই ভীতু প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু আমি ভয় পাই মানুষকে। চোর, ডাকাত, ঠকবাজ, জোচ্চোর, প্রতিবেশি, আত্মীয়, কেউ বাদ নেই। তবে মানুষ ছাড়া অন্য কিছুকে খুব একটা ভয় পাইনা। একবার তো এক ভূতকে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখতে গেছিলাম। ( অরণ্য হেসোনা প্লীজ, এক সময়ে সে গল্পও বলব, ভূতেরা কিন্তু সত্যি খুব গোবেচারা)।
  • kumu | 132.161.5.230 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:২৯612042
  • তাড়াতাড়ি লেখেন্না,কাল নটার মধ্যে বেরোতে হবে-
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:৩০612043
  • শীর্ষেন্দু-ও তাই বলেছেন :-)।
    মিটিনে ঢপ মারতে চললাম। আপনি চালিয়ে খেলুন, খুবই উপভোগ্য হচ্ছে। আবার ঘন্টা দুই পরে পড়ব।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:৩৭612044
  • এবার হয়েছে মুশকিল। লোড শেডিং, অন্ধকার, কিন্তু আলো জ্বালতে পারছিনা কেননা জানলা দিয়ে ঝড়ের মত হাওয়া। তাই একটা একটা করে সব কটা জানলা বন্ধ করতে হ'ল। তখন আবার অন্য বিপদ। আলো জ্বলল কিন্তু দরদর করে ঘামছি। মাঝখানে, মানে ডিনারের পর থেকে এই অবধি আরও কিছু ঘটনা আছে, তবে খুব একটা সিগনিফিক্যান্ট নয় বলে স্কিপ করে গেলাম।

    এবার মোম জ্বলেই টেবিলে বসেছি কাজ নিয়ে, কী বলব, টপাটপ ঘাম পড়ছে ওরর্ক শীটের ওপ্। তখন তো আর কম্পু ছিলনা, সব হাতে কলমে।

    হঠাৎ আমার ঘরের দরজায় দমাদম করাঘাত। আমি সিরিয়াসলি ভাবলাম সত্যি কেউ এসেছে। দরওয়ানজি টরওয়ানজি হবেন হয়তো। আমি বললাম কে? আবার ধাক্কা, আরও জোরে।

    তখন মনে পড়ল, আরে! এই দরজা দিয়ে বেরিয়ে তো একটা প্যাসেজ। সেটা দিয়ে ছ'সাত পা ডান দিকে হাঁটলে তো আর একটা দরজা। সেটা যতদূর মনে পড়ে বন্ধ করেই এসেছি। এবার সেটা দিয়ে না ঢুকে তো কেউ এই দরজা পর্যন্ত আসতে পারেনা?
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:৪৬612045
  • ওমা, কুমু ম্যাডামও হাজির? হুঁ, এবার তাড়াতাড়ি লিখতেই হবে।

    এই অবস্থায়, মানে, যেখানে এবাড়িতে কোনও জানাশোনা প্রাণী নেই, এই চৌহদ্দিতে নেই। এপাড়ায় কিচেন বাড়িতে হয়ত আছে, কিন্তু এখান থেকে চীল চ্যাঁচালেও সে বাড়ি অবধি আওয়াজ পৌঁছনোর চান্স নেই। এমতাবস্থায় অন্য লোক হলে নিশ্চিত করাঘাত শুনেও বেরোতনা। কিন্তু আমি বেরোলাম। এক হাতে একটা মোমবাতি ধরে দরজাটা খুললাম। খুব মোটা দরজা, আমাদের বাড়ির ডাবল থিকনেস। খুলে দেখলাম, প্যাসেজের ওপাশে দরজাটা বন্ধই আছে। তার মানে। কোনও মানুষ টানুষ করাঘাত টা করেনি। করার চান্সও নেই।

    এবার পরের দরজাটাও খুললাম।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৩ মে ২০১৩ ২৩:৫৪612046
  • পরের দরজাটা খুলে একটা ছোট্ট ল্যান্ডিং। সেটা পেরিয়ে ছাদে যাওয়া যায়। আর ডানদিকের দরজাটা খুললে, নীচে যাওয়ার সিঁড়ি।

    এখানে একটা কথা বলে রাখি, প্রথম দিনেই আমার খটকা লেগেছিল, যখন দরওয়ানজির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওপরে উঠতে যাচ্ছি - তিনি বললেন, উঁহুঃ উ সাইডসে নহী, পিছেসে। আমি ভাবলাম এ আবার কী। একই বাড়িতে দু দুটো সিঁড়ি? সামনে দিয়েই তো ওঠা যেত। তবে পেছন দিয়ে যেতে হবে কেন? যাকগে, যে খানকার যা সিস্টেম।

    এবার আমার সামনে দুটো রাস্তা, ছাদে গিয়ে দেখব ব্যাপারটা কী, নাকি ডান দিকের সিঁড়ির দরজা খুলব?

    হঠাৎ বাঁ দিকে চোখ যেতে দেখলাম সেখানে আর একটা দরজা। এ দরজাটা গত দুই তিন দিনে আগে খেয়াল করিনি।

    ওমা, এখানে আর একটা দরজা? দেখি তো, এদিকে কিছু আছে কিনা?
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৪ মে ২০১৩ ০০:০৪612047
  • সে দরজাটা টানতেই খুলে গেল।

    দেখলাম একটা সিঁড়ি।

    একটা সিঁড়ি , সেটা গোল সিঁড়ি, ঘুরে ঘুরে নেমেছে। এবার যা ঘটল, সেটা ব্যাখ্যা করা মুশকিল। মনে হল ভীষণভাবে কেউ ডাকছে আমায় নীচ থেকে। আমি হাতে মোমবাতি নিয়ে নামতে আরম্ভ করলাম।

    নেমেই যাচ্ছি, নেমেই যাচ্ছি - কিরে বাবা, মোটে তো দু তলা নামতে হবে। এতটা নামছি কী করে?

    হঠাৎ সম্বিৎ ফিরল। আরে! এ আমি কোথায় যাচ্ছি? এখানে সিঁড়ি আছেই বা কেন? বাড়িটা কতই বা বড়। এমন বাড়িতে
    সামনে, পেছনে দু দুটো সিঁড়ি, সেটাই আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকেছিল। আবার তৃতীয় একটা সিঁড়ি?

    যদি কোনও কারণে থেকেই থাকে, সেই স্পেসটা দোতলা বা একতলায় গেলে দেখা যায়না তো? আমি তো কোলীগদের ঘরে প্রায়ই আড্ডা মারতে যাই। দেয়াল জুড়ে তো জানলা।

    আরও কথা। সেই সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছি, দোতলা বা একতলায় কোথাও ওপেনিং নেই তো?

    এবার আমি ভয় পেয়েছি। সত্যি পেয়েছি, হাঁচোড় পাচোড় করে ওপরে উঠছি, মোমবাতি নিভে গেছে, মা গো -
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.191.126 | ২৪ মে ২০১৩ ০০:১৫612048
  • সকালে বেরিয়ে দেখি দরওয়ানজি।

    বললাম, আরে ইয়াহাঁ তীসরা সিঁড়ি কিঁউ হ্যায়?

    তিনি বললেন, তীসরা? না না কোই সিঁড়ি মিড়ি নহী হ্যায়।

    আমি বললাম,আলবাত আছে। আপনি ওপরে চলুন। বাঁ দিকের দরজার ওপারে আছে।

    হ্যাঁ একটা বিরাট ভুল হয়ে গেছে। ওটা সোমবারের সকাল। সেদিন সারা রাত না ঘুমিয়ে রবিবার কাক ডাকা ভোরে আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম। এসে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে বোবায় ধরেছিল। মা অনেক কষ্ট করে ছাড়ায়।

    আমি বললাম, আলবাত আছে, আপনি চলুন। দরওয়ানজি কিছুতেই যাবেননা। আপ বোলনেসে তো নহী হোগা। হম ইস বিল্ডিং কা দরওয়ান হ্যাঁয়, হম নহী জানেঙ্গে কহাঁ কেয়া হ্যায় ?

    অজিতদা এসে গেছেন, আরে কী ব্যাপার, ছাড়না ওনাকে চলো আমি দেখছি কোথায় তোমার দরজা।

    ওপরে এসে অজিতদা বলে, এই দেখ, এ দরজায় তো বিশাল তালা মারা। একেবারে মরচে পড়ে গেছে। কতকাল কেউ খোলেনি কে জানে। মাকড়সার জাল জড়িতে আছে। এর পেছনে তুমি সিঁড়ি পেয়ে গেলে? ভাই চুপিচুপি বলতো একলা ছিলে, একটু টেনেছিলে কিনা? কাউকে বলবনা।
  • kumu | 69.178.141.153 | ২৪ মে ২০১৩ ১০:২৮612050
  • কোন ব্যাখ্যা?
  • siki | 132.177.5.51 | ২৪ মে ২০১৩ ১০:৩৯612051
  • বেশ পাগলা সাহেবের কবরের মত গল্পটা।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.211.24 | ২৪ মে ২০১৩ ১৩:৪৭612052
  • আমি অনেক ভেবেছি ব্যাপারটা নিয়ে। হ্যালু, চোখের ভুল, স্লীপ ওয়কিং - সব ডিস্কাউন্টেড হয়ে যাচ্ছে।

    প্রোলনগড হ্যালু হতে পারেনা। তার ওপর সেই সিঁড়িদিয়ে নেমেও গেছি, শুধু চোখে দেখিনি।

    স্লীপ ওয়কিং নয়, তখন জেগে প্রোজেক্টের কাজ করছিলাম। আর ঘটনার পর ভয় পেয়ে ঘরে পাঁচটা জাম্বো সাইজ মোমবাতি জ্বেলে সারারাত কাজ করেছি। অবশ্য ভোরের একটু আগে ইলেক্ট্রিসিটি ফিরে এসেছিল।

    দরজায় ধাক্কা শুনে অজিতদা ব্যাঁকা হেসে বলল, ওটা হাওয়া।

    প্যাসেজের দরজা বন্ধ থাকায় ওখানে হাওয়া ঢোকার কোনও চান্স ছিলনা।

    তখন বলল, ইঁদুর।

    কেমন ইঁদুর, নেংটি, না ধেড়ে? নেংটি অত জোর ধাক্কা মারতেই পারেনা, ধেড়ে থাকার কোনও চান্স নেই, এবাড়িতে কোনও খাবার জিনিষ থাকতনা, বিস্কিটও না। আর যদি ইঁদুর ধাক্কায়, সেটা তলায় হবে, দরজার মাঝখানে না। আওয়াজ একবার হয়নি, কাজে কাজেই অডিও হ্যালু বলতে পারছিনা।

    আমি বুঝতে পারিনি। ব্যাখ্যাও পাইনি।

    দরওয়ানজি তো কথা শুনতেই চাইছেননা। ওবাড়িতে গিয়ে সুপারভাইজারকে বললাম, ঐ দরজার চাবিটা দিতে পারেন?
    তিনি বললেন এই তিনটে বাড়ির বোর্ডারদের চাবি সামলাতেই হিমসিম, ওই সব ফালতু দরজার চাবি কোথায় আছে কে জানে। আর আপনি সার নিজের ঘরের দরজা ছাড়া অন্য দরজার চাবি আইনতঃ চাইতেও পারেননা।

    কোনও কোলীগ বা বন্ধু যদি একট মদত দিত, রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা অন্ততঃ করতাম। সবাই খিল্লি করে বলল, এব্যাটা কোলকাতায় বাড়ি হওয়া সত্বেও রাত্তিরে ছিল কেন? নিশ্চয় এটা প্র্যাঙ্ক।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২৪ মে ২০১৩ ১৪:৫৩612053
  • আদ্যিকালের তালাবন্ধ দরজা এক টানে খুলে গেল, এ তো তাজ্জব ব্যাপার ! এ তো 'অনাথবাবুর ভয়' মনে পড়ছে। ছেঁড়া ইজিচেয়ার, বাতিল হুঁকো গড়গড়া, ভাঙা ঘড়ি সব আস্ত নতুন ! ভূ-উ-উ-উ-উ-ত !
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.192.190 | ২৪ মে ২০১৩ ১৫:৩৮612054
  • Kaju - এতদিনের কথা, বিস্মরণ হতেই পারে। কিন্তু যেহেতু বিশেষ ঘটনা, তাই একটু বেশি বেশি মনে থাকা স্বাভাবিক। আমি যখন দরজাটা ধরে টেনেছিলাম, মানে সে সময়ে দরজায় গোল গোল কড়া থাকত। তালা মারলে তাতেই মারতে হ'ত, টানলে তাই ধরেই টানতে হ'ত। তো সেই কড়া ধরে টানার সময়ে, কোনও তালা ফালা দেখেছি বলে তো স্মরণ নেই।

    আর ভূত যদি হবে, সে কোথায় গেল? সিঁড়ির কি ভূত হয়?

    দ্বিতীয় কথা, দরজা তো ছিল, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এবার একটা মেস বাড়িতে, যেখানে প্রতিটি ইঞ্চি ইউটিলাইজ করতে পারলে ভাল, সেখানে ওরকম একটা অব্যবহৃত ঘর পড়ে থাকতে অ্যালাউ করা হবে? বোর্ডারদের ঘর ছাড়া, চাদর, ব্ল্যাঙ্কেট ইত্যাদি রাখার জন্য একটা স্টোর রুম থাকতে পারে, কিন্তু সেটাও তো অনন্তকাল তালাবন্ধ পড়ে থাকতে পারেনা।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২৪ মে ২০১৩ ১৫:৪৬612055
  • না সিঁড়ির ভূত কেন? ক্ষুধিত পাষাণ কেস। অতৃপ্ত প্রেতাত্মা। নতুন কেউ এলে প্রবল আকর্ষণে তাকে 'আ যা রে-এ-এ-এ পরদেশী-ই-ই-' করে টান মারে। অপঘাতে কেউ মরলে নাকি ওরম হয় !
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.202.217.21 | ২৪ মে ২০১৩ ১৫:৫৪612056
  • Kaju - আমি ভূত দেখেছি।(এত বড় কথাটা বলতেও বুকের পাটা লাগে)

    ভূত কারো ক্ষতি করতে পারেনা। বেচারারা নিজেরাই বড় কষ্টে থাকে। সে গল্প অন্য কোনও সময়ে অন্য কোনও দিন।

    যার ভূত দেখেছিলাম, সে অপঘাতেই মরেছিল (খুন, মার্ডার)।

    ক্ষমতা থাকলে সে নিজের হত্যাকারির ক্ষতি করত।

    সেই ভূতকে একটা স্পেসিফিক সময়ে অনেকেই দেখেছে, একথা পরে জানা গেল। আমি বলার আগে খিল্লির ভয়ে আর কেউ বলেনি।

    সীড়ি কেসটা আমার কাছে জটিলেশ্বর।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২৪ মে ২০১৩ ১৫:৫৮612057
  • ভুত তো নানা প্রকার। কেউ নন্দদুলাল নন্দী, আবার কেউ এরম একটু দুষ্টুমি করে টুকটাক। তবে ওই গল্পটা খুব তাড়াতাড়ি শোনার আগ্রহ রইল।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.202.217.21 | ২৪ মে ২০১৩ ১৬:৩১612058
  • কাজু, সবাই নন্দদুলাল। আমি যার ভূত দেখেছি, খুব সম্ভবতঃ সে ছেলের জন্য চাকরির দরবার করতে আসত। ছেলে চাকরিটা পেয়ে যাবার পর আর কেউ কোনওদিন তাকে দেখেনি।

    হবেখন কোনও দিন এমনি মওকায় :-)
  • ঐশিক | 132.181.132.130 | ২৪ মে ২০১৩ ১৭:৩৬612059
  • রূপঙ্কর দা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম পুরোটা, খুব ভালো লাগলো, কিন্তু ওই ভুতের গল্পটা এখানেই লিখে ফেলেন
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.208.168 | ২৪ মে ২০১৩ ২০:৫৫612061
  • ঐশিক - ঘটনা হচ্ছে, প্রথমে একটা গল্প লিখলাম (কাল্পনিক) তারপর বেফাঁস বলে ফেললাম, যে এর একটা ভিত্তি আছে, একটা ঘটনার ওপর। সেগুলো মানুষের কৌতূহল জাগিয়ে রাখার উপাদান ছিল বলেই না ভাল লেগেছে। মানুষের কী ভাল লাগতে পারে, তারও কিন্তু বিশ্লেষন হয়। মানে আমরা যারা ভুলভাল লিখি টিখি, তারা করি।

    এবার ওই ভূতের গল্পটায় তেমন কৌতূহলের আভাস তো নেই-ই শুনলে হয়তো মন খারাপ লাগবে। সত্যি বলছি ভূতরা কিন্তু অনেক কষ্টে শরীর ধারণ করে। আসলে শরীর তো ধারণ করা সম্ভব নয়, ওরা আমাদের অপটিকাল নার্ভ গুলোকে ট্যাম্পার করে। যাতে আমরা মনে করি কিছু দেখছি।

    এবার এই গল্পের লেজ ধরে এরই প্রেক্ষিতে যদি ওটা বলি, অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স টাইপের হয়ে যাবে। কেননা ভূত মানেই ভয়ের ব্যাপার। এখানে আমিই ভূতটাকে (নাছোড়বান্দা টাইপ ছিল) ভয় দেখাতে গেছিলাম। বিচ্ছিরি ব্যাপার। ওই রকম প্রসঙ্গ এলে ঠিক বলব একদিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন