এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • "আমি হিন্দু , আমি ভারতীয়, আমি গর্বিত"

    বিপ
    অন্যান্য | ২৪ জুলাই ২০১৩ | ৩৭০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ১৪:১৭617180
  • ও, তাইলে কাল্পনিক নয় - ইন্ফ্লেটেড পর্সোনালিটি। ও ওমন হয়। ঝড়-বাদলার রাতে ঘোর দুর্যোগের মধ্যে বিদ্যাসাগর দামোদর সাঁতরে পেরিয়েছিলেন কি না তাই নিয়েই ঐতিহাসিকরা একমত নয়, আর এসব তো কবেকার কথা।
    *সামহাউ, বিপ-এর পোস্টে ফন্টের গোলযোগ বা কোনো কারণে পরিষ্কার পড়া যাচ্ছে না।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ১৫:০৩617181
  • দ্রি-র লেখার ওপর একটু বাংলা অ্যাপেন্ড করি - পাতি বাংলায়।

    সেই যে খৃঃপূঃ ৬৪ নাগাদ রোমে আগুন লেগে একাকার - যে গপ্পো খুব পপুলার - তো এর পরে রোমবাসীরা সবাই যখন অগোচরে সম্রাটরে গালি পাড়েন, তখন নিরো দেখেন কিছু একটা করতে হয়। আদেশ দেন, ক্রিশ্চান মারো, দেখলেই মারো, ঐ শালা অবিশ্বাসীদের জন্যে এই হাল । কুকুর লাগাইয়া বডি ছিঁড়ে দেন, ক্রিশ্চানদের শবদেহ জ্বালাইয়া টর্চের মতন ব্যবহার - ইত্যাদি নৃশংস কান্ডকারখানা।

    কিন্তু ক্যানো, ক্রিশ্চানদের ওপর এত রাগ ক্যান। প্রথমত, ক্রিশ্চানরা রোমান দেবদেবী মানতে চান না। তার ওপর রোমান রাজাদের ও দেবদেবীর মতন মানতে চান না। মাথা নত করে - সিজার ইস লর্ড - একথা বলতে চান না। ব্যস, আর কি - পাগান-রা জবাই করে ক্রিশ্চানদের।

    কিন্তু তাইলে এই ধম্মো ক্যামনে টিঁকল? কে বাঁচাইলো। সম্রাট কনস্টানটাইন। বৌদ্ধ ধম্মের যেমন সম্রাট অশোক না থাকলে কদ্দুর কি হইত বলা মুশকিল, ক্রিশ্চান ধম্মের তেমন সম্রাট কনস্টানটাইন। রোম সম্রাটরা মোটেই ক্রিশ্চানদের পছন্দ করত না, পাত্তাও দিত না। কারণ তো সহজ - রাজাদের ছেড়ে কিছু লোকে কিনা পুজা করে এক ইহুদী ক্রিমিনাল-কে। আর তাছাড়া ক্রীতদাস, নীচুতলার সৈন্য, সমাজের নীচুতলার কিছু জনগণের মধ্যেই এই ক্রিশ্চানদের ফেইথ ছিল। কিন্তু, সম্রাট কন্সটানটাইন ই প্রথম কনভার্ট করেন - ঐ ৩০০ খৃঃ নাগাদ। তিনি ঘোষনা করেন পাগান আর ক্রিশ্চানদের সমাজে সমান অধিকার থাকবে। এর পর থেকে ক্রিশ্চানরা .... টিঁকে যায় আর কি...

    তার মানে, প্রথম দিকের দু-তিনশো বছর খুব মার খায় ক্রিশ্চান ফেইথে বিশ্বাসীরা। রোমান-ক্রিশ্চান মারপিটের গপ্পোও - যে যার সুবিধা মতন বলে থাকেন আর কি, ঐ যেমন দ্রি কইসেন - ক্রিশ্চানরা খুব সহানূভূতি কাড়েন, আমাগো কি মার মারসে, কিন্তু আমাগো ধম্মোকথা এত মহান... ইত্যাদি। কিন্তু, রোমান সম্রাটেরা যে আইন করে ধম্মো প্রচারে সাহায্য করেছিলেন, সেকথাও সমান সত্য।

    যেখানে অবিচার আছে, অসাম্য আছে, সেখান থেকে এক পিস ধম্মো বেরিয়েছে। তবে বেরোলেই তো হল না, যে কোনো প্রতিবাদকেই তো গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা হবেই। কোনো কোনো ধম্মো মরেও গেছে, কোনোটা টিঁকে গেছে। ভারতে হিন্দু উচ্চবর্ণের দাদাগিরির জবাবে এসেছে জৈন, বৌদ্ধ... ইউরোপে পাগান রোমান রাজাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিঁকে গেছে ক্রিশ্চান... আরবে ট্রাইবাল গ্রুপগুলিকে এক ছাতার তলায় আনে ইসলাম...

    আর ধম্মো ব্যাপারটা তেমন বাজে কিছু না। বাজে ভাবে ব্যবহার করলে আর কি করা যাবে। যেমন, বিজ্ঞান। বোম মারতে বিজ্ঞান ব্যবহার হলে সে কি আর বিজ্ঞানের দোষ। ছুরি দিয়ে ডাক্তার অপারেশন করে মানুষের জীবন বাঁচায়, আর খুনি জীবন নিয়ে নেয়।
  • Marauder's Map | 24.96.48.207 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ১৬:৪৩617182
  • শুরুতেই চাট্টি গালি না দিয়ে এরকম লিখলেই তো ভালো হত। ঠিক, ভুল, একমত না দ্বিমত সেসব পরের প্রশ্ন, কিন্তু অ্যাটলিস্ট কনটেন্ট আছে।
  • dd | 132.167.8.42 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২১:২৮617183
  • বিপের এখোনকার ল্যাখাগুলান ভাল্লাগছে। প্লাস দৃ সাহেবও আবির্ভুতো হয়েছেন। অতোএব ইটি খুব ভালো টই হবে তাতে সন্দেহ নেই।
    চোখ গোল গোল করে বসে আছি।
  • ranjan roy | 24.99.82.224 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২১:৩৭617184
  • বেশ ভালো টই, মন দিয়ে পড়ছি।
    কিন্তু গোড়ার দিকে হনুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ একেবারে বাজে লাগল। এগুলো কি আমরা অ্যাভয়েড করতে পারি না?
    বরং হনু সংযম দেখিয়ে বলল-- বিষয়ে থাকুন।
    কিন্তু টই চলুক, অনেক কিছু জানতে পারছি।
  • দ্রি | 116.78.157.195 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২২:১৫617185
  • কমিউনিস্টরা যে ক্রিশ্চিয়ানদের ইডিওলজিকাল বংশধর, এই কথাটা টয়েনবি বলেছেন 'আ স্টাডি অফ হিসট্রিতে --

    The Communist, for instance, believes, as devoutly as the Positivists, that Man's ultimate duty is owed to his fellow men in a Universe in which Humanity is monarch of all it surveys, because Man has no God above him; and yet we have seen reasons for believing that the dynamic elements in Communism -- the springs of the action that has made Communism a force in a contemporary human affairs -- are derived, albeit unconsciously, from a trinity of theistic religions, if we are right in tracing back some of these elements to Christianity and others to Christianity's two forerunners, Judaism and Zoroastrianism.

    ইসলাম যে শুরু হয়েছিল একটা মহাজন বিরোধী আন্দোলন হিসেবে, সেটা ইন্টারেস্টিং। ইসলামে চড়া রেটে সুদ নেওয়া (ইউজারি) গর্হিত। একই প্রথা ক্রিশ্চিয়ানিটিতেও আছে। এর থেকে আমার মনে হয় ক্রিশ্চিয়ানিটির শুরুটাও হয়েছিল ব্যাঙ্কারবিরোধী আন্দ্লন দিয়ে। কিছু পেইন্টিং দেখেছি যেখানে যীশু মানিলেন্ডারদের চাবুক মেরে চার্চ থেকে বার করে দিচ্ছেন। সুদ দেওয়া, সুদ পাওয়ার একটা সাইক্‌ল আছে। সিস্টেম যখন বড্ড বেশী দেনায় ভরে যায় (যেই কন্ডিশান এখন এই মুহুর্তে হয়েছে) তখন গ্রহীতাদের দুর্দশার ইন্টেন্সিটি বাড়ে এবং তাতে রিভলিউশানারি কন্ডিশান তৈরী হয়। মিড্‌ল এজে চার্চের সাথে নাইট্‌স টেম্পলারদের লড়াই আসলে ব্যাঙ্কার ভার্সেস রিলিজিয়ানের যুদ্ধ।

    আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মত। ক্রিশ্চিয়ানিটি, ইসলাম, কমিউনিজ্‌ম, এগুলো প্রত্যেকটাই ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্টের ব্লুপ্রিন্ট।
  • দ্রি | 116.78.157.195 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২২:২৩617186
  • যাদের কন্ট্রোল স্ট্রাকচার ধর্মভিত্তিক তারা ধর্মীয় চ্যানেল চালায়। আর যাদের কন্ট্রোলের ভিত্তি সেকুলারিজ্‌ম তারা স্পোর্ট্‌স চ্যানেল, সোপ অপেরা আর রিয়েলিটি শো চালায়।

    দুটো দু রকমের কন্ট্রোল মেকানিজ্‌ম। এ দুটোর মধ্যে কোনটা বেশী ভাল বলা খুব শক্ত।
  • pi | 118.12.169.134 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২২:৪৪617187
  • স্পোর্ট্‌স চ্যানেল, সোপ অপেরা আর রিয়েলিটি শো দিয়ে কন্ট্রোলের মেকানিজম নিয়ে দু' পয়সা হোক।
  • দ্রি | 116.78.157.195 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৫617188
  • একটা একশো তলা বাড়ি ছিল। সেই বিল্ডিংএ মাত্র একটাই এইভেটর ছিল। লিফটের ওয়েটিং টাইম ছিল খুব বেশী। সেই নিয়ে খুব কমপ্লেন আসত। ম্যানেজমেন্ট খুব বিব্রত বোধ করত। এক্শো তলা বাড়িতে তো নতুন লিফট বসানো যায় না! শেষে তারা করল কি, লিফটের ওয়েটিং এরিয়াটা রিনোভেট করল। চারপাশে দেয়ালে কাচ বসান হল। মনখুশ সফ্‌ট মিউজিক চালান হল।

    কমপ্লেন আসা কমে গেল।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৩617190
  • ওহ্‌! দ্রি কি উদাহারণ দিল। এগুলোইতো ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে শেখায়।

    দ্রি-র কন্ট্রোল থিওরি-কে আমি একটু আপডেট করব।

    তাহলে এটাই সব্যস্ত হল যে বেশীর ভাগ মানুষই কন্ট্রোল্‌ড বাই এ ফিউ পিপ্‌ল। কিন্তু, সকলে যাতে না ভাবে যে তারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তার জন্য তৈরী হল ডেমোক্রেটিক পলিটিক্যাল সিস্টেম - মানুষের যেন একটু একটু মনে হয় যে তারাও নিয়ন্ত্রকের আসনে, শুধুই নিয়ন্ত্রিতর দলে নয়। এই ফিলিং টা একটা সুদিং ব্যাপার।
  • ranjan roy | 24.96.121.11 | ২৮ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৭617191
  • হেব্বি হচ্ছে!
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ০৪:৫২617192
  • বিপের লেখা পড়লাম। কিছু অসুবিধা আছে বলে মনে হলো, সেগুলো পয়েন্ট আউট করছি। তবে তার আগে, বলে রাখা দরকার যে আলোচনা ভালো হচ্ছে। আর ধর্ম ব্যাপারটার সঙ্গে স্পিরিচুয়ালিটির যোগ যত না তার থেকে ধের বেশি যোগ আইদেন্তিটিটির।
    ১। বিপ একবার বলছেন মহম্মদ মিথিকাল ক্যারেক্টার, আবার বলছেন মহম্মদ মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা। ঠিক কি বলতে চাইছেন, মহম্মদ একজন হিস্টোরিকাল ক্যারেক্টার, তার ওপরে মিথিকাল এলিমেন্টস এড করা হয়েছে, তাই কি?
    ২। "প্রতিটি মুসলিমদেশে দরিদ্র শ্রেনীর কাছে ইসলামের আবেদন অপ্রতিরোধ্য। তারা মনে করে ইসলামের জন্ম হয়েছে তাদের মতন দরিদ্র শ্রেনীর হেফাজত করতে-যা ঐতিহাসিক ভাবে ভুল কিছু না ।"
    তার মানে বিপ কি বলতে চাইছেন দরিদ্র মানুষ যেভাবে ইউনিয়ন কে দেখে (মানে মালিক শ্রেনীর বিপক্ষে একটি শক্তি হিসাবে) সেভাবেই ইসলাম কে দেখে? সেটা হওয়া কি সম্ভব, এস্পেসালি মুসলিম প্রধান দেশে যেখানে ধনী গরিব সকলেই মুসলিম? এখানে বিপ একটি ইম্পর্ত্যান্ট সোশিয়াল ও সাইকোলজিকাল দিক বাদ দিচ্ছেন, যা মানুষের আইদেন্তিটিটি ডিফাইন করে।
    ৩। "বাংলাতে কারা ইসলাম গ্রহণ করে? সবাই অন্ত্যজ, সমাজের দরিদ্রতম অংশ।"
    এগেইন, অন্ত্যজ ও দরিদ্র এক নয়। হিন্দু ধর্মের বর্ণভিত্তিক পার্সিকিউসনের কথা ভুলে গিয়ে শুধু অর্থনীতি দিয়ে ব্যাপারটা এক্সপ্লেন করতে যাওয়া ঠিক হবেনা।
    ৪। "সেখানে বৌদ্ধ ধর্মর ইতিহাসে দেখা যাবে, বৌদ্ধ ধর্ম প্রথমে বণিক শ্রেনীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়। যদিও ইসলামের নেতৃত্বে ছিল মক্কার বণিক শ্রেনী।"
    যেকোনো ধর্মের পপুলারিটির ফেস আসে ইকনমিক ও পলিটিকাল সাপোর্ট পাওয়ার পরে। বৌদ্ধ ধর্ম পপুলার হয় রাজন্য সৌজন্যে। ইসলাম ও তাই।এ হিসাবে ইসলামের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের তফাত কোথায়?

    শ্রেণী দ্বন্দের ভিত্তিতে যদি কোনো ধর্মের পপুলারিটিকে এক্সপ্লেন করতেন চান, তাহলে প্রথমেই যে প্রশ্নটা উঠবে, সেটা হলো যে দ্বন্দটা কোথায়। মানে পুঁজিপতি ও শ্রমিকের দ্বন্দ ভিজিবল, কিন্তু মুসলিম বড়লোক ও মুসলিম গরিবের আয়াপারেন্ট ধর্মীয় দ্বন্দ কি? বিপের কথা যদি ঠিক বুঝে থাকি, তাহলে ওনার মতামতের সাথে আমার মেন আপত্তি এই জায়গায় যে, আমি মনে করি, অর্থনৈতিক কারণে একটা ধর্ম (বা সম্প্রদায়, বা আইদেন্তিটি ) শুরু হতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে তা একেবারেই বিস্তার লাভ করেনা।
  • বিপ | 78.33.140.55 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ০৬:২২617193
  • ১। বিপ একবার বলছেন মহম্মদ মিথিকাল ক্যারেক্টার, আবার বলছেন মহম্মদ মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা। ঠিক কি বলতে চাইছেন, মহম্মদ একজন হিস্টোরিকাল ক্যারেক্টার, তার ওপরে মিথিকাল এলিমেন্টস এড করা হয়েছে, তাই কি?
    >>>> যে মহম্মদকে মুসলিমরা জানে তা মিথিক্যাল।

    ২। "প্রতিটি মুসলিমদেশে দরিদ্র শ্রেনীর কাছে ইসলামের আবেদন অপ্রতিরোধ্য। তারা মনে করে ইসলামের জন্ম হয়েছে তাদের মতন দরিদ্র শ্রেনীর হেফাজত করতে-যা ঐতিহাসিক ভাবে ভুল কিছু না ।"
    তার মানে বিপ কি বলতে চাইছেন দরিদ্র মানুষ যেভাবে ইউনিয়ন কে দেখে (মানে মালিক শ্রেনীর বিপক্ষে একটি শক্তি হিসাবে) সেভাবেই ইসলাম কে দেখে? সেটা হওয়া কি সম্ভব, এস্পেসালি মুসলিম প্রধান দেশে যেখানে ধনী গরিব সকলেই মুসলিম? এখানে বিপ একটি ইম্পর্ত্যান্ট সোশিয়াল ও সাইকোলজিকাল দিক বাদ দিচ্ছেন, যা মানুষের আইদেন্তিটিটি ডিফাইন করে।
    >>>
    ইসলামে কম মুসলমান বনাম বেশি মুসলমানের ব্যাপার আছে। পাকিস্তানের জিয়া উল হক। উনি এটার সফল প্রয়োগ করেছিলেন। উনার প্রচার মাধ্যম পাকিস্তানে এটাই প্রচার করত পাকিস্তানের মডারেট মুসলিমরা আসলে মুসলিম না -ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত -্মাল খায়। কারন এই অংশটা ছিল গণতন্ত্রের পক্ষে এবং পিপিপিএর নেতৃত্ব।

    ৩। "বাংলাতে কারা ইসলাম গ্রহণ করে? সবাই অন্ত্যজ, সমাজের দরিদ্রতম অংশ।"
    এগেইন, অন্ত্যজ ও দরিদ্র এক নয়। হিন্দু ধর্মের বর্ণভিত্তিক পার্সিকিউসনের কথা ভুলে গিয়ে শুধু অর্থনীতি দিয়ে ব্যাপারটা এক্সপ্লেন করতে যাওয়া ঠিক হবেনা।
    >>
    ব্যাপারটা প্রায় এক-শুদ্ররা দরিদ্র শ্রেনী।

    ৪। "সেখানে বৌদ্ধ ধর্মর ইতিহাসে দেখা যাবে, বৌদ্ধ ধর্ম প্রথমে বণিক শ্রেনীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়। যদিও ইসলামের নেতৃত্বে ছিল মক্কার বণিক শ্রেনী।"
    যেকোনো ধর্মের পপুলারিটির ফেস আসে ইকনমিক ও পলিটিকাল সাপোর্ট পাওয়ার পরে। বৌদ্ধ ধর্ম পপুলার হয় রাজন্য সৌজন্যে। ইসলাম ও তাই।এ হিসাবে ইসলামের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের তফাত কোথায়?

    >> বিরাটা পার্থক্য আছে। বৌদ্ধ ধর্মে রাজা বুদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। আর ইসলামে, ইসলাম রাজার রোলের আসে। ফলে ইসলামে ধর্ম এবং রাজনীতি দুটো মিশে যায়। রাজনৈতিক আন্দোলন ধর্মীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়,

    "শ্রেণী দ্বন্দের ভিত্তিতে যদি কোনো ধর্মের পপুলারিটিকে এক্সপ্লেন করতেন চান, তাহলে প্রথমেই যে প্রশ্নটা উঠবে, সেটা হলো যে দ্বন্দটা কোথায়। মানে পুঁজিপতি ও শ্রমিকের দ্বন্দ ভিজিবল, কিন্তু মুসলিম বড়লোক ও মুসলিম গরিবের আয়াপারেন্ট ধর্মীয় দ্বন্দ কি? বিপের কথা যদি ঠিক বুঝে থাকি, তাহলে ওনার মতামতের সাথে আমার মেন আপত্তি এই জায়গায় যে, আমি মনে করি, অর্থনৈতিক কারণে একটা ধর্ম (বা সম্প্রদায়, বা আইদেন্তিটি ) শুরু হতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে তা একেবারেই বিস্তার লাভ করেনা।"
    >>
    জিয়া উল হকের যে উদাহরন দিলাম সেটা দেখতেহবে। বাংলাদেশেও জামাতের মূল প্রচার, বাংলাদেশের আলোকিত মধ্যবিত্ত শ্রেনী যারা বাংলা জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী তারা ঠিক মুসলমান না - কোরান এদের জন্য একটা চ্যাপ্টার ব্যায় করয়েছে। এদের বলে মুনাফিক।যারা বাইরে মুসলমান ধর্ম দেখায়, কিন্ত ভেতরে মোটেও ইসলাম গ্রহণ করে নি ( কারন তারা মাল খায় বা ইসলামের সমালোচনা করে, রসুলকে মানে না -ইত্যাদি )
  • rivu | 140.203.154.17 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ০৭:১৪617194
  • "ইসলামে কম মুসলমান বনাম বেশি মুসলমানের ব্যাপার আছে"। আরে দাদা সেতো আর এস এস ও প্রচার করে যেসব হিন্দু মেয়েরা ছোট জামাকাপড় পরে তারা কম হিন্দু কারণ ওগুলো হিন্দু সংস্কৃতির নয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির অবদান। তাতে কি প্রমাণ হয়?

    ইসলাম রাজার রোলে আসে মানে কি? ইসলাম কি মানুষ নাকি? মহম্মদের পর ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন খলিফারা যাঁরা পলিটিকালি ও ইকনমিকালি শক্তিশালী ছিলেন। আর্লি বুদ্ধিসমের সাপোর্টার ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ইসলামেও তাই। আবু বকর, প্রথম খলিফা, ছিলেন ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে ছোট ভূস্বামী। এর মেয়েই আয়েশা, মহম্মদের বউ। ইনিই ইজিপ্ট ও অন্যান্য জায়গায় ইসলাম ধর্ম ছড়ান। বুদ্ধ ধর্মের ক্ষেত্রে যেটা করেন অশোক। খ্রিস্টান ধর্মে যে কাজ করেন কন্সতান্তিন। ইসলাম অন্য কি ভাবে ছড়ালো বুঝলুম না।

    "ব্যাপারটা প্রায় এক-শুদ্ররা দরিদ্র শ্রেনী।" এক্কেবারেই এক নয়। হিন্দুরা ছাড়া প্রায় সক্কলেই গোরুর মাংস খায়। তাবলে যে গোরুর মাংস খায়না সেই হিন্দু?

    আবার বলি, এই একমুখী অর্থনৈতিক শ্রেণী দ্বন্দের থিওরি দিয়ে ইসলামের পপুলারিটির কারণ এক্সপ্লেন করা যাবে বলে আমার মনে হয়না। সোশ্যাল আইদেন্তিটিটি এর উপরে যেসমস্ত থিওরি রয়েছে সেগুলো ইনকর্পোরেট করা প্রয়োজন। তবে, এবিষয়ে আমার জ্ঞান শুন্য, সুতরাং অন্য কেউ লিখবেন অনুগ্রহ করে।
  • bip | 78.33.140.55 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ০৭:৪৯617195
  • "ইসলামে কম মুসলমান বনাম বেশি মুসলমানের ব্যাপার আছে"। আরে দাদা সেতো আর এস এস ও প্রচার করে যেসব হিন্দু মেয়েরা ছোট জামাকাপড় পরে তারা কম হিন্দু কারণ ওগুলো হিন্দু সংস্কৃতির নয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির অবদান। তাতে কি প্রমাণ হয়?

    >>
    আমার পোষ্টটা পড় ভাল করে।

    মুনাফিকটা কোরানের একটা সেন্ট্রাল কনসেপ্ত- প্রায় শ খানেক আয়াত আছে- হিন্দুদের সাথে একদম তুলনীয়া না
    হিঁদু ধর্মে হিন্দু হিপোক্রিট বলে কোন কনসেপ্ট নেই। এটা এক্সক্লুসিভ টু ইসলাম।

    সুতরাং মুনাফিকের ব্যাপারটা জেনারেল জিয়াউল হক খুব সফল ভাবে কাজে লাগিয়েছিল, পাকিস্তানের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে-এবং তিনি গরীবডের ভেতরে ইসলামের এই চাল চেলে, জনপ্রিয় হোন
  • দেব | 116.209.85.188 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১২:৩১617196
  • rivu 07:14 AM - "ইসলাম রাজার রোলে আসে মানে কি? ইসলাম কি মানুষ নাকি?"

    বিপ্লবদা যেটা বলতে চাইছেন সেটা হল একদম শুরু থেকেই ইসলাম রাষ্ট্রের স্পিরিট হিসেবে গৃহীত হয়েছে। রাজা বলতে এখানে কোন ব্যাক্তি নন, দা স্টেট। সেকুলার কোন দেশের ক্ষেত্রে সংবিধান যে ভূমিকাটা পালন করে। যিনি ইসলামের স্রষ্ট্রা সেই মুহম্মদই ইসলামের ভৌগলিক ফুটহোল্ডটাও ইনিশিয়েট করেছিলেন। ক্রিশ্চিয়ানিটি বা বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। অলরেডি একটা সেটআপ ছিল, সেখানে এডপ্ট হয়েছিল।

    মুসলিমরা শুরু থেকেই যখনই রাজ্যবিস্তার করেছেন তখনই একটা অজুহাত দেওয়া হয়েছে - ইসলামের বিস্তার ঘটাতে হবে। ক্রিশ্চিয়ানিটির ক্ষেত্রে সেটা এসেছে অনেক পরে।
  • maximin | 69.93.203.92 | ২৯ জুলাই ২০১৩ ১৩:৫০617197
  • দ্রি মশাইয়ের খুচরো বক্তব্যগুলো এন্টারটেইনিং লাগল। তবে এডোয়ার্ড গিবনের 'ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অফ দি রোমান' বড়ই খাপছাড়াভাবে কোট করলেন।
  • দ্রি | 116.78.177.55 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২৩:২০617198
  • আরেকবার গিবনকে আনস্ট্রাকচার্ড ভাবে কোট করতে চাই।

    ক্রীশ্চানদের সম্বন্ধে কি ধরণের ফিসফাস প্রচলিত ছিল সেই বিষয়েঃ

    The precautions with which the disciples of Christ performed the offices of religion were at first dictated by fear and necessity; but they were continued from choice. By imitating the awful secrecy which reigned in the Eleusinian mysteries, the Christians had flattered themselves that they should render their sacred institutions more respectable in the eyes of the Pagan world. But the event, as it often happens to the operations of subtile policy, deceived their wishes and their expectations. It was concluded, that they only concealed what they would have blushed to disclose. Their mistaken prudence afforded an opportunity for malice to invent, and for suspicious credulity to believe, the horrid tales which described the Christians as the most wicked of human kind, who practised in their dark recesses every abomination that a depraved fancy could suggest, and who solicited the favor of their unknown God by the sacrifice of every moral virtue. There were many who pretended to confess or to relate the ceremonies of this abhorred society. It was asserted, "that a new-born infant, entirely covered over with flour, was presented, like some mystic symbol of initiation, to the knife of the proselyte, who unknowingly inflicted many a secret and mortal wound on the innocent victim of his error; that as soon as the cruel deed was perpetrated, the sectaries drank up the blood, greedily tore asunder the quivering members, and pledged themselves to eternal secrecy, by a mutual consciousness of guilt. It was as confidently affirmed, that this inhuman sacrifice was succeeded by a suitable entertainment, in which intemperance served as a provocative to brutal lust; till, at the appointed moment, the lights were suddenly extinguished, shame was banished, nature was forgotten; and, as accident might direct, the darkness of the night was polluted by the incestuous commerce of sisters and brothers, of sons and of mothers."

    বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, ভ্যাটিক্যানে চাইল্ড স্যাক্রিফাইজ হওয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড রিউমার এখনও আছে।
  • দ্রি | 116.78.177.55 | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০০:১৩617199
  • বিপবাবুর দেওয়া লাস্ট পোস্টটা নিয়ে একটু পড়াশোনা করলাম। কয়েকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম।

    ইসলামের শুরু নিয়ে সোভিয়েত ওরিয়েন্ট্লজিস্টদের বেশ কয়েক রকমের থিওরী আছে। রাইসনার, বেলিয়ায়েভদের এক রকম থিওরী, দিতিয়াকভের অন্য থিওরী, আসফেন্দিয়ারভের আরো অন্য থিওরী, তোমারার একটি চতুর্থ থিওরী এবং সবচেয়ে র‌্যাডিক্যাল থিওরী ক্লিমোভিচের।

    সোভিয়েত ইউনিয়ান স্টেটটা নাস্তিকতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্টেটের প্রজারা শুরুতে ছিল অর্থ্ডক্স ক্রিশ্চিয়ান এবং মুসলিম। এই দুই ধর্মের সঙ্গে ইডিওলজিকাল লড়াই চালানোর জন্য একটা বডি বানানো হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছিল 'ইউনিয়ান অফ মিলিট্যান্ট গডলেস'। এর কাজ ছিল দুটো ধর্মকে নিউট্রালাইজ করা, থ্রু স্কলারশিপ, থ্রু পার্সুয়েশান, এবং থ্রু ইন্টিমিডেশান অ্যান্ড হ্যারাসমেন্ট। ক্লিমোভিচ ছিলেন এই ইউনিয়ানের সদস্য। উনি হয়ত ভালো স্কলার ছিলেন, কিন্তু তাঁর পলিটিক্সটাও ভুলে গেলে চলবে না।

    সবচেয়ে কিউরিয়াস লাগলো রাইসনারের থিওরী। তিনি ইসলামিক মুভমেন্টকে একটা ট্রেড ক্যাপিট্যালিস্ট মুভমেন্ট হিসেবে দেখছেন, যেটা একটা ওয়ার্ড ট্রেড কোম্পানী বানাবে; মক্কার তীর্থ একটা ট্রেড ফেয়ার এবং আল্লা একজন পাওয়ারফুল, স্মার্ট ক্যাপিট্যালিস্ট। ইসলামের এই আইডিয়ার সাথে কমিউনিস্ট ইসলাম ঠিক খাপ খায় না।
  • দ্রি | 116.78.177.55 | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০০:৫৪617201
  • এছাড়া বিপবাবু লিখেছেন, মহম্মদ সম্বন্ধে কন্টেম্পোরারি সোর্স একটিই পাওয়া গেছে।

    কিন্তু উইকি বলছে তিনটি এরকম সোর্স পাওয়া গেছে (রেফঃ ব্যাট্‌ল অফ গাবিথা, ব্যাট্‌ল অফ দাথিন, অ্যাকাউন্ট অফ সেবিস)।
  • ranjan roy | 24.99.11.18 | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০৭:১৮617202
  • হেব্বি!
    দ্রি একটু ব্যাখ্যা করুন।
    এংগেলস যে অ্যান্টি-ড্যুরিং এ বুদ্ধিজম- ক্রিশ্চিয়ানিটি-ইসলাম কে বিশ্বের তিনটি বিপ্লবী ধর্ম বলে অভিহিত করেছিলেন তা নিয়ে দু'পয়সা হবে নাকি? বিপ ও কিছু বলুন।
  • বিপ | 78.33.140.55 | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০৯:৪৭617203
  • ্সোভিয়েত ওরিয়েন্টার স্কুলের বাকিদের তত্ত্ব খুব একটা বিশ্বাস যোগ্য হয় নি-
    ক্লিমোভিচের টা অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য কারন ভদ্রলোক অনেক প্রাচ্যবিদের কাজ একসাথে দেখে তবে এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন এবং তার বক্তব্য বিশ্বাস করার পেছনে অনেক কারন আছে যেমন - একটা ধর্মগ্রন্থে হঠাৎ করে এত বেশি অর্থনৈতিক কন্ট্রাক্ট, স্যোশাল কন্ট্রাক্ট থাকার মানে নি? হ্যা, মদিনাতে তাকে রাষ্ট্র চালাতে হত -তাই জন্য কিছু রাষ্ট্রনীতি, আইন কোরানে আসতে পারে -যা এসেও ছে-কিন্ত এক ধর্মগ্রন্থে বিজনেস কন্ট্রাক্ট পাওয়া বিরল। এটা তখনি সম্ভব যখন এটা আদতে ছিল একটা আর্থ সামাজিক আন্দোলন মধ্যবিত্তডের ব্যবসা সুরক্ষিত করতে- এটাই ছিল ক্লিমোভিচের মূল কথা। আমি এর বিরোধ করার কারন পাচ্ছি না । ২+২=৪

    আর ঐতিহাসিক মহম্মদের সপক্ষে কোন প্রমান বার করাও সম্ভব না - কারন সৌদি আরব ধর্মীয় গোঁড়ামির কারনে খোঁড়া খুরি করার অনুমতি দেয় না -পাছে আসল মহম্মদের প্রমান পাওয়া গেলে, ধর্ম ব্যাবসাটা ডাউন হয়। ফলে আসল মহম্মদকে জানার কোন উপায় নেই। আর্কিওলহজিক্যাল প্রমান তোলা মানা ধর্ম ব্যবসা টেকেনোর জন্য। ইসলাম ধর্ম ব্যবসার জন্য নকল মহম্মদকে টেকাতে সৌদি আরব আর্কিওলজিক্যাল খোঁড়াখুরি পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে।
  • bip | 78.33.140.55 | ৩১ জুলাই ২০১৩ ০৯:৫৬617204
  • ২|http://themuslimissue.wordpress.com/2012/08/21/islam-no-historical-mention-of-a-prophet-called-muhammad-up-to-732-a-d-was-he-a-caliph/

    No record of Muhammad’s reported death in 632 appears until more than a century after that date.
    A Christian account apparently dating from the mid-630s speaks of an Arab prophet “armed with a sword” who seems to be still alive.
    The early accounts written by the people the Arabs conquered never mention Islam, Muhammad, or the Qur’an. They call the conquerors “Ishmaelites,” “Saracens,” “Muhajirun,” and “Hagarians” but never “Muslims.”
    The Arab conquerors, in their coins and inscriptions, don’t mention Islam or the Qur’an for the first six decades of their conquests. Mentions of “Muhammad” are non-specific and on at least two occasions are accompanied by a cross. The word can be used not only as a proper name but also as an honorific.
    The Qur’an, even by the canonical Muslim account, was not distributed in its present form until the 650’s. Contradicting that standard account is the fact that neither the Arabian nor the Christians and Jews in the region mention the Qur’an until the early eighth century.
    During the reign of the caliph Muawiya (661-680), the Arabs constructed at least one public building whose inscription was headed by a cross.
    We begin hearing about Muhammad, the prophet of Islam, and about Islam itself in the 690’s, during the reign of the caliph Abd al-Malik. Coins and inscriptions reflecting Islamic beliefs begin to appear at this time also.
    Around the same time, Arabic became the predominant written language of the Arabian Empire, supplanting Syriac and Greek.
    Abd al-Malik claimed, in a passing remark in one hadith, to have collected the Qur’an, contradicting Islamic tradition that the collection was the work of the caliph Uthman forty years earlier.
    Multiple hadiths report that Hajjaj ibn Yusuf, governor of Iraq during the reign of Abd al-Malik, edited the Qur’an and distributed his new edition to the various Arab-controlled provinces— again, something Uthman is supposed to have done decades earlier.
    Even some Islamic traditions maintain that certain common Islamic practices, such as the recitation of the Qur’an during mosque prayers, date from orders of Hajjaj ibn Yusuf, not to the earlier period of Islamic history.
    In the middle of the eighth century, the Abbasid dynastic supplanted the Umayyad line of Abd al-Malik. The Abbasids charged the Umayyads with impiety on a large scale. In the Abbasid period, biographical material about Mohammed began to proliferate. The first complete biography of the prophet of Islam finally appeared during this era—at least 125 years after the traditional date of his death.
    The biographical material that emerged situates Muhammad in an area of Arabia that never was the center for trade and pilgrimage that the canonical Islamic account of Islam’s origin depend on it to be. (pp.205-206)
  • দ্রি | 59.15.176.16 | ০১ আগস্ট ২০১৩ ২২:২২617205
  • আব্দাল মালিক মহম্মদের পর নবম খলিফা, উমাইয়াদ ডাইনাস্টির পঞ্চম। ওনার আগে আরবে বাইজান্টাইন কয়েন ব্যবহার হত, ওদের নিজেদের কয়েন ছিল না। আব্দাল মালিক প্রথম নিজেদের কয়েন মিন্ট করেন। আজকের দিনের ইকুইভ্যালেন্টে, নিজেদের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক তৈরী করেন। এটা একটা খুব বড় মাইলস্টোন। এর আগে আরব ছিল বাইজান্টিয়ামের ভ্যাসাল স্টেট। নিজেদের কয়েন মিন্ট করা এই অবস্থায় ছিল স্বাধীনতা ঘোষনা করার সামিল। মূলত এই কারনেই মালিকের সাথে বাইজান্টাইন এম্পারার জাস্টিনিয়ানের যুদ্ধ বাধে, ব্যাটল অফ সিবাস্টোপোলিস।

    যাই হোক যেটা বলার ছিল, নিজেদের কয়েন ছিল না বলেই এই সময় পর্য্যন্ত মহম্মদের কোন চিহ্ন কয়েনে পাওয়া যায় নি।
  • দ্রি | 59.15.176.16 | ০১ আগস্ট ২০১৩ ২২:৩২617206
  • http://themuslimissue.wordpress.com/, এই ওয়েবসাইটা সম্বন্ধে একটা কথা পয়েন্ট আউট করব।

    এদের রিজলিউশান পেজে লেখা আছে --

    Demand for new and future EU policies on Muslim Islamic immigration all across Europe:

    – A complete 5-year ban on all Islamic migrants. Thereafter, permission only for female muslim asylum seekers to apply for entry, with no children above age 10. Max 1000 asylum seekers a year.

    – Asylum seekers who enter must be put into an educational program for a minimum 2 years. They must learn the regional language, the basic rules and customs of the country, and be provided a minimum vocational skill of a job in shortage on the job market. They may have the option to apply for higher skills training after completing their 2 year entry training.

    বলা যেতে পারে ই ইউর বিজেপি। মহম্মদ থাকতে পারেন, না থাকতে পারেন। সেই নিয়ে অ্যাকাডেমিক ডিসকাশান হতে পারে। কিন্তু সেটার ভিত্তিতে এই র‌্যাবিড অ্যান্টি-মুসলিম র‌্যাম্লিং নেওয়া খুব মুস্কিল।
  • bip | 78.33.140.55 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:২১617207
  • রাজনৈতিক নেতা না অভিনেতা-পর্ব ৪ ( খ্রীষ্ঠান ধর্মের সাম্রাজ্যবাদ)
    ****************
    আমরা আগের পর্বে দেখেছি কিভাবে আরবের আর্থসামাজিক আন্দোলনের একজন নেতা, দুশো বছরের বিবর্তনে ক্রমশ এক রূপকথার প্রফেট চরিত্রে উত্তীর্ণ হলেন। কিভাবে ইসলামের মতনএকটি প্রগতিশীল আন্দোলন ক্রমশ শাসক শ্রেনীর যন্ত্রে পরিণত হয়ে, চূরান্ত প্রতিক্রিয়াশীল একটি ধর্মরূপে বিবর্তিত হল।

    যেকোন ধর্মের জন্মর নাড়ি বাঁধা থাকে সমকালীন ইতিহাস এবং ভূগোলে। খ্রীষ্ঠ ধর্মের নড়ি বাঁধা প্রায় দুহাজার খৃষ্ঠপূর্বাব্দ ধরে চলে আসা মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম আন্দোলনের সাথে। ক্যানানাইট, পার্সিয়ান, গ্রীস, সিরিয়ান এবং ইহুদি ধর্মের ধারা এবং মিথগুলি (রূপকথা) একসাথে মিশে তৈরী হল খ্রীষ্ঠান ধর্ম।

    তাহলে খ্রীষ্ঠধর্ম মহান ঈশ্বরের সন্তান জিশুর প্রচারিত ধর্ম না? একদম ই না। ইসলাম যেমন মহম্মদ প্রচলিত ধর্ম বলে তার মৃত্যুর দুশো বছর বাদে চালানো হল ( তৃতীয় পর্ব দেখুন ), যীশু খ্রীষ্ট্রের ধর্ম বলতে যা আজকে আমরা জানি-সেটাও যীশুর জন্মের দুহাজার বছর আগে থেকে চলে আসে মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মীয় রূপকথাগুলির সংকলন ছাড়া কিছু না । এবং চালানোর কৃতিত্ব মোটেও যীশুর না -তা প্রাপ্য রোম সম্রাট কনস্টানটাইনের (৩০৬-৩৩৭)।

    মূলত তিনিই রোমান সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে খ্রীষ্ঠান ধর্মের বর্তমান রূপের প্রবর্তক। যীশু সেই রোমান সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে জন্মানো ধর্মের এক কেন্দ্রীয় মিথিক্যাল চরিত্র।

    যীশু বলে কি কেও ছিলেন? যীশু বলে একজনকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে জুডাইয়ার শাসক পন্টিয়াস পিলেট ৩৩ খৃষ্ঠাব্দে শুলে চড়িয়েছিলেন এটা রোমান ঐতিহাসিকরা লিখে গেছেন। এই যীশু ইহুদি শিক্ষক বা রাব্বাই ছিলেন। এই টুকুই শুধু ইতিহাস {[1] Van Voorst, Robert E. (2000). Jesus Outside the New Testament: An Introduction to the Ancient Evidence. Wm. B. Eerdmans Publishing Co.. ISBN 0-8028-4368-9 pages 65-68}।

    বাকী ২৫শে ডিসেম্বর কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম, ছুতোর পরিবারের যীশু, গরীবের বন্ধু যীশু, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি যীশু-এর কোন কিছুর কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই। কিন্ত মিশরীয়, গ্রীস এবং পার্শিয়ান রূপকথা ঘাঁটলে দেখা যাবে, যীশু নামে যে রূপকথার পয়গম্বরকে আমরা জানি, সেই প্রফেট চরিত্র আসলেই মিশরের হোরাস, গ্রীকদের এটিস এবং পারস্যের জথুরাষ্ট্র [ ইরানের সূর্য উপাসক ধর্মের প্রফেট] , এই তিন চরিত্রের সংশ্লেষন। এবং সেই সংশ্লেষন কাল যীশুর জম্মের তিনশো বছর বাদে কনস্টানটাইনের রাজত্বকালে {[২] Peter Brown, The Rise of Christendom 2nd edition (Oxford, Blackwell Publishing, 2003) }

    কেন এমন সিদ্ধান্তে এলেন, ঐতিহাসিকরা?

    যীশুর মিথিক্যাল চরিত্রের সব থেকে কাছাকাছি মিশরের দেবতা হোরাস {[3]http://proud-a.blogspot.com/2012/09/jesus-vs-horus.htm /http://www.andrew.cmu.edu/user/jksadegh/A%20Good%20Atheist%20Secularist%20Skeptical%20Book%20Collection/Parallels_between_Jesus_and_Horus_an_Egyptian_God.pdfl}।

    হোরাসের জন্ম ২৫ শে ডিসেম্বর। কেন ২৫ শে ডিসেম্বর?

    হোরাস ছিলেন দিনের দেবতা । মিশরের লোকজন মনে করতে দিন রাত হয়- হোরাস নামে দিনের দেবতা আর অসিরিস নামে রাতের দেবতার যুদ্ধে। সকালে হোরাস জিতলে দিন , সন্ধ্যাবেলায় অরিসিস জিতে রাত নামে। হোরাস মিশর শুধু না-গ্রীক এবং রোমান যুগেও প্রভাবশালী দিনের দেবতা হিসাবে টিকে গেছেন। তবে রোমে হোরাসে নাম হয় এর পর থেকে মধ্য প্রাচ্যে যত প্রফেট এসেছে-সে আব্রাহাম ই হৌক বা জথুরাষ্ট্র হৌন, সবার ওপর হোরাসের পৌরানিক চরিত্রের প্রভাব অসীম।

    কিন্ত ২৫ শে ডিসেম্বরে মধ্য প্রাচ্যের সব প্রফেটরা পাইকেরি হারে জন্মালেন কেন?

    কারন সেই হোরাস। ২২ শে ডিসেম্বর দিন সব থেকে ছোট হয়। এরপর ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে দিন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। এটা মিশরীয়রা জানত-এবং তাদের থেকে গ্রীক-রোমানরাও শেখে। ২৫ শে ডিসেম্বরের বড়দিন হচ্ছে হোরাসে্র জন্মদিন। কারন সে দিনের দেবতা-আর ঐ দিন থেকে দিন বড় হতে থাকে বলে, মিশরীয়রা বহুদিন থেকে ২৫ শে ডিসেম্বরকে হোরাসের জন্মদিন বা পবিত্রদিন হিসাবে পালন করত। হোরাস যেহেতু গ্রীক-রোমান সভ্যতায় দেবতা হিসাবে ঢুকে পড়ে, সেহেতু মধ্যপ্রাচ্য, রোম এবং গ্রীসে খ্রীষ্ঠ জন্মের বহুদিন আগে থেকেই বড়দিন হচ্ছে সব থেকে পবিত্র দিন। রোমে ঐ দিন পালন করা হত ব্রুমালিয়া উৎসব হিসাবে [http://en.wikipedia.org/wiki/Brumalia]

    তাহলে, যীশু ২৫ শে ডিসেম্বর জন্মালেন কি করে? এই মিথটার ইতিহাস সুলিপিবদ্ধ। যীশুর জন্মদিন ২৫ শে ডিসেম্বর পালন করা শুরু হয় তার জন্মের ৩০০ বছর বাদে। প্রথম খ্রীষ্ঠান সম্রাট কনস্টানটাইন, ২৫ শে ডিসেম্বরকে যীশুর জন্মদিন বলে চালিয়ে দিলেন । কিন্ত কেন ?

    কনস্টানটাইন খ্রীষ্ঠান ধর্ম নিয়েছিলেন সাম্রাজ্যের স্বার্থে, নিজে ছিলেন ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ। আসলে বড়দিন রোমান সম্রাজ্যের একটা বড় প্যাগান উৎসব -ব্রুমালিয়ার দিন। কনস্টানটাইন ওইদিনটাতেই যীশুর জন্মদিন হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য রোমান প্যাগানরা যাতে সেই উৎসবে যোগ দিতে পারে । এমনিতেই রোমান প্যাগানরা তার খ্রীষ্ঠ ধর্মগ্রহনে বা চার্চের পেছনে রাজানুগ্রহে খুশী ছিল না । গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতন, ২৫ শে ডিসেম্বরের বড়দিনের উৎসব বাতিল করলে রোমান সম্রাজ্যে কনস্টানটাইনের জনপ্রিয়তা আরো নামত । ফলে যা ছিল দিনের দেবতার জন্মদিনের উৎসব -তা যীশু জন্মদিন হিসাবে রাজানুগ্রহে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যীশু নামে এক ধর্মপ্রচারকের মিথ, তার জন্মের তিনশো বছর বাদে বিবর্তিত হয়েছে।

    এবার আসল প্রশ্নে আসা যাক। কিভাবে খ্রীষ্ঠান ধর্ম মধ্যযুগের রাজনীতিতে নির্নায়ক শক্তিতে রূপান্তরিত হল। কেন কন্সটানটাইন রোমান জাতীয়তাবাদ ছেড়ে খ্রীষ্ঠান জাতিয়তাবাদ বা সাম্রাজ্যবাদে এলেন? কি দরকার ছিল ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদে? কেন রোমান সাম্রাজ্যবাদের থেকে খ্রীষ্ঠান সাম্রাজ্যবাদ অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হল কনস্টানটাইনের?

    এটা বুঝতে আমরা বর্তমানের কিছু উদাহরনের দিকে তাকাতে পারি। ভারত বা বাংলাদেশের মুসলমানদের একটা বৃহত্তর অংশ, ইসলামের পালন বলতে বোঝে বোরখা পড়া, আরো লম্বা দাড়ি, আরবের প্রচলিত শরিয়া আইন, রমজান মাসে উপবাস ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রাক ইসলামিক ইতিহাসের ভেতরে ঢুকলে দেখা যাবে বোরখা পড়া থেকে রমজান মাসে উপবাস-এসব কিছুই আরবে ইসলামের পূর্বেও ছিল। যেহেতু ইসলামের জন্ম আরবে, সময়ের সাথে সাথে তা ইসলামিক সংস্কৃতি বা ধর্মীয় সংস্কৃতি হিসাবে ঢুকে গেছে।

    কিন্ত মজার ব্যপার হচ্ছে, এই মধ্যযুগীয় আরবীয় সংস্কৃতিকে ভারত বা বাংলাদেশের ধর্মভীরু মুসলিমরা "ইসলামিক সংস্কৃতি ভেবে" নিজেদের দেশের, নিজের মাটির সংস্কৃতি ছেড়ে গ্রহণ করতে চাইছে। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের সংস্কৃতিকে কাফির বা বিধর্মী সংস্কৃতি ভাবা শিখছে।

    কি আজব চিজ দেখুন! আরবদের একটুও যুদ্ধ বিগ্রহ করতে হচ্ছে না বাংলাদেশে বা পৃথিবীর যেকোন মুসলিম দেশে!! অথচ বিশ্বাসের ভাইরাস তারা এমনভাবে ইসলামের মধ্যে ঢুকিয়েছে- ইসলামের মধ্যে দিয়ে আরব সংস্কৃতি পৃথিবীর প্রতিটা মুসলিমপ্রধান দেশ গ্রহণ করছে। অর্থাৎ দেশগুলি আরবের সাংস্কৃতিক উপনিবেশ হয়ে গেছে বা হতে চাইছে!! মুসলিম দেশগুলি নিজেদের দেশের হাজার হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে "কাফির" বা বিধর্মী সংস্কৃতি বলে ঘোষনা করতে চাইছে!! এর থেকে একটি সাম্রাজ্যবাদি শক্তির বড় বিজয় আর কি হতে পারে ?

    ইসলামের মধ্য দিয়ে এই সফল আরব সাম্রাজ্যবাদ বোঝা বেশ সহজ। এবং সেটা থেকে বোঝা যাবে কেন কনস্টানটাইন রোমান জাতিয়তাবাদ ছেরে খ্রীষ্ঠান সাম্রাজ্যবাদের প্রচলন করলেন। কেন "রোম মহান" থেকে "খ্রীষ্ঠ ধর্ম মহান" তার সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার হল।

    সাম্রাজ্যবাদ মানে শুধু যুদ্ধে দেশ জেতা না । সেই দেশে শোষন বজায় রাখতে, ভৃত্য প্রভুর সম্পর্কটা সবল করার দরকার হয়েছে সব সময়। অর্থাৎ বিজিত দেশগুলি থেকে লাভ করতে হলে, সেই দেশে, এমন একটা শ্রেণী তৈরী করতে হবে-যারা হবে বিজয়ী দেশের তাবেদার। তারা যেন বোঝে বিজয়ীদেশ উন্নত এক সভ্যতা-তারা নিজেরা আসলেই অনুন্নত জাতি। এবং তাদের উন্নতির জন্য, বিজয়ী জাতির প্রভুত্ব বা অনুকরন মানা দরকার। ভারতের ইতিহাসে এটা আমরা বিশেষ ভাবে দেখেছি। জমিদার, ভারতীয় রাজন্যবর্গ, এবং তার সাথে আমাদের স্বনামধন্য রেনেসাস চরিত্ররা ( যার মধ্যে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ , স্যার সৈয়দ আহমেদ সবাই ছিলেন) বরাবর মনে করতেন, ভারতে বৃটিশ শাসন আর্শীবাদ। অভিশাপ না । এই "তাবেদার" শ্রেনীর নির্মান হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদি শক্তির সব থেকে বড় সফলতা ।

    খ্রীষ্ঠান সাম্রাজ্যবাদ গ্রহণ করার আগে, রোম কিভাবে এই সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ ( যে রোমান শাসন হচ্ছে আর্শীবাদ-তা উন্নত সভ্যতার শাসন ) চালাতে সক্ষম হত? কি ছিল তাদের সাম্রাজ্যবাদি নিয়ন্ত্রনের ম্যাজিক গল, গথ, ভিসিগথ, জার্মেনিয়া, চেরোকি ইত্যাদি ইউরোপিয়ান আদিবাসিদের ওপর?

    শুধু মিলিটারি দিয়ে এটা সম্ভব না । রোমানরা তা জানত বিলক্ষণ । যেসব আদিবাসি গ্রুপদের ওরা যুদ্ধে হারাত বা যারা রোমের বশ্যতা স্বীকার করত, রোমানরা এক অদ্ভুত "রোমানাইজেশন" প্রথা চালু করে তাদের জন্য। এইসব আদিবাসিদের নেতাদের সন্তানদের দশ বছর বয়সে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যাওয়া হত রোমে । আদিবাসি নেতাদের বাধ্য করা হত তাদের সন্তানদের রোমের অভিজাত মিলিটারি স্কুলে পাঠাতে।

    উদ্দেশ্য? যাতে এই সব অভিজাত সন্তানরা তাদের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রোমান অভিজাত মিলিটারি লিডার হিসাবে বড় হয় । রোমে এদের শিক্ষার অঙ্গ হচ্ছে-সেই তাবেদারি শ্রেনী তৈরী- রোম সভ্যতার সূর্য্য। আর এই অভিজাত সন্তানদল রোমান সভ্যতাকে রক্ষা সৈন্য হিসাবে নিবেদিত প্রাণ। তাদের নিজেদের জাতি হচ্ছে বর্বর । তবে তারা রোমান ! এরপর এরা রোমের সেনাবাহিনীর অঙ্গ হিসাবে যুদ্ধ করে নিজেদের প্রতিভা প্রতিষ্ঠা করার সু্যোগ পেত। রোমান বশ্যতা প্রদর্শনের নিরঙ্কুশ প্রমাণের পর - জন্মস্থানে রোমের গর্ভনর বা সহকারী গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত হত এই আদিবাসি রাজপুত্রের দল । তারা এসে তাদের স্বজাতিকে বোঝাত- রোম মহান-রোমের প্রতিবিশ্বস্ত থাকলে, তাদের উন্নতি। যেভাবে ভারতের রাজন্য এবং মধ্যবিত্ত বর্গ বৃটিশ শাসন নিয়ে বহুদিন আপ্লুত ছিল। আসলে এটাই সাম্রাজ্যবাদের চিরচারিত ট্যাকটিস এবং সব থেকে শক্তিশালী পিলার। বিজিত দেশের লোকেদের মধ্যে একটা অনুগামী শ্রেনীর সৃষ্টি। আমরা এটাই দেখব, এই শ্রেনীর সৃষ্টি ধর্মের মাদকে যত সফল ভাবে সম্ভব-অন্য কোন রাজনৈতিক ফর্মুলাতে তা অসম্ভব!!

    কিন্ত নিয়ন্ত্রনের এই পদ্ধতি খুব যে ভাল কাজ করত তা না । উদাহরন জার্মেনিয়া বা জার্মানির আদি আদিবাসী গোষ্ঠি চাট্টিদের বাটাভি বিদ্রোহ (৬৯-৭০ খৃষ্টাব্দ)।

    এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে এক "পরিবর্তিত রোমান" গায়াস জুলিয়াস সিভিলিস। যিনি ছিলেন বাটাভি রাজপরিবারের সন্তান । কিন্ত ছোটবেলায় তাকে রোমে মিলিটারী স্কুলে নিয়ে গিয়ে রোমান অভিজাত বানানো হয়। বয়স যখন ত্রিশ, রোমান গর্ভনর মামিয়াস লুপেক্রাসের সহকারি হিসাবে তিনি নিজের জন্মস্থান চাট্টিতে ফিরে আসেন। কিন্ত ফিরে এসে সিভিলিস দেখলেন, রোমান আইন আসলেই তাদের আইনের থেকে অমানবিক। রোমান সৈন্যরা, সমৃদ্ধ চাট্টিদের কাছ থেকে ট্যাক্সের নামে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। চাট্টি আইনে চুরি ডাকাতির জন্য মৃত্যদন্ড ছিল না- রোমানরা শুধু রুটি চুরির জন্য, চাট্টিদের শুলে চড়াত। সিভিলিস বুঝলেন শুধু রোমান চাকচিক্য থাকলেই সভ্য হয় না । চাট্টি আদিবাসিদের আইন, রোমান আইনের থেকে অনেক বেশি মানবিক এবং উন্নত । জার্মেনিয়ার আদিবাসি নেতারা কখনোই বুভুক্ষদের থেকে তাদের শেষ খাবারটা ট্যাক্সের নামে ছিনিয়ে নেয় না ।

    জুলিয়াস সিভিলিস রোমের সৈন্যদল ত্যাগ করে চাট্টি বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিলেন। সিভিলিস রোমানদের যুদ্ধ কৌশল জানতেন। ফলে সম্মুখ সমরে না নেমে গেরিলা আক্রমনে মামিয়াস লুপেক্রাসের তিন লিজিয়ন সেনাবাহিনীকে ( প্রায় কুড়ি হাজার সেনা) সম্পূর্ন ধ্বংস করেন। এই মামিয়াস লুপেক্রাস ছিল, তার পালিত পিতার মতন । কিন্ত যিনি সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপ একবার বুঝেছেন এবং স্বজাতির দুঃখকে অনুভব করেছেন, তিনি তার পালিত রোমান পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে বাধ্য হলেন। জুলিয়াস সিভিলিস আজও জার্মানির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল চরিত্র। জার্মান জাতিয়তাবাদ জুলিয়াস সিভিলিসে মগ্ন ।যিনি জার্মানীকে রোমের কাছ থেকে স্বাধীন করেছিলেন।

    সাম্রাজ্যবাদের সব থেকে বড় খেলাটা হচ্ছে কিভাবে বোঝানো যায় বিজিত জাতির সংস্কৃতি, আইন নিম্নমানের। যেমন বাংলাদেশ সহ সব মুসলিম দেশের ইসলামিস্টরা শরিয়া আইন চাইছে নিজেদের দেশে। শরিয়া আইনের সাথে কোরানের বিশেষ সম্পর্ক নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এই আইনের উৎপত্তি আসলেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আইনের ধারা থেকে-যার মধ্যে ক্যানানাইট, সিরিয়ান থেকে আরবের ইসলামপূর্ব আইন ও অনেক আছে। অর্থাৎ শরিয়া বলে যা চালানো হচ্ছে তা আসলে মধ্যযুগীয় আরব আইন। কি যুক্তি শরিয়া প্রেমীদের? সেটা এই-বাংলাদেশের আইন হচ্ছে মানুষের তৈরী আইন। আর শরিয়া হচ্ছে আল্লার আইন (!) সুতরাং শরিয়া আইন শ্রেষ্ঠতর -এবং তা বাংলাদেশ ধর্ষনপূর্বক চালাতেই হবে!!!

    শুধু কি তাই! অধিকাংশ ভারতীয় এবং বাংলাদেশী মুসলিমদের ধারনা, ভারতে মুসলিম আক্রমনের আগে এই দেশ ছিল বর্বর !! এই ধরনের হাস্যকর ধারনা প্রতিটি বিজয়ী সংস্কৃতির মধ্যেই থাকে। বাস্তব সত্য হচ্ছে বিজয়ী জাতিগুলি ছিল বর্বর -এবং বিজিতরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেক বেশি মানবিক উন্নত সভ্যতার অধিকারি ছিল। এটা রোম, স্পেইন, ইসলাম থেকে আর্য্য-সব বিজয়ীদের ইতিহাসে সত্য। এই সামরিক শক্তিগুলি আসলেই বর্বর লুটেরা শক্তি ছাড়া কিছু ছিল না । এরা উন্নততর সভ্যতাগুলিকে ধ্বংস করেছে -এবং বিজিতদের বর্বর আখ্যা দিয়েছে।

    প্রিয় পাঠক এবার একবার ভাবুন। ভাবুন এই শরিয়া আইন, যা আসলেই আরবীয় আইন ছাড়া কিছু না -তা যদি আরবের লোকেরা বাংলাদেশের ওপর অস্ত্রের জোরে " আরবের আইন " বলে বলবৎ করত, তাহলে ফলটা কি দাঁড়াত? বাংলাভাষি প্রেমী মানুষরা নিসন্দেহেই আরবের আইন শুনলে হা রে রে করে তেড়ে এদের বিদায় করতেন!!

    কিন্ত সেই আরবের আইনকে আল্লার আইন বলেতেই ধর্মভীরু মুসলিমদের মনে ঢুকছে ভয়। তারা ভাবছে, শরিয়া আইনে সাত পাঁচ ব্যাঙ ঘোঁড়া যা খুশি থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে যাওয়া হচ্ছে ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ। কারন তা আল্লার আইন-আল্লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া!!

    অর্থাৎ নিজেদের আইনটাকে যদি "রোমান আইন" বলে না চালিয়ে, মামিয়াস লুপেক্রাস ঈশ্বরের আইন বলে চালাত- এই ধরনের আদিবাসি বিদ্রোহ হত না। কিন্ত শুধু ঈশ্বরের আইন বললেই হবে না । সেই ঈশ্বর আদিবাসিদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ও হতে হবে। শরিয়া আইন কৃষ্ণের আইন বলে চালালে হবে না-তা আল্লার আইন বলেই চালাতে হবে!! কারন বাংলাদেশের মানুষ আল্লাকেই একমাত্র আসল ঈশ্বর বলে মানে। নইলে কে ঔ মধ্যযুগীয় আরব আইনের হেফাজত করবে?

    সুতরাং কনস্টানস্টাইন প্রথম শ্লোগান তুললেন এক সাম্রাজ্য-এক ঈশ্বর । সে হচ্ছে খ্রীষ্ঠান ঈশ্বর। হ্যা সবাই যদি খ্রীষ্ঠান ঈশ্বরকে একমাত্র সত্যকারের ঈশ্বর বলে মানে, তাহলে খ্রীষ্ঠান ঈশ্বরের আইনের নামে, ইউরোপের সব বিদ্রোহী আদিবাসিদের মধ্যে রোমান আইনের প্রচলন সম্ভব। রোমের আইন বললে কেও মানবে না । রোমের আইন লোকে তখন ই মানে যখন রোমান সেনাদের তারা ভয় পায়। কিন্ত রোমের তখন ক্ষয়িষ্ণু সেনাবল। শুধু সেনাবলের ভয়ে, আর রোমান সাম্রাজ্য টেকানো যাবে না এটা বুঝতেন কনস্টানস্টাইন। ফলে দরকার হল একেশ্বরবাদের ঈশ্বর বা আল্লার ভয়। ঈশ্বর বা আল্লা নামক সুপার মাফিয়ার ভয় টেকাতে কোন লজিস্টিক লাগে না । বিশ্বাসের ভাইরাসের মতন এই ভয় মানুষের মনে, সমাজের মনে একবার গেঁথে গেলেই হল। ব্যাস! এই মহান ঈশ্বর বা আল্লার নামে তখন নিজেদের আইন বলবৎ করতে সক্ষম হয় বিজয়ী জাতি। কনস্টানটাইন ঠিক সেটাই করলেন। রোমান সংস্কৃতি এবং আইন, আস্তে আস্তে খ্রীষ্ঠান আইনে রূপান্তরিত হল । খ্রীষ্ঠান সংস্কৃতি বলতে আজ আমরা যা বুঝি বা দেখি, তা আসলে রোমান সংস্কৃতি।

    কিন্ত খ্রীষ্ঠান ধর্মকে বা খ্রীষ্ঠান ঈশ্বরকে কেন এক মাত্র সত্য ঈশ্বর হিসাবে চালাতে চাইলেন কনস্টানস্টাইন? সেটা কি খ্রীষ্ঠধর্ম প্রীতি?

    কনস্টাইনের মা হেলেনা ছিলেন খ্রীষ্ঠান-কিন্ত খ্রীষ্ঠান ধর্মের আসল প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কনস্টানটাইন মোটেও ধার্মিক টাইপের লোক ছিলেন না। ছিলেন বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদ। রোমের অধিকাংশ লোক তখন ও প্যাগান। তাদের চটানোর উদ্দেশ্য কোন কালেই তার ছিল না। সম্রাটের রোমের সেনেটে যারা ছিল, তারা প্রায় সবাই প্যাগান।

    তাহলে কেন গরীবদরদি ধর্মকে সাম্রাজ্যবাদের ধর্মে রুপান্তরিত করন?

    সামাজ্যবাদের ধর্মকে গরীব দরদি হতেই হবে। কারন অধিকাংশ লোকের মধ্যে এই ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা না এলে তারা এই ধর্মর ঈশ্বরকে সত্যিকারের ঈশ্বর বলে মানবে কেন? আমার ঈশ্বর সত্য, তোমার মিথ্যে-এটাই ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদের আসল চাবিকাঠি।

    প্যাগান ধর্ম কোন কালেই আর্থ রাজনৈতিক না । হিন্দু জমিদাররা পূজো করে। গরীব প্রজারা দুদিন আনন্দ করে। আনন্দ আমোদ আহ্লাদ হচ্ছে প্যাগান ধর্ম। রোমেও প্যাগান ধর্ম বলতে সেই আনন্দ স্ফূর্তি। আর উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য বলি দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তার মধ্যে সেই "সার্বজনীন" আবেদন কোথায় যা সবার , সব দেশের সব শ্রেনীর গরীব মানুষের নিজের ধর্ম হয়ে উঠবে? যার জন্য তারা, সেই ধর্মের ঈশ্বরকে সত্যকারের ঈশ্বর বলে মানবে? দেবী দূর্গাকে আদিবাসিদের মধ্যে দেবতা বলে চালানো কঠিন-কিন্ত যিশুকে সত্যকারের ঈশ্বরপুত্র বলে আদিবাসিদের মধ্যে চালানো অনেক সহজ। কারন খ্রীষ্ঠান মিথগুলি দাঁড়িয়ে আছে কিভাবে এই ঈশ্বরপুত্র গরীবদের, নির্যাতিতদের সেবা করেছেন-অত্যাচার থেকে বাঁচাতে। জমিদারদের বিলাস ব্যসনের বৈভবের দেবী দূর্গার মধ্যে কি খুঁজে পাবে আদিবাসিরা যাতে তারা দূর্গাপূজাতে অনুপ্রাণিত হবে? রোমেও সেকালে সমস্যা ছিল এক। রোমাণ প্যাগান দেবতারা রোমান অভিজাতদের আমোদ স্ফূর্তির দেবতা -তারা কোনকালে ইউরোপে আদিবাসিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয় নি।

    সেই জন্য খ্রীষ্ঠান এবং ইসলামের নির্মানে একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান- "আমরা শত্রু দ্বারা নির্যাতিত অপমানিত" ।

    গোটা খ্রীষ্ঠান ধর্মটা দাঁড়িয়ে আছে সেই সেন্স অব ভিক্টিমাইজেশনের ওপর । এটি হচ্ছে ধর্মীয় একতার মূল নির্যাস। আমরা ভাল মানুষ, আমরা নির্দোষ, আমাদের শত্রুরা আমাদের ওপর নির্যাতন করে। ফলে এক সত্য ঈশ্বরের তলে এক হও! যীশুর ক্রসবিদ্ধ হওয়া থেকে পুরাতন টেস্টামেন্টের গল্পের সেই এক সুর-আমাদের ধর্মের লোকেদের ওপর অত্যাচার এবং অবিচার!!

    আজকে গোটা বিশ্ব জুরে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের মূল নির্যাস ও এটাই। চেচেনিয়া, প্যালেস্টাইন, কাশ্মিরে মুসলিমদের পেটানো হচ্ছে-তাই সমস্ত ইসলামি ভাতৃত্ববোধ উছলে পড়ছে। অথচ এই কাষ্মীরেই, কাশ্মীরি পন্ডিতদের সম্পূর্ন ভাবে তাড়িয়েছে মুসলিমরা। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ ইতিহাসের ধারাবাহিক পক্রিয়া। পাকিস্তানে মাত্র ২% হিন্দু টিকে আছে-যা দেশভাগের সময় ছিল ২২%।
    এসব মডারেট মুসলিমদের ও চোখে পড়ে না -চোখে পড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে অন্যদেশের মুসলিমদের দুর্ভোগ। এটাই আসল শক্তি সেই সেন্স অব ভিক্টিমাইজেশনের। যা সব থেকে বেশি কাজে লাগিয়েছে খ্রীষ্ঠানরা।

    কনস্টানস্টাইন যখন রোমের সম্রাট হলেন -বিশাল রোম সম্রাজ্য টিকিয়ে রাখায় মহাদায়। চারিদিকে ইউরোপের আদিবাসিরা বিদ্রোহ করছে পাইকেরি হারে। তারা স্বাধীনতার যুদ্ধে অবতীর্ন। সুতরাং রোম সেরা বলে সেই সাম্রাজ্য টেকানোর দিন শেষ। উনি দেখলেন খ্রীষ্ঠান ধর্মে সেন্স অব ভিক্টিমাইজেশন কাজে লাগিয়ে তৈরী হয় সেই ভাতৃত্ববোধ যা দিয়ে একটি সাম্রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ রাখা যায়। আদিবাসিদের বশে আনা সম্ভব।

    শুধু ইসলাম বা খ্রীষ্ঠানরা কেন? আজকের ভারতের হিন্দুত্ববাদিরাও সেই "সেন্স অব ভিক্তিমাইজেশন" কেই কাজে লাগাচ্ছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদিদের প্রচারের মূল হাতিয়ার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, পাকিস্তানে হিন্দু মেয়েদের বলাৎকার আর কাশ্মীরে পন্ডিত বিতাড়ন। ঘরের পাশের মুসলিমটি যে আর্থ সামাজিক কারনে আরো বাজে অবস্থায় আছে-সে ব্যাপারে তার হুঁস নেই। তাহলে সেন্স অব ভিক্তিমাইজেশন বা হিন্দু ভাতৃত্ববোধ কাজ করবে না । আর এই ধর্মীয় ভাতৃত্ববোধ হচ্ছে ধর্মীয় রাজনীতির মূল শক্তি-যার উৎপত্তি খ্রীষ্ঠান ধর্ম থেকে। ইসলামে সেই ভাতৃত্ববোধ আর সেন্স অব ভিক্টিমাইজেশনের আর্টটা আরো উন্নত, আরো বেশী রাজনৈতিক। এই ব্যপারে লিখছি পরের পর্বে।
  • দেব | 127.194.2.16 | ১৫ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৫৬617209
  • রেজা আসলান ক্যালিফোর্ণিয়াবাসী একজন পন্ডিত। ধর্মের উপর গবেষণা ওনার। সম্প্রতি বই লিখেছেন যীশু এবং ক্রিশ্চিয়ানিটিকে নিয়ে। এই টইএর বিষয়ের সাথে মেলে। নিচের ইন্টারভিঊটা দা ইয়ং টার্কসএর নেওয়া। চমৎকার কিছু ইনসাইট পেলাম।



    অবশ্য ওঁর ওপর আমেরিকার গোঁড়া ক্রিশ্চানরা চটেছেন। গ্লেন বেক ১ ঘন্টার প্রোগ্র্যাম নামিয়েছেন। এবং ফক্স নিউজএর ইন্টারভিউ এ ওনাকে প্রথম প্রশ্ন - "আপনি মুসলিম হয়ে ক্রিশ্চিয়ান প্রফেটের ওপর বই লিখেছেন কেন?" :)
  • bipl | 78.33.140.55 | ১৬ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৪৪617210
  • রেজা খৃষ্ট নিয়ে যা বলেছেন টা ঠিক। তবে মহম্মদ নিয়ে এক কথা বলার দম নেই। ধর্মটাই রূপকথা। মিথ ছাড়া ধর্ম হয় না কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন